Tag: budget 2025

  • New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    New Income Tax Bill: রয়েছে সাড়ে পাঁচশোরও কম ধারা, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান, বৃহস্পতিবার, লোকসভায় নতুন আয়কর বিল পেশ (New Income Tax Bill) করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের সংশোধন নয়, বরং পুরনো আইনকে ভুলে নতুন আয়করের বিধানে দেশকে চালাতে চান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নতুন বিলে ‘করবর্ষ’ চালু করার কথা বলেছে সরকার। আর্থিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই করবর্ষ আনা হচ্ছে বলে খবর সূত্রের।

    নয়া বিলে কী পরিবর্তন

    সংসদে বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানান, ‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৮১৯ থেকে নামানো হয়েছে ৫৩৬এ’। যার মাধ্যমে সাধারণের কাছে আগের তুলনায় আয়কর বিধিগুলি বুঝতে অনেকটা সহজ বলে মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের। তবে আয়করের ধারা কমানো ছাড়াও আরও এক গুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে এই নতুন আইনে। সূত্রের খবর, বিল আইনে পরিণত হলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আরও সহজ হবে। এই নয়া আইনের হাত ধরে আয়কর স্ল্যাব সম্বন্ধে সাধারণের ধারণা আরও স্পষ্ট হবে। অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, না বুঝে আয়কর নিয়ে আইনি সংঘাতে পড়ে যান বহু করদাতা। সেই সমস্যার সুরাহা করতেই নয়া বিলে আনা হয়েছে পরিবর্তন। আইনি সংঘাত কমাতে নেওয়া হয়েছে বড় পদক্ষেপ।

    কেন পরিবর্তন

    চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। বাজেট বক্তৃতাতেই নতুন আয়কর বিল আনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর গত সপ্তাহে প্রথামাফিক বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভা। দেশের কর ব্যবস্থাকে সরল ও আধুনিক করতে নতুন বিলটি আনা হয়েছে বলে দাবি করেছে সরকার। প্রসঙ্গত, নয়া বিল আনা হলেও নতুন করে কোনও আয়কর আরোপ করা হবে না বলে আগেই স্পষ্ট করেছিল কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, ‘‘বিলটি আইনে পরিণত হলে আয়করের ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে আইনি জটিলতা। করদাতারা সহজ সম্মতিতে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।’’ কেন্দ্রের দাবি, বর্তমানে চালু থাকা আইনের তুলনায় ৫০ শতাংশ ধারা কমিয়ে নতুন বিলটি তৈরি করা হয়েছে। এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমানো।

  • Budget 2025: নজরে চিন! বাজেটে উত্তর-পূর্বের রেল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,৪৪০ কোটি টাকা

    Budget 2025: নজরে চিন! বাজেটে উত্তর-পূর্বের রেল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,৪৪০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের রেল বাজেটে (Budget 2025) উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০,৪৪০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিপুল বরাদ্দ দেখেই বোঝা যায় যে ঠিক কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতকে। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতে চিন, বাংলাদেশ সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে ভারতের। তাই কূটনৈতিক দিক থেকেও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত চিন সীমান্তে (Budget 2025) যোগাযোগ বাড়ানো বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক আবহে অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    রেলমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক (Budget 2025)

    প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী (Budget 2025) অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, রেল বাজেটে জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন উঠে আছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রসঙ্গ। তখনই রেলমন্ত্রী জানান যে, ভৌগোলিক দিক থেকে দুর্গম অঞ্চল হল উত্তর-পূর্ব ভারত। এই সমস্ত জায়গাগুলিতে প্রকল্প যত দ্রুত সম্ভব ততই আমরা শেষ করার প্রয়াস রেখেছি। অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে ২০১৪ সালের পর থেকে ১,৮২৪ কিলোমিটার রেলপথ (Railway Project) সম্প্রসারণ হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে যতটা রেলপথ তাঁরা পেতেছেন সেটি শ্রীলঙ্কার মোট রেল নেটওয়ার্কের থেকে অনেকটাই বেশি। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতে ২০১৪ সালের পর থেকে ৪৭৮টি নতুন ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ১,১৮৯ কিলোমিটার রেলপথে কবচ লাগানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এবং উত্তর-পূর্ব রেলপথের (নির্মাণ) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার চৌধুরী। এই সাংবাদিক সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে আসছে আরও ২০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন, ১০০টি অমৃত ভারত ট্রেন এবং ৫০টি নমোভারত ট্রেন।

    মোদি জমানায় বরাদ্দ বেড়েছে পাঁচগুণ

    ওই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির থাকা দুইজন জেনারেল ম্যানেজার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান যে, উত্তর-পূর্ব ভারতে ৯২টি স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলিকে অমৃত ভারত স্টেশনে (Budget 2025) রূপান্তরিত করা হবে। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে, মিজোরামে একাধিক রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের জুলাই মাসে সেগুলি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের উন্নয়নের (Budget 2025) জন্য বরাদ্দ করা হত ২,১০০ কোটি টাকা। কিন্তু মোদি জমানায় ২০২৫-২৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৪৪০ কোটি টাকা অর্থাৎ উত্তর-পূর্বের জন্য রেল বাজেট পাঁচ গুণ বেড়েছে।

  • Budget Textile Industry: বাংলাদেশের হারানো বস্ত্রশিল্পের বাজার ধরতে ময়দানে ভারত, বাজেটে ইঙ্গিত

    Budget Textile Industry: বাংলাদেশের হারানো বস্ত্রশিল্পের বাজার ধরতে ময়দানে ভারত, বাজেটে ইঙ্গিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বাজেট পেশ (Budget Textile Industry) করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে বস্ত্রশিল্পের (Bangladesh) জন্য বড় ধরনের বুস্ট ঘোষণা করেছেন। গত অর্থবর্ষের চেয়ে এবার এই খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে ১৯ শতাংশ। এবার বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৪১৭.০৩ কোটি টাকা। দেশে তুলোর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচ বছরের তুলো মিশন ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষ করে অতিরিক্ত লম্বা প্রধান তুলোর উৎপাদন স্থবিরতার সমস্যার সমাধান করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য (Budget Textile Industry)

    বস্ত্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘এই মিশনের অধীনে (Bangladesh) কৃষকদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হবে। এটি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে এবং গুণমানসম্পন্ন তুলোর স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করবে।’’ প্রসঙ্গত, ভারতের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার এই প্রচেষ্টা এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন দেশে তুলো উৎপাদনে উদ্বৃত্ত নেই। বর্তমানে, ভারত প্রতি হেক্টরে ৪৫০ কিলোগ্রাম তুলো উৎপাদন করে, যা বৈশ্বিক গড় ৮০০ কিলোগ্রামের তুলনায় অনেক কম।

    বাংলাদেশে ডামাডোলের বাজার

    বাংলাদেশে চলছে ডামাডোলের বাজার। তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বস্ত্রশিল্পের বহু প্রতিষ্ঠান। ওয়াকিবহালের মতে, সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। মসলিন থেকে শুরু করে জিনস ও অন্যান্য পোশাকের চাহিদা তামাম বিশ্বেই তুঙ্গে। বিদেশের বহু ব্যবসায়ীই লগ্নি করেন বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানাগুলিতে। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে পালান আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে কার্যত দেশে চলছে অব্যবস্থা। ডামাডোলের বাজারে কাঁচামালের দাম আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি জিনিসপত্রের দাম হাঁকাচ্ছেন। গত অক্টোবরে বস্ত্র শ্রমিকদের প্রতিবাদে (Budget Textile Industry) কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ঢাকা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন দুই শ্রমিক। পড়শি দেশের এই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিই ভারতের বস্ত্রশিল্পের বাজারকে আরও চাঙা করছে।

    বাংলাদেশে সংকট

    প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের (Bangladesh) চলমান রাজনৈতিক সংকট ভারতের পোশাক শিল্পকে রফতানি বৃদ্ধি করে সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করছে। বাংলাদেশ একসময় বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ ছিল। তবে অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুৎ সংকট এবং হিংসার কারণে দেশটির পোশাক শিল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশে তুলোর রফতানি বাড়ানোর সুযোগ পেতে পারে ভারত।

    পোশাক শিল্পের ক্ষতি

    রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফলে আমদানিকারক দেশগুলি বিকল্প সরবরাহকারীদের সন্ধান করছে। এর ফলে, ভারত এই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশটির টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ভারতের মার্কিন বাজারে পোশাক রফতানি ৪.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের মার্কিন বাজারে রফতানি ০.৪৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৬.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে।

    ভারতের টেক্সটাইল শিল্প

    এদিকে, ভারত সরকার টেক্সটাইল শিল্পকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আর্থিক সহায়তা দান, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির ওপর শুল্ক হ্রাস, এবং স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়া (Bangladesh)। ১লা ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, ভারত বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল ও পোশাক রফতানিতে ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ, যা দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (GDP), শিল্প উৎপাদন এবং রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে (Budget Textile Industry)।

    রফতানির খতিয়ান

    ২০২৩ সালে ভারত ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টেক্সটাইল পণ্য রফতানি করেছে, যেখানে পোশাক খাত রফতানি আয়ের ৪২ শতাংশ অংশ নিয়েছে। এরপরে ৩৪ শতাংশ ছিল কাঁচামাল ও আধা-সমাপ্ত সামগ্রী এবং ৩০ শতাংশ ছিল সমাপ্ত পোশাক নয় এমন সামগ্রী। ইউরোপ ও আমেরিকা মিলে ভারতের পোশাক রফতানির প্রায় ৬৬ শতাংশ দখল করেছে। ৫৮ শতাংশ সমাপ্ত পোশাক ছাড়া অন্যান্য সামগ্রী এবং ১২ শতাংশ কাঁচামাল ও আধা-সমাপ্ত সামগ্রী রফতানির অংশীদার হয়েছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্তর্ভুক্ত। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কোভিড-১৯ অতিমারির সময়েও ভারতের টেক্সটাইল রফতানি স্থিতিশীল ছিল।

    ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের টেক্সটাইল শিল্প ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে এবং এতে ৩.৫ কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ১লা ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মধ্যবিত্ত শ্রেণির সুবিধার (Bangladesh) কথা মাথায় রেখে তৈরি এই বাজেটের মধ্যে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি, ব্যবসা, পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন খাতে উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (Budget Textile Industry)।

  • Budget 2025: ৮-১২ লাখ আয়ে ১০% ট্যাক্স ধার্য হলে, কীভাবে ১২ লক্ষ পর্যন্ত কর-মুক্ত আয়? রইল ব্যাখ্যা

    Budget 2025: ৮-১২ লাখ আয়ে ১০% ট্যাক্স ধার্য হলে, কীভাবে ১২ লক্ষ পর্যন্ত কর-মুক্ত আয়? রইল ব্যাখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়লা ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Budget 2025)। তাঁর এই বাজেটে স্বস্তি পেয়েছেন মধ্যবিত্তরা। ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর (Income Tax Slab) দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকার আয়ে ৫ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১২ লাখে যে ১০ শতাংশ কর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা কীসের? সেক্ষেত্রে, কীভাবে কর-মুক্ত সম্ভব?

    স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (Budget 2025)

    নয়া কর ব্যবস্থায়, বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে ১২ লাখ টাকার ওপর ৭৫ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসেবে আয়ের ওপর কোনও কর দিতে হবে না। যদিও সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ৪ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা রোজগারে ৫ শতাংশ, ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত ট্যাক্সের পরিমাণ ১০ শতাংশ, ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ১৫ শতাংশ। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকাপর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ২০ শতাংশ, ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ট্যাক্স দিতে হবে ২৫ শতাংশ। এবং ২৪ লক্ষ টাকার উপরে বার্ষিক আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে সবাইকে৷

    আইনের ৮৭এ ধারা

    আমজনতার প্রশ্ন হল, বার্ষিক ১২ লক্ষ আয়ের উপর কোনও ট্যাক্স না থাকলে, ৪ থেকে ৮ লক্ষের উপর ৫ শতাংশ এবং ৮ থেকে ১২ লক্ষের উপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স তাহলে দেখানো হচ্ছে কেন? বিষয়টা অনেকের কাছেই গোলমেলে লাগছে। তাই প্রয়োজন ব্যাখ্যার। সরকার যে ছাড়ের আইন করেছে, তা আইনের ৮৭এ ধারায়। এর অর্থ হল, আপনার আয়ের মোট ট্যাক্স যদি কোনও স্ল্যাব অনুযায়ী গণনা করা হয়, তাহলে করদাতা কিছু ছাড় পাবেন। বিষয়টা ভালো করে বোঝা যাক। যদি কারও বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৮ লাখ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির ট্যাক্স হবে ২০ হাজার টাকা। বার্ষিক আয় ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হলে, কর দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে মোট কর হয় ৬০ হাজার টাকা। এবার ৮৭এ-এর আওতায় ১২ লাখ টাকার বার্ষিক আয়ের ওপর কর রিবেট বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৮ লাখ বা বার্ষিক ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হয়, তাঁকে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। এটাই হল ট্যাক্স রিবেট (Budget 2025)।

    প্রশ্ন হল, ট্যাক্স রিবেট কী? ট্যাক্স রিবেট হল একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক আইন, যা করদাতাদের রোজগারের ওপর ধার্য কর থেকে ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়। এই আইনটি তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁদের বার্ষিক আয় একটি নির্দিষ্ট সীমার নীচে (Income Tax Slab)। ভারতে এই বিধানটিই আসে আয়কর আইনের ৮৭এ ধারায় (Budget 2025)।

  • Khalistani: মণিপুরে খ্রিস্টানদের আলাদা দেশ গড়তে উস্কানি দিয়েছেন পান্নুন, ট্রাইব্যুনালে জানাল কেন্দ্র

    Khalistani: মণিপুরে খ্রিস্টানদের আলাদা দেশ গড়তে উস্কানি দিয়েছেন পান্নুন, ট্রাইব্যুনালে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই ইউএপিএ-র একটি ট্রাইব্যুনালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি আবেদন দাখিল করে। সেখানেই খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের (Sikhs for Justice) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, মণিপুরে মুসলিম, তামিল এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হতে উস্কানি দিয়েছে ওই সংগঠন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এ বিষয়ে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের সামনে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি ওই ট্রাইব্যুনাল শিখ ফর জাস্টিস-এর ওপর আরও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। খালিস্তানপন্থী এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পান্নুনের (Khalistani) নেতৃত্বে চলে। ২০১৯ সালে প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য ওই সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

    উস্কানি শিখ সৈন্যদের

    ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই নিষেধাজ্ঞা (Khalistani) আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। প্রসঙ্গত, শিখ ফর জাস্টিস নামের এই সংগঠন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে খুনের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব পুলিশের মধ্যে যে সমস্ত শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মী রয়েছেন, তাঁদেরও উস্কানি দিয়েছে এই সংগঠন। এর পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যে শিখ সৈন্যরা রয়েছেন, তাঁদেরও বিদ্রোহের জন্য উস্কানি দিয়েছে এই সংগঠন। পান্নুন এক উস্কানি বার্তায় জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁদেরকে (শিখ সৈন্য) যে বেতন দেয় শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের হয়ে কাজ করলে তাঁদের আরও পাঁচ হাজার টাকা বেশি বেতন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে লাদাখে যে সমস্ত সৈন্য মোতায়ন করা আছে, সেই সৈন্যদের উদ্দেশে পান্নুন উস্কানি দিয়েছেন যে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেন ভারতের হয়ে তাঁরা লড়াই না করেন।

    দ্রাবিড়স্তান ও উর্দুস্তান গড়ার উস্কানি

    প্রসঙ্গত, পান্নুন পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের উস্কানি দেন। তিনি সেই সময় জলন্ধর, পাঠানকোট প্রভৃতি স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে, অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উসকে দিয়ে (Khalistani) সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে জনগণকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, মণিপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে একটি পৃথক দেশ তৈরির জন্য আওয়াজ তুলতে উস্কানি দেন পান্নুন। একইভাবে তামিল এবং মুসলমানদের জন্যও দ্রাবিড়স্তান ও উর্দুস্তান তৈরির উস্কানি দেন তিনি।

  • PM Modi: কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ আখ্যা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ আখ্যা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যেক ভারতীয়ের স্বপ্নপূরণ করবে এ বারের বাজেট (Budget)। এই বাজেটকে ‘জনগণের বাজেট’ বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার বাজেট পেশ করেন। তারপরেই এই কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিই বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘মধ্যবিত্ত কর প্রদানকারী, বেতনভোগী কর্মীদের বড় সুবিধা দেবে।’’ উল্লেখ্য, এ বারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশের কর কাঠামোয় বড়সড় পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে আয়করের পরিমাণ। সে কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ বারের বাজেটে সব আয় গোষ্ঠীর জন্য কর কমানো হয়েছে। যা থেকে মধ্যবিত্তেরা উপকৃত হবেন।’’

    আমরা দেশের তরুণদের জন্য অনেক পথ খুলেছি

    তিনি (PM Modi) আরও বলেন, ‘‘ভারতের উন্নয়ন যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে কেন্দ্রীয় বাজেট। আমরা দেশের তরুণদের জন্য অনেক পথ খুলেছি।’’ ‘জনগণের বাজেট’ পেশ করার জন্য সীতারামনকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাজেটের কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘কী ভাবে সরকারি কোষাগার ভরবে, সেটাই সাধারণত বাজেটে প্রতিফলিত হয়। কিন্তু এ বার তা উল্টো হয়েছে। এ বারের বাজেটের মূল লক্ষ্য ছিল কী ভাবে সাধারণ মানুষের পকেট ভরবে, কী ভাবে সঞ্চয় হবে। এই বাজেট এই সবের জন্য খুবই শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে।’’ সংস্কারের ক্ষেত্রে এ বারের বাজেট খুব উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সেই সব সংস্কার নিয়ে আলোচনা করতে চাই যা ভবিষ্যতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে।’’

    কৃষক কল্যাণ নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এ বারের বাজেটে দেশের সেরা ৫০টি পর্যটনস্থলের উন্নয়ন করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট পেশ করার সময় সেই প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের জন্য বড় ঘোষণা। শনিবার বাজেট পেশের সময় কৃষক কল্যাণের কথাও উল্লেখ করেন দেশের অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ তিন লক্ষ থেকে বৃদ্ধি করে পাঁচ লক্ষ করা হবে। মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘এই ঘোষণা কৃষিক্ষেত্রে একটি নতুন বিপ্লবের ভিত্তি হয়ে উঠবে।’’

  • Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল চলতি বছরের বাজেটে (Union Budget 2025)। শনিবার, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৮১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ফলে, গতবারের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ৯.৫ শতাংশ।

    মূলধন ব্যয় কতটা বাড়ল, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ

    প্রতিরক্ষায় খরচের বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম বড় হল মূলধন ব্যয়। এবারের বাজেটে (Union Budget 2025) মূলধন ব্যয় খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১২.৯ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের (Defence Budget Allocation) পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে (Union Budget 2025) পেশ করা নথি অনুযায়ী, এবছর বরাদ্দ হওয়া মূলধন ব্যয়ের মধ্যে ৪৮ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বিমান ও ইঞ্জিনের জন্য। ২৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ নৌসেনার জন্য। ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ অন্য সরঞ্জামের জন্য। অন্যদিকে, রাজস্ব খরচ বাবদ ধার্য করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যার মধ্যে আবার পেনশন বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

    মোদি জমানায় মূলধন ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে, মূলধন ব্যয়ের খাতে বরাদ্দের পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। তথ্য বলছে, কোভিড-পূরবর্তী যুগ থেকে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৫-২০ সময়ে প্রতি বছরে মূলধন ব্যয়ের বরাদ্দের বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। সেখানে, ২০২০-২৫ সময়ে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১ শতাংশে। বিগত ১১ বছরে মোদি জমানায় প্রতিরক্ষায় মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে (Union Budget 2025)। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খরচের বৃদ্ধির হার ২৭.৭ শতাংশ ছিল, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫.২ শতাংশ।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২৯-৩০ অর্থবর্ষ নাগাদ দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ৩ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় মোদি সরকার। একইসময়ে, প্রতিরক্ষা রফতানিকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায় কেন্দ্র। গত ৫ বছর ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ ভারতের থেকে অস্ত্র কিনে চলেছে। মায়ানমার ও ভিয়েতনাম ভারতের দীর্ঘদিনের খদ্দের। এর সঙ্গে নাম লিখিয়েছে ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াও। গত ১০ বছরে ভারতের অস্ত্র রফতানি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ১৯০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা (Union Budget 2025)।

  • Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেটে বার্ষিক ১২ লাখ পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেই বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    শাহের পোস্ট (Union Budget 2025)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ২০২৫ সালের বাজেটকে মোদি সরকারের একটি নকশা হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি। এই নকশা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত ও সেরা ভারত গড়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর মোদির হৃদয়ে থাকে। ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত আয়কর শূন্য। প্রস্তাবিত কর ছাড় মধ্যবিত্তের আর্থিক কল্যাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই উপলক্ষে সকল উপকারভোগীকে অভিনন্দন।” এই বাজেটকে তিনি মোদি সরকারের উন্নত ও সর্বোত্তম ভারত গঠনের দৃষ্টিভঙ্গির নকশা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নির্মলা পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারগুলির জন্য একটি নীল নকশা (Union Budget 2025) তৈরি করেছেন। বিমায় এফডিআইয়ের সীমা বাড়ানো, কর আইনের সরলীকরণ এবং একাধিক পদক্ষেপের জন্য বর্ধিত আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় মধ্যস্থতাকারীদের ওপর শুল্ক কমানোর মতো একাধিক বিষয়ের উল্লেখ আছে বাজেটে।

    বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    বাজেট প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ ভারতের উন্নয়নযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্খার বাজেট। এটি এমন একটি বাজেট, যা প্রতিটি ভারতীয়ের স্বপ্ন পূরণ করে। আমরা যুব সমাজের জন্য অনেক খাত খুলে দিয়েছি। সাধারণ নাগরিকই বিকশিত ভারতের মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেট উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি দুর্দান্ত বাজেট। এই বাজেটে সমাজের সব অংশের মানুষের কথা ভাবা হয়েছে। এই বাজেট দেশের উন্নয়নের প্রচার (Union Budget 2025) করতে চলেছে (PM Modi)।”

  • Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    Budget 2025: আগামী সপ্তাহে আসছে নয়া আয়কর বিল, কী কী সুবিধা মিলবে করদাতাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় এবার বড়সড় সংস্কার আনতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। আজ শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কারের কথা স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, নতুন আয়কর বিল তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড (New Income Tax Bill) আগামী সপ্তাহে সংসদে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, নতুন এই কর আইনটি আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা একেবারেই কমাতে সক্ষম হবে। এর পাশাপাশি, দেশের বিপুল সংখ্যক করদাতাদের জন্য এটি আরও সহজবোধ্য হবে। পাশাপাশি, নয়া এই আইনের লক্ষ্য হতে চলেছে কর সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা হ্রাস করা। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ক আইনের কিছু অস্পষ্টতা দূর করাও এই সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য বলেই মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।

    কেন প্রয়োজন নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধি (Budget 2025)?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আমাদের দেশে ১৯৬১ সালের আয়কর আইন কার্যকর রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কর দেন দেশের নাগরিকরা। জানা গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংশোধনের মাধ্যমে অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে এই আইনটি (Budget 2025)। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই আইনে ২৩টি অধ্যায় ও ২৯৮টি ধারা রয়েছে, যা সাধারণ করদাতাদের জন্য বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, নতুন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আয়কর আইনের পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৬০ শতাংশ কমানো হবে। এছাড়া, নয়া আয়কর আইন আনার উদ্দেশ্য হল দেশের কর ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল উপযোগী করে তোলা। নতুন প্রত্যক্ষ কর বিধির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি ঠিক কী কী। সেই নিয়েই আমাদের আলোচনা।

    নয়া বিধির মূল বৈশিষ্ট্য (Budget 2025)

    ১. আয়কর কাঠামো সরল করা

    বর্তমানে আয়কর ব্যবস্থায় (Budget 2025) দুই ধরনের কর ব্যবস্থা চালু রয়েছে (পুরনো কর ব্যবস্থা ও নতুন কর ব্যবস্থা) রয়েছে। তবে নতুন বিধি চালু হলে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে দেশের সব নাগরিকদের করদাতাদের জন্য একটি অভিন্ন কর কাঠামো কার্যকর হবে।

    ২. অর্থবর্ষ ও হিসাববর্ষের বিভ্রান্তি দূর করা

    বর্তমান ব্যবস্থায় আর্থিক বছর (FY) এবং হিসাব বর্ষ (AY) রয়েছে। এটা নিয়ে অনেক করদাতাই বিভ্রান্ত হয়ে যান। নতুন প্রত্যক্ষ কর তথা ডাইরেক্ট ট্যাক্স ব্যবস্থায় খুব সম্ভবত এই আলাদা আলাদা বছরের ব্যাখা বিলুপ্ত করা হবে, এরফলে কর প্রদানের সময়ে করদাতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

    ৩. করের হার সংক্রান্ত পরিবর্তন (Budget 2025)

    নতুন বিধি অনুযায়ী, উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে করের হার কমানোও হতে পারে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে? সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি হল—

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য করহার ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে (বর্তমানে ৩০ শতাংশ + সারচার্জ রয়েছে)।

    ডিভিডেন্ড ইনকাম (যা বর্তমানে করদাতার আয়ের সঙ্গে যোগ করে স্ল্যাব অনুযায়ী কর নির্ধারণ করা হয়) ১৫ শতাংশ নির্দিষ্ট হার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে

    ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের জন্য পৃথক মূলধনী লাভ কর (Capital Gains Tax) কাঠামো বাতিল করে অভিন্ন করহার চালু করা হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪. বিমা নীতির আয়ের ওপর বসতে পারে কর

    বর্তমানে এলআইসি-র মতো জীবন বিমা একেবারে আয় করমুক্ত। তবে নতুন বিধিতে এই আয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে কর বসানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    ৫. কর নিরীক্ষার দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে

    বর্তমানে কর নিরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে (Tax Audit) শুধুমাত্র চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টরাই (CA) করতে পারেন। তবে নতুন আইনে কোম্পানি সেক্রেটারি (CS) এবং কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টদের (CMA) জন্যও কর নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    সরকার কীভাবে নতুন আইন তৈরি করছে?

    জানা গিয়েছে, এই আইন প্রণয়নের আগে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটির অধীনে ছিল ২২টি সাব-কমিটি। এরাই বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করেছে। এছাড়া, গত বছরের অক্টোবর মাসে এবিষয়ে সরকার সাধারণ জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের মতামতও আহ্বান করে। জানা গিয়েছে, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে ৭,০০০টির বেশি পরামর্শ জমা পড়ে।

    নতুন আয়কর আইন: কী প্রভাব ফেলবে?

    সাধারণ করদাতাদের জন্য সহজতর হতে চলেছে কর ব্যবস্থা

    কর দাখিলের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সরল হবে

    ব্যবসা ও করপোরেট সংস্থাগুলোর জন্য কম জটিলতা

    উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে করের বোঝা বাড়তে পারে

    এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়িত হলে ভারতের আয়কর ব্যবস্থায় বৃহৎ পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এরফলে, করদাতাদের অভিজ্ঞতা সহজ করবে ও আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করছেন অনেকে।

  • Union Budget 2025: নতুন মহিলা, তফশিলি উদ্যোগপতিদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ, ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: নতুন মহিলা, তফশিলি উদ্যোগপতিদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ, ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় এনিয়ে অষ্টমবার বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Budget 2025)। এবারের বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। বললেন (Nirmala Sitharaman), পাঁচ লাখ প্রথমবারের মহিলা, তফশিলি জাতি-উপজাতি অন্ত্রেপ্রেনারদের (উদ্যোগপতি) জন্য ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। তাঁর ঘোষণা, সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত রফতানিমুখী এমএসএমইগুলির জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? (Union Budget 2025)

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ গ্যারান্টি কভার দ্বিগুণ করে ২০ কোটি টাকা করা হবে এবং গ্যারান্টি ফি ১ শতাংশ কমানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণে প্রবেশাধিকার উন্নত করতে, ঋণ গ্যারান্টি কভার বৃদ্ধি করা হবে। ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের জন্য গ্যারান্টি ফি ১ শতাংশ করা হবে, যা আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’

    এমএসএমইদের জন্য ২০ কোটি টাকা

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভালোভাবে (Union Budget 2025) পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমইদের জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, আমরা উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাবদ্ধতা-সহ কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করব।” তিনি জানান, সহজ কাস্টমস শুল্ক কাঠামোর জন্য ৭টি শুল্ক হার বাতিল করেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘জুলাই ২০২৪ সালের বাজেটে ঘোষিত কাস্টমস শুল্ক কাঠামোর ব্যাপক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে, আমি ৭টি শুল্ক হার বাতিল করার প্রস্তাব দিচ্ছি – এটি ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বাতিল হওয়া শুল্ক হারগুলোর অতিরিক্ত।’’ তিনি বলেন, “সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের (Nirmala Sitharaman) জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে (Union Budget 2025)।”

LinkedIn
Share