Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যর কয়েকজন অনুগামী এখনও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাজে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার ওএমআর শিট দুর্নীতি নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Recruitment Scam) মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জমিদারি ছিল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরে এখনও তাঁর অনুগামীরা হস্তক্ষেপ করছেন। ” তাঁরা সিবিআই-ইডির নজরদারিতে আছে বলে মত বিচারপতির।

    সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন

    এখনও ওএমআর শিট দুর্নীতির কেস ডায়েরি আনতে পারেনি সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আবারও সময় চায় তারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তদন্তকারীদের কাছে কেস ডায়েরি চান। কীভাবে ওএমআরশিট ডিজিটালাইজেশন হয় এ সম্পর্কে রিপোর্ট চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তদন্তকারীদের কাছে এটাও জানতে চান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তার ফল কী? মানিক ভট্টাচার্যের কথা রেকর্ড রাখা হয়েছে কি না, তাও জানতে চায় আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    সময় চায় সিবিআই

    উত্তরে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসেটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “যেহেতু এই মামলায় ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অন্য বিচারপতির (বিচারপতি অমৃতা সিনহা) এজলাসে চলে গিয়েছে।” তাই কেস ডায়েরি তারা কীভাবে দেবেন জানতে চায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতির মূল মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্য এজলাসে বিচারাধীন।  ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় কেস ডায়রি দেখতে সুপ্রিম কোর্ট তো বারণ করেনি, মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই এফআইআর নম্বর আরসি সিক্সের অন্তর্ভুক্ত, জানায় সিবিআই। তখন বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট নতুন নির্দেশ দিতে পারে। সিবিআই-এর এই দুশ্চিন্তা হতে পারে। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলায় তো কোন নির্দেশ নেই। তাহলে কেন এই মামলার কেস ডায়েরি তৈরি নেই?” এরপরই সিবিআই আদালতের কাছে একটু সময় চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
     

  • Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তিরস্কার পর্ষদকে, রাতারাতি নিয়োগপত্র পেলেন অনামিকা

    Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তিরস্কার পর্ষদকে, রাতারাতি নিয়োগপত্র পেলেন অনামিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার স্কুলের চাকরি খোয়া গিয়েছিল। আগেই সেই চাকরি পাওয়ার কথা ছিল অনামিকা রায়ের। অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে এই সংক্রান্ত মামলায় কয়েক মাস কেটে গেলেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি তিনি। গাফিলতির অভিযোগ ওঠে এসএসসির-এর বিরুদ্ধে। এই আবহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) সক্রিয় হতেই তড়িঘড়ি অনামিকার কাছে পৌঁছাল নিয়োগপত্র। এ বিষয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন বিচারপতি। তারপরেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের নোটিশ দেয় এসএসসি।

    ঠিক কী অভিযোগ অনামিকার?

    চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের অভিযোগ, চলতি বছরের ১৬ মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) নির্দেশ দিলেও তাঁকে এখনও চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। অনামিকার আরও দাবি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভেরিফিকেশন মেডিক্যাল টেস্ট সবকিছু সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট অসম্পূর্ণ থাকায় চাকরি পাননি তিনি। এরপরই তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটকে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তাঁকে নিয়োগপত্র নিতে তলব করা হয়েছে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে ৩ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ করার নির্দেশ হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)দিলেও তা পালন করেনি রাজ্যে সরকার। যানিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আদালতের নির্দেশ এভাবে কেন অমান্য করল এসএসসি! মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিত অধিকারীর চাকরি যাওয়ার পর ববিতা সরকার সেই পদের আবেদন করেছিলেন। তারপরে সে নিয়েও বিস্তর জলখোলা শুরু হয়। অনামিকার রায় পরবর্তীকালে তথ্য সহ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানান ওই পদে চাকরি পাওয়ার কথা তাঁরই। সে সময় ববিতা সরকারেরও চাকরি যায়। ছয় মাসের বেতনসহ প্রাপ্ত অর্থ আদালতে জমা দিতে হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে আদালত অবমাননার অভিযোগ। এই মামলায় ২১ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। তার আগে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানবে আদালত। তার পরেই জানা যাবে, কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হবে নাকি আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করবে আদালত।

    ২৬ মামলা দায়ের

    চলতি বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অশান্তি হয় রাজ্যে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক হিংসা। পুরো নির্বাচন-পর্বে যার বলি হন একজন ভোটার সহ মোট ৫৪ জন। নির্বাচন পর্বে সব মিলিয়ে দায়ের হয় ২৬টি মামলা। এর মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রসের নেতা অধীর চৌধুরী, প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল এবং সিপিএমের জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের মামলাই মূল মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, এই মর্মে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু, অধীর সহ আরও অনেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয় বলেও অভিযোগ।

    হলফনামা চাইল আদালত 

    আদালত অবমাননা প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য ও কমিশনের কাছ থেকে হলফনামা তলব করেছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতজন মারা গিয়েছেন, কতজন হোমগার্ডকে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল, রাজ্যের প্রকল্প অনুযায়ী কোন কোন মৃতের পরিবার ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন, আহত বা গুরুতর আহতরা কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন না। নির্বাচন-পর্বে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের নাম-ধাম সহ সম্পূর্ণ তালিকা দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ৬ দিন পার! এখনও চলছে অনন্তনাগ অভিযান, উদ্ধার এক জঙ্গির পোড়া দেহ

    মৃতদের পরিবারের যাঁরা হোমগার্ডের চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁরা দু’ লক্ষ করে টাকা পেয়েছেন, তাঁদের সবার নাম সহ যাবতীয় তথ্য হলফনামা আকারে ২৬ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে। মামলাকারীর অভিযোগ, এতদিনে মাত্র ১৭ জন সেই চাকরি পেয়েছেন। বাকিদের কী হল, তা-ই জানতে চায় আদালত (Calcutta High Court)। এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ৫০ কোটির দুর্নীতি মামলা! রাজ্যকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋনদান সমবায় সমিতিতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মামলায় সিআইডি এখনও কেন নথি তুলে দেয়নি সিবিআই ও ইডিকে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।  মামলায় এদিন সিআইডির নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে হাইকোর্ট। ২ সপ্তাহের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে রাজ্যকে। এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি

    আলিপুরদুয়ারে একটি সমবায় গোষ্ঠীতে অন্তত ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত ২৪ অগস্ট একযোগে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। সিবিআইয়ের কাছে সিআইডি মামলার নথি হস্তান্তর করেনি। উল্টে আগের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে সিআইডি। সিবিআই আদালতে দাবি করে, আদালতের নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাদের হাতে এই মামলার কোনও নথি তুলে দেয়নি সিআইডি। তার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে। যদি সিবিআইয়ের হাতে নথি তুলে না দেওয়া হয় তা হলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠানো হবে।

    আরও পড়ুন: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    কী বললেন বিচারপতি

    সিআইডির উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “টাকা কারা আত্মসাৎ করেছে আমি জানি। যাঁরা সাইকেল চড়ে ঘুরত, গরিব মানুষের টাকা মেরে তাঁরা এখন গাড়ি চড়ছে। কোর্টের সঙ্গে খেলা হচ্ছে?” তিনি আরও বলেন, “আপনারা (সিআইডি) তো এত দিন তদন্ত করলেন। কেন কিছু হল না? তদন্তের অগ্রগতি হয়নি বলেই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে নথি না দিলে স্বরাষ্ট্র সচিবকে ডেকে পাঠাব।” পাশাপাশি সিবিআইকে ডেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এটা ৫০ কোটির দুর্নীতি। গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ সব্জি বিক্রি করে ওই টাকা রেখেছিল। প্রতারণা করা হয়েছে।” আবার ইডিকে তিনি বলেন, “যত বড় প্রভাবশালী হোক, গ্রেফতার করুন। এঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া উপায় নেই। দ্রুত তদন্ত শুরু করুন।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Recruitment Case) পরিমাণ বোঝাতে আগেই তুলনা টানা হয়েছিল ট্যুইন টাওয়ারের সঙ্গে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) উপমা দিতে গিয়ে সিবিআই তুলল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গও।

    উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার ট্যুইন টাওয়ারের মতো। এর একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন হয়, তাহলে অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।” এই সময়ই ওঠে পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।”

    ‘দুর্নীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত’ 

    গত সপ্তাহেই টেট সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি (Recruitment Case) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই সিবিআইয়ের আইনজীবী দুর্নীতর সঙ্গে তুলনা টানেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হানায় ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্কের ওই যমজ টাওয়ার। শুনানির দিন বিচারপতি বলেছিলেন, “দুর্নীতি যদি আকাশছোঁয়া বহুতলের মতো হয়, তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় গোটা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন, কীভাবে জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করে দুর্নীতি করা হয়েছিল। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছিলেন’ অনেকেই। পাহাড় প্রমাণ এই (Recruitment Case) দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকতে এবং বেআইনিভাবে চাকরিতে যোগ দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আকাশচুম্বি এই দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ খুলে দেওয়াও তাঁদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেল সিবিআই, কী বলল উচ্চ আদালত?

    Calcutta High Court: কুন্তলের চিঠি মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি পেল সিবিআই, কী বলল উচ্চ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুন্তলের চিঠি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেল সিবিআই। তদন্তের নামে শারীরিক নির্যাতন করেন ইডি-সিবিআই কর্তারা, কুন্তল ঘোষের এই অভিযোগের তদন্ত এখন করতে পারবে কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, কুন্তল ঘোষের চিঠি বিতর্কে বিশেষ সিবিআই আদালতের রায় আপাতত কার্যকর করা যাবে না। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, কুন্তলের চিঠির যৌথ তদন্ত করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার। কুন্তলের চিঠি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।  

    সিবিআইয়ের যুক্তি

    এদিন আদালতে (Calcutta High Court) সিবিআই বলে, “যেখানে হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে, সেখানে নিম্ন আদালত কীভাবে এই নির্দেশ দিতে পারে?  নিম্ন আদালত কোনও সাংবিধানিক কোর্ট নয়। তারা কীভাবে ওই রিপোর্ট চাইতে পারে?” সিবিআইয়ের এই যুক্তি শোনার পর আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআই আদালতের নির্দেশ আপাতত কার্যকর করতে হবে না। বিচারপতি সিনহা বলেন, “নিম্ন আদালতের নির্দেশ নিষ্ক্রিয় করা হল।”

    কুন্তলের অভিযোগ

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। পার্টির গায়ে যাতে কালির ছিটে না লাগে, তাই তড়িঘড়ি কুন্তলকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন কুন্তল। নিম্ন আদালতে চিঠি দিয়ে তিনি ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ইডির দুই আধিকারিক ও সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল।

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    একই সঙ্গে তাঁকে চাপ দিয়ে জোর করে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন ওই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। আদালতে (Calcutta High Court) চিঠি জমা পড়ার পর তার ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয় কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায়। হাইকোর্টের পাশাপাশি মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। এই মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এদিন সেই বেঞ্চেরই দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সাত দিনে অভিষেক সহ ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল হাইকোর্ট

    Abhishek Banerjee: সাত দিনে অভিষেক সহ ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টরদের সম্পত্তির খতিয়ান চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নথি আদালতে জমা দিতে হবে ইডি ও সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নথি জমা দিতে হবে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ইডির কাছে লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার পাঁচটি বিষয় জানতে চায় হাইকোর্ট। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আয় – ব্যয়ের হিসাব ও সংস্থা তৈরি থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ড জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। এদিন আদালতে বিচারপতি সিনহা ইডির আইনজীবীকে বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন তাদের সম্পত্তির হিসাব জানেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও ও ডিরেক্টরদের কার কত সম্পত্তি তার তালিকা আদালতকে জানাতে হবে। সেজন্য ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। ” এদিন বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে যে সকল টলিউডের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে ইডিকে রিপোর্ট দিতে হবে। জানাতে হবে ওই সব অভিনেতার নাম এবং তাঁদের সম্পত্তির বিবরণও।

    আর কী বলল আদালত

    ইডি সূত্রে খবর, সংস্থার ডিরেক্টরের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেকের পরিবারের বেশ কয়েক জন। এই সংস্থাতেই আগে ডিরেক্টর ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার বিচারপতি সিনহা আরও জানান, সংস্থার সব সদস্যের সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে। সংস্থার সংগঠনের স্মারকলিপি জমা করতে হবে ইডিকে। সংস্থার নথিভুক্তকরণের (রেজিস্ট্রেশন) তারিখ জানাতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। এর পরেই ইডির আতশকাচে আসে তাঁর সংস্থা লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস। সেই সংস্থার দফতরে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। ইডির আধিকারিকদের সূত্রে খবর, তল্লাশির পর সংস্থার বেশ কিছু নথি তাঁদের হাতে এসেছে।

    আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে ফের নাড়াচাড়া! ম্যাথু স্যামুয়েলকে কলকাতায় তলব সিবিআইয়ের

    অভিষেকের দাবি

    বুধবার দীর্ঘ জেরার পর অভিষেকের কাছে ইডি তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবারের জেরার পর অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি এখনো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে রয়েছেন। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতির ১০ পয়সা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি বলে দাবি অভিষেকের। কিন্তু আদালত সেই সংস্থার নথি তলব করার পর এখন কী করবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    ED on Abhishek Banerjee: কিছু প্রশ্ন রয়েছে, তাই তলব করা হয়েছে অভিষেককে, হাইকোর্টে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সরাসরি রক্ষাকবচ মিলল না তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। মামলা যতক্ষণ বিচারাধীন, ততক্ষণ যেন ইডি কোনও পদক্ষেপ না করে, আদালতের কাছে এমনই আবেদন জানান তৃণমূল নেতার আইনজীবী।

    “নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব?”

    ইডির (ED on Abhishek Banerjee) আইনজীবীর মৌখিক প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ইডির আধিকারিকরা এই মামলার শুরু থেকে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেননি। মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় এই মামলার। মামলা ওঠে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। তিনি বলেন, “এই মামলার শেষ মুহূর্তে নির্দেশনামায় কেন নতুন শব্দবন্ধ লিখতে যাব? কালকেও আমার বিচার্য বিষয় একই থাকবে।  জামিনের মামলা শুনানির জন্য আমার কাছেই আসবে।” প্রসঙ্গত, ইসিআইআর খারিজের দাবিতে যখন মামলা চলছে, তখন ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে নতুন করে সমন পাঠানো হয়েছে।

    অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন

    ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অভিষেকের আইনজীবী জানান, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি বলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” ইডির আইনজীবী বলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন।  ইডির (ED on Abhishek Banerjee) কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই।  আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।” তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে।  সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিচারপতি ঘোষ বলেন, “ইসিআইআর খারিজের মূল মামলায় অভিষেক এবং ইডির বক্তব্যের লিখিত আকারে খুশি (ED on Abhishek Banerjee) নয় আদালত। ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন করে লিখিত আকারে বক্তব্য পেশ করতে হবে।” অভিষেকের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন,  “আপনি এমন কিছু নির্দেশনামার উল্লেখ করেছেন যা আপনার বিপক্ষে যেতে পারে। আপনি মুখে যা বলেছেন এবং লিখিত আকারে যা জমা দিয়েছেন তার মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। অনেক বক্তব্য লিখিত আকারে দেননি।” এদিন রিপোর্ট জমা দিল সিএফএসএল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে  ১৯ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা, হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তার জেরে মঙ্গলবার রাজ্যপালের দফতরের হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হলফনামা জমা দিতে হবে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে চাওয়া হয় হলফনামা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৬ অক্টোবর।

    কেন্দ্রের আইনজীবীকে প্রশ্ন আদালতের

    মামলাকারীর অভিযোগ, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছে, তা আটকে রেখে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছেন রাজ্যপাল। এদিন মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের আইনজীবীকে আদালতের (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “যদি সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়, তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোনও একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে না? ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারে না? এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না, সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না?”

    কী জবাব দিলেন কেন্দ্রের আইনজীবী?

    কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “সংবিধান রাজ্যপাল সহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে তিনি মামলা করেছেন। তাই এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।”

    রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন (Calcutta High Court), “একটি বিল যাওয়ার পরে রাজ্যপাল তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিধানসভায় বিলটি ফেরত পাঠাতে পারেন। তৃতীয়ত, তিনি বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। বিলটি তাঁর কাছে যাওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও, রাজ্যপাল এই তিনটি পদক্ষেপের কোনওটিই করেননি।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি! ভোটার তালিকায় ত্রুটি রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা ও রাজ্য মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর ২০২২ সালের ১৫ জুন বিলটি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। বিলটিতে তিনি সই করলে সেটি আইনে পরিণত হত। রাজ্যপাল বিলটি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এর প্রেক্ষিতেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: পার্থর মতো স্কুল রয়েছে মানিকেরও! হাইকোর্টে বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্কুলের হদিশ মিলেছিল। এবার প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যেরও (Manik Bhattacharya) স্কুলের সন্ধান পেলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করল ইডি। মানিককে আদালতে হাজির করানোর অনুমিতও চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, আপাতত এর প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে শুনানির সময় কোনও অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় না।

    মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে?

    আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা একটা স্কুলের সন্ধান পেয়েছি। পার্থর মতো মানিকেরও স্কুলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।” মানিকের আইনজীবী অবশ্য জানান, যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে, সেটি সরকারি স্কুল এবং তা একশো বছরের পুরনো। মানিকের মালিকানাধীন কোনও বেসরকারি স্কুল নেই।

    নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’

    এর আগে মানিককে (Manik Bhattacharya) নিয়োগ দুর্নীতির ‘কিংপিন’ বলে আদালতে দাবি করেছিল ইডি। একাধিকবার জামিনের আবেদন জানানো হলেও, তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ইডির তদন্ত নিয়ে এদিনও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি ঘোষ। ইডির আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, “দু সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কী করেছেন?” ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের নামে পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। খিরিন্দা মৌজায় সাড়ে তিন একর জমিতে ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য তাঁর মামার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে স্কুলটি করেছিলেন। পার্থ নিজেও দু’ বার গিয়েছিলেন স্কুলটিতে। ইডির দাবি, এরকম একটি স্কুল রয়েছে মানিকেরও।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে তলব পেয়ে ফাইল হাতে ইডি দফতরে নুসরত জাহান, কী তথ্য পেশ?

    এদিকে, এদিন বিচারপতি ঘোষের এজলাসে শুনানি হয়নি মানিক (Manik Bhattacharya) ও তাঁর ছেলে সৌভিকের জামিনের আবেদনের। অগাস্টে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে নিয়োগ মামলায় জামিন দেয় আদলত। তার পর থেকেই বিচারপতি ঘোষের এজলাসে জামিনের আবেদন করতে শুরু করেন নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্তরা। এই তালিকায় পার্থর পাশাপাশি রয়েছেন মানিক ও তাঁর পুত্র সৌভিকও। ২৭ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share