Tag: blast

blast

  • Delhi Blast: ‘বিরিয়ানি’, ‘দাওয়াত’, ‘ম্যাডাম এক্স’, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এসব শব্দের মানে জানেন?

    Delhi Blast: ‘বিরিয়ানি’, ‘দাওয়াত’, ‘ম্যাডাম এক্স’, জঙ্গিদের ব্যবহার করা এসব শব্দের মানে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য তৈরি থাকুন।” এই আপাত নিরীহ বাক্যটির নেপথেই ছিল বড়সড় অঘটনের সংকেত (Terror Module)। আজ্ঞে, হ্যাঁ। দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) আগে আগে এহেন সাংকেতিক ভাষাই ব্যবহার করত জঙ্গিরা।

    আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা (Delhi Blast)

    ১০ নভেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ১৩ জন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমেই জঙ্গিদের ভাষা বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের পর ভারতে ‘হোয়াইট কলার মডেলে’র নানা কাজকর্মের কথা প্রকাশ্যে আসে। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, দেশ-বিদেশের জঙ্গি সংগঠন, মায় নিজেদের মধ্যেই বা কীভাবে যোগাযোগ রাখত এই জঙ্গি মডিউলের সদস্যরা? জানা গিয়েছিল, ‘সিগন্যাল’ নামের একটি অ্যাপের কথা।

    সিগন্যাল অ্যাপে চলত কথাবার্তা

    দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে তিন চিকিৎসককে। তাদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সিগন্যাল অ্যাপে তৈরি একটি গ্রুপের মাধ্যমে চলত জইশ-ই-মহম্মদের ফিদায়েঁ মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ। ওই গ্রুপে যুক্ত ছিল বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী উমর-সহ ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথর এবং শাহিন শাহিদ। এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল আদিলের ভাই তথা জঙ্গি মডিউলের চাঁই মুজাফ্ফর রাথের। জানা গিয়েছে, এই গ্রুপেই উমর জানাত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ট্রাইঅ্যাসিটোন ট্রাইপারোক্সাইড-সহ (TATP) অন্যান্য রাসায়নিক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। কোন রাসায়নিক কোথা থেকে কেনা হয়েছে, পরিমাণই বা কত, এর পর কী করা হবে, সেসব ব্যাপারেই কথাবার্তা উমরের সঙ্গে চলত এই গ্রুপের মাধ্যমেই (Terror Module)।

    বিরিয়ানি, দাওয়াত…

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলটি সাধারণ খাবারের নাম ব্যবহার করে নিরাপদ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম ব্যবহার করে জঙ্গি কাজ-কারবার চালাত (Delhi Blast)। সূত্রের খবর, মুজামিল শাকিল, উমা উন নবি, শাহিন শাহিদ এবং আদিল আহমেদ রাথেরের সমন্বয়ে গঠিত জঙ্গি মডিউলটি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড অ্যাপ টেলিগ্রামে যোগাযাগের জন্য বিরিয়ানি, দাওয়াতের মতো সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করত। সূত্রের খবর, ‘বিরিয়ানি’ বলতে বোঝানো হত ‘বিস্ফোরক পদার্থ’, ‘দাওয়াত’ বলতে বোঝানো হয়েছিল ‘একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে’। তদন্তকারীরা জানান, জঙ্গি হামলার বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পর তারা টেলিগ্রামে যে বার্তাটি শেয়ার করেছিল, সেটি হল, “বিরিয়ানি প্রস্তুত, দাওয়াতের জন্য তৈরি থাকুন।”

    সূত্রের খবর, এই হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের মূল পরিকল্পনাকারী ইমাম ইরফান আহমেদ জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, সে-ই চিকিৎসকদের মৌলবাদী করে ঠেলে দিয়েছিল সন্ত্রাসের পথে। ২০২০ সালে সে ছেলের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় উমা উন নবির। এই নবি-ই পরবর্তীকালে লালকেল্লা বিস্ফোরণের ‘সুইসাইড বম্বার’ হিসেবে চিহ্নিত হয় (Delhi Blast)। এই গ্রুপে শাহিন পরিচিত ছিল ‘ম্যাডাম সার্জন’ নামে। তদন্তকারীরা এর পাশাপাশি ‘ম্যাডাম এক্স’ এবং ‘ম্যাডাম জেড’ নামে অজ্ঞাতপরিচয় দুই মহিলার নামও পেয়েছেন (Terror Module)। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও ছিল শাহিনের (Delhi Blast)।

  • Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    Ukase Turkiye: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার জড়াল তুরস্কের নাম, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) আগেই জড়িয়েছে পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্কের নাম (Ukase Turkiye)। জানা গিয়েছে, ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্কের কোনও এক হ্যান্ডলারের অঙ্গুলিহেলনেই জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত ভারতে থাকা চিকিৎসক-জঙ্গিরা। এই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পেয়েছেন একটি কোডনেম। সূত্রের খবর, ‘উকাসা’ নামে এক ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে, যে ওই চিকিৎসক-জঙ্গিদের নিয়ে তৈরি মডিউল পরিচালনা করত। এই মডিউলের নেতা ছিল আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-শিক্ষক উমর উন নবি। জানা গিয়েছে, ভারতে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল তুরস্কে বসেই।

    উকাসা (Ukase Turkiye)

    গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ এই দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর হ্যান্ডলার এবং দিল্লি মডিউলের মধ্যে প্রধান যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে এই উকাসা। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ২০২২ সালে তুরস্কে এই হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময়ই উমর ও তার সঙ্গীরা তুরস্কে গিয়েছিল। তারা গিয়েছিল ওই বছরেরেই মার্চ মাসে। সেই সময় প্রায় দু’সপ্তাহ আঙ্কারায় ছিল সে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের অন্যতম অংশীদার ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপ। প্রথমে টেলিগ্রামের মতো অ্যাপ ব্যবহার করা হলেও, পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল সিগন্যাল ও সেশনের মতো অ্যাপ। তদন্তকারীদের ধারণা, উকাসা নামের এই হ্যান্ডলার চিকিৎসক-জঙ্গিদের তালিম দিয়েছিল, কীভাবে গোপনে ফোনালাপ করতে হয়, কীভাবেই বা এড়িয়ে চলতে হয় ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, তুরস্কের এই হ্যান্ডলারই মডিউলের কাজকর্ম ঠিক করে দিত, যাবতীয় নির্দেশও দিত ওই হ্যান্ডলাররা। উকাসার ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজতে এবং আরও কোনও যোগাযোগের সূত্র পেতে বিদেশি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছেন গোয়েন্দারা (Delhi Blast)।

    পুলিশের স্ক্যানারে আরও এক চিকিৎসক

    এদিকে, লালকেল্লা বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে আরও এক চিকিৎসকও। এই চিকিৎসক আর কেউ নয়, সে হল গ্রেফতার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাঠির দাদা মুজাফফর। তদন্তকারীদের অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসক মেডিক্যাল টেরর মডিউলের বিদেশি যোগসূত্র ও অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এই মুজাফফর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার এই বাসিন্দা ভারতে মূল মডিউল ও তাদের পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ করত। গত অগাস্টে সে দুবাইয়ে চলে গিয়েছে (Ukase Turkiye)। এখন সে আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে কাজ করছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তার হদিশ পেতে রেড কর্নার নোটিশ জারি করতে চাইছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেজন্য ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়েছে তারা।

    ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, তুরস্কের হ্যান্ডলার উকাসা আদতে একটি সাংকেতিক নাম। এক আধিকারিক জানান, আরবি ভাষায় ‘উকাসা’ শব্দের অর্থ হল ‘মাকড়সা’। পরিচয় গোপন করে বিদেশে বসে থেকে নাশকতা, জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক মদত এবং মৌলবাদী কাজকর্মে ইন্ধন জোগাত এই উকাসা (Delhi Blast)। এই উকাসার সঙ্গে দেখা করতেই তুরস্কে গিয়েছিল মুজাফফরও। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসে অপারেশন ও ফান্ডিংয়ের রুটম্যাপ ঠিক করা হয়। অনুমান, সেখানেই কষে নেওয়া হয়েছিল লালকেল্লায় বিস্ফোরণের মতো একাধিক বড় নাশকতার ছক। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইকে জঙ্গি কার্যকলাপে টেনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (Ukase Turkiye) মুজাফফর। ভাইয়ের সঙ্গে উমর, মুজাম্মিল সাকিল ও মৌলবি ইরফানের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল সে-ই। একের পর এক সহযোগীর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উমরকে দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছিল মুজাফফর। ছিল, পুলওয়ামার ধাঁচে নাশকতার নির্দেশও।

    স্লিপার সেলে নিয়োগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উকাসাই উমরদের পরিচালনা করত। কীভাবে স্লিপার সেলে নিয়োগ করতে হবে, কীভাবেই বা ডিজিটাল তথ্য লোপাট করতে হবে, সেই সবই চিকিৎসক-জঙ্গিদের শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছিল তুরস্কের ওই হ্যান্ডলার। তদন্তকারীদের অনুমান, ভারতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের যে ছক কষা হয়েছিল এবং সেই হামলার জন্য যে জঙ্গি মডিউল তৈরি করা হয়েছিল, সে ক্ষেত্রে উকাসার বড় ভূমিকা রয়েছে। তদন্তকারীরা উকাসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এই হ্যান্ডলারের কোনও যোগ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। কীভাবে চিকিৎসক মডিউলকে উকাসা পরিচালনা (Delhi Blast) করছিল, এই উকাসা আসলে কে বা কারা, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ নভেম্বর লালকেল্লার কাছে উমরের হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই গাড়িতেই ছিল চিকিৎসক-জঙ্গি উমর। তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখনও পর্যন্ত ফরিদাবাদ থেকে ইকোস্পোর্টটি উদ্ধার করেছে। তল্লাশি চালানো হচ্ছে ব্রেজা গাড়িটির খোঁজে। আধিকারিকদের সন্দেহ, নিখোঁজ হওয়া গাড়িটিতে লুকানো থাকতে পারে বিস্ফোরক (Ukase Turkiye)।

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে নাম জড়াল আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিদ্দিকির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast) এবার উঠে এল আরও একজনের নাম। তিনি ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Al Falah University) প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকি। বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রধান তিন সন্দেহভাজনের মধ্যে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জনও, একজন শাহিন সাঈদ এবং অন্যজন মুজাম্মিল শাকিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।

    প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকির (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, সিদ্দিকির বিস্তৃত কর্পোরেট নেটওয়ার্ক রয়েছে। ৭.৫ কোটি টাকার প্রতারণার একটি পুরানো মামলায় নাম জড়িয়েছিল সিদ্দিকি ও তাঁর এক সহযোগীর। তিন বছর জেলও খেটেছিলেন তাঁরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা মহম্মদ রাজি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সব প্রতারণার অভিযোগ, যার মধ্যে ৭.৫ কোটি টাকার মামলাটিও রয়েছে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি জানান, শাকিলকে নিয়োগের বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। নতুন নিয়োগ ও যাচাই-বাছাই সম্পূর্ণভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব।

    ন’টি কোম্পানির বোর্ডে সিদ্দিকি!

    মধ্যপ্রদেশের মহৌতে জন্ম সিদ্দিকির। বর্তমানে (Delhi Blast) তিনি রয়েছেন ন’টি কোম্পানির বোর্ডে। এগুলি সবই আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত। এই সংস্থাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপ তত্ত্বাবধান করে। এই ন’টি প্রতিষ্ঠান শিক্ষা, সফটওয়্যার, আর্থিক পরিষেবা এবং জ্বালানি খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও এদের অধিকাংশেরই ঠিকানা একই, দিল্লির একটি ভবন। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বেশিরভাগই ২০১৯ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। পরে সেগুলিতে ঝাঁপ পড়ে যায়। যদিও আল-ফালাহ মেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন সাফল্যের মুখ দেখে। এটি ১৯৯৭ সালে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পথ চলা শুরু করে। বর্তমানে ৭৮ একর জমির ওপর চলছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।

    আল-ফালাহ ভবনটি আল-ফালাহ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অফিস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের জেরে যে পুরানো ফৌজদারি মামলাটি ফের সামনে এসেছে, সেটি দায়ের করা হয়েছিল দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি থানায়। অভিযোগকারীর দাবি, সিদ্দিকি ও তাঁর সহযোগীরা ভুয়ো বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করেছিলেন। তাঁরা বিনিয়োগকারীদের আল-ফালাহ কোম্পানির আমানতে টাকা রাখতে রাজি করান। পরে জাল নথি তৈরি করে দেখানো হয় যে এই আমানতগুলি শেয়ারে রূপান্তরিত হয়েছে (Al Falah University)। এভাবে সংগৃহীত ৭.৫ কোটি টাকার তহবিল অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    Delhi Blast: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতে ৬ ডিসেম্বর হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার অদূরে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ঘটনায় ফের মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের (Babri Masjid Demolition) বদলা নিতে জঙ্গিরা ৬ ডিসেম্বর দিল্লি ও তার আশপাশে সিরিয়াল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানোর নীল নকশা ছকেছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন জঙ্গি মডিউলই এই পরিকল্পনা করেছিল। চক্রের কয়েকজন চাঁই আগেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় ভেস্তে যায় জঙ্গিদের যাবতীয় প্ল্যান। সেই কারণেই তড়িঘড়ি ঘটানো হয় বিস্ফোরণ।

    প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ (Delhi Blast)

    সোমবারের প্রাণঘাতী ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন সাধারণ মানুষ। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মডিউলটি মোট পাঁচটি ধাপে গোটা হামলাটা চালানোর ছক কষেছিল। প্রথম ধাপে জইশ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ যুক্ত সেল তৈরি করা। দ্বিতীয় ধাপে নুহ ও গুরুগ্রাম থেকে আইইডি তৈরির রাসায়নিক, বিস্ফোরক এবং কার্তুজ জোগাড় করা। তৃতীয় ধাপে ছিল আইইডি বানানো এবং সম্ভাব্য হামলার জায়গা রেকি করা। চতুর্থ ধাপে ষড়যন্ত্রীদের পরিকল্পনা ছিল, তৈরি আইইডি, বোমা সদস্যদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। আর সব শেষে ছিল একই সঙ্গে দেশের ৬-৭টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো। যাতে সহজে এই পরিকল্পনার কূল খুঁজে না পাওয়া যায়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক ছিল হামলা চালানো হবে অগাস্ট মাসে। কিন্তু প্রস্তুতিপর্বে দেরি হয়ে যাওয়ায় পাল্টে দেওয়া হয় তারিখ। তখনই ঠিক হয়, হামলা হবে ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ভাঙার বর্ষপূর্তিতে।

    বাবরি মসজিদ

    প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে ফেলা হয় বাবরি মসজিদ। পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জমি হস্তান্তর হয় রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে। ২০২০ সালে শুরু হয় নতুন রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের মকর সংক্রান্তির পরে পরে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার বহুবার তার লেখা সাপ্তাহিক কলামে অযোধ্যা টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার চায় বাবরি মসজিদ বিতর্ক খুঁচিয়ে ভারতে সম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে। বহু বছর ধরেই তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে (Delhi Blast)। জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই ছক কষেছিল জইশের হোয়াইট কালার মডিউল (Babri Masjid Demolition)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএর জেরায় সে কথা কবুলও করেছে ধৃতরা। তারাও জানিয়েছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বদলা নিতেই এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    নয়া সিসিটিভি ফুজেট

    এদিকে, লালকেল্লায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় সামনে এল নয়া সিসিটিভি ফুজেট। সেই ফুটেজে জঙ্গি চিকিৎসক উমর নবিকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের আগে তুর্কমান গেটের কাছে একটি মসজিদ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে জঙ্গি চিকিৎসক উমর। একাধিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে উমরের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দিল্লি পুলিশ। বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই রয়েছে তুর্কমান গেট মসজিদ। সেই মসজিদেই গিয়েছিল উমর। মসজিদে কিছুটা সময় কাটানোর পর বের হয়ে গিয়েছিল। এখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

    বিস্ফোরণের বিরাট পরিকল্পনা

    ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৩২টি গাড়ি ব্যবহার করে ৬ ডিসেম্বর ওই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে ৪টি গাড়ি (Delhi Blast)। আই-২০ ছাড়াও একটি ব্রেজা, একটি সুইফট ডিজায়ার এবং একটি ফোর্ড ইকো স্পোর্টস কার উদ্ধার করা হয়েছে (Babri Masjid Demolition)। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুরানো, সেকেন্ড বা থার্ড হ্যান্ড গাড়িই বেছে বেছে কেনা হত, যাতে পুলিশের পক্ষে গাড়িগুলি ট্রেস করা কঠিন হয়। হরিয়ানা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গাড়িগুলি কেনা হত।

    একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট (Babri Masjid Demolition) অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    Delhi Blast: অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভারতে ঢুকেছিল নেপাল, বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও খোঁজ নেই প্রায় ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের (Delhi Blast)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের পর তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। তার পরেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য (Ammonium Nitrate Missing)। ফরিদাবাদ জঙ্গি মডিউল তদন্তের অধীনে পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। বাকি চালানটির হদিশ মেলেনি এখনও। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে।

    নিখোঁজ বিস্ফোরকের সন্ধানে তল্লাশি (Delhi Blast)

    সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার এখন প্রধান লক্ষ্যই হল ওই ৩০০ কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের সন্ধান ও উদ্ধার করা। এই পরিমাণ বিস্ফোরক যাদের কাছে রয়েছে তাদের চিহ্নিত করা। এ পর্যন্ত ওই সব সংস্থা বিভিন্ন গোপন আস্তানা থেকে প্রায় ৩ টন বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। আধিকারিকদের অনুমান, এর কিছু অংশ এখনও অজানা কোনও জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেই হারানো বিস্ফোরকের খোঁজেই দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। বাকি উপাদানটি যেন কোনওভাবেই ব্যবহার না করা যায়, তা ঠেকাতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি প্রাণপণ করছে।”

    ভায়া বাংলাদেশ ও নেপাল 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের চালানটি ভারতে এসেছিল বাংলাদেশ ও নেপালের সীমান্ত দিয়ে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা একটি সার কারখানা থেকে এই পদার্থটি চুরি করে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান করে এনেছিল (Ammonium Nitrate Missing)। সূত্রের খবর, মোট ৩,২০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ভারতে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই কারণেই পুরো রুটজুড়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্কবার্তা জারি করেছে (Delhi Blast)।

    অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার ছক

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মডিউল উত্তরপ্রদেশের ধর্মীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেমন অযোধ্যা ও বারাণসীতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অভিযুক্তদের মধ্যে শাহিন অযোধ্যায় একটি ‘স্লিপার মডিউল’ সক্রিয় করেছিল। এই শহরগুলির পাশাপাশি লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট, সংবিধান ক্লাব, গৌরীশঙ্কর মন্দির, বড় রেলস্টেশন এবং শপিং মলগুলিও তাদের টার্গেটের তালিকায় ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছিল ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই। তাদের লক্ষ্য ছিল ২৬/১১ মুম্বই হামলার ধাঁচে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো।

    উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি

    তদন্তকারীদের মতে, এই মডিউলটি দিল্লি, গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ জুড়ে একযোগে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০টিরও বেশি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন আইইডি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল। আধিকারিকরা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনবহুল ও ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করা (Delhi Blast)। নিখোঁজ বিস্ফোরকের খোঁজে এবং মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্লিপার সেলগুলি শনাক্ত করতে বিভিন্ন রাজ্যে যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই নেটওয়ার্কটির শেকড় উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সীমান্তবর্তী চোরাচালান পথ পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর আশঙ্কায় সরকার সংবেদনশীল কাঠামো ও বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে জোরদার করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Ammonium Nitrate Missing)। সোমবার দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ-ও। তার পরেই আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিস্ফোরক কোথায় গেল, তারও সন্ধান করছে এনআইএ (Delhi Blast)।

    কোথায় আরও দুই মহিলা চিকিৎসক

    এদিকে, শাহিন ছাড়াও তদন্তকারীরা খোঁজ করছেন আরও দুই মহিলা চিকিৎসকের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করেছে তারা। কাশ্মীরের অনন্তনাগ ও শ্রীনগরে চিকিৎসাও করেছে তারা। তবে এদের আসল উদ্দেশ্য ছিল, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের হয়ে কাজ করা। সেই কাজ তারা করেও যাচ্ছিল গোপনে। শাহিন পুলিশের জালে পড়লেও, ওই দুই মহিলা চিকিৎসক অধরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই দুই মহিলা চিকিৎসকই আদতে লিঙ্কম্যান। চমকের শেষ এখানেই নয়। গোয়েন্দারা এও জেনেছেন, ইস্তাম্বুল, দোঁহা থেকে তাদের কাছ থেকে ডিজিটাল ওয়ালেটে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে (Delhi Blast)।

    ধর্ম প্রচারের আড়ালে আসলে যে জইশ এবং লস্করের জঙ্গি চাঁইরা একাধিকবার বাংলাদেশে গিয়েছিল, তা আগেই জানা গিয়েছিল। বাংলাদেশের (Ammonium Nitrate Missing) মাটি ব্যবহার করে দফতর খুলতে চাইছে আইএসআই। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার সেই অনুমতিও দিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, যেহেতু পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে এখন ভারতে ঢোকাটা জঙ্গিদের কাছে দুষ্কর, তাই বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছে জঙ্গিরা (Delhi Blast)।

  • Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    Delhi Blast: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ জঙ্গি হামলাই, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ (Delhi Blast) জঙ্গি হামলাই। বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে এমনই (Centre) জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাফ জানিয়ে দিলেন, সোমবার দিল্লিতে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা আসলে ছিল ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী হামলাই।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Delhi Blast)

    বুধবার দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছুটে যান দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে তিনি দেখা করেন দিল্লি বিস্ফোরণে জখমদের সঙ্গে। এই হাসপাতালে এখনও অন্তত ২০ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এই হামলার নেপথ্যে জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের তদন্ত সংস্থাগুলি এই ষড়যন্ত্রের শেকড় পর্যন্ত যাবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী, তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। একজনকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না।” হাসপাতাল থেকে ফিরেই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    বৈঠকে নীরবতা পালন

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকের শুরুতেই দু’মিনিট ধরে নীরবতা পালন করা হয়। দিল্লির বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এদিন পালন করা হয় নীরবতা। এরপর কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করা হয় এই হামলার। ঘটনাটিকে দেশ বিরোধী শক্তির কাপুরুষোচিত আক্রমণ বলেও উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে, তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেও উল্লেখ করা হয়। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীরা। যাঁরা উদ্ধার কাজে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের এবং হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের প্রশংসাও করা হয়। ওই হামলার পরে পরেই ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বার্তা পাঠায় বিভিন্ন দেশ। সেজন্য ওই দেশগুলিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় কেন্দ্রের তরফে। অভিযুক্তদের ধরে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।

    আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

    সোমবার বিকেলে দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় পার্কিংয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি। কাচ ভেঙে যায় অকুস্থলের আশপাশের বাড়ি এবং দোকানেরও। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন বিদেশ সফরে, ভুটানে। সেখান থেকে ফিরেই প্রথমে যান হাসপাতালে, তার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই (Delhi Blast) বৈঠক শেষে সোমবারের ওই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে উল্লেখ করল সরকার। দিল্লির ঘটনার নেপথ্যে যে বড়সড় ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে তাকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই দেগে দেওয়া হল (Centre)।

    বিস্ফোরণের আগে রেকি!

    এদিকে, ঘটনার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় অনেকটাই এগিয়েছে তদন্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। তাদের জেরা করে অনেক নতুন তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। বুধবারই হরিয়ানার একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত উমর নবির লাল রংয়ের চারচাকার একটি গাড়ি। এই উমরই বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া সাদা হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির চালকের আসনে ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণের আগে আগে এই গাড়িটি কোথায় কোথায় ঘুরেছিল, সেদিকেও নজরদারি করছেন গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, গাড়িটি এর আগে ঘুরেছিল দিল্লির দুই ব্যস্ততম এলাকা কনট প্লেস এবং ময়ূর বিহার। দিল্লির এই দুই এলাকায় আসার আগে গাড়িটি হরিয়ানাতেই ছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে পার্ক করা ছিল বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সেই গাড়িটি। এর ঠিক পাশেই রাখা ছিল ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিল আহমেদের গাড়িও। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক মুজাম্মিল হলেও, রেজিস্ট্রেশন ছিল মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদের নামে। প্রশ্ন হল, তাহলে কি বিস্ফোরণের আগে রেকি করতেই রাজধানীর জনবহুল এলাকাগুলিতে ঘুরপাক খেয়েছে (Delhi Blast) গাড়িটি? লালকেল্লা ছাড়াও রাজধানীর অন্য কোথাও কি আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা? যদিও দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে আত্মঘাতী হামলার সুস্পষ্ট প্রমাণ এখনও মেলেনি।

    উধাও হয়ে গিয়েছিল মহিলা চিকিৎসক

    লালকেল্লার বাইরে বিস্ফোরণের ঠিক আগে লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিন সিদ্দিকি নামে এক মহিলা চিকিৎসককে। তার গাড়িতেও মিলেছে আগ্নেয়াস্ত্র (Centre)। তদন্তকারীদের অনুমান, শাহিন ও তার সঙ্গী মুজাম্মিলের সঙ্গে সরাসরি যোগ থাকতে পারে দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের। কানপুরের জেএসভিএম মেডিক্যাল কলেজে পড়াত শাহিন। ২০১৩ সালে আচমকাই উধাও হয়ে যায়। ২০২১ সালে তাকে বরখাস্ত করেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দাদের ধারণা, সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় গায়েব হয়ে গিয়েছিল শাহিন। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা শাখা জামাত-উল-মোমিনীনের ভারতের প্রধান করা হয় তাকে। সে কাজ করত মাসুদ আজহারের বোন সাদিয়া আজহারের সঙ্গে শলা করে। লখনউয়ের যে বাড়িতে শাহিন থাকত, সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাই পারভেজ আনসারিকেও (Delhi Blast)। শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজিদ রাথরের সঙ্গেও যোগ রয়েছে ফরিদাবাদের এই হাসপাতালের (Centre)। যদিও বুধবার ওই মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া নয়। ধৃত কিংবা আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই।

  • Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় প্রজ্ঞা ঠাকুর-সহ ৭ অভিযুক্তই বেকসুর খালাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ মামলায় (Malegaon Blast Case) অভিযুক্ত সাতজনকেই বেকসুর খালাস করে দিল মুম্বইয়ের বিশেষ এনআইএ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Thakur) এবং সেনাবাহিনীর প্রাক্তন অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিতও। বৃহস্পতিবার আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারক একে লাহোটি বলেন, “সমাজে এটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু কেবল নৈতিকতার যুক্তিতে আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না।”

    মালেগাঁও বোমা বিস্ফোরণ (Malegaon Blast Case)

    ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাসের রাতে মুম্বই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সাম্প্রদায়িক স্পর্শকাতর শহর মালেগাঁওয়ের ভিক্কু চৌকের কাছে ঘটেছিল শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সাতজনের। জখম হয়েছিলেন ১০০জনেরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি বাইকে রাখা ছিল দুটি বোমা। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে ছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গ্রেফতার করা হয় ভোপালের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত-সহ সাতজনকে। পরে অবশ্য সবাই জামিন পান। এই মামলায় (Malegaon Blast Case) প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল প্রজ্ঞার নাম। কারণ যে বাইকটিতে বোমা রাখা ছিল, সেটি নথিভুক্ত ছিল প্রজ্ঞার নামেই। অভিযোগ উঠেছিল, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিলেন প্রজ্ঞাই।

    আদালতের বক্তব্য

    এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ফরেন্সিক পরীক্ষায় এটি প্রমাণ হয়নি যে বাইকটি প্রজ্ঞার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বিস্ফোরণের ঘটনার দু’বছর আগেই সন্ন্যাসী হয়ে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞা।” ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখার হাত থেকে মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইনে করা মামলা বলবৎ ছিল। বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালত জানায়, এই মামলায় ইউএপিএ প্রযুক্ত (Pragya Thakur) হয় না। রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, “পুলিশ ও তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার কোনও জোরালো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তাই তাঁদের বেনিফিট অফ ডাউটের সুবিধা দিয়ে নিরপরাধ ঘোষণা করা হচ্ছে। এই মামলায় যে সাতজন অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা হলেন ভোপালের প্রাক্তন বিজেপি এমপি সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর, তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ শ্রীকান্ত পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, অজয় রাহিরকর, সুধাকর দ্বিবেদী, সুধাকর চতুর্বেদী এবং সমীর কুলকার্নি।”

    তদন্তভার যায় এনআইএয়ের হাতে

    তদন্তভার এনআইএয়ের হাতে যাওয়ার পর আদালতে জমা পড়ে একের পর এক চার্জশিট। জমা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। ২০১৮ সালে শুরু হয় বিচার। সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই গঠন করা হয় চার্জ। বিচার চলাকালীন আদালত খতিয়ে দেখে ৩২৩ জন সাক্ষীর বয়ান। চলতি বছরের এপ্রিলে বিশেষ আদালতে কয়েকশো পাতার তথ্যপ্রমাণ পেশ করে এনআইএ। ১৯ এপ্রিল রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে এপ্রিল মাসে। কিন্তু মামলার (Malegaon Blast Case) প্রকৃতির কারণে, যেখানে এক লাখেরও বেশি পৃষ্ঠার প্রমাণ ও নথি রয়েছে, রায় দেওয়ার আগে সমস্ত রেকর্ড পর্যালোচনা করার জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ছিল। মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে রায়ের দিন আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন প্রজ্ঞা

    এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাত অভিযুক্তই। আদালতের রায় শোনার পর প্রজ্ঞা (Pragya Thakur) বলেন, “এই মামলা আমার পুরো জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা দোষী, ঈশ্বর তাদের শাস্তি দেবেন (Malegaon Blast Case)।” তিনি বলেন,  “আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, যাদের তদন্তের জন্য ডাকা হয়, তার পেছনে কোনও ভিত্তি থাকা উচিত। আমাকে ডাকা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল এবং নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এতে আমার পুরো জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমি এক সাধু জীবন যাপন করছিলাম। কিন্তু আমাকে অভিযুক্ত করা হয় এবং তখন কেউ স্বেচ্ছায় আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমি বেঁচে আছি, কারণ আমি একজন সন্ন্যাসিনী।”

    আইনজীবীর বক্তব্য

    অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন সুধাকর ধর দ্বিবেদীও। তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত সাঙ্গালে বলেন, “দীর্ঘ ১৭ বছর দেরি হওয়ার পরে ৩২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ৪০ জন সাক্ষীর বিরোধিতা, ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর জবানবন্দি বাতিল এবং ৪০ জন সাক্ষীর মৃত্যুর পর আজ ন্যায় বিচার হল (Pragya Thakur)। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ ছিল না। সব অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে (Malegaon Blast Case)।”

  • Pakistan Blast: চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে, নিহত প্রবীণ ধর্মগুরু

    Pakistan Blast: চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে, নিহত প্রবীণ ধর্মগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে (Pakistan Blast)। শনিবারের বিস্ফোরণে হত হয়েছেন এক প্রবীণ ধর্মগুরু (Cleric Killed)। জখম হয়েছেন তিনজন। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি মাদ্রাসা-কাম-মসজিদে ঘটে বিস্ফোরণের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মুনির শাকিরের। লেডি রিডিং হাসপাতালের (এলআরএইচ) মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “মুফতি শাকিরকে সংকটজনক অবস্থায় এলআরএইচ-এ আনা হয়েছিল। আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

    ধর্মীয় মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ (Pakistan Blast)

    পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি পেশোয়ার জেলার উরমুর বালা গ্রামের একটি ধর্মীয় মাদ্রাসায় ঘটে। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, বম্ব নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এবং সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের সদস্যরা। ঘটনাস্থলের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর বিস্ফোরণের নিন্দা করে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন পুলিশের কাছে। দোষীদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি (Pakistan Blast)। এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইহতেশাম আলি মুফতি মুনির শাকিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

    মুফতি মুনির শাকিরের মৃত্যু

    তিনি বলেন, “মুফতি মুনির শাকিরের শহিদ হওয়ার খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত। মুফতি মুনির শাকির তাঁর আঘাতের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।” তিনি শহিদ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নিষিদ্ধ করা হয় লস্কর-ই-ইসলাম। এটি খাইবারের উপজাতীয় অঞ্চলের বারা-ভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠন। এর নেতৃত্বে ছিল মঙ্গল বাঘ। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লস্কর-ই-ইসলাম গঠন করেন বারার এক স্থানীয় আলেম মুফতি শাকির। মাত্র ছ’মাস পর, তাঁর চরমপন্থী মতাদর্শ ও স্থানীয় কমান্ডার হাজি নামদারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তাঁকে বার ক্বামবারখেল এলাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

    ২০০৫ সালের শুরুর দিকে মুফতি শাকির ও পীর সাইফুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর স্থানীয় (Cleric Killed) প্রবীণদের একটি উপজাতীয় পরিষদের সর্বসম্মত রায়ে দুজনকেই বারা থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয় (Pakistan Blast)।

  • Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চারদিন আগেই হাইজ্যাক করা হয়েছিল আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ওই ঘটনার সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খবরের শিরোনামে সেই বালুচিস্তানই (IED Blast)। এবার পাক সেনার কনভয়ে হল হামলা।

    আইইডি বিস্ফোরণ (Pakistan)

    শনিবার তুরবত শহরে সেনার কনভয়ে হল আইইডি বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কনভয়ে থাকা বেশ কয়েকজন সেনা জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে জখম সেনাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও এদিন সন্ধে পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউই। ১১ মার্চ জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনায় হাত ছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির। এদিনের ঘটনায়ও তাদের হাত রয়েছে বলেই অনুমান পাকিস্তান পুলিশের।

    বালুচ বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি

    গত মঙ্গলবারই বালুচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে বালুচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় শ’খানেক যাত্রীকে (IED Blast)। যাত্রীদের উদ্ধার করতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। পাক সেনার দাবি, এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে সব বিদ্রোহীর। বিদ্রোহীদের পাল্টা দাবি, এই অভিযান চলার সময় সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন সেনার। এই ঘটনার পরেই বালুচ বিদ্রোহীরা হুঁশিয়ারি দেয়, পাক সেনা যদি তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করে, তাহলে তাঁদের পরবর্তী নিশানা হবে ইসলামাবাদ। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হল বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা।

    শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের (Pakistan) দক্ষিণে ওয়াজজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই দিন দুপুরে আজম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আবদুল আজিজ মসজিদে প্রার্থনার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায়ও সন্দেহের তির ছিল বালুচ বিদ্রোহীদের দিকেই।

    প্রসঙ্গত, অতীতেও এই রেলপথে বালুচ বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে রকেট কিংবা রিমোট পরিচালিত বোমা দিয়ে। এলাকায় যত হামলার ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালুচ বিদ্রোহীরা। গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান রেলওয়েজ কোয়েটা থেকে পেশওয়াল পর্যন্ত রেল পরিষেবা সংস্কারের কথা ঘোষণা (IED Blast) করেছিল। তার আগে দেড় মাসেরও বেশি সময় এই পথে রেল চলাচল বন্ধ ছিল (Pakistan)।

  • Bomb Blast: এবার পাকিস্তানে ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ, হত উপাচার্য-সহ অন্তত ৬

    Bomb Blast: এবার পাকিস্তানে ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ, হত উপাচার্য-সহ অন্তত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘জিহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে’ই বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। হত অন্তত ৬ জন। পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসার ঘটনা। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে মাদ্রাসার মধ্যে থাকা মসজিদে। সেই সময় শুক্রবার নমাজ সবে শুরু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই মাদ্রাসার উপাচার্য তথা ধর্মীয় নেতা মৌলানা হামিদুল হক হাক্কানি। বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা পাকিস্তানের পুলিশ-প্রশাসনের।

    কী বলছে প্রশাসন? (Bomb Blast)

    উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের এই অংশ তালিবান অধ্যুষিত। মাদ্রাসার সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অতীতে এই মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন পাক তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মতো জঙ্গি-নেতাও। অনুমান, নমাজ আদায়ের সময় ঘটানো হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। যদিও ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। খাইবার পাখতুনখোয়ার ইনস্পেক্টর জেনারেল জুলফিকর হামিদ সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করা হচ্ছে, মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সম্ভবত উপাচার্য হাক্কানিই নিশানা ছিল হামলাকারীদের।”

    হত উপাচার্য হাক্কানি

    সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আক্কোরা খাট্টাক জেলায় রয়েছে মাদ্রাসাটি। মাদ্রাসাটির সঙ্গে যোগ রয়েছে আফগান তালিবানদের। ১৯৪৭ সালে মাদ্রাসাটি তৈরি করেছিলেন হাক্কানিয়ার বাবা মৌলানা আবদুল হক হাক্কানিয়া। বাবার মৃত্যুর পরে উপাচার্য হয়েছিলেন হাক্কানি। তিনি জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (সামি)-র প্রধান। গত বছর পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন হাক্কানি (Bomb Blast)। সেখানে তিনি তালিবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন।

    মাদ্রাসাটি ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই পরিচিত

    এই মাদ্রাসাটি ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেই পরিচিত। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যায় নাম জড়িয়েছিল এই মাদ্রাসার পড়ুয়াদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এবার সেই মাদ্রাসায়ই ঘটল বিস্ফোরণ। এবং মারা গেলেন খোদ উপাচার্যই! হাক্কানি একজন রাজনীতিবিদও। তিনি ২০০২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

    ঘটনাটিকে জঙ্গি হামলা বলে নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেন, “কাপুরুষের মতো এই জঘন্য ঘটনা রেয়াত করা হবে না। এই সন্ত্রাসবাদের যোগ্য জবাব আমরা দেব।”

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় জঙ্গি দমন অভিযান চালায় পাক সেনা। খতম হয় ৩০ জন জঙ্গি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিরা তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান সংগঠনের সদস্য। ফলে (Pakistan) এই হামলায় ওই সংগঠনের হাত উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা (Bomb Blast)।

LinkedIn
Share