Tag: blast

blast

  • Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার ছ’জন জওয়ান। তাঁদের রাজৌরি (Landmine Blast in Rajouri) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর। মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া রাজৌরি জেলার নওশেরার ভবানী সেক্টরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় (নর্দার্ন) কম্যান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    কী ঘটেছিল?

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোর্খা রাইফেলসের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। সেখানেই মাটিতে লুকনো ছিল ল্যান্ডমাইনটি। একজন সেনা জওয়ান ভুলবশত একটি ল্যান্ডমাইনের উপর পা দিয়ে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের আঘাত মারাত্মক হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ রোধে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায়শই ল্যান্ডমাইন পোঁতা থাকে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কখনও ওই ল্যান্ডমাইনগুলি সরানোর কাজ চলে। যার ফলেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    নাশকতার ছক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাতেই ‘অ্যান্টি পার্সোনেল’ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক সেনা জওয়ানের পা উড়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।  তবে পাক জেহাদিরা ছক কষেই নাশকতার জন্য ল্যান্ডমাইন সরিয়ে এনেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সেনা।  

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানা, পাকিস্তানে হত ১২ জওয়ান

    Pakistan: সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানা, পাকিস্তানে হত ১২ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানে (Pakistan) হত ১২ জওয়ান। মঙ্গলবার মধ্য রাতে ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া (Khyber Pakhtunkhwa) এলাকায়। বুধবার পাক সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয় হামলার কথা। জানা গিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখোয়ায় একটি সেনাছাউনিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা।

    বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির ধাক্কা (Pakistan)

    বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি দুরন্ত গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে সেনা ছাউনির দেওয়ালে। মৃত্যু হয় ১২ জওয়ানের। জওয়ানদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ছ’জন জঙ্গির। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই হামলার নেপথ্যে কারা, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পাক সেনা। যদিও হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে গুল বাহাদুর গ্রুপ নামের এক জঙ্গি গোষ্ঠী।

    হামলা হয়েছে আগেও

    এই প্রথম নয়, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে (Pakistan) তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এবং গুল বাহাদুর গ্রুপ। গুল বাহাদুর গ্রুপ সুপ্রিমো হাফিজ গুল বাহাদুর এক সময় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান ছিলেন। পরে নয়া সংগঠন গড়েন। তার পর থেকেই দুই জঙ্গি গ্রুপ মাঝে মধ্যেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে খাইবার-পাখতুনখোয়া এলাকায়। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ওই এলাকায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (Pakistan) হামলায় পাকিস্তানের ১০ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। নভেম্বরে বালুচিস্তানের কোয়েটা রেলস্টেশন বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সেবার মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। জখমও হয়েছিলেন অনেকে। সেই বিস্ফোরণে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে পাক সেনা ছিলেন ১৪ জন।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্ক এখন একটি নয়া সূচনাবিন্দুতে পৌঁছেছে, বলছে বেজিং

    সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে পাকিস্তানে হিংসার ঘটনা বেড়েছে ৯০ শতাংশ। এদিন যে হামলা হয়েছে, তার ঠিক এক দিন আগে দেশের সামরিক ও অসামরিক নেতৃত্ব বালুচিস্তানে জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের অনুমোদন দিয়েছিল। গত কয়েক মাসে ওই প্রদেশে একাধিক প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। তার প্রেক্ষিতেই জঙ্গি দমনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাক প্রশাসন। তার পরেই সেনার (Khyber Pakhtunkhwa) ওপর হামলা করে জঙ্গিরা বুঝিয়ে দিল, পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই (Pakistan)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Blast: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    Pakistan Blast: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল পাকিস্তান (Pakistan Blast)। এবার হামলা রেলস্টেশনে। শনিবার সকালে পাকিস্তানের বালোচিস্তানের কোয়েটা রেল স্টেশনে (Quetta Railway Station) ভয়৷বহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল অন্তত ২৫ জনের৷ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন৷ হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি সংগঠন। এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।

    সকালে ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণ

    পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কোয়েটার প্রধান রেল স্টেশন৷ সেউ সময় ওই স্টেশনটি ভিড়ে ঠাসা ছিল৷ বিস্ফোরণের (Pakistan Blast) জেরে প্ল্যাটফর্মের উপরেই ছিটকে পড়ে রেলযাত্রীদের দেহ৷ উড়ে যায় স্টেশনের ছাদ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, সম্ভবত সেনাবাহিনীর স্কুল থেকে আসা একটি দলকে লক্ষ্য করেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ কোয়েটার সিনিয়ার সুপারিনটেডেন্ট মহম্মদ বালোচ জানান, বিস্ফোরণের সময় স্টেশনে প্রায় শতাধিক মানুষ ছিলেন। ফলে বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্ল্যাটফর্মে। খবর পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বম্ব স্কোয়াড বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মহম্মদ বালোচ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।”

    বালোচিস্তান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছেছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও উপস্থিত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল (Pakistan Blast) থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিন বিস্ফোরণের পরই কোয়েটার আশেপাশের হাসপাতালগুলিতে ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে৷ মাস তিনেক আগে এই বালোচিস্তানেই থানা এবং হাইওয়েতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barasat Blast: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    Barasat Blast: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রথীন ঘোষ সব জানতেন।” রবিবার এই ক্ষোভ যাঁরা উগরে দিলেন, তাঁরা বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলের বাসিন্দা। এদিনই সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Barasat Blast) কেঁপে ওঠে মোছপোল এলাকা। একটি বাজি তৈরি কারখানায় বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িও। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। যদিও ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানায়নি পুলিশ-প্রশাসন।

    স্থানীয়দের রোষানলে রথীন

    বিস্ফোরণ (Barasat Blast) প্রসঙ্গে স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁরা বলেন, “পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হয়।” তাঁরা জানান, যে বাড়িতে এদিন বিস্ফোরণ হয়েছে, তার মালিককে তাঁরা বারংবার লোকালয়ে বাজির কারখানা তৈরি করার অনুমতি না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবিতে বাড়ির মালিক কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, বাড়ির মালিক কি নিজে প্রভাবশালী? নাকি তাঁর মাথায় রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর আর্শীবাদী হাত?

    পুলিশকে দুষছে তৃণমূলও

    প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশকে দুষছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবলা রায়ও। তিনি বলেন, “এখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা (Barasat Blast) কারখানা চলত। পুলিশ সব জানত। ওটা আদতে বাজি কারখানা নয়, বোমা কারখানা।” ওই তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি পুলিশের আইসিকে বলেছিলাম আপনারা অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করুন। সেলিম আলি এই কাজ করছে। ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওখানে আলু বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজির কোনও সম্পর্কই নেই।”

    এদিকে, বিস্ফোরণের দায় আইএসএফের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী রথীন। তিনি বলেন, “আজ সকালে জানতে পেরেছি, এই কাজের সঙ্গে আইএসএফের একটি ছেলে যুক্ত। ওর নাম রমজান। সে এই বাজির কারখানা চালায়। উল্টোদিকে খুদে বলে একটি এলাকার লোক আছে। যার বাড়িতে বিভিন্ন শ্রমিকরা আসেন। ওরা ওই বাড়িতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিল। সেই সময় ব্লাস্ট হয়। এখনও পর্যন্ত দেহ শনাক্ত করা যায়নি।” আইএসএফের পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় দায়ী তৃণমূলই।

    আরও পড়ুুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Cooch Behar: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৪

    Cooch Behar: ভোটের আগে দিনহাটায় ফের বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের সন্ত্রস্ত এলাকা রাজ্যপাল পরিদর্শন করে ফেরার পরই আজ মঙ্গলবার দিনহাটায় (Cooch Behar) ফের বোমা বিস্ফোরণে আহত ৪ জন। এর মধ্যে দু’জন শিশু। রাজ্য জুড়ে যেভাবে ভোটের আগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, তাতে জেলা জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    কীভাবে বিস্ফোরণ হল (Cooch Behar)?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে একদিকে বীরভূম, মুর্শিদাবাদে যেমন বোমা-বন্দুক উদ্ধার হয়েছে, তেমনি বোমা বিস্ফোরণে উত্তাল হয়ে উঠল দিনহাটা। মঙ্গলবার বোমা বিস্ফোরণ ঘটে দুপুর ১২ টার সময়। কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বিস্ফোরণ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে বলেন, গোসানমারি এলাকার ছোট নাটাবাড়িতে সাত্তার মিঞা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে লতিফ মিঞা ও লুতফর মিঞা নামে দুই শিশু গুরুতর জখম হয়। বাড়ির মালিক সাত্তার নিজে এবং মুজফফর মিঞা নামে দুই প্রৌঢ়ও আহত হন। আহতদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আপাতত পুলিশ গিয়ে পৌঁছেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ হল, সেই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ভোটের আগে এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আহত ব্যক্তির পরিবারের বক্তব্য

    আহত ব্যক্তি মুজফফর মিঞার (Cooch Behar) মেয়ে জানান, তাঁর বাবা টোটো চালাতেন। বাবা দ্রুত সরে যেতে না পারায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় আহত হন। অপর দিকে আহত শিশুর পরিবার থেকে জানানো হয়, বল ভেবে খেলতে গেলে বোমায় আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। কিন্তু বাড়িতে কোনও বোমার কারখানা ছিল কি না, সেই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি কোনও আহতের পরিবারই।  

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত!

    দিনহাটা (Cooch Behar), শীতলকুচি, সিতাই পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কোচবিহারের সার্কিট হাউস থেকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন, দোষী দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আইনের শাসন প্রয়োগে প্রশাসনকে হাইকোর্টের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কিন্তু যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ ভোটের আগে ঘটল, তাতে জেলার মানুষ ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।    

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum Blast:  বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    Birbhum Blast: বজবজের পর এবার দুবরাজপুর! তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দুবরাজপুরে স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে  ভেঙে পরে কংক্রিটের সিঁড়িঘর। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিবেশীর এক শিশুও বিস্ফোরণের (Birbhum Blast) শব্দে অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন পলাতক।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তোলপাড় রাজ্য। মজুত বারুদ নিয়ে ঘুম ছুটেছে পুলিশ প্রশাসনের। নবান্ন থেকে ৬ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামে মজুত থাকা বোমায় বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, শেখ শফিক ওরফে মোরি শেখ নামে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সিঁড়ি ঘরে শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল। সেই বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে, সমস্ত বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা। ভেঙে পড়ে কংক্রিটের সিঁড়ির ঘর। অন্যান্য ঘরের ইট ভেঙে পড়ে, বড় ফাটল দেখা দেয়।

    কী বললেন প্রতিবেশীরা?

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য,” বিস্ফোরণের বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বিভিন্ন জেলায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে খবরে দেখছি। আমাদের গ্রামে এভাবে বিস্ফোরণ (Birbhum Blast) হবে তা ভাবতে পারিনি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি, শফিকের বাড়ি একাংশ বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আওয়াজে পাশের বাড়ির এক শিশু জ্ঞান হারায়। তাকে স্থানীয় সেকেন্দ্রাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাড়ির লোকজন”। খবর পেয়েই গ্রামে পৌঁছায় দুবরাজপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। আরও বোমা মজুত রয়েছে কিনা দেখতে বোলপুরে সিআইডি, বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে। শেখ বিল মহম্মদ ও তাঞ্জিলা বিবি নামে দুই প্রতিবেশী বলেন, “আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।  আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি চারিদিক ধোঁয়াতে ভরে গিয়েছে। ভয়ে এখনও আমাদের হাত-কাঁপছে। বিস্ফোরণ হল বলেই জানতে পারলাম বোমা ছিল।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “রাজ্য জুড়েই দেখছেন বারুদের স্তুপে বসে আছি আমরা। তৃণমূল রাজ্যটাকেই বারুদের স্তুপ বানিয়ে ফেলেছে। ওদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে বোমা। পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।” যদিও, সমস্ত বিষয় না জেনে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Budge Budge: বজবজে বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল! ২০ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার কত?

    Budge Budge: বজবজে বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল! ২০ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের (Budge Budge) মহেশতলার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর নড়চড়ে বসে পুলিশ। রবিবার রাতভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। মহেশতলা, বজবজসহ একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় হানা দিয়ে ধরপাকড় করা হয়। প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    কত শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    এগরার পর বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। এমনিতে চিংড়িপোতা এলাকা বাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত। এই এলাকায় একাধিক বাজি কারখানা রয়েছে। পুলিশের একটি অংশকে ম্যানেজ করেই বেআইনি এই সব কারখানা চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় বাজি বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ নড়েচড়ে বসে। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় অভিযান শুরু হয়। বহু বন্ধ দোকান খুলে বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। অনেক জায়গায় বাজি তৈরির কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি অনেককে গ্রেফতার করে। সবমিলিয়ে ২০ হাজার কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি বাজি তৈরির মশলাও উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরি হত কি না তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, রবিবার রাতভর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বজবজ মহেশতলা এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি অভিযানের নামে মারধর করা হয়েছে বলে বাজি কারখানার শ্রমিকরা অভিযোগ করেন।

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    বাজি কারখানায় কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল?

    প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের (Budge Budge) চিংড়িপোতার নন্দরামপুর দাসপাড়া এলাকায় জয়দেব ঘাঁটির বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ধূপের আগুন থেকে বাজিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। তবে, এই বিস্ফোরণের পর ফরেন্সিক টিম এসে তদন্ত করবে কি না তা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Budge Budge Blast: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    Budge Budge Blast: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ। বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Budge Budge Blast) কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আগুনে ঝলসে কারখানার মালিক জয়দেব ঘাঁটির স্ত্রী, মেয়ে এবং শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম যমুনা দাস (৬০), জয়শ্রী ঘাঁটি (১০) ও পম্পা ঘাঁটি (৩০)। জয়দেববাবুর স্ত্রী পম্পাদেবী, মেয়ে জয়শ্রী এবং যমুনাদেবী তাঁর শাশুড়ি ছিলেন। ঘটনায় আরও একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দমকলবাহিনী গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Budge Budge Blast) হয়। তাতে কারখানার মালিকসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই রবিবার সন্ধ্যায় বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নন্দরামপুর দাসপাড়ায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। তবে, আচমকা কীভাবে বিস্ফোরণ ( BudgeBudge Blast) ঘটল তা জানা যায়নি। ওই কারখানায় কতজন কাজ করছিলেন, বোমা তৈরি হচ্ছিল কি না তা এখনও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে, চিংড়িপোতা এলাকায় একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। এগরার ঘটনার পরও এই সব বেআইনি কারবার বন্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর তার জেরেই অকালে তিনজনের প্রাণ গেল।

    বিস্ফোরণের তদন্তভার নিল সিআইডি

    বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তভার নিল সিআইডি। সোমবার দুপুরে সিআইডি (এসএস) সায়ক দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে, সিআইডি কর্তা বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বারুদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ফরেন্সিক টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    বজবজে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ নতুন নয়

    বজবজ এলাকায় এর আগেও একাধিক বিস্ফোরণের (Budge Budge Blast) ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে পুঁটখালি মণ্ডলপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসে বজবজ-২ ব্লকের নোদাখালি থানার মোহনপুর আর্যপাড়ায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (BudgeBudge Blast) ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর পরিবেশ দফতর জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। কমিটির কাজ ছিল, এই বিষয়ে নজরদারি করা। সেই কমিটি যে শুধু লোকদেখানো ছিল তা এদিনের ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Blast: ফের বিস্ফোরণ! এবার মুর্শিদাবাদে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, জখম ২

    Blast: ফের বিস্ফোরণ! এবার মুর্শিদাবাদে নাম জড়ালো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে ফের বিস্ফোরণ (Blast)। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার কাশিয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গঙ্গাপ্রসাদ এলাকা। এখানেও নাম জড়িয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ওই তৃণমূল সদস্যের বাড়ি থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ছাদে বোমা রাখা ছিল এবং রোদে শুকানোর সময় তাতে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মজুত বোমা থেকেই এই বিস্ফোরণ। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে এবং নাতি এতে গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। যদিও বাড়ির লোক জখম হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। জখম দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনার পর পরই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। বোমা বিস্ফোরণ (Blast) যে ঘটেছে, তা অনেকেই জানলেও ক্যামেরার সামনে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। কারণ, যার বাড়িতে ঘটনা ঘটেছে সেই লেলি বিবি স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও নেই। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা বোমা মজুত করছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করছে। এদিনের এই ঘটনায় সেই অভিযোগ আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা উত্তরের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, যে বিধানসভা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি রাজ্যের মন্ত্রীর এলাকা। এবার পঞ্চায়েত ভোট সুস্থভাবে হলে তৃণমূল কোথাও জিততে পারবে না। তাই শাসক দলের নেতারা এভাবে বাড়ির মধ্যে বোমা মজুত করে রেখেছে। এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতেই এসব করা হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, তৃণমূলের জেলা নেতা অশোক দাস বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফিরতে না দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে তৃণমূল। ভোটের ফলে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। আর এই ধরনের ঘটনার পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।            

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: এনআইএ-জালে বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড সাব্বির

    NIA: এনআইএ-জালে বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড সাব্বির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএর (NIA) জালে ‘দ্য রামেশ্বরম ক্যাফে’ বিস্ফোরণের মাস্টার মাইন্ড। ধৃতের নাম সাব্বির। ঘটনার ১২ দিন পরে কর্নাটকের বেল্লারির কলবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর ‘দ্য রামেশ্বরম ক্যাফে’তে বিস্ফোরণ ঘটে ১ মার্চ।

    ক্যাফেতে বিস্ফোরণ

    জানা গিয়েছে, সেদিনের ওই বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন ১০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল আইইডি। বিস্ফোরক কম শক্তি সম্পন্ন হওয়ায় অভিঘাত জোরালো হয়নি। তার জেরেই ঘটেনি প্রাণহানির ঘটনা। ৫ মার্চ কর্নাটক সরকার ওই ঘটনার তদন্তভার হস্তান্তর করে এনআইএকে (NIA)। এনআইএ তদন্তের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনায় বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ও বিস্ফোরক পদার্থ আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে।

    অভিযুক্তের ছল-চাতুরি

    তার পরেই তদন্তে নামে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ক্যাফেতে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের আগে এক ব্যক্তি ক্যাফেতে ঢুকে কাঁধের ব্যাগটি নামিয়ে রাখে। ব্যাগটিতে বিস্ফোরক ছিল। টাইমার দিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ব্যাগটি রেখে ওই ব্যক্তি খাবারের কুপন নেয়। যদিও খাবার না খেয়েই বেরিয়ে যায় ক্যাফে থেকে। তার পরেই কান ফাটানো আওয়াজে কেঁপে ওঠে এলাকা। জখম জন ১০ জন। তদন্তভার হাতে নিয়েই অভিযুক্তের হদিশ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ। অভিযুক্তকে ‘ওয়ান্টেড’ও ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুুন: দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    গত সপ্তাহে অভিযুক্তের খোঁজে যৌথভাবে অভিযান চালায় এনআইএ এবং সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। কলবাজার থেকে আটক করা হয় এক কাপড় ব্যবসায়ীকে। এখান থেকেই আটক করা হয় পিএফআইয়ের এক সদস্যকেও। বুধবার গ্রেফতার করা হয় মূল চক্রী সাব্বিরকে।

    তার আগে সিসিটিভির ফুটেজ স্ক্যান করে অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করেন তদন্তকারীরা (NIA)। তদন্তে জানা যায়, বেঙ্গালুরুর ওই ক্যাফেতে বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ রেখে অভিযুক্ত স্থানীয় একটি মসজিদে গিয়ে পোশাক বদলে নেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share