Tag: bmi

bmi

  • Childhood Obesity: অতিরিক্ত খাবার নাকি পুষ্টিকর খাবারের অভাব, শিশুদের সমস্যা বাড়াচ্ছে কোনটা?

    Childhood Obesity: অতিরিক্ত খাবার নাকি পুষ্টিকর খাবারের অভাব, শিশুদের সমস্যা বাড়াচ্ছে কোনটা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই সমস্যা এখন বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু ভারতীয় শিশুদের অসুস্থতার অন্যতম বড় কারণ হল জীবন যাপন সংক্রান্ত রোগ। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল স্থূলতা (Childhood Obesity)। ভারতের প্রায় ৪০ লক্ষ শিশু এই সমস্যায় ভুগছে। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ‘হু’। তারা জানাচ্ছে, ওজন নিয়ে সচেতনতা তৈরি না হলে পরবর্তী জীবনে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে সার্বিক সচেতনতা কর্মসূচি জরুরি।

    কেন উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? (Childhood Obesity)

    তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় শিশুদের বড় অংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছয় থেকে সাত বছর বয়স থেকেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। আর তার জেরেই দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ভারতীয় ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মতো নানান রোগে খুব কম বয়স থেকেই আক্রান্ত হচ্ছে (Excess Food)। এমনকী বয়স তিরিশের চৌকাঠে‌ পৌঁছানোর আগেই ভারতীয়দের হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। এর পাশপাশি বাড়ছে ক্লান্তি। কমছে কর্মদক্ষতা। অনিয়ন্ত্রিত ওজনের জেরে অধিকাংশ ভারতীয় শিশুর এনার্জির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। তাই শিশুদের ওজনে অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা স্থূলতার সমস্যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    কেন ভারতীয় শিশুদের স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থূলতার (Childhood Obesity) সমস্যার অন্যতম কারণ, অপুষ্টিকর খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস। এর জেরে একদিকে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিচ্ছে, আরেকদিকে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে শরীরে ফ্যাট প্রবেশ করছে। ওজন বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুষ্টিকর খাবারের ধারণা এখনও অধিকাংশ অভিভাবকের কাছেই অস্পষ্ট। তাই ‘ভালো খাবার’ হিসেবে যা শিশুকে দেওয়া হয়, অধিকাংশ সময়েই তার জেরে শিশুর শরীরে বিপদ বাড়ছে।
    তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের স্তন্যপান করানো নিয়ে এখনও নানান অসচেতনতা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক একযোগে প্রচার করার পরেও, বহু পরিবারে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। শিশুর জন্মের পরের প্রথম ছ’মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধ পর্যাপ্ত, এই ধারণা এখনও সর্বত্র নেই। তাই অনেক সময়েই শিশুকে নানান বাজারচলতি প্যাকেটজাত দুধ ও খাবারে অভ্যস্ত করা হয়। কিন্তু এই সমস্ত খাবারে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ শর্করা। যা শরীরের ওজন মারাত্মক বাড়িয়ে‌ তোলে। 
    পাশপাশি, অধিকাংশ পরিবারেই শিশুরা খুব কম বয়স থেকেই চটজলদি খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, বার্গারের মতো খাবার অধিকাংশ শিশু নিয়মিত খায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে রুটি, পালং শাক, বিট, গাজর, মোচা, কুমড়োর মতো খাবার। কিন্তু এই ধরনের খাবারে রয়েছে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়। আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাট না থাকায়, শিশু সুস্থ থাকে। কিন্তু খাবার নিয়ে এই সচেতনতার অভাব বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই ভারতে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? (Childhood Obesity)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই শিশুকে অতিরিক্ত খাওয়ানোর মানসিকতায় বদল জরুরি। অধিকাংশ অভিভাবকদের সমস্যার জেরেই শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুর ওজন ও বৃদ্ধি ঠিক থাকার পরেও অধিকাংশ অভিভাবকদের অভিযোগ থাকে শিশু ঠিকমতো‌ খায় না। অভিভাবকদের কর্মশালা জরুরি। খিদে পেলে শিশু জানাবে এবং সে খাবে, এটাই সুস্থ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, এই সম্পর্কে এখনো অধিকাংশ অভিভাবক ওয়াকিবহাল নয়। এর জেরে প্রথম থেকেই তাঁরা শিশুদের অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার (Excess Food) খাওয়ায় অভ্যস্থ করে তোলেন। আর কী খাওয়ানো হচ্ছে, সেদিকেও নজরদারি জরুরি। সবজি, ফল, দানাশস্য, নানান ধরনের বাদামের পাশপাশি নিয়মিত বাড়িতে‌ তৈরি মাছ, মাংস, ডিম পরিমিত পরিমাণে শিশুর খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে তেল কিংবা বাটার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিমাণে নজরদারি জরুরি। স্থূলতার সমস্যা এড়াতে হলে যে কোনও প্যাকেটজাত খাবার একেবারেই দেওয়া চলবে না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weight Loss:  জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

    Weight Loss: জানেন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে, মেজাজও থাকবে ফুরফুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ২৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ স্থূলতা বা শরীরে অতিরিক্ত ওজনের (Weight Loss) কারণে মারা যান। শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকলে বেশ কিছু দুরারোগ্য এবং জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এ বিষয়ে একমত। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার জেরে শরীরে বাড়তে থাকে মেদের পরিমাণ। যা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আপনার মেজাজও হয়ে যায় খিটখিটে।

    গবেষকদের দাবি

    অতীতে ধারণা ছিল স্থূলকায় ব্যক্তিরা উদার হয়, তাঁদের মেজাজ (Weight Loss) সবসময় খুব ভালো থাকে। কিন্তু বর্তমান গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শরীরে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। আবার ওজন কমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানসিক সুস্থতা। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি বলে জানিয়েছেন জার্মান ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান নিউট্রিশন পটসডাম-রেহব্রুকের বিজ্ঞানীরা। কমবয়সে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার নেপথ্যে সরাসরি যোগ রয়েছে স্থূলতার। দেহের অতিরিক্ত মেদ থেকে ইনসুলিন ক্ষরণের পরিমাণ ব্যাহত হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা অন্যান্য বহু রোগের ক্ষেত্রে অনুঘটকের মতো কাজ করে। শরীরে যত কম পরিমাণ ফ্যাট থাকবে শরীর তত বেশি ভালো থাকবে।

    ওবেসিটি বিপাক হারে বাধা

    ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা আছে কি না, তা বোঝার এক মাত্র পদ্ধতি হল ‘বডি মাস ইনডেক্স’(বিএমআই)। ওবেসিটি গ্রাস করলে শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ফলে ইনসুলিন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। টাইপ টু ডায়াবিটিস, পিসিওডি(পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওজন হ্রাস (Weight Loss) বিপাকীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়। মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। শরীর যদু স্থূলকায় হয়, বিপাক ক্রিয়ার হার কমে যায়, দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য সংকেত প্রদান করতে পারে না। জার্মানির ওই ইনস্টিটিউটে  ডিসিশন অ্যান্ড নিউট্রিশনের নিউরোসায়েন্স বিভাগের ছাত্ররা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৮ থেকে ৭৫ বছর বয়সী ৬২ জনের মধ্যে ১০ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা করেন তাঁরা। দেখা যায়, যাঁদের স্থূলতা কমেছে, তাঁরা অনেক বেশি অ্যাক্টিভ এবং সিদ্ধআন্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন। বয়ঃসন্ধিকালে স্থূলতা শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যাই সৃষ্টি করে না বরং কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক বিকাশ ও মানসিক স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।

  • Obesity: কোন দিকে নজর দিলে দ্রুত কমবে ওজন? ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে কী পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Obesity: কোন দিকে নজর দিলে দ্রুত কমবে ওজন? ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে কী পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকের। আবার কেউ কেউ শরীরের অতিরিক্ত ওজনকে (Obesity) বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরের ওজনে নজরদারি জরুরি। দুশ্চিন্তা নয়, বরং সতর্কতা দরকার। তবেই বড় বিপদ এড়ানো‌ যাবে। ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ডে-তে একাধিক কর্মশালায় চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগ থেকে কিডনির অসুখ, একাধিক শারীরিক সমস্যায় বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে স্থূলতা। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন চারটি দিকে বাড়তি নজর দিলেই দ্রুত নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চারটি বিষয়ে বাড়তি বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই দ্রুত শরীরের ওজন কমানো যাবে। স্থূলতার সমস্যার সহজে মোকাবিলা করা যাবে।

    সকালে নিয়মিত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো (Obesity)

    তরুণ প্রজন্মের একাংশ মারাত্মক স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। আর তার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন‌যাপন জরুরি। স্থূলতা রুখতে প্রথম শর্ত স্বাস্থ্যকর জীবনের অভ্যাস। তাই নিয়মিত অন্তত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো দরকার। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত সকালে এই দৌড়ানোর অভ্যাস থাকলে দ্রুত শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় হবে। যার জেরে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমবে (Obesity)। পাশপাশি খোলা মাঠে দৌড়লে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরের পেশি মজবুত হবে। তাই কম বয়সীদের সুস্থ থাকার অন্যতম শর্ত সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্তত চল্লিশ মিনিট দৌড়ানো।

    অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ 

    শরীর সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের মধ্যেই এই সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই স্থূলতা থেকে হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা বাড়ছে। স্থূলতার (Obesity) দ্রুত মোকাবিলা করতে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস জাতীয় খাবার কিংবা রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার শরীরে স্থূলতার সমস্যাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই স্থূলতা রুখতে হলে পিৎজা, বার্গার, হটডগ কিংবা মটনকারির মতো পদ মেনু থেকে বাদ দিতে হবে।

    সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শারীরিক কসরত (Obesity)

    তরুণ প্রজন্মের অনেকেই কাজের চাপে নিয়মিত শারীরিক কসরত করতে পারেন না। অফিসে ল্যাপটপের সামনে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। কিন্তু শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শারীরিক কসরত জরুরি। জুম্বা, অ্যারোবিক কিংবা যোগাভ্যাস, যে কোনও ধরনের শারীরিক কসরত করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্থূলতা রুখতে হলে অন্যান্য কাজের মতোই শারীরিক কসরতের জন্য সপ্তাহে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। কিন্তু সেটা হতে হবে নিয়মিত। তাই রুটিন জরুরি। অন্তত তিনদিন নির্দিষ্ট কিছু সময় শারীরিক কসরতের জন্য ব্যয় করতে হবে।

    দিনে একাধিকবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার নয়

    শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে লাগাম টানতে হবে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে। ভাত, রুটি কিংবা আলুর তরকারি কতখানি পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে সেদিকে নজর জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে এনার্জির জোগান বজায় রাখতে দিনে অন্তত একবার ভাত, আলু জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তবে ওজন‌ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে একাধিকবার কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া চলবে না।‌ তার পরিবর্তে শরীর সুস্থ রাখতে (Obesity) সব্জি, ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে! কিন্তু অনেকেই আবার নিয়ন্ত্রণ বলতে একেবারেই রোগা থাকতে চাইছেন। জিরো সাইজে পৌঁছনোর জন্য নিজেই ঠিক করছেন কী খাবেন, কখন‌ খাবেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেই রোগা হওয়ার চাহিদায় বাদ দিচ্ছেন খাবার। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সামান্য খাবার খাওয়ার (Dieting) জেরে হচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যাও। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়ম মেনে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ীই হোক ডায়েট। চলতি সপ্তাহ ইটিং ডিস‌অর্ডার উইক। খাওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সচেতন ও সতর্কভাবে খাবারের অভ্যাস না থাকার জেরেই আধুনিক জীবনে নানা রোগের ভোগান্তি বাড়ছে।

    কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? (Dieting)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন কমানোর ইচ্ছের জেরে অনেকেই খুব কম পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন। এর ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ছে। সব সময়েই ক্লান্তি ভাব দেখা দিচ্ছে। শরীরে মারাত্মক এনার্জি ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরে ভুক্তভোগীরা কোনও কাজ ঠিক মতো করতে পারছেন না। অধিকাংশ সময়েই ভাত, আলু, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট খাবার মেনু থেকে বাদ পড়ছে। এর জেরে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যাচ্ছে না। 
    পাশপাশি এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। এনার্জির ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। তাই ভুক্তভোগীরা যে কোনও রোগে সহজেই কাবু হয়ে পড়ছেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনে সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখ কিংবা কোনও সংক্রামক রোগ, যে কোনও সময়েই তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। 
    দীর্ঘ সময়ের খাবারের ব্যবধান ও অতিরিক্ত কম পরিমাণ খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্ত্রের একাধিক রোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। 
    অনেকেই প্রোটিন খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন না খেলে (Dieting) পেশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ওজন কমাতে অনেকেই একেবারেই প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    তবে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, একেবারেই কম খাবার খাওয়ার জেরে এবং অতিরিক্ত ওজন কমানোর তাগিদ এক ধরনের অবসাদ তৈরি করে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। এর ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। সামাজিক সম্পর্কেও সমস্যা তৈরি হয়। তাছাড়া, যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Dieting)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন কতখানি ঠিক, এই মাপকাঠি সম্পর্কে সচেতন থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। নিজের উচ্চতা, বয়স সবকিছুর বিচারে ঠিক ওজন নির্ধারিত হয়। প্রত্যেকের জন্য ‘পারফেক্ট’ ওজনের মাপকাঠি আলাদা। তাই ওজন কমানোর প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিজে নয়, বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। তবে পরিমাণ মতো খাওয়া জরুরি। ভাত, রুটি, আলুর মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলা অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। নিয়মিত এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। শরীরের প্রয়োজন মতো প্রোটিনও জরুরি।‌ কারণ, প্রোটিন পেশিকে শক্তিশালী করে। হাড় মজবুত করে। তাছাড়া নানা রকমের ফল, বাদাম, খেজুর কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার শরীরে খনিজ পদার্থ, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক চাহিদা পূরণ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রিজারভেটিভ খাবার এবং অতিরিক্ত তেল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ডায়েট তৈরি করার জন্য দরকার পুষ্টিবিদদের পরামর্শ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ডায়েট মেনে চললে (Dieting) উপকারের পরিবর্তে বিপদ বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share