Tag: Bihar News

Bihar News

  • PM Modi: ১,৭৪৯ কোটি টাকায় নির্মিত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: ১,৭৪৯ কোটি টাকায় নির্মিত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বিহারের রাজগিরে উদ্বোধন করলেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের (New Nalanda University Campus)। নতুন এই ক্যাম্পাসটির উদ্বোধন হল ঠিক প্রাচীন নালন্দার ধ্বংসাবশেষের কাছেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনের আগেই প্রাচীন নালন্দার ধ্বংসাবশেষের স্থানও পরিদর্শন করেন। পরে তা সমাজ মাধ্যমে পোস্টও করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন নতুন ক্যাম্পাসে একটি ফলকও উন্মোচন করেন।

    মোট খরচ ১,৭৪৯ কোটি টাকা

    প্রসঙ্গত, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস (New Nalanda University Campus) তৈরিতে খরচ হয়েছে মোট ১,৭৪৯ কোটি টাকা। নতুন ক্যাম্পাসে ৪০টি শ্রেণি কক্ষ রয়েছে। এগুলিতে মোট ১,৯০০ পড়ুয়া বসে পড়াশোনা করতে পারবে। নতুন ক্যাম্পাসে দুটি অডিটোরিয়াম রয়েছে। প্রত্যেকটি অডিটোরিয়ামে ৩০০ আসন রয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে একটি ছাত্রাবাস। যেখানে সাড়ে পাঁচশোর ওপর পড়ুয়া থাকতে পারবে। এর পাশাপাশি সেখানে একটি অ্যাম্পিথিয়েটারও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে ২,০০০ জন বসতে পারবে। ক্যাম্পাসে রয়েছে বিভিন্ন স্পোর্টস কমপ্লেক্সও।

    পঞ্চম শতাব্দীতে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন নালন্দা

    প্রসঙ্গত, প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (New Nalanda University Campus) স্থাপিত হয়েছিল পঞ্চম শতাব্দীতে। দেশ-বিদেশের বহু পণ্ডিত এবং ছাত্রদের জ্ঞান চর্চার পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল নালন্দা। পরবর্তীকালে দ্বাদশ শতাব্দীতে ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খিলজির আক্রমণে ধ্বংস হয় প্রাচীন ভারতের এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্সফোর্ড প্রতিষ্ঠার ৫০০ বছর আগে ভারতে জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল নালন্দা। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ নালন্দাকে হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে।

    নতুন ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে 

    ২০১৪ সালে মোদি সরকার (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পরেই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। বুধবার নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন বহু বিশিষ্ট মানুষ। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সহ আরও ১৭ টি দেশের প্রতিনিধি। ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের (New Nalanda University Campus) মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে সোলার প্ল্যানেট। এর পাশাপাশি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টও বসানো হয়েছে। ওয়াটার রিসাইকেল প্লান্টও তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব ভাবেই গড়ে তোলা হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prashant Kishor: নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হল পিকে-র দল, ৪০ আসনেই প্রার্থী দেবে বিহারে

    Prashant Kishor: নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হল পিকে-র দল, ৪০ আসনেই প্রার্থী দেবে বিহারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দল ‘জন সূরজ পার্টি’কে নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত করলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। জানা গিয়েছে, বিহারে ৪০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে পিকের দল। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ‘জন সূরজ পার্টি’কে আপেল প্রতীক প্রদান করা হয়েছে। আপেল সাধারণভাবে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাঁদেরই দেওয়া হয়। তবে পিকে-র দলকে কেন আপেল প্রতীক দেওয়া হল এব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। সারা দেশে নথিভুক্ত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিরই প্রতীক সামনে এনেছে কমিশন। এই তালিকা ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে বিহারেও। যদিও তাঁর নিজের দল গঠনের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)।

    ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতি

    জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতিকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথি পাঠিয়ে দিয়েছে। ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতির ঠিকানা দেওয়া রয়েছে দক্ষিণেশ্বর বিল্ডিং, ১০ হেলার রোড, নয়াদিল্লি। তবে ‘জন সূরজ পার্টি’র সভাপতির নাম এখনও সামনে আসেনি। প্রসঙ্গত, বিহারের রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোর নীতীশ-বিরোধী বলেই পরিচিত। সম্প্রতি, নীতীশ ফিরে গিয়েছেন এনডিএ শিবিরে। সেই সময়ই নীতীশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন পিকে। তিনি বলেন, “তিনি (নীতীশ কুমার) তাঁর জীবনের শেষ ইনিংস খেলছেন।” পিকে-র আরও দাবি, “নীতীশ কুমার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ২০টির বেশি আসন পাবেন না, সেটা যে জোটের সঙ্গেই লড়াই করুন।” তাঁর এই ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হবে না দাবি জানিয়ে পিকে-র বিস্ফোরক মন্তব্য, “যদিও ২০টির বেশি আসন পান, তাহলে আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব।”  রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নীতীশকে টেক্কা দিতেই নয়া পার্টি স্থাপন করলেন পিকে।

    পশ্চিমবঙ্গে ভোটের ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী

    সম্প্রতি বাংলাতে লোকসভার ফলাফল নিয়ে পূর্বাভাস দেন পিকে। গত মার্চ মাসে হায়দরাবাদে একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘‘বাংলায় লোকসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে আমি এখনই কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাই না। তবে বেশিরভাগ লোক যা ভাবছে, তার বিপরীতে গিয়ে আমি এটা বলতে চাই যে বিজেপি খুব সম্ভাবত তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ে ভালো করবে। বাংলা থেকে বিজেপির ফলাফল আশ্চর্যজনক ভাবে ভালো হবে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Open Classroom at Ganga Ghat: গঙ্গার ঘাটে মুক্ত পাঠশালা, বিনামূল্যে প্রস্তুতি চলছে চাকরির জন্য  

    Open Classroom at Ganga Ghat: গঙ্গার ঘাটে মুক্ত পাঠশালা, বিনামূল্যে প্রস্তুতি চলছে চাকরির জন্য  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে, বিহারের (Bihar) রাজধানী পাটনায় (Patna) গঙ্গার ঘাটে (Ganga Ghat) কয়েক মাস ধরে শনি ও রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সমাগম ঘটছে পড়ুয়াদের। ঘাটের সিঁড়িতে একরকম ঠাসাঠাসি করে বসেই চলছে ক্লাস (Open classroom)। কারুর কোলে খাতা তো কারুর  চাতালের উপর।  একটানা লিখে যাচ্ছে শয়ে শয়ে ছেলে-মেয়ে।

    গঙ্গার ঘাটে পড়ুয়াদের এই সমাগমের নেপথ্যে রয়েছেন শিক্ষক এস কে ঝা (S K Jha)। নিজের অর্জিত শিক্ষাই অকাতরে বিলিয়ে চলেছেন ৩০ বছরের এই যুবক। আর শুধু নিজে নন, সমমনস্ক জনা তিরিশের একটি দলও জুটিয়ে ফেলেছেন তিনি। সকলে মিলে গঙ্গার ঘাটেই খুলে বসেছেন পাঠশালা।

    অনলাইন শিক্ষার যুগে সেই পাঠশালায় ভিড়ও করছেন শয়ে শয়ে ছেলেমেয়ে। শুধু পাটনা বা বিহার নয়, সীমান্ত লাগোয়া উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড তো বটেই, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি রাজস্থান থেকেও সেই পাঠশালায় নাম লিখিয়েছেন অনেকে। ক্লাস শুরু হয় সকাল ৬টা নাগাদ। কিন্তু ভোর ৪ টেতেও পৌঁছে যান অনেকে। গোল হয়ে বসে চলে গ্রুপ স্টাডি। স্কুল বা কলেজের পড়াশোনা নয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় (Competitive Exams) পাশ করে চাকরি জোটানোর পড়াশোনাই (study for govt jobs) করে তারা। পরস্পরকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার তাগিদ রয়েছে এই পড়ুয়াদের মধ্যে।

    দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা ছেলেমেয়েদেরই এই পাঠশালার কৃতিত্ব দিচ্ছেন শিক্ষক এস কে ঝা। তিনি জানিয়েছেন, ক্লাস করতে যাঁরা আসেন, অধিকাংশই হয় রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (RRB) অথবা স্টাফ সিলেকশন কমিশনে (SSC) চাকরি প্রার্থী (job aspirants)। নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরি (NTPC) পরীক্ষায় প্রথম ধাপ উতরে গিয়েছেন। পরের ধাপের পরীক্ষার কোনও হাল-হদিশ নেই। তাই বলে প্রস্তুতিতেও ফাঁক রাখা যায় না। কিন্তু পয়সা খরচ করে কোচিং নেওয়ার সাধ্য নেই কারও। তাই দূরে হলেও, বিনে পয়সার পাঠশালাতেই ভিড় করেন সকলে।

    শনি-রবি, সপ্তাহে এই দু’দিন ক্লাস বসে। ৩০-৩৫ জনের একটি দল রয়েছে। সপ্তাহভর পরিশ্রম করে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন তাঁরা। ৯০ মিনিটের পরীক্ষা। ১২০টি প্রশ্ন। তা লিখতেই সপ্তাহে দু’দিন ১২০০-১৪০০ ছেলেমেয়ে ভিড় করেন। তাতে পরীক্ষার প্রস্তুতিও যেমন সারা হয়, আবার কোথাও আটকে গেলে জেনে নেওয়া হয় সমাধানও। 

     

LinkedIn
Share