Tag: BJP Murder

BJP Murder

  • Nadia: বিরোধিতার মাশুল! ভোজালি দিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা

    Nadia: বিরোধিতার মাশুল! ভোজালি দিয়ে বিজেপি কর্মীকে খুন করল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে ভোজালি দিয়ে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার পুড়াগাছা এলাকায়। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম নিমাই বাগ, বয়স আনুমানিক ৫৯ বছর। জানা গিয়েছে, ভীমপুর থানার আসাননগর পুরাগাছা এলাকার বাসিন্দা নিমাই বাগ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হত। যেহেতু ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিমাই বাগের সুসম্পর্ক ছিল, সেই কারণে তৃণমূলের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গতকাল রাতে তিনজন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ রাস্তায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তাঁঁর পরিবারের মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ভীমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপরে নিমাই বাগের মৃতদে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। আজ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে ওই এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।

    অভিযুক্তদের গ্রেফতার চান মেয়ে (Nadia)

    এ বিষয়ে মৃত নিমাই বাগের মেয়ে কাজল বাগ (Nadia) বলেন, আমার বাবাকে ভোজলি দিয়ে খুন করেছে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী পরেশ সাঁতরা। বিজেপি করার কারণে এর আগেও তারা আমার বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। আমি চাই অবিলম্বে অভিযুক্ত গ্রেফতার হোক এবং আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    আন্দোলনের হুমকি বিজেপির (Nadia)

    অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুরাগাছা পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান (Nadia) অশোক বিশ্বাস। ঘটনা তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামিকালের মধ্যে যদি অভিযুক্ত গ্রেফতার না হয়, তাহলে আমরা বড়সড় আন্দোলনের নামব। পাশাপাশি তিনি বলেন, শুধুমাত্র পোড়াগাছার ঘটনা নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূল বুঝতে পেরেছে তাদের আর কোনও জায়গা নেই। সেই কারণেই বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। মানুষ পুলিশের কাছে গিয়েও রেহাই পাচ্ছে না। তার কারণ পুলিশ তৃণমূলের দলদাস। আমরা বহুবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। এবার প্রয়োজনে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূলের তাণ্ডব লীলা শুরু হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেদিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (BJP Murder)। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। এরপরে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলাগুলির তদন্তভার নেয় সিবিআই। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারপিট সমেত একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রথম থেকেই দোষীদের শাস্তি পাওয়ার বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন নিহতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এবার তাঁর ওপরেই হামলার অভিযোগ।

    শনিবার প্রাণঘাতী হামলা নিহতের দাদার ওপর 

    এরই মধ্যে গত শনিবার সিবিআই এর খাতায় ফেরার দুই অভিযুক্ত নাড়ু এবং অরুণ দে, বিশ্বজিৎ সরকারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ১৬ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পরেই নারকেলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বজিৎ সরকার। শনিবার নিহতের দাদাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুই ফেরার আসামির (BJP Murder) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ক্ষুর দিয়ে গলার নলি কাটারও চেষ্টা করা হয় বিশ্বজিৎ সরকারের, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপরেই সিবিআই-এর দ্বারস্থ হন নিহতের দাদা। তবে এটা প্রথম নয় আগেও প্রাণঘাতী হামলা হয় বিশ্বজিৎ এর ওপর। তখনও তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ সরকারকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু বিচারপতির নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ কোনও রকম নিরাপত্তা দেয়নি বলে অভিযোগ যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    কেন সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা

    তাঁর ওপর হামলার পর পরই বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের খাতায় পলাতক অভিযুক্ত (BJP Murder) অরুণ দে বলছিল ক্ষুরটা বের কর ওর গলাটা কেটে দেব, সাক্ষ্য দিতে পারবে না। এর পরে রাস্তায় দুজন চলে আসায় ওরা পালিয়ে যায়। ওদের নামে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, আমার বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকলেও আমার সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই।’’বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, এই ঘটনার পরে তিনি সিবিআই আধিকারিকদের ফোনও করেছেন। পলাতক নাড়ু এবং অরুণ দে’কে কেন ধরা হচ্ছে না সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন সিবিআইকে। এর পাশাপাশি তাঁর নিজের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ফেরাররা (BJP Murder) কীভাবে এভাবে প্রকাশ্য রাস্তা ঘুরে বেড়াতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন (BJP Murder) হন। ওই খুনের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করতে চক্রান্ত (BJP Murder) করছে পুলিশ, সোমবার এই মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ৯১ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে। আইন অনুসারে ঠিক তার আগের দিনই জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত। কেন চার্জশিট পেশ করতে একদিন সময় বেশি লাগল পুলিশের, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত (BJP Murder)। ঠিক তার পরের দিনই আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে পুলিশের।

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি

    ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায়, সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে আমরা কোনও মামলা সিবিআই-সিআইডিকে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে (BJP Murder)। ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ (BJP Murder)। এতে স্পষ্ট মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে পুলিশের চক্রান্ত (BJP Murder)।’’ 

    মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যোগ হওয়ার পরেও কীভাবে জামিন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আর প্রশ্ন, মামলাতে এসসি-এসটি আইনের ধারাগুলিকে যোগ করা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত (BJP Murder) জামিন পেতে পারেন? প্রসঙ্গত,  বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বোম মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তারপরেও বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা কেন যোগ করা হয়নি তাও জানতে চান বিচারপতি।   ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির  দিন রয়েছে। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে, এমন কথাই শুনিয়েছেন বিচারপতি (BJP Murder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরেও কোনওরকম এফআইআর দায়ের হয়নি। আরও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। এদিন বিচারপতি দুটি অভিযোগই শোনেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের দড়িকেওড়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ভোলানাথ মণ্ডল। অভিযোগ, এর পর থেকেই শাসক দলের সন্ত্রাস নেমে আসে তার ওপর। মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ দিতে থাকে তৃণমূল। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভোলানাথ। এরপরই গত ২১ জুন তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই আঘাত নিয়েও ভোটে লড়েন তিনি। ফের তাঁকে ১১ জুলাই গণনার দিন ব্যাপক মারধর করা হয়। অসুস্থ ভোলানাথকে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।  

    কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ

    এমন পরিস্থিতিতে ভোলানাথ মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণনাকেন্দ্র এবং হাসপাতালের (Calcutta High Court) সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। আগামী ১৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন পুলিশকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ইসলামপুরে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে

    BJP Murder: ইসলামপুরে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বস্ত্র ব্যবসায়ী তথা বিজেপি কর্মী অসীম সাহা হত্যার (BJP Murder) ঘটনায় উত্তপ্ত ইসলামপুর। রবিবার বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাইজ্যাকের অভিযোগ উঠল পুলিশ ও ব্যবসায়ী সমিতির বিরুদ্ধে। খুনের ঘটনা সামনে আসতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার ইসলামপুরে ৩১ নং জাতীয় সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শনিবার রাতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিবার ১২ ঘণ্টা ইসলামপুর বনধের ডাক দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে রবিবার সকাল থেকেই কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে কারণে গোটা ইসলামপুর জুড়ে মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ সেন জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, দিনে-দুপুরে এভাবে অসীমের খুনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকা হয়েছে। এই বনধে কোনওরকম পিকেটিং করা হয়নি।

    অপরদিকে, তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘অসীমের মৃত্যুর (BJP Murder) ঘটনা আকাঙ্ক্ষিত নয়। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। কারণ অসীম কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। যদি যুক্ত থাকত তাহলে কোনও না কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে তাকে দেখা যেত। আর যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তার সঙ্গেও কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।

    রবিবারের ঘটনাক্রম…

    পরবর্তী সময়ে, কোচবিহার থেকে মৃত অসীম সাহার (BJP Murder) বাবা তপনকুমার সাহা তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে ইসলামপুরে আসেন। তিনি মহঃ তফিক ও মহঃ সাহিল সহ তাদের সহযোগীদের নামে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি হোক। তবে ছেলে কোনও দলের সাথে যুক্ত  কিনা, তা তিনি জানেন না।
    যদিও বিজেপির সহ সভাপতি সুরজিত সেন সহ কর্মীরা তাদের সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর অসীম সাহার মৃতদেহ (BJP Murder) নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে ইসলামপুর অভিমুখে রওনা দেন তাঁর মামা রতন সাহা ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর বন্দোবস্ত করা হয়। যদিও ইসলামপুর আসার সময় শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকায় পুলিশ এবং ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা গাড়ি আটকে মৃতদেহ সরাসরি বাড়িতে নিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, মৃত অসীম সাহাকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য প্রথমে ইসলামপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও, মৃত অসীমের মামাকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলের মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের কিছু সদস্য এবং ইসলামপুর থানার পুলিশ কার্যত ‘হাইজ্যাক’ করে মৃতদেহ (BJP Murder) নিয়ে যায়। মৃতদেহ তাঁর মামাবাড়িতে নিয়ে আসা হলে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। অসীমের মা-বাবা এবং বোনকে দলীয় কার্যালয় থেকে তার মামা বাড়িতে নিয়ে আসে বিজেপি নেতৃত্ব।  অপরদিকে, ঘটনাস্থলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালও পৌঁছান।

    কী বলছে তৃণমূল-বিজেপি?

    বিজেপির শহর সভাপতি জ্যোতির্ময় শেঠ বলেন, ‘‘নিহত অসীম সাহা আমাদের কর্মী ছিলেন। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেলা কার্যালয়ে। সেখানে তাঁর মা-বাবা-বোনও ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূলের মদতপুষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির কিছু সদস্য তার মামাকে ভয় দেখিয়ে সেখানে যেতে দেয়নি। আমরা খবর পেয়ে তার মা-বাবা ও বোনকে মামাবাড়িতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ প্রশাসন এত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আমাদের কর্মীর মৃতদেহ সৎকারের জন্য, এমনটা যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে করত তাহলে অনেক ভাল হত।’’ অপরদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘শেষ শ্রদ্ধা (BJP Murder) জানাতে এসেছি। এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। তাই এ বিষয়ে এখন কোনও মন্তব্য করবো না।’’ এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েনে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা ইসলামপুর জুড়ে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় অভিযুক্ত মহঃ সাহিলকে ইতিমধ্যেই ইসলামপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং তাকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

    BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাইতে বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের (BJP Murder) প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সবং থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের স্ত্রী বৈশালী সামন্ত। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব মৃতের স্ত্রীকে এদিন থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান। খুনের ঘটনায় মোট ২০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, মৃত বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর পরিবারকে বার বার খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাদা থান পরানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি মৃতের স্ত্রীর। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার কাতর আকুতি-মিনতি করে তৃণমূলের হাতে-পায়ে ধরলেও তারা ছাড়েনি, উপরন্তু তাঁকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কী বললেন ভারতী ঘোষ?

    থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর এদিন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘এই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বার বার বলা হতে থাকে পঞ্চায়েতে যেন মনোনয়ন না করা হয়।’’ এদিন পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। তাঁর মতে, ‘‘পুলিশের কাছে বার বার নিরাপত্তার দরবার করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সবং থানা।’’ এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

    কী বলছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব?

    বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘ঝুলন্ত মৃতদেহ (BJP Murder) উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের খুন বিজেপি কর্মী! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

    BJP Murder: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের খুন বিজেপি কর্মী! প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই খুনোখুনি চলছে রাজ্য জুড়ে। এবার উত্তরবঙ্গের দিনহাটায় খুন বিজেপি প্রার্থীর দেওর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ২ নং ব্লকের কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের টিয়াদহ এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। বাড়ির অদূরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম শম্ভু দাস। তাঁর বউদি বিশাখা দাস এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    কী বলছেন নিহতের বাবা?

    জানা গিয়েছে, মৃতের বউদি বিশাখা দাস দিনহাটার কিসামত দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কয়েক জন এসে তাঁর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাজনৈতিক কারণেই এই খুন বলে মনে হচ্ছে। কারণ নিহতের (BJP Murder) বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে বিজেপি পার্টি করত। তৃণমূলের লোকেরা গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে।’’ এই নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৯ দিনে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটল। দিনহাটার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে বিজেপি।

    কী বলছেন বিজেপির দিনহাটা শহর সভাপতি?

    দিনহাটা বিজেপির শহর সভাপতি অজয় রায় বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর যে সন্ত্রাস শাসক দল করেছিল, পঞ্চায়েত ভোটের পর তা বহুগুণ বেড়েছে। দিন কয়েক আগেই বাড়ির মধ্যে আমাদের এক কর্মীকে গুলি করে খুন করে তৃণমূল কর্মীরা। তারপরেই আবার এই ঘটনা।’’

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • BJP Murder: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

    BJP Murder: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভর দুপুরে বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনে গুলি করে খুন করা হল বিজেপি নেতাকে (BJP Murder)। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। নিহত বিজেপি নেতার নাম প্রশান্ত রায় বসুনিয়া। তিনি বিজেপির দিনহাটা-১ ব্লকের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। জানা গেছে, প্রশান্তর বাড়ি পুঁটিমারি পঞ্চায়েতের শিমুলতলায়। প্রসঙ্গত, গত মাসেই কালিয়াগঞ্জে পুলিশের ছোড়া গুলিতে খুন হন বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপর উত্তরবঙ্গে ফের খুন বিজেপি নেতা। এতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির কোচবিহার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘প্রশান্ত আমাদের দলের ২৩ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কোচবিহার জেলা জুড়ে শাসকদলের সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। মারধর, হত্যা বাড়ি ভাঙচুর, বিজেপি কর্মীদের এলাকাছাড়া করা- এসব প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    জানা গেছে, শুক্রবার বেলার দিকে বাড়িতে খাটে বসেছিলেন প্রশান্ত। ঘরের সামনে বারান্দা। বারান্দার গেট তখন খোলা ছিল। আচমকাই কয়েকজন যুবক ঘরে ঢুকে মায়ের সামনেই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুলির শব্দে পরিবারের সদস্য এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রশান্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে সেখানেই মৃত (BJP Murder) বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা

    রাজ্যে বিজেপি কর্মী হত্যার (BJP Murder) ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে বিনা অপরাধে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার দেহ। এরপর আবার দিনহাটায় শুক্রবার ফের খুন করা হল বিজেপি নেতাকে। অর্থাৎ গত ১ মাসে খুন হলেন চার বিজেপি নেতা। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসক দল।

    ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর

     

    তিনি লেখেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুরোপুরি ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে। এর দায় তাঁকে নিতেই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?  

    Suvendu Adhikari: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। তারপর পরে ময়নায় চলতি মাসের ২ তারিখে খুন হন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। সোমবার দুই মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের একজন করে সদস্যকে নিজের দফতরে নিয়োগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মতো বিরোধী দলনেতারও চাকরি দেওয়ার কিছু কোটা থাকে। সেই কোটা থেকেই এই দুজনকে নিয়োগ দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। জানা গেছে, এক বছরে তিনজন করে গ্রুপ ডি অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করার সুযোগ থাকে বিরোধী দলনেতার সেই পদেই এদের দুজনকে নিয়োগ করা হল।

    সোমবারই বিধানসভায় আসেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা

    সোমবারে বিধানসভায় আসেন মৃত্যুঞ্জয়ের বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন এবং বিজয় কৃষ্ণ ভূঁইয়ার ছেলে প্রসেনজিৎ ভূঁইয়া। জানা গেছে, আগামী এক বছর বিরোধী দলনেতার অফিসে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন এই দুইজন। এক বছর এদেরকে প্রবিশন পিরিয়ডে থাকতে হবে। এরপর তাদের স্থায়ীকরণের আবেদন যাবে রাজ্য সরকারের কাছে, এক বছরের মধ্যে যদি চাকরি তাঁরা ছেড়ে না যান, তাহলে এই আবেদন পাঠানো যায়। এদিন, এ প্রসঙ্গে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরিটা হওয়ায় সংসারের সমস্যার কিছুটা সুরাহা হল। কিন্তু যারা গুলি করে আমার স্বামীকে মেরেছে তাদের শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই। যতদিন বিচার না পাব, লড়াই জারি থাকবে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের কাছে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু এমন নির্দয় সরকার যে কোন সাড়া দিল না। তাই আমরা একটা ব্যবস্থা করলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তো কালিয়াগঞ্জে গিয়ে দেখে এলাম বহাল তবিয়তে মোয়াজ্জেম ডিউটি করছে। ন্যূনতম শাস্তিও দেওয়া হয়নি পুলিশ অফিসারকে।’’ প্রসঙ্গত, এই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে ময়নার বিজেপি নেতার দেহ পৌঁছল কলকাতায়

    BJP Murder: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে ময়নার বিজেপি নেতার দেহ পৌঁছল কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে পৌঁছল নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ (BJP Murder)। এদিন সকালে তমলুক হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ কলকাতায় নিয়ে যেতে পুলিশ গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। এনিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই বিবাদ শুরু হয় সুপার ও ওসির মধ্যে। নিহত বিজেপি নেতার ছেলে, প্রসেনজিত ভুঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকাল ৮টা থেকে তমলুক হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও পুলিশ দেহ (BJP Murder) নিয়ে যেতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ১ মে খুন হন বিজেপির বাকচার বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। ঘটনার তিন দিন পর পুলিশ আজই প্রথম গ্রেফতার করতে পারল এক অভিযুক্তকে। জানা গেছে, ধৃতের নাম মিলন ভৌমিক, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। হত্যার (BJP Murder) পরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে খুনীদের আড়াল করার অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক দাবি করেন, খুনীরাই পুলিশের হাতে দেহ (BJP Murder) তুলে দিয়েছে। পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই বলে জানায় পরিবারও। ময়নাতদন্তে তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারে পুলিশ, এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুভেন্দু অধিকারী।

    হাইকোর্টের নির্দেশ….

    এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করানো হবে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। উচ্চ আদালত আরও জানায়, ময়নাতদন্ত করতে গঠন করা হবে একটি দল, যেখানে থাকবেন দুজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের একটি কপি জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট থানায় এবং অপর একটি কপি নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে বলে জানায় হাইকোর্ট। অন্যদিকে ময়নাতে দেহ (BJP Murder) পৌঁছালে তা নিয়ে মিছিল করার কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আজ ময়নাতে আসছে কেন্দ্রীয় তফশিলি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share