Tag: bihar elections

  • Bihar Polls: ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, বিহারে শুরু দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    Bihar Polls: ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর, বিহারে শুরু দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Polls) দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার ভোটগ্রহণ শুরু হল মঙ্গলবার সকালে। মোট ১২২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ, যার মধ্যে রয়েছে মিথিলা, কোসি অঞ্চল, পশ্চিম বিহার, মগধ, আঙ্গিকা ও সীমাঞ্চল এলাকার বিধানসভা কেন্দ্রগুলি। তালিকায় রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিম চম্পারন, সীতামারি, মধুবনী, কিষানগঞ্জের মতো নেপাল সীমান্তবর্তী বিধানসভা কেন্দ্রগুলিও। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৩০২ জন। ভোটার সংখ্যা সাড়ে তিন কোটিরও বেশি। সোমবার দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের পর, রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি বুথে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী। সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে সাধারণ ভোটারদের লাইন দেখা গিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির বার্তা

    দ্বিতীয় দফার ভোটের (Bihar Polls) সকালে বিহারবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আমি সকল ভোটারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ভোটদানের নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ নতুন ভোটারদের উদ্দেশেও বিশেষ বার্তা দেন তিনি। তরুণদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘যারা প্রথম বারের মতো ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন নিজেরা ভোট দেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও ভোটদানে অনুপ্রাণিত করেন।’ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলাকালীন, জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নেতা উমেশ সিং কুশওয়া (Umesh Singh Kushwaha) মঙ্গলবার রাজ্যের ভোটারদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন বেশি সংখ্যায় ভোট দিতে। সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI)-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন —“আমি ১২২টি কেন্দ্রের সমস্ত ভোটারদের অনুরোধ করছি, ন্যায় ও উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিন। বিহারের ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’-কে আরও গতি দিন এবং আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন।”

    নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলছে ভোট গ্রহণ

    দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য বিহারে (Bihar Polls) চার লক্ষেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের ভোটে মোট ৮৪৯১টি ভোটগ্রহণকেন্দ্রকে বিহার পুলিশ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে। ওই ভোটগ্রহণকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিহার সীমানা লাগোয়া জেলাগুলিতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশও। বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে ঝাড়খণ্ড সীমানায় অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিহার সীমানা লাগোয়া ১০ জেলায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ ৪৩টি চেকপোস্ট বসিয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। নেপাল, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া ২০ জেলার এই ভোটপর্বে প্রায় ১,৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ১০০ কোম্পানি বিহার স্পেশাল আর্মড ফোর্স এবং প্রায় ৪.৫ লক্ষ পুলিশ ও সরকারি কর্মী মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়াও এটিএস, এসটিএফ এবং কুইক রেসপন্স টিমগুলিও সক্রিয় থাকবে।

    সীমাঞ্চলে ভোট বেশি

    সীমান্ত সুরক্ষায় এসএসবি (SSB)-এর ২১০ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে এবং আরও ২৩ কোম্পানি ভোট-পরবর্তী ইভিএম নিরাপত্তা রক্ষায় থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। মডেল কোড চালু হওয়ার পর থেকে এসএসবি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রায় ৭.৩৪ কোটি টাকার মাদক, নগদ, রুপো ও অন্যান্য মূল্যবান দ্রব্য। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। প্রায় ৩.৭ কোটি ভোটার রাজ্যের ৪৫,৩৯৯টি বুথে ভোট দেবেন। ভোটগণনা হবে আগামী ১৪ নভেম্বর। অতীতে সীমাঞ্চল অঞ্চলে সবসময়ই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা গেছে। এবারও রাজনৈতিক মহলের নজর, সেই প্রবণতা কি বজায় থাকবে, নাকি বদল আসবে। গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে ৬৪.৬৬ শতাংশ ভোটদান হয়, যা ২০২০ সালের নির্বাচনের (৫৭.২৯%) তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। প্রথম দফায় ১৮ জেলায় ১২১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।

    কার, কত প্রার্থী

     এই দফায় বিজেপি ৫৩টি, জেডিইউ ৪৪টি, এলজেপি (আরভি) ১৫টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা ৬টি এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অন্যদিকে মহাগঠবন্ধনের মধ্যে আরজেডি ৭১টি, কংগ্রেস ৩৭টি, ভিআইপি ৮টি, সিপিআই(এমএল) ৬টি, সিপিআই ৪টি এবং সিপিএম ১টি আসনে লড়ছে। মোট ৩.৭ কোটি ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১.৯৫ কোটি, মহিলা ভোটার ১.৭৫ কোটি এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৪৩ জন। প্রার্থীদের মধ্যে ৪৩ শতাংশই উচ্চবিত্ত শ্রেণির, মোট ৫৬২ জন প্রার্থীর সম্পত্তি এক কোটি টাকার বেশি। সর্বাধিক সম্পত্তির মালিক ভিআইপি প্রার্থী রণকৌশল প্রতাপ সিং (লৌরিয়া)- ৩৬৮ কোটি টাকার সম্পত্তি ঘোষণা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব (Bijendra Prasad Yadav) — জেডিইউ-র বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্য মন্ত্রিসভার সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য। তিনি অষ্টমবারের মতো সুপৌল আসনটি ধরে রাখার লড়াইয়ে নেমেছেন।

    বিহারে ‘পিঙ্ক বুথ’

    বিহারের (Bihar Polls) কাটিহার কেন্দ্রে তৈরি হয়েছে পিঙ্ক বুথ। মূলত নির্বাচনী ক্ষেত্রেও নারীশক্তি তুলে ধরতে এই উদ্য়োগ নিয়ে থাকে কমিশন। এই বুথের কাজে রয়েছে শুধুই মেয়েদের অবদান। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি মহিলা ভোটকেন্দ্র এবং ২৩টি মডেল ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। জেলার সমস্ত ভোটকেন্দ্রে লাইভ ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

  • Bihar Polls: মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ, ৭২ ঘণ্টা বন্ধ ভারত-নেপাল সীমান্ত

    Bihar Polls: মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ, ৭২ ঘণ্টা বন্ধ ভারত-নেপাল সীমান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Polls) দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফার প্রচার অভিযান শেষ হয়েছে রবিবার। দ্বিতীয় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর, মঙ্গলবার ২০টি জেলার ১২২টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর। তার আগে শাসক ও বিরোধী জোটের নির্বাচনী প্রচারে জমজমাট মগধভূম। এই পর্বে যে যে এলাকায় ভোট হতে চলেছে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সীমাঞ্চল।

    কোথায় কতজন ভোটার

    এসআইআর-এর পর এই প্রথম ভোট হচ্ছে বিহারে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, মোট ১,৩০২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। যার মধ্যে ১,১৬৫ জন পুরুষ, ১৩৬ জন মহিলা এবং ১ জন তৃতীয় লিঙ্গ প্রার্থী আছেন। মোট ভোটার ৩.৭০ কোটি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১.৯৫ কোটি। মহিলা ভোটার ১.৭৪ কোটি। নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে। বলে রাখা ভালো, ২০২০ সালে এই ১২২ আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৪২ আসনে। অন্যদিকে, লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি পেয়েছিল মোট ৩৩টি আসন। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জয় পেয়েছিল ২০ আসনে। আর কংগ্রেস দখল করে ১১টি আসন। বামেদের দখলে যায় ৫ আসন।

    কোথায় কার শক্তি বেশি

    দ্বিতীয় ধাপে বিহারের যে ১২২ টি আসনে ভোট হচ্ছে, এরমধ্যে বেশ কিছু জেলা মহাজোটের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। মগধ অঞ্চলে মহাগঠবন্ধনের বিশেষ প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গয়া, ঔরঙ্গাবাদ, নওয়াদা, জেহানাবাদে এবং আরওয়াল জেলা। তবে এই অঞ্চলে কংগ্রেসের তেমন প্রভাব নেই এবং তাদের মূলত মিত্রদের উপর নির্ভর করতে হয়। অন্যদিকে, তিরহুত, সরণ এবং এবং মিথিলাঞ্চলের একটা অংশে শক্তিশালী বিজেপি। এরমধ্যে রয়েছে পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, শেওহর, সীতামারহি এবং সরণ জেলা। এদিকে, জেডিইউ ভাগলপুর এলাকায় ক্রমশ তাদের শক্তি হারাচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে আরজেডি। লালু প্রসাদ যাদবের দল লড়বে ৭০ আসনে। অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৩৭ জন। ভিআইপি ১০ আসনে। এনডিএর সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির ৫৩ আসনে লড়ছে এই পর্বে। ৪৪ আসনে লড়ছে নীতীশের দল। চিরাগ পাসওয়ানের দল লড়ছে ১৫ আসনে। হাম প্রার্থী দিয়েছে ৬ আসনে। এছাড়া প্রায় সব আসনে প্রার্থী রয়েছে জন সুরাজ পার্টি।

    প্রতিরক্ষা করিডর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি

    প্রচারের শেষ দিনে এনডিএ ও মহাগঠবন্ধন উভয় শিবিরের তরফেও প্রচার ছিল তুঙ্গে। এনডিএ-র পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং শিবরাজ সিং চৌহান একাধিক জনসভা করেন। জনতা দল (ইউ) সভাপতি ও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচার চালান। অন্যদিকে, মহাগঠবন্ধনের হয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদব একাধিক জনসভা করেন এবং ভোটারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। প্রচারের পুরো সময়জুড়ে এনডিএ জোট বিরোধীদের আক্রমণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পূর্ববর্তী আরজেডি-কংগ্রেস সরকারের কর্মদক্ষতা নিয়ে। সাসারামে এক বিশাল সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জোরালো জাতীয়তাবাদী সুরে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, “এই শক্তিপীঠের পবিত্র ভূমি থেকে বলছি, যদি সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়, আমরা গোলা-বারুদে জবাব দেব।” তিনি আরও ঘোষণা করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারে একটি প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর এবং অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করবেন। পাটনায় উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানান, এনডিএ একতাবদ্ধ রয়েছে এবং ক্ষমতায় ফিরলে নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এনডিএ শিবির থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং গয়া ও কৈমুরে একাধিক সভায় বলেন, “আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, উন্নত বিহার গড়বেন নাকি ‘জঙ্গলরাজ’-এ ফিরবেন। ভারত তখনই এগোবে যখন বিহার এগোবে।” তিনি প্রতিরক্ষা করিডর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন, যা স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থানে গতি আনবে।

    নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত পারাপার বন্ধ

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে নিরাপত্তার কারণে ভারত-নেপাল সীমান্তের একাধিক প্রবেশপথ অস্থায়ীভাবে ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহোত্তরী জেলার সহকারী প্রধান জেলা কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পোখরেল জানান, “বিহারে ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মহোত্তরী জেলার সব সীমান্ত পয়েন্ট সিল করে দেওয়া হয়েছে।” বিহারে চূড়ান্ত পর্বে যে এলাকাগুলিতে ভোট হচ্ছে সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল হল সীমাঞ্চল। বিহারের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ এই এলাকার বাসিন্দা। পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ এবং কাটিহার-এই চারটি জেলার ২৪টি আসনে বড় লড়াইয়ের সম্মুখীন হবে শাসকদল এবং বিরোধী শিবির। বিহারের ১৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার বড় অংশ এই এলাকায় বসবাস করেন। এই সীমাঞ্চলে এবার কেমন ভোট হয় নজর থাকবে সব দলের।

  • Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় ১৮ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (Bihar Assembly Polls)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এই তালিকা প্রকাশ করেছে পদ্মশিবির (BJP)। এনডিএ জোটের শরিক হিসেবে বিজেপির প্রার্থী দেওয়ার কথা ১০১টি আসনে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪২টি। তার মধ্যে ১০১টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা পদ্ম শিবিবের। প্রথম দফায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি, সেখানে নাম ছিল ৭১ জনের। পরের দফায় ঘোষণা করা হয় ১২ প্রার্থীর নাম। তৃতীয় দফায় প্রকাশ করা হল ১৮ জনের নাম।

    বিজেপির প্রার্থী তালিকা (Bihar Assembly Polls)

    জানা গিয়েছে, বিজেপি নরকাটিয়াগঞ্জ আসনে প্রার্থী করেছে সঞ্জয় পাণ্ডেকে। চনপাতিয়ায় লড়বেন উমাকান্ত সিং। আর চিরাইয়া কেন্দ্রে লড়বেন লালবাবু প্রসাদ গুপ্তা। কোচাধামান আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বীণা দেবীকে।  রাঘোপুরে লড়বেন সতীশ কুমার যাদব। আর মুরারি পাশোয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পিরপিয়ান্তি কেন্দ্র থেকে। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা পাঁচবারের বিধায়ক ভাগীরথী দেবীকে এবার আর পশ্চিম চম্পারণ জেলার রামনগর আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে না। আখ শিল্পমন্ত্রী কৃষ্ণনন্দন পাশোয়ানকে আবারও হরসিদ্ধি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকগায়ক বিনয় বিহারীও ফের লৌরিয়া থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। মোহানিয়ার বিধায়ক সঙ্গীতা কুমারী এবং ভভুয়ার বিধায়ক ভারত বিন্দ, যিনি রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও ফের নিজদের আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে। এদিকে, উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাও তাদের বরাদ্দ আসনগুলির প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। দলীয় সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহার স্ত্রী স্নেহলতা রোহতাস বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন (BJP)।

    বেহাল দশা ইন্ডি জোটের

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls) হবে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ১১ তারিখে। এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে লড়াইয়ের ময়দানে, তখন ইন্ডি জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের ছন্নছাড়া দশা। ইন্ডি জোটে এখনও আসন বণ্টনই হয়নি, অথচ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেটি আবার দলের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে, যদিও ইন্ডিয়া ব্লকের ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা এখনও অমীমাংসিত।

    তল খুঁজছে কংগ্রেস

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ঔরঙ্গাবাদ থেকে আনন্দ শঙ্কর সিং, রাজাপাকার থেকে প্রতিমা দাস, বচ্ছাওয়াড়া থেকে শিব প্রকাশ গরিব দাস এবং নালন্দা থেকে কৌশলেন্দ্র কুমার (ছোটে মুখিয়া)-কে প্রার্থী করেছে। গোপালগঞ্জ থেকে হাত চিহ্নে লড়বেন ওম প্রকাশ গর্গ, অমরপুর থেকে জিতেন্দ্র সিং, বেগুসরাই থেকে অমিতা ভূষণ, সুলতানগঞ্জ থেকে লালন কুমার, কুটুম্বা থেকে রাজেশ কুমার, বরসালীগঞ্জ থেকে শশী শেখর, বারবিঘা থেকে ত্রিশূলধারী সিং এবং মুজাফফরপুর থেকে বিজেন্দ্র চৌধুরী (Bihar Assembly Polls)। গোবিন্দগঞ্জ থেকে লড়ছেন শশী ভূষণ রাই, বিক্রম থেকে অনিল কুমার এবং রোসেরা আসন থেকে বিকে রবি। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আরও কয়েকটি নাম ঘোষণা করা হবে (BJP)। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি মোট ৪৩টি আসনের জন্য প্রার্থীর অনুমোদন দিয়েছে। আজয় মাকেনের নেতৃত্বাধীন উপ-কমিটি বুধবার আরও আটজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে বলে খবর।

    ফিল্ডে এনডিএ

    ইন্ডি জোটের যখন বেহাল দশা, তখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ যথারীতি ফিল্ডে নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে ১০১টি আসনে লড়বে বিজেপি। বাকি আসনে লড়বে এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল। বুধবার রাতেই পদ্ম শিবির তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল দ্বিতীয় দফার তালিকা। সেই তালিকায় ছিল ১২ জন প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে রয়েছেন আলিনগর আসনে পদ্ম-প্রার্থী সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর এবং বক্সার থেকে প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্র। তিন দফায় তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি তার ভাগের ১০১টি আসনের সব কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে ফেলল (Bihar Assembly Polls)।

    তালিকা প্রকাশ করল জেডিইউ

    এনডিএ-র শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রথম দফার তালিকায় ৫৭ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। উমেশ কুশওহা ও বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদবের মতো প্রবীণ নেতারা ইতিমধ্যেই মহনার ও সুপৌল আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরাইরঞ্জন আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিজয় কুমার চৌধুরীর (BJP)। প্রসঙ্গত, এনডিএর আসন রফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিজেপি এবং জেডিইউ প্রত্যেকে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (আরভি) ২৯টি আসনে এবং এইচএএম এবং আরএলএম ৬টি করে আসনে লড়বে (Bihar Assembly Polls)।

  • Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Poll Battle) প্রার্থী হচ্ছেন না ভোট কুশলী তথা রাজনীতিবিদ প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। এই নির্বাচন হবে ৬ ও ১১ নভেম্বর, দু’দফায়। এই নির্বাচনেই প্রার্থী হচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের বিভিন্ন আসনে লড়ছে পিকের নবগঠিত ‘জন সুরাজ পার্টি’। তবে এই দলের মাথা পিকেই লড়ছেন না।

    পিকের বক্তব্য (Prashant Kishore)

    তিনি জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ের পরিবর্তে সাংগঠনিক কাজ ও অন্যান্য প্রার্থীর জন্য প্রচারে মনোযোগ দিতে পারেন। এর আগে পিকে যখন রাঘোপুরে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ‘আমেঠির মতো’ পরাজয়ের হুমকি দিয়েছিলেন, তখন থেকেই জল্পনা তীব্র হয়েছিল যে এবার কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন পিকে স্বযং। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিলেন ভোটকুশলী। উল্লেখ্য, এই রাঘোপুর তেজস্বী যাদবের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্রে পিকে এবার চঞ্চল সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন।

    দু’টি তালিকা প্রকাশ

    জন সুরাজ পার্টি এখন পর্যন্ত দু’টি তালিকা প্রকাশ করেছে। মোট ১১৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সমাজকর্মী-সহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন। পিকে ঘোষণা করেছেন (Prashant Kishore), বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৫০টিতে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়,  “এর কম হলে সেটি হবে ব্যক্তিগত পরাজয়।” পিকে বলেন, “জন সুরাজ পার্টি শুধুমাত্র নির্বাচনী সাফল্যের জন্য নয়, বরং স্বচ্ছ রাজনীতির একটি আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে।” বিহার ভোটের ফল নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। বলেন, “আসন বণ্টন নিয়ে বিবাদের কারণে বর্তমান এনডিএ সরকার নিশ্চিতভাবেই পতনের পথে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না।”

    এনডিএর পরাজয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারকে দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র আক্রমণ শানান (Bihar Poll Battle)। পিকের অঙ্গীকার, “যদি জন সুরাজ পার্টি সরকার গঠন করে, তাহলে তারা রাজ্যের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত ১০০ জন নেতা ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে (Prashant Kishore)।”

     

  • Bihar Polls: বিহারে আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ, হতাশ কংগ্রেস

    Bihar Polls: বিহারে আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ, হতাশ কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Polls) আসন বিলি নিয়ে রফায় সিলমোহর দিল এনডিএ (NDA)। আসন বিলির বিস্তারিত তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আসন রফা চূড়ান্ত (Bihar Polls)

    এই চুক্তি অনুযায়ী, বিজেপি এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। উপেন্দ্র কুশওহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) এই দু’টি দলকে দেওয়া হয়েছে ছ’টি করে আসন। আর চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) পাবে ২৯টি আসন। উল্লেখ্য, ধর্মেন্দ্র প্রধান বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।

    বৈঠকে বিজেপি

    এদিকে, রবিবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি৷ সূত্রের খবর, নির্বাচনী রণকৌশল এবং প্রার্থী তালিকা তৈরির বিষয়ে আলোচনা করতে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। প্রতিটি আসনেই শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করাই ছিল এদিনের বৈঠকের মূল লক্ষ্য৷ প্রসঙ্গত, শনিবারই বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএর শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ, এইচএএম(এম) প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি, বিহার বিজেপির ইন-চার্জ বিনোদ তাওরে, বিহার বিজেপির প্রধান দিলীপ জয়সওয়াল এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী (Bihar Polls)।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও, আসন বণ্টন নিয়ে এনডিএ শরিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। অবশ্য শনিবারই সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন এনডিএর শরিক রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা সুপ্রিমো উপেন্দ্র কুশওয়াহা। অন্যদিকে, এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছে, তখন ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে আসন বিলি নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় যারপরনাই হতাশ কংগ্রেস। বিহার নির্বাচনে এককভাবে (NDA) লড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর, পরের দফার ভোট ১১ নভেম্বর। গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Polls)।

LinkedIn
Share