Tag: bihar

bihar

  • Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানকে অস্ত্র ও সেনা দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক (Turkey)। তার মাশুল অবশ্য গুনতে হচ্ছে তুরস্ককে। নিরাপত্তা থেকে উড়ান, শিক্ষা, বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ভারত। তবে তুরস্কের ভারত বিরোধিতা এবার দেখা গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)। ভারত মুখ ফেরাতেই নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে এই দেশ। এক সর্বভারতীয় সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফের একবার হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে তুরস্ক। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর, তুরস্কের একটি এনজিও সমর্থিত ইসলামিক সংগঠন বাংলাদেশের ঢাকায় গজিয়ে উঠেছে। জানা যাচ্ছে, এই সংগঠনের নাম ‘সালতালাত-ই-বাংলা’। এই সংগঠনই এবার দাবি তুলেছে গ্রেটার বাংলাদেশের। এনিয়ে নতুন একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে তারা। ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও গোটা উত্তর-পূর্বকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বা গ্রেটার বাংলাদেশের অংশ বলে দাবি করা হল।

    মানচিত্রের পোস্টার সাঁটানো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)

    শুধু তাই নয়, এই ম্যাপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অন্যান্য এলাকাতেও লাগানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মূলত যে জায়গাগুলিতে পড়ুয়া ও যুব সম্প্রদায় যায়, সেখানেই এই গ্রেটার বাংলাদেশের (Bangladesh) পোস্টার লাগানো হয়েছে। এদিকে আবার ইউনূস সমর্থকরা এই ম্যাপের সমর্থনও জানিয়েছে। তারাও বিভিন্ন জায়গায় দাবি করছে, অন্তত উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাংলাদেশের অংশ করা হোক।

    ২০২৪ সালে পতন হয় হাসিনা সরকারের, তারপরেই বেড়েছে ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত হয়। এর পর থেকেই সেদেশে হিন্দু নির্যাতনের পাশাপাশি বেড়েছে ভারত বিরোধিতাও। ওপার বাংলা থেকে ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্য এসেছে ভারতের বিভিন্ন অংশ দখল করার। শুধু তাই নয়, এই আবহে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপও বেড়েছে। সাম্প্রতিক, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আন্দোলনের নামে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। সেখানেও উঠে আসে বাংলাদেশ যোগ।

  • Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    Caste Census: দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার ঘোষণা নরেন্দ্র মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক গণনার (Caste Census) ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানাও করেন (Population Survey) তিনি। অশ্বিনী সাফ জানিয়ে দেন, আলাদা করে দেশে জাতি শুমারির প্রয়োজন নেই। জনগণনার সঙ্গেই হবে জাতিভিত্তিক গণনা।

    আদমশুমারি (Caste Census)

    প্রতি ১০ বছর অন্তর হয় আদমশুমারি। শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। করোনা অতিমারির কারণে জনগণনা হয়নি ২০২১ সালে। তার জেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। বুধবার, এপ্রিল মাসের একেবারে শেষ দিনে সরাসরি জাতিশুমারির কথা ঘোষণা করে দিল কেন্দ্র।

    জাতিভিত্তিক জনশুমারি

    বিহারে ইতিমধ্যেই জাতিভিত্তিক জনশুমারি হয়েছে। এদিন জাতিভিত্তিক জনশুমারি ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটে থাকা অন্যান্য দলকেও নিশানা করেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেস বরাবর জাতিভিত্তিক জনশুমারির বিরোধিতা করেছে। ২০১০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ক্যাবিনেটের উচিত জাতিভিত্তিক জনশুমারি নিয়ে বিবেচনা করা। মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই জাতিভিত্তিক জনশুমারির সুপারিশ করেছিল। তার পরেও কংগ্রেস সরকার জাতিভিত্তিক (Caste Census) সমীক্ষা করেছিল।” অশ্বিনী বলেন, “কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটের সদস্যরা জাতিভিত্তিক জনশুমারিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে। কিছু রাজ্য এই সমীক্ষা করেছে শুধুমাত্র কোনও জনজাতির সংখ্যা জানতে। কিছু রাজ্য ভালো কাজ করেছে, কেউ আবার রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল। তবে তখন বিহারে জেডিইউ, আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট সরকার ছিল। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের ৩৬ শতাংশ জনগণ প্রান্তিক শ্রেণির, ২৭.১ শতাংশ মানুষ অনগ্রসর শ্রেণির, ১৯.৭ শতাংশ মানুষ জনজাতি সম্প্রদায়ের এবং উপজাতির নাগরিক ১.৭ শতাংশ।

    চলতি বছরেই রয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। এই বিহারই প্রথম জাতিভিত্তিক জনশুমারি করেছিল (Population Survey)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই কেন্দ্রের এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ (Caste Census)।

  • Ram Navami 2025: বিহারে ৫০ বছর ধরে রামনবমীর পতাকা তৈরি করছেন ইউনূসরা

    Ram Navami 2025: বিহারে ৫০ বছর ধরে রামনবমীর পতাকা তৈরি করছেন ইউনূসরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের গয়াতে সেলাইয়ের কাজ করেন মহম্মদ ইউনূস। গয়ার স্থানীয় কেপি রোডের রাস্তার এক ধারেই তিনি বসেন। সেলাইয়ের কাজে তাঁকে সাহায্য করেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। রামনবমীর (Ram Navami 2025) আবহে দেখা যাচ্ছে, ভগবান রাম এবং হনুমানের ছবি আঁকা পতাকা ইউনূস পরিবারের প্রত্যেকেই সেলাই করছেন। অত্যন্ত ব্যস্ততার সঙ্গে তাঁরা এই কাজ করছেন। কোনও রকম সময় নষ্ট না করে। এক সংবাদ মাধ্যমকে ইউনূস বলেন, ‘‘এই কাজটি শুধু আমি করছি না। আমার দাদুর বাবার আমল থেকেই শুরু হয়েছে এই কাজ। আমরা আজও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছি এবং নিজেদের পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে চলেছি।’’

    ইউনূসের পরিবার আজ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছেন

    বিহারের গয়াতে ইউনূসদের এমন পতাকা সেলাই সত্যিই এক সম্প্রীতির নয়া উদাহরণ তৈরি করেছে। জানা গিয়েছে, ইউনূসের পরিবার আজ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রামনবমী (Ram Navami 2025) উদযাপনের জন্য ব্যবহৃত পতাকা তৈরি করেন। ইউনূসের তৈরি পতাকাগুলি তিন ফুট থেকে শুরু করে ৪৫ ফুট পর্যন্ত হয়। বিভিন্ন রামনবমীর শোভাযাত্রাতে সেগুলি ব্যবহৃত হয়। তবে কেবল গোয়াতে নয়, তাঁর তৈরি করা পতাকাগুলি অন্যান্য জায়গাতেও পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    অন্যান্য রাজ্য থেকেও আসে অর্ডার

    এ নিয়ে ইউনূস সংবাদ মাধ্যমকে বলছেন, ‘‘আমরা বিহার ঝাড়খণ্ডের অনেক জায়গাতেও পতাকা সেলাই (Ram Navami) করে পাঠাই এবং সেখান থেকে মানুষজন আমাদেরকে অর্ডার দেন।’’ ইউনূসের পরিবারের অন্যতম সদস্যদের মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমরা ছোট থেকেই আমাদের বাবা-মাকে যা করতে দেখেছি আমরা সেটাই করছি।’’

    চৈত্র নবরাত্রি শুরু হতেই চাহিদা থাকে তুঙ্গে

    প্রতিবছর এই চৈত্র নবরাত্রির শুরু হতেই ইউনূসের বাড়ি এবং তাঁর কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। গেরুয়া, হলুদ, লাল রঙের পতাকা তৈরি হতে থাকে। রামনবমী উদযাপনের সময় চাহিদা থাকে একেবারে তুঙ্গে। এই নিয়ে ইউনূসরা জানাচ্ছেন যে তাঁদের সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস আছে। তাঁদের আরও দাবি,এমন পতাকা তৈরি করতে তাঁরা কখনও অস্বস্তিবোধ করেন না। বিহারের স্থানীয় বাজারগুলিতে পতাকার আকার এবং নকশার উপর ভিত্তি করে তা বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত দাম থাকে।

  • PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    PM Modi: “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ করতে পারে না,” বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা পশুর জন্য তৈরি খাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা দেশের কৃষকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবতে পারে না।” সোমবার বিহারের ভাগলপুরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে (Lalu Yadav) নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন অবশ্য লালুর নাম মুখেও আনেননি প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁর চাঁদমারি যে লালুই, তা বুঝতে বাকি থাকেনি উপস্থিত দর্শকদের।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও বিহার উভয় জায়গায়ই এনডিএ সরকার সর্বদা কৃষকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয়। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশের আমার কৃষক ভাইবোনেরা প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির সুবিধা পেতেন না। গত ছ’বছরে কিষান প্রকল্পের প্রতিটি পাই-পয়সা সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।” এর পরেই লালুকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “যারা পশুখাদ্যও খেয়ে ফেলে, তারা এ দেশের কৃষকদের কল্যাণ সম্পর্কে ভাবতে পারে না।”

    কৃষি রফতানি বেড়েছে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের কৃষি রফতানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভালো দাম পেতে পারছেন। এ বছরের বাজেটে সরকার একটি মাখানা বোর্ড তৈরির কথা ঘোষণা করেছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হবে।” মহাকুম্ভ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন লালু। তিনি বলেছিলেন, “ফালতু হ্যায় কুম্ভ।” এদিন তারও তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “যাঁরা জঙ্গলরাজে বিশ্বাসী, তাঁরা আমাদের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসকে ঘৃণা করেন।”

    তিনি বলেন, “আমি আশাবাদী, প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যকারীদের বিহারবাসী কখনও ক্ষমা করবেন না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউরোপের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষ এই মহাকুম্ভ পবিত্র স্নান করেছেন। কিন্তু জঙ্গলরাজের প্রতিনিধিরা এই পবিত্র অনুষ্ঠানের সমালোচনা করছেন। যারা রাম মন্দিরের বিরোধী, তারা মহাকুম্ভকে অপমান করার প্রতিটি সুযোগ নিচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে বিহারের জনগণ এই পবিত্র অনুষ্ঠানের বিরোধীদের কখনও ক্ষমা করবেন না।” তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐক্যের মহাকুম্ভ (Lalu Yadav)। এটি ভারতের বিশ্বাস, ঐক্য ও সম্প্রীতির সর্ববৃহৎ উদযাপনকে উপস্থাপন করে (PM Modi)।”

  • PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাখনাকে ‘সুপারফুড’-এর তকমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানালেন, ছিয়াত্তর বছর বয়সেও তাঁর ঝলমলে ও ফিট স্বাস্থ্যের অন্যতম কারণ মাখনা (Makhana)। বছরে কমপক্ষে ৩০০ দিন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই মাখনা খান তিনি। দাবি করেন, গোটা বিশ্বের জন্যই স্বাস্থ্যকর মাখনার উৎপাদন জরুরি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার ভাগলপুরের সভায় মোদি জানান, আজ গোটা ভারত জলখাবারে মাখনা খচ্ছে। এদিন মাখনার (Makhana) মালা দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ভাষণে মোদি বলেন, “আজ গোটা দেশের শহরগুলিতে জলখাবারের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে মাখনা। কেন্দ্রীয় বাজেটে মাখনা বোর্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মাখনা এবার গোটা বিশ্বের খাদ্য বাজারকে শাসন করবে।”

    কোথায় কোথায় হয় মাখনার উৎপাদন

    পদ্ম ফুলের বীজ থেকেই তৈরি হয় মাখনা। কেউ কেউ আবার একে ফক্স নাট বলেও ডাকেন। মূলত, বিহারের মিথিলা এলাকায় তিন জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয় মাখানা। এই চাষের জন্য জলাজমি দরকার হয়। দেশে ধীরে ধীর এই মাখানার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভারতে তৈরি মাখনা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়, আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, আমিরশাহি। কারণ এই সমস্ত জায়গায় বহু প্রবাসী ভারতীয়ের বাস রয়েছে। গত ২ দশক ধরে এই মাখনা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

    বাজেটে মাখনা বোর্ড গঠন

    চলতি বাজেটে বিহারে মাখনা বোর্ড গঠনের কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লক্ষ্য হল মাখনার (Makhana) উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপুল হারে মাখনার বাণিজ্য থেকে অর্থ উপার্জন। উল্লেখ্য, বিহার দেশের ৮০ শতাংশ মাখনা উৎপাদন হয়। যদিও বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও বাণিজ্যে যথেষ্ট কম। সেই কারণেই বোর্ড গঠনের ভাবনা কেন্দ্রের। তিনি জানান, ‘মাখনা চাষিদের ট্রেনিং দেওয়া হবে, এবং নিশ্চিত করা হবে, তাঁরা যাতে সমস্ত সরকারি স্কিমের সুবিধা পান।’ আইএমএআরসি অনুযায়ী, মাখনা ২০২৩ সালে ভারতের মাখনা মার্কেটের দর ৭.৮ বিলিয়ন ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিলে জিআই ট্যাগ পেয়েছে ‘মিথিলা মাখনা’। ধীরে ধীরে মিথিলা অঞ্চল থেকে মাখানার চাষ কোশী উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সাহারসা, সুপৌলেও চাষ চলছে মাখনার। বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ জেলাতেও চলছে এই মাখনার চাষ।

    মাখনার উপকারিতা

    মাখনা (Makhana) বা পদ্মবীজ অনেকেই ডায়েট চার্টে রেখে থাকেন। বলা হচ্ছে, এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের উৎস। এরমধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। বহু গবেষণার দাবি, হার্টের সমস্যা থাকলে, মাখানা উপকার দিয়ে থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি। ওজন কমাতেও এটি সাহায্য করে থাকে। অনেকেই মাখনা ভেজে বা সেঁকে মুড়ি কিম্বা ভেলপুরীর সঙ্গে খান। আবার অনেকে ডালে মাখনা দিয়ে থাকেন। অনেকে স্ন্যাকস হিসাবেও মাখনা খান। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখনা শুধু খেতেই ভালো এমন নয় কিন্তু। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

    ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাখনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস, ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেশি সচল রাখে। স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ভর্তি

    মাখনায় (Makhana) রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। স্ট্রেস থেকে নানা মানসিক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খাবাররে তালিকায় মাখনা রাখলে বিভিন্ন জটিল অসুখ দূরে থাকে। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইফ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাখনা। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য তো অবশ্যই দারুণ উপকারী। এছাড়াও, যাঁদের মধুমেহ নেই, তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মাখনা খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই অহেতুক খিদে পাওয়ার কারণে শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমা হয়। মাখনা (Makhana) এই অহেতুক খিদে পাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না মাখনা। ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখে, ত্বক উজ্জ্বল করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রেখে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মাখনা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

  • RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নিবিড় প্রচারের সুফল কুড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র হয়েছে পদ্মময়। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পাখির চোখ বিহার। চলতি বছর হওয়ার কথা বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls)। সেখানে বিজেপিকে সাহায্য করতে তাই কোমর বেঁধে নামছেন সংঘের নেতারা।

    দিল্লি জয়ে আরএসএসের ভূমিকা (Bihar Assembly Polls)

    উল্লেখ্য যে, আরএসএসকে জেতাতে দিল্লির প্রতিটি প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি সভা করেছে আরএসএস। বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছে ভোটারদের। বিহারের পাশাপাশি আরএসএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করতে মিশন ত্রিশূল হাতে নিয়েছে আরএসএস। এই মিশনে একটি কৌশল গঠিত হয়েছে তিনটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস (RSS)। শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, আরএসএস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলি হল, গোপান সমীক্ষার মাধ্যমে অসন্তুষ্ট ভোটার ও প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ঠিক করতে সব চেয়ে প্রভাবশালী ইস্যুগুলি নির্ধারণ করা এবং এই ইস্যুগুলির ভিত্তিতে বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা। আরএসএসের এই সমীক্ষা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য আরএসএসের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিহারজুড়ে শাখার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ আরও দৃঢ় করা যায়।

    বিহারে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টার কসুর করছে না আরএসএস। ভালো ফলের জন্য বিহারকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করা হয়েছে। মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে আরএসএসের সভা। সেখানে দুর্বল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করতে একটি ব্যাপক বুথ-স্তরের সমীক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। বিহার এমন একটি রাজ্য যেখানে বিজেপি কখনও এককভাবে সরকার গঠন করেনি। সেই কারণেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস। আরএসএস সক্রিয়ভাবে কৌশলও তৈরি করছে। সেই কৌশল কাজে লাগিয়েই বিহারে (Bihar Assembly Polls) এবার বাজিমাত করতে চাইছে আরএসএস (RSS)।

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    Bihar: ৫০০ বছরের পুরনো শিবমন্দির উদ্ধার পাটনায়, ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিতে মুখরিত ভক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনার (Bihar) নারায়ণ বাবু স্ট্রিটে উদ্ধার হয়েছে একটি পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির। মন্দির আবির্ভূত হতেই স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা নজরে আসে। ধ্বনিত হয় ‘হর হর মহাদেব’। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। মন্দিরের গর্ভগৃহ এখনও সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষত। ভিতরে একটি বড় শিবলিঙ্গ এবং পায়ের ছাপ রয়েছে। 

    মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল (Bihar)

    গত ৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে একটি ভূমি ধসের কারণে এই শিব মন্দিরটি উদ্ধার হয়েছে। মন্দিরের দেওয়াল গ্রানাইট শিলা দিয়ে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। এরপর আশে পাশের এলাকাকে আরও খনন করলে মন্দিরের গাত্রে থাকা সুন্দর সুন্দর কারুকার্য প্রকাশ পেয়েছে। একই ভাবে মন্দিরে আরও নানা সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। মন্দিরের মধ্যে সব থেকে আকর্ষিণীয় দিকটি হল শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহে যে শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে তা অষ্টধাতু দিয়ে নির্মিত। বিশেজ্ঞরা মনে করছেন, মন্দিরটি আনুমানিক পঞ্চদশ শতকে নির্মিত হয়েছিল। এখন এই মন্দিরকে নিয়ে এলাকার শৈব ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানি হতেই প্রচুর লোকজন মন্দির দর্শন করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, মন্দিরটি যেখানে উদ্ধার হয়েছে সেখানটা মূলত একটা পরিত্যক্ত জায়গা ছিল। তবে আগে থেকেই জায়গাটা একটি মঠের অন্তর্গত ছিল। এই জায়গাকে কিছু লোকজন একটি আবর্জনার স্তূপ বানিয়ে রেখেছিল।

    শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন

    পাটনার (Bihar) স্থানীয়দের বক্তব্য, মন্দিরের পাশেই থাকতেন একজন পুরোহিত। তবে তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা জায়গাকে ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেন। এরপর ফাঁকা জায়গা পেয়ে এলাকার মানুষ আবর্জনার স্তূপ করে ফেলে। কিন্তু, এই মাটির নীচে যে এত বড় এত প্রাচীন মন্দির লুকিয়ে ছিল, তা সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দির উদ্ধারের বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কেউ বলছেন ‘‘বাবা ভোলা নাথ কৃপা করেছেন’’। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘‘শিবশম্ভু জেগে উঠেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আইন মেনে, সুদ সহ বদলা নেব’’, সন্দেশখালির সভায় মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আইন মেনে, সুদ সহ বদলা নেব’’, সন্দেশখালির সভায় মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ দিন, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানেই তিনি তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুলে কেউ যাবে না। আমিও ভুলব না। এরাজ্যে বিজেপি সরকার হবে। সন্দেশখালির ঘটনায় কমিশন বসবে। আর যে মহিলাদের আপনি জেল খাটিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর জন্য আপনাকেও জেল খাটাবে বিজেপি। বদলা তো নেব। সুদ সহ নেব। আইন মেনে নেব। সংবিধানের মধ্যে থেকে নেব।’’

    মাঝ রাতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া, ভুলে যাব আমরা?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাল (সোমবার) বলে গিয়েছেন শাহজাহানের মাঠ থেকে। সন্দেশখালির মহিলারা ঘর থেকে না বেরোলে, রেখা-মাম্পিরা না লড়লে ওই মাঠটা শাহজাহানের নামেই থাকত। আপনি কাল বলেছেন, শিবু-শাহজাহানের কীর্তি ভুলে যান? বিঘার পর বিঘা জমি দখল, জলকর, শৌচাগার, আবাস, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট, এত মহিলা অত্যাচারিত, মাঝ রাতে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়া, ভুলে যাব আমরা?’’

    চিরদিন কারও সমান যায় না

    এদিনও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, ‘‘বসিরহাট লোকসভার সাংসদ হওয়া রেখা পাত্রের শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রেখা মামলা করেছে। হাজি নুরুলের নোমিনেশন ডিফেক্টিভ। একই গ্রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের বীরভূমের নমিনেশন কেটেছে। আর এখানে মমতার আমলারা পার পেয়ে যাবে? কয়েকদিন আগে হিয়ারিং ছিল। রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিতে গিয়েছিল। বিচারপতি হলফনামা বাতিল করে ক্ষমা চাইয়েছে। নিশ্চিন্তে থাকুন বিজেপির সাংসদ হবে। চিরদিন কারও সমান যায় না।’’

    তোপ সিপিএমকেও

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আমার ভাড়া বাড়ি আছে। সেখানে আমি মাঝে মাঝে আসব। দলের সভা করতে নয়, গীতা বিতরণ করা হবে। জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করব। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারিখ জানিয়ে দবে। গীতা পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’’ বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘‘এত লুটপাট, চুরির পরেও বিজেপির ভোট এই রাজ্যে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। আর মাত্র ৫ শতাংশ হিন্দু ভোট প্রয়োজন। নিরাপদবাবু মাঝে মাঝে লাল ঝান্ডা নিয়ে ঘোরেন। এরা হিন্দু ভোট কাটে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। একটা মুসলিম ভোটও কাটে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis17: টার্গেট আওয়ামি লিগ, বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় হাসিনার দলের বেশিরভাগ মন্ত্রীকেও!

    Bangladesh Crisis17: টার্গেট আওয়ামি লিগ, বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় হাসিনার দলের বেশিরভাগ মন্ত্রীকেও!

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ পঞ্চম পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে পতন হয় হাসিনা সরকারের (Bangladesh Crisis17)। তারপর থেকেই বাংলাদেশ চলতে থাকে জঙ্গলের রাজত্ব। পরিসংখ্যান বলছে, যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন তখন বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে গ্রেফতার করা হত ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যক্তিকে। তবে ৫ অগাস্টের পরে চিত্রটা পুরো বদলে যায় এবং দেখা যায় ইউনূস সরকারের জমানায় প্রতিদিন এক হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হতে থাকে। ক্ষমতা হস্তান্তরের পরেই বাংলাদেশজুড়ে দেখা যায় যে মিথ্যা মামলা দায়ের হতে থাকে বিরোধীদের দমন করার জন্য।

    ছোটখাট দলের নেতাদেরও ফাঁসানো হতে থাকে

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis17) সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের মাত্র ৫১ দিনের মাথায় প্রায় ৯২ হাজার জনকে অভিযুক্ত করে ইউনূস সরকার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় প্রায় দেড় হাজার মমলা। মামলাগুলিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামি লিগের নেতাদেরকে টার্গেট করা হতে থাকে। শুধু আওয়ামি লিগ নয়, বাংলাদেশের ছোট ছোট রাজনৈতিক সংগঠন যেমন-ইসলামিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মতো সংগঠনগুলিকেও টার্গেট করে ইউনূস সরকার। তাদের কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে এমনটা কখনও দেখা যায়নি।

    গ্রেফতার করা হয় আওয়ামি লিগের প্রাক্তন মন্ত্রীদের  

    ইউনূস সরকারের গণতন্ত্র এবং মূল্যবোধ নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। ইউনূস সরকারের এমন প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হতে থাকে একাধিক মহল। কোনওরকমের অভিযোগ ছাড়াই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে একের পর এক নেতাকর্মীকে। তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হতে থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে যেসমস্ত প্রাক্তন মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছে ইউনূস সরকার তাঁদের মধ্যে রয়েছেন-প্রাক্তন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সরকারের (Targeting Minority) প্রাক্তন উপদেষ্টা সলমন রহমান, প্রাক্তন জাহাজমন্ত্রী শাহজাহান খান, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র দফতরের এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক, প্রাক্তন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার, প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পালক, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আরিফ খান, জয় হাজি, মহম্মদ শালিম, প্রধানমন্ত্রীর শক্তি বিষয়ক পরামর্শদাতা রফিক ইলাহি, প্রাক্তন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী মহবুব আলি, প্রাক্তন অ্যাডভোকেট মিনিস্টার নুরুল ইসলাম সুজন, প্রাক্তন সংসদ সদস্য শাহ আলম, প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ।

    গ্রেফতার আরও প্রাক্তন মন্ত্রীরা (Bangladesh Crisis17)

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis17) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কালের কন্ঠ তাদের প্রতিবেদনে লেখে, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রাক্তন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মিনিস্টার ফারহাদ হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। হাসিনা সরকারের প্রাক্তন পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী এবং জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী সাবির হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।এই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন, প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, প্রাক্তন প্রাইমারি ও মাস এডুকেশন মন্ত্রী জাকির হোসেন, প্রাক্তন যুবমন্ত্রী আরিফ খান, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রজ্জাক।

    ৪ থেকে ৬ অগাস্টের মধ্যে ৮৭ জন আওয়ামি লিগের সদস্যকে হত্যা করে মৌলবাদীরা

    শুধুমাত্র প্রাক্তন মন্ত্রীরাই নন, আওয়ামি লিগের বেশ কিছু সাংসদকেও গ্রেফতার করে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৫ জন আইন প্রণেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় গ্রেফতার করা হতে থাকে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্র লিগের সদস্যদেরও। ছাত্রলিগ, যুবলিগ, স্বেচ্ছাসেবক লিগ, শ্রমিক লিগ, কৃষক লিগ, মহিলা লিগ কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এই সমস্ত গ্রেফতারি শুধুমাত্র যে আওয়ামি লিগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থেকেছে তা নয়, ছোটখাট দলগুলির ওপরেও নেমে আসে সরকারের এমন অত্যাচার। জাতীয় পার্টির প্রাক্তন সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ থেকে ৬ অগাস্টের মধ্যে ৮৭ জন আওয়ামি লিগের সদস্যকে হত্যা করে মৌলবাদীরা। প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট গণভবন দখল হয়, জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis17) মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশে খুন করা হয়েছে ৩৭০ জন আওয়ামি লিগ নেতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share