Tag: Burdwan

Burdwan

  • Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    Attack: বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বচসা। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে ছুরি দিয়ে হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমান শহরের ঢলদীঘি মোড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার উপর হামলার (Attack)  ঘটনা দেখে সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী নিয়ে গন্ডগোল?

    শুক্রবার বর্ধমান শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা ছিল। তারজন্য সভার আগে থেকে শহরের রাস্তা  বিজেপি কর্মীরা দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিলেন। আক্রান্ত বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি  পিন্টু শ্যামের বক্তব্য, শহর জুড়ে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন আমাদের পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিল। আমি তার প্রতিবাদ করি। আর দলীয় পতাকা খুলতে তাদের বাধা দিই।  প্রথমে আমার সঙ্গে তাদের বচসা বাধে। পরে, একজন আমাকে তেড়ে আসে। সঙ্গে আরও দুজন ছুটে আসে। আমি তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওরা আমাকে হামলা (Attack) করে। একজন আমাকে ছুরি চালিয়ে দেয়। আমি ছুটে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিই। ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তার ফুটেজ সংগ্রহ করলেই পুলিশ জানতে পারবে কারা হামলাকারী (Attack)। আমাদের দাবি, হামলাকারীদের(Attack)  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র জেলা সভাপতি?

    দলীয় নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, শুক্রবার বর্ধমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি ছিল। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি  শ্যামাপদ মণ্ডল কর্মসূচিতে ছিলেন। রাতে তিনি বর্ধমানেই ছিলেন। এদিন পিন্টু তাকে বর্ধমান স্টেশনে ট্রেনে তুলে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে পিন্টু দেখে ঢলদীঘি মোড়ে কয়েকজন আমাদের দলীয় পতাকা খুলে দিচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও (Attack)  হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলের লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুষ্কৃতীরাজ চলছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এটা মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ওদের লোকজন হয়নি। তাই, এসব মিথ্যা অভিযোগ করে বাজার গরম করতে চাইছে। যেহেতু আজ আমাদের মিছিল রয়েছে, তাই ওরা এসব করছে। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জন্যই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    Burdwan: কার্জন গেট নাকি মমতা জমানার আগে ছিলই না, সায়নীর দাবি শুনে হাসাহাসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম ভারতীয় রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা বলায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেত্রীকে নিয়ে ব্যাপক ট্রোল করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বর্ধমানের (Burdwan) কার্জন গেট চত্বরে প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

    ঠিক কী বলেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী? (Burdwan)

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বর্ধমানে (Burdwan) দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাড়়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের বোঝান। ১২ বছর আগে কী ছিল রাজ্যে। কার্জন গেট দেখিয়ে বলেন, ছিল এই গেট? ছিল এই আলো, ছিল এই ধপধপে রাস্তা? যদিও নেত্রী বক্তব্য রাখার সময় এক দলীয় স্থানীয় নেতা তাঁর কাছে এসে কানে কানে কিছু বলার চেষ্টা করেন। সম্ভবত, তিনি কার্জন গেট সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছেন তা ঠিক নয়, সেই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যুব সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে অনড় থাকেন। যদিও নেত্রী এই বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতারা নিজেদের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করেন। দলীয় কর্মী-সমর্থকরা অনেকেই হাসাহাসি শুরু করে দেন।

    কার্জন গেট তৈরির ইতিহাস কী?

    বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে, বর্ধমানের মহারাজা ১৯০৩ সালে জিটি রোড এবং বিসি রোডের সংযোগস্থলে এই বিশাল তোরণটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের সফরের সময় তোরণটি ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী যুগে, এর নামকরণ করা হয়েছিল ‘বিজয় তোরণ’। তোরণ বানানোর দায়িত্বে ছিল ‘ম্যাকিনটশ বার্ন’ কোম্পানি। বার্ন কোম্পানিতে সেই সময় বহু বিদেশি স্থপতি, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ ডিজাইন ও পরিকল্পনা করেন। ১৯০৩ সালে ছোটলাট লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার বোর্ডিলিয়ন সাহেবের উপস্থিতিতে বিজয় চাঁদের রাজ্যাভিষেক ঘটে। সেই বছরেই তোরণের পরিকল্পনা এবং কাজ শুরু। পরের বছর ১৯০৪-এ বর্ধমান পরিদর্শনে আসেন লর্ড কার্জন। স্টার গেট অফ ইন্ডিয়ার দ্বারোদঘাটন করে, সেই পথ দিয়েই তাঁর শহরে প্রবেশ। পরবর্তী সময়ে ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য বিজয়চাঁদ গেটের নাম বদলে ‘কার্জন গেট’ রাখেন।

    বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে?

    আগে ইতিহাস জানুন তারপর মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেবেন, কটাক্ষ বিরোধীদের। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছিলেন সায়নী ঘোষ। কার্জন গেট যখন তৈরি হয়, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয়নি। সিপিএম নেতা দীপঙ্কর দে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গীতজ্ঞ, ভালো ছবি আঁকেন বলে জানতাম। তিনি কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা জানা ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, ফোন করে জানালেন ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম বাবা

    Coromandel Accident: চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, ফোন করে জানালেন ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার হাত ধরেই কেরালায় কাজে যাচ্ছিলেন কাটোয়ার করুই গ্রামের উনিশ বছরের ছটু সর্দার। তাঁদের সঙ্গে আরও সাতজন ছিলেন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Accident) একই কামরায় সকলেই ছিলেন। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সব কিছু তছনছ করে দেয়। চোখের সামনে ছটুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দুর্ঘটনায় জখম হওয়া বাবা সুখলাল সর্দার। দুর্ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাঁদের সঙ্গে যোগযোগ করেন। সুখলাল সর্দার ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর দেন। এছাড়া কড়ুই গ্রামের আরও সাতজন দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে দল বেঁধে তাঁরা কেরালায় কাজে যাচ্ছিলেন। মৃত ছটু সর্দারের কাকা দিলু সর্দার বলেন, “এভাবে সব শেষ হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। বাবার সঙ্গে কত খোশমেজাজে গল্প করতে করতে গেল ভাইপো। এবার তার নিথর দেহ বাড়ি ফিরবে। ভাবতেই পারছি না।” পাশের কৈথন গ্রামের সাদ্দাম সেখ নামে এক যুবকও দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিওকলে শেষ কথা হয় সফিকের

    ট্রেন ছাড়়ার পর শুক্রবার বিকেলের দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কল করে কথা বলেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-২ ব্লকের বড়শুল কুমিরখোলার সফিক কাজি। সেটাই ছিল শেষ কথা। সন্ধ্যা নামতেই খবর দেখে জানতে পারেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা (Coromandel Accident) ঘটেছে। পাগলের মতো পরিবারের লোকজন সফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, কোনওভাবেই তাঁর আর হদিশ মেলেনি। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে।

    কী বললেন সফিকের বাবা?

    ওড়িশার বালেশ্বরে গিয়ে সফিকের মৃতদেহ সনাক্ত করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে।  পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাত লেগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী সহ পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। সফিকের বাবা উজির কাজি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) পর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। এদিন ছেলের মৃত্যুর খবর এল বাড়িতে। ওর রোজগারে সংসার চলত। এখন কী করে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল বর্ধমান স্টেশন চত্বর। রাতের অন্ধকারে বর্ধমান স্টেশন চত্বর জুড়ে তাণ্ডব চলে। ১০ থেকে ১২ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পাশাপাশি  ১০টি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রকাশ্যে এই তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এবার সেই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৭ মে রাতে গোলাব সোনকারের অনুগামীরা এসে স্টেশন চত্বরে একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্টেশনের গ্যারাজে রাখা ১০টি প্রাইভেট গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ঢুকে স্থানীয় বিধায়কের নামে ও প্রাক্তন আই এন টি টি ইউসির সভাপতির নামে গালিগালাজও করে। হামলাকারীদের হাতে রড, লাঠি এবং তরোয়াল ছিল। এমনকী ইফতিকারসহ তাঁর কয়েকজন অনুগামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ইফতিকারের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বর্ধমান স্টেশনে ব্যবসায়ী থেকে  গাড়িচালক সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সেখ আলিউদ্দিন বলেন, আমরা অন্যদিনের মতো দোকানে বসেছিলাম। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। বিধায়কের নামে তারা গালিগালাজ করে। আমার দোকানে তাণ্ডব চালায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্টেশনে তাণ্ডব নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, গোলাব আগে সিপিএম করত। মধ্যে বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন তৃণমূলে (TMC) রয়েছে। অকারণে এসে ওরা হামলা চালায়। স্টেশন চত্বরে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) নেতা গোলাব সোনকার বলেন, আমার ছেলে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে চারচাকা গাড়ি করে ঘুরতে গিয়েছিল। উড়ালপুলের পাশে ছবি তোলার সময় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কয়েকজন এসে হামলা চালায়। ইফতিকার আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। সেটার প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্টেশনে কোনও তাণ্ডব চালানো হয়নি। ওরা ভাঙচুর করে আমাদের নামে দায় চাপাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক খোকন দাস বলেন, কে বা কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা জানতে পারিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৬৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার ভোরে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তিন দিন ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এরপর সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পে। জীবনকৃষ্ণের গাড়ি দুর্গাপুরে থামিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই কনভয়। আজই তাকে পেশ করা হবে আলিপুর আদালতে। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) অসহযোগিতা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে।

    নাটকীয়তায় ভরা গ্রেফতারি পর্ব

    শুক্রবার বেলা ১২.৩০ থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রথমে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। তারপর পুকুরে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৩৭ ঘণ্টা ধরে বিধায়কের বাড়ির পিছনের পুকুর ছেঁচে উদ্ধার হয় একটি ফোন। সিবিআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি অবশ্য জীবনের নয়, বরং তা তাঁর স্ত্রীর। জীবনের আরও একটি ফোনের খোঁজ চলছে। তাঁর বাড়িতে ৫টি ব্যাগ থেকে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একাধিক নথি। তিনদিন ধরে কার্যত সিবিআই-এর নজরবন্দি হয়েছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    ঘটনার ঘনঘটা

    রবিবার রাতেই জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ১টা নাগাদ জীবনের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও যুক্ত করা হয়। এর পর রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জীবনকৃষ্ণের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি গাড়ি। রাত ৩টে নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ বাড়িতেই বিধায়কের পরিবারের সদস্য অর্থাৎ মা এবং স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের হাতে অ্যারেস্ট মেমো তুলে দেয় সিবিআই। ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ সেই মেমোতে স্বাক্ষর করেন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। ভোর ৫টা ১৮ মিনিট নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। মোট ৬টি গাড়ির কনভয় তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    বাড়ির ভিতরেই‘ওয়্যার রুম’

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএলএসটির নিয়োগ প্রক্রিয়ার (SSC Scam) ডেটাবেস পুরোটাই পাওয়া গেছে বিধায়কের বাড়ি থেকে, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর সুপারিশে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য। নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর সহ অন্তত ৩,৪০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গেছে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে। সূত্রের খবর, বাড়ির ভিতরেই একটি ঘরকে ‘ওয়্যার রুম’ বানিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন থাকা সেই ঘরটিতে ছিল একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ও তিনটি নোটপ্যাড। যেগুলির মধ্যে দুটি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি সিঁদুর কৌটোর ভিতর মোবাইলের মেমোরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন জীবনকৃষ্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Juice Shop: “জবলেশ জুসওয়ালা”-ভাইরাল নেট দুনিয়ায়! জানেন কী শরবতের এই দোকান গড়ে ওঠার কাহিনী?

    Juice Shop: “জবলেশ জুসওয়ালা”-ভাইরাল নেট দুনিয়ায়! জানেন কী শরবতের এই দোকান গড়ে ওঠার কাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মনের মধ্যে অদম্য জেদ আর নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক থাকলে কোনও বাধা চলার পথকে থামিয়ে রাখতে পারে না। আর সে কথা প্রমাণ করেছেন বর্ধমান শহরের দুই যুবক অভিজিৎ গুহ এবং তাঁর বন্ধু অপু সরকার। তাঁরা দুজনে মিলেই বর্ধমান পুলিশ লাইনের কাছে ঘোড়দৌড়চট্টিতে রাস্তার ধারে খুলে ফেললেন একটি শরবতের দোকান (Juice Shop)। আর দোকানের নাম রাখলেন “জবলেশ জুসওয়ালা”। এম বি এ চায়েওয়ালার মতো তাঁদের দোকানের নামের জাদুতেই নজর কাড়বে সকলের। অল্প সময়ের মধ্যেই দুই বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রমে বর্ধমান শহরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দোকান (Juice Shop)। গরম পড়তেই শরবতের চাহিদা এখন তুঙ্গে। রাজ্যে চাকরির অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে সাধারণ যুবকরা অসহায়, সেখানে এধরনের উদ্যোগে প্রশংসায় মেতেছেন শহরবাসী থেকে নেট জগত্। শহর জুড়ে ভাইরাল হয়েছে তাঁদের এই শরবতের দোকান (Juice Shop)। তাঁদের দুজনের এই সাহসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।

    “জবলেশ জুসওয়ালা”- দোকানের নামকরণ এরকম কেন ? Juice Shop

    প্রায় ১৪ বছর ধরে দু’জনেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন। কিন্তু, মাসখানেক আগে তাঁদের সংস্থা ছাঁটাই শুরু করে। চাকরি যায় দুজনের। সদ্য বেসরকারি সংস্থায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মী অভিজিৎ গুহ এবং তাঁর বন্ধু অপু সরকার নতুন করে আর বেসরকারি সংস্থায় চাকরি খোঁজ করেননি। কারণ, সারা মাস হাড় ভাঙা পরিশ্রম করার পর যা বেতন পেতেন তাতেও মাসের শেষে টানাটানি চলত। তবুও, দাঁতে দাঁত চেপে তাঁরা মুখ বুঝে সংস্থায় কাজ করে গিয়েছেন। সংস্থার শ্রীবৃদ্ধির জন্য তাঁরা চেষ্টা করেছেন। বিনিময়ে আচমকা বরখাস্ত হওয়ার জ্বালা তাঁরা মেনে নিতে পারেননি। দুই বন্ধু অভিজিৎ গুহ এবং অপু সরকার বলেন, গত ১৪ বছর ধরে বেসরকারি সংস্থার জন্য শ্রম দিয়েছি। এবার ব্যবসা করে নিজেদের জন্য শ্রম দেব। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের পরিশ্রম বিফলে যাবে না। আর চাকরি হারিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি বলেই তালমিলিয়ে দোকানের (Juice Shop) নামকরণ করেছি। আগামিদিনে এই দোকানকে আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    শরবতের দোকানে কী কী পাওয়া যায়? Juice Shop

    নতুন তৈরি এই শরবতের দোকানে (Juice Shop) গেলেই মিলবে, মোজিতো, মশালা সোডা, মশালা কোল্ড ড্রিঙ্কস, ম্যাঙ্গো জুস সহ নিত্যনতুন জুসের আইটেম। দামও রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এক ঝলকে জেনে নিন, শরবতের বিভিন্ন আইটেমের দাম কত? যেমন, মোজিতো জুসের দাম ৪০ টাকা, ম্যাঙ্গো জুস ও মশালা সোডা ৩০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে। সপ্তাহের প্রতিদিনই দোকান খোলা থাকে। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত দুই বন্ধু হাতে হাত মিলিয়ে শরবতের দোকান (Juice Shop) এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসন দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-১ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূলের (TMC) সভামঞ্চে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এক আসনে বসে রয়েছেন কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ডাকে শহিদ মিনার চলো প্রস্তুতির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভা ঘর তৈরি করা হয়। এই সভাগৃহে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে, তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল খোদ কেতুগ্রাম -১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। রাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি রাজবিহারী হালদার। এই দুজনের পাশে বসে ছিলেন কেতুগ্রাম- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের (TMC) সেই সভামঞ্চে বিডিওর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিডিও? TMC

    সভাগৃহে প্রচুর তৃণমূল (TMC)  কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। সভাগৃহের পিছনের দেওয়ালে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, শহিদ মিনার চলো। আর এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছেন বিধায়ক ও তৃণমূলের (TMC)  যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদার এবং কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের সাফাই, আসলে ওই সভাগৃহে সবসময় সরকারি অনুষ্ঠান হয়। সভাতে প্রধান, উপ প্রধানরা ছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন ছিল। সেই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পিছনে একটি দলের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে তা আমি দেখিনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সভাগৃহে রাজনৈতিক সভা হয় না, এখন প্রশ্ন তাহলে রাজনৈতিক সভা কি করে হল ওই সভাগৃহে? বিডিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, সরকারি সভাগৃহে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। কে বা কারা দলীয় ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল জানি না। আর বিডিও প্রধান, উপ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তৃণমূলের (TMC) দুজন নেতা সেখানে চলে আসে। আগামিদিনে ওই সভাগৃহে যাতে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হয় তা দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? TMC  

    বিজেপির জেলা নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আর তৃণমূল (TMC) যে এক হয়ে গিয়েছে তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কী করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে তার রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আর সরকারি ভবনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Local Train: রবিবার বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সমস্ত লোকাল ট্রেন, ভোগান্তি সোম থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত

    Local Train: রবিবার বাতিল হাওড়া-বর্ধমান সমস্ত লোকাল ট্রেন, ভোগান্তি সোম থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বাতিল হাওড়া (Howrah) বর্ধমান (Burdwan) সমস্ত লোকাল ট্রেন। এদিন হাওড়া এবং ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানগামী সমস্ত ট্রেন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বর্ধমান আসানসোল এবং বর্ধমান রামপুরহাট শাখায় ট্রেন (Local Train) চলাচলও। উড়ালপুল সংস্কারের কাজ হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। শনিবার পূর্ব রেলের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। হাওড়া বর্ধমান কর্ড ও মেইন শাখায় কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন অবশ্য চালানো হবে।

    রেলের বিবৃতি…

    রেল জানিয়েছে, এদিন মেইন শাখায় হাওড়া থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ১৩ জোড়া ট্রেন চলবে। কর্ড শাখায় হাওড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত চলবে ১০ জোড়া ট্রেন। কেবল রবিবারই নয়, সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওড়া বর্ধমান, ব্যান্ডেল-বর্ধমান, বর্ধমান-আসানসোল এবং বর্ধমান-রামপুরহাট এই সবকটি শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেল জানিয়েছে, সোমবার হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ৬ জোড়া এবং মেইন শাখায় ৫ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে।  কোনও স্পেশাল ট্রেন চলবে না। মঙ্গল ও বুধবারও হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখায় ১০ জোড়া ও মেইন শাখায় ১০ জোড়া লোকাল ট্রেন (Local Train) বাতিল থাকবে। এই দুদিন মেন শাখায় হাওড়া থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত ১০ জোড়া এবং কর্ড শাখায় ১০ জোড়া হাওড়া মসাগ্রাম লোকাল চলবে।

    আরও পড়ুুন: ‘পাঁচ বছরের মধ্যেই সব পঞ্চায়েতে মিল্ক ডেয়ারি ও ফিশারি সোসাইটি গড়ে উঠবে’, বললেন শাহ

    তবে বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাতিল হাওড়া বর্ধমান সব লোকাল ট্রেনই। বন্ধ থাকবে ব্যান্ডেল-বর্ধমান লোকাল ট্রেনও। সপ্তাহের কাজের দিনে ট্রেন বাতিল হওয়ায় হাওড়া বর্ধমান রুটে বাসে যে ব্যাপক ভিড় হবে, তা বলাই বাহুল্য। বাসে সিট পেতে বিস্তর বেগ পেতে হবে নিত্যযাত্রীদেরও।

    আরও পড়ুুন: ফের রক্তাক্ত বাসন্তী! বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ১ জনের, আহত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Burdwan: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, আজই তোলা হবে আদালতে

    Burdwan: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, আজই তোলা হবে আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে চিটফান্ড কাণ্ডে (Burdwan) জড়িত হালিশহর পুরসভার (Halishahar Municipality) তৃণমূল (TMC) চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-কে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন প্রতারণা মামলায় (Burdwan) গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডাকা হয় ও দুর্গাপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-কে টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু তাঁকে জেরা করার পর তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই নিয়ে বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন চিটফান্ড মামলায় তৃণমূল পুরপ্রধান রাজু সাহানি-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এদের মধ্যে বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক ও তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায় এখন জামিনে মুক্ত।

    প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর হালিশহর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে (Raju Sahani) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে। রাজু সাহানিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও উদ্ধার হওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে নাম উঠে আসে ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং-এর। এরপরই গতকাল তাঁকে বেলা ১১ টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্স ডেকে পাঠানো হয় ও প্রায় কয়েক ঘন্টা জেরা করার পর তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়। আজ ধৃতকে হাওড়া থেকে ট্রেনে আসানসোল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজই তোলা হবে আসানসোল কোর্টে।

    আরও পড়ুন: সন্মার্গেও তৃণমূল যোগ, জামিন খারিজ TMC নেতা রাজু সাহনির

    প্রসঙ্গত, এর আগে একবার সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে এনডিএয়ের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ককে আর্থিক প্রলোভন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। আর এবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্ধমান সন্মার্গ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার সৌম্যরূপ ভৌমিকের সহকারী ছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য, এই চিটফান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০১৪ সালে। কুলটি থানায় অভিযোগ জমা পড়েছিল। কোটি কোটি টাকা তছরূপের ঘটনায় ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। চার্জশিটও জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর গত বছর ১২ ডিসেম্বর তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পুরসভার পুরপ্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। যদিও বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। সেই মামলাতেই কিছুদিন আগে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন রাজু। এরপর নজরে ছিল রাজুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় সিং।

LinkedIn
Share