Tag: Birbhum

Birbhum

  • Tarapith: আজ শুক্লা চতুর্দশী, তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি, জেনে নিন মাহাত্ম্য কথা

    Tarapith: আজ শুক্লা চতুর্দশী, তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি, জেনে নিন মাহাত্ম্য কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্লা চতুর্দশী কথিত আছে, শুক্লা চতুর্দশী তিথিতেই মা তারার আবির্ভাব হয়েছিল। এই আবির্ভাব দিবসে, মা তারাকে পুজো দেওয়ার ব্যাপক ভিড় তারাপীঠে (Tarapith)। সেই সঙ্গে তারা মায়ের ভক্তদের মধ্যে এই নিয়ে তীব্র উচ্ছ্বাস। এই দিনে মায়ের মন্দিরে পুজো দিলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় বলে লোকবিশ্বাস রয়েছে।

    শুক্লা চতুর্দশীর মাহাত্ম্য কথা (Tarapith)

    পুরাণে কথিত আছে, জয় দত্ত নামে এক বণিক দ্বারকা নদীর উপর দিয়ে নৌকায় চড়ে বাণিজ্য করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি তারাপীঠে নোঙর করেছিলেন। কিন্তু সেখানে সাপের কামড়ে তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়। বণিকের ভৃত্যরা রান্না করার জন্য একটি কাটা শোল মাছ পাশের পুকুরে ধুতে নিয়ে যায়। পুকুরের জলের সংস্পর্শে আসতেই, কাটা শোল মাছটি হঠাৎ জীবিত হয়ে পুকুরের গভীরে চলে যায়। ভৃত্যরা এই অলৌকিক ঘটনার কথা বণিককে জানায় এবং বণিক সর্পদংশনে মৃত তাঁর পুত্রকে সেই পুকুরের জলে স্নান করাতে শুরু করেন। তখন মৃত পুত্র আচমকা জয় তারা, জয় তারা উচ্চারণ করতে করতে বেঁচে উঠেন। বণিক বুঝতে পারেন, এই পুকুরে কোনও ঐশ্বরিক শক্তি আছে। বর্তমানে এই পুকুরটি ‘জীবিত কুণ্ড’ নামে খ্যাত। সেই রাতেই বণিক স্বপ্নে দেখা পান মা তারার। দিনটি ছিল শুক্লা চতুর্দশী। স্বপ্নে মাকে পেয়ে, এই দিনটিতেই তারাপীঠে (Tarapith) মা তারার পুজো শুরু করেন বণিক জয় দত্ত।

    বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত তারা মা

    শুক্লা চতুর্দশীর এই দিনটিকে তাই প্রাচীনকাল থেকেই মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। বছরের এই একটি দিনে মা তারাকে গর্ভগৃহ (Tarapith) থেকে বের করে নিয়ে এসে, মন্দিরের সামনে থাকা বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত করা হয়। ফলে দিনভর সেখানেই মা তারাকে পুজো দিতে পারেন পুণ্যার্থীরা। সন্ধ্যায় আরতির পর, ফের মা তারাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আজকের দিনে মা তারাকে দুপুরে কোনও ভোগ নিবেদন করা হয় না। তাই এই দিনটিতে মা তারার সেবাইতরাও উপবাস পালন করে থাকেন। সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদনের পর উপবাস ভঙ্গ করেন মা তারা এবং ভক্তরাও তারপরে প্রসাদ গ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান অফিসে আসেন না। প্রধান রূপে কাজ করেন তাঁর ভাশুর। ভাশুরও আবার দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রধানের সই নকল করেই তিনি সরকারি কাজ করে চলেছেন। অফিসে বসে নানান দুর্নীতির কাজ করছেন বলে, তাঁর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। ফলে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে কীভাবে কাজ করছে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান স্বামীর দাদা? এই প্রশ্ন এখন জেলায় আলোচনার ভরকেন্দ্র। স্থানীয়রা সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ হলেও, জানা যায়, এই ঘটনা একদিনের না। এরপর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে লিখে একটি ভিডিও পোষ্ট করে বিজেপি। এরপর, এই বিষয় নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Birbhum) জেলার রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। এই অঞ্চলের প্রধান হলেন একজন মহিলা, নাম তাপসী মন্ডল সাহা। তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। শপথ গ্রহণের পর মাত্র কয়েকদিন পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে আসেন। তারপর থেকে বেপাত্তা। এরপর তাঁর ভাশুর দীলিপ সাহা প্রধানের চেয়ারে বসেন এবং অফিসে প্রধানের সই নকল করে কাজ শুরু করেন। এই খবর জানাজানি হতেই চরম স্বস্তিতে তৃণমূল। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি প্রধান কোথায় জানতে চাইলে, ভাশুর বলেন, “কৈফিয়ত কাউকে দেবো না, এটা ফাজলামি করার জায়গা নয়। অফিস থেকে বেরিয়ে যান।”

    বিজেপির বক্তব্য

    দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পঞ্চায়েত দপ্তরের উচিত সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করা। নিয়মবহির্ভূত বেআইনী কাজ করে নিজের স্বার্থকে পরিপূর্ণ করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তৃণমূল সরকারের রক্তে মিশে রয়েছে দুর্নীতি। চোরেরা যে কোনও জায়গায় বসেই চুরি করতে পারেন। অবিলম্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূলের জেলা (Birbhum) মুখপাত্র মলয় মুখার্জি বলেন, “ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা গ্রামের লোক না। ওরা বিজেপির কর্মী। বিজেপি এলাকায়, উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করতে পারে না। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রচার করছে। মানুষ আগামীদিনে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বীরভূম জেলার তারাপীঠ (Tarapith)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তারাপীঠ এক অন্যতম শক্তিপীঠ বলেই পরিচিত। সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি এই মহাতীর্থ। মূলত ভক্তজনেরা এখানে আসেন তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার অভিপ্রায়ে। তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দিরটি প্রায় ২০৪ বছর আগে নির্মাণ করেন জগন্নাথ রায়। মন্দিরে রয়েছেন বিবিধ অলংকারে ভূষিতা তারা মা। এছাড়াও আছে কষ্টি পাথরের মাতৃমূর্তি। মহাকাল মহাদেবকে স্তন্যদুগ্ধ পান করাচ্ছেন দেবী। তবে এই মূর্তির দর্শন সর্বদা মেলে না।

    সেই বিখ্যাত শ্মশানঘাট

    দেখে নিন তারাপীঠের (Tarapith) সেই বিখ্যাত শ্মশান ঘাটটি, যেখানে বসে সাধক শ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা সাধনা করেছিলেন। তিনি ছাড়াও বহু সিদ্ধ পুরুষ এই শ্মশানে সাধনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বশিষ্ঠদেব, রাজা রামকৃষ্ণ প্রমুখ। এখানে রয়েছে বামাখ্যাপার মন্দির। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের ২ তারিখ বামাখ্যাপার তিরোধান দিবসে এখানে পুজো এবং উৎসব হয়। এছাড়াও দেখে নিন বামাখ্যাপার জন্মস্থান আটলা গ্রাম।

    ঘুরে নিতে পারেন নলহাটি, বক্রেশ্বর

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন রামপুরহাট থেকে প্রায়  ১২-১৩ কিমি দূরে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম নলহাটি থেকেও। বাস যাচ্ছে সরাসরি এই পথে। রামপুরহাট থেকে নলহাটি যেতে বাসে সময় লাগে প্রায় ২৫-৩০ মিনিট। কথিত, এখানে সতীর কন্ঠ পতিত হয়েছিল। এখানে দেবী ললাটেশ্বরী নামে পূজিতা। ললাটেশ্বরী মন্দিরটি আকারে ছোট। সিঁদুর মাখানো পাথরের খন্ডের ওপর রূপোর চোখ, নাক, অধর বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেবীর মুখাবয়ব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মন্দির এক পরম পবিত্র স্থান। এছাড়াও তারাপীঠ (Tarapith) থেকে ঘুরে নেওয়া যায় বীরভূম জেলারই আর এক পবিত্র স্থান, বিখ্যাত শৈব তীর্থ “বক্রেশ্বর” থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে নামতে হবে রামপুরহাট ষ্টেশনে। যাচ্ছে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, হাওড়া-মালদা টাউন এক্সপ্রেস, হাওড়া-রামপুরহাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-রামপুরহাট এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠের দূরত্ব প্রায় ৮ -৯ কিমি। যেতে হবে অটো অথবা ট্রেকারে। আর কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে তারাপীঠ (Tarapith)। থাকা খাওয়া –তারাপীঠে থাকা খাওয়ার জন্য আছে বহু হোটেল, লজ প্রভৃতি। দাম ও মান অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে থেকে পছন্দমত একটি বেছে নেওয়া যেতেই পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বঙ্গ থেকে পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে পদ্ম ফুল যাচ্ছে বিদেশে। তবে, তাদের চাষ করা পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে যেমন গর্বিত পদ্মচাষিরা। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিতে পদ্মচাষে ক্ষতিও হয়েছে এবছর। মিলছে না ন্যায্য মজুরি, আক্ষেপ পদ্মচাষি থেকে মহাজন সকলের।

    বীরভূম (Birbhum)  থেকে কোন কোন দেশে পাড়ি দিচ্ছে পদ্ম?

    গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে পুকুর, ছোট জলাশয় সর্বত্রই পদ্ম চাষ হয়ে থাকে। বীরভূমও (Birbhum) পদ্ম চাষের অনুকূল। আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজোর উপকরণগুলির মধ্যে অন্যতম পদ্ম ফুল। বীরভূমের আহমদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে এবার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশেও। এখান থেকে কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই প্রভৃতি জায়গায় পদ্ম যাচ্ছে। এমনকী, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজোতেও মেট্রো শহরগুলি পদ্ম ফুল যায় বীরভূমের আহমদপুর থেকে।

    বিদেশে একটি পদ্মের কত দাম?

    তবে, এবার দুর্গাপুজোয় এখান থেকে পদ্ম যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশে। পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পদ্ম চাষিরা। পাশাপাশি তাদের আক্ষেপ, এবছর অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে পদ্ম চাষে। তাই পদ্ম বিদেশে গেলেও সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছেন মজুতদারেরা। আর মুনাফা পাচ্ছেন না পদ্ম চাষিরা। এক একটি পদ্ম ফুল মাত্র আড়াই থেকে ৩ টাকায় পদ্ম চাষিদের কাছ থেকে কেনেন মহাজনেরা। সেই পদ্ম তারা দোকানে দেন ৫ থেকে ৬ টাকায়। দোকান থেকে এই বাংলায় এক একটি পদ্ম ফুল বিক্রি হয় ৭ থেকে ১০ টাকায়। বাংলার বাইরে মেট্রো শহরগুলিতে এক একটি পদ্মের দাম হয় ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কোথাও ২০ টাকা। আর বিদেশে পাড়ি দিলেই সেই পদ্ম ২ থেকে ৫ ডলারে বিক্রি হয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

    পদ্মচাষিদের কী বক্তব্য?

    পদ্মচাষি ও মহাজনেরা বলেন, বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুর থেকে প্রতি বছরই দূরে দূরে পদ্ম ফুল পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোয় পদ্ম যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্গাপুজোয় পদ্ম পাড়ি দেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পদ্ম যাচ্ছে। আর আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল ভূটানে পদ্ম যাচ্ছে। তবে, বাংলা থেকে বিদেশে পদ্ম পাড়ি দিলেও আমাদের মতো ফুল চাষিরা থাকেন সেই তিমিরেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরে সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়লেন পর্যটকরা। বীরভূম থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) বেড়াতে গিয়ে একই পারিবারের দুই শিশু, মহিলা সহ ৮ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। অপর দিকে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বিপর্যয়কে অতিক্রম করে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়েও চরম আতঙ্কের ছায়া দেখা গেছে কলকাতা-হাওড়ার বেশ কয়েকটি পরিবারের মধ্যে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পরিজনরা। পাশাপাশি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে।

    বীরভূমের নিখোঁজ ৮ জন (Sikkim Disaster)

    সিকিমে (Sikkim Disaster) গিয়ে বীরভূমের একই পারিবারে নিখোঁজ ৮ জন। ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক মহম্মদ মহফুজ রহমান, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-সহ একই পরিবারের ৮ জন সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে তাঁরা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ সিকিমের লাচেন এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে ওই ৮ জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। নিখোঁজদের নাম হল, সোহান রাজভি (৬), রেহা তানভি (১০), রায়না জাহান (৪), রায়সা জাহান (১৩), এসথাউদ্দিন শেখ (৪২), নাজিয়া খাতুন (৩৭), মুজাফফর আহমেদ (৪০), রেবিকা মণ্ডল (৩৪)। পরিবারের তরফে সংশ্লিষ্ট ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। তবে একই পরিবারের ৮ জন নিখোঁজ থাকায় রীতিমতো ঘুম উড়েছে পরিবারের বাকি সদস্যদের। প্রশাসন যাতে সিকিমে থাকা পরিজনকে খুঁজে বের করে, সেই জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    হোটেলবন্দি হাওড়া-কলকাতার পর্যটকরা

    রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। পুজোর আগে অনেক মানুষ সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তবে সিকিমের পাহাড় থেকে সমতলে অনেকে নামতে পারলেও, বেশিরভাগ মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন বিপর্যয়ে। গত ২ অক্টোবর কসবার বাসিন্দা পেশায় ডাক্তার, ভাবনী প্রসাদ নিজের পরিবারকে নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গেলে বিপর্যয়ের কারণে হোটেলে আটকে পড়েছেন। ভবানীপ্রসাদবাবু ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নানারকম খবর শুনছি এবং সেই সঙ্গে আতঙ্কে ভুগছি। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বাড়িতে পরিজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। আপাতত সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় রয়েছি।” সিকিমে ঘুরতে যাওয়ায় নিজের পরিজনদের খবর না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। একই ভাবে হাওড়ার কৌশিক হাজরাও সিকিমে ঘুরতে গিয়ে হোটেলে আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবার তাঁদের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিশেষ পরিষেবা

    হড়পা বানে সিকিমের (Sikkim Disaster) সঙ্গে উত্তরেবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ অবনতি ঘটেছে। ঘুরপথে পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে নামতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই অবস্থায় মানুষকে বিপর্যয় স্থল থেকে উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবার কথা ঘোষণা করেছে। সংগঠনের সচিব মিলন সরকার বলেন, “পর্যটকদের বিনামূল্যে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারলে আনন্দিত হব। আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি পরিষেবা প্রদান করার জন্য।”

    বিপদগ্রস্ত পর্যটকরা 9734144375 বা 9832388425 নম্বরে যোগাযোগ করে যে কোনও সাহায্য চাইতে পারবেন। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suri Hospital: নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে অপারেশন থিয়েটার চালাবেন সুপার! তুমুল উত্তেজনা সিউড়িতে

    Suri Hospital: নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে অপারেশন থিয়েটার চালাবেন সুপার! তুমুল উত্তেজনা সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ চালাতে সিভিক পুলিশ, সিভিক টিচার, সিভিক ডাক্তারের তত্ত্ব দিয়েছিলেন। আর এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল শাসক-বিরোধী দলের বাক্‌যুদ্ধে। এবার নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালাতে চাইছেন সুপার! এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বীড়ভূম জেলার সিউড়ি হাসপাতালে (Suri Hospital)। একে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত বেহাল দশা বলে কটাক্ষ করলেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদে নেমে সরব হয়েছেন।

    হাসপাতালের ওটিতে কেন নিরাপত্তারক্ষী (Suri Hospital)?

    সূত্রে জানা গেছে, সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Suri Hospital) ওটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। কিন্তু পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় কোথায়? আর তাই সুপার নির্দেশিকা জারি করেছেন, নিরাপত্তারক্ষীদের এবার থেকে ওটিতে অতরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ টিম তৈরি করা হবে। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কীভাবে কাজ করবেন নিরাপত্তারক্ষীরা! আর এই নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। এই ঘটনায় সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।

    নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Suri Hospital) নিরাপত্তারক্ষী কার্ত্তিক দাস বলেন, “ওটিতে পাঁচজন লোক লাগবে বলে জানিয়েছেন সুপার। এমনকি সুপার পাঁচজনের নামও দেন। কিন্তু পরে জানা গেছে ওটিতে নিরাপত্তার জন্য নয়, ডাক্তারদের সহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত লোক লাগবে। এই জন্য আমাদের আপত্তি। আমরা তো কোনও প্রশিক্ষণ নিইনি। তাছাড়া যন্ত্রপাতির কোনও ব্যবহারও জানি না। ফলে, যে কোনও মারাত্মক ভুল হতে পারে। তাছাড়া আমরা কেন এইসব বিষয়ের দায়িত্ব নেব!”

    হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Suri Hospital) সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, “২৪ ঘণ্টা ওটি চালাতে গেলে লোক লাগবে। সেই জন্য টিম তৈরি করা হচ্ছে। ওঁরা সবাই আমাদের পরিচিত। কেউ নিরাপত্তা রক্ষী আবার কেউ ওয়ার্ড বয়। সকলের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, তবে ঠিক হয়ে যাবে। শিখে নিলে সবাই পারবেন। তাছাড়া রোগীর পরিষেবার জন্যই এই নতুন পরিকল্পনা।”

    নিরাপত্তা কর্মীদের সুপার ভাইজারের বক্তব্য

    পাশপাশি হাসপাতালের (Suri Hospital) নিরাপত্তা কর্মীদের সুপারভাইজার তরুণ গড়াই বলেন, “সুপার এক সপ্তাহ ধরে বলছেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী লাগবে। তাঁকে বলেছি, ওরা ওটি চালাতে পারবে না। তিনি হুমকি দিচ্ছেন। আমি আমাদের সংস্থাকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Breathing Problem: অজানা শ্বাসকষ্টে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে ছেলেমেয়েরা, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সিউড়িতে

    Breathing Problem: অজানা শ্বাসকষ্টে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে ছেলেমেয়েরা, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আক্রান্ত হয়ে রোজ মানুষ মারা যাচ্ছেন। বর্ষার জমা জল, যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে বারবার রাজ্য প্রশাসন এবং পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সরব হয়েছেন সর্বত্র। এবার ফের বীরভূমের সিউড়ি ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের মানুষ অজানা এক শ্বাসকষ্ট (Breathing Problem) রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কম বয়সের ছেলেমেয়েরাই বারবার এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে রোগের কারণ জানা যাচ্ছে না। আর তাই আতঙ্ক বাড়ছে।

    অজানা শ্বাসকষ্টে (Breathing Problem) আতঙ্ক

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের ছেলেমেয়েরা বারবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এক পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি এই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু রোগের কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছে না। সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের অবিনাশপুর, ভোলাইপুর, ক্ষতিপুর সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ রোজ আক্রান্ত হচ্ছে, এই অজানা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে। যারা এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ১২ থেকে ২০ বছর। এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৪০ থকে ৫০ জন ছেলেমেয়ে আক্রান্ত হয়েছে। রোগের কারণ জানতে না পারায় এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছে।

    অভিভাবকদের বক্তব্য

    এলাকার অভিভাবকদের বক্তব্য, “এলাকার এক একটি পরিবারের দুই থেকে তিনজন ছেলেমেয়ে এই রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট (Breathing Problem) উঠলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবিনাশপুর হাসপাতালে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে নিয়ে যেতে হচ্ছে আবার সিউড়ি কিংবা বর্ধমানেও। আক্রান্তদের মধ্যে ছেলের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। এলাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ।”

    চিকিৎসকদের বক্তব্য

    এলাকায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত রোগের (Breathing Problem) কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানসিক চাপের জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে আরও বলেন, সম্পূর্ণ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর।

    সিউড়ি দুই নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ (BMOH) বলেন, বেশ কিছু মেয়ের সমস্যার কথা জানা গেছে। আমরা চিকিৎসার কাজ চালাচ্ছি। অনেক বাইরের ডাক্তার এসে চিকিৎসা করছেন। তবে কারণ পুরোপুরি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। সেই অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal) কি না দলের মধ্যে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন। এমনিতেই গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তিহারে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল। কিন্তু, বীরভূমের সংগঠনের হাল ধরতে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রাশ। অনুব্রত ‘বিরোধী’ নানুরের কাজল শেখ এখন দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। সেই কাজলের খাসতালুক নানুরেই অবাককাণ্ড। জেলায় তৃণমূলের অন্দরে কেষ্ট জমানা শেষ হয়ে কি কাজল সেখের জমানা শুরু হয়েছে?

    ঠিক কী হয়েছে নানুরে? (Anubrata Mondal)

    নানুর থানার হোসেনপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ঢোকার মুখে দেওয়ালে দীর্ঘদিন ধরে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আঁকা ছিল। ঠিক পাশের দেওয়ালে অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ লেখা ছিল। আর সেই লেখা এবং ছবিও মুছে ফেলা হয়েছে। যদি তা কে করেছে বা কারা করেছে কেউ কিছু বলতে পারছে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই জেলায় একটি দুয়ারে সরকার শিবিরের আগে হোর্ডিংয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কাজল সেখের ছবি ছিল। সেখানে কেষ্ট মণ্ডলের ঠাঁই হয়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা হয়েছিল। এবার ফের দলীয় কার্যালয় থেকে তাঁর ছবি মুছে ফেলা হল। বীরভূমে অনুব্রত জমানা যে শেষ হতে বসেছে তা এই দুটি ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    একসময়ের অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। অনুব্রত জমানা শেষ হলেও এখনও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। দলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনায় তিনিও বিব্রত। কিন্তু, তার বেশি আস্ফালন করার কোনও জায়গা নেই। তাই, বিষয়টি জানার পরই তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর সামনেই দুর্গাপুজো, তাই হয়তো কেউ মুছে ফেলেছে। নতুন করে করা হবে। এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    শুক্রবার নানুনের হোসেনপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জোড়া-ফুলের দলীয় কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালের একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তার পাশে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) ছবির জায়গায় রং লেপা রয়েছে। অনুপম হাজরা বলেন, নানুরের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মুছে ফেলা হল। দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে,এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু হল। তৃণমূলে একটাই নীতি – চুরি করে যতদিন তুমি পার্টিকে দিতে পারবে ততদিন তুমি ‘ভালো ছেলে’ আর ধরা পড়লেই পার্টি তোমাকে চেনে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময় পর্ব থেকেই সারা বিশ্বে সবথেকে বেশি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে পড়াশুনার শিক্ষা ব্যবস্থায়। দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বন্ধ থাকায় শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ছুটি, পড়ুয়াদের পড়ার আগ্রহকে অনেকটাই কম করে দিয়েছে বলে, শিক্ষাবিদদের একাংশ দাবি করেছেন। এই প্রভাবকে কাটাতেই বীরভূমের স্কুল শিক্ষায় এক অভিনব মানবিক উদ্যোগের ছবি ধরা পড়েছে “আনন্দ পাঠ” দানে। জেলাশাসক বিধান রায় নিজের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিতে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এই উদ্যোগের ফলে এই বছর স্কচ পুরস্কার (Skoch Award for Bengal) পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”। এই পুরস্কারকে ঘিরে জেলাবাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা শাসকের হাতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

    কেন এই অভিনব উদ্যোগ(Skoch Award for Bengal)?

    সমাজের পিছিয়ে থাকা শিশুদের লক্ষ করেই শিক্ষার আলো পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এই “আনন্দ পাঠে” শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছেন, বাবা-মা নেই  অথবা বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার সময় থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়াশুনার নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়াও রাজ্যের সীমাহীন স্কুল ছুটি, বিশেষ করে বাচ্চা-শিশুদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। এই কথাকে মাথায় রেখেই বীরভূম প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রদানের এক মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এই স্কচ সম্মানে (Skoch Award for Bengal) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    কীভাবে পড়াশুনা চলত আনন্দ পাঠ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় প্রাথমিকের স্কুলে পড়াশুনা করে, এমন বাচ্চাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানো হয়। ছড়ার ছলে, গল্পের ছলে, ছবি এঁকে বা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে, শিশুদের মনে পড়াশুনার আগ্রহকে চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়। বিষয় উপস্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনার আগ্রহকে বৃদ্ধি করার উপর নজর দেওয়া হয়। এছাড়াও পড়াশুনার বাইরের নান্দনিক বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ হয়েছে। একই ভাবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিশুদের পরিবারে যাতে একটা পড়াশুনার পরিবেশ বা বাতাবরণ তৈরি হয়, সেই ভাবনার উপরেও জোর দেওয়া হয়। আর এই পাঠকে সুনিশ্চিত করার কাজ করেছে “আনন্দ পাঠ”।  

    মূলত একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক গ্রামে গ্রামে গিয়ে, সকালে ৭ টা থেকে ৯ টা  এবং বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত এই পড়াশুনার ক্লাস করান। এটা কোনও ক্লাসের পড়া নয়। পরোটাই শিশুদের মানসিক স্তরের উপর নির্ভর করে ক্লাস করানো হয়। এই অভিনব মানবিক উদ্যোগে স্কচ পুরস্কারে (Skoch Award for Bengal) সম্মানিত হওয়ায় খুশির আবহ বীরভূম জেলায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বীরভূমের (Birbhum) ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নলহাটি দু নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নেমেছে ধস, ভগ্নপ্রায় পুঠিমারী পল্টন ব্রিজ। ব্যাঘাত ঘটছে যানবাহন চলাচলে। সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। 

    নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আটটা নাগাদ নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বারুনি ঘাটায় বৃষ্টির জলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে প্রসাদপুর গ্রামে। অন্যদিকে বৈধরা জলাধার থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে ১৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে নলহাটির দুই নম্বর ব্লকের মোট চারটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল রাত্রে খবর পেয়ে জেলাশাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট মহকুমা শাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যান। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকা বর্তমানে জলমগ্ন।

    মুর্শিদাবাদে জাতীয় সড়কে ধস

    বীরভূমের (Birbhum) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুঠিমারী পল্টন ব্রিজের সড়কে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। ডাকবাংলা থেকে পাকুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর বৃষ্টির ফলে সড়কে ধস। বিঘ্নিত যান চলাচল। সমস্যায় পড়েছে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন। ধসকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য ৩৪ নং জাতীয় সড়ক বেয়ে নতুন ডাকবাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে ১০৬ নং জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকার পর, এক বছর আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়। কিন্তু বর্ষা আসলেই বারংবার ধসের কবলে পড়ে পল্টন ব্রিজের এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ধসের কারণে রাস্তায় ছোট গাড়ি থেকে বড় গাড়ি কোনোটাই এখন সাহস নিয়ে পারাপার হতে পারছে না। সড়কের ১৫০ মিটার রাস্তায় ধসের কবলে এবং ৪ থেকে ৫ হাত গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। এদিকে পল্টন ব্রিজের রাস্তায় ধস নামার ফলে আশেপাশের প্রায় দশটি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    বীরভূমের জেলাশাসককে (Birbhum) জানানোর মত সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধকে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share