Tag: Birbhum

Birbhum

  • Birbhum: অজয় নদে হড়পা বানে ভেঙে গেলে সেতু! বিচ্ছিন্ন বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগ

    Birbhum: অজয় নদে হড়পা বানে ভেঙে গেলে সেতু! বিচ্ছিন্ন বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদে হঠাৎ হড়পা বান। এই হড়পা বানের ফলে মাঝ নদের মধ্যেই আটকে গেল পাথর বোঝাই ডাম্পার। প্রাণে বাঁচলো চালক-খালাসি। কাজ চলছিল নদের উপরে অস্থায়ী সেতুর। কিন্তু আচমকা জলের স্রোতে সব ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়ে নদের উপর অস্থায়ী সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল বীরভূম-বর্ধমানের। নির্মাণের কর্মীরা কোনও রকমে প্রাণ বাঁচালেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। রাজ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নদের জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া দফতর থেকে বেশ কিছু জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কীভাবে হড়পা বান (Birbhum)?

    রাজ্যে শনিবার সকালে জয়দেব থেকে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা শিবপুরের দিকে আসছিল একটি ডাম্বার। পথে অজয় (Birbhum) নদের অস্থায়ী সেতু অতিক্রম করার সময়, এই পাথর বোঝাই ছয় চাকার ডাম্পার, হড়পা বানের কবলে পড়ে যায়। বান আসলে নদের জলের স্তর বৃদ্ধি হতে শুরু করে। এই নদের উপর তৈরি হচ্ছিল অস্থায়ী সেতু, যা কার্যত ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে ডাম্পারটি মাঝ নদের আটকে পড়ে। সাঁতার কেটে কোনও ক্রমে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যান চালক ও খালাসী। একই ভাবে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কর্মীরাও সাঁতার কেটে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছান। এই নদের অস্থায়ী সেতু বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানের মধ্যে সংযোগের একটা বিশেষ রাস্তা ছিল। হড়পা বানের কারণে দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) অবনী মজুমদার বলেন, “এই নদ ক্ষ্যাপা নদ। এই জল আসছে আবার চলেও যাচ্ছে। বানের কারণে সেতু ভেঙে গেছে। চলাচল করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতার ভোটের সময় প্রতুশ্রুতি দেন বটে, কিন্তু কাজের কথা পরে ভুলে জান। আমরা চাই এই নির্মীয়মাণ সেতু দ্রুত তৈরি হোক”। আরেক বাসিন্দা গোঁসাই বাগদী বলেন, “নদের জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পাথর বোঝাই ডাম্বার আটকে গেছে। তবে আজ যাঁরা ছিলেন সকলে বড় বিপত্তি থেকে রক্ষা পেলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় বিজেপি নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। তিন জন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে, নিজেদের মুখ আড়াল করে বিজেপির নেতাকে গুরুতর আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    জানা গেছে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার তপন এবং সুরফুলা গ্রামের কাছেই এক বিজেপি কর্মীকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই বিজেপি কর্মী যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি। আহত কর্মীর নাম সুজিত হালদার। মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আঘাত করলে ব্যাপক ভাবে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    গতকাল রাত ন’টার সময় সুজিত হালদার রামপুরহাট (Birbhum) থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময়ে আচমকা চারজন দুষ্কৃতী মুখের কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে কোপ দেয়। এছাড়াও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাতের ফলে শরীরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত হালদার বলেন, “আঘাত করার সময় দুষ্কৃতীরা বলেছে, তুই বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস না। ঠিক এই কথা বলতে বলতে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে আমাকে।”

    পুলিশে অভিযোগ

    এই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে মাড়গ্রাম (Birbhum) থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত বিজেপির হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আর এই জন্যই শাসক দল তাঁকে আটকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সুজিত সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁকে শাসক দল নিশানা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বান্ধবীকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল, কেন জানেন?

    Birbhum: বান্ধবীকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বান্ধবীকে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। নিজের নামে রয়েছে ১২টি ফিক্সড ডিপোজিট। এফডি-র  টাকার অঙ্কের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। তাঁর নামে ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা রয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। রয়েছে প্রচুর জমি। সব মিলিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। এক ঝলকে অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স দেখে মনে হতেই পারে কোনও ব্যবসাদার। কিন্তু, সামান্য একজন ছাপোষা কনস্টবলের এই সম্পত্তি বলে সকলেই অবেক হবে। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা হতবাক হয়েছিলেন বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে।

    কী কারণে কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হল?

    কেষ্টর দৌলতেই কনস্টেবল সায়গল হোসেন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু, মনোজিৎ বাগীশের মাথার উপর কোনও কেষ্ট নেই। তবুও, তিনি কোটিপতি। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারুইপুরে তাঁর ঝাঁ-চকচকে বাড়ি রয়েছে। প্রথমে হাওড়া সিটি পুলিশ ও তারপর হাওড়া গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত মনোজিৎ বর্তমানে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানায় কনস্টেবলের পদে চাকরি করছিলেন। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে নেমে ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের। বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার পর তাঁদের আশঙ্কা, তাঁর নামে আরও ফ্ল্যাট-সম্পত্তি থাকতে পারে। হিসাব বর্হিভূত অর্থে অভিযোগের তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে গ্রেফতার করে। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তাঁর কাছে এল তা নিয়ে তথ্য জানতেই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সূত্রের খবর, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পেশ করলে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। বীরভূম (Birbhum) জেলাজুড়ে তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। বারুইপুরের যে এলাকায় মনোজিৎ বাগীশ থাকেন, সেখানকার স্থানীয়দের বক্তব্য, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ক্রমশ বদলে যেতে থাকে তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি। কনস্টেবলের চাকরি পাওয়ার কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠলেন তা নিয়ে এলাকার চর্চাও চলত। তদন্তে আসল সত্য উদঘাটন হোক চাইছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: আপনি কি ‘ভারত গৌরব’ ট্রেনে দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে যেতে চান? প্যাকেজ কত জেনে নিন

    IRCTC: আপনি কি ‘ভারত গৌরব’ ট্রেনে দক্ষিণ ভারত ভ্রমণে যেতে চান? প্যাকেজ কত জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শনে সাফল্য পাওয়ার পর এবার দক্ষিণ ভারত সফরে ভারত গৌরব ট্রেনযাত্রা শুরু করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড (IRCTC)। শুক্রবার আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে রামপুরহাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণায় পর্যটকদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাসের আবহ। জেনে নিন কবে থেকে যাত্রা শুরু।

    যাত্রাপথ কেমন হবে (IRCTC)?

    আইআরসিটিসি (IRCTC) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা স্টেশন থেকে দক্ষিণ ভারত যাত্রার ভারত গৌরব ট্রেন ছাড়বে। ট্রেনটি তিরুপতি, মাদুরাই, রামেশ্বরম, কন্যাকুমারী, ত্রিরুবন্তপুরম সফর করবে। ১১ রাত্রি, ১২ দিন সফরের বিশেষ ট্রেনে ৩৩ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ট্রেনটি তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। স্লিপার ক্লাসে রয়েছে ৫৮০ টি আসন। ৭০ টি আসন রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ৩ এসি এবং ১৪০ টি আসন রয়েছে কমফর্ট ৩ এসি। বিভিন্ন বিভাগের জন্য ২১৩০০, ৩৩৩০০ এবং ৩৬৪০০ টাকার প্যাকেজ রাখা হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে ভাগলপুর, কাহালগাঁও, সাহেবগঞ্জ, বারহারওয়া, পাকুর, রামপুরহাট, বোলপুর-শান্তিনিকেতন, বর্ধমান, কলকাতা, খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, কটক, ভুবনেশ্বর থেকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবেন। ফেরার সময় একই ভাবে ওই সমস্ত স্টেশনে যাত্রীদের নামানো হবে বলে জানা গেছে।

    চিফ সুপারভাইজারের বক্তব্য (IRCTC)

    সাংবাদিক সম্মেলনে আইআরসিটিসির (IRCTC) চিফ সুপারভাইজার কিঙ্কর রায় চৌধুরী রামপুরহাটে বলেন, “এটা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘দেখো আপনা দেশ’-এর অন্তর্গত একটি প্রকল্প। প্যাকেজের বাইরে অতিরিক্ত কোনও খরচ নেই। ট্রেনে যাত্রীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা থাকছে। থাকছে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা”।

    ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েটের বক্তব্য (IRCTC)

    এই সংস্থার (IRCTC) ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েট অমিত মিত্র বলেন, “পর্যটকদের সুবিধার্থে কিস্তিতে টাকা দেওয়া যাবে। বুক করা যাবে অনলাইনে। কলকাতার কয়লাঘাট স্ট্রিটে রেলের দফতরে গিয়েও বুকিং করা যাবে”। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার কৃষ্ণা কুমার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    Birbhum: “লাভপুরের বিধায়কও আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যাবেন” বিস্ফোরক অনুপম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখানকার বিধায়কের কারণে অনুব্রত মণ্ডল তিহারে! কেষ্ট হয়েছেন নীলকণ্ঠ আর তাঁর হয়ে কাজ করতেন এই তৃণমূল বিধায়ক। লাভপু্রের (Birbhum) জনসভায় ঠিক এই ভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক অনুপম হাজরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে বীরভূমের রাজনীতি সরগরম।

    সভায় কী বললেন অনুপম হাজরা (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরে বিজেপির জনসভা ছিল। সেই জনসভায় অনুপম হাজরা, লাভপুর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার নাম উল্লেখ না করলেও, অনুব্রত মণ্ডলের তিহার জেলে যাওয়ার জন্য লাভপুরের বিধায়ককে দায়ী করলেন। নাম না করে অনুপম হাজরা লাভপুরের বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনিই বীরভূমের পুলিশ-প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন! সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সাগরেদ হয়ে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ৭২ জনের নামের তালিকা দিয়ে এসেছি দিল্লিতে। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কোনও গরু চোর জেলের বাইরে থাকবে না। কেষ্টবাবু যদি তিহারে যেতে পারেন, তাহলে এই বিধায়কের অন্ততপক্ষে আসানসোল, প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তাঁর সীমান্ত পল্লির পিছনের বাড়ি ও জমি মিলিয়ে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে আসা অনেক নেতার অল্প সময়ে অনেক সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত হবে।

    অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে কী বললেন?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, আমার সাংসদ (Birbhum) তহবিল থেকে কেষ্ট মণ্ডল ২৫ কোটি টাকার জন্য ফাঁকা প্যাডে সই করতে বলেছিলেন। বর্তমানে এখানকার চালকল, টোল, ট্যাক্সি, অবৈধ ব্যবসায়ীরা কেষ্ট লবি থেকে রানা সিংয়ের লবিতে এসে ব্যাপক ফুলেফেঁপে উঠেছে। সকলের নামের লিস্ট দিল্লিতে জমা দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ধরপাকড় শুরু হবে।

    তৃণমূলের লাগাতার হিংসার বিরুদ্ধে কী বললেন?

    এদিন জনসভা (Birbhum) থেকে তৃণমূলের যেসব নেতা বিজেপি কর্মীদের মারধর অত্যাচার করছেন, তাঁদের উদ্দশে কড়া বার্তা দেন অনুপম হাজরা। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কখনই হরণ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে বলেন, তৃণমূলের ভোট লুণ্ঠনকারী দুষ্কৃতীদের কী ওষুধ লাগবে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝে গেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চোরদের রাস্তায় বেঁধে সঠিক শাস্তি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি আরও বলেন, মানুষের অধিকারের সঙ্গে বঞ্চনা হলে প্রতিবাদী সাধারণ মানুষ আইন তুলে নেবেনই। এই সরকারের পতন নিশ্চিত।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে গেল জামাই। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের ঘটনা। জখম ব্যক্তির নাম মঙ্গল বায়েন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী জামাই অনুপ বায়েন পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কী আসছে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গুলিতে জখম মঙ্গলবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার এলাকায়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে ষাটপলসার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বায়েনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর জামাই কিছুদিন ঘর জামাই ছিলেন। শ্বশুরে ট্রাক্টর চালাতেন। জমি জায়গা দেখাশুনা করতেন। কিন্তু, সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের বচসা হয়। অনুপ শ্বশুরবাড়়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে, তাকে ডেকে পাঠানো হলেও সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় অনুপ রেগে যায়। পরে, সে চলে যায়। শনিবার রাতে ট্রাক্টর চালিয়ে মঙ্গলবাবু বাড়ি ফেরার পথেই মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের কাছে উওর মাঝারি পাড়ার মাঠের মাঝখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিবরণ জানতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, মল্লারপুর থানার অফিসার ইন চার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মঙ্গলবাবুর এক আত্মীয় স্বপন দাস বলেন, পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল বাবার। জামাইয়ের সঙ্গে অশান্তি লাগ। তারজন্য এভাবে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করবে তা ভাবতে পারছি না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের নেপথ্যে বীরভূমের কৃষক সন্তান, কৃতি বিজ্ঞানীর গর্বে পদযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সাফল্যের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) নামিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। বুধবার সন্ধ্যায় মহাকাশ বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে দেশ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্ৰ তথা ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। আর এই সাফল্যে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। তিনিও চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর নেপথ্যে থাকা ইসরোর অন্যতম বিজ্ঞানীদের একজন। আর তাতেই আরও গর্বিত বীরভূমবাসী।

    কী বললেন বিজ্ঞানী বিজয় দাইয়ের মা?

    বীরভূমের মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার তফশিলি দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম বিজয়ের। দারিদ্রতাকে জয় করে তিনি ইসরোর বিজ্ঞানী হয়ে উঠেছেন। চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) পাঠানোর এই কর্মযজ্ঞে সামিল হন তিনি। চন্দ্রযানের ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য বিজয়। ইসরোর বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে বিজয়ের অংশগ্রহণে গর্বিত তাঁর বাবা-মা ও গ্রামের বাসিন্দারা। চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশি বীরভূমবাসী। আনন্দে আত্মহারা বিজয়ের মা শ্যামলী দাই। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলে হচ্ছে বিজয়। ছেলের এ হেন সাফল্য তিনি বলেন, বুধবার বিকেল থেকেই টিভির পর্দায় চোখ ছিল। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ নামতেই আমার গর্বে বুক ভরে ওঠে। কারণ, এতবড় কর্মযজ্ঞে আমার ছেলে নিজে সেখানে রয়েছে। তাদের সকলের এই পরিশ্রমে এই সাফল্য।

    বিজ্ঞানী বিজয় দাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকায় পদযাত্রা করল স্কুলের পড়ুয়ারা

    ২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। এরপর চাকরি পেয়ে যান ইসরোয়। সেখানেই চন্দ্রযান-২ এবং চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণ করেন বিজয়। ছাত্রের এই সাফল্যে খুশি তাঁর স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার বিজয়বাবুর স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা এলাকায় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এলাকায় পদযাত্রা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত লালন শেখের বাড়ির কাছে উদ্ধার হল বোমা, চাঞ্চল্য

    Birbhum: বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মৃত লালন শেখের বাড়ির কাছে উদ্ধার হল বোমা, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) বগটুইয়ে নিহত লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার হল বোমা। বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লালন। সিবিআই হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে সেই লালন শেখের বাড়ির বাগান থেকে প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় লালন শেখের বাড়ি। বাড়ির সামনেই বাগান থেকে উদ্ধার হয় বোমা। বাগানের মাটিতে গর্ত করে বোমাগুলি রাখা ছিল। পরে, বোমাগুলি উদ্ধার করে একটি প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা হয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূমের (Birbhum) বগটুই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুনের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এই খুনের প্রতিশোধ নিতে সেদিন রাতেই বগটুই গ্রামে গণহত্যা চলে। গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। দীর্ঘ সময় গা ঢাকা দিয়েছিলেন লালন। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে। সেই সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই গত বছর ১২ ডিসেম্বর তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাথরুমে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালনের। বগটুইয়ের ঘটনার পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। পরে যদিও আদালতের নির্দেশে তা খুলেও দেওয়া হয়। সেই বাড়িরই সামনে বাগান থেকে উদ্ধার হয় বোমা। পুলিশ এসে বোমাগুলি উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।

    বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল এই বোমা মজুত করে রেখেছিল। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূলের রামপুরহাট-১ ব্লকের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, এই ধরনের ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: মহম্মদবাজারে এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    Birbhum: মহম্মদবাজারে এক ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাথর ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার থানার সেরেন্ডা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যবসায়ীর নাম তাপস দাস (৩৩)। তিনি কেন্দ্রসরাল গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপসবাবুর হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল। পরিশ্রম করে গত কয়েক বছরে বীরভূমে (Birbhum) পাথর খাদান, জীবন বিমার এজেন্ট হিসাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রতিদিনের মতো দোকান থেকে নিজের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেরেন্ডা গ্রামের কাছে আকটি বটতলার পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর দেন এক গ্রামবাসী। পরে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাথর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ীর পেটে একটি ও ঘাড়ে দু’টি গুলির চিহ্ন আছে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা?

    মৃত ব্যবসায়ীর ভাই রাজু বলেন, দাদা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শুনেই আমরা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দশন্দরিয়া ও সেরেন্ডার মাঝামাঝি একটি ফাঁকা রাস্তার মাঝে বটতলার পাশে পড়েছিল দাদা। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে দেখে হাসপাতালে ভর্তি করি। দাদা কোনও কথা বলতে পারেনি। ভর্তির পরে দাদা মারা যায়। হাসপাতালে এসে আমরা বুঝতে পারি দাদাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন খুন করা হল বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বীরভূম (Birbhum) জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)। ফের উদ্ধার প্রচুর জিলোটিন স্টিক। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরকগুলি কে বা কারা মজুত করল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কোথায় থেকে উদ্ধার হল জিলোটিন স্টিক?

    রবিবার সকালে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের রদিপুরের কাছে আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রায় ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার পিস জিলোটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কে বা কারা পরিত্যক্ত বাড়িতে জিলোটিন স্টিক মজুত করে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বিপুল পরিমাণ জিলোটিন স্টিক মজুতের নেপথ্যে ছকই বা কী ছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     এর আগে নলহাটিতে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিলোটিন স্টিক?

     গত ২৮ জুন সকালে আচমকাই বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাহাদুরপুরে তৃণমূল নেতা মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদানে হানা দেয় এনআইএ আধিকারিকরা। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘন্টা সেখানে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সেই সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই খাদানের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণ জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। এরপর পুনর্নির্বাচনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষকে জেরা করে বীরভূমের কুশমোড়ের ইসলাম চৌধুরীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ রয়েছে। কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তিনি। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় এনআইএ। ইসলাম চৌধুরীকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রামপুরহাট থেকে জিলোটিন স্টিক উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share