Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

    Calcutta High Court: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 
    এর আগে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। সেই ইস্যুতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি। আপাতত মামলা চলে গেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। পরবর্তী বিচারপতি নির্ধারণ করবে সেই বেঞ্চ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি, এমনটাই জানা গেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court) 

    উল্লেখ্য গত ৪ মে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) মনোনয়ন জমা দেন। তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ওইদিন হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ সেখানেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ করছিল। অভিযোগ, অনশনরত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের উপর হামলা করা হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও শুভেন্দু অধিকারীর মদতেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ।
    অন্যদিকে আবার গত ৫ মে তমলুকে অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। অস্ত্র আইনেও মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই ইস্যুতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসছে বর্ষা! সুখবর জানাল আবহাওয়া দফতর

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিজিৎ 

    নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান অভিজিৎ। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দেব-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দেব-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Calcutta High Court) ভোট চালাকালীন ফের দুর্নীতিকাণ্ডে বিতর্কে জড়ালেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্থিক দুর্নীতির কথা অভিযোগ উঠেছে। আদালত সূত্রে খবর, মৌসুমি সাঁতরা নামে একমহিলা ২০২২ সালে আশাকর্মীর পরীক্ষা দিয়ে মে মাসে ইন্টারভিউয়ের ডাক পান। এরপর ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্মীর মাধ্যমে রমাপদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। কিন্তু টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই তৃণমূল নেতা টাকা নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এই অভিযোগে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার এই বিষয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। 

    হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে ওঁই মহিলার কাছ থেকে। এরপর পুলিশের কাছে গেলে এফআইআর দায়ের করতে চায়নি। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওঁই মহিলা। এই মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই সপ্তাহেই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে। সবটাই বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) নির্বাচনে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    ভাইরাল অডিও-ক্লিপ

    স্থানীয় বাসিন্দারা এমন অভিযোগ নতুন নয়। আগেও ঘাটালে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি অডিও-ক্লিপ ‘ভাইরাল’ হয়েছে। এই অডিও-ক্লিপে রামপদের নাম শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলা দায়ের হওয়ায়, এই অভিযোগে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে রাজনীতির এক অংশের মানুষ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rashid Khan: এখনই ছাড়া পাবে না রশিদ, বউবাজার বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মামলা ছুটির পর শুনবে আদালত

    Rashid Khan: এখনই ছাড়া পাবে না রশিদ, বউবাজার বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মামলা ছুটির পর শুনবে আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বউবাজার বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রশিদ খানকে (Rashid Khan) মুক্তি দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনা হবে হাইকোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর। এ মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই ৩১ বছর জেল খেটেছে রশিদ খান ও তাঁর সঙ্গী খালিদ। ১৯৯৩ সালে বউ বাজারে বিস্ফোরণে (Bow Bazar Blast) ৬৯ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু।  

    আদালতে সওয়াল জওয়াব

    বিচারপতি সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বিস্ফোরণ (Bow Bazar Blast) মামলায় অভিযুক্ত রশিদকে (Rashid Khan) এপ্রিল মাসে মুক্তি দেওয়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আইনি জটিলতায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২৪ শে জুন পর্যন্ত তাঁর সাগরেদ মোহাম্মদ খালিদকে ছাড়ার সিঙ্গেল বেঞ্চের (Calcutta High Court) নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে রশিদ খানের আইনজীবী জানিয়েছেন, “অভিযুক্তের বয়স ৫৯ বছর। ১৫ বারের বেশি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। সামাজিক ক্ষেত্রে কোনও রকম ক্ষতিকর কিছু করেননি তিনি (Rashid Khan)। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন এই মর্মে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি আবেদন করতে পারেন যে ৩১ বছর ধরে তিনি জেলে আছেন। জেলে থাকাকালীন তার ভূমিকা ভাল ছিল। কিন্তু এই ধরনের কোন আইন কি রাজ্যে আছে? রাজ্যের কি কোন স্পষ্ট নীতি আছে? এই মর্মে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে এই মর্মে জানতে চেয়েছেন। প্রধান বিচারপতিকে এডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, “রিভিউ বোর্ডের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ১৯৯৩ সালের ঘটনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়। ৯ অক্টোবর ২০২৩ মেদিনীপুরের (Medinipur) জেল সুপার জানান রশিদ খানের (Rashid Khan) ব্যবহার খুবই ভাল জানিয়েছেন। কিন্তু কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে রশিদ খানকে ছাড়লে সমাজে তার প্রভাব পড়তে পারে। পরবর্তীতে এলাকায় ফের অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। যেভাবে মানুষের মধ্যে তিনি অতীতে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন সেদিকে তাকিয়ে তাঁকে ছাড়া উচিত নয়।”

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    ১৯৯৩ সালের সেই কালো রাত

    উল্লেখ্য ১৯৯৩ সালের ১৬ই মার্চ বাম আমলে ২৬৭ বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের দোতলা একটি বাড়িতে রাত্রিবেলা ভয়ংকর বিস্ফোরণ (Bow Bazar Blast) হয়। গোটা বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। সেই মামলায় কলকাতার তৎকালীন সাট্টার বেতাজ বাদশা রশিদ খানের (Rashid Khan) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। পুলিশের তরফ থেকে সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, “রশিদের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত ছিল তা কলকাতার একটা বড় অংশ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।” এই মামলাতেই রশিদের ছায়া সঙ্গে মোঃ খালিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ৩১ বছর জেল খাটার পর খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ডে আবেদন করেছিল। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি সব্যসাচীর ভট্টাচার্য তাঁকে এপ্রিল মাসে ১৫ দিনের মধ্যে ছাড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যের তরফে সেই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে দাবি করে এক মাসের জন্য নির্দেশ কার্যকর করার বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam case: রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের! আদালতে জানাল রাজ্য

    Ration Scam case: রেশন দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের! আদালতে জানাল রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার শিরোনামে রেশন দুর্নীতি। সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে রাজ্যে রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam case) এখনও পর্যন্ত ৮৭টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। দুটি মামলায় ত্রুটি আছে। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত চলছে বলে ওই রিপোর্টে জানিয়েছে রাজ্য। 

    ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল 

    অন্যদিকে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী ১৭ জুন আদালতে (Calcutta High Court) জবাব দেবে ইডি। ২৪ জুন পর্যন্ত রেশন দুর্নীতির ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। গাইঘাটা থানার একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সব রেশন দুর্নীতির মামলা ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলার (Ration Scam case)  তদন্তভার নিজেদের হাতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের কোন কোন থানায়, মোট কয়টি এফআইআর দায়ের হয়েছে, তার একটি তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির সেই দাবির ভিত্তিতেই সোমবার রাজ্যের আইনজীবী আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছেন।

    অভিযোগ পেয়েও চোখ কান বুজে বসেছিল পুলিশ

    এদিকে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam case) তদন্তে নেমে ইডির হাতে উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির টাকা পাঠানো হয়েছে বিদেশে। এদিকে দুর্নীতির তদন্ত যথাযথ হয়নি। উল্টে মূল এফআইআর রাজ্য পুলিশ নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। 

    আরও পড়ুন: মুখের মিলেই মিশরে ব্যাপক জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক অভিজিৎ

    প্রসঙ্গত, এর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam case) গত বছর ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরপর চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয় তাঁকে। ইডির দাবি, খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রেশন বণ্টনে দুর্নীতির কথা জানতেন জ্য়োতিপ্রিয়। এফআইআর দায়ের থেকে সিআইডি তদন্ত, চালকল-গমকল মালিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, সবই তাঁর নজরে ছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

    Primary Recruitment Scam: দেড় বছর জেলে, শীর্ষ আদালত থেকে খালি হাতে ফিরলেন মানিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাময়িক স্বস্তি স্বরূপ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও ভাগ্য খোলেনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Manik Bandyopadhyay) । কেজরি ফিরেছেন বাড়িতে। কিন্তু দেড় বছরের বেশি জেলবন্দী থেকেও বাড়ি ফেরা হল না প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আবেদন করেছিলেন মানিকবাবু। তার মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত (SC) ।

    কলকাতা হাইকোর্টে মেলেনি জামিন (Primary Recruitment Scam)

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বহুবার দরবার করেও মেলেনি জামিন। অগত্যা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিকবাবু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁকে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল জামিন পেতে গেলে হাইকোর্টেই দরবার করতে হবে। এই মামলায় তাঁর পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে আগেই জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মানিক হয়ত আশা করেছিলেন ছেলের মত তাঁকেও হয়ত জামিন দেওয়া হতে পারে। কিন্তু কপাল খুলল না। মানিকবাবুর বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেশ কিছু নথিও জমা দিয়েছিলেন মানিকবাবুর আইনজীবী। তাঁর দাবি এই নথি গুলি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়নি। শীর্ষ আদালত মানিক বাবুর আইনজীবীকে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে বলেছেন। সেখানেই চলবে মামলা (Primary Recruitment Scam)। ইডির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন মামলাটি হাইকোর্টে ফেরানো হলে তাঁদের তরফে কোন আপত্তি নেই।  

    আরও পড়ুন: বাংলায় বিজেপির ক্লিন স্যুইপ, ভোটের ফল নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    ২০২২ সাল থেকে জেলে মানিক

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেল হেফাজতের আবেদন জানায়। তার পর থেকে জেলেই আছেন মানিক। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশও দিয়েছিলেন। একই মামলায় মানিক বাবুর স্ত্রী ও পুত্রকেও হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। মানিক বাবুর স্ত্রী হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সৌভিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান। কিন্তু মানিক বাবুর আর ভাগ্য খুললো না। আপাতত জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ৩২৫ জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় ফেল করলেও তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন মানিক বাবুর নির্দেশে। তাঁদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন মানিকবাবু। এছাড়া আরো ১০ জন পরীক্ষার থেকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এখানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সীমিত নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাথমিক শিক্ষকের ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে ভুয়া সেন্টার চলছিল তাঁর অঙ্গুলিহেলনে এমনটাই অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘সুইটি’ বা ‘বেবি’ সবসময় যৌন আবেদন নয়! বিশেষ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘সুইটি’ বা ‘বেবি’ সবসময় যৌন আবেদন নয়! বিশেষ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিচিত বা প্রিয়জনকে আদর করে অনেকেই বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে। সেই নামে ডাকলেই সবসময় অন্য ইঙ্গিত বোঝায় না। কাউকে ‘সুইটি’ বা ‘বেবি’ বলে ডাকার অর্থ সর্বদা যৌন হয়রানি নয়। একটি মামলার শুনানিতে এমনই অভিমত পেশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কোস্টগার্ড বা উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক মহিলা কর্মী একটি মামলা করেন। সেখানেই প্রশ্ন ওঠে কাউকে ‘সুইটি’ বা ‘বেবি’ বলে ডাকার অর্থ কি যৌন হয়রানি বলে বিবেচিত হতে পারে? আর তাতেই এমন পর্যবেক্ষণের কথা শোনান বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।

    মামলার প্রেক্ষিত

    মামলায় কোস্টগার্ডের এক মহিলা কর্মী তাঁর এক সিনিয়রের বিরুদ্ধে নানাভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক তাঁকে ‘সুইটি’ এবং ‘বেবি’ বলে ডাকতেন, যা তিনি হেনস্থা বলে দাবি করেছেন। বিষয়টি সংস্থার আভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি পর্যন্ত পৌঁছয়। সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন তিনি যৌন হেনস্থা করার জন্য এই শব্দগুলি ব্যবহার করেননি। শুধু তাই নয়, ওই মহিলা এই সব কথায় প্রতিবাদ করেন, তারপর থেকে আর কখনও তিনি ‘বেবি’ বা ‘সুইটি’ বলে সম্বোধন করেননি।  তা শুনে ওই মহিলা প্রতিবাদ করেন এবং কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন। তখন থেকে আর ওই আধিকারিক ‘বেবি’ বা ‘সুইটি’ বলে ডাকেননি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এই মামলা চলাকালীন দুপক্ষের  কথা শুনে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, এই শব্দগুলি সবসময় যৌন অনুভূতির সঙ্গে জড়িত হবে সেটা নয়। আদালত এটাও উল্লেখ করেছে যে, অভিযোগকারী মহিলার আপত্তি করার পর অভিযুক্ত আর ‘সুইটি’ ও ‘বেবি’ শব্দের ব্যবহার করেননি। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য উল্লেখ করেন, ‘আইন অনুযায়ী যৌনতা সম্পর্কিত কোনও শব্দ ব্যবহার করা যায় না। এখানে তেমন কোনও শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। সুইটি, বেবি কোনওটিই যৌন সম্পর্কে ব্যবহার হয়েছে তা সবসময় বলা যায় না।’  তবে মহিলার অভিযোগ ছিল, শুধুমাত্র এভাবে সম্বোধন করাই নয়, তাঁর ঘরে উঁকিও দিতেন ওই অফিসার। কিন্তু ঘটনার অনেকদিন পর অভিযোগ জানান মহিলা, তাই কোনও সিসিটিভি ফুটেজ এ ক্ষেত্রে পায়নি তদন্ত কমিটি। 

    আরও পড়ুনঃ “শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর তুলে নিতে বলেছিল পুলিশ”, বিস্ফোরক রেখা পাত্র

    মামলার রায়

    আদালত (Calcutta High Court) উল্লেখ করেছে, অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে তাঁর সহকর্মীদের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাই নিজের পিঠ বাঁচাতে ওই মহিলা এমন অভিযোগ তুলছেন কি না,তা খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে ওই অভিযুক্ত অফিসারকে ছাড় দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত তদন্ত কমিটি নিয়েছে, তাতেই সমর্থন জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই ঘটনার প্রসঙ্গে হাইকোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যৌন হয়রানির অভিযোগের যদি অপব্যবহার করা হয়, তাহলে তা মহিলাদের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali news: সন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

    Sandeshkhali news: সন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে সন্দেশখালি। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali news) ভাইরাল হওয়া ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ‘ভুয়ো’ ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তার পর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার অনুমতি চেয়েছেন গঙ্গাধর। অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালির যে ভিডিও ভাইরাল (sandeshkhali viral video) হয়েছিল তাতে স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে তিনি নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। টাকার বিনিময়ে সেখানকার মহিলারা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অত্যাচারের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভিডিওতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গেছিল, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন অভিযোগকারী মহিলাদের। সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই সাজানো। ২০০০ টাকা দিয়ে তাদের ভুয়ো অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল।” এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে। 

    কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গঙ্গাধর

    এবার সেই ভিডিও ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন গঙ্গাধর। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইতমধ্যেই সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। তাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবেদন জানান। এই বিষয়ে বিচারপতি বলেন, “কী করে সিবিআই সরাসরি এই ভাবে মামলা নেবে? তাছাড়া সন্দেশখালির সব মামলা এখন ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের হোক। সোমবার শোনা হবে।” 

    আরও পড়ুন: ভোটের মধ্যেই হুগলিতে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে আয়কর হানা

    বিজেপির দাবি 

    এ প্রসঙ্গে যদিও ভিডিওটিকে প্রথম থেকেই ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূল ভুয়ো ভিডিও তৈরি করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali news) নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কমানোর চেষ্টায় রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: “রাজনীতি করবেন না”, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: “রাজনীতি করবেন না”, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট চলাকালীন সুপ্রিম (Supreme Court) দুয়ারে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই মামলার শুনানিতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এফআইআর করতে রাজ্যকে নিষেধ করেছে শীর্ষ আদালত। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    একটি পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে বিচারপতি সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে। এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। পরে ওই অভিযোগের তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে। সিআইডি আধিকারিকরা আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে-কে ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। চিঠির ছত্রে ছত্রে সিআইডি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দে’র অভিযোগ ছিল, তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা, দামী গাড়ি, বাড়ি-সহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখানো হয়। তাঁকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টি রাজ্যে, কলকাতা ছাড়া আরও আট জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস

    ৬৪ বছরের এক বিধবা এবং তাঁর মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছিল তারা। তার পর ডিসেম্বরে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আবার জানায়, পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে। শুক্রবার খারিজ হয়ে গেল সেই মামলাই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এফআইআর করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে আদালত। যদিও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, মামলাটিতে পুলিশের স্ট্যাটাস রিপোর্ট এবং চার্জশিট নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না তারা। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন, রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এফআইআর দায়ের নিয়ে রাজনীতি করবেন না। চার্জশিট দাখিল হয়ে গিয়েছে, আইনকে আইনের পথে চলতে দিন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: সন্দেশখালির মতো আমারও ‘জাল ভিডিও’ বাজারে ছাড়া হবে, আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: সন্দেশখালির মতো আমারও ‘জাল ভিডিও’ বাজারে ছাড়া হবে, আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির আসন থেকে পদত্যাগ করে একেবারে রাজনৈতিক ময়দানে বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়াই করতে নেমেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক ছিলেন তিনি। বিচারকের আসনে বসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। রাজ্যের তৃণমূল শাসকের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সিদ্ধান্তেই একাধিক দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা আজ জেলে পৌঁছে গিয়েছেন। এবার এই বিচারপতি রাজ্যের নির্বাচনী আবহে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল চক্রান্ত করে ফেক ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর এই কথায় রাজনীতির আঙ্গিনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কি বলেছেন অভিজিৎ (Abhijit Ganguly)?

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) এদিন সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে যেমন জাল ভিডিও তৈরি করা হয়েছে, সেরকম জাল ভিডিও কাঁথি এবং তমলুকের প্রার্থীদের সম্পর্কে তৈরি করা হয়েছে। কাঁথির সৌমেন্দু অধিকারী এবং তমলুকের প্রার্থী আমি… আমাদের বিরুদ্ধে তৃণমূল চক্রান্ত করছে। সম্ভবত এটা খুব দ্রুত বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে। মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তৃণমূলের একমাত্র কাজ। এই রকম ভিডিও এলে কেউ যেন গুরুত্ব না দেন।”

    আরও পড়ুনঃ “তৃণমূল অপপ্রচার করতে এই সব ফেক ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে”, তোপ সুকান্তর

    আর কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে তমলুক বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) আরও বলেন, “যদি ভিডিও দেখার পর কোনও ব্যক্তির মনে যদি সংশয় হয় তাহলে আমার কাছে আসবেন, আমাকে জিজ্ঞেস করবেন। আমি পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেবো। এই ভিডিও কীভাবে জাল তা আমি বুঝিয়ে দেবো।” এই তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট হল আগামী ২৫ মে, ষষ্ঠ দফায়। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর এমন আশঙ্কার কথায় রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে গোটা জেলায়।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC: মোদির নির্দেশের পরই বড় সিদ্ধান্ত, যোগ্য শিক্ষকদের জন্য চালু বিশেষ পোর্টাল

    SSC: মোদির নির্দেশের পরই বড় সিদ্ধান্ত, যোগ্য শিক্ষকদের জন্য চালু বিশেষ পোর্টাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ভোট প্রচারে এসে যোগ্য অথচ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নির্দেশ অনুসারে এই রাজ্যে তৈরি হয়েছে বিজেপির লিগ্যাল সেল। এবার এই লিগ্যাল সেল, যোগ্য অথচ এসএসসিতে (SSC) চাকরি হারাদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য চালু করা হল বিশেষ পোর্টাল। গতকাল বুধবার পূর্ব বর্ধমান থেকে জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে এই পোর্টাল উদ্বোধন করেছেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমিক ভট্টাচার্য।

    বিজেপির বক্তব্য (SSC)

    কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশেন বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি (SSC) মামলা গেলে ২৬ হাজার শিক্ষক বাতিলের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন প্রধান বিচারপতি। আদলাত জানিয়েছে, এখনই কাউকে টাকা ফেরত দিতে হবে না। তবে মুচলেকা দিতে হবে যে নিয়োগ বেআইনি প্রমাণিত হলে অযোগ্যদের টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু আগেই বিজেপির পক্ষ থেকে যোগ্যদের আইনি সাহায্যের কথা বলা হয়েছিল। এবার এই পোর্টাল চালু করা হল। এই পোর্টাল চালু করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “যাঁরা সত্যিকারের মেধাবী আমরা তাঁদের পাশে আছি, আমরা তাঁদের সাহায্য করব। দলের তরফ থেকে আমরা সকলকে সাহায্য করব। এই নিয়ে পোর্টালের পাশাপাশি একটা হেল্পলাইনের নম্বর ঠিক করেছি আমরা। হেল্পলাইনের নম্বর হল  ৯১৫০০৫৬৬১৮। ওয়েব সাইড হল ডাব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ ডট বিজেপি লিগাল সাপোর্ট ডট ওআরজি।”

    মোদির নির্দেশ

    রাজের নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলে ছিলেন, “এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগে অনেক যোগ্য ব্যক্তিরা দারুণ অসুবিধায় পড়েছেন। বাংলার বিজেপির সভাপতিকে বলেছি, একটি লিগ্যাল সেল ও একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে। যোগ্য শিক্ষকদের জন্য সব রকম আইনি সহায়তা করবে বিজেপি। আর এটাই মোদির গ্যারান্টি।” 

    আরও পড়ুনঃদিলীপ ঘোষের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা, বর্ধমানে উত্তেজনা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share