Tag: board

board

  • Uttarakhand: মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, আইনে পরিণত হল উত্তরাখণ্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল

    Uttarakhand: মিলল রাজ্যপালের সম্মতি, আইনে পরিণত হল উত্তরাখণ্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলল রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) গুরমিত সিংয়ের সম্মতি। আইনে পরিণত হয়ে গেল উত্তরাখণ্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল, ২০২৫। রাজ্যপালের অনুমোদন মেলায় রাজ্যের (Uttarakhand) সংখ্যালঘু শিক্ষা কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের পথ খুলে গেল। এর ফলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বীকৃতি বিধিগুলির বদলে একটি একক ও ঐক্যবদ্ধ আইন কার্যকর হবে (Madrasa Board)।

    লোপ পাবে মাদ্রাসা ব্যবস্থা! (Uttarakhand)

    বর্তমান মাদ্রাসা-নির্দিষ্ট ব্যবস্থা লোপ পাবে ২০২৬ সালের ১ জুলাইয়ের মধ্যে। এরপর একটি আরও সরল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও একীভূত শাসনব্যবস্থার পথ প্রশস্ত হবে, যা উত্তরাখণ্ডের সব সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। জানা গিয়েছে, নয়া আইনে রাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি তদারকির জন্য একটি একক কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। এই সংস্থা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দেওয়া, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, এবং উত্তরাখণ্ড স্কুল শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশিকা মেনে চলা নিশ্চিত করবে। এই কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য হবে, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা বজায় রাখা, এবং সংখ্যালঘু স্কুলগুলির পরিচালনায় দায়বদ্ধতা জোরদার করা।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী  

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী রাজ্যপালের অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই নয়া কাঠামো রাজ্যের সংখ্যালঘু শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানোন্নয়নকেন্দ্রিক করে তুলবে। আইনটি সরকারকে কার্যকরভাবে পরিচালনা পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা দিয়েছে, যাতে শিক্ষার উৎকর্ষতা ও সামাজিক সম্প্রীতি নিশ্চিত করা যায়।” এই বিলটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল স্বীকৃতির পরিসর মুসলিম প্রতিষ্ঠানের বাইরেও সম্প্রসারণ করা। ঐতিহাসিকভাবে, উত্তরাখণ্ডে কেবল মুসলিম-পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলিই সরকারিভাবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কিন্তু সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল, ২০২৫ এখন শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং পারসি সম্প্রদায় পরিচালিত স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেও একই নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় এনেছে (Madrasa Board)।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমান অধিকার

    এই পরিবর্তনের মাধ্যমে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমান অধিকার, স্বীকৃতি ও মান নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড নিশ্চিত (Uttarakhand) হচ্ছে, যা শাসন ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তি ও ঐক্যকে উৎসাহিত করবে। বিলটি পূর্ববর্তী আইনে থাকা বৈষম্য ও সীমিত স্বীকৃতির সমস্যাগুলির সমাধান করে একটি আরও সুষম ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কাঠামো গড়ে তোলে, যা উত্তরাখণ্ডের বহুসাংস্কৃতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। পূর্ববর্তী মাদ্রাসা-কেন্দ্রিক কাঠামোটি বেশ কিছু কার্যকরী ও প্রশাসনিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ধামি জানান, কেন্দ্রীয় বৃত্তি বিলিতে অনিয়ম, মিড-ডে মিল প্রকল্পে অসঙ্গতি, এবং প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্বচ্ছতার অভাবের মতো বিষয়গুলি বারবার সামনে এসেছে। এই সব সমস্যা মাদ্রাসাগুলির পরিচালনাকে ব্যাহত করেছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে (Madrasa Board)।নয়া আইনটি এই ঘাটতিগুলি পূরণ করতে তৈরি করা হয়েছে, যাতে সরকার সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও ভালোভাবে তদারকি করতে পারে। ক্ষমতা কেন্দ্রীয়করণ ও নিয়মকানুনের স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের মাধ্যমে এই বিলটি অনিয়ম রোধ, সম্পদের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে (Uttarakhand)।

    বিল পাশ হয়েছিল বাদল অধিবেশনে

    প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল, ২০২৫ উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বাদল অধিবেশনে পাশ হয়। তার আগে সেটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। এখন এটি সারা রাজ্যে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একটি অভিন্ন আইন হিসেবে বাস্তবায়িত হবে। জানা গিয়েছে, এই রূপান্তর পর্বে ধীরে ধীরে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৬ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বীকৃতি বিধি ১ জুলাই, ২০২৬-এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হবে। এই সময়ে (Madrasa Board) নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে যাতে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়, অ্যাকাডেমিক সময়সূচির ধারাবাহিকতা বজায় থাকে, এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলির স্বীকৃতি সুরক্ষিত থাকে (Uttarakhand)।

  • Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    Canada: কার্নি জমানায় কানাডাভূমে আস্ত দূতাবাস খুলে ফেলল খালিস্তানপন্থীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলেছে জমানা। বদলায়নি কানাডা (Canada)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর শাসনে সে দেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল খালিস্তানপন্থীদের (Khalistan Board)। ট্রুডোর পরে কাডানার কুর্সিতে বসেছেন মার্ক কার্নি। তার পরেও একটুও বদলায়নি কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের হম্বিতম্বির ছবিটা।

    রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ (Canada)

    ফেরা যাক খবরে। এবার কানাডার সারে শহরে ‘শিখস ফর জাস্টিস’(SFJ) নামক খালিস্তানপন্থী সংগঠন এবং গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারের সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছে ‘খালিস্তানের দূতাবাস’। এজন্য ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা একটি সাইনবোর্ড-সহ এই তথাকথিত দূতাবাসটি গুরুদ্বার চত্বরে একটি ভবনের ভিতরে খোলা হয়েছে। এই ভবনটি আবার ব্যবহৃত হয় কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের স্থানীয়রা জানান, যে ভবনে দূতাবাসটি স্থাপন করা হয়েছে, সেটি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকারের অর্থে নির্মিত। তাঁরা এও বলেন, সম্প্রতি ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সরকার ওই ভবনে লিফট বসানোর জন্য ১,৫০,০০০ মার্কিন ডলার দিয়েছে।

    কী বলেছিল কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা

    চলতি বছরের জুন মাসে কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে যে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডার মাটি ব্যবহার করছে তাদের প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং হিংসার পরিকল্পনা করার ঘাঁটি হিসেবে, যার প্রধান টার্গেট ভারত। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবেই ব্যবহার করছে—প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং মূলত ভারতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর জন্য।” সংবাদ মাধ্যমের এই প্রতিবেদনের আগেই (Khalistan Board) কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস তাদের সর্বশেষ বাৎসরিক প্রতিবেদনের একটি অংশে বলেছিল, কানাডার অভ্যন্তরে বিদেশি হস্তক্ষেপ এবং চরমপন্থী কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষত ভারতের সঙ্গে তাদের সংবেদনশীল কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে (Canada)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই ভারত কানাডার মাটি থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। আটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থার হুমকি মূলত প্রকাশ পেয়েছে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের মাধ্যমে। এরাই ভারতের পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে সহিংস পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। ইন্ধন জোগাচ্ছিল ওই আন্দোলনে। পাঞ্জাবের শিখ তরুণদের মগজধোলাইও করা হচ্ছিল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংস চরমপন্থা এমন একটি মতবাদ, যা নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা বা বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে নতুন কাঠামো বা নিয়ম কায়েমের জন্য হিংসায় উৎসাহ দেয়। এই মতবাদে বিশ্বাসীরা বিশ্বজুড়ে হামলার পরিকল্পনা করে। জোগাড় করে অর্থ। কাজ করে নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে (Canada)।

    ট্রুডোর আমল বনাম কার্নির জমানা

    ট্রুডোর আমলে মাথাচাড়া দিলেও, কানাডার কার্নি সরকারের আমলেই ‘দূতাবাস’ খুলে বসেছে খালিস্তানপন্থীরা। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা স্থংস্থা এই দূতাবাসের ওপর কড়া নজর রাখছে। কারণ এটি যারা খুলেছে, তারা ভারতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শিখস ফর জাস্টিসের সদস্য। এই প্রতীকী ‘দূতাবাস’ আবার হরদীপ সিং নিজ্জরকে প্রকাশ্যে সমর্থন করছে। কিছুদিন আগেই শিখ গণভোট আয়োজনের কথা জানিয়েছিল শিখস ফর জাস্টিস। তার আগেই কানাডাভূমে তৈরি হয়ে গেল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’ (Khalistan Board), এবং তাও আবার কোনও অজ গাঁয়ে নয়, কানাডা প্রশাসনের নাকের ডগায়। খালিস্তানপন্থীদের এহেন কার্যকলাপের ওপর কড়া নজর রাখছে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।

    ভারতবিরোধী কাজকর্ম খালিস্তানপন্থীদের

    কার্নির আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ট্রুডো। তাঁর জমানায় খালিস্তানপন্থীরা সে দেশে ব্যাপকভাবে ভারতবিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ছিল বিতর্কিত কুচকাওয়াজ, হিন্দুদের মন্দিরে তাণ্ডব চালানো, মন্দিরের গায়ে ভারত এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিভিন্ন স্লোগানও লেখা হচ্ছিল। করা হয়েছিল ভারতীয় জাতীয় পতাকার অবমাননাও। আর কার্নি জমানায় খুলে ফেলা হল আস্ত একটা ‘দূতাবাস’। প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খালিস্তানপন্থীরা গুরুদ্বারে ঢোকার ঠিক পাশেই টাঙিয়েছে ‘রিপাবলিক অফ খালিস্তান’ লেখা বোর্ড (Canada)।

    ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের এই সারে শহরেই (Khalistan Board) খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে খুন করে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা। বছর পঁয়তাল্লিশের নিজ্জর কানাডায় শিখস ফর জাস্টিসের প্রধান ছিলেন। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। সংসদে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনায় ভারতকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ট্রুডো স্বয়ং। অভিযোগ অস্বীকার করেছিল নয়াদিল্লি। এদিকে, ২০২৪ সালের মে মাসে কানাডা পুলিশ নিজ্জর খুন এবং তাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করে তিন ভারতীয়কে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে কানাডার আদালতে। এই আবহেই তৈরি হয়ে গেল ‘দূতাবাস’ (Canada)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share