Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Justice Amrita Sinha: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    Justice Amrita Sinha: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাওড়ার একটি বেআইনি নির্মাণের ঘটনায় প্রোমোটারকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি আগামী তিনমাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দাদের আবাসন খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তারপরই আবাসনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    গার্ডেনরিচ (Garden Reach) বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনার পরই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। গার্ডেনরিচের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করলেন। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্তদের ভাল শিক্ষা দিতে হবে। যাতে আগামীতে বেআইনি নির্মাণ বন্ধ হয়’। বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) মন্তব্য, ‘আদালত চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারে না, বিচার না দিলে অন্যায় করা হবে। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর ডিভিশন বেঞ্চের কোন স্থগিতাদেশ নেই।’’ শুধু তাই নয়, ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে না চাওয়া অভিযুক্তের জরিমানা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করল আদালত। বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে পুরসভার আপ-টু-ডেট যন্ত্রপাতি রয়েছে কিনা তাও এদিন জানতে চান বিচারপতি।  এ বিষয়ে পুর কমিশনারের থেকে ৯ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা তলব করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভোটের কালি সহজে ওঠে না, জানেন কোথায় তৈরি হয় এই বিশেষ রঙ?

    কড়া নির্দেশ বিচারপতির

    আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গেছে, হাওড়ার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী লেনে কোনরকম অনুমোদন ছাড়াই তৈরি হয়েছিল একটি পাঁচতলা আবাসন। শুধু তাই নয় সেই আবাসনটির প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দরে বিক্রি করে দেয় প্রোমোটার। নির্মাণটিকে কেন্দ্র করে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, মামলা চলাকালীনই একতলা থেকে সেটিকে পাঁচ তলায় রূপান্তরিত করে দেন প্রোমোটার। এদিন মামলার শুনানিতে গার্ডেনরিচের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিচারপতি বলেন, ‘আদালত এতদিন নরম ছিল তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে তাতে আদালত আর কোন বেআইনি নির্মাণকে রেয়াত করবে না।’ আবাসনের বাসিন্দারা এদিন আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময় চান। তাঁদের দাবি ছিল, ব্যাঙ্ক লোন করে সর্বস্ব দিয়ে ফ্ল্যাটগুলি কিনেছেন। ফ্ল্যাটটি খালি করতে তাঁদের অন্তত এক বছর সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি (Justice Amrita Sinha)। ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীর খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীর খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ৩ বিজেপি সমর্থককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানিতে এবার ঘটনার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে কেস ডায়েরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ততদিন নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। ওই ঘটনার এফআইআর-এ নাম থাকলেও, চার্জশিট থেকে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। 

    কোন ঘটনার কেস ডায়েরি

    ২০১৯ সালে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ৩ বিজেপি কর্মী সুকান্ত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলকে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করে শাহজাহানের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিবারের দাবি, ৩ নিহতের মধ্যে ২ জনের দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। সেই ঘটনায় শাহজাহানসহ একাধিক দুষ্কৃতীর নামে এফআইআর দায়ের হয়। প্রাথমিকভাবে শাহজাহানকে অভিযুক্ত করা হলেও পরে পুলিশ আদালতে আবেদন করে তার নাম অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘটনার পর বেশ কিছুদিনের জন্য গায়েব হয়ে গিয়েছিল শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। পরে ফের তাকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: রাত থেকেই ভিজছে শহর, আগামী তিন দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    বিজেপির দাবি ছিল, অভিযোগপত্রে নাম থাকা সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) নাম ছিল না চার্জশিটে। এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানির সময়ে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, গত ৪ বছরে ৪৩ টি এফআইআর হয়েছে, যার মধ্যে ৪২টি মামলায় চার্জশিট পেশ হয়েছিল। কিন্তু আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছিল যে, ৪২টি মামলার চার্জশিট দিতে কেন ৪ বছর সময় লেগেছে। নিহত তপন মণ্ডলের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় তপনবাবুকে। এর পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের লোকেরা তার ভেড়ির মাঝখানে নিয়ে গিয়ে তপনকে নৃশংসভাবে মারধর করে। এর পর একের পর এক গুলি করা হয় তপনবাবুকে। এমনকী তাঁর ২টি চোখেও গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া নিহতদের পরিবার। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এবার সেই ঘটনারই কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার নির্দেশের ওপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ নয়। স্থগিতাদেশের কোনও আবেদনই শুনব না। যে আদালতই নির্দেশ দিক, সেটাই বহাল থাকবে।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত জানিয়েছে, আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক, আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না। বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতিও নয়। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন এসেছিল। একটি মামলাও গৃহীত হয়নি।

    বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলায় পুরসভা ৩০ দিন সময় চেয়েছিল। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে? বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা, তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব করেছে আদালত। ৯ এপ্রিল ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?”

    বহুতল বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর ছবি

    গার্ডেনরিচে (Calcutta High Court) বহুতল বিপর্যয়ের পর উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। একটি বহুতলের ওপর হেলে পড়েছে আর একটি বহুতল। দুই বহুতলের মাঝে ফাঁক মাত্র এক আঙুলের। ৯টি প্রাণের বিনিময়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভাও। থানাগুলিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজার। এহেন আবহেই এমন পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার। বিচারপতি বলেন, “বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া ছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময়! কেন? প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। তার পরেই তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?

    আরও পড়ুুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: ‘আদালতের নির্দেশ কি খেলনা?’ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘আদালতের নির্দেশ কি খেলনা?’ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ না মানায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।  একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশকে কিছু সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়ার নির্দেশ দেয় আাদালত। নির্দেশে মান্যতা না দেওয়ার জন্যেই ভর্ৎসনা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    এদিন সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের অর্ডার কি খেলার জিনিস? পুলিশ কি মনে করছে? হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অর্ডার না মানলেও চলবে? কিন্তু পুলিশ যদি ভাবে কোর্ট অর্ডার না মানলেও চলবে, তাহলে ভুল করছে। কেন আদালত অবমাননার জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেব না? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি এও বলেন, “ভুলে যাবেন না, হাইকোর্টের ক্ষমতা।” এরপরই মামলার পরবর্তী শুনানিতে এজলাসে হাজির হয়ে পুলিশ কমিশনারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: ফের বিজেপিতে অর্জুন, ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু

    আদালতের নির্দেশ

    মোবাইল টাওয়ার লোকেশন সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী পঙ্কজ কুমার দুগার। ওই মামলায় আলিপুর পুলিশ কোর্ট থেকে হাজারা ক্রসিং  এবং কালীঘাট ফায়ার স্টেশন পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ কমিশনারকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই নির্দেশের পরেও কাজ হয়নি। উল্টে  পুলিশ কমিশনারের হয়ে কালীঘাট থানার ওসি রিপোর্ট দেয় আদালতকে। ২২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন সিপিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক মামলায় কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশকে আদালতের রোষের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক মামলা থেকে শুরু করে অন্য কোনও অপরাধ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। 

    আরও পড়ুন: দাড়িভিটকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু হাইকোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    Recruitment Scam: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের বিস্তারিত রিপোর্ট যেন মৌচাকের মতো বহুমুখী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা করেছিল সিবিআই এবং ইডি। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) এই মন্তব্য করেন। ওই রিপোর্ট নিয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ এবং তাঁর নির্দেশনামা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) সিবিআই রিপোর্ট চমকে দেওয়ার মতো। অনেকটা মৌচাকের মতো বহুমুখী। সিবিআই-এর রিপোর্ট দেখে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিচারপতি বলেন, “যে পরিমাণ টাকা পাচার করা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। টাকা এক হাত থেকে আরেক হাতে বিভিন্ন স্তরে গিয়েছে। এই অপরাধ এক হাত থেকে আরেক হাতে, এক দফতর থেকে আরেক দফতরে মসৃণভাবে প্রবেশ করেছে। শুধু রাজ্য না রাজ্যের বাইরেও টাকা গেছে। অপরাধের তীব্রতা শকিং।” আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি চাকরি এখানে গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে।” যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তদন্তের স্বার্থে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হবে না, বলেও জানান বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha)।

    আরও পড়ুুন: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    তদন্ত দ্রুত শেষ করে ট্রায়াল শুরু করা উচিত বলেই মনে করে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের নির্দেশ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস স্যাম্পেলের রিপোর্ট শীঘ্রই সংগ্রহ করতে হবে। নির্দেশনামা অনুযায়ী, ইডির রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে, পিএমএলএ (টাকা তছরুপ)-এর মামলায় ইডিকে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা সিএফএসএল থেকে দ্রুত আনার জন্য ইডিকে পদক্ষেপ করতে হবে। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, অপরাধ কী ভাবে এগিয়েছে, বিশেষত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থা, তার ডিরেক্টর এবং কর্মীরা কী ভাবে এত টাকা সঞ্চয় করেছেন, যা ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। পরবর্তী শুনানির দিন, আগামী ২৪ এপ্রিল ইডি-সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: “বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ”, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি হাইকোর্টের

    SSC Scam: “বাতিল হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ”, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ প্রমাণিত হলে,  দু’টি বিকল্পের কথা জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগও।

    দুটি পথের কথা বলল হাইকোর্ট 

    বুধবার, এসএসসি-দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, ‘পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত? পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের নিয়োগ কেন? ৫-১০ হাজার ব্যক্তির ভবিষ্যতের থেকে দেশের ভবিষ্যৎ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবটা অবৈধ হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে।’ দু’টি বিকল্পের কথা উল্লেখ করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। প্রথমত, দুর্নীতি (Recruitment Scam Case) প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে সম্পূর্ণ নিয়োগ। অথবা বাতিল করা হতে পারে গোটা নিয়োগের অংশবিশেষ।

    আরও পড়ুন: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    এদিন আদালতে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর পরেই বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘যদি কমিশনকে বিশ্বাস না করা যায়, তা হলে তো গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া উচিত। আপনারা বিতর্কিত চাকরিপ্রাপক এবং তাঁদের পরিবারের ১০ হাজার লোকের কথা বলছেন। কিন্তু যে ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের কথাও তো ভাবতে হবে।’’

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত বিজেপির

    হাইকোর্টের মতামতকে স্বাগত জানিয়েই বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই প্যানেলের মধ্যে সামান্য কিছু হলেও কিছু পরীক্ষার্থী ছিলেন, যাঁরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁদের সংখ্যা অত্যন্ত কম। কিন্তু পুরো প্যানেল যদি বাতিল হয়ে যায়, যদিও এছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বোঝা যাচ্ছে, তাহলে তাঁরাও তো প্রতারিত হবেন। সুতরাং কমিশনকে এগিয়ে আসতে হবে, আদালতকেও বিষয়টা দেখতে হবে। যাতে নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে পুরো প্যানেলটাকে চেক করানো যায়।’

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
  • Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    Calcutta High Court: মুখ পুড়ল রাজ্যের! ডিএ-র দাবিতে মিছিলের নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্ট ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ডিএ-র দাবিতে নবান্ন পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটি। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে কমিটিকে ওই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার।

    নির্দেশ বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও (Calcutta High Court)

    বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এখানেও বেশ কিছু শর্ত মেনে চলার কথা বলা হয়েছে মিছিলকারীদের। বেঞ্চের নির্দেশ, “এক লাইনে মিছিল করতে হবে। মিছিল শেষে কেবল একজন মাত্র বক্তৃতা দিতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে হবে। মিছিল যেন কোথাও দাঁড়িয়ে না যায়।” প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্য, “মিষ্টি দই, আলুপোস্ত, লুচি যেমন বাংলার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, মিটিং-মিছিলও তাই। এখানে সবাই জন্মগত যোদ্ধা।” তিনি বলেন, “কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে সংগঠনকে। কর্মসূচি শেষ করতে হবে দু’ ঘণ্টার মধ্যে।”

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মিছিলে শর্ত আদালতের 

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থাও নির্দেশ দিয়েছিলেন, হাওড়া রেল মিউজিয়াম থেকে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। দুপুর ১টা থেকে কর্মসূচি শুরু করা যাবে। মিছিলে সর্বাধিক ১৫০০ জন থাকতে পারবেন। পুলিশ ওই মিছিলের ওপর প্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করতে পারবে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।

    মিছিল শুরু দুপুর ১টায়

    এদিনের শুনানিতে নবান্ন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিলে আপত্তি জানায় রাজ্য। সওয়ালে রাজ্যের এজি বলেন, “ওই জায়গায় কোনও কর্মসূচি হয় না। শাসক বা বিরোধী কাউকে কোনও দিন অনুমতি দেওয়া হয় না। গতবারের চেয়ে এবার কর্মসূচিতে লোকের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে।” এজির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটি লাইন ধরে মিছিল যাবে। সেখানে সরকারি কর্মচারীরা অংশ নেবেন। সরকার তো তাঁদের সবার পরিচয় জানবে। তাই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় (Calcutta High Court)।” প্রসঙ্গত ডিএ-র দাবিতে বৃহস্পতিবার কোঅর্ডিনেশন কমিটির মিছিল শুরু হওয়ার কথা দুপুর ১টায়। শেষ হবে নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে।

    ‘মহার্ঘ ভাতা বাড়লে তো পুলিশেরও বাড়বে’

    পুলিশের উদ্দেশেও তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তারা (আন্দোলনকারী) সরকারি কর্মী, তারা সব নির্দেশ মেনে চলবেন। যদি না মানেন তাহলে তাদের সনাক্ত করতে পুলিশের কোন অসুবিধা হবে না। এর আগে যখন কর্মবিরতি হয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেতন কাটা হবে। ফলে এই সরকারি কর্মীদের ওপর আপনাদের নিয়ন্ত্রণ আছে।’’ তখন আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘‘পুলিশ অসুবিধা সৃষ্টি না করলে অশান্তি কেন হবে?’’ এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘না না, পুলিশ কেন বাধা দেবে। আপনারা যদি মহার্ঘ ভাতা পান, তাহলে পুলিশও পাবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: রাজ্যের সব দুর্নীতির মধ্যে যোগ সূত্র রয়েছে! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি সুতোর জট ছাড়াতে গেলে অন্যটিতে টান পড়ছে। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আর একটা দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই এবং ইডি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত দ্রুত শেষ হবে কি না, তা আদালতকে জানাতে গিয়েই এই দাবি করে সিবিআই। এসএসসি থেকে প্রাথমিক এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্যান্ডোরার বাক্স

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সিবিআই এবং ইডি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, টাকার উৎস নিয়ে কিছু জানা গেল কি না। আইনজীবী বলেন, “কখনওই শেষ না হওয়ার মতো উৎস। আমরা ইতিমধ্যে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আসলে এটা প্যান্ডোরার বাক্স। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটা দুর্নীতি উঠে আসছে। গোটাটাই একটা দুর্নীতির চক্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। গত জানুয়ারিতে আচমকাই একদিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই কণ্ঠ স্বরের নমুনার রিপোর্ট সম্পর্কেও বুধবার জানতে চায় আদালত। সিবিআই জানায়, সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি তাঁদের হাতে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। ২ মাস হয়ে গেছে। ওটা ব্যবহার না করতে পারলে তদন্তে কি সহযোগিতা হবে? প্রশ্ন করেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: অরুণাচল সীমান্তে নয়া সড়কপথের পরিকল্পনা, ভারতের প্রয়াসে ভয় পাচ্ছে চিন?

     এসএসসিতে দুর্নীতি

    এদিকে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) প্রমাণিত হলে নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল হতে পারে। এই দুটি বিকল্পই আমাদের কাছে রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এখনও অনেক কিছু আদালত খতিয়ে দেখবে। সবটা বেআইনি হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TET 2022: ভুল ছিল ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নেও, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৫০০ পরীক্ষার্থী

    TET 2022: ভুল ছিল ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নেও, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ৫০০ পরীক্ষার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি, দুটি নয়, ২০২২ সালের টেটে ভুল রয়েছে ১৫টি প্রশ্নে। মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন মৌসোনা মিত্র-সহ ৫০০ টেট পরীক্ষার্থী (TET 2022)। তাঁদের দাবি, টেটের ১৫টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এর পরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    কী বলল আদালত? (TET 2022)

    তাঁর মন্তব্য, প্রশ্ন ভুল নিয়ে স্থায়ী কোনও সমাধান বের করতে হবে পর্ষদকে। তারা কী পদক্ষেপ করবে, আদালতকে তা জানাতে হবে পরবর্তী শুনানির দিন। তা না হলে নীতি নির্ধারণ করবে আদালতই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ মার্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘প্রশ্ন ভুল হলে কোন ক্ষেত্রে কাদের নম্বর দেওয়া হবে, কাদের দেওয়া হবে না, তা নিয়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ তা (TET 2022) না পারলে নীতি নির্ধারণ করবে আদালতই।’

    অতীতেও টেটে ভুল প্রশ্ন

    এই প্রথম নয়, ২০১৪ সালের টেটেও প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় সব পরীক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মুখ পোড়ে সেখানেও। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন পরীক্ষার্থীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ২০১৪, ২০১৭ সালের টেটের প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে ভুল রয়েছে ২০২২ সালের টেটেও।

    আরও পড়ুুন: ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে”, সিএএ নিয়ে মুসলিমদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের টেটে সাতটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় ২০২৩ সালে। সেবার আবেদন করেছিলেন শুক্লা ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন টেট পরীক্ষার্থী। ওই একই অভিযোগে মঙ্গলবার ফের দায়ের হল মামলা। 

    শিক্ষক মহলের আশঙ্কা, পর্ষদ যদি সাতটি প্রশ্নে ভুল থাকার বিষয়টি আদালতে স্বীকার করে নেয়, তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা আরও বাড়বে। কারণ, যেসব পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁদের পুরো নম্বর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘায়িত হবে টেট পরীক্ষার্থীর তালিকা। তালিকায় অদল-বদলও ঘটাতে হবে। তখন আর শেষ থাকবে না বিড়ম্বনার (TET 2022)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share