Tag: breaking news

breaking news

  • Madrasa Service Commission: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে জরিমানা, অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Madrasa Service Commission: মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে জরিমানা, অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে শেষ নিয়োগ হয়েছিল বাম আমলে। মমতার জামানায় কোন নিয়োগ হয়নি। এবার রাজ্যের মাদ্রাসায় ৩ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে (Madrasa Service Commission) কমিশনকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হল নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা করার জেরে।

    মমতার জমানার মাদ্রাসায় নিয়োগ শূন্য

    মমতার জমানার ১৩ বছরে রাজ্যে মাদ্রাসায় নিয়োগ  হয়নি। বৃহস্পতিবার এই মামলায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট নির্দেশ এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর কোন ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। কোন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে না রাজ্যকে। তিন মাসের মধ্যে ৩ হাজার পদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। একই সঙ্গে এতদিন ধরে নিয়োগ না করার জন্য জরিমানাও দিতে হবে মাদ্রাসায় সার্ভিস কমিশনকে (Madrasa Service Commission) । ২০১০ সালে বাম জমানায় মাদ্রাসার শেষ নিয়োগের পরীক্ষা হওয়ার কথাছিল। তবে শিক্ষক পদে নয়, মাদ্রাসার গ্রুপ ডি ৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

    আরও পড়ুন: শেষ চার বছরে ২০০ কোটি টাকা উপার্জন শাহজাহানের, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    এরপর বিষয়টি আদালতে চলে যায়। ২০১৯ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার একক বেঞ্চ ওই শূন্যপদে ১৪ দিনের মধ্যে পূরণ করা নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চলে যায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। পরের বছর একক বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ হয়নি। এরপর কোভিডের জন্য নির্দেশ কার্যকর করা যায়নি এ কথা জানিয়ে আরও সময় চেয়ে নেয় কমিশন। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও কোভিডের কারণ দেখিয়ে আরও ছয় মাস চেয়ে নেওয়া হয়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ হয়নি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের আওতায়।

    মামলাকারীদের বক্তব্য

    মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “সরকার আসলে চাকরি দিতে চায়না। তাই এ ব্যাপারে উদাসীনতা রয়েছে সরকারের। সরকারের এই উদাসীনতার জন্যই নিয়োগ সম্ভব হয়নি।” বৃহস্পতিবার বিচারপতি দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করার জন্য এবং বারংবার সময় চেয়েও নির্দেশ পালন না করার জন্য মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে (Madrasa Service Commission) ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে তিন হাজার শূন্যপদে নিয়োগ নিশ্চিত করার কথা বলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঘরছাড়াদের রাজভবনে ঢুকতে বাধা, অনড় শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ঘরছাড়াদের রাজভবনে ঢুকতে বাধা, অনড় শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় শাসক দলের কর্মীদের হাতে আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে ছুটলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁদের। রাজভবনে (Rajbhawan) গিয়ে রাজ্যপালের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক ছিল। কিন্তু বাধ সাধল পুলিশ। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি আছে এই অজুহাতে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি কেন তাঁদের আটকানো হয়েছে তা পুলিশ জানায় নি।

    রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাধা (Suvendu Adhikari)

    এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করতে যাওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর। এদিন দুপুর থেকেই রাজভবনের সামনের রাস্তা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এমনিতেই ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। জমায়েত আটকাতে ‘ব্যারিকেড’ করে রেখেছিল পুলিশ। শুভেন্দু চেয়েছিলেন আক্রান্তদের কথা শুনুন রাজ্যপাল। সেইকারণেই তাঁদের রাজভবনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। অথচ পুলিশ তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধিকেও ভিতরে নিয়ে যেতে দিতে চায়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণেই রাজভবনের সামনে নিজের গাড়িতে দীর্ঘক্ষণ বসে ছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) । বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা ভোট মিটতেই রাজ্যে হিংসার শিকার হচ্ছেন তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা। ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বহু জন। ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে দেখা করতে ইতিমধ্যে ডায়মন্ড হারবার, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া গিয়েছেন শুভেন্দু। যাঁরা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ‘ঘরছাড়া’, তাঁদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তিনি। বিজেপি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ‘আক্রান্ত’দের বিষয়ে বার বার সরব হয়েছে। ‘ঘরছাড়া’ মানুষজনের জন্য উত্তর কলকাতায় বিজেপির উদ্যোগে ধর্মশালা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনিও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন। দাবি করেছেন, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী’রাই এ সব করেছেন।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    প্রসঙ্গত রাজভবনে প্রবেশের তিনটি গেটই এদিন দুপুর থেকেই ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুধু শুভেন্দু অধিকারীই নন তাঁর সহায়ককেও এদিন রাজভবনে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ এমনটাই অভিযোগ। কিন্তু ঘরছাড়াদের রাজভবনে (Rajbhawan) ঢুকতে বাধা কেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল ১৪৪ ধারা থাকাকালিনই ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে দুদিন ধরনা ও কয়েক হাজার কর্মী রাজভবনে জমায়েত হয়েছিলেন তখন পুলিশের এই তৎপরতা চোখে পড়েনি। কাউকে সেবেলায় আটকায় নি পুলিশ এমনকি গোটা ধর্না মঞ্চের আশেপাশে সুরক্ষা দিয়েছিল পুলিশ।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক ক্রিকেটারের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর

    আক্রান্তদের কণ্ঠরোধ করতে পুলিশের ততপরতা নিয়ে সমালোচনা করেন শুভেন্দু। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতা ব্যানার্জী আমাদের ডেপুটেশন দিতে দিলেন না। স্বাধীনতার পর এমন কখনও হয়নি। এভাবে পুলিশকে ব্যবহার করা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ায়ের নিষ্ঠুর ভাবমূর্তি জনগণ আজ দেখতে পেল। আমি ১৮ তারিখ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বিষয়টি তুলে ধরব।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Apple Open AI: অ্যাপলের ডিভাইসে মিলবে চ্যাট জিপিটি

    Apple Open AI: অ্যাপলের ডিভাইসে মিলবে চ্যাট জিপিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপেলের সঙ্গে ওপেন এআই-এর (Apple Open AI) চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অ্যাপলের আগামী মোবাইল ফোন গুলিতে ios18-এর সঙ্গে চ্যাট জিপিটির (Chat GPT) সাপোর্ট দেওয়া হবে। মোবাইলের পাশাপাশি আইপ্যাড এবং ম্যাক কম্পিউটারেও চ্যাট জিপিটর সাপোর্ট দেওয়া হবে। সাধারণত চ্যাট জিপিটির বিনামূল্যে যে পরিষেবা পাওয়া যায় তার তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন পরিষেবা দেওয়া হবে এই অ্যাপেলের ডিভাইসে ।

    অ্যাপলের ইকো-সিস্টেমের মধ্যে থার্ড পার্টি টুলের প্রবেশ

    জানা গিয়েছে সিরি ও চ্যাট জিপিটি (Apple Open AI) যুক্ত হলে উপভোক্তারা আরও ভালভাবে উত্তর ও তথ্য পাবেন। কয়েক মাস আগেই খবর এসেছিল অ্যাপেল নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তারপর এটা পরিষ্কার হয়ে যায় অ্যাপেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য অন্য সংস্থার উপর নির্ভরশীল হতে চলেছে। এতদিন অ্যাপল নিজেদের অ্যাপ ও সফটওয়্যারের উপরে জোর দিত। এবার অ্যাপলের ইকো-সিস্টেমের মধ্যে থার্ড পার্টি টুলের (Chat GPT) প্রবেশ হয়ে গেল। এর ফলে আপেলের সুরক্ষা নিয়ে উপভোক্তাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে।

    ইলন মাস্কের প্রতিক্রিয়া (Apple Open AI)

    অ্যাপলের সঙ্গে চ্যাট জিপিটির চুক্তির পর প্রতিক্রিয়া এসেছে ইলন মাস্কের তরফে। নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে একটি ছবি শেয়ার করে ইলন মাস্ক অ্যাপলের সঙ্গে ওপেন এর চুক্তি উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ইলন মাস্কের ইঙ্গিত, এই চুক্তির ফলে অ্যাপলের ডিভাইসের নিরাপত্তা আগের মত থাকবে না। উপভোক্তাদের তথ্য চুরি হওয়া সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে তাঁদের ডেটাও বেশি নষ্ট হবে। তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি অপারেটিং সিস্টেম পর্যায়ে অ্যাপেল ওপেন এআইকে (Chat GPT) ইন্টিগ্রেট করে তাহলে অ্যাপেলের ফোনগুলি তাঁর সংস্থায় নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি সুরক্ষা ব্যবস্থায় গাফিলতি কোনভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানান।

    আইফোনে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে চ্যাট জিপিটি 

    জানা গিয়েছে অ্যাপল ফোন ব্যবহারকারীরা লগইন না করেই (Apple Open AI) সরাসরি চ্যাট জিপিটির ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে পেড ইউজাররা নিজেদের অ্যাকাউন্টকে ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্ট করে যোগ করে ব্যবহার করতে। অ্যাপলের ভার্চুয়াল সহকারী সিরি এই ইন্টিগ্রেশন থেকে উপকৃত হবে। এটি ব্যবহারকারীর প্রশ্নের আরও কার্যকরভাবে উত্তর দিতে চ্যাট জিপিটির বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।

    আরও পড়ুন: ফিচার্ড ফোন থেকেও ইউপিআই পেমেন্ট! সম্ভব করল এইচএমডি

    গুরুত্বপূর্ণভাবে, ব্যবহারকারীদের এই বৈশিষ্ট্যটির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে, কারণ চ্যাট জিপিটিতে কোনও প্রশ্ন, নথি বা ছবি পাঠানোর আগে ব্যবহারকারীর অনুমতি চাওয়া হবে। একবার সম্মতি দেওয়া হলে, সিরি সরাসরি ব্যবহারকারীদের কাছে উত্তরগুলি উপস্থাপন করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Central Force Deployment: ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Central Force Deployment: ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ২১ জুন পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে (Central Force Deployment) কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি শেষে বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High court)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের আদালতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। এর আগে ১৯ জুন পর্যন্ত বাহিনী থাকবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা শাসকদলের হিংসার শিকার হচ্ছেন। অনেকে বাড়িছাড়া হয়েছেন, বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, মারধর করা হচ্ছে । এমতাবস্থায় যাতে রাজ্য থেকে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার না করা হয় সেই আর্জি ছিল তাঁদের।

    বিরোধীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ফের শাসক দলের তাণ্ডব। বিরোধী দলগুলির, বিশেষ করে বিজেপি কর্মীদের ঘর ছাড়া করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় অবস্থিত মহেশ্বরী ভবনে কয়েকশো বিজেপি কর্মী ঠাঁই নিয়েছেন। তাঁরা যে কবে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা নেই। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরেও। প্রসঙ্গত কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force Deployment) রাখা হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: নিটে খারাপ ফল হতেই বেপাত্তা সৌদীপ, দুর্নীতির অভিযোগে সরব পরিবারের লোকজন

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানিতে ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High court)। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মাত্র দুদিন অতিরিক্ত মোতায়েন নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা আদৌ কি কমবে এবং এই সিদ্ধান্তে বিরোধীদলের কর্মীরা কতটা উপকৃত হবেন তা নিয়ে সংশয় কিন্তু থাকছেই।

    মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন (Central Force Deployment)

    এই মামলায় বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে ১৪ই জুন আদালতে হলফনামা হিসেবে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (High court)। তাতে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বহাল রাখার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে যাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কতজন রাজনৈতিক কর্মী অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাও জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে  তা সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা করতে বলা হয়েছে। ১৮ জুন এই (Central Force Deployment) মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শেষ চার বছরে ২০০ কোটি টাকা উপার্জন শাহজাহানের, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    Sheikh Shahjahan: শেষ চার বছরে ২০০ কোটি টাকা উপার্জন শাহজাহানের, চার্জশিটে উল্লেখ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন সহ ইডির (Enforcement Directorate) উপর হামলার একাধিক অভিযোগ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। তদন্তকারী আধিকারিকরা এবার জানতে পেরেছেন শেখ শাহজাহান মাত্র চার বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছে। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবুকে জেরা করে টাকার পাহাড় তৈরি করতে ব্যবসার মডেল জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।

    ৯০০ বিঘা জমি দখল করে মাছের ব্যবসা

    চার্জশিটে ইডি উল্লেখ করেছে প্রায় ৯০০ বিঘা জমি শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীরা দখল (Sheikh Shahjahan) করে রেখেছিল। সেই জমিতে মাছের চাষ করত তাঁরা সেই মাছ রফতানি করা হত। মাছ রফতানি করেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে অভিযোগ। চাষ করা মাছের একটা অংশ স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করা হত। শেখ শাহজাহানের নিজস্ব একটি বাজারও ছিল। সেই বাজারেও যে মাছ বিক্রি হত। মাছের ব্যবসার নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি ইটভাটাও ছিল শেখ শাহজাহানের নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ চাষ থেকে শুরু করে একাধিক ব্যবসা চালাত শেখ শাহজাহান। জানা গিয়েছে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত মোট পাঁচ জন ব্যক্তি। তাঁরা শাহজাহানের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করত এবং এর হিসেব রাখত। সূত্রের খবর এই পাঁচ জন ব্যক্তির খোঁজেও রয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

    মেয়ের নামেও অগাধ সম্পত্তি

    আরও জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানের মেয়ে সাবিনার নামে (Sheikh Shahjahan) রয়েছে একটি সংস্থা। এই সংস্থা প্রায় ৯০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। এই সংস্থার মাধ্যমেই বেশিরভাগ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ ইডি আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি (ED) আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। এরপর দীর্ঘ টালবাহানের পর রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (CID) হাতে গ্রেপ্তার হয় শাহজাহান। সিবিআই শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে ৭ জুন ফের সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ জেলবন্দি শেখ শাহজাহানকে তোলা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। তাঁর সঙ্গেই তাঁর ভাই শেখ আলমগীর, শেখ শাহজাহানের অনুগামী দিদার বক্স মোল্লা সহ আরও কয়েকজনকে আদালতে তোলা হয়েছিল।  

    অস্ত্র লুকোতে ইডির উপর হামলা

    অন্যদিকে, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আরও দাবি করেছে ইডির উপর ৫ জানুয়ারি যে হামলা হয়েছিল সেই হামলা শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই হয়েছিল। শেখ আলমগীর ও জিয়াউদ্দিনকে ফোন করে তিনি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। শাহজাহানের নির্দেশেই শেখ আলমগীর ও জিয়াউদ্দিন এলাকার মহিলা ও পুরুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    ইডি অধিকারিকরা (Enforcement Directorate) আক্রমণের শিকার হয়ে ফিরে যেতেই শাহজাহানের বাড়ি থেকে অস্ত্র সরানো হয় আবু তালেবের বাড়িতে। সিবিআই চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে। শাহজাহানের বাড়িতে রাখা বিপুল অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপরে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকি ওই চার্জশিটে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) পাশাপাশি তার ভাই শেখ আলমগীরকেও গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Featured phone with UPI: ফিচার্ড ফোন থেকেও ইউপিআই পেমেন্ট! সম্ভব করল এইচএমডি

    Featured phone with UPI: ফিচার্ড ফোন থেকেও ইউপিআই পেমেন্ট! সম্ভব করল এইচএমডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিচার্ড ফোনেও এবার থেকে ব্যবহার করা যাবে ইউপিআই! নোকিয়ার অফিসিয়াল ব্রান্ড লাইসেন্স ব্যবহার করা মোবাইল সংস্থা এইচএমডি সম্প্রতি তাঁদের দুটি ফিচার্ড যুক্ত মোবাইল ফোনে ইউপিআই (Feature phone with UPI) পরিষেবা যুক্ত করেছে।

    ইউপিআই ছাড়াও অনেক পরিষেবা পাওয়া যাবে  

    জানা গিয়েছে এইচএমডি ১০৫ এবং এইচএমডি ১১০ মোবাইল ফোনে ইউপিআই পরিষেবা ছাড়াও এমপিথ্রি প্লেয়ার, এফএম রেডিও, ফোন কলার, কল রেকর্ডিং সহ আরও বহু সুবিধা পাওয়া যাবে। নোকিয়ার বর্তমান কিপ্যাড যুক্ত ফিচার্ড ফোনগুলির মতোই দেখতে এইচএমডির মোবাইল ফোনগুলি। ঝাঁ চকচকে এই মোবাইল ফোনগুলি পাওয়া যাচ্ছে বেশ কয়েকটি রঙে। এইচএমডি মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ররি কুয়ঁর বলেন, “এইচএমডি ১০৫ এবং এইচএমডি ১১০ আমাদের দুটি কীপ্যাড যুক্ত ফিচার্ড ফোন যা ভারতের লঞ্চ হয়েছে। ইউপিআই পরিষেবার সঙ্গে আমরা আগামী দিনে এই ফোনে আরও পরিষেবা যুক্ত করব। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু ইউপিআই এখন দৈনন্দিন কাজে প্রয়োজন হয়। এর জন্য যাতে কমদামি ফোনেও (Feature phone with UPI) মানুষ ইউপিআই পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আমাদের আরও নতুন নতুন ফোনে এই পরিষেবা যুক্ত করা হতে পারে।”

    ১৮ দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ (Feature phone with UPI)

    জানা গিয়েছে এইচএমডি ১০৫ মোবাইলের দাম ৯৯৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই মডেলটি কালো, নীল ও বেগুনি রঙে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে এইচএমডি ১১০-এর দাম ১,১৯৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এটি কালো ও সবুজ রঙে পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার এই ফোনগুলি (Feature phone with UPI) লঞ্চ হয়েছে। এই মোবাইল ফোন কোম্পানির ওয়েবসাইট ছাড়াও রিটেল স্টোরগুলিতে পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: অ্যাপলের পথে হাঁটছে গুগল, বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সংস্থা

    ফিচার্ড ফোন হলেও দুটি ফোনেই মোবাইল ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশ রয়েছে। কোম্পানি দাবি করছে এই মোবাইলের স্ট্যান্ডবাই ব্যাটারি লাইফ ১৮ দিনের। দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী এই ফোন। দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বললেও একবার রিচার্জ করলে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করা যাবে। দুটি ফোনেই ১০০০ এমএএইচ শক্তশালী ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই ফোনের ডিসপ্লে ছোট এবং ইন্টারনেট স্মার্টফোনের মতন ব্যবহার করা যাবে না, তাই এই ফোনে ব্যাটারির অপচয় কম হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Red Fort Attack Case: প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ রাষ্ট্রপতির, ফাঁসি নিশ্চিত লালকেল্লা হামলায় দোষী আরিফের

    Red Fort Attack Case: প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ রাষ্ট্রপতির, ফাঁসি নিশ্চিত লালকেল্লা হামলায় দোষী আরিফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ সালে দিল্লির লালকেল্লায় হামলার (Red Fort Attack Case) ঘটনায় দোষী পাক জঙ্গি মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাকের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মহম্মদ আরিফের দেশে কিংবা বেঁচে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। দিন ধার্য হয়ে গেলে ফাঁসি কাঠে ঝুলতে হবে লালকেল্লার হামলায় দোষী সাব্যস্ত মূল অপরাধীকে।

    ঠিক কি হয়েছিল (Red Fort Attack Case)

    ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত ৯টা নাগাদ লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা লালকেল্লার পাহারায় থাকা বাহিনীর ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এই অতর্কিত (Red Fort Attack Case) হামলায় রাজপুতানা রাইফেলসের দুই জওয়ান রাইফলম্যান উমাশঙ্কর এবং নায়েক অশোক কুমার সহ একজন অসামরিক  নিরাপত্তারক্ষী আবদুল্লা ঠাকুর নিহত হন। এই ঘটনার চারদিন পর আরিফকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা শুরু হয়। ২০০৫ সালে নিম্ন আদালত আরিফকে ফাঁসির সাজা দেয়। দিল্লি হাইকোর্টও একই সাজা বাহাল রেখেছিল। মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাককে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে মামলা পৌঁছয় দেশে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর লস্করের সদস্য পাকিস্তানের বাসিন্দা মহম্মদ আরিফের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে ফাঁসির সাজা বাহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় আরিফ। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ায় আরিফের ফাঁসির কাঠে ঝোলা কার্যত নিশ্চিত হল এদিন।

    আদালতে দোষী সাব্যস্ত পাক জঙ্গি মোহাম্মদ আরিফ

    এই মামলায় আরিফের সঙ্গী’ দাবি করে ২০১৮ সালে বিলাল আহমেদ কাওয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা ATS) ও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানায়, বিলালের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যোগাযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হানা, আহত পাঁচ জওয়ান, নিহত এক জঙ্গি

    অন্যদিকে, ফাঁসির সাজা রদ করার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আরিফের তরফে (Red Fort Attack Case) যে ‘রিভিউ পিটিশন’ জমা দেওয়া হয়েছিল তা ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল যে, আরিফের বিরুদ্ধে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে আদালতের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBSE: ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর নিয়ে দু’নম্বরি করেছে স্কুলগুলি! বড় দাবি সিবিএসই-র

    CBSE: ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বর নিয়ে দু’নম্বরি করেছে স্কুলগুলি! বড় দাবি সিবিএসই-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার নম্বর নিয়েই দু’নম্বরি করার অভিযোগ উঠল সিবিএসই-র (CBSE) পরীক্ষায়। দিল্লির এই বোর্ডের কর্মকর্তাদের ধারণা দশম-দ্বাদশে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বরে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এবং এই কারচুপির পিছনে রয়েছে স্কুলগুলি। সিবিএসই-র কর্তাদের মতে স্কুলগুলি পরীক্ষার্থীদের খাতায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কাজে লাগিয়ে দেখা গিয়েছে প্র্যাকটিক্যাল এবং থিওরির পেপারের নম্বরের মধ্যে ব্যাপক অমিল রয়েছ।

    ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়র অভিযোগ

    সিবিএসই (CBSE) সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়ারা স্কুলের হাতে থাকা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টে ভালো নম্বর পেয়েছে তাঁরাই আবার বোর্ডের থিওরি পরীক্ষায় খারাপ ফল করেছে। ভালো ছাত্র-ছাত্রী বা যুক্তি-তর্কের জায়গায় এই তারতম্য হওয়ার কথা নয়। এখানেই প্রশ্ন উঠছে স্কুলের হাতে থাকা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের স্বচ্ছতা নিয়ে। এক্ষেত্রে স্কুলে হাতে থাকা ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট এর স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু গাইডলাইন পাঠানো হচ্ছে স্কুলগুলিকে। যাতে আগামীতে এই ধরণের গরমিল না করা হয়। সিবিএসই মনে করছে সারা দেশের ৫০০-র বেশি স্কুল ৫০ শতাংশর বেশি ছাত্রছাত্রীকে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়েছে স্কুল। বোর্ডের পড়ুয়াদের মোট নম্বরের একটা বড় অংশ স্কুলের হাতে থাকে। সেখানে প্রাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের মাধ্যমে স্কুল নিজেদের ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করে থাকে। সেই মূল্যায়নের নম্বর বোর্ডের কাছে পরবর্তীকালে জমা দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত নম্বর দেওয়া হয় ছাত্রছাত্রীদের।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বছরে দুবার ভর্তির সুযোগ! বড় সিদ্ধান্ত ইউজিসির

    এক্ষেত্রে কলকাতার নামকরা সিবিএসই স্কুল ভারতী বিদ্যাভবনের প্রিন্সিপাল অরুণ দাশগুপ্ত বলেন, “যদি সত্যিই গরমিল হয়ে থাকে তাহলে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধার পাশাপাশি পরবর্তী ক্লাসে তাঁদের পড়া বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। কেউ যদি মনে করে স্কুলগুলি এই গরমিল করেছে তাহলে সেই স্কুলগুলোর নাম প্রকাশে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    কী ব্যবস্থা নিল সিবিএসই (CBSE)

    এক্ষেত্রে সিবিএসই স্কুলগুলির নাম প্রকাশ্যে না আনলেও অ্যাডভাইজরি জারি করেছে। যাতে আগামী দিনে এই ধরনের গরমিল ঠেকানো যায়। এছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের জন্য বোর্ডের তরফে একটা ক্লাসে সর্বোচ্চ কতজন ছাত্র ভর্তি নেওয়া যাবে তাও জানানো হয়েছে। ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষকের অনুপাত কী হবে সেসব বিষয়ে গাইডলাইন দিয়েছে (CBSE) বোর্ড। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মার্কস বাড়িয়ে দেওয়ার রোগ শুধুমাত্র সিবিএসইতে রয়েছে এমনটা নয়। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ শিক্ষা সংসদেও এই অভিযোগ উঠেছে এর আগেও। ২০২১ সালে করোনা কালে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। সেবার স্কুলকে এই নম্বর দিতে বলা হয়েছিল। তখন দেখা যায় ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিকে ফুল মার্কস পেয়েছিল। পরে বোর্ডে সন্দেহ হওয়ায় মার্কস ট্যাবুলেশন শিট চেয়ে পাঠানো হয়। পরে সেই সংখ্যা ২৫০ থেকে ৭৯তে নেমে আসে। এমনকী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার যে নম্বর কলেজের হাতে থাকে, সেখানেও দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়। অনেক সময় এক্ষেত্রে নেপোটিজম বা স্বজনপোষণের অভিযোগও ওঠে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purana Qila: পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থের অস্তিত্বের খোঁজে পুরানা কিলায় শুরু হবে খননকার্য

    Purana Qila: পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থের অস্তিত্বের খোঁজে পুরানা কিলায় শুরু হবে খননকার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাভারতে উল্লেখিত পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ নগরের খোঁজে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) দিল্লির পুরানা কিলা (Purana Qila) এলাকায় খনন শুরু করবে। মনে করা হচ্ছে প্রাচীন ইন্দ্রপ্রস্থ নগর ঠিক এই জায়গাতেই ছিল। দিল্লির “পুরানা কিলা” ষোড়শ শতকে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক হুমায়ুন (Humayun) । প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে পাণ্ডবদের (Pandav) ইন্দ্রপ্রস্থের নগরীর যোগ রয়েছে বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    ইন্দ্রপ্রস্থের উপর দাঁড়িয়ে পুরানা কিলা!

    দিল্লির পুরানা কিলা (Purana Qila) ঘিরে রয়েছে রয়েছে নানান তত্ত্ব, সংশয় ও অনুমান। ৩১ মার্চ ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের ‘এক বিরাসত অপনাও” যোজনার অন্তর্গত “পুরানা কিলা” ডালমিয়া গ্রুপের সভ্যতা ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেওয়ার আগে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এর আগে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পুরানা কিলার আশেপাশে থেকে খননে যে মাটির বাসন, মুদ্রা ও টেরাকোটার মূর্তি উদ্ধার করেছিল তা ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়। সভ্যতা ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে হেরিটেজ অ্যান্ড ইভেন্টসের সিইও অজয় বর্মন বলেন, “ইন্দ্রপ্রস্থ (Indraprastha) নগরীর উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পুরানা কিলা। যেভাবে একই জায়গায় সভ্যতার অনেক স্তর পাওয়া যায়, ঠিক সেভাবেই এই এলাকায় মাটির তলায় লুকিয়ে আছে ইন্দ্রপ্রস্থ নগর। আমরা এরপর যে হেরিটেজ ওয়াক করব সবটাই মহাভারত কেন্দ্রিক হবে। মহাভারত কোনও কাল্পনিক গল্প নয়। আমাদের দেশের ইতিহাস। এএসআই একটু চেষ্টা করলেই মাটির তলা থেকে সেই সময়ের স্মৃতিচিহ্ন বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।”

    পুরানা কিলায় (Purana Qila) শুরু হবে সপ্তম খনন

    এই আসন্ন খনন হবে পুরানা কিলায় (Purana Qila) এএসআই দ্বারা পরিচালিত সপ্তম খনন। যা দিল্লি-এনসিআর-এর সবচেয়ে বড় খনন হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হল ,মহাভারতের সঙ্গে দুর্গের সংযোগ সংক্রান্ত প্রমাণ খুঁজে বের করা। এই কাজে ২০১৪ সালে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসে যখন এএসআই প্রত্নতাত্ত্বিকরা রঙ করা মাটির পাত্র, (PGW), জ্যামিতিক নিদর্শন সহ সূক্ষ্ম, মসৃণ ধূসর মৃৎপাত্র উদ্ধার করে করেন।

    আরও পড়ুন: সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় উদ্ধার হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

    কার্বন ডেটিং করে যার তারিখ বের হয় প্রায় ১১০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৫০০-৪০০ খ্রিষ্টপূর্ব। এই সময়সীমা মহাভারতের রচনাকালের কিছু অনুমান মেলে। এএসআই খননের পরিচালক বসন্ত স্বর্ণকার আবিষ্কারটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন “আমাদের জন্য, এটি সবচেয়ে মূল্যবান আবিষ্কার।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J&K Terror Attack: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হানা, আহত পাঁচ জওয়ান, নিহত এক জঙ্গি

    J&K Terror Attack: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হানা, আহত পাঁচ জওয়ান, নিহত এক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলার চত্তরগলা এলাকায় সেনাবাহিনীর উপরে ফের হামলা (J&K Terror Attack) করল জঙ্গিরা। সেনা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এই আক্রমণ চালানো হয় সেনার অস্থায়ী ছাউনি বা ফাঁড়িতে। এই ঘটনায় একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর ৫ জন  এবং একজন সরকারি আধিকারিক জখম হয়েছেন। অন্যদিকে, জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে একজন সাধারণ মানুষেরও আহত হইয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (J&K Terror Attack)

    সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, আহত জওয়ান, স্থানীয় বাসিন্দা ও আধিকারিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জঙ্গিরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে হঠাৎ করেই সেনার অস্থায়ী আউট পোস্টে লক্ষ্য করে (J&K Terror Attack) গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। কিছুক্ষণের গুলি বিনিময়ের পর জঙ্গিরা জঙ্গলের দিকে পালাতে শুরু করে। সেই সময় বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গি নিহত হয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। বুধবার সকালে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়।

    কাঠুয়া জেলার হিরানগরেও বাহিনী জঙ্গি সঙ্ঘর্ষ

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হিরানগর এলাকার সায়েদা সোহেল গ্রামেও সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের (J&K Terror Attack) গুলি বিনিময় হয়। এই অভিযানে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। দুজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের হিরানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রিয়াসি হামলায় এখনও জঙ্গিদের খোঁজে ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযান চলছে। রিয়াসির হামলার ঘটনায় জঙ্গিরা ফেরার পথে গ্রামে একাধিক ঘরে ঢুকে খাবার ও জল চেয়ে বসে। তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে যে উত্তর জঙ্গিরা দেয় তাতে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। এরপর এই গ্রামবাসীরা চিৎকার জুড়ে দিলে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। হিরানগরের একজন গ্রামবাসী জঙ্গির গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রিয়াসির জঙ্গি হানার নিন্দায় সরব বলিউড

    খবর পেয়ে হিরানগর থানার পুলিশ ও এসডিপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। এরপরই তাঁদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশের উপর গ্রেনেড ছোড়ার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে একটি একে রাইফেল এবং একটি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর আগে জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া একটি এম ফোর কার্বাইন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share