Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আপত্তি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর (Ram Navami) দিন শর্তসাপেক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি দিল আদালত (Calcutta High Court)। লোকসভা ভোটের আগে শান্তি বজায় রাখতে মিছিলে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে মিছিল করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মিছিল করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। 

    কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের উপর দিয়ে ৭০০ মিটার এলাকা দিয়ে রামনবমীতে (Ram Navami) মিছিল করা যাবে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৩টি মিছিলে ২০০ জন করে সর্বাধিক থাকতে পারবেন। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোকসংখ্যা কম করার নির্দেশ দিলেও রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। আদালত মনে করে, হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা পুলিশের আছে। রাজ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সহায়তা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে হিংসাও হয়। যার তদন্ত করছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি

    একই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উপলক্ষে শোভযাত্রা করার জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রতি বছর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিছিল বার করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। গোলমালের আশঙ্কায় এবার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সঙ্ঘ। তাদের মিছিলেরও অনুমতি দিয়ে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত বিশ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটবে। সেখানে মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তিযুক্ত?’’ বিচারপতি সেনগুপ্তর বেঞ্চ বলে, ‘‘অশান্তি আশঙ্কা রয়েছে এই যুক্তিতে আমরা কি প্রতিদিনের কাজকর্ম বন্ধ করে বসে থাকব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Case: রক্ষাকবচ এনআইএ আধিকারিকদের, ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

    Bhupatinagar Case: রক্ষাকবচ এনআইএ আধিকারিকদের, ভূপতিনগরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর কাণ্ডে (Bhupatinagar Case) এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এনআইএ আধিকারিকদের রক্ষাকবচ দিল আদালত। কোনও এনআইএ অফিসারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কোনও এনআইএ অফিসারকে এই মামলায় যদি জেরা করতে হয়, তাহলে তা করতে হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। থানায় তলব করা যাবে না। ভিডিয়ো জেরার জন্যেও ৭২ ঘণ্টা আগে পুলিশকে নোটিশ পাঠাতে হবে।

    আদালতের প্রশ্ন

    গত ৬ এপ্রিল সন্দেশখালির পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছিল ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Case)। যেখানে তল্লাশিতে গিয়ে এনআইএ আধিকারিকদের নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে অফিসারদের বিরুদ্ধেই কেন অভিযোগ? তাও আবার গুরুতর ধারায়? হাইকোর্টে এমন প্রশ্নের মুখেই পড়তে হল পুলিশকে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় থানার পুলিশকে জানিয়ে গত শনিবার এনআইএ  আধিকারিকরা বৈধ তল্লাশিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোরবেলায় পুলিশ ফোর্স জোগাড় করতে পারেনি। সেটা পুলিশের ব্যর্থতা। এনআইএ-র তরফের আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী ওই এলাকায় কাজ করতে যায় এনআইএ। এই সময় এনআইএ-র তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছে তৃণমূলের একটি পরিবার। ওই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআরও রুজু করেছে। পুলিশ এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করেছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    ৩২৫ ধারা কেন

    কেন এনআইএ অফিসারদের বিরুদ্ধে ৩২৫ ধারা যুক্ত করা হল? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত পুলিশকে বলেন, “কোনও প্রমাণ ছাড়া অফিসারের বিরুদ্ধে গুরুতর আহত করার ধারা কেন যুক্ত করলেন? কেস ডায়েরিতে আঁচড় বা গুরুতর আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই। তাও কীভাবে ৩২৫ ধারা? কে তদন্ত করছিলেন? প্রাথমিক তদন্তের প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন?” মেডিক্যাল রিপোর্ট না দেখে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত না  করেই পুলিশ এই ধারা  যোগ করেছে। তাই পুলিশের এই এফআইআর বিধি সম্মত নয়। মামলার পরবর্তী শুনানি  ২৯ এপ্রিল। ওই দিন পুলিশকে কেস ডায়েরি সহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই, সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জনস্বার্থ ও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা, দুটো ক্ষেত্রেই সিবিআই-কে সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। আদালত জানিয়েছে, নতুন ইমেল আইডি চালু করে সন্দেশখালির ঘটনা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা নিতে হবে সিবিআইকে। আজ, বুধবার থেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে।

    আদালতের নির্দেশ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একত্রে সেই মামলাগুলি শুনছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের তরফে জানানো হয়, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। তাই এই মামসার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তফসিলি জনজাতির জমি কেড়ে নেওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগ বিবেচনা করে তাই আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিবিআই সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে। জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমিতে ভেড়িতে পরিবর্তন করা-সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। 

    নতুন পোর্টাল তৈরি

    আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে,  সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে। সিবিআইয়ের চালু করা ইমেল আইডির মাধ্যমে মামলার সব পক্ষকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে সব অভিযোগ জমা দিতে হবে। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা। সন্দেশখালি এলাকায় ওই ইমেল আইডির প্রচার করতে হবে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। বুধবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সব কিছু দেখে আমাদের কোন সন্দেহ নেই যে এক্ষেত্রে স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্য সব সহযোগিতা করবে তদন্তকারী সংস্থাকে।”

    আরও পড়ুন: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটির অপব্যবহার হচ্ছে, মত কর্নাটক হাইকোর্টের

    স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) স্পর্শকাতর এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসাতে বলেছে আদালত। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, স্থানীয় প্রশাসনকে একসঙ্গে মিলে স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। রাস্তায় বসাতে হবে এলইডি আলো। সিসিটিভি এবং এলইডি আলোর খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমোদন এবং খরচ দিতে হবে। আগামী ২ মে হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে না পেলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাই বাতিল করে দেব।” মঙ্গলবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, “ডিজিটাল তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও, ওই তথ্য পাওয়া যেতে বাধ্য। তার পরেও যদি তথ্য হাতে না আসে, তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করতে বাধ্য হবে আদালত।”

    ‘ফুটপ্রিন্ট কোথায়?’ (Calcutta High Court)

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court) বলেন, “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে বার করুন। ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কোথায় রয়েছে তার সন্ধান করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবারের মধ্যে অতিরিক্ত রিপোর্ট দিয়ে সংক্ষেপে জানাতে হবে, নিয়োগ কীভাবে হয়েছিল? দুর্নীতিই বা হয়েছে কোথায়।”

    কী বলছে পর্ষদ?

    ২০১৪ সালের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। তার পরিবর্তে ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে ওই সব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা বলেন, “পর্ষদের দাবি সব ওএমআর শিট ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে হেমন্ত চক্রবর্তী নামে এক পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়। অর্থাৎ ডিডিটাল ফুটপ্রিন্ট থাকার কথা।” তাঁর প্রশ্ন, “তার পরেও ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যাবে না কেন?” সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, “তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে তথ্য মুছে ফেললেও, তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অর্থাৎ, ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আর ওই সব তথ্য সিবিআইকে খুঁজে বার করতে হবে। তার জন্য যদি হার্ড ডিস্ক বা অন্য কোনও সূত্রের প্রয়োজন হয়, তবে প্রয়োজনে পর্ষদ অফিসেও যেতে পারবে সিবিআই।”

    আরও পড়ুুন: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইলও করা হয়েছে। বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলায় সিবিআইয়ের অনেক রিপোর্ট আদালতে পৌঁছায়নি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট তাঁর এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কিছুতেই রাজ্যের রিপোর্ট খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সিবিআই। হাইকোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত (Calcutta High Court) বারবার এ বিষয়ে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে সময় দিলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এই মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানানোর জন্য তৃতীয় বার সময় দিল আদালত। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে নিজের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    মঙ্গলবার আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে এই মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থানের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী বলেন, “আদালত মনে করছে, মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সেখানে কোনও বুদ্ধি প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি তাঁর দায়িত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি। আদালত (Calcutta High Court) আশ্চর্য হয়েছে যে রাজ্যে সবচেয়ে উচ্চপদে থাকা আধিকারিক কোনও অজ্ঞাত কারণে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা আশা করব প্রভাবশালী অভিযুক্তদের পদ মুখ্যসচিবকে প্রভাবিত করবে না। একজন মুখ্যসচিব স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

    আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখার সব লোকাল ট্রেন ১২ কামরার! কবে থেকে মিলবে পরিষেবা জানাল পূর্ব রেল

    বিচারপতির প্রশ্ন

    বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ, মুখ্যসচিব তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর জন্য তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির প্রশ্ন, “মুখ্যচিবকে ডেকে পাঠাব? নির্বাচনের সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ার কী সম্পর্ক? পুলিশ কি এফআইআর করা বন্ধ করেছে? তদন্ত কি বন্ধ আছে? আপনাদের বিলাসিতার জন্য কি তদন্ত থেমে থাকবে? ”  বিচারপতি বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবকে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। হয়ত, সিদ্ধান্তের কারণে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি অপ্রিয় হয়ে যাবেন। কিন্তু তার থেকেও অনেক বড় দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত আছে। মুখ্যসচিব রাজ্যের আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন না। এরকম কেন হবে? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বাগচী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Garden Reach: গার্ডেনরিচ-কাণ্ডের নেপথ্যে থাকা পুর আধিকারিকদেরও শাস্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Garden Reach: গার্ডেনরিচ-কাণ্ডের নেপথ্যে থাকা পুর আধিকারিকদেরও শাস্তির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচে (Garden Reach) বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুর আধিকারিকদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন আদালত (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানায়, বেআইনি নির্মাণে যে পুর আধিকারিকেরা মদত দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের নোটিস জারি করতে হবে। পুরসভাকে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    গার্ডেনরিচকাণ্ডে (Garden Reach) সোমবার আদালতে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য এবং পুরসভা। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত গার্ডেনরিচের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক জন পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। রাজ্যের রিপোর্ট দেখে আদালতের মন্তব্য, ‘‘এই ধরনের গ্রেফতারি দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু পুরসভার যে আধিকারিকদের সাহায্যে বেআইনি নির্মাণ হল, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?’’ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুরসভার যে আধিকারিকেরা এত দিন চুপ করে ছিলেন, তাঁরাও এই চক্রান্তে যুক্ত। তাঁরাই আসল দোষী। এটাও তদন্ত করে দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ভালো ফল না করলে সরে দাঁড়ান রাহুল, পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের

    দোষী পুর আধিকারিকদের শাস্তির নির্দেশ

    গার্ডেনরিচে (Garden Reach) গত ১৭ মার্চ একটি নির্মীয়মাণ পাঁচ তলা বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপরে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এদিন মন্তব্য করেন, এতগুলো মানুষের মৃত্যুর দায় কার সে কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। বেআইনি নির্মাণের বাড়ির মালিক বা প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা ভালো কথা। কিন্তু যারা অফিসে বসে পিছন থেকে এই বেআইনি নির্মাণে মদত দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে পুরসভাকে। রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বাগচীর প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের উপর নজরদারি এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আইন রয়েছে। মানুষের প্রাণ এবং সম্পত্তি রক্ষা করার বৈধ উপায় রয়েছে। কিন্তু তার পরেও আপনাদের আধিকারিক এত দিন বসে ছিলেন কেন?’’ মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HC On Bhupatinagar: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    HC On Bhupatinagar: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ধরনের রিপোর্ট লেখার সাহস ওসি পেলেন কী করে?” পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার ওসিকে এই ভাষায়ই প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (HC On Bhupatinagar)। সোমবার বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে চলছিল ভূপতিনগরকাণ্ড মামলার শুনানি। সেখানে ‘আদালতের রক্ষাকবচের ফলে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে অভিযুক্তরা’, এই মর্মে রিপোর্ট দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার তরফে।

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন (HC On Bhupatinagar)

    র পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, “ওসিকে বলতে হবে আদালতের রক্ষাকবচের ফলে কবে, কোথায় বানচাল হয়েছে নির্বাচন?” আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ওসিকে এই রিপোর্টের ব্যাখ্যা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই ওসির সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। ভূপতিনগর থানার (HC On Bhupatinagar) ওসিকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। আগামিকাল মঙ্গলবার ফের হবে এই মামলার শুনানি। এদিন পর্যন্ত মামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না বলেও মৌখিক নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত।

    বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা!

    তপন মিদ্দে নামে বিজেপির এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ২৬টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। এর মধ্যে ১৫টিতে ইতিমধ্যেই দাখিল করা হয়েছে চার্জশিট। মামলাকারীর দাবি, তাঁর নামে কোনও এফআইআর নেই। কোন কোন মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা নিয়ে আদালতের নির্দেশে এদিন রিপোর্ট দেওয়া হয় ভূপতিনগর থানার তরফে। প্রসঙ্গত, ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে সব মিলিয়ে মোট ২০ জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরের এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূলের এক নেতা ও তাঁর ভাই-সহ মোট তিনজনের। একজনের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। তবে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের নাম। সেদিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে (HC On Bhupatinagar) পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ফের পুলিশে অনাস্থা! ময়নায় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে এনআইএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে এনআইএ-কে। ভোটের আগে রাজ্যের একটি মামলায় হাইকোর্ট ফের এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।

    বিচারপতির বক্তব্য

    একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও পদক্ষেপ করতে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, তিনি চিঠি দিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে আগ্রহ দেখায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।’’ তার পরই তিনি সরাসরি এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    কী ঘটেছিল

    গত বছর, ১ মে পঞ্চায়েত ভোটের আগে, বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে  অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে, বিজেপি নেতার স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করে, বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই দিন, রাতেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় বিজয়কৃষ্ণের দেহ। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল। নেতা খুনের প্রতিবাদে গভীর রাতে ময়না থানার সামনে বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘এক শতাংশ অভিযোগ সত্য হলেও লজ্জার বিষয়,’’ সন্দেশখালি ইস্যুতে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘এক শতাংশ অভিযোগ সত্য হলেও লজ্জার বিষয়,’’ সন্দেশখালি ইস্যুতে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এক শতাংশ অভিযোগ সত্য হলেও লজ্জার বিষয়।’’ সন্দেশখালি নিয়ে মামলা শুনানিতে এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ একটি মামলা শুনানি ছিল। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির ঘটনার মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এর প্রত্যেকটির শুনানি চলছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী (Calcutta High Court) এই রাজ্য মেয়েদের জন্য সব থেকে নিরাপদ বলা হয়েছে। কিন্তু সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যা ঘটনা ঘটেছে আইনজীবীরা হলফনামা দিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচারের ঘটনার কথা আদালতকে জানিয়েছেন। এত অভিযোগের একটাও যদি সত্যি হয় তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।’’

    শাহজাহান মামলার নথি তলব

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে (Calcutta High Court) এখনও পর্যন্ত দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার এফআইআর এবং চার্জশিটের নথি মুখ বন্ধ খামে রাজ্যকে জমা দিতে বলে এদিন উচ্চ আদালত। এই সমস্ত নথির কপিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এ নিয়ে প্রথম আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। তাদের আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল ওই সমস্ত মামলা আর্থিক দুর্নীতি সম্পর্কিত নয় তাহলে কেন তথ্য চাই। তখন ইডি জানায়, আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতেই এগুলো দরকার।

    আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল কী বলছেন?

    আইনজীবী (Calcutta High Court) প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এদিন বলেন, ‘‘তিনি যে হলফনামা এদিন আদালতে দিয়েছেন সেখানে ৭০০ জনের বেশি অভিযোগ করেছেন। তার মধ্যে ১০০ টি’র বেশি মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বাকি জমি দখলের অভিযোগ। বিএলআর ছাড়া এইভাবে জমি দখল করা যায় না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    Abhijit Gangopadhyay: কেন বিজেপিতে? ‘কৈফিয়ত’ দিলেন অভিজিৎ, কী লিখলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি (Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর একের পর এক রায়ের জেরে কাঁপন ধরেছিল দুর্নীতি-বৃক্ষের শিকড়ে। ভয়ে তাঁকে তাক করতে শুরু করেছিলেন বাংলার শাসক দলের হেদিপেঁচিরাও। তা সত্ত্বেও তাঁকে টলানো যায়নি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই থেকে। এহেন এক বিচারপতি একদিন আচমকাই ইস্তফা দিয়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা।

    অভিজিতের ‘কৈফিয়ত’ (Abhijit Gangopadhyay)

    কেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে সেই ‘কৈফিয়ত’ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি লিখেছেন, “আমার জন্মস্থান, আমার প্রিয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, এক সময় সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও সৃজনশীলতার কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সর্বদা ঐশ্বর্যের চেয়ে জ্ঞানের মহিমাকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। যাই হোক, বর্তমান রাজ্য সরকারের অপশাসন রাজ্যকে দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। তা জীবনের প্রতিটি স্তরকে প্রভাবিত করেছে এবং সম্মিলিতভাবে রাজ্যের মর্যাদাকে টেনে নামিয়েছে। এক সময় এ রাজ্য ছিল শিল্পায়নের কেন্দ্র, যার জন্য ছিল প্রচুর কর্মসংস্থান, যা এ রাজ্যকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে আলাদা পরিচিতি দিত। কিন্তু সেই রাজ্য এখন প্রচণ্ড আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা হয়ে উঠেছেন এ রাজ্যের সব চেয়ে বড় রফতানির বস্তু।”

    নিশানা টিএমসিকে

    অভিজিৎ (Abhijit Gangopadhyay) লিখেছেন, “টিএমসি দলের নেতারা রাজ্যের ইকোসিস্টেমটাকেই দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও যুব সমাজের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করেছে। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যোগ্যতা আর মাপকাঠি নয়, বরং আর্থিক সামর্থ্যই এখন নির্ণায়ক।” তিনি লিখেছেন, “প্রোটোকল ও নিয়মাবলীর কারণে উচ্চ আসনে বসে আমায় অনেক ক্ষেত্রে নীরব দর্শক হয়ে থাকতে হয়েছে, যা আমার বিবেককে নাড়া দিচ্ছিল। তাই আমি আমার পথ পরিবর্তন করেছি। এবং এমন একটি পদক্ষেপ করেছি, যার মাধ্যমে এখন আমি রাজ্যের নৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক অবক্ষয় বন্ধ করার লড়াইয়ে যোগ দিতে পেরেছি, যা দীর্ঘকাল ধরে রাজ্যকে জর্জরিত করেছে।” পোস্টের শেষে তিনি (Abhijit Gangopadhyay) ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও।

    আরও পড়ুুন: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share