Tag: Bihar Assembly Election 2025

  • Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    Bihar Poll Victory: দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বরখাস্ত করা হল বিহারের দুই বিজেপি নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরের দিন শনিবারই বিজেপি (Bihar Poll Victory) থেকে বহিষ্কার করা হল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে সিংকে (BJP)। বরখাস্ত করা হয়েছে বিজেপিরই এমএলসি অশোক আগরওয়ালকেও। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ৮৯টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। তার পর শনিবারই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল দলের দুই নেতার ওপর।

    সাসপেনশান লেটার (Bihar Poll Victory)

    আরকে সিংকে সম্বোধন করে সাসপেনশান লেটারে লেখা হয়েছে, “আপনার কার্যকলাপ দলের বিরুদ্ধে। এটি দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের আওতায় পড়ে। দল এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এটি দলের ক্ষতি করেছে।” চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “অতএব, নির্দেশ অনুসারে আপনাকে দল থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং কেন আপনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হচ্ছে। এই চিঠি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আপনাকে আপনার অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” বিজেপি সূত্রে খবর, সিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন (Bihar Poll Victory)।

    দল বিরোধী কাজের অভিযোগ

    বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় চলতি মাসের ৬ এবং ১১ তারিখে। এর আগে অক্টোবর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করে ভোটারদের অপরাধমূলক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা নেতাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে জেডিইউয়ের অনন্ত সিং এবং বিজেপির সম্রাট চৌধুরীর মতো বেশ কয়েকজন এনডিএ প্রার্থীও ছিলেন। সম্রাট বিহারের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।আরকে সিংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলবিরোধী মন্তব্য ও আচরণের জেরে বারবার ক্ষতি হয়েছে দলের। কাটিহারের মেয়র ঊষা আগরওয়ালকেও এই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিহার বিজেপির প্রধান অরবিন্দ শর্মা এদিন সকালে ওই তিন নেতার কাছে শোকজ-সহ বরখাস্তের নোটিশ পাঠান। সেখানে সাফ জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে (BJP) তাঁদের আচরণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সংগঠনের ভাবমূর্তিরও (Bihar Poll Victory)।

  • Bihar Assembly Election 2025: রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল বিহার, এনডিএ জমানায় শেষ ‘জঙ্গলরাজ’!

    Bihar Assembly Election 2025: রক্তপাতহীন নির্বাচন দেখল বিহার, এনডিএ জমানায় শেষ ‘জঙ্গলরাজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীতীশ কুমারের জমানায় জঙ্গলরাজের অবসান বিহারে (Bihar Assembly Election 2025)। এ রাজ্যে শেষ কবে গোলাগুলি, বুথদখল ছাড়া নির্বাচন হয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না বিহারের প্রবীণ বাসিন্দারাও। তবে এবার হল (Violence)। ২০২৫ সালের নির্বাচন রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে স্থাপন করল নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। দু’দফায় ভোট হয়েছে রাজ্যে, তবে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি, হয়নি পুনর্নিবাচনও। কয়েক দশক ধরে চলে আসা রক্তাক্ত নির্বাচনের বিপ্রতীপ ছবিই দেখা গেল এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে।

    কংগ্রেস জমানায় রক্তারক্তিকাণ্ড (Bihar Assembly Election 2025)

    স্মৃতির সরণি বেয়ে ফিরে যাওয়া যাক আটের দশকে। ১৯৮৫ সালে রাজ্যে  নির্বাচনের সময় মৃত্যু হয়েছিল ৬৩ জনের। পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ১৫৬টি বুথে। সেই সময় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের চন্দ্রশেখর সিং। ওই নির্বাচনের পর রাজ্যের হাল ধরেন কংগ্রেসেরই বিন্দেশ্বরী দুবে। এর ঠিক পাঁচ বছর পরে ১৯৯০ সালে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল, সেই ভোটে রক্ত ঝরেছিল আরও অনেক বেশি। সেবার নির্বাচনী হিংসার বলি হয়েছিলেন ৮৭ জন। সেবারই পালাবদল ঘটেছিল বিহারে। কংগ্রেসের জগন্নাথ মিশ্রর হাত থেকে বিহারের রাজপাটের রশি যায় আরজেডির লালু প্রসাদ যাদবের হাতে।

    নজিরবিহীন হিংসা

    পরের বিধানসভা নির্বাচনের ছবিটা আরও করুণ। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষন নজিরবিহীন হিংসা ও নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগে চার-চার বার স্থগিত করে দিয়েছিলেন বিহারের নির্বাচন। পরে দু’বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসেন লালু (Bihar Assembly Election 2025)। তাঁর পরে ওই আসনে বসেন তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত। ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ২০০৫ সালেও। সেবার হিংসা ও বিশৃঙ্খলার কারণে পুনর্নির্বাচন হয় ৬৬০টি বুথে। ক্ষমতায় আসেন জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয় ৬ নভেম্বর, তার পরের দফার ভোট হয় ১১ তারিখে। এই দু’দফার ভোটেই মেলেনি (Violence) কোনও হিংসার খবর, প্রয়োজন হয়নি পুনর্নির্বাচনেরও (Bihar Assembly Election 2025)।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    Bihar Assembly Election 2025: বিহার পদ্মময়, কুর্সিতে ফিরছে এনডিএ, রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন মহাজোটেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ (NDA) ঝড়ে বিহারে (Bihar Assembly Election 2025) কুপোকাত আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে উঠে এল বামেরা। লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বীর আরজেডি নেমে গেল তিন নম্বরে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এর মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে যেতে পারে ২০৮টি। তেজস্বীর দল এগিয়ে রয়েছে ৪১টি আসনে। এনডিএ যে ২০৮টি আসনে জয় পেতে চলেছে, তার মধ্যে পদ্মের একার ঝুলিতেই পড়েছে ৯০টিরও বেশি আসন। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের হাতে যেতে চলেছে ৮১টি আসনের রাশ।

    উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি (Bihar Assembly Election 2025)

    বিহারের গেরুয়া ঝড়ে যারপরনাই উল্লসিত বঙ্গ বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিহারে গেরুয়া ঝড়। এবার পালা বাংলার। এসআইআর দিয়ে শুদ্ধ ভোটার তালিকায় ভোটে জিতবে বিজেপি। একদম চিন্তা করবেন না, বিহারে এসআইআরের পরে ভোট হয়েছে। অপশাসনের তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলাকে পরিষ্কার করবে বিজেপি।” প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের গলায়ও। তিনিও বলেন, “বিহারে জয়ের পথে আমরা, এবার পালা বাংলার।” চলতি বছরই নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে চালাচ্ছে এসআইআর কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নান্দীমুখ হয়েছিল বিহারে। তার পরেই এনডিএর বিপুল জয়ে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    কুর্সি ধরে রাখার লড়াই

    কেবল এসআইআর নয়, বিহারের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এবার আরও একটি কারণে দেশবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল নীতীশ কুমারের এই রাজ্য। নীতীশের নেতৃত্বে এ রাজ্যে এনডিএ লড়লেও, তেজস্বীকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটের ময়দানে নামে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগটবন্ধন। নীতীশের কাছে এই নির্বাচন ছিল ২০ বছরের কুর্সি ধরে রাখার লড়াই। আর তেজস্বীর লড়াই ছিল বিহারের মসনদে বসা। নির্বাচন হওয়ার পরেই যে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনীতির অন্দরমহলে, সেটি হল তেজস্বী কি পারবেন নীতীশকে মাত দিতে? নাকি ক্ষমতা ধরে রাখবে বিহারে জঙ্গলরাজের অবসান ঘটিয়ে আইনের শাসন ফেরানো ‘সুশাসন বাবু’? নীতীশ জমানায় বিহারে যে সুশাসন ফিরেছে তার হাতে গরম প্রমাণ তো এই বিধানসভা নির্বাচনই। এ রাজ্যের একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন হয়নি। লাঠালাঠি-হানাহানির কোনও খবরও মেলেনি কোথাও (NDA)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে বিহারবাসী ভোট দিয়েছেন দু’হাত উপুড় করে।

    এনডিএর জয়জয়কার

    এদিন সকালে গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, একের পর এক আসনে এগিয়ে চলেছে এনডিএ। এনডিএর জয়ের লেখচিত্র যেমন তরতরিয়ে (Bihar Assembly Election 2025) ওপর দিকে উঠছে, ঠিক তেমনিই দ্রুত নীচে নামছে মহাগটবন্ধনের জয়ের গ্রাফ। ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, বিজেপি ছাপিয়ে গিয়েছিল নীতীশের জেডিইউকে। সেবার ১১৫টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল নীতীশের দল, জয়ী হয়েছিল মাত্র ৪৩টি আসনে। আর ১১০টি আসনে লড়ে ৭৪টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গণনার ফল অনুযায়ী, ২০৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। আর মহাগটবন্ধনের ঝুলিতে পড়তে চলেছে মাত্র ৩৬টি আসন। গেরুয়া ঝড়ে পায়ের তলায় মাটিই খুঁজে পায়নি কংগ্রেস। তারা এগিয়ে রয়েছে মাত্র একটি আসনে। এমতাবস্থায় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসকে ডুবন্ত নৌকার সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। তিনি বলেন, “তিনি (রাহুল) নিজেও ডুবছেন, জোটসঙ্গীদেরও ডোবাচ্ছেন। তিনি সব সময় অ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমার কথা বলে বেড়ান। আমার মনে হয়, তিনি সব বোমা নিজের দল এবং জোটসঙ্গীদের ওপরই ফাটিয়েছেন। অন্তত ভোটের ফল তো তা-ই বলছে (Bihar Assembly Election 2025)।”

    মহাগটবন্ধন ভূপতিত

    এদিকে, বিহারে মহাগটবন্ধন ভূপতিত হতেই ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়লেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের শোচনীয় হালে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, “বিপুল সংখ্যক মানুষের রায় যে এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে, তা ভীষণভাবে (NDA) স্পষ্ট। এটি হতাশাজনক। যদি শেষ পর্যন্ত এটিই চূড়ান্ত ফল হয়, তা হলে আমাদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। আত্মসমালোচনা বলতে আমি শুধু এ বিষয়ে বসে চিন্তাভাবনা করার কথা বলছি না। কৌশলগত দিক থেকে বার্তা দেওয়ার দিক থেকে এবং সাংগঠনিক দিক থেকে আমাদের কী ভুল হয়েছে, তাও দেখতে হবে।” থারুর বলেন, “আমি বিহার ভোটে প্রচার করিনি। আমাকে প্রচার করার জন্য ডাকাও হয়নি। তাই আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য দিতে পারব না (Bihar Assembly Election 2025)। তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কোথায় ভুল হয়েছে, তা অবশ্যই আমাদের দলের নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত।”

    পিন্ডি চটকাল ইন্ডির!

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে পরাস্ত করতে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল যে জোট গঠন করেছিল, সেই ‘ইন্ডি’ জোটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। বিহারে মহাগটবন্ধন পরাভূত হতেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাদের সাফ কথা, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত (NDA)। এনডিএ ঝড়ে বিহারে কাবু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টিও। এই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক-ই মমতার দলকে গত বিধানসভায় নির্বাচনী বৈতরণী পার করে দিয়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। সেই ‘কিং-মেকারে’র দলই স্বভূমিতে (পিকে বিহারেরই বাসিন্দা) স্বখাত সলিলে। নিজের রাজ্যেই খাতা খুলতে পারেনি পিকের দল। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় পিকে মমতার দলকে জেতাতে কতটা সফল হবে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে।

    রেকর্ড ভাঙল এনডিএ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফলে এনডিএ ভেঙে দিয়েছে নিজেই নিজের রেকর্ড (Bihar Assembly Election 2025)। ২০১০ সালের তারা পেয়েছিল ২০৬টি আসন। এবার এদিন বিকেল পর্যন্ত এনডিএ এগিয়ে রয়েছে ২০৮টি কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হয় দু’দফায়। প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট হয়েছে ১১ নভেম্বর। সব মিলিয়ে দু’দফায় ভোটদানের হার ছিল ৬৭.১৩ শতাংশ। বেশিরভাগ এক্সিট পোলে এনডিএর ক্লিন সুইপের পূর্বাভাস মিললেও, আরজেডির তেজস্বী যাদব সেই ভবিষ্যদ্বাণী উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছিলেন, মহাজোট বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গড়বে। যদিও সেই আশা আপাতত দূরঅস্ত।

    পতনের পথে তেজস্বী

    এদিন বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, নিজের গড় রাঘোপুর আসনে পিছিয়ে পড়েছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর পাশাপাশি হারতে চলেছেন লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও। আরজেডি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন লালু। তার পরেই ‘জনশক্তি জনতা দল’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নেমে পড়েন লড়াইয়ের ময়দানেও। মহুয়া কেন্দ্রে প্রার্থী হন তেজপ্রতাপ স্বয়ং। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে তিনি নেমে গিয়েছেন চতুর্থ স্থানে (Bihar Assembly Election 2025)। এদিকে, বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার ভোটযুদ্ধে নেমেই কিস্তিমাত করে দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। আলিনগর কেন্দ্রে জিততে চলেছেন (NDA) তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই!

    এনডিএর জয়জয়কারের ছবি সামনে আসতেই রাজধানী পাটনায় নীতীশ কুমারের কার্যালয়ে উচ্ছ্বাসের ছবি। সেলিব্রেশনে মেতেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। জানা গিয়েছে, বিহারে দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। গত বারের চেয়ে এবার আরজেডির শক্তি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। এদিন সন্ধেয় নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    মোদি-শাহ জুটি

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বিজেপির হয়ে বাজিমাত করেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জুটি। বিজেপির এই দুই সৈনিক যেসব জায়গায়ই প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেই পদ্মের রমরমা। এঁদের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত (Bihar Assembly Election 2025) দিয়েছেন নীতীশের দলের নেতা-কর্মীরা। সব মিলিয়ে বিহার ফের এনডিএর (NDA) দখলে।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহারে পড়ল ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে এনডিএ, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    Bihar Assembly Election 2025: বিহারে পড়ল ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে এনডিএ, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে শেষ হল বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (Bihar Assembly Election 2025) পর্ব। ২৪৩টি আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভার ১২১টিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। দুপুর ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল (First Phase) ৬০.১৩ শতাংশ।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা (Bihar Assembly Election 2025)

    এদিন মোটের ওপর শান্তিতেই নির্বাচন হলেও, তাল কাটল দুপুরের দিকে। বিহারের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লখীসরাই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিজয়কুমার সিনহার কনভয়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তিনি যখন নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি বুথে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর কনভয়ে থাকা গাড়িগুলি লক্ষ্য করে পাথর, গোবর এবং হাওয়াই চপ্পল ছোড়া হয়। যদিও নিরাপদ এবং সুস্থই রয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে আরজেডির দিকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে লালু প্রসাদ যাদবের দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা যায়, কয়েকজন উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে ঘিরে ধরে ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এরা সব আরজেডির গুন্ডা। ওরা জানে এনডিএ ক্ষমতায় আসছে। তাই গুন্ডামি করছে।”

    পুলিশকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ কমিশনের

    কনভয়ে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘বুলডোজার অ্যাকশন’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিজয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে ধর্নায় বসবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিরস্ত করে।উপমুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলার খবর পেয়েই সক্রিয় হয়ে ওঠে নির্বাচন কমিশন। দেশের (Bihar Assembly Election 2025) মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বিহার পুলিশের ডিজিকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। কমিশন সাফ জানিয়ে দেয়, কাউকে আইন হাতে তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনের পর যারপরনাই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “বিহারে গণতন্ত্রের বৃহৎ উৎসবে মানুষের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা ইঙ্গিত করছে যে, বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।” প্রসঙ্গত, বিহার বিধানসভার নির্বাচন হবে দু’দফায়। এদিন হয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন (First Phase)। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে আগামী মঙ্গলবার। ফল গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Election 2025)।

  • Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন, ভোটারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Bihar Assembly Election 2025: বিহারে চলছে প্রথম দফার নির্বাচন, ভোটারদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’টি দফায় হবে বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Election 2025)। প্রথম দফার (First Phase) ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে। এদিন ভোটগ্রহণ চলছে রাজ্যের ১৮টি জেলার ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। কোনও কোনও জায়গায় অবশ্য বিকেল ৫টায়ই শেষ হয়ে যাবে ভোটগ্রহণ। এদিন যে জেলাগুলিতে ভোটগ্রহণ চলছে, সেগুলি হল পাটনা, দ্বারভাঙা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। এদিন ভোট চলছে ১২১টি আসনে। ইভিএমে ভাগ্য বন্দি হবে ১ হাজার ৩১৪ জন প্রার্থীর। মূল লড়াই এনডিএ এবং বিজেপি বিরোধী মহাগঠবন্ধনের মধ্যে।

    ভাগ্য পরীক্ষায় যাঁরা (Bihar Assembly Election 2025)

    এদিন যেসব উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। তিনি লড়ছেন রাঘোপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। ময়দানে রয়েছেন লালুপ্রসাদের ‘বিদ্রোহী’ জ্যেষ্ঠপুত্র তথা জনশক্তি জনতা দল সুপ্রিমো তেজপ্রতাপ যাদবও। তাঁর কেন্দ্র মহুয়া। বিহারের দুই বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপির সম্রাট চৌধুরী লড়ছেন তারাপুরে, আর বিজয়কুমার সিনহা প্রার্থী হয়েছেন লখীসরাইয়ে। ভোজপুরী গায়িকা মৈথিলী ঠাকুরের ভাগ্যও নির্ধারণ হবে আজ। পদ্ম চিহ্নে তিনি প্রার্থী হয়েছেন আলিনগর কেন্দ্রে। ভোজপুরী গায়ক তথা অভিনেতা আরজেডির প্রার্থী খেসারিলাল যাদব লড়ছেন ছাপরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এদিন ভাগ্যপরীক্ষা হবে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নয়া দল জন সুরাজ পার্টির কয়েকজন প্রার্থীরও (Bihar Assembly Election 2025)।

    প্রধানমন্ত্রীর বার্তা

    ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই ভোটারদের পূর্ণ উদ্যোমে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দিতে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, “গণতন্ত্রের উৎসব আজ বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা পূর্ণ উদ্যমে ভোট দিন।” ওই পোস্টেই বিহারের নয়া ভোটারদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “মনে রাখবেন, আগে ভোট, পরে আহার-বিশ্রাম।” মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবও ভোটদানের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আপনার ভোট বিহারের উন্নতির পথ প্রশস্ত করবে। আগে ভোট। অন্য কোনও কাজ কিছু সময় পরেও করা যেতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে বিহারে ভোটার তালিকার এসআইআর হয়েছে এবার। প্রথম দফায় ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখেরও বেশি। দ্বিতীয় তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে ১১ নভেম্বর (First Phase)। সেদিন ভোট হবে রাজ্যের ১২২টি আসনে। ভোট গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Election 2025)।

  • Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    Bihar Assembly Election: নির্বাচনের আগে ধাক্কা, দুর্নীতি মামলায় লালু-রাবড়ি-তেজস্বীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই বিহার বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। তার আগে বড় রাজনৈতিক ধাক্কা খেল রাজ্যের আরজেডি (RJD) নেতৃত্ব। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ‘ল্যান্ড ফর জবস’ ও ‘আইআরসিটিসি দুর্নীতি’ মামলায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিহার নির্বাচনের আগে লালু পরিবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও দুর্বল হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    ‘ল্যান্ড ফর জবস’ মামলায় চার্জ গঠন

    সিবিআই-এর অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকার সময় লালু প্রসাদ যাদব গ্রুপ-ডি পদের চাকরির বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁদের জমি বা সম্পত্তি খুব কম দামে নিজের পরিবারের নামে নেন। এই মামলায় ২০২২ সালের মে মাসে সিবিআই চার্জশিট দাখিল করে, যেখানে লালু যাদব, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদব, মিসা ভারতীসহ মোট ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তদন্তে দাবি করা হয়েছে, পাটনা ও তার আশপাশের বেশ কিছু জমি লালু পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৩(২) ও ১৩(১)(ডি) ধারায় চার্জ গঠন করেছে। শেষ দু’টি ধারা শুধুমাত্র লালু যাদবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এদিন আদালতে লালু, রাবড়ি ও তেজস্বী- তিনজনেই জানিয়েছেন তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। রাবড়ি দেবী বলেন, “এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা।”

    আইআরসিটিসি দুর্নীতি মামলা

    এই মামলাটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি হোটেল রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি প্রদান সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দু’টি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বিজয় ও বিনয় কোচারের মালিকানাধীন সুজাতা হোটেলস প্রাইভেট লিমিটেড-কে বেআইনিভাবে দেওয়া হয়েছিল। মামলায় মোট ১৪ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। আদালত ২৯ মে মামলার শুনানি শেষ করেছিল, সেই থেকে রায় সংরক্ষণ করে, এবং পরে ২৪ সেপ্টেম্বর বিচারক অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সিবিআই ২০১৭ সালে লালু যাদব এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই দিল্লির আদালতকে বলেছিল যে সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) দিল্লিতে পৌঁছে সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে যান লালু প্রসাদ যাদব। অসুস্থতার কারণে তিনি হুইলচেয়ারে করে আদালতে আসেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রেমচাঁদ গুপ্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, এই মামলায় একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় লালু পরিবারের প্রত্যক্ষ আর্থিক সুবিধা পেয়েছে, যদিও ঘুষের সরাসরি প্রমাণ আপাতত পাওয়া যায়নি। বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লালু পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আরজেডি-র ভাবমূর্তিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

  • EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা-কালোর যুগ শেষ। এবার থেকে নির্বাচনের সময়ে ইভিএমে (EVM) প্রত্যেক প্রার্থীর রঙিন ছবি থাকবে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ওই সময় থেকেই পরিবর্তন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। এবার থেকে শুধুমাত্র দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নয়, থাকবে প্রার্থীদের ছবিও। কাকে ভোট দিচ্ছেন, প্রার্থীর ছবি দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন ভোটাররা। ছবির স্থানের চার ভাগের তিন ভাগে থাকবে প্রার্থীর মুখ। সিরিয়াল নম্বরও আরও স্পষ্টভাবে লেখা হবে।

    প্রার্থীর রঙিন ছবি, ক্রমিক নম্বর বড় হরফে

    বুধবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোট সাত দফা নতুন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ রয়েছে। কমিশনের (Election Commission of India) বক্তব্য ভোটারদের সুবিধার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত দিন ইভিএমে (EVM) প্রার্থীদের সাদাকালো ছবি থাকত। এখন থেকে প্রার্থীদের ছবি হবে রঙিন। ছবিতে প্রার্থীর মুখ আগের তুলনায় আরও বেশি জায়গা জুড়ে থাকবে, যাতে তাঁকে সহজে চেনা যায়। কমিশন আরও জানিয়েছে, এ বার থেকে ইভিএমে প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বর আরও বড় এবং স্পষ্ট হবে। প্রত্যেক প্রার্থী এবং ‘নোটা’ -র নম্বর বড় হরফে এবং মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে, যাতে ভোটাররা সহজে দেখতে পান। এ ছাড়া সব প্রার্থীর নাম একই ধরনের অক্ষরে লেখা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। তাঁদের নাম একই হরফে, একই মাপে ছাপানো হবে। ছাপানো হরফে প্রার্থীদের কারও নাম ছোট, কারও বড়— এমন হবে না। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ জিএসএম মাপের ইভিএম পেপারে বোল্ড অক্ষরে এবং ৩০ ফন্ট সাইজে সিরিয়াল নম্বর ও প্রার্থীর নাম থাকবে।

    ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত

    এ ছাড়া ইভিএমের (EVM) ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ছাপানো হবে ভাল মানের (৭০ জিএসএম) কাগজে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করা হবে। একটি ব্যালট পেপারে ১৫ জনের বেশি প্রার্থীর নাম থাকবে না। সরকারি বা আধা-সরকারি প্রেসেই ইভিএম ব্যালট পেপার ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের গাইডলাইনের ১৯৬১-এর ৪৯খ ধারা অনুযায়ী, এই সংশোধনগুলি করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, সংশোধিত নিয়ম অনুসারে, ব্যালটকে আরও ভোটার-বান্ধব করে তুলতে এবং ভোটকেন্দ্রে বিভ্রান্তি কমাতে নকশা এবং মুদ্রণ উভয়ই পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে ভোটারদের আস্থা জোরদার করা যায়।

    ভোটারদের সুবিধার্থে নয়া পদ্ধতি

    ইভিএম (EVM) হলো নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। ভোটাররা কেবল একটি বোতাম টিপে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন এবং এই ভোট সরাসরি মেশিনে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো ভারতের সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। ভোটারদের স্বার্থে এবার সেখানে কিছু পরিবর্তন করা হল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে। আগামী বছরে ভোট রয়েছে বাংলাতেও। আগামী দিনে বাংলা-সহ অন্য রাজ্যের ভোটেও এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। ইতিমধ্যেই সব রাজ‍্যগুলিকে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কমিশনের থেকে।

LinkedIn
Share