Tag: Biplab Dev

  • West Bengal Assembly Election: পুজো শেষেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপি, শমীক-শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ভূপেন্দ্র-বিপ্লব

    West Bengal Assembly Election: পুজো শেষেই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বিজেপি, শমীক-শুভেন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ভূপেন্দ্র-বিপ্লব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর উৎসবের আমেজ কাটতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) পরিকল্পনা। বিজয়া দশমীর পরদিন থেকেই আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ল বিজেপি। শুক্রবার কলকাতায় পা রেখেই একের পর এক বৈঠক করেছেন বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লবকুমার দেব। জানা গিয়েছে, রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের বুথ ভিত্তিক হিসেব নিকেশ নিয়েছেন তাঁরা।

    বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত

    রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) আর মাস সাতেক বাকি। বঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে ভূপেন্দ্র ও বিপ্লবের নাম ঘোষণা হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। নাম ঘোষণার পর গতকাল প্রথম বঙ্গে এসেছেন বিজেপির এই দুই নেতা। দফায় দফায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তাঁরা। সল্টলেকের অফিসেও বৈঠক করেন তাঁরা। সেই বৈঠকে শমীক, বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, সতীশ ধন্দরা। পরে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরাও।

    বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত

    দলীয় সূত্রের খবর, ভূপেন্দ্র ও বিপ্লব প্রথম সফরেই বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। কোন এলাকায় বিজেপির ভিত্তি কতটা দৃঢ়, কোথায় আরও জোরদার করা যায়, গত নির্বাচনে কোন এলাকায় ফল খারাপ হয়েছিল, সব মিলিয়ে ভোটের অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন তাঁরা। বিশেষ করে, হারের জায়গাগুলোতে অল্প চেষ্টাতেই ঘুঁটি ঘোরানো সম্ভব কি না, সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক রদবদল বা দায়দায়িত্ব বণ্টনে নির্বাচনী লাভ-ক্ষতির হিসেব নিকেশের উপরও জোর দেওয়া হয়। রাজ্য কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনা কতটা করা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বিজেপিতে (BJP in Bengal) দায়দায়িত্ব পাওয়া আর না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ-রাগ-অভিমান তৈরি হয়। এহেন আবহে কমিটি গঠনের প্রভাব নির্বাচনে কতটা পড়বে, তা বিচার বিবেচনা করা হয়েছে। যেহেতু এই রাজ্যের বিজেপির সাংগঠনিক অবিভাবক হিসেবে বনশল রয়েছেন, তাই তাঁর সঙ্গে ২ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আলাদা করে বৈঠক করেছেন বলে সূত্রের দাবি। উত্তরবঙ্গের একাধিক বিধায়ককে ফোন করে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন বিপ্লব দেব। বিভিন্ন অংশের গ্রাউন্ড রিপোর্ট, দলীয় নেতৃত্বের ভূমিকা, শাসক দলের উপস্থিতি কতটা, প্রশাসনের কী ভূমিকা, এমন নানা বিষয়ে রির্পোট পাঠানোর জন্য ওই বিধায়কদের বলেছেন তিনি।

  • Assembly Election 2026: ছাব্বিশের ভোটে বাংলার দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব! কেন এই দুজনকে বাছল বিজেপি?

    Assembly Election 2026: ছাব্বিশের ভোটে বাংলার দায়িত্বে ভূপেন্দ্র যাদব, বিপ্লব দেব! কেন এই দুজনকে বাছল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2026) আগে রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে নয়া দায়িত্ব ভাগ করে দিল বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী দায়িত্বে কেন্দ্রের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে করা হল রাজ্য নির্বাচনী ইনচার্জ। তাঁর সঙ্গে সহ-ইনচার্জ হিসেবে থাকবেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব। এই ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘোষণা থেকেই পরিষ্কার শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদারদের মতো রাজ্যের নেতাদের জন্য কৌশল ঠিক করে দেবেন ভূপেন্দ্র যাদবরা।

    ভূপেন্দ্র যাদবের ট্র্যাক রেকর্ড

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। সেই কারণেই এত তাড়াতাড়ি ভূপেন্দ্র যাদবের নাম ঘোষণা করা হল। নির্বাচনী রাজনীতিতে তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাঁকেই বাংলার মতো দুর্জয় ঘাঁটির দায়িত্ব দেওয়া হল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ভূপেন্দ্রকে বাংলায় দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড। ২০২০ সালে তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন বিহারের। সেখানে তিনি চমকপ্রদ ফল এনে দেন। বিজেপি এনডিএ জোটের মধ্যে এককভাবে বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এর আগেও একাধিক রাজ্যের ভোটে নিজের দক্ষতার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন ভূপেন্দ্র। এর আগে রাজস্থান, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মতো চ্যালেঞ্জিং রাজ্যের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। সেই সব জায়গায় দলের নির্বাচনী কৌশল ঠিক করা, নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব মেটানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ করেছেন।

    কেন বিপ্লব দেবকেও দায়িত্ব? 

    বাংলার একেবারে লাগোয়া রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। দিল্লির কার্যকর্তা থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, তারপর লোকসভায় বিজেপির সদস্য। একটি মানুষের রাজনীতি ও সাংগঠনিক দক্ষতা কতটা ভালো, এই প্রোফাইলেই তার ইঙ্গিত মেলে। ভোট রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা ও সংগঠন সামলানোর মিশেল। ত্রিপুরার রাজনীতিতে বিপ্লব দেবের এন্ট্রি ২০১৫ সালে। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে বলা যায় বিজেপির টার্নিং পয়েন্ট। শুধু বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গেই নয়, সিপিএম এর নেতা ও পরিবারের সঙ্গেও নিজে গিয়ে দেখা করতে শুরু করলেন। যাকে বলা যায়, একেবারে মাঠে নেমে রাজনীতি। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা। ত্রিপুরার মানুষের মন বোঝার চেষ্টা। ২০১৬ সালে ত্রিপুরায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন বিপ্লব। তারপর মাত্র দু’বছরেই ত্রিপুরায় পরিবর্তন। ৬০ আসনের বিধানসভার ত্রিপুরায় ৩৬টি আসন নিয়ে জিতল বিজেপি। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান। বিপ্লব দেব হলে ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বিপ্লব দেবের এই বহুমুখী দক্ষতাকেই পশ্চিমবঙ্গে কাজে লাগাতে চাইছেন অমিত শাহ। একই সঙ্গে প্লাস পয়েন্ট হল, বিপ্লব দেব বাংলাও একেবারেই সরগর। ফলে হিন্দিভাষী তকমা জুটবে না। আসলে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছে, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ত্রিপুরার অনেক মিল রয়েছে।

LinkedIn
Share