Tag: Birbhum

Birbhum

  • Birbhum: ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    Birbhum: ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগেই বীরভূমে (Birbhum) জোর চঞ্চল্য। একসঙ্গে প্রায় ৪০ জন তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বসল বিজেপি। পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে। ফলে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে দুই শিবিরেই। তাহলে কি আসন্ন লোকসভায় পরিস্থিতি বদল হতে শুরু হয়েছে কেষ্টহীন (Abubrata Mondal) বীরভূমে? তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার।

    সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ (Birbhum)

    স্থানীয় (Birbhum) সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ তুলে জানিয়েছে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানো ও ভয় দেখানোর কাজ করে রাজ্যের শাসক দল। আর তাই একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে মোট ৪০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভোটের বাজারে এহেন রাজনৈতিক মামলা দায়ের করার রেওয়াজ রয়েছে বঙ্গে। তবে সাধারণত বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনন্য সাক্ষী থেকেছে এই বাংলার মানুষ।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বীরভূম জেলার সহ সভাপতি দীপক বোস বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্যি। কে কোথায় কবে সন্ত্রাস করেছে তা সকলের জানা। দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছে। আগামী দিনে প্রমাণ হয়ে যাবে তৃণমূল কতটা জলে আছে। দু’নম্বর ব্লক স্পর্শকাতর ঘোষণা হতে চলেছে। আমরা যা যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তা গ্রহণ করব। আমরা সমস্ত বুথে এজেন্ট বসাব। বিজেপির ব্লক অফিস ঘিরে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিগত দিনে প্রার্থী দিতে দেয়নি আমাদের। নুরুল ইসলাম ভেবেছেন সিউড়ি জুড়ে সন্ত্রাস চালাবেন, এটা হতে পারে না।”

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় সিউড়ি (Siuri) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, “যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ব্যতিক্রমী ঘটনা! সবাইকে তাক লাগিয়ে দ্বিজা হল সিউড়ির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী

    Birbhum: ব্যতিক্রমী ঘটনা! সবাইকে তাক লাগিয়ে দ্বিজা হল সিউড়ির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফকির লালন বলেছিলেন, “বামুন চিনি পৈতে প্রমাণ, বামনি চিনি কী প্রকারে?”। সত্যিই, পৈতে তো শুধু ব্রাহ্মণ ছেলেদেরই হয়, মেয়েদের তো হয় না। ফকির লালনশাহের এই প্রশ্নের উত্তর ছিল না যুগ যুগ ধরে। কিন্তু আজ ২০২৪ সালে ঠিক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটল বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে। শোনা যায় বৈদিক যুগে মেয়েরাও ‘দ্বিজা’ হতেন, অর্থাৎ মেয়েদেরও পৈতে হত। আর সেই হারিয়ে যাওয়া বৈদিক যুগের রীতি অনুযায়ী আবার প্রথমবার সবাইকে তাক লাগিয়ে দ্বিজা হল সিউড়ির পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী কৈরভী। কৈরভী এখনও জানে না, ধর্ম, নিয়ম, রীতি, বৈদিক যুগ কী জিনিস। তবে তার মা-বাবার এরকম একটা অতুলনীয় সিদ্ধান্ত গোটা ভারতবর্ষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

    সাধারণ পৈতের নিয়ম মেনেই হল সবকিছু, দেখতে ভিড় (Birbhum)

    এই ধরনের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখতে ভিড় করে আশপাশের অনেক মানুষ। সবাই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কৈরভীর মা-বাবা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাঁরা চিকিৎসক দম্পত্তি। কিন্তু এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। ছেলেদের পৈতে হয়, সে তো সবাই জানে। কিন্তু প্রথমবার মেয়ের পৈতের ব্যাপারটি নিয়ে অনেক বিস্ময়সূচক প্রশ্নের জবাব দিতে হয় কৈরভীর মা কৌশানী চট্টোপাধ্যায়কে (Birbhum)। আর সব প্রশ্ন, বিস্ময়কে কাটিয়ে সমাজে মেয়েদের ভূমিকা, অধিকার বুঝিয়ে দিতেই তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করে ফেলেন। এই সিদ্ধান্ত যে শুধুমাত্র ইচ্ছার ওপর ভর করেই সম্পন্ন হয়েছে তা নয়, বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ, ইতিহাস ঘেঁটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক দম্পতি। বৈদিক যুগে প্রচলিত ছিল মেয়েদের দ্বিজা প্রথা। আর সেই বৈদিক যুগের পর বর্তমানে পুনরাবৃত্তি হল সেই প্রথার।

    বৈদিক যুগে কি সত্যিই মেয়েদের উপনয়ন হত? কী বলছে শাস্ত্র?

    বৈদিক যুগে নারীদের পবিত্র ব্রহ্মসূত্র দ্বারা দীক্ষিত করা হত, অর্থাৎ তাঁদের উপনয়ন হত।  তাঁরা গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতেন, এমনকি পবিত্র অগ্নিযজ্ঞ আরাধনা করতেন, যা একজন পুরুষের সমান। সেই যুগের নারীকে দুই ভাগে ভাগ করা হত। এক সদ্যবধূ ও ব্রহ্মবাদিনী। এক পবিত্র উৎসবের দ্বারা ব্রহ্মসূত্রে উপনীত করে যাদের বিবাহ হত, সেই নারীকে সদ্যবধূ বলা হত। অপরদিকে ব্রহ্মবাদিনীরা বিবাহ করতেন না, তাঁরা সেই যুগের পুরুষদের মতোই ব্রহ্মচর্য পালন করতেন। মহাভারতে পান্ডব মাতা কুন্তীও ব্রহ্মসূত্রে ভূষিতা ছিলেন অর্থাৎ তাঁর পৈতে ছিল (Birbhum)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    Birbhum: সন্দেশখালির ছায়া বীরভূমে, বউ সুন্দরী না হলে মিলবে না প্রকল্পের সুবিধা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন আরেকটা সন্দেশখালি (Sandeshkhali)! এবার বীরভূমে (Birbhum) বউ সুন্দরী না হলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প (Govt Schemes) থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। তাই নির্বাচনী প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) শতাব্দী রায় (Satabdi Ray)। তিনবারের এই তৃণমূল সাংসদের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় জনতা। কোথাও পানীয় জল নেই, কোথাও রাস্তা খারাপ, আবার কোথাও তৃণমূল না করায় মেলেনি বাড়িও। ভোটের আগে ফের আরেকবার তোপের মুখে শতাব্দী।

    বীরভূমের কোথায় তোপের মুখে শতাব্দী (Birbhum)?

    কেন বিক্ষোভ করছেন? জিজ্ঞেস করায় গ্রামবাসীদের যা অভিযোগ, তা শুনলে যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্ত মাথায় উঠে যাবে। “বউ সুন্দরী হলে তবেই মিলবে সরকারি প্রকল্পের টাকা।” শতাব্দীকে সামনে পেয়ে এমনই অভিযোগ করলেন মোহাম্মদ বাজার (Birbhum) ব্লকের লাউজোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, এদিন এই এলাকায় প্রচারে এসেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদকে হাতের নাগালে পেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে এলাকার এক মহিলা বলেন, “যাঁদের বউ দেখতে ভালো তাঁরা সরকারি টাকা পাচ্ছে। আর যাঁদের বউ দেখতে ভালো নয়, তাঁদের সরকারি টাকা দেওয়া হচ্ছে না।” গ্রামবাসীদের এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুনে শতাব্দী রায়ের মুখের চিত্রটা বদলে যায়। এমনকী স্থানীয় অপর আরেক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, “সাংসদকে ভোটের পর আর দেখা যায় না। তাই আগে প্রকল্পের সুবিধা, তারপর ভোট।”

    কী বললেন শতাব্দী?

    বীরভূমে (Birbhum) নির্বাচনী প্রচারে বিক্ষোভের মুখে পড়ে শতাব্দী রায় বলেন, “যদি কেউ বলে ভোট দেব টাকা নেব, তাহলে এই মন্তব্যের আমি কী আর বলব? কয়েকজন গ্রামবাসী কোনও প্রকল্প পায়নি শুনেছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে সেগুলো যাতে তাঁরা পান তার ব্যবস্থা করব।” অভিযোগ আরও উঠেছে যারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত তারাই টাকা পাচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষ যারা কোনও দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয় তারা সুবিধা পাচ্ছে না। অনেকে আবার তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় কেন্দ্র সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরবাড়ি ও পায়নি বলে অভিযোগও উঠছে।

    আরও পড়ুনঃ ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ-র ওপর আক্রমণে গ্রেফতারি নেই, চাপে পড়েই কি পুলিশ অফিসার বদল?

     

    বিজেপি প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে সারা দেশে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছিল। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ ছিল প্রচুর। এছাড়াও রাত্রিবেলা পিঠে বানানোর নামে মহিলাদের তুলে নিয়ে রাতভর চলত তৃণমূল পার্টি অফিসে যৌন নির্যাতন। শাহজাহানেরা চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেড়ি বানিয়ে করত জমি দখল। সেই পথেই কি তাহলে বীরভূম পা বাড়িয়েছে? শাসক দলের তৃণমূল নেতাদের আচরণ ঘিরে মানুষের যা অভিযোগ, তাতে এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। তৃণমূল সন্দেশখালি ইস্যুতে আগে থেকেই কোণঠাসা। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দলের নেতার চোখে চোখ রেখে অভিযোগ তুলে ধরার ঘটনা খুবই বিরল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা এই মারাত্মক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “বাংলার প্রতিটি কোণে কোণে এরকম সন্দেশখালি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে বীরভূম (Birbhum) জেলাও রয়েছে। মানুষের এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই এখন তাঁরা আর ভয় পাচ্ছেন না। নির্বাচনে তৃণমূলকে মানুষ বয়কট করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    TMC attacks on BJP: বীরভূমে বিজেপি কর্মীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট, হাতে গুনে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দলের প্রার্থীরাই। আর এরই মধ্যে আবারও মারধরের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে বিজেপির (TMC attacks on BJP) তিন জন কর্মীকে আক্রমণ করা হয়। ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলায়।

    ঘটনা বীরভূমের কোথায় ঘটেছে (TMC attacks on BJP)?

    ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বীরভূমের (birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায়। মহম্মদ বাজারের (mohammad bazar) কপিস্টার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারকাটা গ্রাম থেকে দলীয় বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় তিন বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরেই রবিবার রাতে আহত বিজেপি কর্মীদের ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহতদের দেখতে গিয়েছেন জেলা বিজেপির নেতারা। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুনঃ ভোটে বাংলায় এক নম্বর দল হতে চলেছে বিজেপি, অনুমান পিকে-র

    বাঁশ ও রড দিয়ে মারের অভিযোগ

    ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ হল, অন্ধকার রাস্তায় বাইক নিয়ে আসার সময় কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) আশ্রিত দুস্কৃতীরা আচমকা হামলা করে। প্রথমে পথ আটকায়, এরপর বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর (TMC attacks on BJP) করা হয়। এরপর কোনক্রমে সেখান থেকে আহত বিজেপি কর্মীরা পালিয়ে আসে মহম্মদ বাজারে। পরে তাদের আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় সিউরি হাসপাতালে।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার খবর পৌঁছাতেই আহতদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছান বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা (Dhruba saha)। তবে কেবল জেলা সভাপতি নয়, সোমবার সকাল হতেই আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধরও (Debashis dhar)। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “জেলার সাধারণ সম্পাদক নরেন মিস্ত্রী, তিনি মিটিং করে ফিরছিলেন, সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ (TMC attacks on BJP) করে। আমাদের সভাপতি প্রসেনজিৎ দত্ত ও আমদের যুব নেতাও আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। অভিযুক্তদের কালকের মধ্যে যদি গ্রেফতার (arrest) না করা হয়, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিষ ধর বলেন, “তৃণমূল হারার ভয়ে এই আচরণ করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবো। কর্মীদের পাশে সব সময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি

    Birbhum: শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে শতাব্দী, বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম (Birbhum) লোকসভায় প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। আর এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে তারা কমিশনে অভিযোগ জানাতে চলেছে।

    শিক্ষকদের নিয়ে সভা তৃণমূলের (Birbhum)

    জানা গিয়েছে, রবিবার বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট শহরের একটি বেসরকারি লজের সভাকক্ষে মহকুমার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, বিধানসভার ডেপুটি  স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় কীভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট করতে হবে সেই নির্দেশ দেওয়া হয় দলের তরফে। অভিযোগ, সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাই নির্বাচনী কাজের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ দু’দিনের প্রশিক্ষণও নিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচনী কাজে যুক্ত এমন শিক্ষকদের নিয়ে সভা করা হল কীভাবে, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: শহরে তাপমাত্রা কমল ৫ ডিগ্রি! বৃষ্টিতে গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে

    তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও নির্বাচনীআচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সমস্ত মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ফলে রবিবার ছুটির দিন শিক্ষকরা আমাদের ডাকে এসেছেন। তাঁরা ছুটির সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সরকারের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। মানুষের কাছে প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করি না।’

    কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি

    বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা নীলকণ্ঠ বিশ্বাস বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে যুক্ত শিক্ষকরা যদি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি কেমন ভোট গ্রহণ করবেন সেটা সকলের জানা। নির্বাচনী কাজে যুক্তদের সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা এনিয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরি প্রদানকারী সরকারি সংস্থা। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সঙ্গে এমন অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। আজ এমন একটি রেল স্টেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেখানে একটি স্টেশনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে দুটি স্টেশনের নাম! আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোথায় নির্মিত হয়েছে এই অনন্য রেল স্টেশন!

    অন্য রকমের চিত্র (Indian Railways)

    স্টেশন কিন্তু একটাই। কিন্তু স্টেশনের নাম রয়েছে আলাদা আলাদা। ইয়ার্কি বা কল্পনা বলে মনে হচ্ছে তো? না, এই আজব স্টেশনটির নাম বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশন। খাতায় কলমে বীরভূম জেলায় রয়েছে স্টেশনটি। আর এই স্টেশনে এলেই আপনি দেখতে পাবেন একদম অন্য রকমের চিত্র, যা কিছুটা হলেও আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

    দু সেকেন্ডের মধ্যে এক স্টেশন থেকে অন্যতে

    বীরভূমের এই স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপনি থাকবেন আহমদপুর জংশন, আবার দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সোজা সাঁইথিয়া। তবে এই দুটি স্টেশনের দূরত্ব মাত্র দু সেকেন্ডের। তবে একটাই রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে (Indian Railways) ভিন্ন কেন নাম, এই বিষয়ে যদিও কারও কিছু জানা নেই। তবে বীরভূমের সাঁইথিয়া রেল স্টেশনের এই দুই ভিন্ন নাম কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।

    চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Indian Railways)

    ভারতের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরকে রেল-পরিষেবা প্রদান করে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্টেশনটি। এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬০ টি ট্রেনের আগমন রয়েছে। সাঁইথিয়া জংশন বীরভূম জেলার তৃতীয় ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। তবে এই স্টেশনের দুই ভিন্ন নাম বিভ্রান্ত করছে রেল যাত্রীদের। ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা চরণ মণ্ডল জানান, তাঁরা প্রত্যেকদিন আসেন এই স্টেশন ঘুরতে। তবে তাঁদের নজরে আসেনি এই বিষয়টি। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও এক ভুলের কারণে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সকলেই। তবে বিষয় যাই হোক, বীরভূমের এই স্টেশনকে (Indian Railways) নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    Birbhum: নির্বাচনী প্রচারে শতাব্দীকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, রাস্তা সারাইয়ের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট প্রচারে বেড়িয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি -২ নম্বর ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলপুর গ্রামে। তবে এই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এরকম প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। নিজের সংসদীয় ক্ষেত্রে আগেও এলাকাবাসী নিজেদের প্রাপ্য ঘর, রাস্তা, পানীয় জল অথবা নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। তবে এই ভোটের প্রচারে ঘটনায় তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

    রাস্তা সারাইয়ের দাবীতে বিক্ষোভ (Birbhum)

    আজ গোকুলপুর (Birbhum) গ্রামে ভোট প্রচারে যান বীরভূমের তিনবারের সাংসদ ও চতুর্থবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়। সেই সময় গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবীতে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের মধ্যে শুভ্র মার্জিত অভিযোগ করে বলেন, “দীর্ঘদিন গ্রামের রাস্তা সারাই না হওয়ায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। তাই এদিন তাঁকে সেই ভাঙা-কর্দমাক্ত রাস্তায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার দাবী করি আমরা। এই রাস্তা চলাচলের যোগ্য নয়। কোনও টোটো ঢুকতে পারে না। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছেনা। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিরাট সমস্যা রয়েছে।” পরে শতাব্দী রায় প্রতিশ্রুতি দিলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ সরিয়ে নেন। ঘটনায় বিরাট বিড়ম্বনায় পড়েন এই তৃণমূল প্রার্থী।

    আরও পড়ুনঃ মোদির প্রশংসায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালু বাবু, পাল্টা তৃণমূলকে তুলোধনা

    শতাব্দীর বক্তব্য

    এই ঘটনায় এলাকার (Birbhum) গ্রামবাসীদের বক্তব্য, “আমি দেখলাম রাস্তা খুব খারাপ। এখানে কে জন প্রতিনিধি ছিল জানার দরকার নেই, আমি দায়িত্ব নেবো। তবে রাস্তার জন্য ৮০ লক্ষ বাজেট করা হয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিল তারিখের মধ্যে মোটামুটি চলাচলের যোগ্য করা হবে।” ঘটনায় এলাকার মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পুরসভার নির্বাচনে বারবার মানুষের অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। একাধিক সময়ে আবার দলীয় কর্মীদের উপর নিজের রাগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। দলের কেউ কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। সবটা মিলিয়ে এই তারকা প্রার্থীর প্রচার যে খুব একটা সহজ মসৃণ হচ্ছে না তাও আরও একবার প্রকাশিত হল। এখন মানুষের ভোট কোন দিকে যায় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

    Birbhum: অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বিজেপির প্রার্থী হলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা হবে তাঁর নির্বাচনী হাতিয়ার। বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের অষ্টম লিস্টে বীরভূম (Birbhum) কেন্দ্র এবং ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আজ তাঁরাপীঠে পুজো দিয়ে নিজের কেন্দ্রে প্রচার শুরু করবেন বীরভূমের এই বিজেপি প্রার্থী।

    উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। বুথ কেন্দ্র থেকে এক সাধারণ ভোটারকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে। অপরে ভোট কেন্দ্রে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করলে সিআইএসএফ জওয়ানরা গুলি চালায়। ঘটনায় কয়েকজন তৃণমূল দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। এরপর রাজ্য সরকার ঘটনায় কেন্দ্রী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ায় বলে জানা যায়। সেই সময় জেলা পুলিশ সুপার ছিলেন দেবসিশ ধর। তাঁকেও শাসক দলের রোষে পড়তে হয়।

    কী বললেন দেবসিশ (Birbhum)?

    এদিন বীরভূমে (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী হয়ে দেবসিশ বলেন, “যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে এটা আমার জীবনের নতুন অধ্যায়। আমি যেন মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। রাজ্যের পুলিশ এবং রাজনীতি প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে। একে অপরের পরিপূরক মাত্র। আমি যখন ল অ্যান্ড অর্ডার সামলাতে ইউনিফর্মে ছিলাম, তখন ছিলাম মুদ্রার এক দিকে। কিন্তু এখন আমি অন্য দিকে রয়েছি। এখন এই আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করাই আমার এক মাত্র লক্ষ্য। এই জেলায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আমি চাই মানুষ সুবিচার পাক। আমার সঙ্গে  যে ঘটনা ঘটেছে তা যেন কোনও অপফিসারের সঙ্গে আর না ঘটে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘দিলীপ কলিযুগের মহিষাসুর’, তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়

    বীরভূমের আইন শৃঙ্ঘখলা?

    তৃণমূলের শাসনে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলাকে তলানিতে নামিয়ে এনেছে শাসক দল। এই জেলায় (Birbhum) তৃণমূল নেতা কেষ্ট পালা করে একক দায়িত্ব নিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গাঁজা কেস এবং বাড়ি ঘর ভাংচুর করতেন। এমনকী থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত  দিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষ কার্যত এমনটাই অভিযোগ করেন। বিজেপির দাবি প্রশাসন এবং তৃণমূল নেতাদের যৌথ উদ্যোগে কয়লা, বালি, গরু পাচার, শিক্ষক দুর্নীতিতে এই জেলা সব থেকে এগিয়ে। এইবারের নির্বাচনে তাই এই কেন্দ্রে ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা’ একটি প্রধান বিষয় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরকারি ভবনে তৃণমূলের নির্বাচনী সভা! কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির

    Malda: সরকারি ভবনে তৃণমূলের নির্বাচনী সভা! কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি ভবনে তৃণমূল দলীয় বৈঠক করার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করল বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে মালদায় (Malda)। লোকসভার নির্বাচনী বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মূলত তৃণমূল দলের দলীয় নির্বাচনী বৈঠকের কথা জানা গিয়েছে।

    কীভাবে হল বৈঠক (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেও শাসক দল নিজেদের নির্বাচনী কাজের জন্য সরকারি গেস্ট হাউসকে ব্যবহার করছে শাসক দল। রাজ্য সরকারের সরকারি দফতর, আধিকারিক এবং প্রশাসনকে তৃণমূলের হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য সরকারি গেস্ট হাউস এক প্রকার ভাড়া নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ মালদায় (Malda) তৃণমূল হারার ভয়ে ভোট চুরির কৌশল করছে। তাই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে।

    ৪০ জন তৃণমূল নেতা বৈঠক করেন

    গত বৃহস্পতিবার মালদা (Malda) জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি আবদুল রহিম বক্সি, জেলার ২ প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান এবং তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে জেলার ৪০ জন নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলীয় কাজে প্রশাসনকে কাজে লাগানোর কথা বলে আবদুল রহিমের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। একই ভাবে উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু কমিশনে অভিযোগ করেন।

    বিজপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদা (Malda) বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বার্লো স্কুলের উল্টো দিকে জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক হয়। তৃণমূল সরকারি সম্পত্তিকে দলীয় সম্পত্তি হিসাবে ভাবতে শুরু করেছে। দলের জন্য সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করা ভীষণ অন্যায়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল নেতা আবদুল রহিম বক্সি বলেন, “জেলা (Malda) পরিষদের অতিথি নিবাস ভাড়া দেওয়া হয়েছিল আমাদের কাছে। আমরা ভাড়া নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের কাছে রসিদ রয়েছে।” পাল্টা বিজেপির দাবি তৃণমূলের রসিদ ভুয়ো।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: স্কুলেই রাজনৈতিক সভা! ভোটের প্রচারে আইন ভাঙলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক

    Birbhum: স্কুলেই রাজনৈতিক সভা! ভোটের প্রচারে আইন ভাঙলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছুটির আগেই ছুটি হল স্কুলপড়ুয়াদের। এর কারণ হল স্কুলে হবে তৃণমূলের সভা। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে বীরভূমে (Birbhum) রাজনৈতিক সভা করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। স্কুলে এই সভা করার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বীরভূমের নানুরে সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে জনসভা করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে জনসভায় আইনমন্ত্রী সহ উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও একাধিক বিধায়ক ৷ স্কুল পড়ুয়াদের স্কুল বাতিল করায় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের আইনমন্ত্রীই তাহলে কি আইন ভেঙে জনসভা করলেন? তবে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। 

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য(Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) পাপুড়ি হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম বলেন, “সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ক্লাস হয়। আমাদের ছুটি পরে যাচ্ছে রোজার জন্য। তাই আজ এক দুই পিয়ড করে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    সভার জন্য স্কুল ছুটি?

    নুরের পাপুড়ি হাইমাদ্রাসায় (Birbhum) একটি জনসভা করে তৃণমূল-কংগ্রেস ৷ সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত মাদ্রাসার ক্লাস হয়ে থাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু, দেখা গেল এদিন বিকেল ৩ টে থেকে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৩ টে বাজার অনেক আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছে মাদ্রাসা। পুরো মাদ্রাসা তৃণমূলের দলীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বড় বড় মাইক, বক্স লাগিয়ে দুপুর থেকেই জনসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। এই জনসভার ডাক দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাজি, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল, কেতগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ প্রমুখ ৷ সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে জনসভা করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী কীভাবে এহেন কাজ করতে পারেন বলে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সব্যসাচী রায় বলেন, “আইন ভাঙায় ওস্তাদ তৃণমূল মন্ত্রী। কীভাবে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী সভা করলেন। এই প্রশ্ন তুলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছি আজই।” আবার বোলপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয় শাসকের আইন চলছে। রাজনৈতিক প্রোগাম কীভাবে স্কুলে হল এই বিষয় নিয়ে আমরা কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। এই আইনমন্ত্রীকে কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি সিবিআই দফতরে। আইন মন্ত্রী আইন ভাঙেন শুধু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share