Tag: bone diseases

bone diseases

  • Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    Calcium Deficiency: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি বাড়াচ্ছে ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা! কী বলছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজঃ আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। আর গরমের এই আবহাওয়ায় চটজলদি আরাম পেতে অনেকের সঙ্গী হয় নরম ঠান্ডা পানীয়‌। বোতলবন্দী বা প্যাকেটজাত কার্বোনেটেড (Calcium Deficiency) ওয়াটার গরমের অস্বস্তিতে তৃপ্তি এনে দেয়।‌ অনেকের আবার বিরিয়ানি কিংবা বার্গারের সঙ্গে এই নরম পানীয়তে চুমুক না দিলে স্বাদ সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই কার্বোনেটেড ওয়াটার বা নরম পানীয়ের প্রতি অনেকেই এক ধরনের আসক্তি অনুভব করেন। যে কোনও খাবার খাওয়ার পরেই, তাদের এক গ্লাস নরম পানীয় (Cold Drinks) না হলে চলে না। আর এই আসক্তি জানান দেয়, শরীরে বাসা বাঁধছে নতুন রোগ! সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে চারটি রোগের দাপট মারাত্মক ভাবে বেড়েছে, যার পিছনে মূল কারণ মাত্রাহীন কার্বোনেটেড ওয়াটারের প্রতি আসক্তি।

    কেন নরম ঠান্ডা পানীয়তে আসক্তি বাড়ে (Calcium Deficiency)?

    আন্তর্জাতিক ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরুণ প্রজন্মের পাশপাশি প্রৌঢ়দের মধ্যেও এই নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি মারাত্মক বাড়ছে। যার অন্যতম কারণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ঘটনা একে অন্যের পরিপূরক। অর্থাৎ, অতিরিক্ত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে হাড় ক্ষয় হয়, আবার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে নরম পানীয়ের প্রতি আসক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা নিয়মিত এই নরম ঠান্ডা পানীয় খান, তাদের অধিকাংশই ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) অভাবে‌ ভুগছেন। আবার তাঁরা এতটাই এই পানীয়তে (Cold Drinks) আসক্ত, যে এগুলো ছাড়া খাবার খেতেই পারছেন।

    কোন চারটি রোগের প্রকোপ বাড়াচ্ছে নরম ঠান্ডা পানীয়?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশ্ব জুড়ে অধিকাংশ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ, জীবন যাপনের অভ্যাস। গত এক দশকে যে সমস্ত রোগ সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সেগুলোর অধিকাংশের কারণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন‌ যাপনের অভ্যাস। মূলত চারটি অসুখ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ার পিছনে নরম ঠান্ডা (Cold Drinks) পানীয়কে দায়ী করছেন চিকিৎসক মহল!

    হাড়ের ক্ষয় রোগ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। আর নরম ঠান্ডা পানীয় এই রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই কার্বোনেটেড ওয়াটারে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডা। আর এই উপাদান হাড়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।‌ সোডা হাড়কে ভিতর থেকে ফাঁপা করে দেয়। তাই নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে দেহে মারাত্মক ক্যালসিয়ামের (Calcium Deficiency) ঘাটতি দেখা দেয়। হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এমনকি যে কোনও সময় হাড় (Cold Drinks)  ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়‌।

    ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি!

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস থেকেই এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকা নানান উপাদান লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। খুব কম বয়স থেকেই নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমে। যার ফলেই ফ্যাটি লিভার জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কসে কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং কোল্ড ড্রিঙ্কসে থাকে অতিরিক্ত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ রাসায়নিক। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ উপাদান এবং চিনি শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত কোল্ড ড্রিঙ্কস খেলে তাই ওবেসিটি বা স্থূলতার (Calcium Deficiency) ঝুঁকিও বাড়ে।

    বাড়াচ্ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি!

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর এক রিপোর্টে কয়েক বছর আগে স্পষ্ট করা হয়েছিল, একাধিক নরম পানীয়তে অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসপার্টেম হল এক ধরনের কৃত্রিম মিষ্টি। বোতলবন্দি নরম পানীয়ের স্বাদ বাড়াতেই এই ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। আর এই অ্যাসপার্টেম শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিশেষত ক্যান্সারের (Calcium Deficiency) ঝুঁকি বাড়ায় এই উপকরণ। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত নরম ঠান্ডা পানীয়তে অভ্যস্থ হলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Bone Diseases: তিরিশের চৌকাঠেই কোমর আর পায়ে ব্যথা! হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে না তো?

    Bone Diseases: তিরিশের চৌকাঠেই কোমর আর পায়ে ব্যথা! হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দিনভর ল্যাপটপে কাজ করার পরে কোমর সোজা করে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায়। আবার চেয়ারে বসে বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পরেই পায়ে ব্যথা। এমনকী কয়েক পা হাঁটলেও গোড়ালিতে যন্ত্রণা। প্রৌঢ় বয়সে নয়, তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই এমন একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর চল্লিশের পরে সিঁড়ি দিয়ে নামা-ওঠা, প্রয়োজনে মেঝেতে বসা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। হাঁটু, পা আর কোমরের ব্যথায় কাবু তরুণ প্রজন্মের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের ক্ষয়ের (Bone Diseases) জেরেই বাড়ছে এই ধরনের সমস্যা।

    কেন বাড়ছে হাড়ের ক্ষয়-রোগ? (Bone Diseases)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাড়ের ক্ষয়-রোগের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র অভাবেই এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। শিশুদের মধ্যেও হাড়ের শক্তি ঠিকমতো হচ্ছে না। ফলে, ভবিষ্যতে আরও বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুষ্টির ভারসাম্য না থাকার জেরেই এই সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। কিন্তু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার শরীর পর্যাপ্ত পাচ্ছে না। তার জেরেই স্থূলতা বাড়ছে। দেহের ওজন ধরে রাখতে পারছে না হাঁটু এবং পা‌। ফলে হাড়ের সমস্যা (Bone Diseases) আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা, এই দুই অস্ত্রেই কাবু হবে হাড়ের ক্ষয়-রোগ (Bone Diseases)। তাঁদের পরামর্শ, রুটিনমাফিক জীবনযাপন কমিয়ে দেবে হাড়ের রোগের দাপট। বিশেষত কোমর, পায়ের যন্ত্রণা কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেক দিন অন্তত একটানা তিরিশ মিনিট হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হবে। এতে স্থূলতার সমস্যা এড়ানো যাবে। পাশপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কোমর, পিঠ, হাত এবং পায়ের পেশি সচল থাকবে। ফলে, ব্যথা কাবু করতে পারবে না। পাশপাশি, একটানা চেয়ারে বসে থাকা বা ল্যাপটপে কাজ করতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের পরামর্শ, অন্তত তিরিশ মিনিট অন্তর একটু হাঁটাচলা করা জরুরি। তাতে ব্যথা কমবে। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ দিনের একটা বড় সময় এয়ারকন্ডিশন ঘরে থাকে। সূর্যের আলোতে বিশেষ সময় কাটানো হয় না। কিন্তু দিনের কিছুটা সময় রোদে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে শরীরে ভিটামিন‌ ডি পাওয়া যায়। ফলে, শরীর সুস্থ থাকে।

    খাবারে বিশেষ নজরদারি (Bone Diseases)

    তবে, হাড়ের ক্ষয়-রোগ রুখতে খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এতে দেহে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, হাড়ের ক্ষয় রুখতে নিয়মিত ডিম খেতে হবে। দিনে অন্তত একটা ডিম খাওয়া জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তাই নিয়মিত ডিম খেলে হাড়ের শক্তি বাড়ে। এছাড়া, কলা, লেবু জাতীয় ফল, বাদাম এবং গাজর, পালং শাক, ব্রকোলির মতো সব্জি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে শক্তিশালী (Bone Diseases) করতে সাহায্য করে। পাশপাশি তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এতে থাকে ওমেগা থ্রি। এছাড়াও ভিটামিন ডি। যা শরীরের জন্য উপকারী। নিয়মিত ডাল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, ডালে থাকে প্রোটিন। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share