Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: এসএসসি-র প্রাক্তন কর্তাদের বিচার শুরুর অনুমতি কে দেবেন? মুখ্যসচিবকে জানাতে বলল হাইকোর্ট

    SSC Scam: এসএসসি-র প্রাক্তন কর্তাদের বিচার শুরুর অনুমতি কে দেবেন? মুখ্যসচিবকে জানাতে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারও  আদালতে সুরাহা হল না, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এসএসসি কর্তাদের (SSC Scam) বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি কে দেবেন তা নিয়ে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এ বিষয়ে মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকের মত জানতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে আইন কী বলছে! তা রাজ্যকে আদালতে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    নিয়োগ কর্তা কে?

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তি প্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র সরকার, অশোক সাহার মতো এসএসসির (SSC Scam) প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং সেক্রেটারিদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কে দেবেন তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ধোঁয়াশা চলছে। আদালতের নির্দেশের পরেও নানা কারণ দেখিয়ে এদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই জানাননি মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্ট এ নিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে। কিন্তু গত শুনানিতে অভিযুক্তদের এক আইনজীবী বলেন, ‘‘শান্তি প্রসাদ সহ বেশ কয়েকজনের নিয়োগ কর্তা রাজ্যপাল নিজে। এরফলে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেওয়ার এক্তিয়ার মুখ্য সচিবের নেই।’’

    কী বলছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী?

    এদিন মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের (SSC Scam) আইনজীবী ধীরাজ ত্রীবেদী দাবি করেন, ‘‘আইন অনুসারে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আবেদন মুখ্যসচিবের কাছেই পাঠাতে হবে। তিনি রাজ্যপালের কাছে সেই আবেদন পাঠাবেন।’’

    কী বললেন বিচারপতি?

    এর পর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে আদালত বলে, ‘‘মুখ্যসচিব রাজ্যপালকে সুপারিশ করতে পারেন কি না তা তাঁকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে আইন ঠিক কী বলছে তা আদালতকে (SSC Scam) জানাতে হবে রাজ্যকে।’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘এমনও হতে পারে, পদাধিকারবলে রাজ্যপাল এদের নিয়োগকর্তা হলেও বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি মুখ্যসচিবের হাতে ন্যস্ত থাকতে পারে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। ওই দিন মুখ্যসচিবকে আদালতে তাঁর জবাব জানাতে হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষকদের আদর্শ আচরণবিধি নিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শিক্ষকদের আদর্শ আচরণবিধি নিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আচারণ কেমন হওয়া উচিত তা স্পষ্ট করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এক নির্দেশিকায় শিক্ষকদের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে না পড়ারও পরামর্শ দিয়েছে। যে কোনও বিষয়ে রাজনীতি টেনে আনতে মানা করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানি চলাকালীন,  শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কেমন আচরণ মেনে চলতে হবে, সেটি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা দত্ত (পাল)। 

    বিচারপতির নির্দেশিকা

    ১। শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন: শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও সুবিচার দিন। সর্বাত্মক এবং পড়াশোনার সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলুন।

    ২। দক্ষতা: পড়ুয়াদের পাঠ্য বিষয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা অবলম্বন এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতির ক্ষেত্রেও তার পরিদর্শন জরুরি। 

    ৩। সততা: সততার সঙ্গে পেশাকে বেছে নিন এবং শিক্ষাগত ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবলম্বন করুন।

    ৪। পেশাদারিত্ব: শিক্ষার্থী, সহকর্মী এবং কর্মীদের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনায় যথাযথ সীমানা এবং আচরণ বজায় রাখুন।

    ৫। ন্যায্যতা এবং নিরপেক্ষতা: পড়ুয়াদের পড়াশোনা ও কাজকে ইতিবাচক চোখে দেখা এবং গঠনমূলক সদুপদেশ দেওয়া।

    ৬। ধারাবাহিক উন্নতি: পেশাদারি অগ্রবর্তন অর্থাৎ নিজেকে আধুনিক রাখা যাতে আপনার পাঠ্য বিষয়ে কোথায় কী ঘটছে তা যেন আপনার নখদর্পণে থাকে।

    ৭। সহকর্মীদের প্রতি সহানুভবতা: সহকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখা এবং শিক্ষা মহলে ইতিবাচক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।

    ৮। প্রাতিষ্ঠানিক নীতির প্রতি দায়বদ্ধতা: শিক্ষা, গবেষণা ও পড়ুয়াদের সহায়তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মনীতি অনুসরণ ও পালন করে চলা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অনেক লোককে আজকাল কেনা–বেচা যায়’’, সন্দেশখালির ভিডিও নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    কোন মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ

    হুগলি উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপালের এক আবেদনের শুনানিতে আদালত এই সুপারিশগুলি দিয়েছে। অধ্যক্ষা তাঁর বিরুদ্ধে আনা কলেজেরই এক অধ্যাপিকার মানহানির মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘রাজনৈতিক প্রভাবে শিক্ষা প্রদানের প্রাথমিক উদ্দেশ্যকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়। এই বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার পরিপন্থী। আদালত বলেছে,’এই মামলায় লিখিত অভিযোগে বর্ণিত তথ্যগুলি ধারা ৪৯৯ এর অধীনে নির্ধারিত নবম ব্যতিক্রমের আওতায় আসে এবং এইভাবে ৫০০ ধারার অধীনে অভিযুক্ত অপরাধ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি বর্তমান মামলায় স্পষ্টভাবে অনুপস্থিত।’ সমস্ত নথি পরীক্ষা করে আদালত (Calcutta High Court) বলেছে, অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বা জ্ঞান বা বিশ্বাস নিয়ে অভিযোগকারীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হতে পারে এমন কোনও কাজের প্রমাণ নেই। মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ১৭ বার বেআইনি কাজে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। আর তাই যোগ্য-অযোগ্যদের পার্থক্য করতে না পারায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটা বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় একই সমস্যার বিষয় এসেছে বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার এজলাসে। এই মামলায় বিচারপতি সিবিআই-এর রিপোর্টে অনেক বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। এই মামলায়ও টেটে পাশ করা এবং ফেল করা প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ফলে বিচারপতির প্রশ্ন টেটের পরীক্ষা কি আদৌ বৈধ ছিল?

    বিচারপতির প্রশ্ন কী (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা জানতে চেয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কি কখনও আলাদা করে আদলাতে পাশ এবং ফেল করা প্রার্থীদের তালিকা জমা দিয়েছে? না দিলে তালিকা জমা দেওয়ার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে? তিনি আরও জানতে চান, যাদের টেটের ফলাফলে ভূয়ো ওয়েবসাইটে নাম দেখানো হয়েছে, যারা ভূয়ো ইমেলে চাকরির জন্য টাকা দিয়েছে তাদের কি যোগ্য বলে গণ্য করা হবে? বিচারপতি অবশ্য এখনই কোনও রায় দেননি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কিছু প্রশ্ন করেন। আগামী জুন মাসে এই মামলার ফের শুনানি হবে।

    চাকরিপ্রার্থী আইনজীবীদের বক্তব্য

    এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থী আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “কারা টেট পাশ করে ছিল এবং কারা টেট পাশ করেনি এই বিষয়ে পর্ষদের কাছে কোনও উত্তর নেই। এখনও পর্যন্ত পৃথক করে দেখাতে পারেনি কোর্টে (Calcutta High Court)। তবে যাদের কাছে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি আছে তাদের পাশ-ফেল নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়।”

    আরও পড়ুনঃ ৫০-৬০ কিমি বেগে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, উত্তাল হতে পারে সমুদ্র, সতর্কতা জারি দক্ষিণবঙ্গে

    ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা!

    ২০১৬, ২০২০, ২০২২ সালের নিযুক্ত শিক্ষকেরা অনেকেই ২০১৪ সালের টেটে পাশ করেছিল। আদলাতে আইনজীবীরা জানিয়েছেন, উত্তরপত্রের ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছেনা। পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে পর্ষদ যে বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে উত্তরপত্র দেখার দায়িত্ব দিয়েছিল, সেই উত্তরপত্র স্ক্যানে গোলমাল হয়েছে। এই কোম্পানি কেন উত্তরপত্র স্ক্যান করে পর্ষদের সরকারি ইমেলে না পাঠিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের ইমেলে পাঠিয়ে ছিল? ফলে দুর্নীতি ছত্রে ছত্রে হয়েছে অনুমান করা হচ্ছে। তাই ২০১৪ সালের টেটের রায় শেষ পর্যন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA Investigation: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের করল এনআইএ, বিপাকে রাজ্য

    NIA Investigation: দাড়িভিট-ময়না হত্যাকাণ্ডে অবশেষে এফআইআর দায়ের করল এনআইএ, বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাড়িভিট ও ময়নাহত্যাকাণ্ড ঘটনার তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ (NIA Investigation)। রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিক, ঠিক এমনটাই দাবি করে আদালতে আবেদন করেছে এনআইএ। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থে এই দুই জায়গার ঘটনার তদন্ত একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার উপর অনেকটাই চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে ওয়াকিবহল মহল। বিজেপি অবশ্য প্রথম থেকেই রাজ্যের তদন্তে খুশি নয় বলে জানিয়েছিল।

    ২০১৮ সালে দাড়িভিট হত্যাকাণ্ড হয় (NIA Investigation)

    উত্তর দিনাজপুরে দাড়িভিটে এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার ঘটনায় রাজ্য পুলিশ এবং সিআইডি প্রথমে তদন্ত শুরু করেছিল। ঘটনায় মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ২০ সেপ্টেম্বর উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরে দুই জন ছাত্র পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। আবার ২০২৩ সালে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কে (NIA Investigation)। ঘটনার আগের তদন্তের সকল নথি পেতে তদন্তকারী সংস্থা এই এফআইআর করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ফের প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন অমিত শাহ

    বিজেপির দাবি

    এই দুই জায়গার ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের দিকে নিশানা করে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে লোকসভার ভোটের মধ্যেই এনআইএ-র ভূমিকা নতুন করে শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। দুটি ঘটনায় দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ একান্ত ভাবে জড়িত বলে মনে করে তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই এই বিষয়কে নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করতে চায় তাঁরা। গতবছর ১০ মে কলকাতা হাইকোর্ট দাড়িভিট হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-কে। কিন্তু এক বছর হতে চলল পুলিশ কোনও রকম তদন্তে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ তুলেছে এনআইএ (NIA Investigation)। কিন্তু রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছিল এনআইএ তদন্তের। ফলে আগামী দিনে তদন্ত কোন পথে এগিয়ে যায় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার একটি মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা করছে না রাজ্য।

    রাজ্যকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে তদন্তে দেরি হবে। এর পরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের কাছে সিবিআই যেসব নথি চেয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে সেসব নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেখানে হতাশ হতে হয়েছে রাজ্যকে। হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। রাজ্যকে সহযোগিতা করতে হবে এটাই কাম্য।” প্রধান বিচারপতি জানান, সিবিআই যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা অত্যন্ত গোপনীয়। তবে জমি দখলের তদন্তে রাজ্যকে যাবতীয় সাহায্য করতে হবে সিবিআইকে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজ্য সরকারকে আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে হবে। নিজেদের কৌশল প্রয়োগ করে সন্দেশখালির ঘটনায় সাক্ষীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য বের করে আনতে হবে। তার জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দায়িত্বও নিতে হবে সিবিআইকে। প্রয়োজনে মহিলা আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিনই সিবিআইকে ফের পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকার রাস্তায় এলইডি লাইট ও সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে ব্যাপারে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ না করায় প্রধান বিচারপতির হুঁশিয়ারি, আগামী শুনানির আগে যদি রাজ্য প্রশাসন ওই বিষয়ে পদক্ষেপ না করে, তাহলে ইস্যু করা হবে আদালত অবমাননার রুল। এদিকে, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলায় যুক্ত হয়ে হলফনামা দিতে পারবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: রাতে শেষ মেট্রোর সময়সীমা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাতে শেষ মেট্রোর সময়সীমা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মেট্রোর(Kolkata Metro) সময় বাড়ানো নিয়ে কলকাতা মেট্রো রেলকে বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ‘শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হোক’-কদিন আগে এই আবেদন জানিয়েই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আকাশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল ডিভিশন বেঞ্চে। 

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানায়, অন্য শহরে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যায়। বিশাল সংখ্যক মানুষ কলকাতায় কাজ করেন। কিন্তু অনেকে শহর থেকে অনেক দূরে থাকেন। তাঁদের কথা ভেবে শেষ মেট্রোর (Kolkata Metro) সময় বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জনস্বার্থ মামলাকারীকে চার সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে বলেও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে।

    যাত্রীদের সমস্যা (Calcutta High Court)

    কলকাতা মেট্রোয়(Kolkata Metro) ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়া রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ। তারপর আর আর কোনও মেট্রো না থাকায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে বিকল্প পথ ধরতে হয় যাত্রীদের। ফলে ঘুর পথে বাড়ি ফিরতে কার্যত অসুবিধায় পড়ে যাত্রীরা। আসলে মেট্রোরেলে যে রাস্তা এক ঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়, সেই রাস্তাই অন্য যানে যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। তাই আরও একটু বেশি সময় মেট্রো রেলের পরিষেবা বাড়ানো গেলে অনেক যাত্রীই সুবিধ পাবেন, এই আবেদন রেখেই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে।  

    আরও পড়ুন: এপ্রিলে রেকর্ড কালেকশন জিএসটির! সরকারি কোষাগারে ঢুকল ২ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা

    মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য 

    যদিও এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হচ্ছে না। তবে আদালতের এই নির্দেশের (Calcutta High Court) পর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ(Kolkata Metro) তাদের সিদ্ধান্ত বদলায় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের এসএসসির পর প্রকাশ্যে তৃণমূল জমানার আরও এক কেলেঙ্কারি! ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়মের ইঙ্গিত। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রকাশ (Calcutta High Court), নকল ওয়েবসাইট বানিয়ে বাইরের লোক নিয়োগ করে ফেল করাদের পাশ দেখিয়ে নিয়োগ-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। ওই টেটে কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে সবিস্তারে তার তথ্য সিবিআইয়ের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।

    চার দফায় নিয়োগ (Calcutta High Court)

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের (Calcutta High Court) টেট পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে। মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর ওপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে। আইনজীবীদের আশঙ্কা, গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আট সপ্তাহ পরে। তার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    কী বললেন বিচারপতি?

    ২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগে জনৈক রাহুল চক্রবর্তী-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, সিবিআইকে ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজতে হবে, নচেৎ বাতিল করে দেওয়া হবে ২০১৪ সালের টেট। এই মামলায় সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তখনই আদালত জানিয়েছিল, তথ্যের খোঁজে প্রয়োজনে সিবিআই ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে।

    আরও পড়ুুন: গোদরেজ পরিবারে ভাঙন, বাঁটোয়ারা হল সম্পত্তি, কার ভাগে কী?

    এদিন বিচারপতি মান্থার কড়া নির্দেশ, সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। ডিজিটাল ডেটা বের করার নির্দেশও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। ডিজিটাল ডেটা ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য সিবিআইকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়ার ছাড়পত্রও দেন বিচারপতি মান্থা। সিবিআই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজে আনতে পারে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, এই মামলায়ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে ডিজিটাল ভার্সান সংরক্ষিত রয়েছে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Recruitment: এসএসসি মামলায় প্যানেল বাতিল! স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Recruitment: এসএসসি মামলায় প্যানেল বাতিল! স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ (SSC Recruitment) দিল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের এজলাস জানিয়েছে, আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। এর ফলে চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রইল। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’’

    শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এর পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালত এদিন পর্যবেক্ষণে (SSC Recruitment) বলে, ‘‘কেন সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল?’’ এদিন চাকরিহারাদের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, নির্বাচনের ডিউটিতে অনেকেই রয়েছেন তাই এই মামলার স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। কিন্তু তা শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে এসএসসির তরফ থেকে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার বিষয়ে বলা হয়। সেক্ষেত্রে বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রশ্ন করেন, ‘‘ওএমআর শিট তো সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করা হয়েছে, তাহলে কীভাবে আপনারা কারা যোগ্য সেটাকে আলাদা করবেন!’’ তবে ওএমআর শিট সম্পূর্ণ হবে নষ্ট হয়ে গেলেও আজব দাবি জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং তাদের আইনজীবী বলেন, ‘‘আমরা যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে প্রস্তুত রয়েছি।’’

    সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত এসএসসি

    রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতের এদিন সওয়াল করে বলেন, ‘‘এই সময় নির্বাচন চলছে, এখন সিবিআই তদন্ত করলে পুরো মন্ত্রিসভা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি নিয়ে তদন্তে স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য (SSC Recruitment)। সুপ্রিম কোর্ট তা মঞ্জুর করে। এসএসসির আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে প্রশ্ন তোলেন জানান, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও ২৩ হাজার চাকরি কেন বাতিল করা হল?’’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’

    হাইকোর্টের রায়

    প্রসঙ্গত, সোমবারই এসএসসি মামলা (SSC Recruitment) ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ বাতিল করে দেয়। কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির রায়ের ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন  শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে যায়। সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, তাদেরকে ১২ শতাংশ সুদসহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC recruitment Verdict: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    SSC recruitment Verdict: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় (SSC recruitment Verdict) দেবে দেশের শীর্ষ আদালত। মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একসঙ্গে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে। কলকাতা হাই কোর্টের (calcutta high court) চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এরপর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবারই সেই মামলারই শুনানি হতে পারে।

    প্রধান বিচারপতির বেঞ্চই শুনবে এই মামলা (SSC recruitment Verdict)

    শনিবার সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানানো হয়, আগামী সোমবার, ২৯ এপ্রিল এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল (SSC recruitment Verdict) মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুনবে এই মামলা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাকবেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে।

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC recruitment Verdict) বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ঐতিহাসিক রায়দানের পরই ২০১৬ সালের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও ডি-এর সব নিয়োগ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি অনিময় করে যারা চাকরি পান তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। হাই কোর্টের (calcutta high court) চাকরি বাতিলের এই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল স্পেশাল লিভ পিটিশনও।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বাগুইআটিতে খুন তৃণমূল কর্মী! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক ১৩

    ৩ মে শুনানি

    যদিও আগে জানা গিয়েছিল আগামী ৩ মে এসএসসি মামলায় (SSC recruitment Verdict) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এদিন চূড়ান্ত দিন স্থির করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার রায়দান করতে গিয়ে হাইকোর্ট জানায়, বারংবার যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা কমিশনের কাছে চাওয়া হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। বাধ্য হয়ে আদালতকে গোটা প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাম নবমীর মিছিলে বোমাবাজি হয়েছে, স্বীকার রাজ্যের, রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: রাম নবমীর মিছিলে বোমাবাজি হয়েছে, স্বীকার রাজ্যের, রিপোর্ট জমা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের মতো চলতি বছরের রাম নবমীতেও (Calcutta High Court) রাজ্যের একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। সব থেকে বড় ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, বেলডাঙা প্রভৃতি জায়গায়। হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। রাম নবমী সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল শুক্রবারই। রাম নবমীর অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকার ও পুলিশ সুপার আলাদাভাবে দুটি রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছে। এদিন হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ সেখানে বোমাবাজি ঘটনা কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

    বোমাবাজির অভিযোগ 

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের শান্তিপুর এলাকায় যখন মিছিল যাচ্ছিল, তখনই বাড়ির ছাদ থেকে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি মিছিলে বোমাবাজিও করা (Calcutta High Court) হয়। এই ঘটনার বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে র‌্যাফ নামাতে হয়।

    পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে

    প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে বহরমপুরের অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল। শুক্রবারই সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে। জানা গেছে রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পরে এনআইএকে এই বিষয়ে আলাদাভাবে একটি রিপোর্ট (Calcutta High Court) জমা দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১০ মে।

    উদ্বেগ প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    এর আগেও এ নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল এবং তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘যেখানে মানুষ আট ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, সেখানে এই মুহূর্তে ভোটের প্রয়োজন নেই। কে এই ঘটনায় প্ররোচনা দিল, তা জানা দরকার।’’

    কী জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী

    মামলাকারী আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু সরকার জানান, সিআইডি-র তরফে ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। সেই রিপোর্ট দেখার পরই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। ১০ তারিখ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share