Tag: Calcutta high court mandatory videography of recovery

Calcutta high court mandatory videography of recovery

  • Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এখন থেকে মাদক উদ্ধারের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদক মামলায় (Narcotics Related Case) কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা অভিযুক্তের কাছ থেকে বেআইনি কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি (Videography) করে রাখতে হবে। সম্প্রতি এই মর্মে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এই নির্দেশ অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    আদালত সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানায় মাদক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযুক্তের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ভিন্ন। তাঁরা বলছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে আদৌ কোনও বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার হয়নি। পরে পুলিশ জোর করে ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্টে সই করিয়েছে অভিযুক্তকে দিয়ে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র পেশের অভিযোগও উঠেছে। এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। মামলাকারীদের বক্তব্য জানার পর বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আজকাল সব পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকের কাছে স্মার্ট ফোন থাকে। তাই মাদক মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হলে কিংবা কোনও সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ডিং বা ভিডিওগ্রাফি করে রাখতে হবে পুলিশ আধিকারিকদের। কোনও পরিস্থিতিতেই এই নির্দেশ অমান্য করা চলবে না। আদালতের এই নির্দেশের বিষয়ে যাতে দ্রুত রাজ্যের সব থানাকে ওয়াকিবহাল করা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে রাজ্যের প্রত্যেক পুলিশ সুপারের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিতে হবে। সকলে আদালতের নির্দেশ মানছেন কিনা, পুলিশ সুপারদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

    যে মামলা ঘিরে এই রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ, লালগোলা থানা এলাকার সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম কবীর শেখ। তাঁর দাবি, মিথ্যা মাদক মামলায় পুলিশ ফাঁসিয়েছে তাঁকে। ‘ভুয়ো’ সিজার লিস্ট তৈরি করে জোর করে তাঁকে তাতে সই করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিনা ‘দোষে’ তাঁকে কারাবাসও করতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রমাণের অভাবে ইতিমধ্যেই কবীরের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

     

LinkedIn
Share