Tag: Birbhum

Birbhum

  • Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    Panchayat Poll: এনআইএ হানায় তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে মিলল প্রচুর বিস্ফোরক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার পাশের জেলা বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূল প্রার্থীর খাদানের একটি বাড়ি থেকে মিলল প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে নলহাটির বাহাদুরপুরে হানা দেয় এনআইএ। তাঁর বাড়ি থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তৃণমূল প্রার্থী। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান রয়েছে, তার বেশিরভাগের কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই নলহাটি এলাকার কোন কোন এলাকায় বিস্ফোরক মজুত রয়েছে তার তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। সেভাবেই বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকার একটি পাথর খাদানে হানা দেয়। সেখানকার অফিসটি এলাকার পাথর ব্যবসায়ী তথা এবারের প্রার্থী মনোজ ঘোষের। বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সে সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে সঙ্গে নিয়েই পিছনের একটি প্রায় পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সাড়ে আট ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে দুটি ব্যাগে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায় এনআইএ। তবে তাতে কত পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা জানা যায়নি। যাওয়ার আগে ঘর দুটি সিলও করে দিয়ে যায় এনআইএ। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির মধ্যে থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার জেরে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। একটি পরিত্যক্ত ঘরে কী উদ্ধার করল এনআইএ, তা তাঁরা জানেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll) আগে চক্রান্ত করে তৃণমূলকে জড়িয়ে জেলায় আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণার পরে জেলা জুড়ে অস্ত্র, হাত বোমা উদ্ধার হচ্ছে। যা মজুত করছে তৃণমূল। পুলিশ সব জেনেও চুপ। কেন্দ্রীয় দল এসে উদ্ধার করছে। পুলিশ সেখানে নীরব কেন? তিনি দাবি করেন, সারা জেলায় কোনায় কোনায় প্রচুর বোমা, অস্ত্র মজুত আছে। ভোটের আগে এভাবে অস্ত্র উদ্ধার তারই প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Birbhum: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের (Birbhum) দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবার বীরভূমে না থাকলেও থেমে নেই বিরোধীদের উপর শাসক ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। জেলা জুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর চলছে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচার। একের পর এক স্থানে হচ্ছে বোমা উদ্ধার। পাশাপাশি চলছে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে দুষ্কৃতীদের হুমকি। একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বীরভূমের বিজেপি জেলার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্য দিকে জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের সুযোগে, ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে বিজেপি।

    নির্বাচন কমিশনের কাছের বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজাপি

    মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে এক দিকে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার জেলায় (Birbhum) যেভাবে বোমা উদ্ধার হচ্ছে, এইসব একাধিক বিষয় নিয়ে আজ বিজেপির জেলা প্রতিনিধি দল এলেন জেলা নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর জেলা প্রশাসন ভবনে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, অনুব্রত না থাকলেও বীরভূমের অবস্থার কোনও বদল ঘটেনি। তিনি বলেন, নানুরে দেখেছেন আপনারা কীভাবে আমাদের জেলার দায়িত্ত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়িকে ভাঙচুর করা হয়েছে! আমাদের প্রার্থীদের উপর দুষ্কৃতীরা দিকে দিকে হিংসাত্মক আক্রমণ করছে। জেলার মধ্যেই কিছু পুলিশের উদ্যোগে বোমা বারুদ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। রাজ্যে কোনও রকম ভাবেই গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বললেন তিনি। গোটা বীরভূম জেলায় এখনও প্রচুর বোমা বারুদ বন্দুক লুকিয়ে রাখা হয়েছে। নির্বাচনের দিন এই বিপুল অবৈধ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন ধ্রুববাবু। রাজ্যের এই নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, এই কথা জানিয়ে আমরা জেলার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছি বলে জানান তিনি।

    ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে বিজেপি

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার অভিযোগে বিরোধীরা নির্বাচনে সরব হয়েছেন। অপর দিকে, শাসক দলের মধ্যেও তৃণমূলের অন্দরে বঞ্চনার কথা বলে গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে একে একে অনেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করছেন। কেউ কেউ আবার তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান করে নির্বাচনে লড়াই করছেন। বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ অসিত মালের ভাইপো এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সম্প্রতি বিজপিতে যোগদান করছেন। সুতরাং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সুযোগে, বিজেপি জেলায় নিজের ঘরকে গুছিয়ে নিয়ে আরও শক্তিশালী হতে চাইছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশ। এখন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হয়, সেটাই দেখার বিষয়।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নে বাধা! আক্রান্ত বিরোধী প্রার্থীরা, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: মনোনয়নে বাধা! আক্রান্ত বিরোধী প্রার্থীরা, গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের কীর্ণাহারে সিপিআইএমের নেত্রীদের হেনস্থা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার নানুর বিডিও অফিসে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআইএম নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় পথ আটকে তাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে নানুর ও কীর্ণাহার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ চলছে। বীরভূম জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে নানুরে। এদিন, কীর্ণাহার থেকে নানুর ব্লক অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিআইএমের নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, কীর্ণাহার বাসস্ট্যান্ডের কাছে বাঁশ-লাঠি নিয়ে পথ আটকায় তৃণমূলের লোকজন। সিপিআইএমের নেত্রীদের হেনস্থা সহ অন্যান্য কর্মীদের মারধর করা হয়। ইট ছুঁড়ে ভেঙে দেওয়া হয় একটি গাড়ি। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নানুরে সিপিআইএমকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার স্পষ্ট বলছেন বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া যাবে না। মানুষকে ভোটাধিকার দিতে হবে। তারপরেও বীরভূমের দিকে দিকে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা, মারধর, হেনস্থার অভিযোগ উঠে আসছে।

    কী বললেন আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী?

    সিপিআইএম প্রার্থী সুনয়নী ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েতে নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে নানুরে যাচ্ছিলাম। সেই সময় তৃণমূলের লোকজন আমাদের রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। আমরা আপত্তি জানালে আমাদের মারধর করা শুরু করে। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে ওরা। তৃণমূলীদের হামলার কারণে আমরা আর মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। সকলেই ফিরে আসি। আমরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার কোর কমিটির নেতা কাজল সেখ বলেন,‘‘যাঁরা আজ বামেদের উপর হামলা চালিয়েছেন, তাঁরা কেউই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নন। যাঁরা আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মানবেন না, তাঁদের দলে থাকারও কোনও অধিকার নেই। আমি পুলিশকে বলেছি, তারা যাতে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে বীরভূমে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। জেলায় কোর কমিটি গঠন করে সংগঠন মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এসব করার পরও অনুব্রতের গড়ে তৃণমূলের বড়সড়় ভাঙন ধরাল বিজেপি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে। এর আগেও এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক দলত্যাগের ঘটনায় এই জেলায় ফের অস্বস্তিতে শাসক দল।

    বিজেপিতে কারা যোগ দিলেন?

    ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে ভাঙন ধরবে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মূলত, এই এলাকায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, দলের অন্য পক্ষ তাঁদের মেনে নিতে পারছে না। প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। এদিন দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শিউলি দে-এর নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন কর্মী ও সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে শিউলি দে বলেন, তৃণমূল চোরের দল। এই দল আর করা যায় না। তাই কয়েকশো কর্মী, সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা বলেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) এখন জেলে। জেলায় তৃণমূলের এখন ছন্নছাড়া অবস্থা। এই এলাকায় আমাদের সংগঠন মজবুত। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের প্রধান সহ বহু কর্মী, সমর্থক আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    মাইক হাতে রাস্তায় নেমে কী বার্তা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক?

    এতদিন পর বিরোধীদের কথা মনে পড়ল শাসক দলের বিধায়কের! ২০১৩, ২০১৮ সালে লাভপুর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য ছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপি সহ বিরোধীরা কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। বলা ভালো, প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। সেই লাভপুরে কি না তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ রবিবার মাইক হাতে নিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। শাসক দলের নেতার এই ভিজে বিড়ালের মতো পাল্টি খাওয়া দেখে এলাকার লোকজনও হাসাহাসি শুরু করেছেন। অনেকে আড়ালে আবডালে বলতে শুরু করেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) এখন জেলে। বিপাকে পড়ে বিধায়ক এখন এই ভেক ধারণ করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, বিরোধীরা যেন মনোনয়ন জমা দেয়। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী বাধা দেয় বা আটকানোর চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সেই কর্মী বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তেমনি প্রশাসনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP:  অনুব্রতের গড়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না শতাধিক বিজেপি প্রার্থী, কেন জানেন?

    BJP: অনুব্রতের গড়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না শতাধিক বিজেপি প্রার্থী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ ব্লক অফিসে কোনও ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী দলের বহু প্রার্থী মনোনয়ন জমা না দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের রামপুরহাট-২ ব্লকেও একই ঘটনা ঘটে। সেখানেও ব্লক অফিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না বিজেপির শতাধিক প্রার্থী। যদিও এর পিছনে শাসক দলের চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?

    শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন। কিন্তু প্রথম দিনেই ঘটল বিপত্তি। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দিয়ে রশিদ কেটে ফর্ম তুলেও জমা দিতে পারলেন না রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের শতাধিক বিজেপি (BJP) প্রার্থী। বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী স্বাত্তিক দাস, সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বনাথ লেট বলেন, “আমরা বিডিও অফিসে গিয়ে রশিদ কেটে টাকা জমা দিই। এরপর ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে গেলে আধিকারিকরা নিতে অস্বীকার করেন। ফর্ম যাচাই করার প্রশিক্ষণ নেই বলে তাঁরা আমাদের জানান। তাই মনোনয়নপত্র জমা নেননি। রাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর ফর্ম জমা নেওয়ার কথা তাঁরা বলেন”।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপি (BJP) নেতা তারক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যার কথা শুনে আমরা বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম। দেখলাম তিনি ঠান্ডা ঘরে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে গল্প করছেন। অনেকক্ষণ পর আমরা অফিসে ঢুকে বিডিওর সঙ্গে কথা বলি। তিনিও বলেন ‘তাঁর কাছে কোনও ডেমো ফর্ম নেই। ফর্ম পূরণের জন্য তিনি কখনও দোতলায় আবার কখনও তিনতলায় পাঠান। সারাদিন ধরে হয়রানি করেও ফর্ম জমা দেওয়া গেল না। কেউ কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। আমরা এর পিছনে চক্রান্তের হাত দেখছি। আমরা এনিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাব”।

    প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    রামপুরহাট-২ ব্লকের বিডিও রাজীব পোদ্দার বলেন, “এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার মহকুমা শাসক বলবেন”। মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস বলেন, “প্রার্থীরা ডেমো ফর্ম চাইছিলেন। সেটা আমাদের কাছে নেই। প্রশিক্ষণ নেই এটা ঠিক নয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। বাড়িতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়। সামান্য বেতনের একজন চাকরিজীবী হয়ে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কে এই বিদ্যুৎবরণ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। ২০০৮ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। পরে, পদোন্নতি হয়ে গাড়ির চালক হন। বুধবার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে অস্থায়ী শিবির করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা রয়েছেন। মূলত অনুব্রতর জাল কতদূর পর্যন্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করতেই এদিন সিবিআই হানা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎবরণ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। অনুব্রতর ক্ষমতা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁকে সব সময় দেখা যেত। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। পরে, তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবার সিবিআই আর তাঁকে সময় দেয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতে দুজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা জেলার কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করেছেন। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই লেনেদেনের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম শিস মহম্মদ ওরফে ডালিম। তিনি তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি। আর তাঁকেই কিনা বিদ্যুতের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে চলছে মারধর। গ্রামবাসীরা সকলেই সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজার থানার ভগবতী বাজার এলাকায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শাসক দলের নেতাকে মারধর করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে বেঁধে রেখে কেন এমনটা করলেন গ্রামবাসীরা?

    বীরভূমের ইলামবাজারের নানাশোল অঞ্চলের খাদিমপুকুর গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি হচ্ছেন ডালিম। তাঁর সঙ্গে ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামবাসীদের মধ্যে চর্চা হচ্ছিল। কিন্তু, কেউ তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পাননি বলে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেননি। আর শাসক দলের নেতার নামে কোনও অপবাদ দেওয়ার পর তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে তার পরিণাম খারাপ হতে পারে, সেটা এলাকাবাসী জানতেন। তাই এলাকার মানুষ এতদিন ওৎ পেতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন ঘিরে ধরেন। এরপরই বিদ্যুতের খুঁটিতে ওই তৃণমূল নেতা ও মহিলাকে বেঁধে রেখে চলে মারধর। গ্রামবাসীদের অনেক বলেন, ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হোক। ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করার কথাও বলা হয়। যদিও আপাতত তাঁরা সেই পথে যাননি। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা জানাজানি হতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। দলগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, দলই তা নেবে। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: গোষ্ঠী কোন্দল? ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে

    Birbhum: গোষ্ঠী কোন্দল? ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ দুবরাজপুরের (Birbhum) নেতাকে৷ তৃণমূলের শুরু থেকেই দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতি ছিলেন ভোলা মিত্র৷ রবিবার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্ব বীরভূম কোর কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “দুবরাজপুরের ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হল। ওখানে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে৷”

    বিজেপির দখলে এই বিধানসভায় ১৫ জনের কমিটি (Birbhum)

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের ১১ টি বিধানসভার মধ্যে দুবরাজপুর (Birbhum) বিজেপির দখলে৷ তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল৷ পরিবর্তে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়৷ তারমধ্যে ২ জন আহ্বায়ক। এদিন বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, বিধানসভার উপ-অধ্যক্ষ আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলা (Birbhum) সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ, বিশ্ববিজয় মাড্ডি৷ গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে পদে বহাল রেখে জেলার সাংগঠনিক কার্য পরিচালনার জন্য ৯ জনের কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বীরভূমের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে৷ পর্যবেক্ষক হওয়ার পর এই প্রথম তিনি বীরভূমের (Birbhum) কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে জেলা কমিটির বৈঠকেও যোগ দেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, পুর প্রধান সহ জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী।

    দলেই থাকব, বললেন ভোলা মিত্র

    পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তৃণমূল নেতা (Birbhum) ভোলা মিত্র বলেন, “দল যা ভালো বুঝবে করবে৷ আমি দলে আছি, দলেই থাকব৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: অনুব্রত মণ্ডলকে পরমাণু বিজ্ঞানী কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলায় মাঝে মধ্যে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় বোমা পাওয়া যাচ্ছে। শনিবারও লাভপুরে বোমা পাওয়া গিয়েছে। বগটুইয়ে বোমা উদ্ধার হয়েছে। সদাইপুরে কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বার বার বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বোমার কেন্দ্র ভূমি এটা। এখানে বড়  বড় বিজ্ঞানী ছিলেন। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। তাঁর নাম অনুব্রত মণ্ডল। তিনি পরমাণু বিজ্ঞানী। তাঁর জায়গায় বোমা পাওয়া যাবে না কি ফুল পাওয়া যাবে? প্রশাসন একেবারে ভেঙে পড়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে কোর্ট, বললেন  সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যটা কোর্ট চালাচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি থাকবে না এটা কোর্টই ঠিক করবে বলে আমার মনে হয়”। প্রসঙ্গত, শনিবার থেকে দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

    অভিষেকের কনভয় হানা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আর পিসি ভাইপো এখন ভয় পেলেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। ওদের এখন বিজেপি ফোবিয়া হয়ে গিয়েছে। আর হামলাটা কে করেছে সেটা দেখা দরকার।” অভিষেকের কনভয়ের আক্রমণ বিজেপির কাজ নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “ওকে বিজেপি মারতে যাবে কেন? ও তো মরাই। আজ নয় কাল সিবিআই টেনে নিয়ে যাবে”।

    বেসুরো অর্জুন সিংকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বারাকপুরে শ্যুট আউট কাণ্ডে সাংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, “সময় আছে। অপেক্ষা করুন। আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে। যারা এখন সুরে গাইছেন, যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূল মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। যে দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, সেটা সরকারের ব্যর্থতা”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলকে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হবে না। ওরা আগে মদন, অর্জুন, ফিরহাদদের সঙ্গে লড়াই করুক। তারপর বিজেপির সঙ্গে করবে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী সংশয় প্রকাশ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনওভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকরবাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share