Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবারই এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির এদিনের মন্তব্য এটাও সামনে আনল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি সম্পর্কে এতদিন যা বলেছিলেন, তা একেবারেই মিথ্যা। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘স্পষ্টভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’

    নোটিশ জারি হবে শাহজাহানের নামে

    সোমবারই প্রধান বিচারপতি শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ (Sandeshkhali) অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নোটিশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।

    মিথ্যা প্রমাণিত অভিষেকের দাবি

    গত বুধবারই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের (Sandeshkhali) গ্রেফতারির ক্ষেত্রে অন্তরায় আদালত। কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’ অভিষেকের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারই প্রতিফলন ধরা পড়ল আদালতের এদিনের নির্দেশে।

    আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারবেন নির্যাতিতারা

    প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির একাধিক মামলা ওঠে। শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ (Sandeshkhali) শুনছে না। উল্টে অভিযুক্তদের আড়াল করছ। এভাবে চলতে থাকলে নির্যাতিতারা কোনও দিনই বিচার পাবেন না। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতিতা যদি চান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যাঁরা অভিযোগ জানাবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। পরের শুনানিতে সেই সব অভিযোগের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

     

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ বছর পরে পালিত হয়েছিল জন্মাষ্টমী, জানালেন অমিত শাহ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গুন্ডারা জেলে যাবে, মমতার দিন শেষ”, সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতির পরেই সন্দেশখালিতে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে পেয়ে নির্যাতিত মানুষ যেন বটবৃক্ষের আশ্রয় পেলেন। উলুধ্বনি, পুষ্পবর্ষণ করে স্বাগত জানালেন এলাকার মানুষ। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা। একে একে শুভেন্দু শুনলেন সব অত্যাচার, নির্যাতনের কথা। সেই সঙ্গে নিপীড়িত মানুষকে আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা পাশে থাকুন। সন্দেশখালির সব কিছুর পরিবর্তন হবে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখলিতে পা রেখে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সংবিধানের জয়, গণতন্ত্রের জয়, সন্দেশখালির মা-বোনের জয়। গুন্ডারা জেলে যাবে। মমতার দিন শেষ, ফিনিশ। পরিবর্তনের ভরকেন্দ্র হচ্ছে আজকের সন্দেশখালি। তৃণমূলের পিঠে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে এই জনজাগরণ। নন্দীগ্রামে আমরা ভয় পাইনি, আপনারাও ভয় পাবেননা। এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায় মানুষ। ওর পালানোর উপায় নাই।” শেখ শাহজাহান সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলেন, “আমরা জীবন দেব, কিন্তু আন্দোলন থামাব না।” স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “আমার ৭ বিঘা জমি কেড়ে নিয়ে গেস্ট হাউস বানিয়েছে ওরা। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করেছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমরা কোনও ভোট দিতে পারিনি এলাকায়।”

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    এদিকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার আগেই এলাকার ১২টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষ উঠল ১৪৪ ধারা। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশিন বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালিতে যেতে পারবেন। তবে এলাকায় যাতে কোনও রকম শান্তিভঙ্গ না হয়, নজর রাখতে হবে। সবটাই দেখার দায়িত্ব পুলিশের।” অপর দিকে রাজ্যের পুলিশ শেখ শাহজাহানকে রক্ষা করছে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। প্রধান বিচারপতি এই তৃণমূল নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না জানি না, তবে মনে হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ জারি করব। আশা করি পুলিশ আদালতকে সাহায্য করবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২ সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ২ সংস্থায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, বড় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা চিটফান্ড কায়দায় ‘ভুয়ো’ ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে, বিচারপতির নির্দেশ মতো আজই পাঁচজন ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাঁচ ডিরেক্টরকে হাইকোর্টেরই শেরিফের অফিসে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ইডির পাশাপাশি, সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসের (এসএফআইও) আধিকারিকদেরও এই ঘটনার তদন্ত করতে বলেছেন বিচারপতি। 

    কেন এই  মামলা

    ডেল্টা লিমিটেড এবং ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড-এই দুই সংস্থার ৫ ডিরেক্টরকে আদালতে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ ওই দুই সংস্থার কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী আদালতের দ্বারস্থ হন টাকা পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছুই জানেন না এঁরা। সংস্থার আয়-ব্যয় বা কার্যপ্রণালী নিয়েও বিচারপতির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। এঁরা সবাই জুট মিলের সুপারভাইজার থেকে ডিরেক্টর হয়েছেন। এমনকি কে এঁদের ডিরেক্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাও জানেন না।’’

    এঁদের পিছনে বড় মাথা রয়েছেন

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) আরও বলেন, ‘‘এঁদের সাজিয়ে রেখে কেউ পিছন থেকে কাজ করছে। এঁদের বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। এঁরা চাইলে পদত্যাগ করতে পারেন। এখন এঁদের গ্রেফতার করার কোনও প্রয়োজন নেই। এঁদের সম্মানহানি যেন না হয়।’’ লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘দুই সংস্থার পাঁচ ডিরেক্টরকে এখন থেকে হাইকোর্টের শেরিফের অফিসেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সেখানে কোনও আইনজীবী প্রবেশ করতে পারবেন না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ মোবাইল ফোন ফেরত পাবেন না। প্রাথমিক ভাবে কী পাওয়া গেল, আমাকে জানাতে হবে। এর নেপথ্যে পাট শিল্পের বড় বড় মাথা রয়েছেন। তাঁরা আমার বদলিও করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। এ সব আমি বরদাস্ত করব না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কোম্পানি লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে একই কথা জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অপর দিকে প্রাথমিকে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তদন্তের প্রক্রিয়ায় একদম সন্তুষ্ট নন তিনি। ফলে চাপ বাড়ল ইডি’র। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।

    হাইকোর্টে ইডির বক্তব্য (Abhishek Banerjee)

    আজ হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, “আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধও নিশ্চিত করার কাজ চলছে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তা এলেই তদন্তের আরও অগ্রগতি ঘটবে।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এভাবে সময় চলে গেলে প্রত্যেকে তদন্তের বাইরে চলে যাবে। তখন আর কিছু পাবেন না। এত দিনের সব পদক্ষেপ কাজে লাগবে না। আর কত দিন লাগবে?” উত্তরে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “প্রত্যেক পদক্ষেপে আমরা মামলায় জড়িয়ে পড়ছি। যে কোনও নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।” আবার বিচারপতি বলেন, “আপনারা কি মনে করছেন খুব সহজ? অপারাধ যত সামনে আসবে, এই ধরনের মামলার চাপ আরও বাড়বে।” আবার উত্তরে আইনজীবী বলেন, “আমরা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। আমাদের নখ, দাঁত বের করে লড়াই করছি। পরবর্তী শুনানির দিন আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট দেব।”

    সিবিআই-এর মুখে ‘সোনার কেল্লা’

    তৃণমূল নেতাদের (Abhishek Banerjee) দুর্নীতি নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লার উদাহরণ টেনে আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলেন, “এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তাঁরা (ফেলুদা) সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানে দুর্নীতির মামলায় আমরাও আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিজেদের হলফনামায় বড়সড় দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিক্সের তথ্য অবিকৃত এবং তা আসল। প্রসঙ্গত সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই-এর হলফনামা এদিন জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।

    দুর্নীতির ব্যাখ্যা রয়েছে

    জানা গিয়েছে, ওই হলফনামাতে ব্যাখা (Recruitment Scam)  করা হয়েছে হার্ডডিক্সে কী তথ্য রয়েছে এবং সেই তথ্য যে আসল তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি কীভাবে উত্তরপত্র স্ক্যান করার পরে সেই তথ্য বিকৃত করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হতো তারও ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার একাধিক কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যাখা ওই রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একই রকম দুর্নীতির ব্যাখা ওখানে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    শুনানিতে এদিন আদালত এও জানিয়েছে, সিবিআই উত্তরপত্র সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছে তা পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবেন বিকাল চারটার মধ্যে। এ বিষয়ে সিবিআই-এর কাছে আবেদন করতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। কী ভাবে চলত দুর্নীতি (Recruitment Scam) , তাও জানা গিয়েছে। নাইসার আধিকারিকদের কাছে তালিকা চলে যেত কোন কোন প্রার্থীর ওএমআর শিট এর নম্বর বাড়াতে হবে এব সেই মতো চলত দুর্নীতির কাজ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই শুরু, তারপর শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়েছেন গারদের পিছনে। বিগত ২ বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে পেরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতার করার আদেশও দিয়েছে কোর্ট। এবার তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমদকে সাসপেন্ড করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অপর দিকে তদন্তের কিছু অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্রপুর পুলিশ ইনস্পেক্টরকে এই থানায় রেখে দেওয়ার নির্দেশ নিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    এফআইআর-এ নাম রয়েছে প্রধান শিক্ষকের

    গত শনিবার ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরের (South 24 Parganas) বলরামপুর হাইস্কুলে একদল বহিরাগত আক্রমণ চালিয়েছিল। নিগৃহীত হন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। একই ভাবে কয়েকজন শিক্ষিকাকে শারীরিক ভাবে সম্ভ্রমহানিও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে এফআইআর-এ রয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় বনহুগলি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দুই আরও সদস্যের নাম। এই চারজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    আরেক শিক্ষককে করা হল স্কুলের সুপারভাইজার

    সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই অবস্থায় স্কুল (South 24 Parganas) চলবে কী করে? স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে স্কুলের পরিচালনা কে করবেন? কোর্টের নির্দেশে স্কুলের আরেক শিক্ষক শিবনাথ চাটুইকে সুপারভাইজার করা হয়েছে। তবে স্কুলের হামলার ঘটনায় সকল অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রধান শিক্ষক নিজেও নিখোঁজ। তাই তাঁর ভাই ওই স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকের হাতেই স্কুলের চাবি পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    এসপি হাজিরা দিয়ে কী বলেছিলেন?

    হাইকোর্টের ভার্চুয়াল হাজিরাতে বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, “এফআইআরে নাম থাকা দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” কিন্তু বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, “মাধ্যমিক শুরু হওয়ার আগে গ্রেফতার করুন। পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ছেড়ে রাখা যাবে না। পরীক্ষার সময় গোলমাল হতে পারে।”

    উল্লেখ্য স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা একথা অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা ফাঁস হওয়ায় পরিকল্পনা করে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে স্কুলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    Sandeshkhali: ‘নিখোঁজ’, ‘বেপাত্তা’ শাহজাহানের আগাম জামিনের আবেদন এবার বারাসত আদালতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি নাকি নিখোঁজ। তিনি নাকি বেপাত্তা। ঘটনার পর প্রায় ২৬ দিন অতিক্রান্ত। তবুও পুলিশ নাকি তাঁর হদিশ পায়নি। হাইকোর্ট থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, তাঁর এই অন্তরালে থাকা নিয়ে বারবার নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছে। এমনকী ক’দিন আগে আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে তিনি যখন ইডি’র দ্বারস্থ হন, তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, আবেদনপত্রে তিনি সই করলেন কীভাবে। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের অন্তর্ধান-রহস্য যখন ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, তখন আরও একবার তাঁর নাম ভেসে উঠল। এবার তাঁর জন্য আগাম জামিনের আর্জি জমা পড়ল বারাসত আদালতে।

    কী জানালেন সরকারি আইনজীবী?

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী শান্তময় বসু জানান, গতকাল শাহজাহান তাঁর আইনজীবী মারফত আগাম জামিনের একটি আবেদন করেন। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের মামলার শুনানি। তিনি আরও জানান, ন্যাজাট পিএস কেস নাম্বার ৯/২৪ মামলার ভিত্তিতে এই আবেদন করা হয়েছে। জামিনের আবেদনে শাহজাহান সেখানে উপস্থিত ছিল না, এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে থানার কাছে মামলা (Sandeshkhali) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে সরকারি আইনজীবীর পক্ষে।

    বাড়িতে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি (Sandeshkhali) 

    উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডি’র আধিকারিকরা। তাঁকে সেদিন বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ওই দিনই শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ইডি’র অফিসার এবং নিরাপত্তা আধিকারিকরা আক্রান্ত হন, আহত হন। এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর পর বিষয়টি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। ইডি’র পক্ষ থেকে গত ২৪ শে জানুয়ারি ফের ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে (Sandeshkhali) অভিযান চালানো হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বেশ কিছু জিনিস। ইডির পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে নোটিশ লাগিয়ে ২৯ শে জানুয়ারি তাঁকে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিনও তিনি হাজির হননি। অথচ আগাম জামিনের জন্য একের পর এক আবেদন জানিয়ে চলেছেন। প্রশ্ন উঠছে, আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর যেখানে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে, সেখানে পুলিশ তাঁকে কেন খুঁজে পাচ্ছে না! যদিও এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

    হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পুলিশ (Sandeshkhali) 

    উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে সেদিন হামলাকারীর সংখ্যা ছিল হাজার তিনেক। কিন্তু পুলিশ কেন মাত্র চারজনকে গ্রেফতার করেছে, সেই প্রশ্ন তুলে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। বিচারপতি বলেছিলেন, পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব। পুলিশকে তাই কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। প্রশ্ন উঠেছে, দলীয় নেতৃত্বেই কি তাঁকে আগলে রেখেছেন?

    লুক আউট নোটিশ জারি

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের ডন (Sandeshkhali) শাহজাহানের বিরুদ্ধে ঘটনার পরই লুক আউট নোটিশ জারি করে ইডি। শুধুমাত্র সন্দেশখালির এই ডন নেতাই নয়, তাঁর পরিবারের অন্যান্য় সদস্যদের নামেও এই লুক আউট নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। লুক আউট নোটিশ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। নোটিশ যায় সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতেও। যাতে শাহাজাহান দেশ ছাড়তে না পারে। কিন্তু কোথায় কী! তাঁর টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    Primary Teacher: স্থগিতাদেশ তুলে নিল সুপ্রিম কোর্ট, প্রায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর প্রাথমিকের নিয়োগে রইল না বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবে পর্ষদ। এর পাশাপাশি প্যানেল প্রকাশের বাধাও তুলে নিলেন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আহসান উদ্দিন আমানুল্লাহ এর বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই এককথায় সিলমোহর দিল।

    ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় পর্ষদ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার শিক্ষকের (Primary Teacher) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে জানানো হয়, যাঁরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরাও ওই নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। এরপরেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেন। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়।

    মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে

    ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ জিন্দালের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপর থেকে মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে চলছিল এবং একাধিকবার এই শুনানি পিছিয়ে যায়। চলতি মাসের ২২ তারিখ প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদের কাছে তথ্য জানতে চায় শীর্ষ আদালত। ঠিক কত শূন্য পদ রয়েছে এবং তার মধ্যে কতজন যোগ্য তার খসড়া প্যানেল আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক তারপরেই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। এরপর পর্ষদ (Primary Teacher) নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মেডিক্যালে ভর্তি-দুর্নীতির মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

    Calcutta High Court: মেডিক্যালে ভর্তি-দুর্নীতির মামলা হাইকোর্ট থেকে সরল সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে বেনজির সংঘাতের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত শনিবারই সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে স্থগিতাদেশ জারি করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশের ফলে হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চের কোনও নির্দেশ আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। এবার থেকে মেডিক্যালে ভর্তির সব মামলা কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হল।

    আরও পড়ুন: এনডিএ-র নেতৃত্বে নীতীশ কুমার উজ্জ্বল বিহার গঠন করবেন, জানালেন জেপি নাড্ডা

    কী জানাল দেশের শীর্ষ আদালত?

    জানা গিয়েছে, দুই বিচারপতির (Calcutta High Court) সংঘাত সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে তিন সপ্তাহ পরে। এবং এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের মেডিক্যাল ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা স্থানান্তরিত হয়ে যাবে দেশের শীর্ষ আদালতে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আমরা সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এমন কিছু হবে না যাতে কলকাতা হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়।

    প্রসঙ্গ ২ বিচারপতির সংঘাত

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘাত শুরু হয়। রাজনৈতিক নেতার মত আচরণ করছেন সৌমেন সেন এরকম মন্তব্যও করতে শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলাতে সিবিআই নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন। পরবর্তীকালে ভরা এজলাসেই সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলতে থাকেন বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রশ্ন করেন যে কেন সৌমেন সেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট করা হবে না!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share