Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যু, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: থানায় যুবকের রহস্য মৃত্যু, পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুরি যাওয়া মোবাইল ব্যবহার করায় এক ব্যক্তিকে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মামলার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। যদিও উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে যে এই মামলায় দ্বিতীয়বার দেহের ময়না তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নেই। এরই মধ্যে মৃত ব্যক্তির দেহ ফেরত চেয়ে শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানির আর্জি জানায় পরিবার। এই মর্মে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানাকে নিহতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে

    নিহত অশোক কুমার সাউয়ের পরিবারের তরফে শনিবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) নিহতের দেহ চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। এদিন শুনানির শেষে নিহত অশোক কুমারের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। এর পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে বাড়ি এবং শেষকৃত্য যেখানে সম্পন্ন হবে শ্মশানঘাট পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    থানার সিসিটিভি সংগ্রহ করল পুলিশ

    প্রসঙ্গত, গতকাল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়ে দিয়েছিল যে মৃত অশোক কুমার সাউয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন এখনই নেই। নভেম্বরের পর মামলার (Calcutta High Court) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। এবং সেই দিন পর্যন্ত দেহ সংরক্ষণে নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই দেহ সৎকারের আবেদন জানিয়ে ফের হাইকোর্টে যায় মৃতের পরিবার। সেই মর্মে আদালত আজ এই নির্দেশ দিল। এই ঘটনায় মৃতের ভাইপো বিজয় সাউ বলেন, ‘‘গতকাল আমরা পুলিশের কাছে দেহ চাইতে গেলে আমাদের আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে বলা হয় দেহ ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে৷ সেই কারণেই দেহ সৎকারের জন্য আমরা ফের হাইকোর্টে আবেদন করেছি৷’’ জানা গিয়েছে, থানার ঐদিনকার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সংগ্রহ করেছে লালবাজার। এর পাশাপাশি থানায় উপস্থিত সেদিনের সমস্ত পুলিশ কর্মীদের শনিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টে, খুশি চাকরিপ্রার্থীরা

    Calcutta High Court: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিশেষ বেঞ্চ হাইকোর্টে, খুশি চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবারই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদিকে নিয়ে এই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। এখন থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার সমস্ত শুনানি এই বেঞ্চে হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ইডি-সিবিআইকে সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ-দুর্নীতির বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই সংক্রান্ত মামলাতেই গত ৯ নভেম্বর নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আগামী দু’মাসের মধ্যে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সমস্ত মামলাগুলি শীর্ষ আদালতে ছিল, সেগুলিকেও পুনরায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের কাছেই। সেই মামলাগুলো নতুন গঠিত ডিভিশন বেঞ্চেই উঠবে বলে জানা গিয়েছে।

    আশায় বুক বাঁধছেন চাকরিপ্রার্থীরা

    গত ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এই মামলাগুলিকে ফেরত পাঠিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শীর্ষ আদালত সময়সীমা যেভাবে বেঁধে দিয়েছে, এবার সিবিআই এবং ইডি-র তদন্তে ব্যাপক গতি দেখা যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পুজোর ছুটির পরে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট খুলেছে। এদিকে আদালত বিশেষ বেঞ্চ গঠন করায় চাকরিপ্রার্থীরাও আশায় বুক বাঁধছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁদের সঠিক বিচার মিলবে, এই আশাতেই  দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে বসে রয়েছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের মতে, আদালতের (Calcutta High Court) প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। সুবিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হবো না।

     

    আরও পড়ুন: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, সোমবার থেকে কার্যকর হবে নির্দেশ

    TET: ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, সোমবার থেকে কার্যকর হবে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল রাজ্যে। এঁদের মধ্যে টেটে (TET) পাশ করতে পারেননি কেউই তবুও প্রাথমিকের শিক্ষকতা করছিলেন তাঁরা। অযোগ্য এমন ৯৪ জন শিক্ষককে আগেই ছাঁটাই করা নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট এবার সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত করার জন্য নোটিশ জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে জেলে রয়েছেন।

    চাকরি গেল ৯৪ শিক্ষকের

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট (TET) পরীক্ষায় নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। সেই থেকে টানা ৭ বছর চাকরি করছিলেন অযোগ্য শিক্ষকরা। ৯৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য আদালতে পেশ করে সিবিআই। আদালত পরবর্তীকালে এই ৯৪ জন শিক্ষককে তাঁদের টেট পাশ করার সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে কোনও রকমের সার্টিফিকেট তাঁরা জমা দিতে পারেননি। তাই এই ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল। সত্যিই কি ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? এমনটাই প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলের। কারণ টেট (TET) পাশ না করার অভিযোগে যাঁরা চাকরি করছিলেন এতদিন, তাঁদের প্রত্যেককেই নিয়োগ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

    ৬ নভেম্বর থেকে আর স্কুলে আসতে পারবেন না শিক্ষকরা

    জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (TET) তরফ থেকে জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে এই চিঠিগুলি পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে। জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একাধিক চেয়ারম্যান চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকারও করেছেন। আগামীকাল সোমবার ৬ নভেম্বর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই ৯৪ জন অযোগ্য শিক্ষক সোমবার থেকে আর স্কুলে আসতে পারবেন না। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এ বিষয়ে কী ভূমিকা ছিল অথবা ৯৪ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী মনে করছেন? এই নিয়ে কোন বিবৃতি এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গতি আনতে সিবিআই-এর ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’-এর পুনর্গঠন করা হল। নতুন সিবিআই আধিকারিককে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দিল্লিতে কর্মরত স্নেহাংশু বিশ্বাস নামক ওই অভিজ্ঞ অফিসারকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতায় বদলি করে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে এখন কোনওভাবেই সরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ডিআইজি সিবিআই অশ্বিন সেনভিকে সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন।  সিট-কে আরও শক্তিশালী করতে দিল্লি সিবিআই অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ওই অফিসারকে কলকাতায় আনতেই বিচারপতির এই নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এদিনের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আদালতকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রাইমারি বোর্ড অফ এডুকেশন।” সিবিআই-কে বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুজোর ছুটির পরে গোটা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। এতদিন ধরে কী কী তদন্ত এই নিয়োগ দুর্নীতিতে হয়েছে, সেটা জানতে হবে। মুখ বন্ধ খামে আদালতে তা জমা করতে হবে সিবিআই-কে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর। সেদিনই মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করতে হবে সিবিআই-কে।

    আরও পড়ুন: পুজোর উপহার! ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের, কত হবে বেতন?

    মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা করছে পর্ষদ

    আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এদিন আদালতে জানান, রাজ্য প্রাথমিক কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। ওএমআর সিট বিতর্কে সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্য এই মামলায় এসএলপি ফাইল করেছেন। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হলে শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়। ফলে দ্রুত শুনানি ও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিতের আবেদন আপাতত গ্রহণ করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও পর্ষদের এই আবেদন করার পিছনে বলা হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ ‘হার্স অর্ডার’ দিয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জ করতেই পরে। কিন্তু, এখানে পর্ষদের এই আবেদন আসলে মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা বলে মনে করছে আদালত। তাদের এই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আসছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার রাত বারোটার আগেই ইডির কাছে যাবতীয় নথি জমা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে ১০ অক্টোবরের মধ্যে নথি যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জমা না করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে ইডি।  মনে করা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের এই কড়া নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি নথি জমা করতে উদ্যোগী হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

    ইডির অভিযোগ 

    ইডি তরফে আদালতে এদিন অভিযোগ জানানো হয় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে নির্দেশ মানছেন না এবং তাঁর কাছ থেকে কোনও নথিও জমা দেওয়া হয়নি। সেইমতো বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আদালতের নির্দেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দেয় কোর্ট। এদিন দুই ব্যক্তিকে নথি হাতে ঢুকতে দেখা যায় ইডি দফতরে।

    গত সপ্তাহেই হাজিরা এড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক 

    ইডি অফিসে নথি জমা দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে সম্পন্ন হয়েছিল। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে চলতি মাসের ৫ তারিখে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল যে সমস্ত নথি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জমা দিতে হবে এবং তার সময়সীমা হাইকোর্ট নির্ধারণ করেছিল ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। গত সপ্তাহেই সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। সেখানেই বিচারপতি অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজিরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এমনকি, কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চললে আদালত যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়, তবে নতুন নির্দেশও দিতে পারেন বিচারপতি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে সামনে এল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ যোগ্য়তা থাকা সত্ত্বেও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি করা হচ্ছে পড়ুয়াদের। মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে (Calcutta High Court)। অতিসত্ত্বর রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে আদালতে তলবও করেছেন। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান ভর্তি সংক্রান্ত এই মামলায় অনিয়ম প্রমাণিত হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ইতিশা সোরেন নামে এক নিট পরীক্ষার্থী। 

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল মামলাকারীর

    চলতি বছরের ৭ মে নিট পরীক্ষা হয় মেডিক্যালের। গত ১৩ জুলাই এ সংক্রান্ত ফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায় পরীক্ষার্থী ইতিশা সোরেন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৮,৩১৯ নম্বরে। ইতিশা সোরেন একজন তপশিলি সমাজের পড়ুয়া। ইতিশা জানিয়েছেন, এরপরে দুবার তাঁকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হলেও কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta High Court) পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি তাঁকে বলা হয়েছে সংরক্ষিত সমস্ত আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তপশিলি জনজাতি সমাজের নন এমন অনেককে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ

    তবে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, আরজিকর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশিরভাগ কলেজগুলিতে সংরক্ষণের নিয়ম না মেনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ বিষয়ে সোমবারই ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন এর অধ্যাপক দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী দিনে যদি অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয় তাহলে যাঁরা বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। সেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি তো বাতিল করা হবে এর পাশাপাশি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ইডির করা অভিযোগ খারিজ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডির অভিযোগ বা ইসিআইআর-এর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘‘তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইসিআইআর খারিজের আবেদন অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।’’

    বাধা রইল ইডির তদন্তে

    শুক্রবার হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ফলে ইডির তদন্তে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এর আগে ২১ অগাস্ট প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখানে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু নথি। পরবর্তীকালে ২৩ অগাস্ট ইডির প্রেস বিবৃতিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সিইও হিসেবে উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (Abhishek Banerjee) নাম। ইডির এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হতেই তদন্তে জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্স সংস্থার নাম। অভিযোগ, ওই কোম্পানির মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেন কালীঘাটের কাকু। এক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরও হদিস পায় ইডি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর চিঠির সূত্র ধরেই উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। তৃণমূলের যুবনেতার দাবি ছিল যে অভিষেকের নাম বলার জন্য নাকি তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি-সিবিআই। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে বলেন যে প্রয়োজন পড়লে সিবিআই বা ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই একই নির্দেশ পরবর্তীকালে বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি-সিবিয়াইয়ের নির্দেশকে বহাল রাখলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তবে দিতে হবেনা সিআইডিকে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা। আলিপুরদুয়ারের ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এই দুর্নীতির কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল  পড়ে যায়। রাজ্য প্রশাসনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির উপর আস্থা রাখতে পারলেন না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ  করল। 

    ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দিয়েছে(Calcutta High Court)?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে জানান, এই মামালায় সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার দিতে হবে না। যদিও এই জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই দুর্নীতির মামালায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করবে। ফলে রাজ্য সরকারে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আদালতে কার্যত ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    মামালার প্রেক্ষাপট

    প্রথমিক ভাবে আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। কিন্তু তদন্ত নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। দুর্নীতির বিষয়ে সিআইডিকে তীব্র ভৎসনাও করেন বিচারপতি। তিনি তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বলেছিলেন যে আপনাদের নিয়ম অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পরবর্তীতে সিআইডি, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে। সেই রায়ের ভিত্তিতে আজ ফের ডিভিশন বেঞ্চ জরিমানাকে বাদ দিয়ে আগের রায়কে বহাল রাখলেন বিচারপতির বেঞ্চ।  

    সূত্রে জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সমবায়ে মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। সমিতির সদস্যরা পরে জানতে পেরেছিলেন এই সমিতি উঠে গেছে। আর এরপরেই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ঋণ সমিতির উপভোক্তারা মামলা করেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীর ভুল বানানে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাতিল করলেন নিয়োগ

    Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীর ভুল বানানে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাতিল করলেন নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় অনিয়মের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। এদিকে সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করেন এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের দ্বারস্ত হন। আদালতে তিনি মামলা করেন যে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই নম্বর পেলে তিনি চাকরিটা পেতেন। চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট এর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই ইন্টারভিউয়ের ভিডিও দেখে বিস্মিত হয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    ইন্টারভিউ-এর ভিডিও 

    বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, ‘‘এই যোগ্যতা নিয়ে আপনি শিক্ষকতা করবেন? আপনার আবেদন খারিজ করতে বাধ্য হচ্ছি।’’  আসলে ইন্টারভিউ-এর ভিডিওতে দেখা যায় ওই চাকরিপ্রার্থী ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন, ‘‘আমরা চাষ করী আনন্দে’’, সঠিক বানান হওয়া উচিত ছিল ‘করি’। কিন্তু তিনি লিখেছেন ‘করী’। পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীকে পাল্টা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘‘বলুনতো দুর্গা বানান কি?’’ মৌখিকভাবে প্রার্থী জানান, ‘দূর্গা’ হল সঠিক বানান। চাকরিপ্রার্থীর আবারও ভুল বানান শুনে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই সাধারণ ছোটখাটো বানান না জানলে আপনি শিক্ষক হবেন কীভাবে?, করি বানানে ভুল হল কেন?’’ চাকরিপ্রার্থী উত্তর দেন, ‘‘আমি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম অনেকদিন আগে পড়াশোনা করেছি তো তাই।’’

    বিচারপতির পাল্টা উত্তর

    বিচারপতি (Calcutta High Court) পাল্টা বলেন, ‘‘আমিও তো অনেক আগে পড়াশোনা করেছি আমারও তো ভুল হওয়ার কথা।’’ এরপরে সম্পূর্ণ ভিডিও আর দেখেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি আর সমস্ত ভিডিওটা দেখব না। এই বিদ্যা নিয়ে স্কুলে পড়ানোর যোগ্যতা আপনার নেই! আপনার থেকে অনেক কম যোগ্য চাকরিপ্রার্থী অনিয়মের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, কিন্তু আপনিও স্কুলে পড়ানোর যোগ্য নন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে করা সম্ভব? রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মর্মে নির্দেশ দেন আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যে অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে যে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কবে নির্বাচন হচ্ছে? পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী সমিতি গঠন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বিরোধী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না পুলিশ। 

    বিচারপতির পূর্বের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১১ তারিখ বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। এর ফলে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সেখানে কোনও স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি, ইতিমধ্যে ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির কোনও রকমের বৈঠক ডাকা যাবে না। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মর্মে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের মতামত জানতে চাইলেন অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ

    প্রসঙ্গত, রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত একজন কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে স্থায়ী সমিতি গঠন করতে দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। ৬ জন বিরোধী সদস্যের ওপর বর্তমানে মামলা চলছে। কংগ্রেসের দাবি, ভোটে অংশ নিতে চান তাঁরা। প্রসঙ্গত, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ৪২ জন। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share