Tag: botanical garden

botanical garden

  • Botanical Garden: বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৃত্রিম অরণ্যের মাঝেই তৈরি হল বুনো ফলের আলাদা বাগান

    Botanical Garden: বোটানিক্যাল গার্ডেনে কৃত্রিম অরণ্যের মাঝেই তৈরি হল বুনো ফলের আলাদা বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের মধ্যে গহন অরণ্যের অনুভূতি দিতে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Botanical Garden) তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম অরণ্য। এবার এই জাতীয় উদ্যানে তৈরি করা হল খাওয়ার যোগ্য বুনোফল গাছের আলাদা বিভাগ বা বাগান, যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ওয়াইল্ড এডিবল ফ্রুট, অর্থাৎ যেসব ফল চাষ না করে সরাসরি বন থেকে সংগ্রহ করা হয় খাওয়ার জন্য। এই ধরনের গাছ দ্রুত কমে যাচ্ছে বলেই গত কয়েক বছরে দু্ষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে ফলসার মতো ফল। বোট্যানিক্যাল গার্ডেনে এই বিভাগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নমিতা প্রসাদ। বোট্যানিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার উদ্যোগে ১৬ ফেব্রুয়ারি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের একবিশংতি বিভাগে (ডিভিশন নম্বর XXI) এটি চালু হয়।

    বন্য উদ্ভিদও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন (Botanical Garden)

    আমলকি, জামরুলের মতো অনেক ফলই এদেশে সেভাবে চাষ হয় না। বন থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই ধরনের ফলগাছের বিভাগ উদ্বোধন করে বোট্যানিক গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর ডক্টর দেবেন্দ্র সিং বলেন, কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীন সংস্থা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা, খাওয়ার উপযুক্ত বুনোফল বিভাগের সাহায্যে ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি বোঝানো হবে, এইসব গাছের অস্তিত্ব বজায় রাখতে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের মতো বন্য উদ্ভিদও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। এইসব গাছের অস্তিত্ব এখন ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা রেকর্ড করা, এখনও এই ধরনের গাছের যত প্রজাতি টিকে রয়েছে সেগুলি সংরক্ষণ করার দিকে বনমন্ত্রক নজর দিচ্ছে। কারণ ক্রমাগত বন সাফ করে বসতি গড়া ও কৃষিজমির আয়তন বৃদ্ধি হচ্ছে বলে বন্য গাছগাছালির অস্তিত্বও ক্রমেই সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বিচারে গাছকাটা তো আছেই। তাছাড়া বাস্তুতন্ত্রে এইসব গাছের ভূমিকা এবং এদের সংরক্ষণ এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে ওটা এইসব গাছ এবং এইসব পরিবেশে বসবাসকারী মানুষজনের এইসব গাছ সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবে যেসব জ্ঞান  রয়েছে, সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সেসব কাজে লাগানোও উদ্দেশ্য। তাছাড়া গবেষণার জন্য (Botanical Garden) প্রয়োজনীয় রিসোর্স দেওয়ারও বন্দোবস্ত হয়েছে।

    গাছ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আলোচনা (Botanical Garden)

    জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পদ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের যে পরিবর্তন হচ্ছে, সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এইসব গাছ সংরক্ষণ করার বিষয়ে আলোচনা করেন নমিতা প্রসাদ। তিনি নিজে এখানে একটি কমলালেবু গাছ রোপন করেন। বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশক ডঃ এ এ মাও বলেন, মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য খাদ্যের উপযোগী উদ্ভিদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইসব গাছ থেকে আমরা পুষ্টি ও ওষুধ পাই। তাছাড়া আমাদের কৃষ্টির সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে এইসব গাছের সঙ্কট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এদিন তিনি একটি ফলসা গাচের চারা পোঁতেন। এছাড়াও বসানো হয় বনজাম, পিয়াল, বহুবারা, আঁশফল, কেন্দু, জলপাই, পানিয়ালা, তমাল, খিরনি, ভল্লাত সহ বিভিন্ন গাছের চারা অনুষ্ঠানে বরিষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন (Botanical Garden) ডঃ মানস ভৌমিক, ডঃ সি মুরুগান, ডঃ প্রতিভা গুপ্ত, ডঃ জে জয়ন্তী, ডঃ কণাদ দাস প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা

    Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার এ জে সি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনের (Botanical Garden) প্রবেশ মূল্য বাড়ছে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এই প্রবেশ মূল্য আগে ছিল ১০ টাকা। তা বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকদের জন্য এই প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বাগানে ফটোগ্রাফির চার্জ ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হচ্ছে। হাওড়ার শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধির নোটিস বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় টাঙিয়ে দিয়েছে গার্ডেনের প্রবেশ দ্বারে। ১ অগাস্ট থেকে এই নতুন হারে প্রবেশ মূল্য নেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ নোটিসে জানিয়েছে।

    কী বললেন গার্ডেনের (Botanical Garden) জয়েন্ট ডিরেক্টর?

    বোট্যানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং জানিয়েছেন, বাগানের যে ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, সেই কমিটির প্রধান রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি। গত মাসে সেই ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকেই এই টিকিট মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব পাশ হয়। তিনি বলেন, যাঁরা বাগানে (Botanical Garden) প্রাতঃভ্রমণে আসেন, তাঁদের প্রবেশ মূল্য কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তিনি বলেন, গবেষণার কাজে বা স্কুল পড়ুয়ারা একসঙ্গে বাগানে এলে স্কুল থেকে চিঠি দিলে তাদের জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য লাগবে না। বাকিদের প্রবেশ মূল্য দিয়েই বাগানে ঢুকতে হবে। দেবেন্দর সিং বলেন, বহু জায়গা থেকে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, ডকুমেন্টেশন ফটোগ্রাফি ও সিনেমাটোগ্রাফির জন্যও আবেদন আসছে। ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সেই বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তা অনুমোদন এলেও বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তার কাছ থেকে আলাদা করে অনুমোদন নিয়ে তবেই সেই সুযোগ দেওয়া হবে।

    কী প্রতিক্রিয়া প্রাতঃভ্রমণকারীদের (Botanical Garden)? 

    বি গার্ডেনে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে আসা ব্যক্তিদের সংগঠন বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেইলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস বলেন, এটা একটা গবেষণার বাগান। প্রতিদিন বহু ছাত্র-ছাত্রী গবেষণার কাজেও এই বাগানে প্রবেশ করেন। এখানে এক ধাপে এতটা প্রবেশ মূল্য বাড়ানো ঠিক হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন গঙ্গার ভাঙন ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে

    Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন গঙ্গার ভাঙন ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার বৃহত্তম হাওড়ার শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের (Botanical Garden) ভাঙন ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ৷ দ্রুত এই ভাঙন রোধ করতে না পারলে ক্রমশ গঙ্গার গর্ভে চলে যাবে বি গার্ডেনের একাংশ। এই ভাঙন রোধে এবার বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হল। বি গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং জানিয়েছেন, হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনের যে অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে কী কী গাছ রয়েছে এবং কীভাবে সেই ভাঙন রোধ করা যায়, সে ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় বন দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ভাঙন রোধে কেন্দ্র না রাজ্য কারা কাজ করবে এবং কীভাবে দ্রুত সেই কাজ শুরু করা যায়, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তারপরেই কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য, আইলার পর থেকে ভয়াবহ গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন হতে চলেছে এশিয়ার বৃহত্তম হাওড়ার শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন। ‘গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রি’র জন্য শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া। কিন্তু, ভয়াবহ গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন হতে চলেছে এই জাতীয় উদ্যান। বেশ কিছু জায়গাতেই নেই ফেন্সিং। যার জেরে ভাঙনের ফলে গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছে বহু গাছ।

    কপালে চিন্তার ভাঁজ পরিবেশ কর্মীদের

    হাওড়া শহরের অনেকটা অংশ গঙ্গাবক্ষে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। গঙ্গার ভাঙন কীভাবে আটকানো যায়, তা দেখতে কিছুদিন আগে নৌকায় করে গঙ্গা বক্ষে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, আজ গঙ্গা পুরোপুরি বিপন্ন। যেভাবে ভাঙন প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে, হয়তো ১৫-২০ বছর পরে হাওড়া শহরের বেশিরভাগ অংশই গঙ্গায় তলিয়ে যাবে। তাই একদিকে শহরকে রক্ষা করা, অন্যদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে (Botanical Garden) রক্ষা করার জন্য এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, একটা সময় ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছিল। যেহেতু নোনা জলে এটি বাড়ে এবং গঙ্গাতেও নোনা জল ঢুকছে, তাই ম্যানগ্রোভ বেশি করে লাগানো যেতেই পারে। অন্যান্য যত রকম ভাবে গঙ্গার এই ভাঙ্গন রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি বলেন, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ চলাচলের জন্য গঙ্গায় পলি তোলার কাজ করে। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র যাহজ চলাচলের রুটটিতেই করা হয়। কিন্তু যদি তার বাইরের অংশতেও পলি তোলার কাজ করা হয়, তাহলে গঙ্গার গভীরতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে পাড়ের দিকে জলের ধাক্কা ততটা লাগবে না। সেক্ষেত্রে রক্ষা পাবে পাড় ভাঙন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রধান প্রবেশ পথ থেকে বাঁদিকে একটু এগোলেই শিবপুর গঙ্গার ঘাট। এই ঘাটের পাশেই শহরের জল নিকাশির সরু নালা ছিল। সেই নালা সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাঁচিল অনেক আগেই ভেঙে গেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিবপুর গঙ্গার ঘাটের পাশে বোটানিক্যাল গার্ডেনের (Botanical Garden) দিকে একটি বাঁধানো চাতাল তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু কলকাতার দিকে গঙ্গার পাড় কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো, তাই সমুদ্র থেকে আসা ঢেউ কলকাতার অংশে গঙ্গার পাড় ভাঙতে পারছে না। সরাসরি সেই জোয়ারের জল ধাক্কা মারছে শিবপুর গঙ্গার ঘাটের ওই বাঁধানো চাতালে। তারপর সেই ঢেউ ব্যাক ফ্লো করে ধাক্কা দিচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাড়ে। এর ফলে বিগত কয়েক বছরে ভাঙন অনেকটাই বেড়েছে। ভাঙনের ভয়াবহতা এতটাই যে গার্ডেন সংলগ্ন যে নিকাশি নালা আগে এক লাফে পার করা যেত, সেটি এখন ভাঙ্গনে বেড়ে বেড়ে ৫০ মিটারের বেশি পরিধি নিয়েছে। ভাঙনে গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে বহু মূল্য উদ্ভিদও।

    কী জানালেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা?

    ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন এখন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (Botanical Garden) নামে পরিচিত। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে হাওড়ার শিবপুরে ইংরেজ আমলে তৈরি হয়েছিল এই ঐতিহাসিক উদ্ভিদ উদ্যান। এক সময় এটি কলকাতা বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে পরিচিত হলেও প্রতিষ্ঠাকালে এই উদ্ভিদ উদ্যানটি ক্যালকাটা রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন নামে প্রসিদ্ধ ছিল। বিরাট এই  উদ্যান ২৭৩ একর আয়তনবিশিষ্ট । এখনও বহু পড়ুয়া ও পরিবেশপ্রেমীর আকর্ষণ এটি। আবার কলকারখানা সর্বস্ব হাওড়া শহরের ফুসফুসও বটে। এই উদ্যানে বর্তমানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭,০০০টি গাছ রয়েছে। এই উদ্যানটি সাধারণ মানুষের কাছে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেও পরিচিত। এই উদ্যানের সব থেকে বড় আকর্ষণ ২০০ বছরেরও প্রাচীন বটগাছ বা মহা বটবৃক্ষ।
    বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন গঙ্গার পাড়ের ভাঙন নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন গার্ডেনে প্রাতঃভ্রমণে আসা এলাকার মানুষ। বোটানিক্যাল গার্ডেন ডেইলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও বাগান কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে ভাঙন রোধে। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস জানান, তাঁদের ডেপুটেশন কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে দ্রুত কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তাঁরা বিষয়টি দেখছেন।

    কী পরিকল্পনা গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টরের? 

    বোটানিক্যাল গার্ডেনের (Botanical Garden) জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্রর সিং জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা কেন্দ্র সরকারের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। এখন কেন্দ্র সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গঙ্গার পাড়কে কীভাবে রক্ষা করা যাবে, গার্ডেন কর্তৃপক্ষ করবে না রাজ্য সরকার করবে। কেন্দ্রের কাছ থেকে উত্তর এলেই কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Botanical Garden: আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন ফিরছে আগের চেহারায়

    Botanical Garden: আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া বোটানিক্যাল গার্ডেন ফিরছে আগের চেহারায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল এশিয়ার প্রাচীনতম হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden)। তারপর দীর্ঘ দিন গার্ডেন বন্ধ রাখার পর ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষের দর্শনের উপযোগী করে তোলা হয় হাওড়া শিবপুরের এ জে সি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনকে।  আমফান ঝড়ে কয়েক হাজার বহুমূল্য গাছ সমূলে উপড়ে পড়ে। তার মধ্যে কিছু গাছকে বাঁচানো গেলেও বেশির ভাগ গাছকে বাঁচানো যায়নি। সেই সব পড়ে যাওয়া গাছ এখনও কিছু কিছু রয়ে গেছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। তবে আম্ফানের পর দীর্ঘ এক বছর ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে আস্তে আস্তে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গার্ডেন অথরিটি।

    কী জানালেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের (Botanical Garden) জয়েন্ট ডিরেক্টর?

    বোটানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং জানিয়েছেন,  আমফান ঝড়ে সম্পূর্ণভাবে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল বাগান। তারপর সেই পড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে আস্তে আস্তে বাগান পরিষ্কার করা হয়। যেসব গাছ উপড়ে গিয়েছিল, তার পরিবর্তে নতুন গাছ লাগানোর কাজ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত  আমফানের পর বোটানিক্যাল গার্ডেন জুড়ে প্রায় চার হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। এর পাশাপাশি কোভিডের সময় থেকে বন্ধ ছিল গার্ডেনের (Botanical Garden) ক্যাফেটেরিয়া, বোটিং এবং ব্যাটারি ভেহিকেল। সেগুলিও খুব শীঘ্রই চালু করা হচ্ছে। আগে যেভাবে ক্যাফেটেরিয়া চলত, এখন থেকে সেভাবেই চলবে। এর পাশাপাশি বয়স্ক মানুষদের জন্য গার্ডেনের গেট থেকেই পাওয়া যাবে ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব গাড়ি। অন্যদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেনের যে লেকগুলি আছে, সেগুলির সঙ্গে গঙ্গার সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। গঙ্গায় জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকগুলিও জলে ভরে ওঠে। আবার গঙ্গায় ভাঁটার সময় লেকগুলিতে জল কমতে থাকে। এই লেকের জীববৈচিত্র্য মানুষ যাতে দেখতে পারেন এবং বিনোদনের জন্য এখানে বোটিং-এর ব্যবস্থাও চালু ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে বাগান বন্ধ থাকায় সেই বোটিং বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা চেষ্টা করছেন খুব দ্রুত আবার বোটিং চালু করার। এর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এবং তাদের দাবি মতো আরও বেশি করে পানীয় জলের কলের ব্যবস্থা এবং বসার চেয়ার বাড়ানো হচ্ছে।

    কী বললেন বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক?

    বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রতিদিন বেড়াতে আসা ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ দর্শকরাও কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রতিদিন যাঁরা প্রাতঃভ্রমণে আসেন, তাঁরাও দ্রুত এই সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণের দাবি জানিয়েছেন। তবে বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস বলেন, বাগানে বিনোদনের জন্য নানা প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বোটানিক্যাল গার্ডেনের যে উদ্দেশ্যে, সেই উদ্ভিদের উপর গবেষণার কাজ অনেকটাই কমে গেছে বলে তিনি মনে করেন। সেদিকেও জোর দেওয়া দরকার।  তিনি বলেন,  আমফান ঝড়ে গার্ডেনের যে সব গাছ উপড়ে গিয়েছিল, তার অনেকগুলিকেই চেষ্টা করলে বাঁচানো যেত। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো করা হয়নি। এর পাশাপাশি ডবল কোকোনাট সহ অনেক দুষ্প্রাপ্য গাছ বর্তমানে মৃতপ্রায়। সেই গাছগুলি বাঁচাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেবেন্দর সিং জানান, এই বিষয়গুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share