Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • SSC Scam: হঠাৎ কেন ওএমআর সংরক্ষণের সময় কমানো হয়েছিল ২০১৬-তে? উত্তর নেই এসএসসির কাছে

    SSC Scam: হঠাৎ কেন ওএমআর সংরক্ষণের সময় কমানো হয়েছিল ২০১৬-তে? উত্তর নেই এসএসসির কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ্য়দের সংখ্যা থেকে শুরু করে কেন ওএমআর এর সংরক্ষণের সময় কমিয়ে ১ বছর করা হল এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে এমন অনেক প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেলেই এত লোককে চাকরি হারাতে হত না মনে করছে রাজ্যের শিক্ষামহল। আসল ওএমআর থাকলে আইনি প্রক্রিয়া এত জটিল হত না, বলে দাবি আইনজীবীদের। আগে দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা হত ওএমআর। কিন্তু ২০১৬ সালের তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যানের আমলে নিয়ম পরিবর্তন করে ১ বছরের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে ওএমআর। আসল ওএমআর এর স্ক্যানড কপি সিস্টেমে থাকলে অনেক আগেই যোগ্য-অযোগ্যের বাছাই সম্ভব হত। প্রশ্ন উঠছে দুর্নীতি আড়াল করতেই কি এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।

    ওএমআর সংরক্ষণ

    এসএসসি-র (SSC Scam) দাবি, অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছিল ৫২৫০ জনকে। কিন্তু হাইকোর্ট ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দেয় ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের। কিন্তু এসএসসি যাঁদের অযোগ্য বলেছিল আদালতের প্রশ্ন ছিল বাকিরা যে যোগ্য তার প্রমাণ কী? এর কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। বরং এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার মানছেন, ‘‘বাকিরা যে প্রত্যেকে যোগ্য, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই। পুরোপুরি শংসাপত্র দিতে পারব না।’’ আগে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংরক্ষণের নিয়ম ছিল তিন বছর। হঠাৎ ২০১৬ সালেই তা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল কেন? এবারও নিরুত্তর এসএসসি চেয়ারম্যান। । চাকরিহারা এবং চাকরিপ্রার্থীদের আক্ষেপ, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য এসএসসি-র নেওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্র সংরক্ষিত থাকলে হয়তো ২০১৬-তে নিযুক্ত সকলের চাকরি বাতিল করতে হত না হাইকোর্টকে। তাঁদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে কারা যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছিলেন, তা বোঝা যেত।

    আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর দেখা নেই, কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি!

    দুর্নীতিই কি উদ্দেশ্য

    ২০১৬ সালের পরে এসএসসি-তে (SSC Scam) নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা আর হয়নি। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াই সম্প্রতি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ২০১৬-র উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করার পরে তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। কেন? তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে মেনেছেন যে, উত্তরপত্র সংরক্ষিত থাকলে হয়তো আইনি জটিলতা তৈরি হত না। তিনি জানান, ২০১৬ সালেই বদল করা হয়েছিল উত্তরপত্র সংরক্ষণ নীতি। সে বারই ওএমআর শিটের উপরে উত্তর লেখাও শুরু হয়। তার আগে এসএসসি-র উত্তরপত্র তিন বছর সংরক্ষণের নিয়ম ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যেই ২০১৬-তে উত্তরপত্র সংরক্ষণের সময় কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেয়নি এসএসসি। আর তাতেই গোটা প্যানেল বাতিল করতে হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরও প্যাঁচে ‘কালীঘাটের কাকু’, সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই

    CBI: আরও প্যাঁচে ‘কালীঘাটের কাকু’, সুজয়কৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলেছে এমনটাই আদালতে জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেই আবহে জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য বুধবার কলকাতার বিচার ভবনের বিশেষ আদালতে আবেদন করেছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে তদন্তের জন্য তাঁকে জেরা করার প্রয়োজন আছে জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই (CBI)। এমনকি এই মামলায় দ্রুত অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কেও জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। আরও জানা গেছে আলিপুর আদালতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে এনিয়ে নগর দায়রা আদালত।

    রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কলকাতার ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে একটি মুখ বন্ধ খামে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট তাদের দফতরে আসে বলে ইডি সূত্রে খবর। এরপর সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালীন তদন্তের স্বার্থে কয়েকটি বিষয় প্রকাশ্যে আনেননি। তবে দুই পক্ষের কথোপকথন থেকে জানা যায় কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট মিলেছে। তবে সেই রিপোর্টে খুশি নয় আদালত। কারণ কণ্ঠস্বর মেলার পর যা করণীয় তা করা হয়নি এমনটাই মনে করেছে আদালত। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কল রেকর্ডিং এবং পরে সংগ্রহ করা কণ্ঠস্বরের নমুনা ইতিবাচক রয়েছে একথা আদালতে জানানো হলেও যার সঙ্গে কথা সুজয়ের কথা হয়েছিল তাঁকে এখনও হেফাজতে নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট চলে আসায় সেই জটিলতা অনেকটাই কেটে গেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর।

    গ্রেফতার হওয়ার পর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের দীর্ঘদিন ঠিকানা ছিল হাসপাতাল

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দীর্ঘদিন ঠিকানা ছিল হাসপাতাল। অসুস্থতার অজুহাতে কখনও সরকারি আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতালে থেকেছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। মাঝে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর হার্টে অস্ত্রপচার করা হয় বলে জানানো হয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে ইডি। যদিও জিজ্ঞাসাবাদে কী উঠে এসেছে তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত ৩ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Tet 2022: প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে ভুল, খতিয়ে দেখেতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চাইল হাইকোর্ট

    Primary Tet 2022: প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে ভুল, খতিয়ে দেখেতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট (Primary Tet 2022) পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র নিয়ে পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশ্নপত্র যাচাইয়ে  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার তদন্তে বিশ্বভারতী বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাহায্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বলল আদালত

    ২০২২ সালে টেট (Primary Tet 2022) পরীক্ষায় মোট ২৩টি প্রশ্ন নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই ২৩ টি প্রশ্নের উত্তর নতুন করে যাচাই করতে যাদবপুরের উপাচার্যকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে যাবতীয় নথি উপাচার্যকে দিতে হবে। তিনি কমিটিকে দিয়ে ওইসব প্রশ্নের সঠিক জবাব কি হতে পারে সে ব্যাপারে নিজেদের মতামত এক মাসের মধ্যে কোর্টকে জানাবেন। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানিতে এই ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। ২০১৭ সালের মতো ২০২২ সালের প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার তাঁদের হয়েই আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    আগেও প্রশ্নে ভুল

    ২০১৭ সালের টেটে (Primary Tet 2022) ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল কি না, তা নিয়ে বুধবারই কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। তিনি জানান, টেটে প্রশ্নপত্র ভুল ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটি গঠন করবেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রাথমিকভাবে, প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় ১৩টি প্রশ্নে ভুল আছে বলে জানা গিযেছিল। এরপর জানা যায়, ১৩ নয় ১৫টি প্রশ্নে ভুল আছে। সেই সংখ্যা বেড়ে ২১টি হয়ে যায়। সবশেষে এখন নতুন করে যে মামলা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন ভুলের সংখ্য়া বলা হচ্ছে ২৩টি। ১৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ২৩টি প্রশ্নেই ভুল কী করে হয়, বিষয়টি নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাল থেকে কাঁকর বাছতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি খুইয়েছেন ২৬ হাজার জন (SSC Recruitment Scam)। এই ভিড়ে যোগ্যদের পাশাপাশি রয়েছেন অযোগ্যরাও, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের এজেন্টদের টাকা দিয়ে চাকরি বাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যোগ্যদের চাকরি কেন বাতিল হল, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন চাকরি খোয়ানো ‘শিক্ষক’দের একাংশ।

    মাঠে সিবিআই (SSC Recruitment Scam)

    এহেন আবহে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেই খবর। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মর্মে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেলেঙ্কারির গোড়ায় পৌঁছতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    কেলেঙ্কারি কবুল 

    শিক্ষক নিয়োগে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। তবে বাঁকা পথে কারা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই অযোগ্যদের নাম বলেননি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই একই মর্মে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল সিবিআই (SSC Recruitment Scam)।

    সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খোয়া যায় প্রায় ছাব্বিশ হাজারজনের। এই সময়ই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই যেমন অতিরিক্ত নিয়োগে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত করতে পারবে, তারা অযোগ্যদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও পারবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। বুধবারই এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার বড় প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এদিকে, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি করে ফর্ম পাঠিয়েছেন ডিআইরা। কোন স্কুলে কতজন চাকরি খুইয়েছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ডিআইদের তরফে। দ্রুত ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    Calcutta High Court: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা সন্দেহ করা হয়েছিল, তা মিলে গিয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনই বলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সন্দেহের স্বপক্ষেই রিপোর্ট এসেছে বলে দাবি ইডির।

    কী বলল আদালত? (Calcutta High Court)

    তবে কথোপকথনের সঙ্গে কার কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়েছে, তা জানায়নি ইডি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেয়েছে ইডি। সেই রিপোর্টই জমা দেওয়া হল এদিন। যদিও ইডির জমা দেওয়া কণ্ঠস্বরের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডির রিপোর্ট সংক্ষিপ্ত বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এদিন ইডির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তা পাঁচ পাতার। এর মধ্যে তিন পাতাজুড়ে রয়েছে কাকুর কণ্ঠস্বর সংক্রান্ত তথ্য। বাকি দু’পাতায় ছিল এই মামলায় ইডির সার্বিক তদন্তের রিপোর্ট।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতির প্রশ্ন, “এত সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট কেন?” ইডির রিপোর্টের শেষ দু’পাতায় কাকুর ও প্রাথমিক মামলায় সার্বিকভাবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তার হিসেব দেওয়া হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের ১৩৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “২০১৪ সাল থেকে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ এত কম কেন? টাকার অঙ্কই বা এত কম কেন?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুন।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    ইডির উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “অভিযোগ উঠেছে যে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা একটা স্ক্যাম। সত্যিই কি চাকরি বিক্রি হয়েছে? তার কি কোনও প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন? টাকার উৎস জানতে আপনারা কি কোনও পদক্ষেপ করেছেন?” ইডির তরফে জানানো হয়, নিত্য এগোচ্ছে তদন্ত। আদালতের তরফে ফের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডিকে। এদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের নামও উঠে আসে। ইডির দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই রায়ে অথৈ জলে পড়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আটা আর ভুষি আলাদা করতে হবে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বাদ দিয়ে, যোগ্যদের পাশে থাকবে বিজেপি। চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি।” শুধু তাই নয়, যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, “অযোগ্যদের ঢাল হয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, ঠিক এমন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মমতাকে তোপ সুকান্তর

    এরপর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে থাকবেন সেকথা বলছেন না। উনি বলছেন, আমি সবার পাশে থাকব। মানে, যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও পাশে থাকবেন। ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখণ্ডী করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু কি পারতেন না, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা আলাদা করে আদালতের হাতে তুলে দিতে। তাহলেই তো যোগ্যদের কিছুই হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাকি করলেন। তিনি রাজনীতি করলেন। যে পাঁচ হাজার জনের কাছ থেকে তাঁর নেতারা পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের বাঁচানোর জন্য কুড়ি হাজার যোগ্য শিক্ষককে ঢাল করলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের লোন নিয়ে চিন্তায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) জেরবার রাজ্য। যোগ্য, অযোগ্য বিভেদ করা যাচ্ছে না। দুর্নীতি এমনভাবে সিস্টেমকে জড়িয়ে ধরেছে যে নাজেহাল সবাই। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ছাপ চোখে পড়ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। চিন্তায় পরিবার। কিন্তু, শুধুই কী চিন্তায় রয়েছে চাকরিহারা ও তার পরিবারের লোকজন? চিন্তায় পড়েছে ব্যাঙ্কও। কারণ, বহু শিক্ষক ব্যাঙ্ক থেকে গৃহ ঋণ, ব্যক্তিগত ঋণ বা গাড়ি কেনার জন্য লোন নিয়েছিলেন। সেই টাকা এবার পরিশোধ করবেন কীভাবে?

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভাবনা

    সরকারি চাকরি থাকলে ব্যাঙ্ক থেকে লোন পেতে দেরি হয় না। সরকারি চাকরিজীবীদের লোন দিতে অগ্রাধিকারও দেওয়া হয়। কারণ সরকারি চাকরি সহজে চলে যায় না। তবে রাজ্য সরকারি শিক্ষকদের অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলি। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি-ধূপগুড়ির এক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক (SSC Scam) প্রায় ৭ কোটি টাকা সরকারি শিক্ষকদের ঋণ দিয়েছে। শুধু এই ব্যাঙ্ক নয়। গোটা জেলার ব্যাঙ্কগুলি ধরলে সেই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। পার্সোনাল লোন, হোম লোন নিয়ে অনেকে বাড়ি তৈরি করেছেন। সোমবার আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। তারপর থেকেই কোর্টের নির্দেশে রীতিমতো ঘুম উড়েছে ব্যাঙ্কেরও। ব্যাঙ্কের শাখাগুলি ইতিমধ্যেই বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    কী বলছে ব্যাঙ্ক

    ধূপগুড়ির একটি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কথায়,‘পার্সোনাল লোন, হোম লোন মিলিয়ে আমাদের শাখা থেকে সাত কোটি টাকার বেশি লোন দেওয়া হয়েছে। এই টাকা কী করে আদায় করব ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বিষয়টি ব্যাঙ্কের উপর মহলের নজরে এনেছি। ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে টাকা আছে তা তো পাবলিক ফান্ডের। ঋণ শোধ করতে না পারলে পাবলিকের টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ভেঙে পড়বে। লোকজনের ব্যাঙ্কের উপর থেকে ভরসা উঠে যাবে।’ এখন থেকে সরকারি শিক্ষকদের ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি অত সহজ হবে না, বলেও জানান তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারে রাজ্য, ২৬ হাজর চাকরি বাতিল করা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবারই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।

    শীর্ষ আদালতে রাজ্য

    এদিন রাজ্য সরকার একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে আদালতে। যেহেতু পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে, তাই প্রশ্ন উঠেছে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি নিয়ে। তাঁদের চাকরি কেন যাবে, এই প্রশ্ন নিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করেছে রাজ্য। এই আবেদনে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য হাইকোর্ট রাজ্যকে এই ধরনের একটি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে অবিলম্বে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি বাতিল করেছে এবং সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্থির করে দিয়েছে।’ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের মোট মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল এসএসসি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিশেষ বেঞ্চে শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। তাই আপাতত রাজ্যের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করে কি না, সেটাই দেখার।

    এসএসসি-র যুক্তি

    বুধবার এসএসসির (SSC Scam) তরফেও হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। এসএসি-র যুক্তি, পাঁচ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তার জন্য ২৬ হাজার জনের কেন চাকরি বাতিল হবে? ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন, যাঁরা যোগ্য হয়েও এই মুহূর্তে চাকরিহারা। তাঁরা ইতিমধ্যেই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    কী বলছে আদালত

    সোমবার হাইকোর্ট জানায়, এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, বলে অভিমত আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের প্রশ্নপত্রে সত্যিই ভুল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ মোট তিনটি বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশ্ন ভুল থাকলে ওই একুশটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে তাঁদের।

    কী বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    আবেদনকারীদের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কমিটি গঠন করতে বলেছেন বিশ্বভারতীকে। আদালতের নির্দেশ, উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গড়বেন। সেই কমিটি সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে আগে চিহ্নিত করবে সঠিক উত্তরগুলি (Calcutta High Court)। পরে খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরও। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, সেটা নির্ধারণ করবেন এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মতামত দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। সেদিন বিশ্বভারতীর কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    মামলাকারীদের দাবি

    ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, ওই বছরের টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে যদি ভুল থাকে, তাহলে সবাইকে নম্বর দেওয়া হোক। এই মামলার আগের শুনানিতে কিছুটা অসন্তোষের সুরেই বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা প্রশ্নে এত ভুল থাকে কী করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন খুঁজে বের করে সঠিক উত্তর দেবেন? বুধবার এই মামলারই শুনানিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই ভুল খুঁজে বের করতেই বিশ্বভারতীকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। এঁরা সবাই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ওই হাজার চব্বিশেক মানুষ। সোমবারের সেই নজিরবিহীন রায়ের পর বুধবার ২০১৭-র টেটে ভুল প্রশ্ন নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ সেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।

    আবারও কি একবার মুখ পুড়বে এসএসসি কর্তৃপক্ষের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share