Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: ভাইরাল জ্বরে কাবু হাইকোর্ট, আক্রান্ত বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা

    Calcutta High Court: ভাইরাল জ্বরে কাবু হাইকোর্ট, আক্রান্ত বিচারপতি থেকে আইনজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বরের উত্তাপে কাঁপছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের প্রায় ৭ জন বিচারপতির জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে রয়েছেন। এর ফলে তাঁরা বিগত কয়েকদিন ধরেই আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমও। মঙ্গলবার তিনি সশরীরে এজলাসে হাজির থাকতে পারেনি। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমেই মঙ্গলবার বেশ কিছু মামলার শুনানি হয়।

    জ্বরে আক্রান্ত বিচারপতিরা

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এদিন তাঁকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আশা করি আপনি ভালো আছেন।’’ তখন প্রধান বিচারপতি উত্তর দেন, ‘‘আর ৭ জন বিচারপতি জ্বরে অসুস্থ। আবহাওয়ার বদল নাকি অন্য কোনও কারণে বোঝা যাচ্ছে না। প্রধান বিচারপতি এদিন আরও জানান যে চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। এবং তাঁকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। তিনি দুর্বল রয়েছেন বলেও জানান।  হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনেকে আবার কনজাঙ্কটিভাইটিস-এ আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।

    বেশ কয়েকজন আইনজীবীও জ্বরে আক্রান্ত

    তবে মঙ্গলবার এজলাসে হাজির থাকতে না পারলেও বুধবার সশরীরে প্রধান বিচারপতি উপস্থিত হন হাইকোর্টে। এবং এজলাসেও বসেছেন। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও জ্বরে আক্রান্ত। তবে বুধবার তিনি আদালতে (Calcutta High Court) এসেছেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষকেও বুধবার আদালতে দেখা গিয়েছে। হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি সম্পা সরকার এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্থ বুধবারেও আদালতে (Calcutta High Court) আসতে পারেন নি। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেক আইনজীবীও শুনানির সময় হাজির থাকতে পারেন নি। হাইকোর্টের স্টাফদের এই পরিস্থিতি দেখে ঠিক যেন করোনাকালের কথা মনে পড়ছে। বছর দু’য়েক আগে করোনার থাবায় বেশ কয়েকজন বিচারপতি আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই তখন বিরতি নেন দৈনন্দিন কোর্টের কাজ থেকে। এবারও যেন সেই ছবিই ধরা পড়েছে হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালাকাণ্ডের জের! রাস্তায় বেআইনি কাটআউট রোধে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেহালাকাণ্ডের জের! রাস্তায় বেআইনি কাটআউট রোধে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়কে যত্রতত্র অপরিকল্পিত-বেআইনি কাট আউটের জন্য বাড়ছে পথ দুর্ঘটনা, এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় এই পর্যবেক্ষণ দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি এই সমস্ত কাট-আউট অবিলম্বে বন্ধ করারও নির্দেশ এদিন দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নতুনভাবে বেআইনি কাট-আউট যেন তৈরি না হয়, এবিষয়ে প্রশাসনকে কড়া নজরদারিও রাখতে বলেছে কোর্ট। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে থাকা জাতীয় সড়কগুলির হাল বেশ খারাপ। কোথাও বেআইনি জবরদখল, কোথাও আবার ট্রাফিক বিধি মানা হচ্ছে না। এতেই বাড়ছে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, যান চলাচলের জন্য রয়েছে অসংখ্য ‘মেডিয়ান কাট’। কিন্তু তারপরেও রাস্তার উপর বেশ কিছু বেআইনি কাট বানানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বিভিন্ন কারখানার সামনেও তৈরি করা হয়েছে বেআইনি কাট। অন্যদিকে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারখানাগামী লরিগুলি যাতে সহজেই বাঁক নিতে পারে সেই কারণে মালিকদের একাংশের মদতেই ওই কাট তৈরি করা হয়েছে।

    বেহালায় নিহত খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের প্রসঙ্গও ওঠে 

    প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) উত্তর দিনাজপুরে ডালখোলায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একটি মামলা ওঠে ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলায় উঠে আসে বেহালায় নিহত খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের প্রসঙ্গ। কীভাবে বেপরোয়া লরি পিষে দিল ছোট্ট শিশুকে সে কথা উত্থাপন করেন মামলাকারী। তা শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, “আমাদের সকলকে আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে।”

    মামলাকারীদের বক্তব্য

    সোমবার ডালখোলায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীর মূল বক্তব্য ছিল, ‘‘৩৪ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ না হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা।’’ এই মামলার আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বারাসত থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত জাতীয় সড়কে প্রশাসন এক-দু কিলোমিটার অন্তর অন্তর ব্যারিকেড দিচ্ছে। এটা জাতীয় সড়কের ক্ষেত্রে করা যায় না।’’ মামলাকারী এদিন প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার ক্ষেত্রে প্রশাসন যা করছে, তা দুর্ঘটনা বাড়বে।’’ এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষ যাতে আন্ডারপাস ব্যবহার করে সেজন্য মানুষকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনকেও পরামর্শ দেন বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) আরও বক্তব্য, রাস্তার দু’প্রান্তে একাধিক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত কাট আউট লাগানো হচ্ছে। এই কারণেই বাড়ছে দুর্ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়মের অভিযোগে এবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও, এসডিও সমেত ১৬৭ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। চলতি মাসের ৮ তারিখে তাঁদের উচ্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৮ তারিখ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ১১ জুলাই ছিল ভোট গণনার দিন। অভিযোগ ওঠে যে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বাম প্রার্থীর পক্ষে ছাপ দেওয়া ২৪৮টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন গ্রামের লোকজন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যালট পেপার থাকার কথা স্ট্রং রুমের ভিতরে তা বাইরে গেল কীভাবে!  এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তলব করেছেন ওই তিন সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে ২৪৮টি ভোট দেওয়া ব্যালট উদ্ধার হওয়ার পরপরই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়।

    হাস্যকর যুক্তি পেশ রাজ্যের আইনজীবীর

    রাজ্যের আইনজীবীর তরফে এদিন হাস্যকর যুক্তি পেশ করা হয় আদালতের সামনে। রাজ্যের আইনজীবি বলেন যে চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় নকল ব্যালট ছাপা হয়েছে। স্থানীয় ভিত্তিতে গ্রামের লোকজন নাকি সেই নকল ব্যালট ছাপাতে পারে বলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অনুমানও করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘গ্রামের লোকজন ব্যালট ছাপানোর মতো টাকা কোথা থেকে পাবেন।’’

    সাসপেন্ড উলুবেড়িয়ার বিডিও, এসডিও সমেত এক সরকারি আধিকারিক 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ শুরু হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ভোটে এবং গণনাতে কারচুপি এবং অনিয়মেরও বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে প্রচুর মামলাও দায়ের হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এতে হাইকোর্টের বিচারপতিরা পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ার এসডিও, বিডিও এবং এক সরকারি আধিকারিককে বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃতি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোন আলাদা ফল হয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Nandigram: নন্দীগ্রামে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করা যাবে না, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দুর গড়ে রক্ষাকবচ মিলল ১৫ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীর। এদিন নন্দীগ্রামের (Nandigram) জয়ী ১৫ জন বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী সোমবার পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ কোনওভাবেই গ্রেফতার করতে পারবে না তাদের। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চ। জানা গিয়েছে  এখনও পর্যন্ত এই  বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিচ্ছে শাসক দল, যাতে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন না করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এর আগে নন্দীগ্রামের মেঘনাদ পাল-সহ ৭ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ এদিন তালিকায় ফের জুড়ল ১৫ জন। সব মিলিয়ে ২২ বিজেপি প্রার্থী রক্ষাকবচ পেলেন হাইকোর্ট থেকে৷

    হাইকোর্টে কী বলল বিজেপি?

    বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিজেপির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে বলা হয়, নন্দীগ্রামে (Nandigram) একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতেছে তারা। সামনেই বোর্ড গঠন। যাতে বোর্ড গঠন না করা যায় সেই কারণেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। এদিন এনিয়ে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েন রাজ্যের আইনজীবী। বিচারপতিজয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, সবাই কি জয়ী প্রার্থী? রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘সেটা জানি না…’ এরপরেই বিরক্ত হন বিচারপতি। পাল্টা আবার প্রশ্ন করেন, “তাঁরা যে বিজেপি করেন, সেটা জানেন? আর জয়ী প্রার্থী কিনা সেটা জানেন না? অ্যাক্টিং কেন করছেন?”  এরপরেই আগামী সোমবার পর্যন্ত বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভাল ফল বিজেপির

    ২০০৭ সাল থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে নন্দীগ্রামের (Nandigram)। ওই বছরের ১৪ মার্চ বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিয়োগ ওঠে সাধারণ কৃষকদের ওপর। মারা যান ১৪ জন প্রান্তিক চাষী। প্রবল গণআন্দোলন শুরু হয় এরপর। যার জেরে ২০১১ সালে পতন হয় বামফ্রণ্ট সরকারের। সেদিনে সেই গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের বিধানসভায় নন্দীগ্রাম আসন থেকেক জেতেন শুভেন্দু। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগদান করেন শিশির অধিকারীর পুত্র। ২০২১ সালের বিধানসভার ভোটে নন্দীগ্রাম কার দখলে থাকবে এনিয়ে লড়াই তুঙ্গে ওঠে। কোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসনে প্রার্থী হন। বিজেপির প্রার্থী হন শুভেন্দু। ফল বেরতে দেখা যায় পরাস্ত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দীগ্রামের সিংহভাগ পঞ্চায়েতে জয় লাভ করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: উত্তরপত্রে বিকৃতির অভিযোগ! আদালতের নির্দেশে ৯০৭ পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: উত্তরপত্রে বিকৃতির অভিযোগ! আদালতের নির্দেশে ৯০৭ পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তড়িঘড়ি ৯০৭ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। কিন্তু হঠাৎ এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ কেন? আসলে এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে চাকরির পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধুমাত্র নাম নয়। এদের উত্তরপত্র প্রকাশ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন শুধুই নাম প্রকাশ হল। প্রসঙ্গত, নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় বলে খবর। কিন্তু ৯০৭ জন শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপর তাই বুধবার কমিশনের (ssc) তরফে ৯০৭ জনের নাম এবং রোল নম্বর প্রকাশ করা হল।

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের মামলা

    মামলাকারী ববিতা সরকারের আবেদনে চলতি মাসের ৭ জুলাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৬ সালে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জন চাকরি প্রাপক এবং ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে (ssc)। বিচারপতির আরও নির্দেশ ছিল, ওএমআর শিটের পাশাপাশি পরীক্ষার্থীর নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম-সহ ৯০৭ জনের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, এই ৯০৭ জনের বিকৃত উত্তরপত্র উদ্ধার করেছিল সিবিআই।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিপ্রার্থীরা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন এসএসসি (ssc) চাকরিপ্রার্থীরা। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ৯০৭ শিক্ষকের উত্তরপত্র দেখতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে এই মামলায় এক সপ্তাহের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে আবার  বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি শুরু হবে।

     

    আরও পড়ুুন: ভোট-হিংসায় সিবিআই, বিস্ফোরণে এনআইএ চাই, রিপোর্ট পেশ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    Hooghly: বিচারপতির হস্তক্ষেপে এক বছরের মধ্যেই নতুন স্কুল ভবন বলাগড়ে, উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেকের মধ্যেই নতুন ভবন পেল বলাগড়ের (Hooghly) চক খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বলাগড় ব্লকের জিরাট পঞ্চায়েতের অধীনে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গঙ্গা ভাঙনের ফলে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে বিদ্যালয়ের জানালা খুললেই গঙ্গা। জনা পঞ্চাশেক ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও ছিলেন আশঙ্কায়। আর তাই এবার চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং উদ্বোধন করে ক্লাস শুরু হল। নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বসিত।

    কীভাবে এলো নতুন ভবন (Hooghly)?

    যে কোনও দিন গঙ্গায় তলিয়ে যেতে পারে স্কুলবাড়িটি (Hooghly)। এরকম খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হতেই অনেকের মতো নজর পড়ে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি খবরটি জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই বিষয়ে সুয়োমোটো কেস করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান সুচন্দ্রা রায়কে সঠিক তথ্য কোর্টকে প্রদান না করার জন্য আদালতের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। আসলে গত কয়েক বছর ধরেই স্কুল বাড়িটির এক একটি অংশ গঙ্গার গ্রাসে চলে যাচ্ছিল। এরপর তাঁরই নির্দেশে হাইকোর্ট থেকে স্পেশাল অফিসার স্কুলবাড়িটির পুরো অবস্থা সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে আদালতে রিপোর্ট দেন। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ওই বাড়ি থেকে স্কুল সরিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। আদালতের নির্দেশে গঙ্গা থেকে নিরাপদ দূরত্বে টিন দিয়ে ঘিরে একটি জায়গায় ক্লাস করানো শুরু হয়। অন্যদিকে প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল থেকেও কোর্টকে জানানো হয় যে বছর দেড়েকের মধ্যেই নতুন স্কুল বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

    কীভাবে ক্লাস শুরু হল?

    এরপর ওই গ্রামের এক সহৃদয় ব্যক্তি চক খয়রামারি (Hooghly) স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার জন্য ১০ কাঠা জমি দান করেছেন। সেই জমির মধ্যেই দেড় কাঠা জমির মধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের ১১ লক্ষ টাকায় তৈরি হয়েছে নতুন দোতলা বিল্ডিং। একতলাতে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে আর দোতলায় একটি রুম। সেখানেই ক্লাস করানো হবে। বলাগড় আর্সেনিক যুক্ত এলাকা। তাই আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর উদ্যোগে। সোমবারই নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হল নতুন ভাবে। বলাগড়ের বিদ্যালয় পরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) গৌরব চক্রবর্তী এই নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে নিজে ক্লাস নেন। জানা গেছে, ওই একটি ঘরেই পার্টিশন করে বিভিন্ন কক্ষ করা হবে। সোমবার ৫২ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীই আসে স্কুলে। সকল ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিলে মাংস-ভাত খাওয়ানো হল এদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পুলিশ অভিযোগ নেয়নি! বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থী ভোলানাথ মণ্ডলের রহস্যমৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এদিন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের কাছে ঘটনার অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরেও কোনওরকম এফআইআর দায়ের হয়নি। আরও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই বিজেপি প্রার্থীর দেহ সৎকার করা হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ভরসা হারিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। এদিন বিচারপতি দুটি অভিযোগই শোনেন এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর ব্লকের দড়িকেওড়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন ভোলানাথ মণ্ডল। অভিযোগ, এর পর থেকেই শাসক দলের সন্ত্রাস নেমে আসে তার ওপর। মনোনয়ন তোলার জন্য চাপ দিতে থাকে তৃণমূল। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন ভোলানাথ। এরপরই গত ২১ জুন তাঁর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই আঘাত নিয়েও ভোটে লড়েন তিনি। ফের তাঁকে ১১ জুলাই গণনার দিন ব্যাপক মারধর করা হয়। অসুস্থ ভোলানাথকে ভর্তি করা হয় ডায়মন্ডহারবারের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ভোলানাথের।  

    কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ

    এমন পরিস্থিতিতে ভোলানাথ মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণনাকেন্দ্র এবং হাসপাতালের (Calcutta High Court) সিসিটিভি ফুটেজও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, দ্রুত তদন্ত শুরু করতে হবে। আগামী ১৮ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন পুলিশকে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের তরফেও হলফনামা জমা নেওয়া হবে ওইদিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতেই একের পর এক অভিযোগ উঠছে। ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য বসু। তা নিয়ে জল গড়ায় আদালতে। এবার সেই মামলায় রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসার মামলায় খারিজ রাজ্যের আর্জি, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বহাল এনআইএ তদন্ত

    বিচারপতির নির্দেশ

    মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই টাকা জমা করতে হবে। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ‘লিগ্যাল এইড সার্ভিস’-এ এই টাকা যাবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। শিক্ষা দফতর কীভাবে এই টাকা পাবে, তার পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর মতে, ২০১২ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘দুর্নীতি’র তদন্তে যে সমস্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের কাছ থেকে আদায় করতে হবে জরিমানার টাকা।

    পরবর্তী শুনানি ১২ সেপ্টেম্বর

    প্রসঙ্গত, ২০১২ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। স্বজনপোষণের মাধ্য়মে টাকার বিনিময়ে কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর জল হাইকোর্টে পর্যন্ত গড়ালে, উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) ২০১৬ সালে শিক্ষা দফতরের তৎকালীন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু মাঝখানে সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ফের মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীরা অযোগ্যদের চাকরি বাতিল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তদন্তের দাবি তোলেন। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।

    আরও পড়ুুন: ‘পিসিমণির হেঁসেল ঘরে স্পেশাল মেনু ব্যালট পেপারের থালি,’ টোটোর ব্যানারে প্রতিবাদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। কালিয়াচকের ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোর করে দুই ব্যক্তিকে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে (Forced Conversion) ধর্মান্তকরণ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় সিবিআই। সাত অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালে মালদার মালদার কালিয়াচকের ঘটে এই ঘটনা। দুই বোনের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামী বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল বিজেপির সমর্থক হওয়ার কারণে ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়। তাঁরা কোর্টের কাছে আরও জানান, ২৪ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে তাদের স্বামীরা নিঁখোজ। পুলিশকে এব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। হাইকোর্টের কাছে রাজ্য অবশ্য রিপোর্ট দেয়, ওই দুই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছে। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে কোনওভাবেই মিলছে না রাজ্যের রিপোর্ট। এবিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি, যার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট এফআইআর করতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এফআইআর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাম রয়েছে, খুরশেদ সেখ, রবিউল সেখ, মুক্তাবুল সেখ, তিনু সেখ, নজু সেখ, বরকতি সেখ এবং হাবিব সেখের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদায়।

    তদন্তে কী উঠে এল?

    জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই ভাই বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাজে যান। গৌরাঙ্গ মণ্ডল যান রবিউল সেখের বাড়ি এবং বুদ্ধ মণ্ডল যান হাবিব সেখের বাড়ি। এরপর সেদিন দুপুর দুটোর সময় তাঁরা বাড়িতেও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। তারপর আবার বেরিয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেন নি। এরপর নিঁখোজ দুইজনের স্ত্রী (বু্দ্ধ মণ্ডলের স্ত্রী পার্বতী মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলের স্ত্রী কলাবতী মণ্ডল) জানতে পারেন তাঁদের স্বামীদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ এরপর বুদ্ধ মণ্ডল ও গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সন্ধান পায় একটি মুসলিম বাড়িতে। মামলাকারীদের পুলিশ জানায়, বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে কোর্টে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর ২০২১। পরিবারের দাবি, কোর্টে তোলার দিন তাঁরা সকাল থেকেই আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন, কিন্তু গোটা দিন উপস্থিত থাকার পরেও যখন বু্দ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে কোর্টে তোলা হল না তখন কলাবতীদেবী এবং পার্বতীদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বিকালের পরে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে এসডিও এর সামনে হাজির করানো হয়, সেসময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিমদের ভিড় সেখানে ছিল। তারা বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, পরিবারের লোকের অনুপস্থিতিতে। এরপর ২০২২ সালের সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ধরলা গ্রামে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তখনই গ্রামে পৌঁছান পার্বতী দেবী ও কলাবতী দেবী। তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মুসলিমরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর গৌরাঙ্গ কোনওভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এবং কলাবতীকে সঙ্গে করে সে একটি গোপন আস্তানায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, অপহরণকারীদের চাপে কলাবতী ও গৌরাঙ্গর নামে এফআইআর করে বুদ্ধ। এরপর গৌরাঙ্গকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। কলাবতী জামিনে মুক্ত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুইভাই ফোনে জানিয়েছে, তাদের জোরপূর্বক মাদকের নেশা করানো হচ্ছে এবং পশু হত্যা করার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে মুসলিমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী ভোটে লড়তে পারবেন না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Vote: ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী ভোটে লড়তে পারবেন না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) লড়াই করার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই প্রার্থীদের এর আগে ভোটে লড়তে দেওয়ার নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। কিন্তু মঙ্গলবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৫ দিন পর এই মামলার নিষ্পত্তি করার কথাও বলা হয়েছে এদিনের নির্দেশে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট হল শনিবার। তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী লড়তে পারবেন না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হঠাৎ করেই নাম মুছে যায় আইএসএফ প্রার্থীদের

    জানা গিয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই মনোনয়ন জমা করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের নাম হঠাৎ মুছে গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে। এই মর্মে সোমবার তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।সোমবারের এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ সত্য হলে তাঁদের নির্বাচনে (Panchayat Vote) অংশ নেওয়ার সুযোগও করে দিতে হবে কমিশনকে।’’ আইএসএফের অভিযোগ, এরপরেও কমিশন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মঙ্গলবার একই আর্জি নিয়ে আইএসএফ দ্বারস্থ হয় ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।

    কী বলল ডিভিশন বেঞ্চ?

    মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একক বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে।’’ তবে শুধু আইএসএফ নয় এদিন ভোটে (Panchayat Vote) লড়ার ওপর স্থগিতাদেশ চলে এল ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীর ক্ষেত্রেও। ভাঙড়ের সিপিএম প্রার্থীরা একই অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share