Tag: BJP Bengal

BJP Bengal

  • Suvendu Adhikari: বিধানসভার রাজনীতিকরণের অভিযোগে স্পিকারে অনাস্থা বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বিধানসভার রাজনীতিকরণের অভিযোগে স্পিকারে অনাস্থা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা (No Confidence) আনল বিজেপি। মঙ্গলবার বিধানসভার সচিবের সঙ্গে দেখা করে বিমান বাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বিজেপি বিধায়করা। অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার সময় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু বাবু জানিয়েছেন, পক্ষপাতিত্তের অভিযোগে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তাঁরা।

    বিধানসভাকে দশকর্মা ভান্ডারে পরিণত অভিযোগ শুভেন্দুর (No Confidence)

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিধানসভাকে দশকর্মা ভান্ডারে পরিণত করেছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিধানসভা কার্যত দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়ে গেছে। আমরা ফিরহাদ হাকিমের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের মুলতবি প্রস্তাব পড়তে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। উল্টে আমাদের প্রতিবাদ, স্লোগানকে বাধা দেওয়ার জন্য দুই মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। লোকসভা ভোটে যিনি তৃণমূলের প্রচার করেছেন, তাঁকে বিজেপির সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন স্পিকার। যাহা মুখ্যমন্ত্রী তাহাই বিমান দা। মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাই অধ্যক্ষের (No Confidence)  অপসারণ চাই। এই দলতন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি চাই।”

    অহেতুক প্রসঙ্গে বিধানসভায় আলোচনার অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবে (No Confidence) মোট ১৮ টি নির্দিষ্ট অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কোনও আলোচনা হয় না। বিধানসভায় সব সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হয়। বিধানসভা এবং রাজ্য সংক্রান্ত বিষয়ের তুলনায় অন্যান্য রাজ্য এবং কেন্দ্র নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। এহেন কর্মকাণ্ড বিধানসভার রীতি নয়। প্রধানমন্ত্রীকে অপমানজনক মন্তব্য করা হয় বিধানসভা থেকে। রাজ্যের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে, বিরোধীদের সেই আলোচনা করতে দেওয়া হয় না। উল্টে মনিপুর, উত্তরপ্রদেশের অবাঞ্ছিত ঘটনার উদাহরণ দেওয়া হয়। প্রতি সোমবার বিধানসভায় পুলিশ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ বারিক ট্রাকচালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক! উল্কার গতিতে উত্থান কোন পথে?

    কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী ওই আলোচনা সময় বিধানসভায় উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ (Suvendu Adhikari) বিজেপি বিধায়কদের।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

    PM Modi: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। বাংলার বিজেপি (BJP) সাংসদদের নতুন করে আশ্বাসবাণী দিলেন তিনি। জোরের সঙ্গে বললেন, ‘‘বাংলায় দিন বদল হবেই।’’

    বাংলার উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার (PM Modi)

    প্রসঙ্গত ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কাছেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। একুশের নির্বাচনেও রাজ্যে পালাবদলের আশা মাথায় করে ম্যাজিক ফিগারের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি তাঁরা। তবু হাল ছাড়তে নারাজ বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী দিনে বাংলার জন্য কী করা যেতে পারে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি সাংসদরা। এদিন “উন্নত বাংলা, উন্নত ভারত” শীর্ষক আলোচনা হয় প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এবং সাংসদদের মধ্যে। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই সূত্রের খবর। একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলার উন্নয়নের জন্য কী করা যেতে পারে, সে কথাও আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এদিন দলের সংসদদের মোদি নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলার উন্নয়নের জন্য যা করণীয় তা জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। এছাড়া নিজেদের এলাকায় কী কী উন্নয়ন করা যেতে পারে, সাংসদদের সেই পরিকল্পনাও জানাতে হবে “পিএমও”-কে।

    বাংলা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা বিজেপির (BJP)

    সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সাংসদদের বার্তা দিয়েছেন, মানুষের মধ্যে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, বাংলার মানুষের কল্যাণ এবং দুর্নীতি মুক্ত উন্নয়নমূলক কাজ একমাত্র বিজেপি করতে পারে। তিনি বলেছেন, বাংলার মানুষের স্বার্থে সব রকম ভাবে পাশে থাকবে কেন্দ্রীয় সরকার। আরও জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি বাংলার মানুষের রাজনৈতিক ইচ্ছের সামগ্রিক বহিঃপ্রকাশ নয়। বিজেপি (BJP) সাংসদদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে যে খেলা হয়েছে, তা বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসন কমলেও শতাংশের বিচারে বিজেপির ভোট খুব একটা কমেনি। কিছু জায়গায় তাঁদের ভোট বেড়েছে।

    আরও পড়ুন: ভগবান রামের সঙ্গে আকবরের তুলনা টেনে বিপাকে ইউপিএসসি শিক্ষিকা, চাপে পড়ে চাইলেন ক্ষমা

    ফলে মানুষ বিজেপির দিক থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এমনটা নয়। সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক কৌশল একটু ঘষে-মেজে নিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি আসতে পারে তা মনে করছে গেরুয়া শিবির।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ঘোষণামতো পোর্টাল খুলল বিজেপি, ভোট না দিতে পারলে নথিভুক্ত করা যাবে নাম

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ঘোষণামতো পোর্টাল খুলল বিজেপি, ভোট না দিতে পারলে নথিভুক্ত করা যাবে নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে যাঁরা ভোট দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য পোর্টাল খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার সেই ঘোষণামতোই নতুন পোর্টাল (LoP Portal) খুলল বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এই নতুন পোর্টালের বিষয়ে জানিয়েছেন। পোর্টালটির নাম দেওয়া হয়েছে savedemocracywb. Com. জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ভোটার বিগত লোকসভা নির্বাচন অথবা সদ্য সমাপ্ত ৪ বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নি তাঁরা নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এই পোর্টালে।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, “কথা দিয়েছিলাম। সেইমতোই পোর্টাল লঞ্চ করলাম। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট ও সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে যারা ভোট দিতে পারেননি তাঁরা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। তাঁদের নাম পরিচয় গোপন থাকবে।” পোর্টালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেভ ডেমোক্রেসি ডব্লুবি’।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এ বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, পোর্টালে (LoP Portal) ভোটাররা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও জানাতে পারবেন। অর্থাৎ কোন পরিস্থিতিতে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি, সেকথা জানাতে পারবেন ভোটাররা। ভোটারদের গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি গণতন্ত্রপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে, গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পোর্টালে যাঁরা ভোট দিতে পারেননি তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার পরে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’

    প্রথমত লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস ও বিধানসভা উপনির্বাচনের ব্যাপক ভোট লুটের অভিযোগ উঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের নিয়ে রবিবারের রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। সেখানেই ২১ জুলাই ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করার ডাকও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন ২১ জুলাই দুপুর একটায় রাজ্যের প্রতিটি থানার সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    Shah-Nadda in Bengal: বাংলায় দেড় হাজার ‘সাইবার যোদ্ধা’দের বিশেষ বার্তা শাহ-নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতে ভোট এলে চোখে পড়ত দেওয়াল লিখন। এখন প্রচার হয় ‘ফেসবুক ওয়ালে’। জনমত গঠনে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমাজ মাধ্যমে কাঁটাতারের বাধা নেই। এক লহমায় সাত-সমুদ্র তেরো নদীর পারেও পৌঁছে দেওয়া যায় বার্তা। তাই আসন্ন লোকসভা ভোট (Loksabha Election) প্রচারে সাইবার-যোদ্ধাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Shah-Nadda in Bengal)। কলকাতায় দলের সাইবার টিমকে সেই রণকৌশলই বুঝিয়ে দিলেন শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

    কী বললেন শাহ

    স্বেচ্ছায় যাঁরা বিজেপির সমর্থন বাড়াতে কাজ করেন, সেই ‘সাইবার যোদ্ধা’দের উৎসাহ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আইটি-সোশাল মিডিয়া টিমের বৈঠকে বার্তা দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘৩৫টি পদ্ম ফোটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সাইবার যোদ্ধারা’। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের দুর্নীতি, তোষণ, হিংসার ঘটনাকে সামনে আনার সঙ্গে কৃষক ও উন্নয়ন বিরোধী তৃণমূলের নীতিকে প্রকাশ্যে আনার নির্দেশও দেন শাহ। 

    সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ

    মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। বৈঠক শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বেরিয়ে জানান, সাইবার যোদ্ধাদের উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন দুই নেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই সাইবার যোদ্ধাদের জন্যই বিজেপি ২০১৯ সালে ভাল ফল করেছিল, ২০২১ সালে ৩ থেকে ৭৭ (বিধায়ক সংখ্যা) হওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা যথেষ্ট।

    সূত্রের খবর, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি রয়েছেন, সেই সব দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহার করে শাসক দল তৃণমূলকে কোণঠাসা করার মন্ত্রই দেওয়া হয়েছে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Modi meets Bengal MPs: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    Modi meets Bengal MPs: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি! আজ সন্ধ্যায় মোদির ক্লাসে সুকান্ত–দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Poll)। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi meets Bengal MPs)। আজ, সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় সংসদের অ্যানেক্স ভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ জুলাই থেকে ১১ অগাস্টের মধ্যে মোট ১১ দফায় মোদি এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আর তাতে প্রথম দিনেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, ব্রজ এবং কানপুর-বুন্দেলখণ্ড এবং বাংলার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে অধিবেশন চলার মধ্যেই দফায় দফায় এই বৈঠকগুলি সারবেন মোদি। এই ধারাবাহিক বৈঠকের প্রথম দিনে যোগ দেওয়ার জন্য সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ–সহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকজন সাংসদ আমন্ত্রণ পেয়েছেন। 

    কেন এই সমন্বয় বৈঠক

    লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Poll) আগে এনডিএ শিবিরে সমন্বয় গড়ে তোলার জন্য সাংসদদের নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ১১টি দলে এনডিএ’‌র ৪৩০ জন সাংসদকে ভাগ করেছে বিজেপি। পৃথক পৃথক দলে এঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকগুলিতে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই জিতেছিল ৩০১টি আসন। অন্য শরিক দলের শক্তি মিলিয়ে লোকসভায় এনডিএ সাংসদের সংখ্যা ৩৩১। এই সব জেতা আসন ধরে রাখার পাশাপাশি হেরে যাওয়া আসনেও শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। সব রাজ্যকে ইতিমধ্যেই লক্ষ্য বলে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়। সেই কাজ কতদূর হয়েছে জানার পাশাপাশি পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরির জন্যই সাংসদদের সঙ্গে বসে বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনাই এই বৈঠকের লক্ষ্য বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বাড়িতে বোমা মজুত! বিস্ফোরণে উড়ে গেল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির চাল

    বাংলার সাংসদদের নিয়ে কী আলোচনা

    সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে পরপর দু’দফা বৈঠক হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। এবার বাংলার বিজেপি (Modi meets Bengal MPs) সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সংসদ ভবনে বাংলার নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে। বাংলায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন, ৩৫টি আসনের কথা। সেখানে এই বৈঠকে সব বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কতগুলি আসন বাংলা থেকে আসতে পারে তাও উঠবে বৈঠকে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজ বাংলায় কতদূর হয়েছে, সে বিষয়ে সাংসদদের থেকে হিসেব নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সাংসদ তহবিল থেকেই বা তাঁরা কী কাজ করেছেন, তারও খতিয়ান নিতে পারেন মোদি। উত্তরপ্রদেশের ৮০ আসনের মধ্যে এখন বিজেপির দখলে রয়েছে ৬৪ জন সাংসদ। শরিক আপনা দলের হাতে দু’টি। বাকি ১৪টি লোকসভা এলাকাতেও কী ভাবে জয়ের পথ তৈরি করা যায়, তার পরিকল্পনা এই বৈঠকে হওয়ার কথা। এরপরে ২ অগাস্ট অওয়ধ, কাশী এবং গোরক্ষপুর এলাকার সাংসদদের বৈঠকে ডেকেছেন মোদি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Bengal: দিল্লিতে বঙ্গ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপি, কেন জানেন?

    BJP Bengal: দিল্লিতে বঙ্গ সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার পরের বছর মহারণ। লোকসভা নির্বাচন। জোড়া নির্বাচনে যাতে রেকর্ড ফল করা যায়, তাই দিল্লিতে (Delhi) সাংগঠনিক বৈঠক ডাকল বিজেপি (BJP)। ১৯ ডিসেম্বর বাংলা থেকে নির্বাচিত সব বিজেপি সাংসদকে নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের দিল্লির বাড়িতে হবে ওই বৈঠক। বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও থাকবেন ওই বৈঠকে। থাকবেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, আশা লাকরা এবং অমিত মালব্যও।

    বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু যে আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যেতে পারেন, সে খবর আগেই শোনা গিয়েছে। সেখানে তিনি বৈঠকে বসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, দিন কয়েক পর তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে শুভেন্দুর এই পর পর বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্য পূর্ণ।

    সুকান্ত-শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি…

    তৃণমূলকে ডিসেম্বর মাস নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ১২, ১৪ আর ২১ ডিসেম্বর এই তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। এই সময়সীমার মধ্যেই দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal)। তাই সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। নভেম্বরেই শুভেন্দু ঘোষণা করেছিলেন, ডিসেম্বরে বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে। যার ধাক্কায় সরকার টলমল হয়ে যাবে। শুভেন্দুর পরে পরে সুকান্তও হুঁশিয়ারি দেন, ডিসেম্বরের ঠান্ডায় এই সরকার ঠক ঠক করে কাঁপবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই জোড়া হুঁশিয়ারির জেরে রাজ্য সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে দানা বাঁধে জল্পনা। যদিও রাজ্যের নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার জল্পনা খারিজ করে দিয়েছিলেন সুকান্ত, শুভেন্দুরা। শুভেন্দু এও বলেছিলেন, ডিসেম্বরে বড় ডাকাত ধরা পড়বে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা মমতা সরকারের। এই অবস্থায় বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) একাধিক নেতা হাজির দিল্লির দরবারে। সূত্রের খবর, সরকার ফেলে দেওয়ার চেয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলকে ছুটিয়ে মারতে চান বিজেপি নেতৃত্ব।

     

     

  • BJP Protest March: তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    BJP Protest March: তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির জেরে শনিবার গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তৃণমূল সরকারের এই মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর (Arpita Mukherjee) একাধিক বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এবার এই দুর্নীতির প্রতিবাদে পথে নামল বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের দাবিতে কলকাতার রাজপথে পদযাত্রায় শামিল গেরুয়া শিবির। 

    দুপুর একটায় শুরু হয়েছে মিছিল। তার আগে হয়েছে বিজেপির জনসভা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির এই মিছিল। চলবে ধর্মতলা রানি রাসমনি রোড অবধি। মিছিলকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বহু পুলিশ। মিছিলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না একথা আগেই জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকছেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই মুহূর্তে দিল্লিতে। বৃহস্পতিবারের এই মিছিলে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা- সহ বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। 

    আরও পড়ুন: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    সূত্রের খবর, মিছিলের মূল দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। পাশাপাশি রাজ্যের দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে যে মন্ত্রীদের তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও অপসারণ দাবি করা হয়েছে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এতদিন আমরা শুনেছি লোকেরা ভোটের ফলাফলের জন্য রাত জেগে থাকেন। তবে কালকে আমরা দেখলাম টাকার ফলাফল কী দেখার জন্য মানুষজন রাতভর অপেক্ষা করছে। একুশ পার হয় নাকি একুশের নিচে থাকে। এই অবস্থা বাংলায় কখনও ছিল না। যে ভেলকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখালেন এরপর কোন মুখে কথা বলেছেন? আমি পরিষ্কার বলছি। এই টাকা তৃণমূলের টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় উপলক্ষ্য মাত্র। এই টাকার একটা অংশ বেরিয়েছে মাত্র। হাজার কোটি টাকাও বেরিয়ে যেতে পারে। এগুলো সব চুরির টাকা।” 

    বিজেপি যখন এই মিছিল করছে, ঠিক তখনই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। দলে পার্থর কী ভবিষ্যত হবে, তা বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে ঠিক করবে দল। তাহলে এবার পার্থর শেষ সম্বল দলের মহাসচিব পদও কী এবার ঝুলছে সরু সুতোর ওপর? প্রশ্ন অব্যহত। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পার্থ! কোন মন্ত্রক কার হাতে জল্পনা, একটু পরেই তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

    প্রসঙ্গত, বুধবার বেলায় এসএসসি-কাণ্ডে (SSC scam) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি (ED)। তালা ভেঙে শুরু হয় তল্লাশি। তারপরই সেখানেও লেগে যায় জ্যাকপট। টালিগঞ্জে হরিদেবপুরের পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় রথতলার ফ্ল্যাটেও টাকার পাহাড়ের হদিশ। ইডি সূত্রে খবর, ১৮ ঘণ্টার অপারেশনে ক্লাবটাউন হাইটসের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি নগদ। এছাড়াও, মিলেছে প্রায় ৬ কেজির বেশি সোনা। যার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর রুপোর কয়েনও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর ও শৌচাগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। এর আগে, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি নগদ। আর এখন এই ইস্যুতেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 
      

     

  • PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    PMAY-G: বাংলা আবাস যোজনা নাম মুছলে তবেই মিলবে টাকা, রাজ্যকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY-G) নাম বদলে রাজ্য সরকার নাম দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। কিন্তু এই নাম ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না করলে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা দেবে না। যতক্ষণ না দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে এই প্রকল্পের নাম ফের বদল হচ্ছে ততক্ষণ রাজ্যে আবাস-প্লাস প্রকল্পে একটি ঘরও আসবে না। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রেই এখবর জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল আবাস যোজনার বাড়ির বরাদ্দ কেন রাজ্যে আসছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিল। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগে বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awaas Yojana) নামটি বাতিল করলে ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করা হোক, তার পরেই টাকা দেওয়ার প্রশ্ন আসবে। 

    ২০১৭ সালের ২১ অগাস্ট এবং ২০২২ সালের ১২ মে রাজ্য সরকারকে দুটি চিঠি পাঠিয়ে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেন। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অবশ্য কেন্দ্রের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। বাংলা আবাস যোজনার নাম বদল করা হবে, সে কথাও জানায়নি। তার জেরে রাজ্যের প্রায় ১০-১২ লক্ষ গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর কথায়,“পশ্চিমবঙ্গ তো দেশের বাইরে নয়। যদি সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চলতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গে তার নাম কেন বদল হবে। আসলে রাজ্য সরকারের ম্যাচিং গ্রান্ট দেওয়ার টাকা নেই, সেই কারণে গরিব মানুষের পাকা বাড়ি তৈরি্র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদিজি (Modi) দেখিয়েছেন এ রাজ্যে তা পূরণ করতে দিচ্ছেন না মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলা আবাস যোজনা নাম বদলাতে রাজি নয় নবান্ন। সেই কারণেই জটিলতা অব্যাহত রয়েছে।

    এইভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করেছে মমতা প্রশাসন

     

    কেন পাকা বাড়ির টাকা পাচ্ছে না রাজ্য?

    গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রের দাবি, গত ১২ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানান, ২০১৬-১৭ সাল থেকে রাজ্য সরকার ৩২ লক্ষ বাড়ি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তৈরি করেছে। দেশে এই প্রকল্পে প্রথম হয়েছে রাজ্য। তারপরেও কেন টাকা আটকে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০১১ সালের আর্থ সামাজিক জাতি সমীক্ষার পর বাংলায় ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬০৮টি পাকা বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৮৮ হাজার। এই প্রকল্পে রাজ্যের তহবিলে ১৩৩৮ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। গত ২৪ মার্চেও আবাস যোজনার জন্য ৬৮৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার সব কাজ শেষ করতে এই টাকা যথেষ্ঠ। 

    কেন রাজ্য সরকার ম্যাচিং গ্রান্টসহ উপভোক্তাদের টাকা পাঠাচ্ছে না সেই প্রশ্নও তুলেছে কেন্দ্রীয় কর্তারা। তবে ২০২১-২২ সাল থেকে আবাস-প্লাস (Awaas+) নামে নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমেও আরও অন্তত ১০-১২ লক্ষ পরিবার পাকা বাড়ি হবে। কিন্তু ন্যাশনাল লেভেল মনিটররা রাজ্যে এসে এই প্রকল্পে ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়েছেন। কাটমানি খাওয়া, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবার তাদের বাড়ি দেওয়া, রাজনৈতিক রং দেখে বাড়ি দেওয়া এবং পর্বত প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে দেখা যায় নাম বদলে দেওয়ার ঘটনাও।

    আরও পড়ুন: কেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের টাকা আটকেছে কেন্দ্র? রইল ৮ কারণ

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ২২ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল দুটি ডিও লেটার লিখে প্রকল্পের অনিয়মের ব্যাপারে ১ মে-র মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন। তার কোনও জবাব দেয়নি রাজ্য। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক (Ministry of Finance) কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল হলে তার টাকা না দেওয়ার কথাও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে রেখেছে। তার পরেও নবান্ন (Nabanna) কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও (Ministry of Urban Development) জানিয়ে দিয়েছে বাংলা আবাস যোজনা বদলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা করলে তবেই মিলবে গ্রামে পাকা বাড়ির তৈরির বরাদ্দ।

LinkedIn
Share