Tag: Bihar Poll

  • Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    Bihar Election: শাহি পরিকল্পনাতেই কিস্তিমাত বিহারে! স্রেফ দাঁড়িয়ে গোল খেলেন বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তা এবং সুশাসনের জেরে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির কুর্সিতে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। তাঁর সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করে (Bihar Election) চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর প্রশ্নাতীত সাংগঠনিক দক্ষতা এবং এনডিএর সুশাসন বিহারে বিজেপির বিপুল জয়ের নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়েছে আগের সব নির্বাচনী ফলের চেয়ে ঢের বেশি। শতাংশের বিচারে এই হার ৯০ এর ওপর। যে কোনও মানদণ্ডেই এটি একটি চমকপ্রদ সাফল্য। তবে বিহারের এই নির্বাচন মোটেই ছিল না নিছক কেক-ওয়াক। নীতীশ কুমার প্রায় দু’দশক ক্ষমতায় থাকার পর আরও একটি মেয়াদের জন্য লড়াই করছিলেন। তাই রাজ্যজুড়ে ছিল প্রবল অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট হাওয়া। এহেন কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্বাচনী লড়াইয়ে এনডিএকে সঠিক পথে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ।

    চাণক্যের প্রস্তুতি (Bihar Election)

    বিহার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার চার–পাঁচ মাস আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন ভারতীয় রাজনীতির চাণক্য অমিত শাহ। তিনি শুধু বিজেপি নেতাদের সঙ্গেই নয়, এনডিএর জোটসঙ্গীদের সঙ্গেও বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেছিলেন। জোট সঙ্গীদের বিশ্বাস এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভিত মজবুত করে তুলতেই ওই বৈঠক করেছিলেন শাহ। তাঁর পদ্ধতিগত সাংগঠনিক দৃষ্টিভঙ্গি এনডিএকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি (আরভি), উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির দলের সঙ্গে। নির্বাচনের ঢের আগেই এই জোট ঠিক করে ফেলেছিল আসনভিত্তিক জাতিগত সমীকরণের কাজ (Amit Shah)।

    ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক

    নির্বাচনের আগে শাহ জেলা পর্যায়ে অন্তত পাঁচটি সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। ক্লাস্টার-লেভেল বৈঠক করেছিলেন আরও পাঁচটি। সব মিলিয়ে তিনি বিহারে জনসভা করেছিলেন ৩৫টি, করেছিলেন একটি রোড-শো-ও। প্রতিটি সফরেই তিনি কোর গ্রুপের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছিলেন, যাতে সার্বিক সমন্বয় ও স্বচ্ছতা বজায় থাকে (Bihar Election)। শাহ বুথ-স্তরের শক্তিশালী কার্যকলাপের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তিনি বারবার বলেন, বুথকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগই ভোট সর্বাধিক করার মূল চাবিকাঠি। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি জোটকে জেডিইউ এবং চিরাগ পাসওয়ানের দলের মধ্যে থাকা প্রাথমিক বিরোধ কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করেছে (Amit Shah)। যদিও শাহ আর বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদে নেই, তবুও দল এখনও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী লড়াইয়ে তাঁর পরামর্শের ওপর নির্ভর করে। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কিংমেকারও আসলে তিনিই।

    এবার মিশন বেঙ্গল!

    এতদসত্ত্বেও এখনও মিশন সম্পূর্ণ হয়নি শাহের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন কেরল ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে আক্রমণাত্মক প্রচারের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন শাহ নিয়ে ফেলেছেন আরও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সেটি হল তৃণমূলের কবল থেকে পশ্চিমবঙ্গকে মুক্ত করা। শাহ যখন দলীয় সভাপতি ছিলেন, তখন ২০১৯ সালে বিজেপি এ রাজ্যে বিজেপি লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ১৮টিতে। ২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়েছিল পাঁচ গুণ। প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলার জঙ্গলরাজ খতম করার অঙ্গীকার করেছেন, তখন আসন্ন লড়াই আরও তীব্র হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Bihar Election)।

    শাহি ভূমিকা

    বিহারে এনডিএকে জেতানোর গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই শাহ টানা ১৯ দিন ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন এ রাজ্যে। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি তৃণমূলস্তরে লড়াইয়ের কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়নও করেন তিনি। যার জেরে বিহারে বিজেপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একক বৃহত্তম দল হিসেবে (Amit Shah)। বিহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ভাবনা ছিল, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে শাহ নির্বাচনের প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক খতিয়ে দেখেন। গ্রহণযোগ্য আসন-বণ্টন নির্ধারণ থেকে শুরু করে নারী শক্তি ও যুব শক্তির মাধ্যমে প্রো-ইনকামবেন্সি ওয়েভ তৈরি করা, প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শাহ।

    বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা

    শাহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমে জানান, পাটনায় টানা তিনদিন থাকার সময় তিনি তাঁর পুরো সময়সূচি খালি রেখে এমন সব বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যাঁরা দলের জয়ের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে আস্তিন গুটোচ্ছিলেন। তাঁর হস্তক্ষেপের জেরেই মাথা তুলতে পারেননি বিদ্রোহীরা। বরং যেসব আসনে বিদ্রোহীরা পথের কাঁটা হতে পারতেন, সেখানে বিজেপি আরও বেশি করে আসন জেতে (Bihar Election)। সেই সময় প্রায় ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী বিদ্রোহ করে দলবিরোধী কাজকর্ম করতে শুরু করেন। শাহ স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের সঙ্গে কৌশল ও রাজনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করেন, এবং শেষমেশ সবাইকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করে বিজেপির ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। এর পুরো ক্রেডিটই প্রাপ্য শাহের (Amit Shah)। বিহারে শাহের টিমের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, “শাহ প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার পর এই বিদ্রোহীরা রাজি হন। এবং এটাই ছিল সেই বড় কারণগুলির একটি, যা বিজেপি এবং জেডিইউ প্রার্থীদের বাড়তি মাইলেজ দিয়েছিল (Bihar Election)।”

    রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “শাহের পদ্ধতির সবচেয়ে লক্ষণীয় এবং উজ্জ্বল দিক হল, তিনি যেভাবে জেডি(ইউ) এবং এলজেপি(আরভি)-র মধ্যে সম্পর্ক মসৃণ করেছেন এবং উভয় দলের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলেছেন, যা শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালের রাজনৈতিক তিক্ততার অবসান ঘটিয়েছে।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ইউনিটের পক্ষ থেকে শাহই ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি বিভাগীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেছেন এবং কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন পূরণে।

    বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, বিহার বিজয়ের পর, এবং তার আগে যেভাবে তিনি হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের নির্বাচনও সামলেছেন, তা বিবেচনা করলে আবারও প্রমাণিত হয় (Amit Shah), শাহই বিহার এনডিএ এবং বিজেপির ‘ম্যান ফ্রাইডে’। প্রতিটি নির্বাচনী কাজ তিনি যেভাবে মিশন মোডে পরিচালনা করেছেন, তা অসাধারণ। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বিরোধীদের বার্তা–প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে আঘাত হেনেছে। তাই পর্যুদস্ত হয়েছে মহাগঠবন্ধন (Bihar Election)।

  • Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    Prashant Kishore: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না পিকে! কী কারণে সরে দাঁড়ালেন ভোট কুশলী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Poll Battle) প্রার্থী হচ্ছেন না ভোট কুশলী তথা রাজনীতিবিদ প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। এই নির্বাচন হবে ৬ ও ১১ নভেম্বর, দু’দফায়। এই নির্বাচনেই প্রার্থী হচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের বিভিন্ন আসনে লড়ছে পিকের নবগঠিত ‘জন সুরাজ পার্টি’। তবে এই দলের মাথা পিকেই লড়ছেন না।

    পিকের বক্তব্য (Prashant Kishore)

    তিনি জানান, দলের বৃহত্তর স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি নিজের নির্বাচনী লড়াইয়ের পরিবর্তে সাংগঠনিক কাজ ও অন্যান্য প্রার্থীর জন্য প্রচারে মনোযোগ দিতে পারেন। এর আগে পিকে যখন রাঘোপুরে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে ‘আমেঠির মতো’ পরাজয়ের হুমকি দিয়েছিলেন, তখন থেকেই জল্পনা তীব্র হয়েছিল যে এবার কোমর কষে লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন পিকে স্বযং। সেই জল্পনায়ই জল ঢেলে দিলেন ভোটকুশলী। উল্লেখ্য, এই রাঘোপুর তেজস্বী যাদবের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্রে পিকে এবার চঞ্চল সিংয়ের নাম ঘোষণা করেছেন।

    দু’টি তালিকা প্রকাশ

    জন সুরাজ পার্টি এখন পর্যন্ত দু’টি তালিকা প্রকাশ করেছে। মোট ১১৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সমাজকর্মী-সহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন। পিকে ঘোষণা করেছেন (Prashant Kishore), বিহারের ২৪৩টি আসনের মধ্যে অন্তত ১৫০টিতে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়,  “এর কম হলে সেটি হবে ব্যক্তিগত পরাজয়।” পিকে বলেন, “জন সুরাজ পার্টি শুধুমাত্র নির্বাচনী সাফল্যের জন্য নয়, বরং স্বচ্ছ রাজনীতির একটি আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করে।” বিহার ভোটের ফল নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেন তিনি। বলেন, “আসন বণ্টন নিয়ে বিবাদের কারণে বর্তমান এনডিএ সরকার নিশ্চিতভাবেই পতনের পথে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না।”

    এনডিএর পরাজয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারকে দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র আক্রমণ শানান (Bihar Poll Battle)। পিকের অঙ্গীকার, “যদি জন সুরাজ পার্টি সরকার গঠন করে, তাহলে তারা রাজ্যের সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত ১০০ জন নেতা ও আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে (Prashant Kishore)।”

     

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

LinkedIn
Share