Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যায় যোগ রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির! কী বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যা মামলায় উঠে এল নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ (Recruitment Scam)। গত বছর মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এক চাকরিপ্রার্থী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তাঁর নাম আব্দুর রহমান। পরিবারের অভিযোগ ছিল, টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেই মামলায় সোমবার কড়া মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এদিন বিচারপতি জানান, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আব্দুর রহমানের আত্মহত্যার ঘটনার যোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন বিচারপতি।

    কী ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। জানা যায়, গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য ছয় লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন আব্দুর রহমান। কিন্তু, ঘুষের টাকা দিয়েও চাকরি না মেলায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবশেষে বছর ২৫-এর এই যুবক আত্মঘাতী হন। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোটও। সেই ন’পাতার সুইসাইড নোটে দিবাকর কনুই- এর নাম উল্লেখ থাকলে তাঁকে দোষী হিসেবে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী ছাত্র লিখে গিয়েছেন, এই দিবাকরই তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন। দিবাকরকে ইতিমধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিচারপতি মান্থা কী বললেন?

    এদিন আদালতে শুনানি চলার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করছে সিবিআই। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, “লালগোলায় চাকরিপ্রার্থী আব্দুর রহমানের আত্মহত্যা নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু আত্মহত্যা নয়, আদালত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়েও চিন্তিত। বৃহত্তর চক্রান্ত খুঁজে বের করার সুযোগ রয়েছে।” সূত্রের খবর, তিনি আরও বলেছেন, “এই মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে চায় আদালত। এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে কোনও খামতি পাওয়া যায়নি।”

    এদিন আব্দুরের আত্মঘাতী হওয়ার মামলায় পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, মৃত তরুণের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও অবধি লালগোলা থানার পুলিশ যথাযথভাবেই তদন্ত করেছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে, সেই কারণে ধৃত দিবাকরকে জেলে গিয়ে জেরা করা উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তিনি বলেন, “সিবিআই কেন জেলে গিয়ে দিবাকরকে জেরা করছে না? বৃহত্তর চক্রান্তের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বুধবার। ফলে এখন এটাই বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সিবিআই (Recruitment Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: তিনদিন পরেও অধরা পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের

    Rajasekhar Mantha: তিনদিন পরেও অধরা পোস্টার কাণ্ডের দুষ্কৃতীরা, নগরপাল-স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির রাস্তায় পোস্টার মারা কাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতিরা। লেক থানার পর হেয়ার স্ট্রিট থানাতেও মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের হাতে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজও। তাও কেন গ্রেফতার করা হল না দোষীদের? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে দোষীদের খোঁজ চলছে।

    এরই মাঝে নগরপাল এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল (Justice Rajasekhar Mantha) সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের জরুরি তলবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে বেনজির বিক্ষোভের জেরেই তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। 

    গত সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে পোস্টার সাঁটানো ঘিরে উত্তপ্ত হয় আদালত চত্বর। সোমবার সকালে, দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির চারদিকে এই সমস্ত পোস্টার দেখা যায়। কারা পোস্টার দিয়েছে, তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে, সে দিনই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। 

    এদিকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির আশপাশে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় আগেই এফআইআর দায়ের করেছে লেক থানা। মামলা করতে চেয়ে আলিপুর আদালতের অনুমতিও চাওয়া হয় থানার তরফে। অনুমতি পাওয়ার পর এফআইআর দায়ের করা হয়।

    গত মঙ্গলবার আদলত অবমাননার রুল জারি করেছেন বিচারপতি মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, এজলাসের বাইরের সিসিটিভি দেখে সেই সব ব্যক্তি এবং আইনজীবীদের শনাক্ত করতে হবে। এরপর বুধবার এজলাসের সামনে থেকে সেই অবস্থান তুলে নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আদালত অবমাননার রুলে কী বলা হয়েছে?

    ১. বিচারপতির (Justice Rajasekhar Mantha) সম্মানহানি হয় এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে তাঁর বাসস্থান নিয়ে ভুল এবং মিথ্যা তথ্য পোস্টারে লেখা হয়েছে।

    ২. এজলাসে দরজা বাইরে থেকে আটকে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আদালতের কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ করতে না দিয়ে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা পরিষ্কারভাবে এই সাংবিধানিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছে।

    ৩. কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা চোখ রাঙিয়ে, হুমকি দিয়ে, আদালতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেন।

    ৪. পোস্টারে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আদালতের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে চেয়েছেন। একজন বিচারপতির বাড়ি এবং হাইকোর্ট চত্বরে এই ধরনের মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং বেপরোয়া পোস্টার কলঙ্কজনক। এর মাধ্যমে আদালত এবং বিচারপতিকে কলঙ্কিত করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

    ৫. জনমানসে এবং মানুষের চোখে আদালত এবং বিচারপতির ক্ষমতাকে ছোট করে দেখানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

    ৬. বাইরে থেকে এজলাস বন্ধ করে এবং পোস্টার মেরে কিছু আইনজীবী এবং অন্য ব্যক্তিরা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

        

     

  • Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকাকালীন রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনায় এবার রাজ্যের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, গরুপাচার সহ বিভিন্ন ঘটনায় সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। তাই সিবিআইকে কোণঠাসা করতেই এ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে জলঘোলা করছে রাজ সরকার ও শাসক দল। এজন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দায়ী করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    শুভেন্দু উবাচ…

    পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক অনু্ষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, এর আগেও রোজভ্যালি সহ বিভিন্ন মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে আদালতের নির্দেশে সেইসব মামলার শুনানি ও তদন্তের কাজ রাজ্যের বাইরে গিয়ে করতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বগটুই গণহত্যা সহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সত্যিটা সামনে চলে এলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। এবার সেটাকেই হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, লালন শেখের মৃত্যুর পর সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসের বাইরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল যাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী আত্মরক্ষার খাতিরে চূড়ান্ত কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তাহলেই তাদের আরও ব্যাকফুটে ফেলা যেত।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    শুভেন্দুর দাবি, এ সব কিছুর পিছনেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি যে আদালত এই মামলায় লালন শেখের স্ত্রীকে পার্টি করেছে। কারণ তাঁর নামে যে অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে, সেটি আদতে তৃণমূলের দুই নেতা লিখেছেন। তাঁদের ওই অভিযোগপত্র লেখার নির্দেশ দিয়েছেন ববি। আর ববিকে নির্দেশ দিয়েছেন পিসি।

    এদিকে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিআইডি। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশও দেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় আপাতত সিআইডি তদন্ত চালিয়ে যাবে। তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। লালন শেখের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে এইমস কল্যাণীতে। তবে এজন্য অনুমতি নিতে হবে লালনের স্ত্রীর। প্রসঙ্গত, লালনের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের সাতজনের নামে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    Calcutta High Court: শুভেন্দু ইস্যুতে হাইকোর্টে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ইস্যুতে ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চাইলে রাজ্যকে যথাযথ বেঞ্চে যেতে হবে। এ নিয়ে এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবে না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে আসার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি পেতে বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের সে আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তন করার আর্জিও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআরের স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: আসানসোলের দুর্ঘটনায় জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের, নাম নেই শুভেন্দুর

    আদালতের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট তাদের বলে হাইকোর্টে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য। সেই মামলাও গৃহীত হয়। তার পরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নয়া এফআইআর করতে চেয়ে মামলা করে রাজ্য। এদিন সেই মামলাটিই ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর একক বেঞ্চে।

    কম্বল বণ্টনের সময় মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বাণ রায় জানান, এটি (কম্বল দানে মৃত্যুর ঘটনা) একটি অপরাধমূলক অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে এফআইআর করা জরুরি। রাজ্যের আইনজীবীর কথা শুনেই বিচারপতি সেনগুপ্তর প্রশ্ন, রাজ্য কী কোনও প্রাথমিক তদন্ত করছে? ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে?  এফআইআর করার আগেও এগুলি হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিচারাধীন। সেক্ষেত্রে এই বেঞ্চ কী করবে?  আপনারা কী ডিভিশন্ বেঞ্চে গিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘কার নির্দেশে নিয়োগের আবেদন?’ ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। কার নির্দেশে আদালতে অবৈধদের জন্য শূন্যপদে চাকরির আবেদন করল কমিশন? এবার তারই তদন্ত করবে সিবিআই। কে করল এই ‘বেনামি’ আবেদন?  এবার তাই খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ থেকেই তদন্ত শুরু করবে সিবিআই। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ পুলিশ অফিসার, ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে, উদ্বেগ পরিবারের  

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, বেনামি আবেদন করার এই পরিকল্পনা কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তাও খুঁজে বের করবে সিবিআই। বিচারপতি আরও বলেন, এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় ঘুরছে আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।   

    প্রাথমিক পর্যবেক্ষনের পর বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “এই আবেদন কমিশনের নামে করা হলেও, আসলে কমিশন এই আবেদন করেনি। কমিশনকে সামনে রেখে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে। এগুলি ‘বেনামি’ আবেদন। কে বেনামী আবেদনের নেপথ্যে তা খুঁজে বার করতে হবে। এই ভুয়ো আবেদনের দায় বর্তমান চেয়্যারম্যানকে দেওয়া যেতে পারে না।” বৃহস্পতিবার সকাল ১০:৩০ টায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈনকে। 

    বাতিল হওয়া চাকরি প্রার্থীদের পুর্নবহালের আবেদন

    প্রথমে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে যাদের চাকরি বাতিল হয়, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে পুর্নবহালের আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এরপরেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে কমিশন। এরপরে সেই মামলাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, কার নির্দেশে করা হয় এহেন আবেদন। এবিষয়ে কোনও লিখিত প্রমাণ দেখাতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগ? কে করল বেনামি আবেদন?” সঠিক কোনও উত্তর না পেয়েই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। 

    সচিব সব দায় নিতে চাইলে, বিচারপতি (Calcutta High Court) বলেন, “অন্যের দায় আপনি কেন নেবেন ? আমি সেটা হতে দেব না। আপনি কি চাঁদমারি নাকি, যে আপনাকে লক্ষ্য করে সব গুলি ছোঁড়া হবে? এই আবেদনে যা লেখা রয়েছে সেই একই সুর শিক্ষামন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে।” বিচারপতির আরও মন্তব্য, অতিরিক্ত পদ তৈরি করার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। প্রয়োজনে সচিবকেও জেলে যেতে হতে পারে। 

    নির্দেশ (Calcutta High Court) পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এসএসসির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টে ইনস্ট্রাকশন কীভাবে পৌঁছোয়? এসএসসির হয়ে কোন কোন আইনজীবী ইনস্ট্রাকশন নেন? এখন তাই জানতে চাইছে সিবিআই। একাধিক মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ই-মেইলে নজর রাখছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

             

  • Ekbalpur Mominpur: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    Ekbalpur Mominpur: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ড নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। একবালপুর-মোমিনপুর সংঘর্ষের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করা নিয়ে আগেই আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু রাজ্য সরকারের অস্বস্তি যেন আরও বেড়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের দরজা নাড়লেন আরও এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কলকাতা শহরে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) মোতায়েনের আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

    একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডে রাজ্যের পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আগেই উঠেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, সেখানকার ঘটনা ঠেকাতে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। লক্ষ্মী পুজোর আগের রাত থেকে এই হিংসা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের দিকে বারবার ব্যর্থতার আঙুল তুলেছে বিজেপি। এই ঘটনায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বিজেপি ট্যুইটে বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে ও এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছে।

    আরও পড়ুন: হাত রয়েছে আল কায়দা ও আইসিসের! মোমিনপুরের ঘটনায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    অন্যদিকে গতকাল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ওই অঞ্চলে যেতে চাইলে তাঁকেও আটকে দেয় পুলিশ। আটক করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। সুকান্ত মজুমদারের গ্রেফতারির প্রতিবাদে, কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-নেতারা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে, বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপির বিধায়করা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে এমনটা অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও তিনি এই ঘটনার পর থেকেই একবালপুর-মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে দাবি করেছিলেন। আর তারই মধ্যে এক আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।  

     

  • Calcutta High Court: এমবিবিএসদের সমান বেতন দিতে হবে আয়ুশ চিকিৎসকদের, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: এমবিবিএসদের সমান বেতন দিতে হবে আয়ুশ চিকিৎসকদের, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারিতে যে কোনও শাখার স্নাতককেই সমানভাবে দেখার নির্দেশ দিলো আদালত (Calcutta High Court)। বলা হয়েছে, এমবিবিএস চিকিৎসকদের সমান বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে আয়ুশ ডাক্তারদেরও। একটি মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট  এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে এই নির্দেশ পালনের জন্য চার মাস সময় দেওয়া হয়েছে। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে নিয়োগ করা হয় এই আয়ুশ চিকিৎসকদের। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎকদের পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে এদের নেওয়া হয়। আয়ুশের অধীন রয়েছে বিএএমএস (আয়ুর্বেদ), বিএইচএমএস (হোমিয়োপ্যাথি) এবং বিইউএমএস (ইউনানি)। অ্যালোপ্যাথি এমও-দের বেতন ৪০ হাজার টাকা হলেও আয়ুশ এমওদের বেতন ছিল ২৫ হাজার টাকা। আয়ুশ এমওরা বার বার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাড়েনি বেতন। এর পর ২০২০ সালে বেতন বাড়ে। অ্যালোপ্যাথ এমও-দের শুরুর বেতন করা হয়য় ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে আয়ুশ চিকিৎসকদের মাসিক বেতন হয় ৩২ হাজার টাকা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন ছ’ জন আয়ুশ এমও। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভা, জয়নগর-মাজিলপুর পুরসভা, দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক হাসপাতাল, নোয়াপাড়া ব্লক হাসপাতাল, রাধানগর গ্রামীণ হাসপাতল ও খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত আয়ুশ এমও-রা। সম্প্রতি সেই মামলায় রায় দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তখনই এই কথা বলে আদালত।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পার্থসারথী দেব

    শীর্ষ আদালতের পথেই রায়দান

    অ্যালোপ্যাথি-আয়ুশ বৈষম্য নিয়ে ২০২২-এই অবশ্য নৈনিতাল হাইকোর্টে একই ধরনের মামলা করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের আয়ুশ এমও-রা। সেখানেও রায় গিয়েছিল আয়ুশ চিকিৎসকদেরই পক্ষে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে উত্তরাখণ্ড সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। ফলে কলকাতা হাইকোর্টও (Calcutta High Court) সেই রায়কেই উদ্ধৃত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, চার মাসের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক অ্যালোপ্যাথি এমও-দের সমমর্যাদা দিতে হবে চুক্তভিত্তিক আয়ুশ এমও-দেরও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই রায়ে উপকৃত হবেন আরবিএসকে কর্মসূচিতে কর্মরত ১২১৯ জন আয়ুশ এমও। স্বাস্থ্যভবনের একাংশ মনে করছে, যেহেতু শীর্ষ আদালতের রায়েরই প্রতিফলন রয়েছে হাইকোর্টের এই রায়ে, তাই সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার কথা সে ভাবে ভাবা হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে (Calcutta High Court) ফের ভর্ৎসিত পুলিশ। তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তোপের মুখে পড়লেন এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক।

    শাহজাহানের নাম বাদ কেন? (Calcutta High Court)

    বিচারপতির প্রশ্ন, “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?” ১ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, “মামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, সাক্ষীরা তাঁর নামই জানিয়েছেন। তাও কেন চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দিল পুলিশ?” সাক্ষীরা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “আপনিই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন যে, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য নয়!”

    সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) ফের সন্দেশখালিতে গেল বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা গিয়েছেন জেলিয়াখালিতে। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপির তিন কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। শুরু হয় তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দি নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, সেখানে প্রধান অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের বয়ানে সবার ওপরে থাকা শেখ শাহজাহানের নাম বাদ গিয়েছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য অনেক দিন সময় নিয়েছে। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহানের নাম নিয়েছে। তার পরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।”

    এদিন রাজ্যের তরফে এক আইনজীবী বলেন, “চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও। কেস ডায়েরি হাজির করতে রাজ্যকে আরও কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ এপ্রিল (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন কবে, তা জানতে চেয়েই দেওয়া হয়েছে নোটিশ। ৩ এপ্রিলের মধ্যেই জবাব তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।

    কী বললেন বিচারপতি? (Recruitment Scam) 

    বিচারপতি বলেন, “উচ্চ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা আইনের ও জনগণের বিশ্বাসের ওপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলে।” আর্থিক দুর্নীতির গুরুত্ব কেবলমাত্র শাস্তির মেয়াদ থেকে বোঝা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “মানুষের আস্থা ও সমাজের ওপর প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।” তিনি বলেন, “সৎ (Recruitment Scam) সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের নামে হয়রানি করা থেকে রক্ষা করার জন্যই অনুমতি গ্রহণের এই নিয়ম বা আইন রয়েছে। কিন্তু যেখানে আদালতের নির্দেশে বা নজরদারিতে তদন্ত হচ্ছে, সেখানে সেই তদন্ত হয়রানির জন্য করা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে তা বলা যাবে না। অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। এতে দেরি হওয়াটা দুঃখের বিষয়।”

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিককে। এঁদের মধ্যে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদের। আদালতে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, সরকারি আধিকারিকদের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেটা যেহেতু পাওয়া সম্ভব হয়নি, তাই এগোচ্ছে না তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারপতি বাগচি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে যখন তদন্ত চলছিল, তখন এত অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল না। এতদিনে তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।” আদালতের বক্তব্য, আসামিকে গ্রেফতার করে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দিষ্ট দিন আছে। ট্রায়াল চলাকালীন আসামিকে জেলে থাকতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী ছিলেন। তিনি খুনের আসামি নন যে, তাঁকে হেফাজতে রেখে পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে। বিচারপতি বাগচির পর্যবেক্ষণ, “তদন্তকারী সংস্থা এক (Recruitment Scam) বছরেরও বেশি সময় পেয়েছে। যদিও তদন্তে গতি আনতে ব্যর্থ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনের অগোচরে গার্ডেনরিচে নির্মাণ হয়নি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অর্থাৎ এদিন সরাসরি প্রশাসনকেই এই ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় তুলল হাইকোর্ট, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে- এবিষয়ে রিপোর্টও চেয়েছে উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং

    গার্ডেনরিচ এলাকায় বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। মামলাকারী রাকেশের বক্তব্য, গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে যাওয়ার ফলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় এমন আরও প্রায় ৫০টি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলে দাবি করেন রাকেশ। এ বিষয়ে আদালতের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মামলাকারী। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘শুনলাম বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর উদ্ধারকার্য বন্ধ করে দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে থাকলে কী হবে? প্রতিটি পঞ্চায়েত, পুরসভার একটি করে নজরদারি কমিটি থাকা দরকার। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ওই পাঁচ তলা বহুতল গড়ে উঠেছে বলে মনে হয় না।’’

    গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ!

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ আটকাতে আইন থাকলেই হবে না, তা বলবৎ করার মতো পরিকাঠামোও থাকতে হবে। গুলি ছাড়া বন্দুক দিয়ে সৈন্যদের সীমান্তে যুদ্ধে পাঠিয়ে কী লাভ?’’ প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, তারা যখন স্কুটার বা জিপে করে কোনও এলাকা পরিদর্শনে যায়, তাদের মারধর করা হয়। পরিকাঠামো না থাকলে তারা কী করবে? মনে করুন, আপনি প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অর্ধেক লরি ভর্তি বালি, এক লরি ভর্তি ইট নিয়ে এসে নির্মাণস্থলের সামনে রাখলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্সিলরের গুপ্তচর চলে আসবেন। আর অনুমতি না থাকলে অনেক সময় কেউ আসেও না।’’

    যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট

    সরকারের উদ্দেশে আদালত (Calcutta High Court) এদিন আরও পরামর্শ দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি আপাতত কয়েক দিন খাবার সরবরাহ, রেশন সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি, যাঁরা বাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য তাঁবুর বন্দোবস্ত করতে বলেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মতে, প্রতিটি পঞ্চায়েত সহ সব জায়গায় মনিটরিং সেল থাকা দরকার। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে যেখানে বাড়িটি তৈরি হচ্ছিল, সেখানে জলাভূমি ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share