Tag: Birbhum

Birbhum

  • Pm Rishi Sunak: ব্রিটেনে কি সিগারেট নিষিদ্ধ করতে চলেছেন ঋষি সুনক? জল্পনা তুঙ্গে

    Pm Rishi Sunak: ব্রিটেনে কি সিগারেট নিষিদ্ধ করতে চলেছেন ঋষি সুনক? জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের আগামী প্রজন্মের মানুষকে সিগারেট থেকে মুক্তি দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Pm Rishi Sunak )? অতি শীঘ্রই ব্রিটিশ সরকার সিগারেটের বিক্রিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। তরুণ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই সিগারেটের নেশা থেকে মুক্ত করতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ব্রিটেনকে দূষণমুক্ত করাই কার্যত সরকারের উদ্দেশ্য। ব্রিটেন সরকারের সূত্রে গার্ডিয়ান নামক সংবাদ সংস্থা এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। আর তাকে ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ব্রিটেনে কি বন্ধ হবে ধূমপান?

    সিগারেট নিষিদ্ধ করা নিয়ে কী বলা হয়েছে (Pm Rishi Sunak )?

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটেন সরকারের মুখপাত্র মেইল করে জানিয়েছেন, ব্রিটেন সরকারের (Pm Rishi Sunak ) উদ্দেশ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধোঁয়ামুক্ত করা। আর সেই লক্ষ্যেই নাগরিকদের সিগারেট বন্ধ করার জন্য নানা উৎসাহ দেওয়ার কথা এই প্রতিবেদনে বলা হয়। আরও বলা হয়, ব্রিটেন সরকার সিগারেটমুক্ত সমাজ গড়তে নানা নিয়ম আনতে চলেছে। এমনকি গর্ভবতী নারীরা যেন সিগারেট বর্জন করেন, সেই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    ই-সিগারট বা ভ্যাপ কিট ব্যবহারে নজর

    সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Pm Rishi Sunak ) নাগরিকদের ই-সিগারট বা ভ্যাপ কিট গ্রহণ করার কথা বলেছেন। এই ই-সিগারেট অনেক বেশি নিরাপদ। সিগারেটের তুলনায় স্বাস্থ্যের ক্ষতি অনেক কম করে। এই ই-সিগারেট সরকার বিনামূল্যে বিলি করছে বলেও প্রতিবেদনে জানা গেছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ই-সিগারেট বিলির বিষয়ে এই বছর থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   

    আগামী বছর হতে পারে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। আর তাই ব্রিটেনের সাধারণ মানুষকে জনমুখী পরিকল্পনা উপহার দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী সুনক। আর তাই, ধোঁয়ামুক্ত সমাজ গড়তে, সিগারেট নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছেন বলে মনে করছেন সেই দেশের রাজনীতির একাংশের মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Asian Games 2023: শুরুতেই সুখবর! এয়ার রাইফেলের পর রোয়িংয়েও জোড়া রুপো এল ভারতের ঝুলিতে

     Asian Games 2023: শুরুতেই সুখবর! এয়ার রাইফেলের পর রোয়িংয়েও জোড়া রুপো এল ভারতের ঝুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমস (Asian Games 2023)-এর শুরুতেই ভারতের জয়জয়কার। রবিবার সকালেই রুপো-জয়ী হল ভারত। এয়ার রাইফেল এবং রোয়িংয়ে রুপোর পদক জয় ভারতের। ১০ মিটার রাইফেলের দলগত বিভাগে রুপোর পদক জিতলেন রমিতা, মেহুলি ঘোষ এবং আশি চৌকসে। অন্যদিকে রোয়িংয়ে লাইটওয়েট ডাবলস স্কালসে রুপোর পদক জয়ী হলেন অর্জন লাল জাট এবং অরবিন্দ সিং। এই গেমকে ঘিরে ভারতীয় সমর্থকের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বা্স লক্ষ্য করা গেছে। 

    রাইফেলে রুপো জয় ভারতের (Asian Games 2023)

    গতকাল ২৩ সেপ্টেম্বর, এশিয়ান গেমস (Asian Games 2023) ২০২৩ সালের আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। রবিবার সকাল সকাল ভারতের জন্য সুখবর আসে এশিয়ান গেমস-এর ময়দান থেকে। খেলার মধ্যে ছিল টানটান উত্তেজনা। সেই সঙ্গে লড়াই চলছিল বেশ হাড্ডাহাড্ডি। ভারতীয় মহিলা শুটাররা বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল প্রতিযোগিতার কোয়ালাফিকেশন পর্বে ১৮৮৬ স্কোর করে রমিতা, মেহুলি ঘোষ এবং আশি চৌকসে রুপোর পদক জয়ী হন। আবার এই খেলায় ১৮৯৬.৬ স্কোর করে চিন সোনা জিতেছে এবং ১৮৮০ স্কোর করে মঙ্গোলিয়া জিতে নেয় ব্রোঞ্জের পদক। এই বিভাগে ব্যক্তিগত ভাবে ফাইনালে পৌঁছেছেন রমিত এবং মেহলি। উভয়ের স্কোর হল ৬৩১.৯ এবং ৬৩০.৮। রমিতার স্থান হল দ্বিতীয় এবং মেহলির স্থান হল পঞ্চম।

    রোয়িংয়ে জোড়া রুপো ভারতের

    গতবার টোকিও অলিম্পিকে ভারত ১১ তম স্থান অধিকার করেছিল রোয়িংয়ে। এবার এশিয়ান গেমস-এ (Asian Games 2023) দুর্দান্ত প্রদর্শন করল ভারত। যদিও ফাইনালে চিনের কাছে ভারত পরাজিত হয়েছে। সোনার পদক গেছে চিনের ঝুলিতে। ভারত দ্বিতীয় হয়ে রুপো জয়ী হয়েছে। অর্জুন এবং অরবিন্দের কাছে খেলার লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। তাঁরা ৬:২৮:১৮ সময়ে নিজেদের খেলা শেষ করেন। অন্য দিকে চিনা জুটি ফান জুনজি এবং সান মান ৬:২৩:১৬ সময়ে শেষ করে সোনা জয় করে। যদিও চিনের কাছে এই সোনা হল এশিয়ান গেমস-এ দ্বিতীয় সোনা। অপর দিকে ৬:৩৩:৪২ সময়ে খেলা শেষ করে ব্রোঞ্জ জয় করেছে উজবেকিস্তান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati : অবশেষে বিশ্বভারতীর নিখোঁজ ছাত্র উদ্ধার তালসারি থেকে, কেন নিখোঁজ ছিলেন জানেন?

    Visva Bharati : অবশেষে বিশ্বভারতীর নিখোঁজ ছাত্র উদ্ধার তালসারি থেকে, কেন নিখোঁজ ছিলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে নিখোঁজ পড়ুয়ার উদ্ধার হল ওড়িশার তালসারি থেকে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) থেকে দর্শন বিভাগের এক ছাত্র নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এই নিখোঁজ পড়ুয়ার নাম পান্নাকারা থাই, তিনি ছিলেন মায়ানমারের নাগরিক। পরিবারের তরফ থেকে বোলপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ছাত্র নিখোঁজের পর থেকেই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে।

    কীভাবে উদ্ধার হলেন ছাত্র

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় নিখোঁজের পরে বোলপুর থানার (Visva Bharati) হাতে মোট ১২ জন গ্রেফতার হয়। এরপর অভিযুক্তদের সূত্র ধরে, ফোন ট্যাপ করে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, পুলিশ অনুসন্ধান করে জনেতে পারেন, যে এই ছাত্রকে ওড়িশার তালসারিতে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে পান্নাকারাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

    কীভাবে নিখোঁজ হয়েছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) থেকে একটি গাড়িতে করে কয়েকজন যুবক, জোর করে তুলে নিয়ে চলে যায়। থানায় অভিযোগের পর তাঁর খোঁজ খবর করতে করতে পুলিশ দুবরাজপুর থেকে আজারুদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন এবং আতাউল্লা শেখ নামে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এরপর আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দুষ্কৃতীদের জেরা করতেই চাঞ্চাল্য কর তথ্য উঠে আসে। চুলের ব্যবসার টাকা পাওয়াকে ঘিরে পান্নাকারাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

    মায়ানমার থেকে মেদিনীপুর হয়ে চুল যেত চিনে

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ছাত্র পান্নাকার থাই চুলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মায়ানমার থকে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে চুল যেত চিনে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এজেন্টরা পড়ুয়ার কাছ থেকে মোট ৬ কোটি টাকা পেত। এর মধ্যে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এজেন্টদের দিয়েছন পান্নাকারা, কিন্তু এখনও ৫০ লাখ টাকা বাকি। ভাগের টাকা না পেয়ে এজেন্টরা এই বিশ্বভারতীর ছাত্রকে অপহরণ করেছিল বলে জানা গেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অজয় নদে হড়পা বানে ভেঙে গেলে সেতু! বিচ্ছিন্ন বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগ

    Birbhum: অজয় নদে হড়পা বানে ভেঙে গেলে সেতু! বিচ্ছিন্ন বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদে হঠাৎ হড়পা বান। এই হড়পা বানের ফলে মাঝ নদের মধ্যেই আটকে গেল পাথর বোঝাই ডাম্পার। প্রাণে বাঁচলো চালক-খালাসি। কাজ চলছিল নদের উপরে অস্থায়ী সেতুর। কিন্তু আচমকা জলের স্রোতে সব ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়ে নদের উপর অস্থায়ী সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল বীরভূম-বর্ধমানের। নির্মাণের কর্মীরা কোনও রকমে প্রাণ বাঁচালেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। রাজ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নদের জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া দফতর থেকে বেশ কিছু জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কীভাবে হড়পা বান (Birbhum)?

    রাজ্যে শনিবার সকালে জয়দেব থেকে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা শিবপুরের দিকে আসছিল একটি ডাম্বার। পথে অজয় (Birbhum) নদের অস্থায়ী সেতু অতিক্রম করার সময়, এই পাথর বোঝাই ছয় চাকার ডাম্পার, হড়পা বানের কবলে পড়ে যায়। বান আসলে নদের জলের স্তর বৃদ্ধি হতে শুরু করে। এই নদের উপর তৈরি হচ্ছিল অস্থায়ী সেতু, যা কার্যত ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে ডাম্পারটি মাঝ নদের আটকে পড়ে। সাঁতার কেটে কোনও ক্রমে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যান চালক ও খালাসী। একই ভাবে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কর্মীরাও সাঁতার কেটে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছান। এই নদের অস্থায়ী সেতু বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানের মধ্যে সংযোগের একটা বিশেষ রাস্তা ছিল। হড়পা বানের কারণে দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) অবনী মজুমদার বলেন, “এই নদ ক্ষ্যাপা নদ। এই জল আসছে আবার চলেও যাচ্ছে। বানের কারণে সেতু ভেঙে গেছে। চলাচল করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতার ভোটের সময় প্রতুশ্রুতি দেন বটে, কিন্তু কাজের কথা পরে ভুলে জান। আমরা চাই এই নির্মীয়মাণ সেতু দ্রুত তৈরি হোক”। আরেক বাসিন্দা গোঁসাই বাগদী বলেন, “নদের জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পাথর বোঝাই ডাম্বার আটকে গেছে। তবে আজ যাঁরা ছিলেন সকলে বড় বিপত্তি থেকে রক্ষা পেলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় বিজেপি নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। তিন জন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে, নিজেদের মুখ আড়াল করে বিজেপির নেতাকে গুরুতর আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    জানা গেছে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার তপন এবং সুরফুলা গ্রামের কাছেই এক বিজেপি কর্মীকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই বিজেপি কর্মী যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি। আহত কর্মীর নাম সুজিত হালদার। মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আঘাত করলে ব্যাপক ভাবে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    গতকাল রাত ন’টার সময় সুজিত হালদার রামপুরহাট (Birbhum) থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময়ে আচমকা চারজন দুষ্কৃতী মুখের কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে কোপ দেয়। এছাড়াও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাতের ফলে শরীরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত হালদার বলেন, “আঘাত করার সময় দুষ্কৃতীরা বলেছে, তুই বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস না। ঠিক এই কথা বলতে বলতে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে আমাকে।”

    পুলিশে অভিযোগ

    এই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে মাড়গ্রাম (Birbhum) থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত বিজেপির হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আর এই জন্যই শাসক দল তাঁকে আটকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সুজিত সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁকে শাসক দল নিশানা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বান্ধবীকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল, কেন জানেন?

    Birbhum: বান্ধবীকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বান্ধবীকে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। নিজের নামে রয়েছে ১২টি ফিক্সড ডিপোজিট। এফডি-র  টাকার অঙ্কের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। তাঁর নামে ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা রয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। রয়েছে প্রচুর জমি। সব মিলিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। এক ঝলকে অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স দেখে মনে হতেই পারে কোনও ব্যবসাদার। কিন্তু, সামান্য একজন ছাপোষা কনস্টবলের এই সম্পত্তি বলে সকলেই অবেক হবে। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা হতবাক হয়েছিলেন বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে।

    কী কারণে কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হল?

    কেষ্টর দৌলতেই কনস্টেবল সায়গল হোসেন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু, মনোজিৎ বাগীশের মাথার উপর কোনও কেষ্ট নেই। তবুও, তিনি কোটিপতি। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারুইপুরে তাঁর ঝাঁ-চকচকে বাড়ি রয়েছে। প্রথমে হাওড়া সিটি পুলিশ ও তারপর হাওড়া গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত মনোজিৎ বর্তমানে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানায় কনস্টেবলের পদে চাকরি করছিলেন। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে নেমে ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের। বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার পর তাঁদের আশঙ্কা, তাঁর নামে আরও ফ্ল্যাট-সম্পত্তি থাকতে পারে। হিসাব বর্হিভূত অর্থে অভিযোগের তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে গ্রেফতার করে। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তাঁর কাছে এল তা নিয়ে তথ্য জানতেই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সূত্রের খবর, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পেশ করলে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। বীরভূম (Birbhum) জেলাজুড়ে তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। বারুইপুরের যে এলাকায় মনোজিৎ বাগীশ থাকেন, সেখানকার স্থানীয়দের বক্তব্য, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ক্রমশ বদলে যেতে থাকে তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি। কনস্টেবলের চাকরি পাওয়ার কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠলেন তা নিয়ে এলাকার চর্চাও চলত। তদন্তে আসল সত্য উদঘাটন হোক চাইছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: আপনি কি ‘ভারত গৌরব’ ট্রেনে দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে যেতে চান? প্যাকেজ কত জেনে নিন

    IRCTC: আপনি কি ‘ভারত গৌরব’ ট্রেনে দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে যেতে চান? প্যাকেজ কত জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনে সাফল্য পাওয়ার পর এবার দক্ষিণ ভারত সফরে ভারত গৌরব ট্রেনযাত্রা শুরু করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড (IRCTC)। শুক্রবার আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে রামপুরহাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণায় পর্যটকদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাসের আবহ। জেনে নিন কবে থেকে যাত্রা শুরু।

    যাত্রাপথ কেমন হবে (IRCTC)?

    আইআরসিটিসি (IRCTC) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা স্টেশন থেকে দক্ষিণ ভারত যাত্রার ভারত গৌরব ট্রেন ছাড়বে। ট্রেনটি তিরুপতি, মাদুরাই, রামেশ্বরম, কন্যাকুমারী, ত্রিরুবন্তপুরম সফর করবে। ১১ রাত্রি, ১২ দিন সফরের বিশেষ ট্রেনে ৩৩ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রেনটি তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। স্লিপার ক্লাসে রয়েছে ৫৮০ টি আসন। ৭০ টি আসন রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ৩ এসি এবং ১৪০ টি আসন রয়েছে কমফর্ট ৩ এসি। বিভিন্ন বিভাগের জন্য ২১৩০০, ৩৩৩০০ এবং ৩৬৪০০ টাকার প্যাকেজ রাখা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে ভাগলপুর, কাহালগাঁও, সাহেবগঞ্জ, বারহারওয়া, পাকুর, রামপুরহাট, বোলপুর-শান্তিনিকেতন, বর্ধমান, কলকাতা, খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর থেকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবেন। ফেরার সময় একই ভাবে ওই সমস্ত স্টেশনে যাত্রীদের নামানো হবে বলে জানা গেছে।

    চিফ সুপারভাইজারের বক্তব্য (IRCTC)

    সাংবাদিক সম্মেলনে আইআরসিটিসির (IRCTC) চিফ সুপারভাইজার কিঙ্কর রায় চৌধুরী রামপুরহাটে বলেন, “এটা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘দেখো আপনা দেশ’-এর অন্তর্গত একটি প্রকল্প। প্যাকেজের বাইরে অতিরিক্ত কোনও খরচ নেই। ট্রেনে যাত্রীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা থাকছে। থাকছে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা”।

    ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েটের বক্তব্য (IRCTC)

    এই সংস্থার (IRCTC) ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েট অমিত মিত্র বলেন, “পর্যটকদের সুবিধার্থে কিস্তিতে টাকা দেওয়া যাবে। বুক করা যাবে অনলাইনে। কলকাতার কয়লাঘাট স্ট্রিটে রেলের দফতরে গিয়েও বুকিং করা যাবে”। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার কৃষ্ণা কুমার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানকার বিধায়কের কারণে অনুব্রত মণ্ডল তিহারে! কেষ্ট হয়েছেন নীলকণ্ঠ আর তাঁর হয়ে কাজ করতেন এই তৃণমূল বিধায়ক। লাভপু্রের (Birbhum) জনসভায় ঠিক এই ভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনুপম হাজরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে বীরভূমের রাজনীতি সরগরম।

    সভায় কী বললেন অনুপম হাজরা (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে বিজেপির জনসভা ছিল। সেই জনসভায় অনুপম হাজরা, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ না করলেও, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার জেলে যাওয়ার জন্য লাভপুরের বিধায়ককে দায়ী করলেন। নাম না করে অনুপম হাজরা লাভপুরের বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনিই বীরভূমের পুলিশ-প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন! সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সাগরেদ হয়ে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৭২ জনের নামের তালিকা দিয়ে এসেছি দিল্লিতে। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কোনও গরু চোর জেলের বাইরে থাকবে না। কেষ্টবাবু যদি তিহারে যেতে পারেন, তাহলে এই বিধায়কের অন্ততপক্ষে আসানসোল, প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাঁর সীমান্ত পল্লির পিছনের বাড়ি ও জমি মিলিয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে আসা অনেক নেতার অল্প সময়ে অনেক সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত হবে।

    অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, আমার সাংসদ (Birbhum) তহবিল থেকে কেষ্ট মণ্ডল ২৫ কোটি টাকার জন্য ফাঁকা প্যাডে সই করতে বলেছিলেন। বর্তমানে এখানকার চালকল, টোল, ট্যাক্সি, অবৈধ ব্যবসায়ীরা কেষ্ট লবি থেকে রানা সিংয়ের লবিতে এসে ব্যাপক ফুলেফেঁপে উঠেছে। সকলের নামের লিস্ট দিল্লিতে জমা দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ধরপাকড় শুরু হবে।

    তৃণমূলের লাগাতার হিংসার বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জনসভা (Birbhum) থেকে তৃণমূলের যেসব নেতা বিজেপি কর্মীদের মারধর অত্যাচার করছেন, তাঁদের উদ্দশে কড়া বার্তা দেন অনুপম হাজরা। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কখনই হরণ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে বলেন, তৃণমূলের ভোট লুণ্ঠনকারী দুষ্কৃতীদের কী ওষুধ লাগবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চোরদের রাস্তায় বেঁধে সঠিক শাস্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকারের সঙ্গে বঞ্চনা হলে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষ আইন তুলে নেবেনই। এই সরকারের পতন নিশ্চিত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে গেল জামাই। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের ঘটনা। জখম ব্যক্তির নাম মঙ্গল বায়েন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী জামাই অনুপ বায়েন পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কী আসছে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গুলিতে জখম মঙ্গলবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার এলাকায়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে ষাটপলসার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বায়েনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর জামাই কিছুদিন ঘর জামাই ছিলেন। শ্বশুরে ট্রাক্টর চালাতেন। জমি জায়গা দেখাশুনা করতেন। কিন্তু, সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের বচসা হয়। অনুপ শ্বশুরবাড়়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে, তাকে ডেকে পাঠানো হলেও সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় অনুপ রেগে যায়। পরে, সে চলে যায়। শনিবার রাতে ট্রাক্টর চালিয়ে মঙ্গলবাবু বাড়ি ফেরার পথেই মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের কাছে উওর মাঝারি পাড়ার মাঠের মাঝখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিবরণ জানতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, মল্লারপুর থানার অফিসার ইন চার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মঙ্গলবাবুর এক আত্মীয় স্বপন দাস বলেন, পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল বাবার। জামাইয়ের সঙ্গে অশান্তি লাগ। তারজন্য এভাবে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করবে তা ভাবতে পারছি না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সাফল্যের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) নামিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে দেশ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্ৰ তথা ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। আর এই সাফল্যে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। তিনিও চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর নেপথ্যে থাকা ইসরোর অন্যতম বিজ্ঞানীদের একজন। আর তাতেই আরও গর্বিত বীরভূমবাসী।

    কী বললেন বিজ্ঞানী বিজয় দাইয়ের মা?

    বীরভূমের মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার তফশিলি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম বিজয়ের। দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছেন। চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) পাঠানোর এই কর্মযজ্ঞে সামিল হন তিনি। চন্দ্রযানের ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য বিজয়। ইসরোর বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে বিজয়ের অংশগ্রহণে গর্বিত তাঁর বাবা-মা ও গ্রামের বাসিন্দারা। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশি বীরভূমবাসী। আনন্দে আত্মহারা বিজয়ের মা শ্যামলী দাই। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে হচ্ছে বিজয়। ছেলের এ হেন সাফল্য তিনি বলেন, বুধবার বিকেল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ ছিল। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামতেই আমার গর্বে বুক ভরে ওঠে। কারণ, এতবড় কর্মযজ্ঞে আমার ছেলে নিজে সেখানে রয়েছে। তাদের সকলের এই পরিশ্রমে এই সাফল্য।

    বিজ্ঞানী বিজয় দাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পদযাত্রা করল স্কুলের পড়ুয়ারা

    ২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এরপর চাকরি পেয়ে যান ইসরোয়। সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন বিজয়। ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি তাঁর স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বিজয়বাবুর স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা এলাকায় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাকায় পদযাত্রা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share