Tag: CAA

CAA

  • Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    Modi Govt: ভিসা পেলেন না ভারত-বিরোধী ক্ষমা, জাতীয় ঐক্যে আপস নয়, বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিরোধী কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না, তা আবারও বুঝিয়ে দিল মোদি সরকার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিবিদ ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান করল কেন্দ্র। প্রাক্তন সিয়াটল সিটি কাউন্সিলর ক্ষমা, সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভ সহ বেশ কয়েকটি বিতর্কিত ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাঁর এই অবস্থানের জন্যই তাঁকে ভিসা দিতে অস্বীকার করল ভারত, এমনই অভিমত কূটনীতিকদের। এই ঘটনা বিশ্বের কাছে কেন্দ্রের জিরো-টলারেন্স বা আপসহীন নীতিকে শক্তিশালী করল।

    কেন ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসা প্রত্যাখ্যান?

    ক্ষমা সাওয়ান্ত একজন ফায়ারব্র্যান্ড সমাজকর্মী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর সিয়াটেলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, প্রায়ই ভারত সরকারের সমালোচনা করতেন তিনি। সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভের প্রতি তাঁর সমর্থন, ভারতের রাজনৈতিক আবহাওয়ার সমালোচনা এবং দূর-বাম মতাদর্শের সঙ্গে সারিবদ্ধতা তাঁকে একটি মেরুকরণকারী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। যদিও দিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি। তবে, কূটনৈতিক মহলের অনুমান বিদেশি প্রভাব থেকে ভারতকে রক্ষা করার জন্য মোদি সরকার এই পদক্ষেপ করেছে। সাওয়ান্তকে ভিসা দিতে মোদি সরকারের প্রত্যাখ্যান, জাতীয় ঐক্যকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা রুখবে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সর্বোপরি, কেন ভারত তাঁদের আতিথেয়তা বাড়াবে যাঁরা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতের নীতিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানায়।

    ভারত-বিরোধী কাজ

    ক্ষমা সাওয়ান্তের ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মোদি সরকার দেশ বিরোধীদের একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে। সরকারের তরফে বার্তা, দেশ-বিরোধী কার্যকলাপকে সমর্থন করলে, আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না। শুধু সিএএ নয়, সিয়াটেল সিটি কাউন্সিলে থাকাকালীন, ক্ষমা ভারতের নীতির বিরুদ্ধে একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ২০২৩ সালে তিনি একটি প্রস্তাব পেশ করেন, যেখানে হিন্দু ধর্মকে অতিরিক্ত আইনি নিরীক্ষণের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এই আবহে কেন্দ্র ক্ষমার ভিসা মঞ্জুর না করে বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারতের জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করতে পারে এমন প্রচেষ্টা মেনে নেবে না মোদি সরকার।

  • Gujarat: সিএএ-এর মাধ্যমে ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল গুজরাট সরকার

    Gujarat: সিএএ-এর মাধ্যমে ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দিল গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দশক ধরে গুজরাটে (Gujarat) বসবাসকারী ৫৬ জন পাকিস্তানি হিন্দুকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হল। ১১ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে গুজরাটের  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন। প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা হাসুন, এখন থেকে আপনারা ভারতের নাগরিক।” আর হাতে শংসাপত্র পেয়ে তাঁরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। এই দিনটার জন্য তাঁরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানালেন হিশা কুমারী (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, এই ৫৬ জনের মধ্যে হিশা কুমারী নামে একজনের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা অন্যতম। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন হিশা। উন্নত ভবিষ্যত এবং নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য ২০১৩ সালে তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভারতে চলে আসেন তিনি। পাকিস্তানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরার পর ভারতে এসে তিনি ফের পড়াশুনা শুরু করেন। ২০১৭ সালে আজমিরের একটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। তিনি এখন একজন ডাক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছেন। এদিন তাঁর হাতেও নাগরিকত্বের (Gujarat) শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে হিশা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমার পরিচয় পুনরুদ্ধার করার জন্য আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে কৃতজ্ঞ। এই নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে, আমি যে কোনও জায়গায় আবেদন করতে পারি।” তিনি গর্বভরে তাঁর নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদর্শন করে বলেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চালিয়ে খেলছে শীত! কলকাতায় ১৩ ডিগ্রির ঘরে পারদ, বঙ্গে তাপমাত্রা নামল ১০-এর নিচে

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বললেন?

    রাজ্যের (Gujarat) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আগে, এই ব্যক্তিদের দিল্লিতে একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। এখন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে তাদের সমস্যাগুলি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করা হবে। ” ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ১১৬৭ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এই ৫৬ জনকে অন্তর্ভুক্ত করায়, সংখ্যাটি এখন ১২২২-এ দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র গুজরাতেই, ৫০ টিরও বেশি পাকিস্তানি হিন্দু গত ছয় মাসে তাদের নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছে। এই ৫৬ জনের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান এবং তাদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এটি তাদের শুধুমাত্র আইনি স্বীকৃতিই দেয় না বরং ভারতীয় সমাজে সম্পূর্ণরূপে একীভূত হওয়ার এবং তাদের স্বপ্নগুলিপূরণ করার সুযোগও দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UNHRC: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    UNHRC: সিএএ-র পক্ষে জোরালো সওয়াল মুসলিম মহিলার, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটব্যাঙ্কে ধস নামার ভয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, সংক্ষেপে সিএএ-র (CAA) বিরোধিতা করেছিল এ দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল। এদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি সুর চড়িয়েছিল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত তাদের মুখেই ঝামা ঘষে দিলেন রাজস্থানের জয়পুরের এক মুসলিম মহিলা ফাইজা রিফাত। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) ৫৭তম অধিবেশনে বক্তৃতা দেন তিনি। সেখানেই জোরালো সওয়াল করেন সিএএ-র পক্ষে।

    সিএএ (UNHRC)

    প্রসঙ্গত, সিএএ-র মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-সহ ছটি অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। রিফাত বলেন, “যারা ঐতিহাসিকভাবে তাদের নিজ দেশে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছে, তাদের আশ্রয় ও আইনি মর্যাদা প্রদান করে সিএএ।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নৃশংস অত্যাচার হচ্ছে, সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে রিফাত বলেন, “সিএএ-র বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুরা চলমান নিপীড়ন ও নির্বাচনী হিংসার মুখোমুখি হচ্ছে। এই ব্যক্তিদের নিরাপদ পরিবেশে অভিবাসনের জন্য সিএএ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প প্রদান করে এবং তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে দেয়।”

    আরও পড়ুন: “পুজো কমিটিগুলোকে কম করে ১০ লাখ টাকা দিন”, রাজ্যকে কটাক্ষ আদালতের

    কী বলছেন রিফাত

    তিনি বলেন, “সিএএ নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা প্রকৃত উদ্বাস্তু ও অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে। যার ফলে অবৈধ অভিবাসন রোধ করার সময় বৈধ আশ্রয়ের দাবিদারদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।” রিফাতের যুক্তি (UNHRC), এই পার্থক্যের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এতে মাদক পাচারে যারা যুক্ত কিংবা অন্য কোনও অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। বিশেষত, সীমান্ত এলাকায়। রিফাত বলেন, “সিএএ (CAA) দুর্বল সংখ্যালঘুদের জন্য একটা সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। এই আইন তাদের শোষণ থেকে রক্ষা করে। ভারতীয় সীমানায় তাদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করে (UNHRC)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • V Muraleedharan: “সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা মনে করাল বাংলাদেশের ঘটনা”, বললেন মুরলীধরণ

    V Muraleedharan: “সিএএ-র প্রাসঙ্গিকতা মনে করাল বাংলাদেশের ঘটনা”, বললেন মুরলীধরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ-র (CAA) তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা মনে করিয়ে দিল বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা।” কথাগুলি বললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরণ (V Muraleedharan)। সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক হিংসার সাক্ষী তামাম বিশ্ব। সেখানে নির্বিচারে চালানো হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই সিএএ-র প্রসঙ্গ তোলেন বিজেপি নেতা মুরলীধরণ। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে প্রতিবেশী মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের আশ্রয় ও নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ এনেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    সিএএ (V Muraleedharan)

    ২০১৯ সালে সিএএ বিল সংসদে পাশ হলেও, লাগু হয়নি। সেই সময় বিলের ব্যাপক বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস এবং সিপিএম। এদিন তিরুবনন্তপুরমে ‘বাংলাদেশ বার্নিং’ শীর্ষক একটি সেমিনারে যোগ দেন মুরলীধরণ। সেখানেই আরও একবার সিএএ-র সপক্ষে সওয়াল করেন এই বিজেপি নেতা। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেল। মুরলীধরণের মতে, ভারতেও বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে, সেই সব মন্তব্যে ভারতের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। এই পদ্ম নেতা বলেন, “ভারত সব সময় একটা নীতি নিয়ে চলে। তার একটা লক্ষ্যও রয়েছে। রয়েছে স্থায়ী প্রশাসন, সরকার। ভারত কল্যাণকামী দেশ। সব সময় দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে।” তিনি বলেন, “ভারত কখনও কোনও দেশের অনৈক্যকে প্রশ্রয় দেয় না। কোনও দেশের শান্তি আমরা কখনওই বিঘ্নিত করিনি।”

    আরও পড়ুন: “বাংলা অনাচার ও নৈরাজ্যের ঘাঁটি”, আরজি করকাণ্ডে মমতার মুন্ডুপাত বিজেপির

    রাহুল, পিনরাইকে নিশানা

    তিনি বলেন, “দেশে যদি হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন, তাহলে রাহুল গান্ধী এবং পিনরাই বিজয়ন মৌনীবাবা হয়ে পড়বেন।” মুরলীধরণের (V Muraleedharan) প্রশ্ন, “সিপিএম এবং কংগ্রেস বিশ্বাস করে হিন্দুদের কোথাও কোনও সংখ্যালঘুর অধিকার নেই।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভারত সব সময় চায় প্রতিবেশী দেশেও স্থায়ী গণতান্ত্রিক সরকার থাকুক। কিন্তু জামাত-ই-ইসলামি, যারা বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী হিংসা চালিয়েছিল, তাদের না আছে বাংলার প্রতি কোনও সেন্টিমেন্ট, না আছে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা। তাদের কেবল রয়েছে ধর্মীয় আবেগ। হিন্দুদের ওপর যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাকে যারা উপেক্ষা করে, জনগণ তাদের হিপোক্রেসি ধরে ফেলবে।”

    তিনি বলেন, “দালাই লামা, শেখ হাসিনা এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। সনাতন ধর্মের পাঠ অনুসরণ করে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিয়েছি।” মুরলীধরণ বলেন, “কোনও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ নষ্ট করতে পারেনি (CAA) আমাদের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যকে (V Muraleedharan)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবসও পালন করা হয়েছে বহরমপুরে। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “শ্যামপ্রসাদ খণ্ডিত বাংলা চাননি, অখণ্ড ভারতের জন্য লড়াই করেছিলেন।” তাঁর সঙ্গে আরও একাধিক জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    এদিন বহরমপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে ম্যালদান ও রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি বক্তৃতা রাখেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সভাপতি শাখারভ সরকার, কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মহাফুজা খাতুন সহ একাধিক বিজেপির কার্যকর্তা। দিলীপ ঘোষ সভায় বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় খণ্ডিত বাংলা চাননি। তিনি অখণ্ড ভারতের জন্য সংগ্রাম, করেছিলেন। এক দেশ, এক নিশান ও এক প্রধান নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২০ শে জুন হিন্দু বাঙালির জন্য হোমল্যান্ড চেয়ে ছিলেন বাংলার বিধানসভাতে। এরপর জিন্নাহের প্রস্তাবিত পাকিস্তান থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ছিনিয়ে নেন। আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি তা হল শ্যামপ্রসাদের জন্য, আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন তাও শ্যামাপ্রসাদের জন্যই। তাই তাঁকে ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। বামপন্থী এবং তৃণমূল সব সময় চেষ্টা করছেন বাংলার এই মহাপুরুষকে ভুলিয়ে দিতে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী মানুষ এই অপচেষ্টাকে রুখে দেবেন।”

    আরও পড়ুনঃ অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    আর কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন আরও বলেন, “বাংলার পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা অন্যতম জেলা। সিএএ আইন পাশের পর সবথেকে বেশি হিংসা হয়েছে এই জেলায়। বেলডাঙ্গা স্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাজার দুয়ারি এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কোনও বিচার হয়নি। এই রাজ্যে রাষ্ট্রবিরোধী সরকার প্রবল হয়ে উঠছে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। জাতীয়তাবাদী মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে বেশি করে যেতে হবে। সকলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। গত নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তি বনাম দেশ বিরোধী শক্তির লড়াই হয়েছে। তবুও বিজেপির সমতুল্য হতে পারেনি।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম! বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়

    Lok Sabha Election 2024: পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম! বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম। লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) ভোটের গণনা কেন্দ্রে পরিদর্শন করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহতো। আবার বারাকপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং নিজের এক্স হ্যান্ডলে আই প্যাক টিমের দুজন ব্যক্তির ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে যে দুজনের ছবি পোস্ট করা হয়েছে, তাদের কার্যত পুরুলিয়ায় দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেন জ্যোতির্ময়। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি অপপ্রচার করছে। ঘটনায় গণনার দিনে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো (Lok Sabha Election 2024)?

    পুরুলিয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “বিজেপি নেতা অর্জুন সিং নিজের এক্স হ্যান্ডলে দুজনের ছবি পোস্ট করেছেন। ওই দুজনকে আইপ্যাকের লোক বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। তাদের বারাকপুরে দেখা গিয়েছিল। এবার পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় এই দুইজন সন্দেহভাজনকে দেখা গিয়েছে। দুজনের নাম সিদ্ধার্থ ও কুণাল। আমার মনে হচ্ছে ওরা কারচুপি করতে এসেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আমরা পর্যবেক্ষক, নির্বাচন কমিশনকে জানাব।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “কোনও আই প্যাক নেই। বিজেপি হারবে তাই অজুহাত বের করছে। আমরা জয়ের বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। বাংলায় তৃণমূল একক ভাবে জয়ী (Lok Sabha Election 2024) হবে।”

    আরও পড়ুনঃফের সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার! পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মহিলারা

    বিজেপি আগেই আই প্যাক নিয়ে সতর্ক করেছিল

    তৃণমূল, লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) গণনা কেন্দ্রে আই প্যাকের লোকজনকে কাজে লাগিয়ে গণনাকে প্রভাবিত করবে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছিলেন, “আমরা আমাদের কর্মীদের সব জায়গায় সতর্ক করেছি। সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছি। তৃণমূল নানা রকম দুর্বুদ্ধির প্রয়োগ করবে। আই প্যাকের লোকজনদের উপর নজর রাখতে হবে। ইভিএমগুলিকে কিছু করে দিতে পারে।” ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফলকে গণনা কেন্দ্রে থেকে কারচুপি করার বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল। ফলে এই বার লোকসভা ভোটে যাতে না হয়, তাই নিয়ে তৃণমূলের দিকে ফের আঙুল তোলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    CAA: নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে প্রতিবেশীদের মিষ্টি বিলি করলেন শান্তিপুরের শ্রীকৃষ্ণ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদিজির ভাষণ শুনে ভরসা করে কিছুদিন আগে সিএএ (CAA) পোর্টালে আবেদন করেছিলেন নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আরপাড়া গ্রামের শ্রীকৃষ্ণ সরকার।  নাগরিকত্বের শংসাপত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। আর শংসাপত্র হাতে পেয়ে তিনি বেজায় খুশি। নিজে হাতে মিষ্টি বিলি করলেন প্রতিবেশীদের।

    এলাকায় মিষ্টি বিলি করলেন সরকার পরিবার (CAA)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীকৃষ্ণবাবুর বয়স বর্তমানে ষাটের  কাছাকাছি। প্রায় ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মায়ের হাত ধরে দুই ভাই এবং এক বোনকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণবাবু ভারতে এসেছিলেন। মুসলিমদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন। শান্তিপুরে বাড়ি এবং চাষবাসের জন্য কিছুটা জমি কিনে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন। পরে, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড সব পরিচয়পত্র হয় তাঁদের। সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর তাঁরা যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলেন।  ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অনলাইন পোর্টালে আবেদনের মাত্র এক মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে গেলেন নাগরিকত্বের শংসাপত্র। শংসাপত্র (CAA) হাতে পেয়ে সরকার পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকায় বাড়ি প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সহ আরএসএস এবং বিজেপি কর্মকর্তা সহ সকল নাগরিকদের মিষ্টি বিলি করা হয়।

    মোদি সরকারের জন্য মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব

    শ্রীকৃষ্ণবাবু বলেন, নিজে আবেদন করে দেখে নিলাম কোনও আইনি সমস্যা বা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি আছে কিনা। ১৭ মে আবেদন করেছিলাম। এত অল্প সময়ের মধ্যে আমি শংসাপত্র (CAA) হাতে পাব তা আশা করিনি। এটা অত্যন্ত সহজ এবং আইনি কোনও জটিলতা নেই। সকলকে আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেব। কারণ, এই মোদি সরকার কখনও তার নাগরিকদের সমস্যায় ফেলবে না। তবে, যে দেশে বাস করব সেই দেশের অনুমতি সহ থাকাই নিরাপদ। মোদি সরকারের জন্য এই দেশে মাথা উঁচু করে এবার বাঁচব।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন,  আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকদের খুব সহজ পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করেছে। যা অতীতে কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সপ্তম দফা লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) ভোট গ্রহণ পর্ব। এই পর্বে রাজ্যে মোট ৯টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই কেন্দ্রগুলি হল উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বারাসত, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, বসিরহাট, জয়নগর এবং যাদবপুর। কমিশন কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে ওয়েব কাস্টিং নিয়ে। ভোট গ্রহণের সময় ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ হলে ভোট গ্রহণও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যাপক মাত্রায় মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। 

    আসুন জেনে নিই কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কারা (Lok Sabha Election 2024)

    উত্তর কলকাতা

    উত্তর কলকাতা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) হলেন তিনবারের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে শেষ লোকসভা নির্বাচনে একাই ৫০% ভোট পেয়েছিলেন সুদীপ। বিজেপির রাহুল সিনহা ৩৭% ভোট পান। বিজেপির এই বারের প্রার্থী তাপস রায়, এবং কংগ্রেস-বাম সমর্থিত প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতা

    দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন মালা রায়। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রের মোট ৫৬ ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ২৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল।

    দমদম

    দমদম কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আগের বারের বিদায়ী সাংসদ সৌগত রায়। তিনি ২০০৯ সালে সিপিএম থেকে ছিনিয়ে নেন এই আসনটি। আবার বরানগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। অপরে এই কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024)  প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এবং বরানগর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ।

    বারাসত

    বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কাকালি ঘোষ দস্তিদার। তিনি একই কেন্দ্রের টানা তিনবারের সাংসদ ছিলেন। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন স্বপন মজুমদার এবং বাম প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।

    ডায়মন্ড হারবার

    ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে ৭.৯০ লাখ ভোটে জায়ী হয়েছিলেন তিনি। অপর দিকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। আবার বাম প্রার্থী প্রতীর উর রহমান।

    মথুরাপুর

    মথুরাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন আশোক পুরকায়স্থ। অপরে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন বাপি হালদার।

    বসিরহাট

    বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিবাদী চরিত্র রেখা পাত্র, তৃণমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম এবং সিপিএম প্রার্থী নীরাপদ সর্দার।

    জয়নগর

    জয়নগর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। বিজেপ প্রার্থী হয়েছেন আশোক কাণ্ডারী।

    যাদবপুর

    যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন সায়নী ঘোষ, বিজেপির অনির্বাণ গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।

    আরও পড়ুনঃভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    কত বাহিনী এই পর্বে?

    সপ্তমদফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণে রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনে বিশেষ জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সবরকম অশান্তিকে আটকাতে মোট ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু কলকাতাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাসতে থাকছে ৮১ কোম্পানি, বারাকপুরে ৮১ কোম্পানি আর বারুইপুরে থাকছে ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে বসিরহাটে ১১৬ কোম্পানি, ডায়মন্ডহারবারে ১১০ কোম্পানি, সুন্দরবনে ১১৪ কোম্পানি, বিধাননগরে ৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। অবাদ নির্বাচন করাই কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য। আগামী ৪ তারিখ হবে ভোট গণনা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share