Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • BJP Rally: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    BJP Rally: ধর্মতলায় ‘শাহি’ সমাবেশ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দুয়ারে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দুয়ারে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি’ সমাবেশ (BJP Rally)।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য 

    ফি বার একুশে জুলাই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে তৃণমূল। ওই একই জায়গায় ২৯ নভেম্বর সভা করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সভায় উপস্থিত থাকার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সভার অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালতে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, কম্পিউটার জেনারেটেড মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মামলাকারীর সভার জন্য নিয়ম অনুযায়ী দু সপ্তাহ আগে আবেদন করেছেন। তাহলে কেন কম্পিউটার জেনারেটেড বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে এবং তাদেরকে মেনে চলতে বলা হচ্ছে? আদালতের কাছে এটা পরিষ্কার যে, পুলিশ ওই আবেদনকে গুরুত্ব দেয়নি। আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কম্পিউটারের এই ত্রুটি তৈরি করা হয়েছে। যাতে মামলাকারী কোনও আবেদন করলেই তা খারিজ হয়ে যায়। এর পরেই বিজেপিকে (BJP Rally) সভার অনুমতি দেয় আদালত।

    বিচারপতি মান্থার রায় 

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রায় দিতে গিয়ে বলেন, “স্বাধীন দেশে যে কেউ যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। কারণ না জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ জাগছে। বিচারপতি মান্থার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। রাজ্যকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দ্রুত শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় বিজেপির ওই সভার অনুমতি চেয়ে ১৮ অক্টোবর কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনারের কাছে আবেদন করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে সভার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছিল ২৮ নভেম্বর। তারিখটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় সভার জন্য চাওয়া হয় ২৯ নভেম্বর। সেই দিনটিও খারিজ হয়ে যায়। আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির (BJP Rally)।

    আরও পড়ুুন: আগেই উদ্বেগ প্রকাশ মোদির, ডিপফেক নিয়ে মেটা, গুগলকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের  

    Suvendu Adhikari: ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের! শুভেন্দুকে বাঁকুড়ায় সভার অনুমতি আদালতের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এভাবে বারবার কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। যত আটকানোর চেষ্টা করবেন, ততই সন্দেহ বাড়বে।” সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। ১৭ নভেম্বর বাঁকুড়ার কোতুলপুরে কর্মসূচি ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। পুলিশের অনুমতি না মেলায় বাতিল হয়ে যায় কর্মসূচি। কেবল এদিনই নয়, ১ নভেম্বরও পুলিশের অনুমতি না মেলায় কোতুলপুরে পৌঁছেও মোহিনী মোহন ময়দানে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি শুভেন্দু। এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব।

    কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ‘জায়ান্ট কিলার’

    সেদিনই ১৭ নভেম্বরের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি (Suvendu Adhikari)। পুলিশি অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ‘জায়ান্ট কিলার’ (একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এভাবেই পরিচিত হন শুভেন্দু)। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। সেদিন মামলা করেই শুভেন্দু বলেছিলেন, “আদালত যেদিন বলবে সেদিনই কোতুলপুরে আমরা সভা করব। তবে সভা হবেই। তৃণমূল শত প্ররোচনা করেও সভা আটকাতে পারবে না।”

    শুভেন্দুর মিছিলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থার নির্দেশ

    এদিন বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, আগামী ২৫ নভেম্বর ওই জায়গায় মিছিল করতে পারবে বিজেপি। পুলিশ প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা তৈরি করতে পারবে। মঙ্গলবারের মধ্যে বিজেপিকে তা জানাতে হবে। এরই সঙ্গে কোতুলপুর থানার ওসি এবং এসডিপিওকে আদালতের নির্দেশ, শুভেন্দুর মিছিলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘জায়ান্ট কিলার’ শুভেন্দুর ‘আগ্রাসন’ রুখতে চেষ্টার কম কসুর করছে না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁকে রাজ্যের কোথাও সভা করতে বাধা দেওয়া হয়নি। তাঁর নামে লাগানো হয়নি কলঙ্কের কালি।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে পেটানোর নিদান দিলেন উদয়ন

    শিবির বদল করে বিজেপিতে যোগ দিতেই শুভেন্দুকে ঠেকাতে ‘গুপ্তবিদ্যা’ প্রয়োগ করতে শুরু করে শাসক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগ, তার পর থেকে শুভেন্দুর পায়ে বেড়ি পরানোর চেষ্টা করতে থাকে পুলিশও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় কর্মসূচি পালনে পুলিশ তাঁকে অনুমতি দেয়নি। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে কর্মসূচি পালনের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করে ছেড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

          

  • Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত আর কোনও মামলাই আর আপাতত শুনবেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আদালতের  পুজো অবকাশ শেষে সোমবার এজলাসে আসেন তিনি। পরে জানিয়ে দেন, এসএসসি সংক্রান্ত কোনও মামলা আপাতত শুনবেন না। তাঁর জন্য নির্দিষ্ট মামলাগুলির তালিকা থেকে এসএসসি সংক্রান্ত সব মামলা সরিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিপাকে পড়েন অনেকে

    তৃণমূল জমানায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Justice Abhijit Ganguly)। এই মামলাগুলির অনেকগুলিতেই কড়া রায় দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ‘ভগবান’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে শিক্ষিকার পদ খোয়াতে হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। তাঁর এমন আরও কয়েকটি রায়ের জেরে বিপাকে পড়েন অসাধু উপায়ে চাকরি পাওয়া তরুণ-তরুণীরা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে হতাশ তাঁরা। তবে এসএসসির মামলা না শুনলেও, প্রাথমিকের যে ক’টি মামলা চলছিল তাঁর এজলাসে, সেগুলি শুনবেন তিনি। ২৯ নভেম্বর ওই মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা।

    কী কারণে শুনবেন না মামলা?

    কী কারণে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা আপাতত শুনবেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)? তিনি জানান, ৯ নভেম্বর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এসএসসির সব মামলা ফেরত পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করবেন। সেখানেই শুনানি হবে এই মামলাগুলির। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক কিংবা নতুন চাকরির সুপারিশ, সব সিদ্ধান্তই নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির গড়ে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে যেসব মামলা সুপ্রিম কোর্ট ফেরত পাঠিয়েছিল, তার মধ্যে ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলাও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হাতে পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এসএসসি (Justice Abhijit Ganguly) নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: মেট্রোর জন্য ময়দানের ৭০০ গাছ কাটা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মেট্রোর জন্য ময়দানের ৭০০ গাছ কাটা যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রো রেলের কাজের জন্য ময়দানের ৭০০ গাছ কাটা যাবে না। বহাল থাকল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অন্তর্বর্তী আদেশ। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্মময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মেট্রো কাজের জন্য যে গাছ কাটার কথা বলা হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকের বক্তব্য পেশ করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের বন দফতর এবং সেনাবাহিনীর মতামতও নিতে হবে। কাছ কাটতে গেলে সকলের অনুমতি নিতে হবে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী মামলার শুনানি বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন প্রধান বিচারপতি?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “আমরা মেট্রো প্রকল্পের কাজের বিরোধী নই। শহরে মেট্রো পরিষেবা একান্ত প্রয়োজন। মেট্রো সেই অর্থে বিলাসিতা নয়। দৈনন্দিন জীবনের এটি একটি প্রধান অঙ্গ। গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রোর কাজ অত্যন্ত গর্বের বিষয়। তবে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এটা শুধু মাত্র অন্তর্বর্তী আদেশ।”

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মামলা করেছিল (Calcutta High Court)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মেট্রোর কাজ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই কাজের জন্য ভিক্টোরিরা মেমোরিয়াল এলাকায় মেট্রো সংলগ্ন ময়দানে ৭০০টি গাছ কাটা পড়বে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন কলকাতা’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থে মামলা করে। সংগঠনের বক্তব্য, কলকাতার ফুসফুস হল ময়দান এলাকা। ১৯৫০ সালের পর থেকে সব শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য এই গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই গাছ কোনও ভাবেই কাটা যাবে না। গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে বলা হয়েছিল আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত  গাছ কাটা যাবে না। সেই সময় ডিভিশিন বেঞ্চের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এবং বিভাসরঞ্জন দে বলেন, যে সংখ্যায় গাছ কাটার কথা বলে হচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের।

    মেট্রোর বক্তব্য

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পাশপাশি মেট্রোর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেশিন এবং অন্য যন্ত্রপাতি পরিবহণ করতে ২০০টির বেশি গাছ কাটার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ময়দান স্টেশনটির দৈর্ঘ্য ৩২৫ কিমি হবে। সেইজন্য মাটি খোঁড়ার কাজ চলছে। তবে কাটার বিকল্পে গাছ লাগানোর কথাও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, শুনানি শুক্রেই?

    Calcutta High Court: আমহার্স্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, শুনানি শুক্রেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় মৃত্যুর ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল বিজেপি। বৃহস্পতিবার আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন হাইকোর্টের। তার পরেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিজেপির তিন দাবি

    শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে এই মামলার। এই মামলায় প্রধানত তিনটি আর্জি জানানো হয়েছে। প্রথমত, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমান্ড হাসপাতালে করতে হবে ময়না তদন্ত। শেষত, আদালতে জমা দিতে হবে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানর সিসিটিভি ফুটেজ। বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। মৃতের নাম অশোক কুমার সিংহ। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলেজস্ট্রিট।

    পরিবারের অভিযোগ

    পরিবারের দাবি, চুরির মোবাইল কেনার অভিযোগে (Calcutta High Court) থানায় ডেকে পাঠানো হয় অশোককে। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় বিজেপি। অপসারণের দাবি তোলা হয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “যদি রাজ্যের হাসপাতালেও ময়নাতদন্ত হয়, তাহলে যেন চিকিৎসক আসেন কমান্ড হাসপাতাল থেকেই। আর যদি ভিডিওগ্রাফিও হয়, তাহলে তা কিন্তু সাধারণ মানুষ কিংবা জজ সাহেব কিছু বুঝবেন না, বুঝবেন একজন চিকিৎসকই। চিকিৎসক হোন কেন্দ্রের হাসপাতালেরই।”

    আরও পড়ুুন: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    পুলিশের দাবি, অশোককে মারধর করা হয়নি। অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান তিনি। মাথা ফেটে যায়, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। যদিও থানায় করা একটি ফেসবুক লাইভে দেখা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে থানার একটি ঘরের মেঝেয়। তাঁর দু চোখ খোলা। দেহ নিথর। রজনী সাউ নামে মৃতের এক আত্মীয়া বলেন, “একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কীভাবে থানায় ঢোকার দশ মিনিটের মধ্যেই মারা যেতে পারেন! পুলিশ না মেরে থাকলে ওঁর মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল কেন (Calcutta High Court)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেলে জাল গুটিয়ে আনা যেত তদন্তের। যদিও একাধিকবার চেয়েও মেলেনি তাঁর (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা। এসএসকেএমে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। তাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইডি।

    নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত

    সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা কবে নাগাদ মিলবে, তাও জানতে চেয়েছিলেন ইডির কর্তারা। তবে এখনও তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়। একটি অডিওর কণ্ঠস্বর তাঁর গলার স্বরের মতো লাগছে ইডির তদন্তকারীদের। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন তিনি। ইডি আদালতে এ কথা জানানোর পর সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে তা করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।

    কী দাবি করল ইডি?

    এর পর থেকেই (Sujay Krishna Bhadra) ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিল, তখন হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল, তিনি (সুজয়) মানসিকভাবে সুস্থ নন। জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ফের একবার ইডির আধিকারিকরা এসএসকেএম হাসপাতালকে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনার জন্য চিঠি লেখেন। চিঠিতে দ্রুত একটা তারিখও দিতে বলা হয়। সূত্রের খবর, ইডির সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা করে ঠিক করবে, কোন দিন সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ইডিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না (Sujay Krishna Bhadra) করলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত সিবিআই এবং ইডিকে দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সব মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকেও কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসে শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    প্রসঙ্গত, এসএসসি সংক্রান্ত অনেকগুলি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে এর আগে একবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছিল বিচারপতি বোস এবং বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয় বলেছিলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সাল-সহ বিভিন্ন বছরের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এতগুলি মামলার মধ্যে কোনটা আগে শুনব?’’ আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী পাওয়া গিয়েছে, তা এদিন আদালতকে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এদিন আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপরই এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Ganguly: “উর্দির সম্মানরক্ষা করুন”, শুভেন্দুর দাদার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” বুধবার এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দুকে পুলিশ যে নোটিশ পাঠিয়েছিল, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

    কৃষ্ণেন্দুকে তলব

    মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়ন মিশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসেবে নোটিশ পাঠানো হয় কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। তিনি শিশির অধিকারীর বড় ছেলে। রাজনীতি করেন না। করেন ব্যবসা। এই কৃষ্ণেন্দুর পাশাপাশি শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দুর স্ত্রী সুতপাকেও নোটিশ পাঠায় পুলিশ। দিব্যেন্দু তমলুকের সাংসদ। বুধবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এই মামলার শুনানিতেই পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় পুলিশ ঠিক কাজ করেনি।

    এসডিপিওর জরিমানা ৫ লক্ষ টাকা

    এগরার এসডিপিওকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করে আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য, “উর্দিতে যে অশোকস্তম্ভ রয়েছে, তার সম্মানরক্ষা করেননি এসডিপিও। দাসের মতো কাজ করেছে পুলিশ।” তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মামলায় কৃষ্ণেন্দুকে আর কোনও নোটিশ পাঠাতে পারবে না পুলিশ। তিনি বলেন, “যদি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে, তার বিরুদ্ধে আমি পদক্ষেপ করব।”

    বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তিনি যতদিন ঘাসফুল শিবিরে ছিলেন, ততদিন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। ধারাবাহিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু গোহারান হারান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরেই বাড়তে থাকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা। বিজেপির অভিযোগ, এর পরেই অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়।

    আরও পড়ুুন: রামমূর্তির অধিষ্ঠান হবে সোনার প্রলেপ দেওয়া সিংহাসনে, তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে

    এমনই একটি মামলা হল, ‘গ্রিন সিটি মিশন’ প্রকল্পে দুর্নীতি। ২০১৭-১৮ সালে গ্রিন সিটি মিশনে মেচেদা-দিঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভের সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় কাঁথি পুরসভা। এই মিশনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয় কৃষ্ণেন্দুকে। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত আয়করের ফাইলও চেয়ে পাঠানো হয় তাঁর কাছে (Justice Abhijit Ganguly)। তলব করা হয় দিব্যেন্দুর স্ত্রীকেও। দুজনকেই ১৬০ এর নোটিশ পাঠান কাঁথি থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পুজোর আগেই সুখবর! কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে, নিয়োগ কবে?

    Calcutta High Court: পুজোর আগেই সুখবর! কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকে, নিয়োগ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই সুখবর পেতে চলেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকরা! মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করতে বলেছে। আদালত এও জানিয়েছে, কাউন্সেলিং শুরু হলেও এখনই হচ্ছে না নিয়োগ। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এই ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে পারবে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কাউকে নিয়োগ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    বন্ধ ছিল কাউন্সেলিং

    উচ্চ প্রাথমিকের একটি মেধাতালিকায় নিয়োগের ব্যাপারে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এই তালিকায় প্রার্থী রয়েছেন ৯ হাজার। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার জেরে কাউন্সেলিং বন্ধ ছিল এঁদের। এসএসসি এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে দ্বারস্থ হয়েছিল হাইকোর্টে। তখনই আদালত জানিয়ে দেয়, কাউন্সেলিং শুরু করা গেলেও, নিয়োগ হবে আদালত নির্দেশ দিলে।

    এসএসসিকে প্যানেল তৈরির গাইডলাইন

    ২০১৬ সালে একটি প্যানেল তৈরি হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে। সেই প্যানেলে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবি করা হয়। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা হয় ২০২০ সালে। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য স্থগিতাদেশ দেন নিয়োগে। পরে মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেন এসএসসিকে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় এসএসসি। এর পরেই এসএসসিকে প্যানেল তৈরির গাইডলাইন ঠিক করে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ জানেন? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    প্যানেল তৈরির পর এসএসসি হাইকোর্টে জানায়, আদালতের নির্দেশ মেনেই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এবার মামলাটি যায় বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চে। সেই মামলায়ই মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চের (Calcutta High Court) নির্দেশ, তাদের তৈরি প্যানেল অনুযায়ী কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে এসএসসি। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া নিয়োগ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দেওয়া হবে পরবর্তী নির্দেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    Calcutta High Court: এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ বেলেঘাটার নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ বছর আগে খুন হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় এবার অভিজিতের মা ও ভাইয়ের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দীর্ঘদিন ধরে নিহত অভিজিতের মা ও ভাই নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশকে।

    বিচারপতি সেনগুপ্তর নির্দেশ

    অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মী। অভিজিৎ খুনে যাঁরা জেলবন্দি, তাঁদের পরিবারের লোকজন অভিজিতের বাড়িতে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। এই ইস্যুতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরেই সোমবার ওই পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশে তিনি বলেন, “এই খুনের ঘটনার মূল সাক্ষী দু’জন। মৃতের মা ও ভাই। আগেও দু’বার তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন না সেটা হচ্ছে, ততদিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে নারকেলডাঙা থানা।”

    সিসিটিভির ফুটেজ

    আগে হাইকোর্টের নির্দেশেই পুলিশি নিরাপত্তা পেয়েছিল সরকার পরিবার। অভিযোগ, যিনি নিরাপত্তা দিতে আসতেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ডিউটি করতে আসতেন। কখনও আবার পুলিশের উর্দি নয়, নিরাপত্তা যিনি দিতে আসতেন, তাঁর গায়ে থাকত সাধারণ পোশাক। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে সিসিটিভির ফুটেজও জমা দেন অভিজিতের ভাই। অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে পুলিশ। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। এর পরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে ঘাসফুল শিবিরের করিৎকর্মা কর্মীরা। বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তারা। অভিযোগ, এহেন আবহে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তার পর থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছে তাঁর পরিবার। ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। তার পরেও মাঝে মধ্যেই সরকার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনের পরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হন। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে রাজ্য পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share