Tag: Bollywood news

Bollywood news

  • Akshay Kumar: ইতিহাসের পাতায় গুরুত্ব পাননি পৃথ্বীরাজ চৌহান, আপশোস অক্ষয় কুমারের

    Akshay Kumar: ইতিহাসের পাতায় গুরুত্ব পাননি পৃথ্বীরাজ চৌহান, আপশোস অক্ষয় কুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ (Samrat Prithviraj)। ভারতের পরাক্রমী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের (Prithviraj Chauhan) জীবনের গল্প নিয়েই তৈরি ছবিটি। এই কিংবদন্তী যোদ্ধা ভারতকে রক্ষা করতে শত্রুপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। এহেন বীর যোদ্ধা ইতিহাসে যোগ্য জায়গা পাননি বলে দুঃখপ্রকাশ করেন অক্ষয় কুমার।

    একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তকে সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহান সম্পর্কে মাত্র ২-৩ লাইন লেখা রয়েছে। খলনায়কদের কথা বেশি উল্লেখ করা হয়েছে বইগুলিতে। আমাদের সংস্কৃতি, মহারাজাদের সম্পর্কে তেমন কিছুই বলা হয়নি আমাদের ইতিহাস বইগুলিতে।”

    [tw]


    [/tw]

    কেন ইতিহাসের পাতায় পৃথ্বীরাজ চৌহানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। জানান, তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আবেদন করতে চান। অক্ষয় বলেন, “আমি আরও বেশি করে পৃথ্বীরাজ চৌহান সম্পর্কে জানতে চাই। পৃথ্বীরাজ চৌহানের ইতিহাস সম্পর্কে লেখার কেউ নেই। মুঘলদের সম্পর্কে আমাদের জানা উচিৎ। কিন্তু আমাদের রাজাদের সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। তাঁদেরও বীরত্বের উদাহরণও কম নেই।”

    আরও পড়ুন: অক্ষয় কুমারের ছবি পৃথ্বীরাজ, সিনেমা হলে গিয়ে দেখবেন অমিত শাহ

    ছবিটির পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী বলেন, “বিষয়টি শুধু হিন্দুত্বের নয়। এটি নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষা করার বিষয়। হিন্দু সংস্কৃতিকে সম্মান করায় কোনও অপরাধ নেই।”

    [tw]


    [/tw]

    সম্রাট পৃথ্বীরাজ ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। সঙ্গে রয়েছেন মানসী চিল্লার, সঞ্জয় দত্ত, সোনু সুদ, আশুতোষ রানা এবং সাক্ষী তানওয়ার। পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর তৈরি এই ছবির বাজেট বলা হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা। প্রযোজনা করেছে যশ রাজ ফিল্মস। ৩ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পায় সম্রাট পৃথ্বীরাজ।

    আরও পড়ুন: সিগারেট কি তামাকজাত নয়, ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি! বিতর্ক অব্যাহত অক্ষয়কে নিয়ে

  • Kishore Kumar: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার

    Kishore Kumar: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবার মনের মানুষ  ছিলেন কিশোর কুমার। মাত্র ৫৮ বছর বয়সেই চলে যান এই কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী। কিন্তু আপনি কি জানতেন এই স্বনামধন্য গায়কের চারটি বিয়ে ছিল? তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল- রুমা গুহ ঠাকুরতা (Ruma Guha Thakurta), মধুবালা (Madhubala), যোগিতা বালি(Yogeeta Bali) এবং লীনা চান্দাভাকর (Leena Chandavarkar)। কিশোর কুমারের প্রথম স্ত্রী এবং বাঙালি গায়িকা-অভিনেত্রী রুমার ছেলেই গায়ক অমিত কুমার।

    আরও পড়ুন: বেহাল ব্যবস্থাপনাই প্রাণ কাড়ল কে কে-র! দাবি বিশেষজ্ঞ থেকে ভক্তদের

    একটি সংবাদমাধ্যমে কিশোর কুমারের পুত্র অমিত কুমার তাঁর পিতার বিবাহজীবন নিয়ে বলেন। তিনি জানান, তাঁর মায়ের সঙ্গে ডিভোর্স চলাকালীনই মধুবালার প্রেমে পড়ে যান কিশোর কুমার এবং তাঁর চতুর্থ স্ত্রী লীনার সঙ্গে আরও একটি পুত্র আছে যার নাম সুমিত কুমার। কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে নিয়ে সরারসরি জিজ্ঞাসাবাদ করলে অমিত কুমার জানান, এটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল তাই তিনি কখনও তাঁর বাবাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেননি। কিন্তু তিনি সবসময় একটি পরিবার চেয়েছিলেন এবং তাঁকে এই নিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন অমিত কুমার। তিনি আরও বলেছেন যে, তাঁর সৎ মা লীনা একজন দারুণ লেখিকা ছিলেন ও তাঁর জন্য গানও লিখেছিলেন। কিশোর-পুত্র তথা গায়ক আরও বলেন, যেদিন তাঁর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়েছিল, তাঁর  বাবা নিজের মাইনর মরিস (Morris Minor) গাড়িটি বাংলোতে কবর দিয়েছিলেন। নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি ‘আন্দোলন’-এর পর তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে এটি কিনেছিলেন এবং এই জন্যই তিনি হয়েছিলেন কিশোর কুমার।

    তিনি দাবি করেন, ১৯৫০ সালে তাঁর বাবা-মায়ের বিয়ে হলে, ১৯৫২ সালে তাঁর জন্মানোর পর কিশোর কুমার চেয়েছিলেন যে তাঁর মা যেন গৃহবধূ হয়ে থাকে। তাই মনে করা হয় যে , অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bacchan) এবং জয়া বচ্চন (Jaya Bacchan) অভিনীত হৃষিকেশ মুখার্জীর (Hrishikesh Mukherjee) ‘অভিমান’(Abhimaan), সিনেমাটি  কিশোর এবং রুমার গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: আইফা অ্যাওয়ার্ডে অনুরাগীদের মনে ঝড় তুললেন নোরা ফতেহি ও নারগিস ফাখরি

    উল্লেখ্য, রুমা সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ভাইঝি এবং তিনি দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) প্রথম ছবি ‘জোয়ার ভাটা’(Jwar Bhata), ‘আফসার’(Afsaar) এবং ‘মাশাল’-এর (Mashaal) মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তিনি সত্যজিৎ রায়ের দুটি বাংলা ছবি ‘গণশত্রু’(Ganashatru) ও ‘অভিযান’ (Abhijan) সিনেমাতেও কাজ করেছিলেন ।  কিশোরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফের বিয়ে করেছিলেন তিনি এবং তাঁর আরও দুটি সন্তান হয়। ২০১৯ সালে ৮৪ বছর বয়সে কলকাতার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

  • New Movie Baap: বলিপাড়ায় নতুন ধামাকা! ‘বাপ’-এ এবারে একসঙ্গে বলিউডের চার তারকা

    New Movie Baap: বলিপাড়ায় নতুন ধামাকা! ‘বাপ’-এ এবারে একসঙ্গে বলিউডের চার তারকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডের (Bollywood) এই নতুন সিনেমায় এক, দুই নয়, একেবারে চারজন বড় বড় তারকাকে দেখা যাবে একই পর্দায়। বলিউড থেকে এই খবরটি আসা মাত্র সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে এক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, এই সিনেমায় চারজন অভিনেতাই ‘অ্যাকশনের বাপ’। এক সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), সানি দেওল(Sunny Deol), সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)  এবং জ্যাকি শ্রফকে (Jackie Shroff)। তাই বলাই বাহুল্য যে এই সিনেমাটি একটি নতুন চমক নিয়ে আসতে চলেছে।

    পরিচালকের আসনে রয়েছেন বিবেক চৌহান(Vivek Chauhan)। ছবির যৌথ প্রযোজনায় জি স্টুডিও (Zee Studio) এবং আহমেদ খান (Ahmed Khan)। এই অ্যাকশন মুভির জন্য আহমেদ খান, জি স্টুডিওর সঙ্গে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এটিই বলিউডে প্রথম যে, একই সিনেমার পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে বলিউডের চার তারকাকে।

    আরও পড়ুন: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার

    আশির দশকে এই চার অভিনেতারা বড়পর্দায় অ্যাকশনের ঝড় তুলেছিলেন। সেই ঝড়কেই ফের পর্দায় ফিরিয়ে আনতে চলেছেন পরিচালক। বলিউড সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, চলতি মাসেই শুরু হবে এই ছবির শুটিং। শোনা যাচ্ছে, এই ছবির শ্যুটিং মুম্বই-এর স্টুডিও ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় করা হবে। খবরসূত্রে জানা যায়, আশির দশকের এই অ্যাকশন স্টারদের বড় পর্দায় পুনরায় ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন আহমেদ খান, তবে কিছু ট্যুইস্টের সঙ্গে। তাই এবারে চারজনের জুটি বেঁধেছেন মুভির প্রযোজক টিম। গত একবছর ধরে এই ছবি নিয়ে আলোচনার পর জানা যায়, এই বছরেই শুরু হতে চলেছে শ্যুটিং।

    উল্লেখ্য, সানি দেওলের হাতে বর্তমানে ‘গদর ২’ (Gadar 2) এবং ‘চুপ’ (Chup)-এর মতো ছবিও রয়েছে। যদিও গদর তার ২০০১ সালের ব্লকবাস্টার, গদর-এর সিক্যুয়াল। ‘চুপ’ পরিচালনা করেছেন আর বাল্কি(R Balki) এবং এতে প্রধান চরিত্রে ডুলকার সালমানও (Dulquer Salmaan) রয়েছেন। অন্যদিকে সঞ্জয় দত্ত এবছর কেজিএফ ২ (KGF 2)-এ  এবং ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ (Samrat Prithviraj’-এর মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন। এই বছরে তার অন্যান্য মুভির মধ্যে রয়েছে ‘শামশেরা’ (Shamshera)। এদিকে আহমেদ খান ওম: দ্য ব্যাটল উইদিন(Om: The Battle Within)-এর মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এটি জুলাই মাসেই মুক্তি হতে পারে। তবে এই ‘অ্যাকশন বাপ’-দের একসঙ্গে দেখবার জন্য আগ্রহের সঙ্গে বসে রয়েছেন দর্শক সহ বলিপাড়াও।

    আরও পড়ুন:চার হাত, চার পা নিয়ে জন্মানো একরত্তি মেয়েকে নতুন জীবন দিলেন সোনু সুদ

  • Singer KK Death: মাথায়-ঠোঁটে চোটের চিহ্ন! কে কে-র মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য

    Singer KK Death: মাথায়-ঠোঁটে চোটের চিহ্ন! কে কে-র মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath) ওরফে কে কে-র (K K) মৃত্যুতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে নিউমার্কেট থানায় (New Market Police Station)। বুধবার সকালে কে কে-র সঙ্গীরা গায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Unusual Death) মামলা (FIR) দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।  অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই নিউ মার্কেট এলাকায় যে হোটেলে কেকে ছিলেন, সেখানকার ম্যানেজার এবং হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় এক কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চেই (Nazrul Manch) অসুস্থ বোধ করেন গায়ক। মঞ্চে দাঁড়িয়েই ভীষণ ঘামতে থাকেন। গরম লাগছে বলে বার বার এসি চালাতেও বলেন উদ্যোক্তাদের। বন্ধ করতে বলেন আলো। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হোটেলে পড়ে গিয়ে মাথাতেও চোট পান। এফআইআরে তার উল্লেখও রয়েছে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কে কে। অটোপ্সি রিপোর্ট সামনে এলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এসএসকেএম হাসপাতালে অটোপ্সি হবে গায়কের পার্থিব শরীরের। 

    আরও পড়ুন: “সব বয়সের মানুষের মন ছুঁয়েছে তাঁর গান”, কেকে-র মৃত্যুতে শোকবার্তা মোদির

    গতকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা কে কে-র কিছু ভক্ত অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের গাফিলতিকেই গায়কের মৃত্যুর জন্যে দায়ী করছেন। তাঁদের প্রশ্ন, অডিটোরিয়ামের আসন সংখ্যার প্রায় চারগুণ দর্শক কী করে ঢুকে পড়ল? কী করছিল কর্তৃপক্ষ? তাঁদের আরও দাবি, বদ্ধ অডিটোরিয়ামে বেশিরভাগ এসি-ই কাজ করছিল না। তাই ভীষণ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের প্রিয় গায়ক। 

    জানা গিয়েছে, ২৪০০ আসন সংখ্যার নজরুল মঞ্চে এদিন ঢুকে পড়ে আট হাজার মানুষ। ভিড় সামলাতে অপারগ হয় অনুষ্ঠান উদ্যোক্তারা। এত মানুষের ভিড়ে গরম লাগতে শুরু করে গায়কের। বার বার ঘাম মুছতে দেখা যায় তাঁকে। গানের মাঝে মাঝে অনেকক্ষণ বিরতিও নেন। অসুস্থতার ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল গায়কের মুখে। 

    আরও পড়ুন: তবুও শ্রোতারা তাঁকে দিল না ছুটি…গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    অডিটোরিয়ামে অব্যবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নজরুল মঞ্চে কর্মরত এক কর্মী। তাঁর কথায়, তিনি ১২ বছরে এ দৃশ্য দেখেননি। আসন সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ ঢুকে যায়। এসি ঠিক ছিল। কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে কাজ করছিল না সে যন্ত্র। দরজা খোলা থাকায় এসির হাওয়াও বেরিয়ে যাচ্ছিল। 

    কেকে-র সহকারীদের বক্তব্য, হোটেলের ঘরে পৌঁছেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গায়ক। বমিও করেন। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, গায়ককে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর মাথায় ও ঠোঁটে চোট ছিল। 

     

  • KK Demise: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান

    KK Demise: শিল্পী বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টিতে! কে কে-এর কালজয়ী ১০টি গান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গাইল সে শেষ গান, পরে শেষ মালা..”।  শিল্পীর ছুটি নেই। সে বেঁচে থাকে তাঁর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। গান গাইতে গাইতেই সুরলোকে পারি দিলেন বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক সিঙ্গার কে কে (K K Demise)। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে থেমে গেল কণ্ঠ। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে।

    কিন্তু শিল্পীর কি আর মৃত্যু হয়? তাঁদের সৃষ্টি থেকে যায় ভক্ত ও শ্রোতাদের মনে। বার বার কলকাতাকে প্রিয় শহর বলেছেন কে কে। তাই এখানে আসার আগে উৎসাহী কে কে ফেসবুক পোস্টে বলেন, ”কলকাতা, গেট রেডি। আমি আসছি। ৩০ এবং ৩১ মে শহরে শো রয়েছে। ৩০ তারিখ বিবেকানন্দ কলেজের আয়োজিত ফেস্টে নজরুল মঞ্চে এবং গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো ৩১ মে।” তিনি এলেন, গাইলেন, রেখে গেলেন ‘পেয়ার কে পল…’।
     
    দেখে নিন কেকে এর কালজয়ী ১০টি গান:

    ১) পল্ (Pal)
    KK এর বিখ্যাত মিউজিক অ্যালবাম ‘পল্’ ৯০ এর দশকের বিখ্যাত গানগুলোর একটি। মানুষ এখনও তার অ্যালবাম ‘পল’পছন্দ করে।  লাইভ কনসার্টে এটিই তার শেষ গাওয়া গান।

    ২) তু হি মেরি সব হে ( Tu HI Meri Shab Hai)
    কঙ্গনা রানাউত, ইমরান হাশমি এবং শাইনি আহুজা অভিনীত ফিল্ম গ্যাংস্টার-এর বিখ্যাত গান ‘তু হি মেরি সব হ্যায়’ কে কে তার সুরেলা কণ্ঠে গেয়েছিলেন।

    ৩) আওয়ারাপন বাঞ্জারাপন ( Awarapan Banjarapan)
    জিসম ছবির ‘আওয়ারাপন বাঞ্জারাপন’ গানটিও কেকে-এর সেরা গানগুলির মধ্যে একটি।  গায়কের গানটি শ্রোতাদের খুব পছন্দ।

    ৪) ম্যায়নে দিল সে কাহা (Maine Dil Se Kaha)
    রোগ ছবির ‘ম্যায়নে দিল সে কাহা’ গানটিও কে কে তার নিজের সুর দিয়ে সাজিয়েছিলেন।  

    ৫) খুদা জানে (Khuda Jaane)
    কে কে রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবি ‘বাচনা এ হাসিনো’-এর বিখ্যাত গান ‘খুদা জানে’ গেয়েছেন।  এই গানটি শীর্ষ রোমান্টিক গানের মধ্যে একটি।

    আরও পড়ুুুুন: তবুও শ্রোতারা তাঁকে দিল না ছুটি…গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    ৬) তদাপ তদাপ (Tadap Tadap)
    প্লেব্যাকে তাঁর প্রথম বড় ব্রেক বলিউডে সঞ্জয় লীলা বনশালীর সুপারহিট ছবি ‘হম দিল দে চুকে সনম’। সালমান খান, ঐশ্বর্যা রাই এবং অজয় ​​দেবগণ অভিনীত এই সিনেমায় গাওয়া কে কে-এর ‘তড়প তড়প কে’ গানটি বহু ভগ্ন হৃদয়ের মলম হয়ে উঠেছিল।এর আগে মাচিস ছবি দিয়ে বলিউডে জার্নি শুরু কে কে-র। ‘ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া’ গানে হরিহরণের সঙ্গে গান গেয়েছিলেন কে কে। 

    ৭) জারা সি দিল মে দে ( Zaraa Si Dil Main)
    ইমরান হাশমির সুপারহিট ছবি ‘জন্নত’-এর বিখ্যাত গান ‘জারা সি দিল মে দে’ এখনও শ্রোতাদের প্রিয় গানগুলির মধ্যে একটি।  এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকেও।

    ৮) বিতে লামহে (Beete Lamhein)
    কে কে ইমরান হাশমির ফিল্ম ‘দ্য ট্রেন’-এর বিখ্যাত গান ‘বিতে লামহে’ ও গেয়েছেন।  এই গানটি বিরহের মধ্যে পথ দেখায়।

    ৯) সাচ কেহ রাহা হ্যায় দিওয়ানা ( Sach Keh Raha Hai)
    এর সুপারহিট হিন্দি ছবি ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’-র বাম্পার হিট গান ‘সচ কহ রহা হ্যায় দিওয়ানা’। আসমুদ্র হিমাচল এই গানে মেতে উঠেছিল… ভালোবাসা জাহিরেও যেন মুশকিল আসান ছিল কে কে-র এই গান।

    ১০) ইয়ারোঁ দোস্তি বাদি হাসিন হ্যায় (Yaro Dosti Badi Hassin Hai)
    কে কে এর কণ্ঠে গাওয়া ‘ইয়ারোঁ দোস্তি বাদি হাসিন হ্যায়’ গানটি নব্বই দশকের একটি বিখ্যাত গান।  আজও এই গানটি শুনলে সবার মনে পড়ে তাদের বন্ধু ও বন্ধুত্বের কথা।  কে কে-এর এই গানটি সত্যিই বন্ধুত্বকে সংজ্ঞায়িত করে।

    এছাড়া, তাঁর গাওয়া কালজয়ী গানগুলির তালিকায় রয়েছে—

     

    ক্যায়া মুঝে প্য়ায়ার হ্যায় (ছবি: ও লমহে্)

    আঁখো মে তেরে (ছবি: ওম শান্তি ওম)

    তু জো মিলা (ছবি: বজরঙ্গী ভাইজান)

    তু আশিকী হ্যায় (ছবি: ঝনকার বিট্স)

    আলবিদা (ছবি: লাইফ ইন আ মেট্রো)

  • R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনো  ইসরোর(ISRO) বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়নের (Nambi Narayan) নাম শুনেছেন, যাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল?‌ আপনি না জেনে থাকলেও এবার জানতে পারবেন কারণ বলিউড অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan) তাঁরই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কারণ আর মাধবন ‘‌রকেট্রি:‌ দ্য নাম্বি এফেক্ট’ (Rocketry: The Nambi Effect) ‌-এর  মাধ্যমে নাম্বি নারায়নের জীবনকাহিনী তুলে ধরবেন। মাধবন এই ছবির মাধ্যমেই তাঁর পরিচালনার প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছেন ও এই সিনেমায় প্রধান অভিনেতাও তিনি। পরিচালনা ও অভিনয় ছাড়াও তিনি সিনেমার গল্প ও গান লিখেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সিনেমার জন্য মাধবন কী কী করেছেন। মাধবন এক সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নাম্বি নারায়ণ  গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি এই সিনেমায় নাম্বি নারায়ণের মত লুকস আনার জন্যে নিজের চোয়াল পর্যন্ত ভাঙতে রাজি হয়েছেন। মাধবনের দাঁতও যাতে  নাম্বি নারায়ণের মত দেখতে হয় তার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন। তাঁর এটি করতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর লেগেছে। তবে আর মাধবনের এটিই প্রথম ও শেষ পরিচালনা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসাবেই দেখতে চান। 

    আরও পড়ুন: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    তিনি আরও জানিয়েছেন যে  এই সিনেমা পরিচালনার জন্য অন্য পরিচালক ছিল। কিন্তু সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার এক মাস আগে পরিচালক এই সিনেমা পরিচালনা করতে না পারায়, শেষপর্যন্ত তাঁকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। এবং এই সিনেমাটি করে তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে তিনি ছবিতে নাম্বির জীবনকাহিনী কে ঠিক পথেই তুলে ধরতে পেরেছেন। তিনি কখনোই নিজেকে পরিচালক পদের জন্য যোগ্য, এই বিষয়টি প্রমাণ করতে চাননি। প্রথম থেকেই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নাম্বি নারায়ণের জীবনের গল্পকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরা।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমাটি। হিন্দির পাশাপাশি তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষাতেও দেখা যাবে ছবিটি। 

  • KK Demise: “আলবিদা..!” গানই  শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    KK Demise: “আলবিদা..!” গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘অলবিদা…’। ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গান। সুরের শহর কলকাতাকে সেই কথাই হয়তো জানাতে এসেছিলেন কেকে (K K Demise)। 

    পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath), তবে পরিচিত ছিলেন কেকে (K K) নামেই। দিল্লিতে ১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরিমল কলেজে পড়াশোনা করেছেন কে কে। বাণিজ্যে স্নাতক। পরে একটি হোটেলে কাজ করতেন। তবে আট মাস পর হোটেলের সেই চাকরি ছেড়ে দেন ভবিষ্যতের তারকা।

    ‘মাচিস’ ছবির  বিখ্যাত গান ‘ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া…’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন কেকে। সেই গানে তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন  হরিহরণ। এরপর এক এক করে বলিউডে কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন।হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, ভাষায় প্লেব্যাক করেছেন। ২০০৫ সালে তামিল ভাষায় সেরা নেপথ্যশিল্পী নির্বাচিত হন।

    ২০১০ সালে কন্নড় ভাষায় দক্ষিণের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকে। প্রেম, বন্ধুত্ব বা বিরহ সব ধরনের গান সমানতালে চালিয়ে গেছেন তিনি। মঙ্গলবার কলকাতায় একটি লাইভ কনসার্টে এসেছিলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। তাঁর এই আসা যে শেষ যাত্রায় পরিণত হবে এ কথা কে জানত! মাত্র ৫৩ বছর বয়সে থেমে গেল কণ্ঠ। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কেকে।

    জীবনের শেষ দিনেও গানই ছিল তাঁর সঙ্গী। অগণিত শ্রোতা ছিল তাঁর বন্ধু। একের পর এক গান করে চলেছেন প্রিয় গায়ক। পরনে টি শার্ট। কেকে-কে মঞ্চে দেখে উন্মাদনার শেষ নেই ভক্তদের মধ্যে। তাঁরাও গলা মেলাচ্ছিলেন প্রিয় গায়কের সঙ্গে। পর মুহূর্তে কী ভয়ানক সংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। ৩১ তারিখ শ্রী গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো করতে নজরুল মঞ্চে (Nazrul Manch) ওঠেন তিনি। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি মঞ্চে ওঠেন। এরপর একের পর এক গানে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শিল্পীকে চোখের সামনে দেখে উল্লাসে, আনন্দে ফেটে পড়ছিলেন ভক্তরা। 

    [tw]


    [/tw]

    কণ্ঠে সুরের ঝাঁপি আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছিলেন তিনি। হাততালিতে ফেটে পড়ছিল হল। গান শুরু হতেই উৎসাহ-উত্তেজনায় দর্শকদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার। হবে না-ই বা কেন! মঞ্চে যিনি গান গাইতে উঠেছেন, তিনি তো আর সাধারণ কেউ না। বলিউডের তারকা নেপথ্যগায়ক কেকে। নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৩ বছর বয়সি এক জন গায়ক কতটা তরতাজা।

    গান গাইতে গাইতে মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়াতেও দেখা গেল কেকে-কে। কখনও দর্শকদের উদ্দেশে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিচ্ছেন, তো কখনও আবার গান গাইতে গাইতে নিজের মনেই লাফাচ্ছেন। তবে অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বেশ ক্লান্ত লাগছিল। স্পটলাইট নিভিয়ে দিতে বলেন। যাঁর গানের সুরে ভারতের আপামর শ্রোতা মুগ্ধ, তাঁর আবার স্পটলাইটের দরকারই কী! স্পটলাইট নেভাতেই শতাধিক ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি গানের পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে দিল।

    গান গাইতে গাইতে গায়ককে দরদর দরদর করে ঘামছিলেন। মাঝে মাঝে সাদা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিচ্ছিলেন। তবে চোখে মুখে বিরক্তির লেশমাত্র ছিল না। অনুষ্ঠান শেষ হতেই চলে যান ধর্মতলার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি। সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে কেকে-র (K K)।

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু। শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করেই কি অনুষ্ঠান করেছিলেন কেকে? উঠছে প্রশ্ন? তবে নিজে বুঝে থাকলেও, শারীরিক অসুবিধার কথা বুঝতে দেননি দর্শকদের। দক্ষ জাদুকরের মতো সুরের জাদু দেখিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। 

    “হাম রহে ইয়া না রহে কাল… ইয়াদ আয়েগি ইয়ে পল” 

  • KK Autopsy Report: প্রকাশ্যে কেকে-র অটোপসি রিপোর্ট, কী আছে রিপোর্টে?

    KK Autopsy Report: প্রকাশ্যে কেকে-র অটোপসি রিপোর্ট, কী আছে রিপোর্টে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হৃদরোগে আক্রান্ত (Cardiac Arrest) হয়েই মৃত্যু গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Kishnakumar Kunnath) ওরফে কেকে-র (KK)। এমনটাই জানাল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট (Autopsy Report)। মৃত্যুতে কোনও অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি ময়নাতদন্তে। পুলিশ জানিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পরে ময়নাতদন্তের পূর্ণ রিপোর্ট এলে সবটা জানা যাবে। 

    ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত্যুতে কোনও সন্দেহজনক কিছু বা অস্বাভাবিকতা নজরে পড়েনি। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টই (cardiac arrest) মৃত্যু হয়েছে গায়কের। মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনই (myocardial infarction) মৃত্যুর মূল কারণ। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কেকের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল।   

    আরও পড়ুন: নজরুল মঞ্চে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থাই কি প্রাণ নিল শিল্পীর?

    মঙ্গলবার একটি কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চে গান গাইতে যান গায়ক। সেখানেই শরীর খারাপ হওয়া শুরু হয়। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে গেলে, ঘরে ঢুকতেই পড়ে যান কেকে। তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, কেকে-কে যখন নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন তাঁর ঠোঁটে ও মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শুরু হয় জল্পনা। এরপরই থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর সঙ্গীরা।পুলিশ হোটেলে গিয়ে তদন্তও চালায়। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়।

    লবিতে রাখা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গলায় তোয়ালে জড়িয়ে হেঁটে চলেছেন কেকে। তাঁর হাঁটাচলায় তখনও কোনও জড়তা নেই। কোনও কষ্ট নেই। অন্তত দেখে সেরকমটা মনে হচ্ছে না। পাশে রয়েছেন ম্যানেজার। জানা গিয়েছে, হোটেলে ঢোকার মুখেও ভক্তদের আবদার মেনে সেলফি তুলেছেন। নিজেও বুঝতে পারেননি শরীর ততক্ষণে বিদ্রোহ করা শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: বেহাল ব্যবস্থাপনাই প্রাণ কাড়ল কে কে-র! দাবি বিশেষজ্ঞ থেকে ভক্তদের

    গায়কের হঠাৎ চলে যাওয়ায় মৃত্যুতে অস্বাভাবিকতা রয়েছে বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভক্তরাও। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেই বিতর্ক খানিকটা প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

     

  • KK Demise: বেহাল ব্যবস্থাপনাই প্রাণ কাড়ল কে কে-র! দাবি বিশেষজ্ঞ থেকে ভক্তদের

    KK Demise: বেহাল ব্যবস্থাপনাই প্রাণ কাড়ল কে কে-র! দাবি বিশেষজ্ঞ থেকে ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath) ওরফে কে কে (K K)। কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান করতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুতে অনুষ্ঠান উদ্যোক্তাদের অব্যবস্থাপনার ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠে আসছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আসন সংখ্যার থেকে অনেক বেশি মানুষ ঢুকে পড়ে অডিটোরিয়ামে। অভিযোগ, ২৪০০ জনের আসন থাকলেও, আদতে মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন সাত থেকে ৮ হাজার দর্শক! উদ্যোক্তারা ভিড় সামলাতে অসফল হয়েছেন। বদ্ধ অডিটোরিয়ামে এসি কাজ করছিল না বলেও দাবি করেছেন অনেকে। ভক্তরা তাঁদের প্রিয় গায়কের মৃত্যুর জন্যে অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন।

    জানা গিয়েছে, মঞ্চেই নাকি কেকে বারবার জানাচ্ছিলেন তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। স্পটলাইট অফ করতেও বলছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে যান তিনি, সেখানে আরও অসুস্থ হওয়ার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় লাইভ শো চলাকালীন অসুস্থ হয়ে মৃত্যু শিল্পী কে কে-র

    বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ কুনাল সরকার গায়কের মৃত্যুর জন্যে অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন। নিজের টুইটে তিনি লেখেন, “বিষয়টি দুঃখের এবং লজ্জার। বেসামাল ভিড়, এসি বেহাল, গরম, মুখের ওপর জোরালো আলো, ২ ঘণ্টার ওপর সময় নষ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। আমাদের ক্ষমা কর।”  

    [tw]


    [/tw]

    গতকালের নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা অনেকেই দাবি করেছেন, অনুষ্ঠান চলাকালীনই গায়ক যে অস্বস্তিতে রয়েছেন তা সকলে বুঝতে পারছিলেন। বার বার রুমাল দিয়ে ঘাম মুছছিলেন, মঞ্চের আলো নেভাতে বলছিলেন বার বার। বদ্ধ অডিটোরিয়ামে কেন এসি চলছে না তাও বার বার জিজ্ঞেস করছিলেন। নিজের অস্বস্থির কথাও বলেছেন। 

    ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা কে কের এক ভক্তের মতে, অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের গাফিলতি এই মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ। ভিড় সামলাতেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। এমনকি বদ্ধ অডিটোরিয়ামে এসি কাজ করছে না সেদিকেও নজর দেওয়া হয়নি। বার বার এসি চালাতে এবং স্পটলাইট বন্ধ করতে অনুরোধ করেন গায়ক। কিন্তু লাভ হয়নি।

    অব্যবস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরিও। ট্যুইটারে উদ্যোক্তাদের গাফিলতিকেই দায়ী করেন তিনি। 

    [tw]


    [/tw]

     

  • K K Demise: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র প্রয়াণে শোকপ্রকাশ ক্রীড়াজগতের

    K K Demise: সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র প্রয়াণে শোকপ্রকাশ ক্রীড়াজগতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে একটি কনসার্টে পারফর্ম করার পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৩ বছর বয়সে মারা যান সঙ্গীতশিল্পী কেকে (KK)। পারফরম্যান্সের পরে কেকে হোটেলে ফিরে  অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

    গায়কের আসল নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath)। কিন্তু, আসমুদ্র হিমাচল তাঁকে চিনত কেকে নামেই। হোটেলের কর্মকর্তারা জানান, তিনি সন্ধ্যায় প্রায় ঘণ্টা দেড়েক দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে (Nazrul Mancha) একটি কলেজ আয়োজিত কনসার্টে গান করেছিলেন। এরপর তিনি হোটেলে পৌঁছানোর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন যে ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (Cardiac Arrest)-এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।

    তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সহযোগীরা এবং ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করেন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ (Virender Sehwag) এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ (VVS Laxman) সহ ক্রীড়া সম্প্রদায়ের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমনকি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) থেকে শুরু করে রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) এবং ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলে (Harsha Bhogle) সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

    বিরাট কোহলি (Virat Kohli) লিখেছেন, “আমাদের সময়ের এক প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীকে আমরা হারিয়ে দিলাম। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই”।

    [tw]


    [/tw]

    “কলকাতায় পারফর্ম করার সময় অসুস্থ হয়ে কেকে মারা যাওয়ার কথা শুনে আমি দুঃখিত। জীবন কতটা ক্ষণস্থায়ী তাই আবার মনে করিয়ে দিল। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি,”  ট্যুইটারে লিখেছেন শেওয়াগ।

    [tw]


    [/tw]

    ভিভিএস লক্ষ্মণ লিখেছেন, “প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীর অকালমৃত্যুতে আমি খুবই দুঃখিত। তিনি তাঁর গানের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।”

    [tw]


    [/tw]

    হর্ষ ভোগলে লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমরা কেকে-কে হারিয়ে ফেলেছি। ইস্তানবুলে তাঁর পারফরমেন্স ও তাঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের স্মৃতিগলো খুবই ভালো ছিল।”

    [tw]


    [/tw]

    রাজস্থান রয়্যালসও ট্যুইট করে লিখেছে, “কেকে, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি”।

    [tw]


    [/tw]

    কলকাতা নাইট রাইডার্স ট্যুইট করে লিখেছে, “হাম রহে ইয়া না রহে ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল”। “কেকে, আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি”।

    [tw]


    [/tw]

LinkedIn
Share