Tag: Burdwan

Burdwan

  • Burdwan: আরপিএফের ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা, রণক্ষেত্র বর্ধমান স্টেশন

    Burdwan: আরপিএফের ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা, রণক্ষেত্র বর্ধমান স্টেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের সঙ্গে আরপিএফের গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমান (Burdwan) স্টেশন চত্বর। আরপিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের বিরুদ্ধে। স্টেশনের মধ্যেই এই হামলার ঘটনায় সাধারণ যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    বেশ কয়েকদিন ধরেই বারে বারে সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল। চলন্ত ট্রেনের কামরায় তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের কাছে থেকে টাকা আদায় করছে জোরপূর্বক। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ আসে ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বিশেষ অভিযান চালানো হয় আরপিএফের পক্ষ থেকে। আর তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের একাংশের ঝামেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে আরপিএফের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের। তারপর তাঁরা আরপিএফের তাড়া খেয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বাইরে চলে যান। কিন্তু তারপরেই তাঁরা পাল্টা হামলা করেন বলে অভিযোগ। প্ল্যাটফর্মের বাইরে আরপিএফের কর্মীরা তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের আক্রমণের মুখে পড়েন। আরপিএফ কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের অভিযোগ. আরপিএফ বিনা কারণে তাঁদের কাজে বাধা দিচ্ছে ও মারধর করছে। তাঁদের ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে গেলে আরপিএফ প্রতিনিয়ত অত্যাচার করছে বলে দাবি তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের। প্রায় শ’দেড়েক সদস্য আরপিএফের অফিসের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন: অর্জুনের খাসতালুকে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আরপিএফ আধিকারিক কী বললেন?

    বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের আরপিএফ ইন্সপেক্টর আশিস কুমার সরকার বলেন, যাত্রীদের যাতে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা হেনস্থা না করে তারজন্য এদিন বিশেষ অভিযান চালানো হয়। ওরা দল বেঁধে এসে হামলা চালিয়েছে। আমাদের ৫ জন কর্মী জখম হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায় নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা, বর্ধমানে উত্তেজনা

    Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা, বর্ধমানে উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে  উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরের বীরহাটা মোড়ে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। পরে, পুলিশি বাধার কারণে দিলীপবাবু আর পদযাত্রা করেননি। তবে, ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীকে জনসংযোগে পুলিশ এভাবে বাধা দেওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    বর্ধমান শহরে পদযাত্রা করার জন্য দুদিন আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু, কোনও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ অনুমতি বাতিল করে দেয় বলে বিজেপির অভিযোগ। দলীয় পতাকা ছাড়া বুধবার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) পদযাত্রা করতে গেলে পুলিশ বর্ধমান শহরের বীরহাটার কাছে বাধা দেয়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি নেতা পুষ্পজিৎ সাঁই বলেন, আমাদের প্রার্থী কোনও রোড শো করছেন না। সকালে যখন মর্নিং ওয়ার্ক করেন, তখন কি পুলিশের অনুমতি লাগে? আসলে বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা দেখে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই, পুলিশ দিয়ে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। দিলীপ ঘোষ ২ লক্ষ ভোটে জয়ী হবে।

    পুলিশকে তুলোধনা করলেন দিলীপ ঘোষ

    বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে বটতলা পর্যন্ত প্রাত:ভ্রমণের মাধ্যমে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বলেন,’রোজ চমকাচ্ছে। পুলিশ প্রোগ্রাম ক্যানসেল করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতদিন বসে থেকে এই সব করে গেছেন। ওদের কাছে লোক নেই। পুলিশ আছে। আমি এবারে বিডিও, ডি এম ঘেরাও করব। শেষের দিকে ওর (আই সি-র) দম বের করে দেব। বের হতে দেব না ঘর থেকে। আরো উত্তেজিত হয়ে দিলীপ আই সি র উদ্দেশ্যে বলেন, ও ভেবেছে, এমন চামচাবাজি করে চলবে। কত বড় চামচা হয়েছে, আমি ওকে দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    Narendra Modi: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার জনসভা থেকে দুর্নীতি ইস্যু প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে এত টাকা মিলেছে, মেশিনও গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। সৎ চাকরিহারাদের পাশে বিজেপি রয়েছে। এটা মোদির গ্যারান্টি।”

    লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলার নির্দেশ মোদির (Narendra Modi)

    সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। এবার চাকরি হারানো যে শিক্ষকদের নথি ঠিক আছে, তাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, ‘আমরা জানি শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পীড়িতদের জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এখানে রয়েছেন, তাঁকে আমার পরামর্শ, এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষ মানুষও রয়েছেন। যাঁরা সত্যিই শিক্ষকের চাকরির দাবিদার, তাঁরা বাকিদের পাপের কারণে, সমস্যায় পড়েছেন। আমি রাজ্য সভাপতিকে বলেছি, যাঁরা সৎ তাঁদের কী ভাবে আমরা দলের পক্ষ থেকে সাহায্য করতে পারি! আমি বলেছি, প্রদেশ স্তরে একটি লিগ্যাল সেল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম খোলা হোক। এতে যাঁরা সঠিক নথিপত্র থাকার পরেও সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের সুবিধা হবে এবং তাঁদের ন্যায় দিতে সম্পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।’

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    সৎ চাকরিহারাদের ন্যায় দিতে কাজ করবে রাজ্য ইউনিট, মোদির গ্যারান্টি

    এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘আমরা সৎ-দের পাশে থাকব। নির্বাচন চলতে থাকুক, কিন্তু বাংলার ইউনিট এই কাজ করবে। যাঁরা দোষ করেছেন তাঁরা সাজা পাবেন। কিন্তু, অনেক সৎ মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কাছে আসল উপযুক্ত ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরাও ফেঁসে গিয়েছেন। যাঁরা সৎ, তাঁদের ন্যায় দিতে রাজ্য ইউনিট কাজ করবে, এটা মোদির গ্যারান্টি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    Narendra Modi: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক তৃণমূলের বড় ভরসা। তাই, রাম নবমীতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায় না। এমনই বক্তব্য বিরোধীদের। এবার তৃতীয় দফার ভোটের আগে রাজ্যে এসে সেই সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুক্রবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দক্ষিণ বর্ধমান সাই কমপ্লেক্স মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ধমান-দুর্গাপুরে এবারের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে সভা করার পাশাপাশি অসীম সরকারের হয়েও প্রচার করেছেন তিনি।

    ‘নামটা শাহজাহান বলেই কী বাঁচানোর চেষ্টা?'(Narendra Modi)

    এদিন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “সন্দেশখালিতে আমাদের দলিত বোনেদের সঙ্গে কত বড় অপরাধ হয়েছে। গোটা দেশ তদন্ত চাইছে। তৃণমূল অপরাধীদের বাঁচাতে চাইছে। আমি তৃণমূলকে প্রশ্ন করতে চাই অপরাধীর নাম শাহজাহান শেখ বলেই কী বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে?” পাশাপাশি তিনি বলেন,”জয় শ্রী রাম বললে ওদের আপত্তি আছে। জয় শ্রী রাম বললে ওদের জ্বর এসে যায়। ওদের রাম মন্দিরের নির্মাণে আপত্তি আছে। রাম নবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি আছে।’ওরা শুধু ভোটের জন্য দেশভাগ করতে চায় ‘তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস কোনও রাজ্যের কী অবস্থা করতে পারে তা আপনারা ভাল করে জানেন। পাশেই ত্রিপুরাকে ধ্বংস করে রেখে দিয়েছে বামেরা। গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরার জীবন বদলে দিয়েছে বিজেপি। ওরা শুধু ভোটের জন্য সমাজকে ভাগ করতে চায়। দেশকে ভাগ করতে চায়।”

    আরও পড়ুন: পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থী সুভাষের র‍্যালির ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মোদিকে লাঠি মারা, গুলি করার কথা বলছে  

    বর্ধমানের মানুষকে মোদির (Narendra Modi) বার্তা, “ধান উৎপাদনে বর্ধমানের রমরমা চাই। শিল্প নগরী হিসেবে গোটা বিশ্বে নাম ছড়াক দুর্গাপুর। মহিলাদের রোজগার বাড়াতে চাই।” তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, “আমি মজা করার জন্য জন্মাইনি। আমি নিজের জন্য বাঁচতে চাই না। আমি আপনাদের সকলের পায়ের ধূলো মাথায় নিয়ে আপনাদের সেবার সংকল্প নিয়েছি। এই মহান ভারত মাতার ১৪০ কোটি দেশবাসীর সেবার জন্য ব্রতী হয়েছি। মোদির একটাই স্বপ্ন, “আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করা। আমার জন্য আপনারাই আমার পরিবার। আমার ভারত, আমার পরিবার। আর তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম কী করছে? আমাকে ঘৃণা করছে। ওরা বলছে মোদিকে লাঠি মারো, গুলি করো, তাতে আমি ভয় পাই না! যাঁরা ভয় পায় তাঁদের দলে থাকি না।”

    ১০ বছরে ২৫ কোটি লোক দারিদ্রসীমার ওপরে

    প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দাবি, ‘গত ১০ বছরে ২৫ কোটি লোক দারিদ্রসীমার ওপরে গিয়েছেন, এটা আনন্দের। পরের ৫ বছরে সবাইকে দারিদ্রসীমার উপরে তুলতে চাই’। রাজ্যের সরকার যেখানে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছে, সেখানে বাংলার মানুষকে মোদির ‘গ্যারান্টি’, ‘উন্নত ভারত হলে বাংলাও তার থেকে বাইরে থাকবে না’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন?” প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

    Narendra Modi: “মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন?” প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে বিজেপি মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। এবার দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আসছেন বর্ধমানে। আর নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার জন্য বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার (বিডিএ) কাছে গোদার মাঠের অনুমোদন চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই অনুমোদন মেলেনি। ফলে, গোদার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী সভা করলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? (Narendra Modi)

    ৩ মে সকাল ১০টায় বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সভা করার কথা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি-র একটি দল বর্ধমানে এসেছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোদার মাঠে অনুমতি না পেলে বিকল্প হিলেবে সাইয়ের মাঠে ঠিক করে রাখা হয়েছে। গোদার মাঠে অনুমতি না মিললেও পরিকাঠামোর অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ যান। তিনি বলেন, “লক্ষাধিক মানুষ আসার মতো ব্যবস্থা আছে। চারদিকে জনবসতি নেই। গাড়ি রাখার সুবিধা আছে। হেলিকপ্টার রাখা যাবে। তাহলে এই মাঠ কেন দেওয়া যাবে না? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানে এই মাঠেই প্রশাসনিক সভা করেন। দিলীপের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী পারবেন না কেন? মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লেখা হয় প্রশাসনিক, আর সেখানে উনি প্রধানমন্ত্রীকে গালাগালি দেন। এটা কী ধরনের প্রশাসনিক সভা! বিডিএ-র মাথায় কে বসে আছেন? আপনাদের রাজনীতি, আর আমাদের বেলায় আইন দেখাবেন? আমরাও এর জবাব দেব। প্রয়োজনে আদালতে যাব।”

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    বিডিএ-র চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্ত অবশ্য বলেন, ওই মাঠ স্বাস্থ্যনগরীর জন্য উন্নীত করা হবে। সরকারি মাঠ সরকারের অনুষ্ঠানের জন্য দেওয়া যেতেই পারে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভা হয়। কিন্তু যে মাঠের কাছে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে, সেই মাঠকে কী ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য দেব?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Dilip Ghosh: “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) জোর প্রচার চলছে বর্ধমানে। আর প্রচারের মাঝেই ফের দিলীপ ঘোষের নিশানায় তৃণমূল। এবার মারের বদলে পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো, লাঠি দেখালে লাঠি দেখাবো, আমি দিলীপ ঘোষ।” এভাবেই রবিবাসরীয় সকালে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের (Burdwan Durgapur Lok Sabha constituency) বিজেপি প্রার্থী।

    রবিবাসরীয় প্রচারে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)

    এদিন বর্ধমানের সাধনপুর হাইস্কুল মাঠে প্রাতঃভ্রমণ ও জনসংযোগ সারেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তারপর রোজকার মত চা চক্রের অনুষ্ঠানে হাজির হন। সেখানে তিনি বলেন, “আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত যদি ভদ্রভাবে না থাকে, আমিতো পাঁচ বছর থাকবো তারপর হিসাব কেতাব বুঝে নেব। বিজেপি (BJP) এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। ওদের প্রার্থীকে এখনই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গরমে, রোদে কষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন লোক হলো না। ওদের সমস্যা ওদের ব্যাপার। পার্টি অফিসের সামনে থেকে গো ব্যাক বলছে, দম থাকলে বেড়িয়ে আয় আমাদের মতন রোদে গরমে।”

    এছাড়া এদিন প্রচারে বেড়িয়ে আরও একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। কেতুগ্রামে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহার প্রচারে হামলার ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওরা এসবই করবে। আরতো কিছু করার নেই ওদের।” একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাখা বিলি নিয়ে সিপিএমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবী, “ওদের তো হাওয়াও নেই। আমি পাখা বিলি করবো, ক্যালেণ্ডার বিলি করবো। আমি মনে করি এটা নির্বাচনের বিধিভঙ্গ নয় এটা নির্বাচনের অঙ্গ।” পাশাপাশি শনিবার জামালপুরে নির্বাচনী সভায় অভিষেক ব্যানার্জির মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “উনি কি মনে করেন ডায়মণ্ড হারবার একমাত্র লোকসভা যে সব টাকা ওখানে খরচ হবে। আসলে উনি ডায়মণ্ড হারবার মডেল চালু করার চেষ্টা করছেন।”

    আরও পড়ুন: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    অভিষেককে নিশানা দিলীপের

    উল্লেখ্য, শনিবার জামালপুরের সেলিমাবাদের মাঠে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় অভিষেক ব্যানার্জি ঘোষণা করেন লোকসভা নির্বাচনে যে পঞ্চায়েত, যে এলাকায়, যে ব্লকে, যে বিধানসভায় তৃণমূল (TMC) জিতবে সেই এলাকায় প্রকৃত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে যাবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এবার সেই বিতর্কের মাঝেই অভিষেক ব্যানার্জিকে (Abhishekh banerjee) সরাসরি নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: মমতার কেন্দ্র-বিরোধী ‘ভুয়ো প্রচার’ কাজে এল না, সক্রিয় হল নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড

    Aadhaar Card: মমতার কেন্দ্র-বিরোধী ‘ভুয়ো প্রচার’ কাজে এল না, সক্রিয় হল নিষ্ক্রিয় আধার কার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার পুনরায় চালু হল। সপ্তাহ খানেক আগে যাঁদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হওয়ার চিঠি এসেছিল, বুধবার তাঁদের মোবাইলে আধার সক্রিয় হওয়ার মেসেজ এসেছে। সপ্তাহ খানেক আগে প্রায় ৬০ জনের বাড়িতে আধার নিষ্ক্রিয় করার চিঠি পৌঁছায়। এতে কপালে ভাঁজ পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। যদিও বিষয়টি নজরে পড়তেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হস্তক্ষেপ করেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি তাঁরা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, একের পর এক বাসিন্দার আধার কার্ড সক্রিয় হওয়ার মেসেজ আসতে শুরু করে।

    উল্লেখ্য, ‘আধার-বাতিল’ (Aadhaar Card) নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে ‘আতঙ্কিত’ করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁর আশঙ্কা, বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এ বিষয়ে তাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Aadhaar Card)

    আধার কার্ড (Aadhaar Card)নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে জানিয়ে ডাকযোগে এমন চিঠি পান জামালপুর ব্লকের বহু বাসিন্দা। জামালপুর ব্লকের জৌগ্রাম, আবুজহাটি এলাকায় প্রায় ৬০ জনের কাছে ডাকযোগে ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। আবুজহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতিহাটি গ্রামের প্রায় ৫০ জন এমন চিঠি পান, জৌগ্রামের অনেকের কাছেও এই চিঠি আসে। কয়েকদিন ধরে তাঁরা চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন। নতুন করে নিষ্ক্রিয় কার্ড ফের সক্রিয় হতেই স্বাভাবিকভাবেই খুশি এলাকার বাসিন্দারা। জুতিহাটি গ্রামের বাসিন্দা বিপুল বিশ্বাস, সজল দাসরা বলেন, সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে চিন্তায় ছিলাম। কারণ, আধার কার্ড না থাকলে তো কোনও সরকারি পরিষেবা মিলবে না। ব্যাঙ্কে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে। আমরা চরম বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলাম। এনিয়ে অনেক জায়গায় দরবার করেছি। অবশেষে, মোবাইলে  আধার সক্রিয় হবার মেসেজ পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

    জেলা প্রশাসনের কর্তা কী বললেন?

    বুধবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিয়কুমার দাস বলেন, নিষ্ক্রিয় হওয়ার পর সকলকেই অভয় দেওয়া হয়েছিল। এখন অনেকের আধার কার্ড (Aadhaar Card) সক্রিয় হয়ে গিয়েছে। যাদের হয়নি তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: তিন মিনিটের ঝড়ে তছনছ! উড়ল বাড়ির চাল, ভাঙল মণ্ডপ, বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক

    Burdwan: তিন মিনিটের ঝড়ে তছনছ! উড়ল বাড়ির চাল, ভাঙল মণ্ডপ, বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়ে পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলার একাধিক এলাকা। বাজ পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকেই। মাটির বাড়ির খড়ের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। জেলার বহু জায়গায় সরস্বতী পুজো মণ্ডপ ভেঙে গিয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় তান্ডব চালিয়েছে ক্ষণিকের ঝড়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পূর্ব বর্ধমান জুড়েই বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টি হয়েছে। বর্ধমান (Burdwan) শহরে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য ভারী বৃষ্টি হয়। জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। বিকেলে আচমকা ঝাড়বৃষ্টি শুরু হয় বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকায়। কালনায় ওই ঝড় মিনিট তিনেক স্থায়ী হয়েছিল। ঝড়ের দাপটে ওই তিন মিনিটেই ভেঙে পড়ে সরস্বতী পুজোর একাধিক মণ্ডপ এবং অস্থায়ী তোরণ। গাছ ভেঙে বন্ধ হয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কালনার বৈদ্যপুরে মণ্ডপের তোরণ ভেঙে গুরুতর জখম হন দু’জন। ঠাকুর দেখতে গিয়ে মণ্ডপের তোরণ ভেঙে পড়ে এই বিপত্তি হয়। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে, গলসির বোমপুরে বজ্রাঘাতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম সজনী মুর্মু। তিনি ক্ষেত মজুরের কাজ করতেন। ঝড়ের সময় তিনি মাঠেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব চলেছে রায়না, খণ্ডঘোষ, মেমারিতেও। খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্রামে একাধিক মাটির বাড়ির খড়ের চাল উড়ে গিয়েছে। অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে রাস্তার ওপর। রায়না থানা এলাকার আস্তিকুরে ঝড়ের সময় গাছের ডাল ভেঙে আহত হন এক ব্যক্তি। ডাল ভেঙে তাঁর গায়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির নাম অনন্ত পোড়েল।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা কী বললেন?

    কালনার এক বাসিন্দা বলেন, আমরা সরস্বতী মণ্ডপের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। দুপুর থেকে মেঘলা আবহাওয়া ছিল। বিকেলের পর আচমকা ঝড় ওঠে। সামান্য কিছুক্ষণ ছিল। আর তাতেই সব কিছুই তছনছ করে দিয়েছে। মণ্ডপ ভেঙে গিয়েছে। আমার এক বন্ধু জখম হয়েছে। ঝড়ের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়়াচ্ছে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান (Burdwan) সহ আশপাশের এলাকায়। অনেক ব্যবসায়ী তার খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন। তবে, এক ব্যবসায়ী প্রতারকের আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কত জন ব্যবসায়ীর থেকে ওই প্রতারক টাকা হাতিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রতারকের নাম রঞ্জিত বসু। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নোনাচন্দনপুকুর এলাকায়। অভিযোগ, রঞ্জিত নিজেকে সেন্ট্রাল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও কেন্দ্রের এই ধরনের কোনও সংস্থা নেই। গত কয়েক দিন ধরে এই ভুয়ো পরিচয়ে রঞ্জিত বর্ধমানের (Burdwan) বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এক ব্যবসায়ীর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বর্ধমানের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারও ওই প্রতারক জামালপুরের আধাপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে হানা দেন।

    ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতেই গ্রেফতার প্রতারক

    শেখ আবদুল কাশেম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন রঞ্জিত। আবদুল কাশেম বলেন, ওই ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে, তাঁর আচরণ দেখে  সন্দেহ হওয়ায় প্রতারককে বসিয়ে রেখে থানায় ফোন করি। এরপরই জামালপুর থানার পুলিশ এসে রঞ্জিতকে পাকড়াও করে। যদিও পুলিশকেও নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, লাভ হয়নি। রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: টুকলি রুখতে ডিএলএডের মহিলা পরীক্ষার্থীদের বিবস্ত্র করে তল্লাশি, চাঞ্চল্য

    Burdwan: টুকলি রুখতে ডিএলএডের মহিলা পরীক্ষার্থীদের বিবস্ত্র করে তল্লাশি, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল রুখতে মহিলা পরীক্ষার্থীদের বিবস্ত্র করে করে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের (Burdwan) তালিতের গৌড়েশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) দফতরে শুক্রবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন মহিলা পরীক্ষার্থী। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) চূড়ান্ত পরীক্ষার সেন্টার পড়়েছিল বর্ধমানের (Burdwan) দেওয়ানদিঘি থানার তালিত গৌড়েশ্বর হাইস্কুলে। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ডিএলএড পরীক্ষা গ্রহণ। শুক্রবার যা শেষ হয়েছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পরীক্ষাকেন্দ্রে মহিলা পরীক্ষার্থীদের কাছে টুকলি আছে কি না তা দেখার নামে কার্যত নগ্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। শুক্রবার এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। এক পরীক্ষার্থী বলেন, কোনও পরীক্ষায় এইভাবে তল্লাশি করা হয় না। আমাদের অন্তর্বাস খুলিয়ে শারীরিক তল্লাশি চালিয়েছে। এই ভাবে তল্লাশি করে আমাদের অপমানিত করা হয়েছে। এই পরীক্ষায় নিযুক্ত সংস্থার কর্মীরা এই কাজ করিয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। একই সঙ্গে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্যের প্রথমিক শিক্ষাদফতরও। যদিও তল্লাশিতে নিযুক্ত সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে প্রচুর টুকলি উদ্ধার হওয়াতে এইভাবে তাঁদের বদনাম করা হচ্ছে।

    স্কুল ও কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা মেমারির তৃণমূল বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, এটা হয়ে থাকলে চরম অন্যায় হয়েছে। অনৈতিক কাজ হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এই ঘটনায় কারও জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার খাঁ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থা তল্লাশির কাজে ছিল। এখানে স্কুলের কোনও ভূমিকা নেই। অভিযোগের বিষয়েও আমি কিছু জানি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share