Tag: Birbhum

Birbhum

  • Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    Birbhum: মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা নিল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রভাবশালী শাসক দলের নেতার যোগের ইঙ্গিত মিলল। ধৃত তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, বেআইনি অস্ত্র এবং বিস্ফোরক জোগানে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। পাওয়া গিয়েছে অডিও মেসেজ। ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এনআইএ সূত্রে খবর (Birbhum)?

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজার (Birbhum) বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা ইসলাম চৌধুরির ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হয়েছে। বিস্ফোরক এবং অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য শাসক দলের অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তথ্যের সত্যতা পরীক্ষা করতে এই তৃণমূল নেতার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত এই তৃণমূল নেতার মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অডিও পাওয়া গিয়েছে। এই সব বার্তালাপের মধ্যে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত অনেক তথ্যের সূত্র লুকিয়া থাকার ইঙ্গিত রয়েছে। একই ভাবে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে কেষ্টর দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের নামও উঠে এসেছে। এই দেহরক্ষী বর্তমানে গরুপাচার মামলায় তাঁর গুরু অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। সংগৃহীত নমুনা প্রথমে আদলাতে, এরপর সিএফএসএলে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।

    উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিস্ফোরক

    ২০২২ সালে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল এসটিএফ। গাড়ির চালককে জেরা করে আরও ২৭ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১ হাজার ৯২৫ কেজি জিটেলিন স্টিক এবং ২ হাজার ৩২৫ টি ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তদন্তের ভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর উপর। এই তদন্তকে ঘিরে শাসক দল ফের একবার চাপের মুখে পড়েছে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি’, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তোপ নেত্রীর

    Birbhum: ‘টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি’, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তোপ নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের পর এবার বীরভূম (Birbhum)। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের একাধিক নেতানেত্রী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন তৃণমূল নেত্রী রুবিনা বিবি। এই তৃণমূল নেত্রী গত পুরসভা নির্বাচনে দুবরাজপুর পুরসভায় তৃণমূলের পদপ্রার্থী ছিলেন। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, পুর নির্বাচনে হারের পর তিনি অভিযোগ তোলেন, ইভিএম বদলে দিয়ে তাঁকে হারিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তিনি ছাড়াও পাঁচ তৃণমূল নেতা এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা হাত ধরে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেন।

    টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি করা হয় (Birbhum)

    লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলে বড়সড় ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর রুবিনা বিবি বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিলাম। গত পুরসভা নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আমার নামে টিকিট ছিল। কিন্তু শেষ দিনে তা অন্য এক মহিলাকে দিয়ে দেওয়া হয়। যাঁর সঙ্গে দলের তেমন সম্পর্ক নেই। এর পর আমি নির্দল হয়ে লড়েছিলাম। কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়। তৃণমূলের হয়ে অনেক খেটেছি। এখানে কোনও দাম নেই। টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি করা হয়। তাই তৃণমূলে থাকতে চাই না। বিজেপিতে যোগ দিলাম।”

    আরও অনেক তৃণমূল যোগ দেবেন

    এই যোগদানের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা বলেছেন, রুবিনা বিবি আজ আমাদের দলে যোগ দিলেন। দুবরাজপুর পুরসভায় রুবিনা বিবি নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন। নৈতিক জয় হয়েছিল তাঁর। কিন্তু, প্রশাসনিক যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছিল। রুবিনা বিবি-সহ পাঁচ জন নেতা যোগ দিয়েছেন। আরও অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। লোকসভার আগে তা দেখতে পাবেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এ বিষয়ে বীরভূমের সিউড়ি শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের শহর-সভাপতি আব্দুল শফি বলেন, তৃণমূল থেকে কেউ যোগ দেয়নি। তৃণমূল ছেড়ে অনেক আগেই ওরা চলে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে কেউ যোগ দেয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর জামিনের জন্য হরিনাম সংকীর্তন, রাম নামেই মজেছে তৃণমূলের যুব সংগঠন

    Birbhum: কেষ্টর জামিনের জন্য হরিনাম সংকীর্তন, রাম নামেই মজেছে তৃণমূলের যুব সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তাঁর জেলজীবন থেকে মুক্তির আশায় তৃণমূলের যুব সংগঠন সাঁইথিয়ায় হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করেছে। আর এর ফলে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কেষ্টর জামিনের জন্য কি এখন রাম নামেই ভরসা? গত ২২ শে জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই দেশ জুড়ে রাম নামের প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দিরে রোজ উপচে পড়ছে ভিড়। এর মাঝেই তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের দলের দুর্নীতিতে  অভিযুক্ত জেলবন্দি নেতার মুক্তির জন্য রামনামের শরণ নিয়েছেন।

    দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কেষ্ট (Birbhum)

    গরু পাচারকাণ্ডে অনেক দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। কয়লা পাচার কাণ্ডেও অভিযুক্ত তিনি। নিজের নামে অথবা অনামে-বেনামে প্রচুর চালকল সম্পর্কে তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির তালিকায় অনুব্রতর মেয়ের নাম উঠেছে। স্কুলে না গিয়ে বেতন নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাবার সঙ্গে এখন মেয়েও জেলে বন্দি। বীরভূমের (Birbhum) এই প্রতাপশালী এবং প্রভাবশালী নেতা বার বার কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জামিন মঞ্জুর হয়নি। অভিযোগ গুরুতর বুঝেই হয়তো আইনের কৌশলের পাশপাশি রামনামের শরণ নিতে হয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূলকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমের (Birbhum) জেলা সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেছেন, “তৃণমূল শেষ পর্যন্ত রাম নাম করছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাবে না।” আবার তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় এই সবে পাত্তা দিতে নারাজ। তৃণমূলের রামনামে ভুল কিছু নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য  

    জেলা (Birbhum) কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় আরও বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন। সকলেই চাইছেন তিনি যেন জেল থেকে মুক্তি পান। আর এই জন্যই কেউ রাম নাম আবার কেউ হরিনাম করছেন।” রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, জেলার সভাপতি পদে এখনও বহাল রয়েছেন কেষ্ট। তাঁর অনুগামীরা বাড়তি অক্সিজেন দিতে এই সমস্ত করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    CBI: বগটুই কাণ্ড! তিন ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রামে হুলিয়া জারি করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য হুলিয়া জারি করল সিবিআই (CBI)। তিন জনের নাম দিয়ে বীরভূমের বগটুই গ্রামে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ৩০ জানুয়ারি হাজিরার নির্দেশ (CBI)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বগটুইতে গিয়ে নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা(CBI)। নোটিশে তিন অভিযুক্তের নাম রয়েছে— রোহন শেখ, মারফত শেখ এবং খুশিল শেখ। এঁদের মধ্যে রোহন বগটুইকাণ্ডে ধৃত এবং সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হওয়া লালন শেখের ছেলে। মারফত শেখ বগটুইয়ের ঘটনার দিন নিহত ভাদু শেখের বাবা। বগটুইয়ের ঘটনার পর থেকেই খুশিল শেখের এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের এসিজেএমের এজলাসে তিন জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।

    তিন অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি উঠল

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমার আঘাত এবং গুলি লেগে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপ প্রধান ভাদু শেখ। তার অব্যবহিত পর সেই রাতেই অশান্ত হয়ে ওঠে গোটা বগটুই গ্রাম। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শিশু এবং মহিলা-সহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বীরভূমে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের তরফে সাহায্য প্রদান করা হয়। ঘটনাক্রমে বগটুইকাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। স্থানীয় বাসিন্দা মিহিলাল শেখ বলেন, বগটুই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিন অভিযুক্ত বগটুইকাণ্ডে বর্বরতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তাদের আমরা ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘বড়লোকের বিটি লো’র স্রষ্টা পাচ্ছেন পদ্মশ্রী সম্মান, খুশিতে মাতোয়ারা সিউড়িবাসী

    Birbhum: ‘বড়লোকের বিটি লো’র স্রষ্টা পাচ্ছেন পদ্মশ্রী সম্মান, খুশিতে মাতোয়ারা সিউড়িবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন বীরভূমের (Birbhum) লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার। তাঁর সব থেকে জনপ্রিয় গান হল ‘বড়লোকের বিটি লো লম্বা লম্বা চুল’। এই খবর শোনার পর রতন কাহারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে গান গেয়েছি আমি। ভারত সরকার যে আমায় এই সম্মান দিল, আমি খুব খুশি হয়েছি।’’ জেলাবাসীর কাছে এই সম্মান অত্যন্ত গর্বের বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    বীরভূমের কোথায় বাড়ি (Birbhum)?

    প্রখ্যাত লোকশিল্পী রতন কাহারের বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে। তিনি লোকগানের মধ্যে ভাদু গান গাওয়ার মধ্যে দিয়েই নিজের সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম গান রেকর্ড করেন রেডিও সেন্টারে। পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৭৭ টাকা ১৫ পয়সা। এছাড়াও তিনি টুসু, ঝুমুর এবং আলকাপ গানে বেশ পারদর্শী। মূল ধারার লোকসঙ্গীতের সঙ্গে পরম্পরা বা প্রথাগত গানেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর স্বরচিত গানের সংখ্যা হল ২৫০।

    কী জানালেন রতন কাহারের ছেলে?

    রতন কাহারের ছেলে দেবাশিষ কাহার বলেন, “দিল্লি থেকে ফোন করে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে বাবাকে জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এই সম্মানে ভীষণ খুশি।” এলাকার মানুষের বক্তব্য, তাঁরাও সিউড়িবাসী হিসেবে ভীষণ খুশি। কারণ বাংলার লোকগানের মুকুটে আরও এক পালক যুক্ত হল। বৃদ্ধ বয়সে এই লোকশিল্পীর এই সম্মাননা প্রাপ্য ছিল। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন এই শিল্পী। সঞ্চয়ের সামান্য টাকার সুদ এবং লোকশিল্পীর সামান্য ভাতায় কোনও রকমে সংসার চালান বলে জানিয়েছিলেন রতন কাহার (Birbhum)।

    বড়লোকের বিটি গান রেকর্ডে বিতর্ক

    ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটি প্রথম রেকর্ড করেন শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী। এর পরবর্তী সময়ে বলিউড সঙ্গীতশিল্পী বাদশা তাঁর ‘গেন্দা ফুল’ গানে বড়লোকের বিটি গানের অংশ ব্যবহার করেন। এই গানটিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে গানে রতন কাহারের ঋণ স্বীকার করেননি তিনি। এই নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছিল। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক হইচই হলে বাধ্য হয়ে রতন কাহারের কাছে ক্ষমা চান বাদশা। ঠিক তারপরেই সাম্মানিক হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা রতন কাহারকে (Birbhum) তিনি পাঠান বলে জানা গিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে তারাপীঠে হল মহাযজ্ঞ, করা হল ভোগ বিতরণ

    Tarapith: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে তারাপীঠে হল মহাযজ্ঞ, করা হল ভোগ বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রামলালার। আর অযোধ্যার এই রামলালাকে ঘিরে দেশজুড়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। সারা বাংলাজুড়়ে চলছে রামপুজো। বিশেষ এই দিনটিতে বীরভূমের শক্তিপীঠ তারাপীঠেও (Tarapith) বিশেষ যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারাপীঠে মা তারার মন্দির চত্বরে এদিন মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের সেবাইতদের একাংশের উদ্যোগে এই ষজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।

    ২০ কেজি ঘি, ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে হয় মহাযজ্ঞ (Tarapith)

    রাম মন্দির উদ্বোধনে বীরভূমের তারপীঠের এক সেবাইত তন্ময় চট্টোপাধ্যায় অযোধ্যায় গিয়েছেন। তারপীঠ মন্দির (Tarapith) চত্বরে বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোমের জন্য চারজন পুরোহিত রয়েছে। আর একজন রামের পুজো করছেন। অন্য একজন পুরোহিত হনুমান চালিশা পাঠ করবেন। রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে তারাপীঠে তোরণ তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের এক সেবাইত পুলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনটিকে স্মরণে রাখতে সেবাইতরা এদিন একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করে। মন্দির চত্বরে মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আর সেই যজ্ঞ দেখতে প্রচুর ভক্ত এদিন মন্দির চত্বরে ভিড়় করেন। জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল এগারোটা থেকে শুরু হয় মহাযজ্ঞ। তার আগে চলছে চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি। উপস্থিত রয়েছেন তারাপীঠের সমস্ত সেবাইতরা। মহাযজ্ঞের পর দুই হাজার ভক্তকে অন্ন প্রসাদ খাওয়ানোর আয়োজন রাখা হয়েছে। এদিন এই মহাযজ্ঞের জন্য ব্যবহার করা হয় ১৫ থেকে ২০ কেজি ঘি, ১০৮ টি প্রদীপ। প্রসাদের জন্য রয়েছে কুড়ি থেকে বাইশ রকমের ফল ও নানা সামগ্রী।

    জেলায় ১৫০টি মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়

    তারাপীঠের (Tarapith) পাশাপাশি নলহাটি, ময়ূরেশ্বর, কলেশ্বর সহ বীরভূম জেলার ১৫০টি মন্দিরে এদিন পুজো করা হয়। রামপুরহাট পুরসভার মাঠে রামের মূর্তি পুজো হয়। হোম হয়। কীর্তনের সঙ্গে শোভাযাত্রা বের হয়। ভোগ বিতরণও করা হয়। নলহাটি শহরে পাঁচটি রাম মন্দির আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমনকী নলাটেশ্বরী মন্দিরকেও সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে চলছে কালোবাজারি! ক্ষুব্ধ চাষিরা

    Birbhum: কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে চলছে কালোবাজারি! ক্ষুব্ধ চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকার কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, সরকারি নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে চলছে কালোবাজারি। বৃহস্পতিবার বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কৃষকরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে এসে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হলেন পারুই থানার কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর গ্রামের কৃষক বামাচরণ সামন্ত। এদিন তিনি বোলপুর কিষাণ মান্ডিতে ৬২ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেন। তাঁর অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি ৪ কেজি পাঁচ কিলো এমনকী তিন কিলো করে ধান বেশি নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগে রীতিমতো উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হল বোলপুরের কিষাণ মান্ডি চত্বরে। সরকারিভাবে বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের মধ্যস্থতায় চাষিদের কাছে ধান কেনা হচ্ছে। বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ধান নিয়ে নেওয়া হচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। যদিও এ বিষয়ে রাইস মিলের ম্যানেজার  কোও মন্তব্য করতে চাননি। বোলপুরের রামকৃষ্ণ রাইস মিলের বিরুদ্ধে যখন ধান কেনা নিয়ে কালোবাজারের অভিযোগ উঠে আসছে ঠিক সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। গরু পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই রাইস মিলের মালিক কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর, গরু পাচার কাণ্ডের কালো টাকা কেষ্ট মণ্ডলের হাত ধরে এই রাইস মিলে বিনিয়োগ হয়েছে।

    চাষিরা কী বললেন?

    চাষিদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী কুইন্টাল হিসেবে ধান বিক্রির পর সেই টাকা চাষিদের দেওয়ার কথা। কিন্তু, আমাদের কাছে থেকে কুইন্টাল প্রতি ধান চার-পাঁচ কেজি করে বেশি নিচ্ছে। প্রশাসনের মদতেই এসব চলছে। আর আমাদের মতো চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছি।

    কিষাণ মান্ডির দায়িত্বে থাকা আধিকারিক কী বললেন?

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর কিষাণ মান্ডির দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক বলেন, চাষিরা ধান বিক্রি করতে আসছে। সঠিকভাবেই ধান কেনা হচ্ছে। কিন্তু, যে ধানের গুণগত মান খারাপ, সে ক্ষেত্রে কুইন্টাল প্রতি ধান তিন-চার কেজি করে অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। যদিও এটি সরকারি গাইডলাইনের বহির্ভূত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল কয়েকশো বছরের পুরানো কেন্দুলির জয়দেবের মেলা। প্রতি বছরই বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদের ধারে জয়দেব-কেন্দুলি মেলাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পুণ্যার্থী ভিড় জমান। প্রথা অনুযায়ী মকর সংক্রান্তির দিন অজয় নদের তিরে পু্ণ্যস্নান সারেন পূর্ণার্থীরা। অন্যদিকে, সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী রাধাবিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত বাউল-ফকিরদের মেলাটি।

    কে তৈরি করেছিলেন রাধা বিনোদের মন্দির? (Birbhum)  

    ১৬৮৩ সালে বর্ধমানের মহারানি ব্রজকিশোরী বীরভূমের (Birbhum)  অজয় নদের রাধা-বিনোদের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্থানটির সঙ্গে রাজা লক্ষ্মন সেনের সভাকবি জয়দেবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। তিনি কেন্দুলি গ্রামের সন্তান। প্রাচীন এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনী সমূহ। রয়েছে নানান দেবদেবীর মূর্তি। এই জয়দেব মেলা মূলত বাউল-ফকিরের মেলা হিসাবে পরিচিত। মকর সংক্রান্তির ভোর থেকে শীত উপেক্ষা করে অজয় নদের জলে স্নান সারলেন পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নান সেরে রাধা-বিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও বজায় ছিল। ভিড় থাকায় এই বছর জয়দেব মেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নানের ঘাট ও অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ প্রায় ২ হাজার ৬০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ডিআইজি, এসপি, এসডিপিও পদমর্যাদার অফিসাররা। ১০০ টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে চলছে নজরদারি। ২৪ টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ, ইভটিজিং, কেপমারি রুখতে একাধিক অ্যান্টি ক্রাইম টিম ও মহিলা পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও চলছে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এবার স্থায়ী আখড়া ছাড়াও ৩০০ টি মতো অস্থায়ী আখড়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। ৬৫০ টি স্টল রয়েছে মেলায়। উন্মুক্ত মল-মূত্র ত্যাগ রুখতে নদীর তিরে ১ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে জমজমাট প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়দেব মেলা। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি পাচারেও মদত তৃণমূলের! পথে নেমে আন্দোলন বিজেপি-র

    Birbhum: বালি পাচারেও মদত তৃণমূলের! পথে নেমে আন্দোলন বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের জমানায় বীরভূম (Birbhum) জুড়ে গরু পাচারের পাশাপাশি বালি পাচারও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গরু পাচার মামলায় কেষ্ট এখন তিহারে রয়েছেন। তারপরও এই জেলায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমেনি। শাসক দল এবং প্রশাসনের কর্মীদের একাংশের মদতে বেআইনিভাবে পাম্পের সাহায্যে বালি তুলে তা পাচার করা চলছে। বিজেপির পক্ষ থেকেই এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

     বালি পাচার রুখতে আন্দোলনে বিজেপি (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া এবং ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় ময়ূরাক্ষী নদীতে বহু বালিঘাট রয়েছে। বৈধ ঘাটের সঙ্গে একাধিক অবৈধ ঘাট রয়েছে বলেও অভিযোগ। অবৈধ ঘাটগুলি থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বৈধ ঘাটগুলি থেকেও বিভিন্নভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ময়ূরেশ্বরের কলেশ্বর মোড়ে একটি ছাপাখানায় হানা দিয়ে বালির ঘাটের বেশ কিছু নকল চালান উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই ছাপখানার মালিককে। ওই চালান দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে বালিপাচার হচ্ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বেআইনি বালি পাচারের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে সাঁইথিয়ার তালতলা থেকে কোটাসুর পর্যন্ত পদযাত্রা, পথসভা হয়। কোটাসুর মোড়ে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধও করা হয়। তারপরেও বেআইনি বালি পাচার থামেনি বলে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। মঙ্গলবার বিজেপি-র পক্ষ থেকে জেলাশাসক, ময়ূরেশ্বর থানার ওসি ও জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

    পাম্প বসিয়ে বালি তোলা চলছে, সরব বিজেপি

    বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, শাসক দল ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মীর মদতে সাঁইথিয়া থেকে ময়ূরেশ্বর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নৌকার উপরে পাম্প মেশিন বসিয়ে ময়ূরাক্ষী নদীর নীচে থেকে যথেচ্ছ হারে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব ক্ষতিই হচ্ছে না, ধস নেমে জনবসতি ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে বেআইনি এই কারবার বন্ধ করতে হবে।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলের কেউ বেআইনি বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে জানা নেই। যদি থেকে থাকে তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করলে দল মাথা ঘামাবে না।

    অতিরিক্ত জেলাশাসক কী বললেন?

    বীরভূমের (Birbhum) অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) অসীম পাল বলেন, পাম্পের সাহায্যে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অনুব্রতের খাসতালুকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উধাও! জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য

    Birbhum: অনুব্রতের খাসতালুকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উধাও! জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩২ কিলোমিটার সেচ খাল সংস্কারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়ার অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরে। বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই সেচ খালের দুদিকে হাজার হাজার বড় বড় গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ। সরকারের কোন দফতর বিপুল পরিমাণে গাছ কাটল? কোন খাতে গেল সেই টাকা? তার কোন সদূত্তর নেই। শাসক দলের নেতাদের মদতেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ঘটনার তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর থেকে কীর্ণাহার যাওয়ার রাস্তার ধারে প্রায় ৩২ কিলোমিটার একটি সেচ খাল রয়েছে। কমপক্ষে ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সেচ খালটি। অর্থাৎ, এই খাল থেকে কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিপ্রটিকুরি, কীর্ণাহার ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, দাসকলগ্রাম ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ চাষের জল পেয়ে উপকৃত হন। এই খাল সংস্কার শুরু হয়েছে। আর দেখা যাচ্ছে সেচ খাল সংস্কার করতে গিয়ে দুদিকে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে চলছে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বৃক্ষ নিধন যজ্ঞ। বন দফরের কাছ থেকে কোনওরূপ অনুমতি না নিয়েই কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে ফেলা হল? সরকারের কোনও দফতর এই গাছগুলি কাটল? তা এখনও কেউ কিছু বলতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন জানাচ্ছেন, সেচ খালের দুদিকেই প্রচুর গাছ ছিল। ছোট-বড় গাছের জঙ্গল ছিল। সব কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণে গাছ কেটে নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ স্থানীয়দের। তাঁরা বলেন, ‘চোখের সামনে প্রচুর কাছ কেটে নেওয়া হল। এত গাছ কাটার দরকার ছিল না।’

    বন বিভাগের আধিকারিক কী বললেন?

    বন বিভাগের বোলপুর রেঞ্জের রেঞ্জার প্রদীপ হালদার বলেন, ‘গাছ কেটে নেওয়ার কোনও তথ্য আমরা পাইনি। এখন শুনলাম গুঁড়ি পরে আছে শুধু। আমাদের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share