Tag: Birbhum

Birbhum

  • Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot)! এবারও ঘটনাস্থল সেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খাসতালুক বীরভূম। শুক্রবার দিদির দূত হয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন সিউড়ির বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) বিকাশ রায় চৌধুরী। আবাস দুর্নীতি ইস্যুতে স্থানীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকরা। বিকাশের সামনে তাঁরই বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের লোকজন। অস্বস্তি এড়াতে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে যান বিকাশ। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দিদির দূত…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সিউড়ির আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়েছিলেন বিকাশ। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছেন প্রধান। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে যান বিধায়ক। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পাশ কাটিয়ে চলে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাফাই গাইতে থাকেন প্রধান। তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। প্রধান বলেন, কে কী করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। এখন জব কার্ড হচ্ছে না। জব কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা এখন কারও নেই। অপপ্রচার চলছে।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    প্রধানের দাবি, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা বিরোধী দলের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ পরে অবশ্য স্থানীয় একটি ক্লাবে বসে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন বিধায়ক। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েই এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, দল তা নেবে।

    বিধায়কের পাশাপাশি এদিন জন-বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ তৃণমূলের শতাব্দী রায়। দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়ে এর আগেও একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। এদিন পড়লেন ফের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা ও পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পরে গ্রামে গেলে সেখানেও সাংসদকে ঘিরে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জন-মন যাচাই করতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। তা যে এমন বুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Coal Smuggling: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    Coal Smuggling: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুলকি চালে চলছে মোষের গাড়ি। মোষের পিঠে লাঠির ঘা দিতে দিতে চালক বলছেন, হ্যাট, হ্যাট। মার খেয়ে জোরে গাড়ি টানার চেষ্টা করছে মোষ। বাঁশ আর চটে ঘেরা মোষের গাড়িতে  পাচার হচ্ছিল কয়লা (Coal Smuggling)। বস্তায় ভরা। ওপরে ছড়ানো ছিল খড়। এক ঝলক দেখলে মনে হয়, গবাদি পশুর খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে মোষের গাড়ি টানার ধরন দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। গাড়ি থামান তাঁরা। পুলিশ দেখে আঁধার রাতে গা ঢাকা দিয়েছেন মোষের গাড়ির চালকরা। খড় সরিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। দেখে, বস্তায় ভর্তি কয়লা। পরপর ছটি গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ১২ টন কয়লা। শুক্রবার গভীর রাতে ওই কয়লা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তা থেকে। ছটি গাড়ি ভর্তি কয়লা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    কয়লা পাচার…

    পুলিশ জানিয়েছে, দুবরাজপুরের সালুঞ্চি গ্রাম থেকে সদাইপুর এলাকা হয়ে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল ৬টি মোষের গাড়ি। সূত্র মারফত খবর পেয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মোষের গাড়িগুলিতে কয়লা বোঝাই রয়েছে। সেই মতো রেঙ্গুনি গ্রামের রাস্তায় ওত পেতেছিল পুলিশ। গাড়িগুলি ওই এলাকায় আসতেই সেগুলিকে আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত হয় কয়লা।

    এদিকে, কয়লা পাচার করতে গিয়ে মহম্মদবাজার থানার পুলিশের হাতে ধৃত এক ট্রাক চালক। ভুয়ো চালান কেটে ইসিএলের খনি থেকে কলয়া পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাক চালক যে চালান দেখান, তাতে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির নাম ছিল। যদিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই কয়লা তাঁর নয় বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পরে অবশ্য ওই কয়লা ঝাড়খণ্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে স্বীকার করেন ট্রাক চালক। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: বেনামি অ্যাকাউন্টে নথি কার? গরুপাচার কাণ্ডে আরও ঘনীভূত রহস্য

    এর আগেও বীরভূমের বিভিন্ন এালাকায় কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। লরি, পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি মোষের গাড়ি মায় বাইকে করেও কয়লা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। কয়লা পাচারকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করছে ইডি, সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে। তার পরেও রাশ টানা যায়নি কালো হীরে পাচারে। বীরভূম রয়েছে বীরভূমেই!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

     

  • Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালপাতায় সাজানো ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত। ভাতের পাশেই সাজানো অদিনের এঁচোড়ের তরকারি, মাছ, খাসির মাংস। দাওয়ায় পাতা এই পাতের আসনে যিনি বসে রয়েছেন তিনি বীরভূমের (Birbhum)  সাংসদ তৃণমূলের (TMC) শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। তাঁর ডানদিক বাঁদিকের আসনে বসেছেন তৃণমূলেরই আরও কয়েকজন নেতা। নেত্রী পাতে বসেই সযত্নে টেনে নিলেন ভাতের পাতা। সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে উঠল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা।

    অস্বস্তিপর্ব…

    পোজ দেওয়া শেষ হতেই পাত ছেড়ে শতাব্দী পড়লেন উঠে। খাবেন বলে যাঁরা এতক্ষণ ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন, তাঁরা খানিক থমকে গেলেন। অস্বস্তিপর্ব কাটিয়ে তাঁরা অবশ্য জমিয়ে খেলেন মাংসভাত। শুক্র-দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেল বিষ্ণুপুরে, এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। ঘটনার জেরে যারপরনাই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন ভাত না খেয়েই পাত ছেড়ে উঠে গেলেন, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ শতাব্দীর। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সাফাই, দিদি হয়তো বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থা! ভিসার জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে ভারতীয় মহিলা

    এদিন দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শতাব্দী। তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে করা হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। সেখানেই দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন শতাব্দী (Shatabdi Roy)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনবেন দলের নেতারা। সেই অনুযায়ী ময়দানে নেমেও পড়েছেন তাঁরা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমে গিয়ে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ছবি তোলার ছিল, তোলা হয়ে গিয়েছে, উঠে পড়েছেন। খেতে যে পারবেন না সে তো জানাই ছিল।

    এদিকে, এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। রামপুরহাটের মাড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন তিনি (Shatabdi Roy)। পরে বলেন, অনেকরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। তিনি বলেন, সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘‘শীত যেমন দেরিতে পড়ছে তেমনি কেষ্ট দেরিতে হলেও তিহার যাবে’’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘শীত যেমন দেরিতে পড়ছে তেমনি কেষ্ট দেরিতে হলেও তিহার যাবে’’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় থেকেই তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত ও তাঁর দলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,”বীরভূমে আজ এতটা রাস্তা এলাম কোথাও তো ঢাকের আওয়াজ শুনলাম না। উন্নয়নও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম না কেউ গুড়-বাতাসাও দিল না। একবছর আগেও ভাবতে পেরেছিলেন এটা? মিটিং মিছিল করতে দিত না। গাঁজা কেসে জেলে ঢোকাত। আজ দেখুন সেই অনুব্রতর হাল। কেমন লাগছে অনুব্রত বাবু?”

    কী বললেন অনুব্রত

    ডিসেম্বর প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ”আজ ২৭ ডিসেম্বর। ভরসা রাখুন। শীত যেমন একটু দেরিতে পড়ছে তেমনি এই ডাকাতটাও একটু পরে জেলে যাবে। আগে যাবে চড়াম চড়াম অনুব্রত।”তৃণমূলকে ঠোকা দিয়ে তিনি বলেন, ”যদি কেষ্ট মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী, সামান্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা মাইনে পাওয়া লোকের ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়, তাহলে ভাবুন মালিকের কত টাকা? মাছ বিক্রেতা তিহারে যাচ্ছে। তাঁর ভাই ভাইপো আরও অনেকে যাবে পিছনে। আপনারা ব্লিচিং দিয়ে এলাকায় এলাকায় গ্রামে গ্রামে ছোট চোর সাফাই করুন। আমরা বড় চোরদের তিহারে পাঠাব।”

    অনুব্রতর গড়ের হানা দিয়ে শাসক তৃণমূল থেকে বীরভূমের  বেতাজ বাদশার বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানান শুভেন্দু। শুভেন্দুর দাবি, অনুব্রত ব্রিগেডের হাতে নষ্ট হচ্ছে বীরভূমের ভাবমূর্তি। নলহাটির সভায় ঐতিহ্যবাহী বীরভূমের কথাও বলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি,“আমরা আগে বীরভূমকে বলতাম তারাপীঠ খ্যাত বীরভূম, শান্তিনিকেতন খ্যাত বীরভূম, কবিগুরুর বীরভূম, ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্মস্থান বীরভূম। আর আজকে সেই বীরভূমে জঙ্গলের রাজত্ব দেখা যাচ্ছে। যার নেপথ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    পুলিশকে তোপ

    এদিন নলহাটির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আসানসোল জেলে বসে অনুব্রত মণ্ডল ফোন করেছেন। যার প্রমাণ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেই খবর তাঁরাও জানতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে পুলিশকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশের কী নগ্ন চেহারা! এবার কোথায় যাবেন পুলিশবাবারা? কোর্ট তো চেপে ধরেছে। পুরনো এফআইআরকে হাতিয়ার করে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। এই মমতাই এই জেলাতেই ১০টা প্রশাসনিক সভাতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জেলাশাসক, এসপিকে, মুখ্যসচিবকে, ডিজিপিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন কেষ্ট যা বলবে তাই করতে হবে। আর এখন কেষ্টকে এখানে রাখতে চাইছে।” এখানেই না থেমে অনুব্রতর তিহাড় যাত্রা নিয়ে কটাক্ষবাণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এখানে থেকে কচি পাঁঠার ঝোল, অষ্টমীর দিন লুচি আর ছোলার ডাল খাচ্ছে। কিন্তু, তিহাড়ে গেলে এসব জিনিস পাবে না। আর তখন বলবে ১০০ টাকার মধ্যে ৭৫ টাকা আমি কলকাতায় পাঠিয়েছি আর ২৫ চাকা রেখেছি নিজের কাছে। তাই কেষ্টকে দিল্লিতে যেতে দেওয়া হবে না।”

  • Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    Birbhum: অনুব্রত-গড়ে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দুর সভায় বিজেপিতে যোগ কেষ্টর ডেপুটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন জেলে। আর অন্যদিকে তাঁরই গড়ে ভাঙন! দল ছাড়লেন তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতা। এদিন সকালেই তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এই নেতা। আর বিকালেই তাঁকে দেখা গেল বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। এখানে বলা হচ্ছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝার কথা। দলের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন বিপ্লব ওঝা। শুধু তাই নয়, দল ছাড়ার দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সভার মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসে থাকতে দেখা গেল বিপ্লব ওঝাকে। আর এই নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

    বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন তৃণমূলের বিপ্লব ওঝা

    আজ, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিমান ও ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছাড়েন জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য বিপ্লব ওঝা। আবার এদিনই শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার নলহাটিতে। আর তাঁকে সেখানকার সভাতেই উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। এর পরেই বিজেপিতে যোগদানের সমস্ত জল্পনা সত্যি হয়ে গেল।

    এদিন বিপ্লব ওঝা দাবি করেন, গত একবছর ধরে দলের কাছে তিনি ব্রাত্য। দল কোনও কর্মসূচিতে তাঁকে ডাকে না। তার মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলও জেলে। দলের কাছে তাঁর কোনও দাম নেই। আর এ সবের কারণেই তাঁর দলত্যাগ। তিনি দল ছাড়ার পর বলেন, “এই মুহূর্তে বলতে পারি, তৃণমূলের সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। বিগত এক বছর ধরে আমি দেখছি যে তৃণমূল আমার সম্পর্কে একটা অন্য মনোভাব পোষণ করছে। মিটিং, মিছিল কোনও কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমাকে বাদ রেখেই কাজ করছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিলাম।”

    বিপ্লবকে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী

    মঙ্গলবার বিকেলে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে শুভেন্দুর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিপ্লব। শুভেন্দু অধিকারীর একটি আসন পরে একেবারে প্রথমের সারিতে তিনি বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর হাত থেকে তিনি পতাকা তুলে নেন। তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী।

    কে এই বিপ্লব ওঝা?

    একসময় বীরভূম (Birbhum) জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন বিপ্লব ওঝা। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০০৯ বীরভূম লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ শতাব্দী রায় জেতার পরেই ওই সালে প্রথম সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। গোটা রাজ্যের মধ্যে সেই সময় একমাত্র নলহাটি পুরসভা তৃণমূলের প্রথম দখলে আসে। পরবর্তী সময়ে তিনিই নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছিল বিপ্লববাবুকে। কিন্তু বামফ্রন্টের কাছে পরাজিত হন তিনি। পরবর্তীকালে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হন। কিন্তু তাঁকে কোনও পদে রাখা হয়নি। এর পর বছরখানেক ধরে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু নিজেই। আর এতেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। 

     
  • Anubrata Mondal: “পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তিহারে গিয়ে…”, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Anubrata Mondal: “পাপ বাপকেও ছাড়ে না, তিহারে গিয়ে…”, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে রেখে জেরা করা হবে। অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। কিন্তু সেই সওয়াল কোনও কাজেই দিল না। কেষ্টকে যেতেই হচ্ছে দিল্লি। গতকাল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে। আর এরপরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তীব্র আক্রমণ করলেন কেষ্টকে। তিনি বললেন, “অনেকদিন লোককে চরাম চরাম আর গুড় বাতাসা খাইয়েছেন। আসানসোল জেলে তো রাজার হালে ছিলেন। এবার একটু তিহার জেলের জল-হাওয়া খান।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    কেষ্টকে কড়া ভাষায় আক্রমণ সুকান্তর

    এই মুহূর্তে একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একদিকে গরুপাচার মামলা অপরদিকে ভোট পরবর্তী মামলা। সবমিলিয়ে জেরবার অবস্থা। গতকাল গরুপাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বড় ধাক্কা খেল। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি আনতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট পেয়ে গিয়েছে ইডি। আর এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দিয়েছেন মোক্ষম খোঁচা ‘বীরভূমের বাঘ’-কে (Anubrata Mondal) ।

    তিনি বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডল যে কাজ করেছেন তাতে তো ওনার তিহারেই যাওয়ার কথা। কতদিন আর পয়সা খরচ করে আটকে রাখবেন। তিহারে একটু বিহার করে আসুন কিছুদিন। এতদিন তো লোককে চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা অনেক কিছুই খাইয়েছেন। এবার তিহারের জল-বাতাস খেয়ে আসুন। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমরা আগেই বলেছি, যত বড় চোর হোক বা যত বড় ধেড়ে ইঁদুর হোক কেউ ছাড়া পাবে না। এই অন্যায় যারা করেছে, গরুর টাকা, চাকরির টাকা, কয়লার টাকা খেয়েছে, জেলে যেতেই হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, থমথমে সাঁইথিয়া

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, থমথমে সাঁইথিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    TMC Inner Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যাপক বোমাবাজি, হাত-পা উড়ল যুবকের, জখম নাবালকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)! ফের একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। আবারও ঘটল বোমাবাজির ঘটনা। ওই ঘটনায় এক নাবালক সহ জখম হয়েছেন দুজন। এলাকা দখলের জেরে এই ঘটনা, বলছেন স্থানীয়রাই। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২জনকে। উদ্ধার হয়েছে ৩০টি তাজা বোমা। এলাকায় পুলিশ পিকেট। ভয়ে পুরুষ শূন্য গোটা গ্রাম। বীরভূমের সাঁইথিয়ার ওই ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।

    বিবাদের কারণ…

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরানো। সোমবার বিকেলে আচমকাই প্রকাশ্যে চলে আসে তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি ও ব্লক কার্যকরী সভাপতি তুষার মণ্ডলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। ঘটনাস্থল সাঁইথিয়ার ফুলুর পঞ্চায়েতের বহরাপুর গ্রাম। কোনও একটি কারণে এদিন দু পক্ষের বিবাদ চরমে ওঠে। প্রথমে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরে বাঁধে সংঘর্ষ। ঘটনার জেরে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার ঘায়ে জখম হন সাদ্দাম নামে এক যুবক। তাঁর ডান হাত এবং ডান পা উড়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাঁইথিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর জখম অবস্থায় সাদ্দাম বলেন, আমার কাকাকে আটকে রেখেছিল তুষার মণ্ডলের লোকজন। ওরাই আমাকে বোমা মেরেছে।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) জেরে যে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে, তাতে জখম হয়েছে মুজাফফর হোসেন নামে এক নাবালকও। তার সারা গায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত। তাকেও প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে দুজনকেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশ কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?’’, পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় সুকান্ত

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই তৃণমূল (TMC) কর্মী। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। অশান্তি এড়াতে এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। রয়েছে পুলিশ পিকেটও। ভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন পুরুষরা। ফের অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের হাত ধরে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। মঙ্গলবার সকালেও অকুস্থলে গিয়ে দেখা গিয়েছে শুকনো রক্তের দাগ। পড়ে রয়েছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, কাটমানি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তৃণমূলের এই গন্ডগোল নতুন নয়। প্রায়ই হয়। আগামীতে আরও বাড়বে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    Birbhum: ফিরহাদের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে বগটুই স্মৃতি! তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বগটুইয়ের স্মৃতি ফিরে এলো বীরভূমের সিউড়িতে (Birbhum Siuri)। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে (Tmc inner clash) খুন হল এক জন। আগুন লাগানো হল একাধিক বাড়িতে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) যখন খোদ সিউড়িতে হাজির, তখনই কাল মাঝরাত থেকে এই কাণ্ড চলল সেখানে । বালি খাদানের দখলদারি ঘিরে গোষ্ঠীকোন্দলের ফলে খুন হতে হল কাজল শেখের বিরোধী গোষ্ঠীর একজনকে। তার নাম ফাইজুল সেখ। এর পাল্টা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল কাজল শেখের বাড়ি চত্বরে। পুলিশের সামনেই চলল লাগাতার বোমাবাজি। 

    বীরভূমে বালি খাদানের দখল নিয়ে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল বহু পুরনো। ইদানিং তা চরম আকার নিয়েছিল কাজল সেখ ও আতাউর সেখ গোষ্ঠীর মধ্যে। পুলিশি হস্তক্ষেপে তা মেটানোর চেষ্টা চললেও, এবার তা চরম আকার নিল। আতাউরের অভিযোগ, কাজলের লোকজন তার দল ভাঙানোর চেষ্টা করছিল। খুনের হুমকিও দিয়েছিল। গতকাল রাতে বাঁশজোড় এলাকায় তারা ফাইজুল সেখকে ভোজালির কোপ মারে। দেহের বিভিন্ন অংশে ভোজালির আঘাতে লুটিয়ে পড়ে ফাইজুল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    আরও পড়ুন: মামলা করে টাকা ও সময় নষ্ট করছে দেউলিয়া সরকার! বকেয়া ডিএ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    হাসপাতাল চত্বরে হাজির মৃতের ঘনিষ্ঠদের স্পষ্টই বলতে শোনা যায়, ‘কেন পার্টি করছিস!মুখ খুললে একজনের পর এবার অনেককে খুন হতে হবে।’ এই স্বগতোক্তিই বুঝিয়ে দেয়, বীরভূম তৃণমূলের প্রকৃত চেহারা। অনেকদিন ধরেই বালি খাদান দখল নিয়ে শাসক দলের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে। আর এই কাজিয়াকে ঘিরে প্রায়শই সেখানে চলে বোমাবাজি। খুনের ঘটনাও ঘটে আকছার। বহুদিন ধরেই এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে কাজল সেখের। গতকাল সেই কাজল সেখের সঙ্গেই এক ছবিতে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে।

    অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বীরভূমে যখন ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় সেখানে ছুটে যান ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রতকে সেখানে তিনি বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন। কয়লা পাচার, গরু পাচারে অভিযুক্ত হয়ে যখন নিজের এলাকাতেই নিন্দিত অনুব্রত, তখন তাঁকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করে একটা শ্রেণীকে চাঙ্গা করতে চান রাজ্যের মন্ত্রী। কথা বলেন কাজল সেখের সঙ্গেও। আর তারপরই এই খুনের ঘটনা। খুন, আগুন, বোমাবাজি। বীরভূমে তৃণমূল আছে একই মেজাজে। আর তার ফলে কখনও জ্বলছে বগটুই, কখনও বাঁশজো়ড়।

  • CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    CBI: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ তৃণমূল (TMC) কর্মী। শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এদিনই ধৃতদের তোলা হয় সিউড়ি জেলা আদালতে। বিচারক তাঁদের দু’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিলেন।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলার পাশাপাশি বীরভূমেও ব্যাপক হিংসার অভিযোগ ওঠে। সদাইপুরের সাহাপুরে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মহিলাদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এদিন সেই সাহাপুর গ্রাম থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা গ্রেফতার করেন পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে। ধৃতরা হলো শেখ জামির হোসেন, শেখ কারিবুল ওরফে কারু, শেখ আসরফ ওরফে রাহুল, শেখ নুড়াই ও জয়ন্ত ডোম। 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতারকে ঘিরে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, সনাতনীদের উপর অত্যাচার করে তৃণমূল কর্মীরা ভেবেছিল পার পেয়ে যাবে। সঠিক বিচার পাবেন অত্যাচারে ভেঙে পরা বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, পরিকল্পিতভাবে গ্রামে গ্রামে এজেন্সি দিয়ে ভোটের আগে ভয় দেখানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকার মানুষ সব জানেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    বিধানসভা ভোটে ফলাফল বেরনোর পরেই সদাইপুর এলাকায় একটি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বেছে বেছে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। বাড়ির গরু, ছাগল থেকে সব লুঠপাট এমনকী মেয়েদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে। এলাকার এক বিজেপি বুথ কর্মী জানান, তিনি বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ির মহিলাদের ধর্ষণ করে তৃণমূলের কর্মীরা। তিনি সদাইপুর থানায় ধর্ষণের ও লুঠপাটের অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে সদাইপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে আইনের কোনও বিচার হবে না বলে জেলা নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়।

    অবশেষে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই (CBI)। সেই সূত্রে অভিযুক্তদের দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের শিবিরে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সাহাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সুত্রে জানা গিয়েছে। সিউড়ি আদালতের বিচারক ধৃতদের আগামী দু’দিন সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share