Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক চিকিৎসক। বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। আবেদনে তিনি বলেছেন, অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে মেডিক্যাল কমিশন গঠন করে নজরদারির ব্যবস্থা করা হোক। যত্রতত্র আবর্জনা ও জমা জল পরিষ্কারের নির্দেশ দিক আদালত। রক্ত পরীক্ষার জন্য চালু হোক মোবাইল ইউনিট। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, রাজ্যে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি কোনও কাজ করছে না। ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে সঠিক পরিসংখ্যানও রাজ্য দিচ্ছে না।

    ডেঙ্গির বলি বালিকা

    মামলাকারী চিকিৎসকের অভিযোগ যে নিছক ভুয়ো নয়, তার প্রমাণ মিলেছে এদিনই। কলকাতার পাটুলিতে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যু হয়েছে তিথি হালদার নামে বছর দশেকের এক বালিকার। শনিবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিথি। বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গির বলি হয়েছেন তিনজন। এঁদের মধ্যে একজন ঠাকুরপুকুরের, একজন লেকটাউনের, আর একজন মুর্শিদাবাদের। সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ৩ হলেও, বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ৫০ এর গন্ডি। জানা গিয়েছে, কেবল দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বলি হয়েছেন ৯জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভা ব্যর্থ। কাউন্সিলরের দেখা মেলে না।

    ডেঙ্গিতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা

    এদিকে, পুজোর আগে আগেই রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) চোখ রাঙানি। ফি বারের মতো এবারও শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৯৬৫ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫২৩ জন। আর গ্রামাঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪২ জন। বিধাননগর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২৯৮ জন। জানা গিয়েছে, কামারহাটি, দক্ষিণ দমদম, বরাহনগর, বারাসাতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে বনগাঁ, আমডাঙা, হাবড়া ২ নম্বর ব্লক, দেগঙ্গা এবং গাইঘাটা এলাকায়।

    আরও পড়ুুন: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে হিসেব বহির্ভূত অর্থের অভিযোগ। অভিযোগ থাকলে ডিরেক্টর বা সিইওকে জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধে কোথায়? আপনি সিইও হলে যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা দিয়ে দিন। ১৮৮ এ, হরিশ মুখার্জি রোডের সম্পত্তির খতিয়ান সিঙ্গল বেঞ্চ চাইলে সমস্যা কোথায়? আপনি সাংসদ, আপনার সম্পত্তির খতিয়ান তো নির্বাচন কমিশনকেও দিতে হয়।” বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির তলব প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই অভিষেককে ডাকা হোক, ইডিকে প্রস্তাব আদালতের। অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

    ‘ইডিকে নথি দিন’

    অভিষেকের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিন। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়?” নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির। এই মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে ওই কোম্পানির নাম জানতে পারেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ‘এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়’

    এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই তলব করা হয় তাঁকে। এদিন বিচারপতি বলেন, “এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তাও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    বিচারপতি বলেন, “মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতেই পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এতদিন ধরে তদন্ত চলার পরেও কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গলবেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে (Abhishek Banerjee) চাইবেনই।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে আবার নির্দেশ দিতে পারে।” অভিষেকের আইনজীবীকে বিচারপতি সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি (ED)? এতগুলো দিন কেটে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যে হাজিরা দিতে পারবেন না, তা তিনি আগে জানালেন না কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে মঙ্গলবার এই প্রশ্ন করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি ছিল এদিন। মামলার কাগজপত্র এসে না পৌঁছনোর কারণে এদিন তা শোনা হয়নি। বুধবার এই মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমার্ধেই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি

    এদিন বিচারপতি সেন সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে, সেটা তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন? কেন জানাননি? আপনি যে যাবেন না সেটাকে ইডিকে জানানো উচিত ছিল।’’উত্তরে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘প্রতি বার রাজনৈতিক কর্মসূচির দিন আমার মক্কেলকে তলব করা হয়। এর আগেও হাজিরা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এই মামলায় ইডির তদন্তকারী অফিসারকে সরানোও হয়েছে।’’ এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘মামলার সব পক্ষকে প্রতিলিপি দিন। বুধবার শুনানি হবে।’’

    বুধবার ফের মামলার শুনানি

    নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। ইডির (ED) হাজিরা এড়াতে চেয়ে এবং সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই বেলা সাড়ে ১২টায় শুনানির কথা ছিল। এদিন এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘সকালে এসে মামলা করতে পারেন, অথচ কেন যাবেন না সেটা একবারও বলা হল না।’ অন্যদিকে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। ওনাকে শুধু গিয়ে দেখা করার কথা বলা হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করুন উনি।’ এই না যেতে পারার বিষয়টি নিয়ে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত সে অর্থে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। 

    আরও পড়ুন: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মঙ্গলবার দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত। তাই কলকাতায় ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি। তবে তিনি বুধবারেও হাজিরা দিতে পারেন, কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, অভিষেক মঙ্গলবার ব্যস্ত থাকলে বুধবারেও হাজিরা দিতে পারেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক এখন দিল্লিতে, আজ ইডি-র দিল্লি দফতরেই ডাকা হবে তৃণমূল সাংসদকে?

    Abhishek Banerjee: অভিষেক এখন দিল্লিতে, আজ ইডি-র দিল্লি দফতরেই ডাকা হবে তৃণমূল সাংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কলকাতার দফতরে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু, এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ৩ অক্টোবর (আজ) তদন্তের কাজ যেন কোনও অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়। ফলে, আজ অভিষেক হাজিরা না দিলে কী কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    তলব কলকাতায়, অভিষেক রয়েছেন দিল্লিতে 

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শিবিরের দাবি, আজ যে তিনি ইডি দফতরে অভিষেক হাজিরা দিচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তাদের যুক্তি, অভিষেক যে আজ সমনে হাজিরা দেবেন না, তা তিনি সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করে দিয়েছেন। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক যে হাজিরা দিচ্ছেন না, সোমবার রাত অবধি সেরকম কোনও তথ্য তাদের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়নি। ফলে ইডি তদন্তকারীরা অভিষেকের হাজিরার সম্ভাবনা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, সমাজমাধ্যমে কে কী লিখল, তা ইডি-র (Enforcement Directorate) কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। 

    ‘তদন্তের কাজ যেন ব্যাহত না হয়’

    আবার, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ওই দাবি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলতে শোনা গিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ৩ অক্টোবর তদন্তের কাজ যেন ব্যাহত না হয়। এর আগের শুনানিতে, ভরা আদালতে ইডি-র প্রতিনিধিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সিনহা। এমনও প্রশ্ন ওঠে, যে ইডি কি ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাকে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে? ফলে, সব মিলিয়ে প্রবল চাপে থাকা ইডি আজ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের, বিশেষ করে রাজনৈতিক মহলের। 

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে অভিষেককে। সেই সিইও-র তরফে গরহাজিরার চিঠি এলে, তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে দাবি ইডির (Enforcement Directorate)। মূল প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতের সামনে ইডি-কে প্রমাণ করতে হবে যে, তদন্তে ব্যাঘাত ঘটেনি। গত শুনানিতে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার পরে আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে। ফলে, সেই দিক দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার কাছে আরও কয়েকদিন রয়েছে। অভিষেককে এর মধ্যে নতুন করে তলব করা হতে পারে। 

    অভিষেককে দিল্লি অফিসেই ডাকা হবে?

    আবার, অভিষেক (Abhishek Banerjee) যদি দিল্লিতে থাকার কথা জানিয়ে হাজিরা এড়ানোর চিঠি দেন, সেক্ষেত্রে অভিষেককে দিল্লিতেই ইডির সদর দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তাব দিতে পারে তারা। এটা করলে হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করতে ইডি যে কতটা সচেষ্ট, সেই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারবে। পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর অপর দুই ডিরেক্টর তথা অভিষেকের বাবা-মা অমিত ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। ১০ অক্টোবর আদালতে ইডি (Enforcement Directorate) কী রিপোর্ট জমা দেয়, সেই দিকে নজর থাকবে আদালতের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    Justice Amrita Sinha: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের চাকরি নেই। মানুষ বেতন পাচ্ছেন না। পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো (Durga Puja 2023) কমিটিগুলিকে বড় টাকা অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা অবাক করার বিষয়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চে দুর্গাপুজো সংক্রান্ত একটি মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তাঁর এই মন্তব্যকে স্বাগত জানাল বিরোধীরা।

    কী বলল আদালত

    দুর্গাপুজো করতে চেয়ে তমলুক পুরসভার কাছে অনুমতি চেয়েছিল একটি ক্লাব। অনুমতি দেয়নি পুরসভা। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে ওই ক্লাব। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, তমলুক পুরসভার অধীনে ক’টা পুজো হয়? রাজ্যের আইনজীবী জানান, ৫০টার মতো পুজো হয়। এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘সব পুজো কমিটি কি ৭০ হাজার টাকা পাবে?’’ রাজ্যের আইনজীবী জানান, সকলে পায় না। যে সব ক্লাব রাজ্যে নথিভুক্ত রয়েছে, শুধু তারা পায়। এরপরই বিচারপতি সিনহা বললেন, “আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন, পেনশন, চাকরি পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!” এর পরেই বিচারপতি পুজো কমিটির উদ্দেশে বলেন, ‘‘জেলাশাসকের দফতরে পুজো নিয়ে বৈঠকে হবে। সেখানে যান। কী বলেন, দেখুন।’’ তিনি এই প্রশ্নও তোলেন যে, গত বছর ওই পুজোর অনুমিত ছিল। তা হলে এ বছর কেন আটকানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    কী বলছে বিরোধীরা

    বিচারপতির এই মন্তব্যে তাঁর পক্ষ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাচ্ছি। ঠিক কথাই বলছে আদালত। মূলধনী খাতে ব্যয় অর্ধেক, জেলা হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ নেই। কলকাতা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ওষুধ নেই। রাস্তাঘাট ভাঙা, নতুন শিল্প নেই, সরকারি চাকরি নেই, স্কুলের চাকরি সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে শুধু হচ্ছে খেলা। দুর্গাপুজোকে অনুদান দেওয়া। এর কী মানে? ৭০ হাজার টাকা করে যদি ক্লাবগুলোকে দেওয়া না হত, তাহলে কি মা দুর্গা এখানে পৌঁছতেন না হিমালয় থেকে? আসলে এটা মানুষেরও দেখা দরকার, দলমত নির্বিশেষে এই সরকারে টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রচেষ্টা সেটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির তদন্তে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তদন্তে যুক্ত রয়েছেন ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্র। শুক্রবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    ইডিকে নির্দেশ আদালতের

    আদালত জানিয়েছে, ইডির তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্র শুনানিতে হাজির হয়ে যে জবাব দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। ইডিকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, অবিলম্বে সব রকম তদন্ত থেকে অব্যাহতি দিতে হবে মিথিলেশকে। তাঁর জায়গায় যোগ্য অফিসারকে বহাল করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তিনি কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এই মামলার তদন্তে ছিলেন মিথিলেশ (Calcutta High Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্ট দেখে সোমবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে, ইডির এই ধরনের তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই। এই গতিতে তদন্ত করে কি আপনারা আসলে তথ্য লোপাটের সুযোগ করে দিতে চাইছেন? আদালত কিন্তু অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মিথিলেশ। এদিন এজলাসে ইডির জমা দেওয়া রিপোর্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চান বিচারপতি সিনহা। তাঁর প্রশ্ন, “এই ধরনের তদন্ত করার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কি ইডি অফিসারদের আদৌ রয়েছে? আদালতের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। মনে হচ্ছে, আপনারা কিছু গোপন করতে চাইছেন।”

    অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে বিচারপতি সিনহা মিথিলেশকে প্রশ্ন করেন, “সম্পত্তির খতিয়ানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাত্র তিনটি বিমা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বিমাগুলি কত টাকার, তাও উল্লেখ নেই। উনি একজন সাংসদ। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও উল্লেখ নেই। এসব আপনাদের চোখে পড়েনি?” ইডির আধিকারিক (Calcutta High Court) বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী যে তথ্য দিয়েছেন, সেটাই আদালতে পেশ করা হয়েছে।” এর পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনারা কি পোস্ট অফিস? যা দেওয়া হল, সেটাই পাঠিয়ে দিলেন? কীভাবে তদন্ত করতে হয়, আদালতকেই কি সেটা বলে দিতে হবে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারলে আমাকে আটকান”, শুক্রবার ইডির তলব প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এমতাবস্থায় ইডিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ৩ অক্টোবরের তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে। এই তদন্তে যুক্ত ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে নিউ আলিপুরের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে একটি সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা ও বাবা। এই তিনজনকেই তলব করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৩ অক্টোবর, বেলা সাড়ে ১০টায়। ঘটনাচক্রে ওই দিন দলীয় এক কর্মসূচিতে তাঁর দিল্লিতে থাকার কথা।

    “পারলে আমাকে আটকান”

    অভিষেক জানান, ঘোষিত কর্মসূচি ধরে ধরে তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শেষে লেখেন, “স্টপ মি ইফ ইউ ক্যান।” বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “পারলে আমাকে আটকান।” অভিষেক লেখেন, “আমি আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে থাকব বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য।” আদালতে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলায়ই ২৫ সেপ্টেম্বর ইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। ইডি আদালতকে অভিষেকের সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে গত আট মাস ধরে ইডি যে তদন্ত করেছে, তার নিট ফল শূন্য। এ বিষয়ে ইডিকে বিশদে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি সিনহা। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন। এর পরেই অভিষেকের মা ও বাবাকে তলব করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আর দু দিন সময় দিন..।” বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay) এমনই আবেদন জানালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি? বদলির ফাইল রাজ্যের আইনমন্ত্রীর কাছে আটকে রয়েছে বলে দাবি। এর পরেই আধ ঘণ্টার মধ্যে আইনমন্ত্রীকে আদালতে তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির তলব পেয়ে পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই আদালতে হাজির হয়ে যান মলয়।

    আদালতে মলয়ের বক্তব্য

    আদালতে (Justice Abhijit Gangopadhyay) রাজ্যের আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি ২৫ অগাস্ট থেকে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তারপরে কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আমাকে সময় দেওয়া হোক। ফাইলে সই হয়ে যাবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাপারটা অন্যভাবে নেবেন না। আপনি আপনার হাইকোর্টে এলেন। আপনার হাসি মুখ দেখলাম। আগে অলিন্দে দেখা হত। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওই পদে নিয়োগের সময় বাড়ানো হল।”

    রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কী নির্দেশ দিল আদালত?

    এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আদালতের নির্দেশ, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন কোনও ব্যক্তি এই নিয়োগ তদন্তে যুক্ত সিবিআই এবং ইডির সিটে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া অভিযোগ জানাতে পারবেন না। বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল কিনা যেখানে মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটা যাচাই করতে।

    প্রসঙ্গত, কাগজপত্র আইনমন্ত্রীর (Justice Abhijit Gangopadhyay) কাছে থাকায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি – বিচারবিভাগের সচিবের কাছে এ কথা শোনার পরেই মলয়কে তলব করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিট গঠন করায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁর পরিবর্তে অন্য বিচারপতি নিয়োগ করার নির্দেশ দেন তিনি। এও জানান, নতুন বিচারক না আসা পর্যন্ত ওই আদালতে স্থগিত থাকবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। তাঁর বদলির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, তা জানতে আদালতে জুডিশিয়াল সেক্রেটারিকে তলব করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বদলির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, ইডি এবং সিবিআইয়ের সিটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ যেন না করে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভির কথা শোনার পরই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

    সিবিআই-এর দাবি

    বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি। তাঁকে তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তখনই শেণভি জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’র মুখে পড়তে হচ্ছে।  নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা হয়, তাতে পুলিশকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই বিশেষ আদালত। আর সেই মামলায় সিবিআই অফিসারদের বারবার নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া নির্দেশ দেন।

    বিচারককে বদলি করতে হবে

    এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকা এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই বিচারকের কোনও ভাবেই হাইকোর্টের অর্ডারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ। শুনেছি, বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁর মাথায় কারও হাত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”  তাঁর নির্দেশ, আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিচারককে বদলি করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তাঁর এই নির্দেশ পালন হল কি না, তা জানিয়ে রিপোর্টও দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘ওই পদটি এখন ফাঁকা রয়েছে। ওই বিচারক অন্তর্বর্তী দায়িত্বে রয়েছেন। তাই ওই পদটিতে ৪ অক্টোবরের মধ্যে নতুন বিচারককে বসাতে হবে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, বিচারক চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির আর কোনও মামলা শুনতে পারবে না।’’

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    পুলিশকে কড়া নির্দেশ

    সিটের আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’ মুখে পড়ার অভিযোগ শুনে বিচারপতির (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও আনতে চান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের (সিবিআই সিটের আধিকারিকদের) যেন টাচ (ছোঁয়া) না করা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়।’’ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, তারা সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না। আদালতের এই নির্দেশ না মানলে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এখনই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না তারা। রাজ্যপালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তেও এখনই স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট।

    সার্চ কমিটি গড়বে আদালত

    এর আগে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল আদালত। রাজ্যের তরফে পাঁচজন এবং রাজ্যপালের তরফে পাঁচজনের নাম জমা দিতে বলা হয়। পাঁচজনের নামের তালিকা দিতে বলা হয়েছিল ইউজিসিকেও। তিন পক্ষের থেকে তিনজনকে বেছে নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। এই কমিটিই প্রস্তাব করবে উপাচার্যের নাম। আইনজীবীরা চাইলেও নাম দিতে পারেন বলেও জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সার্চ কমিটিতে পরিবর্তন আনতে অর্ডিন্যান্স পাশ করে রাজ্য সরকার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজভবন।

    রাজভবনের যুক্তি 

    রাজ্যপালের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের অভিযোগ, নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিনজন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। যার অর্থ হল, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে ওই কমিটিতে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামত উপেক্ষা করার সুযোগ থাকছে। এই মামলায়ই মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি রাখতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় রাজ্য। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনই ওই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে না। রাজ্যের অধ্যাদেশ  নিয়ে যে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৬ অক্টোবর।

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    রাজ্য সরকারকে এড়িয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। আচার্যের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যপাল যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন, তা বৈধ নয়। এদিকে, উপাচার্য নিয়োগ মামলায় রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তালিকা সহ একাধিক তথ্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে কী নিয়ম রয়েছে, সেই নিয়মে কোনও পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share