Tag: Britain PM

Britain PM

  • Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    Keir Starmer: বাণিজ্যের লক্ষ্যে দু’দিনের সফরে ভারতে কিয়ের স্টার্মার, বৈঠক হবে মোদির সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভারত (India) সফরে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। তাঁর সঙ্গে ব্রিটেন থেকে এ দেশে এসেছেন ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধির একটি দল। এটি ব্রিটেন থেকে ভারতে এ পর্যন্ত পাঠানো সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল বলেই সূত্রের খবর। এই প্রতিনিধিদলের ঘোষিত লক্ষ্য হল ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে ২০২৫ সালের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে (Free Trade Deal) আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।

    ভারতে এলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)

    বুধবার নির্ধারিত বৈঠকের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে। স্টার্মার ও তাঁর প্রতিনিধিদলকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পওয়ার এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। চলতি ভারত সফরে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার ইঙ্গিতও দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্প্রতি স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্যচুক্তিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যবসা ও বাণিজ্যচুক্তি এবং বিনিয়োগই গুরুত্ব পাবে।” ভিসা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা পরিকল্পনার অংশ নয়। ব্রিটেনের অভিবাসন নীতির কোনও পরিবর্তন হবে না।” ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বজুড়ে শীর্ষ প্রতিভাদের সন্ধান করে ব্রিটেন। কিন্তু ট্রাম্পের অধীনে এইচ-১বি ভিসা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পর ভারতীয় প্রযুক্তিবিদদের জন্য এখনই কোনও নতুন পথ খোলার কোনও পরিকল্পনাই নেই আমাদের।”

    মোদির সঙ্গে বৈঠক

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে (India) এলেন স্টার্মার। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি এখনও ঝুলেই রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে নয়াদিল্লির। এই দড়ি টানাটানির মধ্যেই সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি। এহেন আবহে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারতে আগমন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মুম্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি আলোচনাচক্রেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে স্টার্মারের। সেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোগপতিদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (Keir Starmer)।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই লন্ডন থেকে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই চুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি (India) ও স্টার্মার। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ব্রিটেনে তৈরি বা ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম, বিমান সরঞ্জাম ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য আগের চেয়ে সস্তা হয়ে যাবে। ভারতীয়দের জন্য সহজলভ্য হবে ব্রিটেনে তৈরি সফট ড্রিঙ্কস, চকোলেট, প্রসাধনী সামগ্রী, বিস্কুট এবং স্যামন মাছ। এই সব পণ্যে এত দিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক কার্যকর ছিল। মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির ফলে তা কমে দাঁড়াবে তিন শতাংশে। বৈদ্যুতিক গাড়ির শুল্ক ১১০ শতাংশ থেকে নেমে আসবে ১০ শতাংশে।

    সিইও ফোরামে অংশ নেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer) শহরে সিইও ফোরাম এবং গ্লোবাল ফিনটেক ফেস্টের ষষ্ঠ সংস্করণে অংশ নেবেন। তাঁদের বৈঠকের সময় মোদি এবং স্টার্মার ইন্ডিয়া-ইউকে যৌথ কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন। এই মূল্যায়ন হবে ভিশন ২০৩৫ রোডম্যাপের ভিত্তিতে, যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, জলবায়ু ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের মতো ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে।

    ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা

    দুই রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্টার্মার ভারত-ব্রিটেন (India) যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পখাতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই চুক্তিকে ভবিষ্যতে ভারত-ব্রিটেন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও, উভয় নেতা শিল্প বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন (Keir Starmer)। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন স্টার্মার। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, জ্বালানি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে তাঁদের। এর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বৈঠকে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর জুলাই মাসেই ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ওই সফরেই দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। আগামী বছর থেকেই কার্যকর হবে এই চুক্তি (Keir Starmer)।

  • Rishi Sunak: এবার কি ভাগ্য প্রসন্ন হবে সুনকের? জানুন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আরও কারা

    Rishi Sunak: এবার কি ভাগ্য প্রসন্ন হবে সুনকের? জানুন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আরও কারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসের মাথায় প্রধানমন্ত্রী বদল। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK political crisis) হিসেবে শপথ নেওয়ার ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন লিজ ট্রাস। এবার কি তাহলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)? এই প্রশ্নই ঘুরছে টেমসের তীরে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ট্রাসের বিপরীতে লড়েছিলেন ঋষি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি দিতে রাজি হয়নি ব্রিটেন। সুনককে পরাজিত করে মসনদে বসেন ট্রাস। ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ছন্দপতন। 

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি  

    সূত্রের খবর, দলের মধ্যেই ট্রাসকে নিয়ে বিরোধিতা মাথা চাড়া দিয়েছিল। ট্রাসের অর্থনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়। এরপরেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন ট্রাস। শুরু হয় গুঞ্জন এবার কি তাহলে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের কুর্সিতে বসবেন বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ‘ইনফোসিস’-র প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই? এখন প্রধানমন্ত্রীর (prime minister) দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋষিই। তাঁর সমর্থনে রয়েছেন শতাধিক সাংসদ। সোমবার অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর জন্য মনোনয়ন জমা নেবে কনজারভেটিভ দল। মোট তিনজন মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বলে রক্ষণশীল দলের তরফে জানানো হয়েছে। তবে মনোনয়ন দিতে হলে লাগবে অন্তত ১০০ সাংসদের সমর্থন।

      আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে উঠে আসছে কনজার্ভেটিভ পার্টির নেত্রী পেনি মর্ডন্টের নাম। গতবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের চতুর্থ এবং পঞ্চম রাউন্ডে সাংসদদের ভোট অনুযায়ী সুনকের পরেই ছিলেন তিনি। দলেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন জেরেমি হান্টও। কিন্তু তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তবে সুনক মনোনয়ন জমা দেবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ব্রিটিশ ট্যবলয়েডগুলির দাবি, সুনকই হতে পারেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নামে বাজিও ধরছেন বুকিরা। দামও উঠছে চরচর করে। এখন দিওয়ালির উপহার হিসেবে সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্ব পান কিনা তা-ই দেখার অপেক্ষায় ভারতবাসী। কারণ সুনক প্রধানমন্ত্রী হলে প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতের হাতে যাবে ব্রিটেনের রাশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share