Tag: british rule in india

british rule in india

  • National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এত রোমহর্ষক কাহিনী আছে যে, সেগুলির অধিকাংশই আমাদের অজানা। বলা বাহুল্য, ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বাঁধন ছিন্ন করে স্বাধীনতা অর্জন করা মোটেই কয়েক দিনের সংগ্রাম ছিল না। এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল রক্ত-ঘাম মিশে থাকা বহুদিনের সংগ্রাম। এই প্রতিবেদন এমনই এক কাহিনী নিয়ে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেকটাই ছাপ ফেলেছিল। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর অঞ্চল (National Flag)।

    কী সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনী?

    বীরভূমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই জেলার দুবরাজপুরের মাটিতে দুটি দিন স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট এবং সেই একই বছরের ১ লা সেপ্টেম্বর। কথিত আছে, এই দুটি দিনে পরাধীন ভারতে দেশের জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়েছিল দুবরাজপুর আদালতে। সেই সময় এই দুবরাজপুর আদালত ছিল মুন্সেফ কোর্ট। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, দুবরাজপুরের এই তৎকালীন মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট। সেই সময় সৌরেন্দ্রনারায়ণ সেন এবং শ্রীপতি পাতর-এর নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ জন মিছিল করে এই মুন্সেফ কোর্ট এবং ডাকঘরে উপস্থিত হন, শুরু হয় বিশাল আন্দোলন। আবার প্রচলিত কিছু কাহিনী থেকে জানা যায়, ওই একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এ নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এই দুটি দিনই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক আলাদা নজির স্থাপন করেছিল।

    কী ঘটেছিল সেদিন? (National Flag)

    প্রচলিত নানা তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা যায়, দুপুর বারোটার সময় প্রায় ৫০০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী মিছিল করে দুবরাজপুর থানার সামনে বন্দেমাতারাম স্লোগান সহ জমায়েত করেন এবং শুরু হয় আন্দোলন। পরে তাঁরা পৌঁছে যান দুবরাজপুরের মুন্সেফ কোর্ট প্রাঙ্গনে। এখানে তাঁরা ভাঙচুর করেন এবং ভিতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে দেন, কাগজপত্র, নানা নথি, চেয়ার, টেবিল পুকুরে ফেলে দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২৫ জনকে কড়া শাস্তি প্রদান করা হয়।

    সমগ্র ঘটনায় একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম সব থেকে বেশি উঠে আসে, হারান খাঙ্গার। এই হারান খাঙ্গারেরও শাস্তি হয় এবং তাঁকে সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। এখনও সেখানে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী তৎকালীন বীরভূমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পতিত চ্যাটার্জি, শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, শম্ভুনাথ কবিরাজ প্রমুখ। এই সবই বীরভূম জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলেই জানা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share