Tag: Burdwan

Burdwan

  • Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল কয়েকশো বছরের পুরানো কেন্দুলির জয়দেবের মেলা। প্রতি বছরই বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদের ধারে জয়দেব-কেন্দুলি মেলাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পুণ্যার্থী ভিড় জমান। প্রথা অনুযায়ী মকর সংক্রান্তির দিন অজয় নদের তিরে পু্ণ্যস্নান সারেন পূর্ণার্থীরা। অন্যদিকে, সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী রাধাবিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত বাউল-ফকিরদের মেলাটি।

    কে তৈরি করেছিলেন রাধা বিনোদের মন্দির? (Birbhum)  

    ১৬৮৩ সালে বর্ধমানের মহারানি ব্রজকিশোরী বীরভূমের (Birbhum)  অজয় নদের রাধা-বিনোদের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্থানটির সঙ্গে রাজা লক্ষ্মন সেনের সভাকবি জয়দেবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। তিনি কেন্দুলি গ্রামের সন্তান। প্রাচীন এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনী সমূহ। রয়েছে নানান দেবদেবীর মূর্তি। এই জয়দেব মেলা মূলত বাউল-ফকিরের মেলা হিসাবে পরিচিত। মকর সংক্রান্তির ভোর থেকে শীত উপেক্ষা করে অজয় নদের জলে স্নান সারলেন পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নান সেরে রাধা-বিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও বজায় ছিল। ভিড় থাকায় এই বছর জয়দেব মেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নানের ঘাট ও অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ প্রায় ২ হাজার ৬০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ডিআইজি, এসপি, এসডিপিও পদমর্যাদার অফিসাররা। ১০০ টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে চলছে নজরদারি। ২৪ টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ, ইভটিজিং, কেপমারি রুখতে একাধিক অ্যান্টি ক্রাইম টিম ও মহিলা পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও চলছে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এবার স্থায়ী আখড়া ছাড়াও ৩০০ টি মতো অস্থায়ী আখড়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। ৬৫০ টি স্টল রয়েছে মেলায়। উন্মুক্ত মল-মূত্র ত্যাগ রুখতে নদীর তিরে ১ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে জমজমাট প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়দেব মেলা। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ‘ক্লাবগুলিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও কাজ করছে না’, বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল মন্ত্রীর

    Burdwan: ‘ক্লাবগুলিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও কাজ করছে না’, বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) নাট্য উৎসবে মন্ত্রীর বেফাঁস বক্তব্য। অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার পর তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ক্লাবের সদস্যরা শাসকদলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বা মিটিং-মিছিলে ডাকলে আগের মতো সেভাবে হাজিরা দিচ্ছে না বলেই কি মন্ত্রী লোকসভা ভোটের আগে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন? অন্তত এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (Burdwan)

    বৃহস্পতিবার বর্ধমানে (Burdwan) সংস্কৃত লোকমঞ্চে শুরু হল নাট্য উৎসব ২০২৩। সূচনা করেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। হাজির ছিলেন এলাকার বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক। সূচনার পর মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে ক্লাবগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়। কিন্তু, বাস্তবে অনুদানের পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যবহার হয় না সাংস্কৃতিক কাজে। বর্ধমান জেলায় ১০০টি ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আমার এলাকায় ৭৫টি ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। কেউ নাটক করে না। রবীন্দ্র সঙ্গীত করে না। আমার আক্ষেপ হয়। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে না আনার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করব। মূলত, মন্ত্রীর ইঙ্গিত, ক্লাবগুলি কাজ না করায় টাকা নষ্ট হচ্ছে।

    ভোট কেনার জন্যই ক্লাবগুলিকে টাকা, সরব বিজেপি

    বিজেপির পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ভোটের আগে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই বক্তব্য। কারণ, ভোট কেনার রাজনীতির জন্য ক্লাবগুলিকে অর্থ দেওয়া হয়। সেটা হচ্ছে না বলেই মন্ত্রীর এখন আক্ষেপ হচ্ছে। ক্লাবগুলো যদি উন্নয়নের কাজে টাকাগুলো ব্যবহার না করে, তাহলে অডিট করান। আসলে ক্লাবগুলোর কোনও দোষ নেই। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে টাকাগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে সফল না হওয়াতে মন্ত্রীর জ্বলন ধরছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়। ৩৪ জন যাত্রী জখম হন। সেই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এই ধরনের বিপর্যয় যাতে না হয়, তার জন্য রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    রেলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল?

    পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে একটি করে জলাধার আছে। এর মধ্যে একাধিক জলের ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে হাওড়া ডিভিশনের তিনটি, আসানসোল ডিভিশনের আটটি এবং মালদা ডিভিশনের একটি জলের ট্যাঙ্ক। বিপদ এড়াতে এই সব ক’টি ট্যাঙ্ককেই ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি জলাধার আছে। সেগুলির সব ক’টিকেই নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় আছে শিয়ালদা ডিভিশনের সাতটি, আসানসোল ডিভিশনের ২৩টি, হাওড়া ডিভিশনের ১৪টি এবং মালদা ডিভিশনে চারটি ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, হেরিটেজ তকমা পাওয়া বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বিপর্যয় ঘটে। স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা ১৮৯০ সালে তৈরি ট্যাঙ্ক আচমকা ভেঙে পড়ে। ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের শেডের উপর আছড়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ জল ও ভাঙা ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ। ওই দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম ক্রান্তি বাহাদুর (১৪), সোনারাম টুডু (৩৫), মফিজা বেগম (৩৫) এবং সুধীর সূত্রধর। ক্রান্তি এবং সোনারাম দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্ধমান শহরের লাকুড্ডির বাসিন্দা ছিলেন মফিজা। এই ঘটনার পরই রেল কর্তৃপক্ষ বহু পুরানো জলাধার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    পূর্ব রেলের আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন স্টেশনে আরও কিছু জলাধার চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপজ্জনক হিসেবে সেগুলিকেও পরে নষ্ট করে ফেলা হবে। আপাতত নষ্ট করার আগে সব চিহ্নিত জলাধারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক জল ভরা হবে। যদি মনে হয় কোনওটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলির সংস্কার করা হবে। সে কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা হবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: দোতলা বাড়িতে থেকেও তৃণমূল নেতা ১০০ দিনের শ্রমিক, পেলেন ‘অভিষেকের টাকা’!

    Burdwan: দোতলা বাড়িতে থেকেও তৃণমূল নেতা ১০০ দিনের শ্রমিক, পেলেন ‘অভিষেকের টাকা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় পড়ল পোস্টার। আর সেটাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Burdwan) কাঁকসা মলানদিঘি এলাকায়। যে তৃণমূল নেতার নামে পোস্টার পড়েছে তাঁর নাম সুকুমার সাহা। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির দু’বারের সদস্য। এক সময় পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন তিনি।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Burdwan)

    তৃণমূল নেতার নামে দেওয়া পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘৮ লক্ষ টাকার গাড়ির মালিক জব কার্ডধারী, ভাঁওতাবাজ তৃণমূল নেতা সুকুমার সাহা গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎকারী।’ আবার কোনও পোস্টারে ব্লক সভাপতি যে টাকা দিচ্ছেন সুকুমারকে, সেই ছবিও রয়েছে। এ রকম পোস্টার পশ্চিম বর্ধমানের (Burdwan) কাঁকসার মলানদিঘি হাটতলা, পেট্রল পাম্পের সামনে-সহ বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো রয়েছে। আর এই পোস্টার সামনে আসতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কেন পোস্টার?

    সুকুমারের দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। হাটতলা এলাকায় প্রসাধনী সামগ্রীর একটি দোকানও রয়েছে। তিনি আবার ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিক। কয়েক মাস আগে একশো দিনের বকেয়া টাকা চেয়ে তৃণমূলের দিল্লির কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন সুকুমার। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে, দলের তরফেই একশো দিনের বকেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের দেওয়া হবে। সেই মতো তাঁকেই সম্প্রতি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা সুকুমার সাহাকে টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। এলাকার (Burdwan) মানুষের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। ১০০ দিনের প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে তা জ্বলন্ত হল এই ঘটনা।

    কী সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা?

    সুকুমারবাবু বলেন, ২০১০ থেকে আমার ‘জব কার্ড’ রয়েছে। তখন থেকে একশো দিনের শ্রমিক হিসাবে কাজ করি আমি। মাটির বাড়িতে বাস করি আমি। যে দোতলা বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটি আমার মামাদের। আমার বাবা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (Burdwan) কাজ করতেন। বর্তমানে আমার দাদা ডিএসপিতে কাজ করেন। আমি শ্রমিক।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁকসা ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ- সভাপতি সপ্তম দাস বলেন, আসলে তৃণমূলের চুরির জন্য যাঁরা একশো দিনের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁরা ক্ষোভে এই কাজ করেছেন। এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: গাড়ির ডিকিতে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট, তাজ্জব পুলিশ কর্মীরা

    Burdwan: গাড়ির ডিকিতে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট, তাজ্জব পুলিশ কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার চাকা গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ টাকা। গাড়ির ডিকির ভিতর কাগজে মোড়ানো অবস্থায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধার হয়। টাকার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরে। শনিবারও সেই টাকা গোনার কাজ চলছে। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বর্ধমান (Burdwan) শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে রুটিন নাকা চলছিল। গাড়িটি রায়নার দিক থেকে বর্ধমান শহরে যাচ্ছিল। বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর এলাকায় কালো রঙের ছোট ওই চারচাকা গাড়িটি আটকায় পুলিশ। গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ব্যাগের ভিতরে কাগজে মোড়ানো কিছু জিনিস লক্ষ্য করেন পুলিশ কর্মীরা। কাগজের মোড়ক সরাতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয় পুলিশ কর্মীদের। কারণ, ডিকির মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার বান্ডিল রাখা ছিল।  গাড়িতে করে এই বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গাড়ির মধ্যে দুজন মহিলা সহ পাঁচজন ছিলেন। এত টাকা নিয়ে কোথায় যাওয়া হচ্ছিল তা পুলিশ কর্মীরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে গাড়ির আরোহীরা জানান, রাইস মিলের টাকা। বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদিও গাড়ি আরোহীদের এই বক্তব্যে পুলিশ সন্তুষ্ট হয়নি। তাই আটক করে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, গাড়ির মধ্যে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ির আরোহীরা যে যুক্তি দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া এত টাকা কোথায় থেকে তারা পেল তা স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কৃষি দফতরে আবেদনের সাত বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড, তাজ্জব চাকরিপ্রার্থী

    Burdwan: কৃষি দফতরে আবেদনের সাত বছর পর এল অ্যাডমিট কার্ড, তাজ্জব চাকরিপ্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে চাকরি পাওয়ার আশায় ফর্ম ফিল-আপ করেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। আর সেই পরীক্ষা দেওয়ার অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছলো সাত বছর পর। অবাক করার মতো এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরের নারকেলবাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৮ ই মার্চ কাগজে বিজ্ঞাপন দেখেন বর্ধমান (Burdwan) শহরের নারকেলবাগান এলাকার বাসিন্দা আশিসবাবু। সেই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রাজ্য কৃষি দফতরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জন নিয়োগ করা হবে। যোগ্যতা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক। বিজ্ঞপি নং-০৪/WBSSC/২০১৬. বেতনক্রম ছিল ৫৪০০-২৫২০০। সেই মতো আশিসবাবু ওই পদে  আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, আবেদন করার পর থেকে প্রায় সাত বছর তাঁর কাছে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা আনুষঙ্গিক কিছু আসেনি। কিন্তু, আচমকা চলতি বছরের ১ নভেম্বর দুপুর একটা নাগাদ চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রায় সাত বছর পরে সেই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পান আশিসবাবু। যা পেয়ে রীতিমতো উৎসাহিত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু, অ্যাডমিট খুলেই হতবাক হন। কারণ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় সাত বছর আগে, ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর।

    কী বললেন ওই চাকরি প্রার্থী?

    চাকরিপ্রার্থী আশিসবাবু বলেন, যাঁরা চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দিয়ে অন্য লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কার ভুলে আমাকে এই খেসারত দিতে হল, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও ভাবছি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলি একযোগে শাসকদল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে রাজ্যে শিক্ষা ও পুরসভার মতো কৃষি দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কৃষিমন্ত্রী কী বললেন?

    যদিও শাসকদলের সাফাই, এটা ডাকযোগে এসেছে। যদি কোনও গলদ থাকে তাহলে সেখানে হয়েছে। কৃষিমন্ত্ৰী প্ৰদীপ মজুমদারের বক্তব্য, এটা ২০১৬ সালের ঘটনা। কবে হয়েছে বলতে পারব না। তবে, এক্ষেত্রে তো কারও দায় থাকলে সেটা ডাক বিভাগের।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের হাতে এরাজ্যে কাজ নেই। আগে টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ধরে কিছুটা সরকারি চাকরি হলেও নিয়োগ-দুর্নীতি সামনে আসতেই এখন সরকারি নিয়োগও খুব কম হচ্ছে। ফলে, ভালো চাকরি পাওয়ার আশায় শিক্ষিত অনেক বেকার ছেলেমেয়ে খপ্পরে পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হচ্ছেন। শুধু সরকারি নয়, টাকার বিনিময়ে বেসরকারি চাকরি পেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা। এরকমই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকায়। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুদীপ ভট্টাচার্য। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার ২ নম্বর শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে তাঁর বাড়ি। বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। তারপর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় ওই বেকার যুবক প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা এবং পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। কিন্তু, চাকরি হয়নি। উল্টে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় অর্ঘ্যের। প্রতারিত (Fraud) হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারা করতে সাইবার থানা থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেয়। অভিযুক্তদের ফোন নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। ব্যাঙ্কের নথি দেখে সেটি সুদীপের বলে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪ দফায় টাকা জমা পড়ার নমুনা পান তদন্তকারীরা। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এর পিছনে বড় প্রতারণা (Fraud) চক্র কাজ করছে। এর সঙ্গে অনেকেই রয়েছে। কারণ, এতবড় চক্র একজনের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। টাকা কার কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা একজনকে ধরতে পেরেছি। ৬ দিনে হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রের সঙ্গে যারা রয়েছে তাদের সকলকে ধরা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রলোভন, টাকা ঢেলে বর্ধমানে প্রতারিত অনেকে

    Burdwan: অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রলোভন, টাকা ঢেলে বর্ধমানে প্রতারিত অনেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন অ্যাপে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারিতদের থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) শহরে। প্রতারণার অভিযোগে বর্ধমান শহরের কালনাগেট থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সৌমেন সোম। সৌমেনের বাড়ি শক্তিগড়ের সড্ডা গ্রামে। সে কালনাগেটের ভদ্রপল্লিতে বসবাস করত।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Burdwan)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান (Burdwan) শহরের খালুইবিলমাঠ এলাকার সুমিত শর্মা নামে এক বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতেই সৌমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে সৌমেন বলেছিল, ৬ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে মিলবে। আর বিশেষ একটি গেম রয়েছে। সামান্য পরিমাণ টাকা দিয়ে সেই গেম খেলে জয়ী হলে মোটা টাকা পাওয়া যাবে। সুমিত শৰ্মা নামে প্রতারিত বলেন, গত ৩১ শে অগাস্ট একটি অনলাইন অ্যাপে ৬ হাজার টাকার দিয়ে যোগ দিই। ওই অ্যাপের অ্যাডমিন ছিল সৌমেন। পরবর্তীতে সৌমেন সুমিতকে কোম্পানির আরও বেশ কিছু স্কিমে বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেখায়। প্রলোভনে পা দিয়ে সৌমেনের কথা মতো আমি বিনিয়োগ করি। প্রাথমিকভাবে একটি গেম খেলে সুমিত ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসাবে জেতে। অভিযোগ, এই পুরস্কারের টাকা দাবি করতেই সৌমেন খুনের হুমকি দেয় সুমিতকে। এরপরই সুমিত শর্মা সমস্ত বিষয়টি জানিয়ে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হন।  ৮ ই সেপ্টেম্বর অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার সৌমেন সোমকে গ্রেফতার করে। শুধু সুমিত শর্মা নয় এই একইভাবে এই অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে আরও প্রায় ২০ জন প্রতারিত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিটকয়েনে বিনিয়োগ করে মোটা টাকা লাভের লোভ দেখিয়ে প্রতারাণার ফাঁদ পাতা হয়। এক ব্যক্তি বর্ধমান (Burdwan) থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’এর পিছনে কোনও প্রতারণা চক্র রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। সেই কারণে সৌমেনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: ফের করোনার চোখরাঙানি, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে

    Covid 19: ফের করোনার চোখরাঙানি, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid 19) ভীতি অনেকটাই কেটে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। রাস্তাঘাটে, বাজারে মাস্ক পরে আর খুব বেশি মানুষকে দেখা যায় না। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও এখন নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য দফতরও করোনা নিয়ে কোনও উদ্বেগের কথা বলেনি। বরং, নতুন করে এখন চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। রাজ্যে কয়েকশো মানুষ এখন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রয়েছেন। অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে করোনা নিয়ে নতুন করে ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

    করোনা (Covid 19) আক্রান্ত হয়ে দুজনের কোথায় মৃত্যু হল?

    রবিবার সন্ধ্যা এবং সোমবার সকালে দু’দিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও কয়েকজন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ভাতারের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। অন্যদিকে, সোমবার সকালে মারা যান দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি কয়েকদিন আগে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনার (Covid 19) উপসর্গ নিয়ে অনেকে ভর্তি হয়েছেন। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত দুদিনে পর পর দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ অনেকটাই বেড়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে যে দুজন মারা গিয়েছেন, তাঁরা অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দু’জনেই অন্যান্য রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road Accident: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে লরি পিষে দিল মারুতিকে, প্রাণ গেল স্বামী, স্ত্রী, চালকের

    Road Accident: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে লরি পিষে দিল মারুতিকে, প্রাণ গেল স্বামী, স্ত্রী, চালকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে মেয়ের কাছে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে সস্ত্রীক বাড়ি ফিরছিলেন রণজিৎ মণ্ডল নামে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। দমদম এয়ারপোর্ট থেকে প্রাইভেট গাড়ি করে ফেরার পথেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Road Accident)। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। দুর্ঘটনায় রণজিৎ মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী এবং গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম রণজিৎ মণ্ডল (৬৪) ও তাঁর স্ত্রী বিজলী মণ্ডল (৫৯)। তাঁদের বাড়ি বর্ধমান শহরের আনন্দপল্লি এলাকায়। আর গাড়ি চালকের নাম বেচু ঘোষ (৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের ঘোষপাড়ায়।

    ঠিক কী করে ঘটল দুর্ঘটনা (Road Accident)?

    এদিন ভোরে গুড়াপ থানার মাজিনান ব্রিজের কাছে তাঁদের চার চাকা গাড়ি দুটি লরির মাঝে পড়ে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন আরোহী। কলকাতা থেকে বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল ওই মারুতি গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ওই মারুতি গাড়ির গতি ভালোই ছিল। সামনেই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। ট্রাকটি গতি কমাতেই মারুতি গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। আর ওই মারুতি গাড়ির ঠিক পিছনে আরও একটি ট্রাক ছিল। সেই ট্রাকটি মারুতি গাড়িটিকে পিষে দিয়ে চলে যায়। তার পিছনে থাকা আরও একটি লরি দুর্ঘটনার (Road Accident) কবলে পড়ে। পুলিশ দুটি লরি আটক করেছে। চালকরা পলাতক। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোর রাতে বিকট শব্দে আশপাশের এলাকা থেকে আমরা ছুটে আসি। কিন্তু, তালগোল পাকানো গাড়ি দেখে আমরা হতভম্ভ হয়ে যাই। গাড়ির ভিতর থেকে কাউকে বের করা যাচ্ছিল না। খবর যায় গুড়াপ থানায়। সেখান থেকে পুলিশ এসে গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়ির পাত কেটে তিনটি দেহ উদ্ধার করে। ততক্ষণে ওই তিনজনই মারা গিয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য দেহগুলি পাঠানো হয়।

    কী বললেন মৃতের ভাই?

    দুর্ঘটনায় নিহত রণজিৎবাবুর ভাই কাজল মণ্ডল বলেন, ১৯ জুন বেঙ্গালুরুতে মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। চিকিৎসা করিয়ে দাদারা বেঙ্গালুরু থেকে ফিরছিলেন। মেয়ের বাড়ি থেকে সুস্থ হয়ে বর্ধমানে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। রাতে দমদম বিমানবন্দরে থেকে গাড়িতে উঠেছিলেন। ভোর চারটে নাগাদ গুড়াপ থানা থেকে আমাদের ফোন করে দুর্ঘটনার (Road Accident) খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রণজিৎবাবু বর্ধমান হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। এই ঘটনার জেরে আনন্দপল্লি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share