Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই এবার কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার (Recruitment Scam) অস্বচ্ছতা সামনে এল রাজ্যে। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বুধবার এবং সেই মামলায় প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের রাজ্যজুড়ে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছিল লিখিত পরীক্ষা। এরপর পরীক্ষার পরে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশিত হয় এবং এটি প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের দাবি এক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যেমন কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপেই ইন্টারভিউ এর আগে পৌঁছে যায় গোপন খবর। এখানে বলা হতে থাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে কারা থাকবেন, কারা প্রশ্ন করবেন সেই তথ্য নাকি জানতে পেরেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। আবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও অনেক অনিয়ম সামনে আসে। সেই অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই পদের কিছু চাকরি প্রার্থী। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যাঁরা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাঁদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল যে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউ তে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায় কিছু প্রার্থীর নম্বর।

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এরপরে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Scam) পুরো প্যানেল খারিজ করার নির্দেশ দেয় স্টেট ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে তাদের নির্দেশেই পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে পুরনো তালিকা থেকে ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রধান বিচারপতি টিসএস শিবজ্ঞানম এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল, সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে। এর পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে নির্দেশে প্রকাশ করা প্যানেল খারিজ করার (Recruitment Scam) নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পর এবার কলেজ। ২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।

    ‘মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত’

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।” কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একজন চেয়ারম্যান সুবীরেশ এখন জেলে, পারলে একটু মনে করিয়ে দেবেন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিতরা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ সারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও দুর্নীতির কারণে জেলে রয়েছেন।”

     কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী? 

    মোনালিসা ঘোষ নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২৩ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে শুধু প্রার্থীদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হলেও, নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় কোনও নম্বর বিভাজনও ছিল না। তাই ঠিক কীসের ভিত্তিতে তিনি বাদ পড়লেন, সেটা জানতে পারেননি বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মোনালিসা। তাঁর দাবি, স্বচ্ছতা আনতে প্যানেলে নম্বর প্রকাশ করতে হবে।

    কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, মেধা তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। তাই সেরকম কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের। প্যানেল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। মঙ্গলবার শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। কমিশনের আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চান, কীসের ভিত্তিতে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণাপত্র সহ বেশ কিছু নথি দেখেই প্যানেলে নাম ওঠে। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “চেয়ারম্যান নিজে কটি পেপার জমা দিয়েছেন, ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই। নম্বর প্রকাশ করলে সমস্যা কোথায়?” কলেজ সার্ভিস কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান দীপক কর। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, অবাক হয়েছি কলেজ সার্ভিস আইনে প্যানেলের কোনও সংজ্ঞা বলা নেই বলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত খারিজ করে দিলেন রাজ্যের আর্জি। আদালত জানিয়ে দিল, ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই যাবে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের মিছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ 

    বিচারপতি সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “ক্যামাক স্ট্রিটে কোনও স্কুল নেই। এটা কোনও ধর্না কর্মসূচিও নয়। একটা মিছিল রাস্তা দিয়ে চলে যাবে।” তিনি বলেন, “ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? আপনাদের আবেদন মতো কালীঘাট এলাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত।” তিনি বলেন, “ওই এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল থামবে না এটা বলতে পারি। কিন্তু মিছিল হবেই।” আদালতের নির্দেশ, চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের জন্য স্পেশাল চ্যানেল করতে হবে। স্কুল পড়ুয়ারা যাতে আটকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ক্যামাক স্ট্রিটেই অভিষেকের অফিস 

    এই ক্যামাক স্ট্রিটে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই ওই এলাকায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল খারিজের আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “পুলিশের আবেদন মেনেই আমরা কালীঘাট এলাকায় মিছিল করিনি। পরে রুট বদল করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিলের প্রস্তুতি করেছিলাম। শেষ মুহূর্তে স্কুল পড়ুয়াদের কথা বলে অজুহাত দেখাচ্ছে রাজ্য। কোনও একজনের (অভিষেকের) অফিস রয়েছে ওই এলাকায়। তাঁর অসুবিধার কারণেই কী আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য? আদালত (Calcutta High Court) রাজ্যের আবেদনে আমল দেয়নি। শান্তুপূর্ণভাবেই আমরা মিছিল করব।”

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

    মিছিল নিয়ে পুলিশের আপত্তি প্রসঙ্গে আদালত জানায়, এ নিয়ে বেশি বিতর্ক করলে এরপর মামলাকারীরা একুশে জুলাইয়ের কথা বলবে। এর থেকে অনেক বেশি মানুষের হেনস্থার অভিযোগ তুলবে। এখানে তো মাত্র কয়েকশো লোক মিছিল করবে। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “মিছিল যাতে ওই জায়গা দিয়ে দ্রুত যেতে পারে আপনারা সেই ব্যবস্থা করুন।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৫ হাজার ৪২২ জন গ্রুপ ডি নিয়োগের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিবাদ মিছিলের সিদ্ধান্ত (Calcutta High Court) নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Sukanta Majumdar: ইডির বিরুদ্ধে শাহি দরবারে নালিশ জানাতে চলেছেন সুকান্ত! কেন জানেন?

    Sukanta Majumdar: ইডির বিরুদ্ধে শাহি দরবারে নালিশ জানাতে চলেছেন সুকান্ত! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে ইডির যে সব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার যুক্ত তাঁরা কেউ ২০১৪ সালের পরে জন্মাননি। কিংবা ২০১৪ সালের পর চাকরিতেও যোগ দেননি। বিচারপতির এই পর্যবেক্ষণ আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানাব।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক-নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আদালতের কাছে আবেদন সুকান্তর

    তিনি বলেন, “আমরা আদালতের কাছে আবেদন করব যদি কোনও তদন্তকারী ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে তাদের কোনও সন্দেহ হয়, তাহলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। কংগ্রেস আমলের কোনও তদন্তকারী অফিসার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আড়াল করার চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে না। বিএসএফের একজন অফিসারকেও গ্রেফতার হতে হয়েছে।”

    অসন্তোষ বিচারপতি সিনহার 

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, বীমা ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। সেই (Sukanta Majumdar) রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, আপনারা (ইডি) জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি বীমা রয়েছে। আর কোনও সম্পত্তি নেই? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তিনি সাংসদ, অথচ তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই? তাঁর বেতন কোন অ্যাকাউন্টে যায়? ইডির তরফে জানানো হয় অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর পর বিচারপতি সিনহার পাল্টা প্রশ্ন, তার উল্লেখ করেননি কেন? আপনারা কী পোস্ট অফিস? আপনারাই তথ্য গোপন করেছেন বলে আমার এখন সন্দেহ হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে (Sukanta Majumdar) অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, তদন্তের গতি স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ইডির। বৃহস্পতিবার আদালতে ইডির দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সিইও আছেন জানানোর পর থেকেই শুরু হয়েছে হয়রানি। আমাদের বলতে বাধা নেই যে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্দেশে এসব হচ্ছে।” ইডির অভিযোগ, “বারবার এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্তের গতি স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে। নেপথ্যে হাত রয়েছে প্রভাবশালীদের।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Leaps and Bounds: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    Leaps and Bounds: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps And Bounds) মামলায় গত আট মাস ধরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে তদন্ত করেছে, তা নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই বিষয়ে ইডি রিপোর্ট জমা দিলেও তা অসম্পূর্ণ, বলে অভিমত বিচারপতির। নতুন করে বেশ কিছু তথ্য ফের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী বলল আদালত

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা সোমবার এই মামলায় জানান, এই তদন্তের নিট ফল শূন্য। সংস্থা এবং সংস্থার সিইও অভিষেকের বিষয়ে ইডি বিশদে তথ্য দিতে পারেনি। অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সংস্থার (Leaps And Bounds) একজন ডিরেক্টর। তাই তাঁর সম্পত্তির খতিয়ানও চায় আদালত। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। সেদিনই ইডিকে এই সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতির। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও (চিফ এগ্‌জিকিউটিভ অফিসার) এবং ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিবরণ ইডিকে জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। সেই মতো ইডি আদালতে তা জমা দেয়। ওই বিবরণ নিয়ে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি ইডির উদ্দেশে বলেন, ‘‘কচ্ছপের গতিতে এ ভাবে আর কত দিন তদন্ত চলবে। টানেলের শেষে কবে পৌঁছবে? সমস্ত নথি তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।’’

    আরও পড়ুন: আর্থিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমেরিকা সফর বাতিল রাজ্যপালের! কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ইডিকে নির্দেশ বিচারপতির

    লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার শুনানিতে বিচারপতি এদিন ইডির আইনজীবীদের একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন। তিনটি বিমা ছাড়া সাংসদের কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Leaps And Bounds) কি নেই? তাও ইডির কাছে জানতে চান বিচারপতি। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন কোথায় পড়ে তাও জানতে চান বিচারপতি। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার এক ডিরেক্টর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছয় ডিরেক্টরের মধ্যে বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সোমবার সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘‘এক ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছেন। অন্য ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে কী অনুসন্ধান করেছেন? তাঁরা অনুসন্ধান থেকে ছাড় পাচ্ছেন কেন?’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোলাই খেয়ে মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য় দেয় রাজ্য সরকার। কোভিডে (Covid) মৃত্যু হলে কত দেওয়া হয়? কোভিড-মামলায় প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কোভিডে স্বামীহারা এক মহিলা দুই সন্তান নিয়ে আর্থিক অনটনের কথা জানিয়ে আদালতে এসে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই মামলায় করলে বিচারপতি শুক্রবার এই প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিচারপতি

    ২০২০ সালের ১ অগস্ট কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার নালাবরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিভূতি কুমার সরকারের। তাঁর মৃত্যু পর কমপেনসেটরি গ্রাউন্ডে তাঁর স্ত্রী চাকরি পাবেন বলে আশা করেছিলেন। তা না পেয়ে বিভূতি বাবুর বিধবা স্ত্রী দীপ্তি সরকার হাইকোর্টে মামলা করেছেন। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। সেই মামলায় বিচারপতি এদিন বলেন, “চোলাই মদ খেয়ে কেউ মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে, আর কোভিডে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কত টাকা দিচ্ছে রাজ্য? আদৌ কি টাকা ধার্য করা হয়?’’ এর পরেই কোনও ব্যক্তির নামোল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘‘কে এক জন ভাইপো আছে। তার চারতলা বাড়ি। কোটি টাকার বাড়ি। এত টাকা আসে কোথা থেকে?’’

    আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১০গুণ বাড়াল মোদি সরকার

    বিচারপতির মন্তব্যে চর্চা

    বঙ্গ রাজনীতিতে এই ভাইপো শব্দবন্ধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে তোলপার রাজ্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “মমতা নিজে বলছেন উনি গরিব ঘরের মেয়ে। ভাইপোর বাবার হার্ডওয়ারের দোকান। সেটাই রোজগারের উপায়। সেই পরিবারের সদস্য় হয়ে অভিষেক ডাক্তারি করলেন না, ইঞ্জিনিয়ারিং করলেন না, জমি কিনলেন না, চাষাবাদ করলেন না। অথচ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেল। কনসালটেন্সি করে। আমি জানি না কী করলে এত কোটির মালিক হওয়া যায়।” সুকান্তর কথায়, কোভিডে যারা মারা গেছে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত। কিন্তু ডিএ, চাকরি কিছুই দিতে পারে না। অথচ কোটি কোটি টাকা খয়রাতি হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজড করা হয়েছে? উত্তর খুঁজতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি। ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর ২০২১ সালে একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের কিছু সময় পরেই সেটি তুলে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয় পর্ষদের তরফে। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    সিবিআই-এর কথা মানল পর্ষদ

    টেট (TET) ফেল করেও চাকরি পেয়েছিল আরও ৯৬ জন! হাইকোর্টে পেশ করা সিবিআইয়ের রিপোর্ট এদিন কার্যত মেনে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই বিষযে পর্ষদের তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি পর্ষদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “ওএমআর শিটের (recruitment case) আসল প্রতিলিপি কোথায়?” বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’ এদিন আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কে পাশ করেছে, কে কত নম্বর পেয়েছে, কীভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পর্ষদের রিপোর্টে তো সেগুলো স্পষ্ট নয়।” এমনকী পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ডিজিটাইজড রিপোর্টও এডিট করা সম্ভব বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, “আসল ওএমআর শিট না থাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির সিইও, ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিকের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিল ইডি। এই মামলায় সিনেমা জগতের একজনের নামও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে, ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি সিনহা।

    কজন চিত্রতারকার নাম?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িত চিত্রতারকাদের নাম ও তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই খতিয়ান জমা দেয় ইডি। একটি মুখবন্ধ খামে এক টলি অভিনেতার নাম রয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “এতদিনে মাত্র একজনের নাম পেলেন?” ইডির আইনজীবী জানান, আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই আরও একটু সময় দেওয়া হোক। 

    অভিষেক ও তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির হিসেব

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র নাম। এই কোম্পানির পদাধিকারীদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন ওই কোম্পানির সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ানও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    এদিনের শুনানিতে ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইলের প্রসঙ্গও ওঠে। আদালতে (Calcutta High Court) ইডির দাবি, হাইকোর্টে ১৬টি ফাইল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অফিসারদের বিরুদ্ধে জিডি করা হচ্ছে। তখনই রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, “জিডি কেন করেছেন? এটা কোনও ক্রিমিনাল কেস নয়। বিচারাধীন বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না আপনারা।” সরকারি আইনজীবীর দাবি, ইডির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কেবল একটা স্ক্যামের তদন্ত করছে পুলিশ। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “আশা করব আপনার অফিসাররা রাজ্যের সব কেসেই এমন সুপার অ্যাকটিভ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে এত উৎসাহী হওয়ার কারণ আছে কি?” ইডির আইনজীবী মন্তব্য, “আসলে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছিল!”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: তদন্তে ‘অখুশি’! মানিক মামলায় সিবিআইয়ের সিট প্রধানকে তলব হাইকোর্টের

    Justice Abhijit Ganguly: তদন্তে ‘অখুশি’! মানিক মামলায় সিবিআইয়ের সিট প্রধানকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই-এর কাজে ‘হতাশ’ হয়ে এবার মানিক ভট্টাচার্যের মামলায় এবার সিট প্রধানকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    ২৭ তারিখ তলব অশ্বিনী শেনভিকে

    মঙ্গলবার প্রাথমিকের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) মামলার শুনানি চলছিল হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে। সিবিআইয়ের কাজকর্মে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত রিপোর্ট দেখার পর বলতে হচ্ছে সিবিআই তদন্ত সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটা ছাড়া বিকল্প কিছু বলার নেই।’’ সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, সিবিআই বোকা সেটা বিশ্বাস করি না। কিন্তু মন দিয়ে কাজ করেনি। এই মামলায় সিবিআইয়ের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি করেনি। সাধারণ মানুষ জানুক, সিবিআই ফেল করেছে। সিবিআই অফিসার নির্লজ্জ। থার্ড ক্লাস ক্লার্কের মতো কাজ। আগে লোকে সিবিআইকে ভয় পেত। এখন হাসে। ডাকলেও যায় না।

    আরও পড়ুন: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এর পরই, এই দুর্নীতির তদন্তে থাকা সিবিআই সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)। ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ডাকা হয়েছে আদালতে। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টোয় তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, গাফিলতির কারণ সিটের প্রধানকে জানাতে হবে।

    “সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্য যোগসাজশ”!

    এর আগও, মানিক মামলায় সিবিআইয়ের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে বক্তব্য জমা দিতে আরও তিনদিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মঙ্গলবার বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, “আজকের মধ্যে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল। আরও তিন দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। বুধবারের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে অভিষেককে।”

    বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি

    এদিন অবশ্য আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় হবে এই মামলার শুনানি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ইডি আগেই এ ব্যাপারে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। তাই নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন তাঁর নেই।

    কী বলেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী? 

    প্রসঙ্গত, আদালতে (Calcutta High Court) অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে সমন পাঠিয়েছে ইডি। বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এর আগেও একবার সমন পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কীভাবে ইডি নতুন করে সমন পাঠাতে পারে? সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, ইডি নিজের পদক্ষেপকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। কেবল লোক দেখানো তদন্তের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। তাই অভিষেককে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সওয়ালে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখানে গ্রেফতারির প্রশ্নই উঠছে না। অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অনেককেই তো সমন পাঠানো হয়, সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়? ওই দিনই বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পক্ষ আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে পারবে। তখনই সময় চান অভিষেক। যে সময় তাঁকে দেননি বিচারপতি (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share