Tag: Brain Food

Brain Food

  • Kids Breakfast: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে অপুষ্টি আর স্থূলতা! নেপথ্যে কি বেঠিক ব্রেকফাস্ট?

    Kids Breakfast: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে অপুষ্টি আর স্থূলতা! নেপথ্যে কি বেঠিক ব্রেকফাস্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘড়ির কাঁটা মেপে পৌঁছে যেতে হবে স্কুলে! কিন্তু অনেক সময়েই ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ছে নানান বিপদ। স্কুল পড়ুয়াদের শরীরে বাসা বাঁধছে নানান অসুখ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দিয়ে সকাল শুরু না হলে, তার প্রভাব হয় দীর্ঘমেয়াদি। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে, তার সকালের প্রথম খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    স্কুল পড়ুয়াদের কোন‌ সমস্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে শিশুদের ওবেসিটি বাড়ছে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নানান রোগের কারণ হয়ে উঠছে। শিশুদের সুস্থ দীর্ঘ জীবনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জন শিশুর মধ্যে একজন ওবেসিটিতে ভুগছে। ভারতের প্রায় দু’কোটির বেশি শিশু অতিরিক্ত শারীরিক ওজনের সমস্যায় ভুগছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৭ সালে দু থেকে চার বছর বয়সী ভারতীয় শিশুদের ১১ শতাংশ ওবেসিটিতে আক্রান্ত হয়েছিলো। তাঁদের আশঙ্কা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭ শতাংশের বেশি শিশু এই সমস্যায় আক্রান্ত হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওবেসিটি শিশুর কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত নানান অসুখের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওবেসিটি শরীরের মেদ বাড়ালেও পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারছে না।‌ ফলে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর প্রধান কারণ অপুষ্টি। বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, এখানেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। শিশু খাবার খেলেও, এমন কিছু খাবার খাচ্ছে, যা শরীরে পুষ্টির জোগান দিচ্ছে না। বরং তাতে পেটের মেদ বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কেন ব্রেকফাস্টে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

    শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ভর করে!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে কোন খাবার খাওয়া হচ্ছে, ওর উপরে সারাদিনে শরীরের ক্লান্তি নির্ভর করে। শরীরে কতখানি এনার্জি থাকবে, সেটাও অনেকটাই নির্ভর করে জলখাবারের উপরেই।

    শিশুর হজম ক্ষমতার নির্ধারক!

    প্রথম খাবার পাকস্থলী, লিভারের এবং অন্ত্রের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এতে হজম শক্তির মাত্রা নির্ভর করে। তাই বারবার বমি কিংবা হজমের অন্যান্য অসুবিধা এড়াতে জলখাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।

    মস্তিষ্কের বিকাশেও জরুরি!

    সকালের খাবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সকালে কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে শরীরের এনার্জি নির্ভর করে। তাই মস্তিষ্ক কেমন করে কাজ করবে সেটা সকালের জলখাবারের উপরেই কিছুটা নির্ভর করে। তাই পুষ্টিবিদেরা ব্রেকফাস্টকে ‘ব্রেন ফুড’ বলছেন।

    অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    সকালের জলখাবার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেকে ও নিয়ন্ত্রণ করে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন সকালের প্রথম খাবার পেট ভরে ঠিকমতো খেলে খেলে দিনদিন নানান খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকবে না। অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস বা ‘ওভার ইটিং’ হবে না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তাই সকালের জলখাবার সুস্থ থাকার জন্য অত‌্যন্ত জরুরি।

    স্কুল পড়ুয়াদের জন্য কোন ধরনের খাবার জরুরি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে শুধু কার্বোহাইড্রেট কিংবা প্রোটিন নয়। জলখাবারে রাখতে হবে ব্যালেন্সড্ ডায়েট। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটের ঠিকঠাক সমতা। তবেই শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল যাওয়ার আগে রুটি, ডিম সিদ্ধ, আপেল, ডাল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার শরীরে পৌঁছয়। এতে দিনভর ঘনঘন খিদে পাবে না। আবার শরীরে এনার্জি থাকবে। চটজলদি খাবার নয়। এমন কিছু ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেতে হবে, যাতে শরীর সুস্থ থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু শুধু দুধ খেয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু শুধু দুধ থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায় না। দুধের সঙ্গে যেকোনও ধরনের বাদাম, খেজুর, কিংবা যেকোনও ফল খেতে হবে। কিংবা সব্জি দেওয়া খিচুড়ি, ডিম সিদ্ধ খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীর ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সবকিছুই পাচ্ছে। তাই শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করবে না। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে। অপুষ্টি কিংবা অতিরিক্ত ওজন, কোনো সমস্যাই গ্রাস করবে না।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Healthy Food: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার  

    Healthy Food: শিক্ষার্থীদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত এই ৫টি খাবার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশের জন্য সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। মূলত পড়ুয়াদের জন্যই হেলদি ডায়েট ভীষণ প্রয়োজন। ছাত্র জীবনে জ্ঞান অর্জনের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকা দরকার। সুস্থ থাকতে এবং পড়াশোনার দিক ঠিক রাখতে বাজার চলতি ফাস্ট ফুড (Fast Food) এড়িয়ে চলাই ভাল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে বুদ্ধির বিকাশ হয়। বজায় থাকে মানসিক স্থিতিও। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার বুদ্ধির বিকাশের জন্য প্রয়োজন—

    সব রকমের বাদাম: সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় বাদাম রাখার কথা প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসক এবং ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন। কাঁচা বাদাম মাংসপেশি মজবুত রাখে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ গড়ে তোলে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদামে প্রোটিন, ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন-ই সহ আরও অনেক উপকারি উপাদান রয়েছে। আখরোটেও (Walnut) রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। আখরোটে থাকা ওমেগা-থ্রি ফ্যাট মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

    ডিম: সিদ্ধ ডিম (Boil Egg) সবচেয়ে উপকারি। সিদ্ধ ডিম খাবার হজমে, হাড় সুদৃঢ় করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিমে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকায় চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ফ্যাট। সিদ্ধ ডিম শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশে বিশেষ কার্যকরী।

    তৈলাক্ত  মাছ:  চর্বি যুক্ত মাছে (Fatty Fish) প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ওমেগা-থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা আর্থারাইটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাছ খেলে মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

    আরও পড়ুন:ত্বকে ট্যান পড়েছে? রইল কিছু ঘরোয়া উপায়

    বিট ও বেরি: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও আয়রন। বিট ও বেরিতে জলের পরিমাণ বেশি থাকায় এগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণ ও হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিট ও বেরিতে (Berry) রয়েছে নাইট্রেট নামে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। নাইট্রিক আসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

    শাকসবজি: দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি যুক্ত করা উচিত। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন খাবারের পাতে শাকসবজি অবশ্যই রাখতে হবে। পালং শাক রক্তে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখে। লাল শাক খেলে বজায় থাকে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। ডাটা শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি (Vitamin C) ও ফলিক অ্যাসিড। এগুলি ত্বক ও চুলের (Skin & Hair) ক্ষয় রোধ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
     
LinkedIn
Share