Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজ্রকঠিন মানুষটির ভেতরেই লুকিয়েছিল নরম মনের একটি মানুষ। এতদিন সেই মানুষটির হদিশ পাননি রাজ্যবাসী।  দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) হিসেবে যাঁকে চেনেন পশ্চিমবঙ্গবাসী, সেই তিনিই ধরে রাখতে পারলেন না আবেগের রাশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন শিশুর মতো। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার দৌলতে রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশ যাঁকে চিনে গিয়েছে।

    দুর্ঘটনার কবলে মেধাবী ছাত্রী

    হুগলির চাঁপদানির বিএম রোডে বাড়ি সুনীতা বর্মার। মহাদেবানন্দ কলেজের প্রথম সেমেস্টারের ছাত্রী তিনি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিতে কলেজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পলতা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই ছাত্রী। ট্রেন চলে এলে ভিড়ের ধাক্কায় স্টেশন আর ট্রেনের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। তবে ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রাণে বাঁচলেও, তাঁর দুটি পা-ই কেটে বাদ দিয়ে দেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    হাসপাতালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় 

    সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে খবরটি জানতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সোমবার মেধাবী ওই ছাত্রীকে দেখতে হাইকোর্ট থেকে সোজা হাসপাতালে চলে যান তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গেও। সুনীতার বাবা নেই। মা ও ভাইকে নিয়েই সংসার তাঁর। সেই সুনীতারই দুটি পা খোয়া যাওয়ায় অথৈ জলে বর্মা পরিবার। এদিন হাসপাতালের সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের।

    আরও পড়ুুন: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের

    তখনই ছাত্রীটির বিষয়ে বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন আপাত লৌহকঠিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ধরা গলায় বলেন, “ছাত্রীটি ভাল আছেন। ওই ছাত্রীর পাশে আমরা সবাই রয়েছি। সব রকম সাহায্য করব। কৃত্রিমভাবে পা লাগানো যায় কিনা চিকিৎসকদের কাছে আবেদন করেছি।” তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। তিনিও নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: ৮২ পেলেই টেট পাশ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষায় পাশের নম্বর নিয়ে আপাতত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Gangopadhyay) রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। টেট মামলায় (TET case) ৮২ না ৮৩, কত নম্বরকে টেট পাশের জন্য গণ্য করা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। ওই মামলায় ৮২ নম্বর প্রাপ্তদের উত্তীর্ণ হিসাবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেই রায়-এ হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বুধবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে গণ্য করতে হবে ও মূল পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন টেট প্রার্থী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতের অমিল হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। টেট পরীক্ষা হয় ১৫০ নম্বরে। তার মধ্যে ৮২ পেলে শতাংশের বিচারে তা হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ পেলে তবেই উত্তীর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ বলেই ধরা হবে। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ৮২ পেলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। 

    আরও পড়ুন: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এই রায় তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রায় দ্বিধা বিভক্ত হয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের মত ছিল, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেলেই টেট উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা সম্ভব। আর বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের মত ছিল, ৮২.৫ পেলে তবেই প্রার্থীদের টেট উত্তীর্ণ বলে উল্লেখ করা হবে। এরপর মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। এদিন তিনি যে রায় দিয়েছিলেন এরপর প্রার্থীদের টেটে বসার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের! যাদবপুরকে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    JU Student Death: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে প্রাক্তনীদের! যাদবপুরকে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তন পড়ুয়াদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হস্টেল ছাড়তে হবে। মঙ্গলবার এমন নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

    কী বলল আদালত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের হস্টেলে থাকতে দেওয়া যাবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘হস্টেলের প্রত্যেক রুমে গিয়ে দেখতে হবে, প্রাক্তনীরা রয়েছেন কিনা। যদি থাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বের করে দিন।” আদালতের নির্দেশ, ‘‘প্রাক্তনীরা যে ঘর ছেড়ে দিয়েছে, তা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। ঘর ছেড়ে দিলে মেইনটেন্যান্সের কাজ শুরু করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।” পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ইউনিয়ন না থাকলে জনসমক্ষে বক্তব্য বা প্রেস রিলিজ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল। সেক্ষেত্রে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইউজিসি দেখবে রেগুলেশন প্রয়োগ হচ্ছে কিনা।”

    কেন এই নির্দেশ?

    গত ৯ অগাস্ট মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এই ঘটনায় উঠেছিল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেইসঙ্গে নাম জড়িয়েছিল বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়ার। প্রশ্ন উঠেছিল, প্রাক্তনীরা কেন হস্টেলে থাকছেন। যদিও ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রাক্তন পড়ুয়াদের হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সরাসরি আদালতের নির্দেশ এলো।

    আরও পড়ুন: ৭টি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ বাড়ল রাজ্যে! রেলকে ধন্যবাদ জানালেন শুভেন্দু

    যাদবপুরকাণ্ডে তোলপাড় দেশ

    দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্তি পেলেও বাকিরা জেলেই রয়েছেন। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন পড়ুয়াও রয়েছেন। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় তাঁরা হস্টেলের তিনতলায় ছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এই প্রেক্ষিতেই নতুন ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট অভিমত শিক্ষামহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’

    আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    Calcutta High Court: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুথ দখল হওয়ার পরে দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণ ভয়ে কিছু করতে পারিনি।” শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানালেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং অফিসার। পেশায় শিক্ষক সুমিত পাণ্ডে নামের ওই প্রিসাইডিং অফিসার আদালতকে জানিয়েছেন, দেদার ছাপ্পা হলেও, প্রাণ ভয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

    প্রিসাইডিং অফিসারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি 

    প্রিসাইডিং অফিসারের এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা ২ ব্লকের ওই বুথে পুনর্নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ৪ জুলাই রাজ্যে এক দফায় হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট গণনা হয় ১১ জুলাই। এই নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা ও বুথ দখলের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয়, এদিন প্রিসাইডিং অফিসারের স্বীকারোক্তিই তার অন্যতম ‘প্রমাণ’।

    পুনর্নির্বাচনের দাবি

    বেলডাঙার কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন ও ভোট গণনার দিন তাঁর এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র ও গণনাকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। তিনি ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের হলফনামা তলব করেন। আদালতে হলফনামা দিয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভোট গ্রহণের দিন বেলা ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি লাগু! কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ নাড্ডার

    গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল তাদের মুখ। বুথে ঢুকেই ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দেদার ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বুথ দখল করে রেখেছিল তারা। দুষ্কৃতীরা তাঁর ও পোলিং অফিসারদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল। তাই তাঁরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতে পারেননি। বিকেল ৫টায় নির্বাচন শেষ হলে তাঁকে ‘ভোট শান্তিপূর্ণ’ লিখতে বাধ্য করে। প্রিসাইডিং অফিসারের  এই হলফনামার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই বুথে ফের নির্বাচন করাতে চায় কিনা, ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে কমিশনকে। ১২ সেপ্টম্বর ফের শুনানি হবে ওই মামলার (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    Calcutta High Court: বেহালায় ৩২ বছর ধরে চলছে সরকারি অনুমোদনহীন স্কুল! বিস্মিত বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ৩২ বছর ধরে চলছে স্কুল। তাও আবার খাস কলকাতার বুকে। বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ৩২ বছরে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের নাকি সরকারি অনুমোদনই নেই। এই তথ্য সামনে আসতেই শুক্রবার সরগরম হয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ঘটনা এক শিক্ষিকার পেনশনকে ঘিরে। ২০১৭ সালে বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অবসর নেন শিক্ষিকা ধারা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তারপরে থেকেই তিনি পেনশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। সব জায়গায় দরবার করার পরে তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হন সেখানেও তাঁর সমস্যার সমাধান হয় না। এরপর স্কুল শিক্ষিকা সোজা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। 

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়

    শুক্রবারই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে ধারা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন যে স্কুলের সরকারি অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬,০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদি পায় তখনই পদক্ষেপ নিতে পারবে।’’ এই শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘কীভাবে স্থায়ী সরকারি (Calcutta High Court) অনুমোদন ছাড়া ৩২ বছর ধরে একটা স্কুল চলছে! জেলা স্কুল পরিদর্শকরা এতদিন ধরে কী করছিলেন? তাঁদের কাজ কি শুধু বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি রাখা?’’ বিচারপতি (Calcutta High Court) বসুর আরও সংযোজন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কি করছে? এত বছরে তো হাজার হাজার জন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে? তাঁরা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করে না পায় তাহলে মহা বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।’’  

    কী বলছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?

    অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী বলেন,‘‘এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।’’ এই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!’’এদিন বিচারপতি (Calcutta High Court) বিশ্বজিৎ বসু, নির্দেশ দেন সরকারি অনুমোদনের জন্য কোনও শিক্ষিকার পেনশন আটকে থাকতে পারে না। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে জমা করারও নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য (Calcutta High Court) করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ইন্টারভিউয়ে ফেল চাকরি প্রার্থী, ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: ইন্টারভিউয়ে ফেল চাকরি প্রার্থী, ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় বাড়তি ৬ নম্বর পেয়েছেন আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। অতিরিক্ত এই নম্বর পাওয়ায় অনেক ‘অযোগ্য’ প্রার্থীই পেরিয়েছিলেন যোগ্যতার চৌকাঠ। তবে তার পরেও কপালে ছেঁড়েনি চাকরির শিকে। তাই ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। এই প্রার্থীর অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের ভিডিওগ্রাফি দেখতে চাইল আদালত (Calcutta High Court)।

    পাশ করেও পাননি চাকরি

    ২০২৪ সালে টেট দিয়েছিলেন আমিনা পারভিন। আদালতের নির্দেশে ওই পরীক্ষা যাঁরা দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের ৬ নম্বর করে বেড়েছে। এক লপ্তে ৬ নম্বর বেড়ে যাওয়ায় আমিনার প্রাপ্ত নম্বর হয় ৮২। টেট উত্তীর্ণ হতে গেলে ৮২ পেতে হত। ৮২ পাওয়ার পরেও চাকরি পাননি আমিনা। দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। ১৭ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে নির্দেশ দেন, আমিনার অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি।

    বিচারপতির নির্দেশ

    বুধবার মামলাটি ওঠে আদালতে (Calcutta High Court)। শুনানিতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়, প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা নেই। অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের ফলের ভিত্তিতে এ কথা আদালতে জানায় পর্ষদ। এর পরেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয় প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি দেখতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এর আগে মামলাকারী আদালতের নির্দেশে পাশের উপযুক্ত নম্বর পেয়েছিলেন। তার পরেও তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি বলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় ওই প্রার্থীকে।

    আরও পড়ুুন: ১৭ সেপ্টেম্বর মোদির জন্মদিন, দেশজুড়ে দু’সপ্তাহব্যাপী ‘সেবা পক্ষ’ কর্মসূচি বিজেপির

    আদালতের নির্দেশে তাঁকে ডাকা হয় ইন্টারভিউয়ের জন্য। তার পরেও চাকরি না পেয়ে ফের আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য হয়েছেন মামলাকারী। আদালত জানিয়েছে, চাকরির উপযুক্ত মেধা প্রার্থীর নেই। ভিডিওগ্রাফি দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ সেপ্টেম্বর। ওই দিনই আদালতে (Calcutta High Court) পেশ করতে হবে আমিনার অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের ভিডিওগ্রাফি।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur blast: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে বিজেপির দাবি খারিজ হাইকোর্টে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট এনআইএ-র  

    Duttapukur blast: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে বিজেপির দাবি খারিজ হাইকোর্টে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট এনআইএ-র  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ড (Duttapukur blast) মামলায় এনআইএ এবং সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজর্ষি লাহিড়ি। মঙ্গলবার বিজেপির সেই আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। তদন্তভার রাজ্যের হাতেই রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তদন্ত এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এ ধরনের মামলা অপ্রাসঙ্গিক। তবে মামলাকারী চাইলে যথাযথ ফোরামে গিয়ে আবেদন জানাতে পারেন।

    ঘটনাস্থলে এনআইএ

    রবিবার বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এনআইএর প্রতিনিধি দল। এদিন মামলার শুনানিতে এনআইএ আদালতকে জানায়, “আমাদের টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ‘এক্সপ্লোসিভ সাবসটেনস অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করা হয়নি। তার বদলে ‘ফায়ার সেফটি অ্যাক্ট’ যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এনআইএর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, “এমন নয় যে, ঘটনাটি বহু দিন আগে ঘটেছে। তদন্ত শুরু হয়নি এমনটাও নয়। রাজ্যের তদন্ত (Duttapukur blast) শুরু হয়েছে। ফলে রাজ্যের বিষয়ে এখনই এনআইএ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।” এর পরেই মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিস্ফোরণ হয়েছে, মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এটা এ রাজ্যে নতুন নয়। গোটা দেশেই বাজি কারখানায় এই ধরনের বেআইনি কাজ হয়।”

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট

    এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠাল এনআইএ। বিস্ফোরণস্থলে কী ধরনের বারুদ মিলেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, এমন নানা বিষয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠালেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে একাধিক ছবি এবং ভিডিও-ও তুলেছিলেন তাঁরা। পাঠানো হয়েছে সেগুলিও।

    আরও পড়ুুন: উৎসবের মুখে মোদি সরকারের ‘উপহার’, ২০০ টাকা কমছে রান্নার গ্যাসের দাম

    রবিবার ছুটির দিনের সকালে আচমকাই কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর (Duttapukur blast) এলাকা। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়। যদিও স্থানীয়দের দাবি, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ। ভেঙে পড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি পাকা বাড়িও। ঘটনায় এনআইএ এবং সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে বিজেপি। দ্বারস্থ হয় আদালতের। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে এলাকায় যান এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই রিপোর্টই পাঠানো হয় দিল্লিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: ৪৯৮এ ধারায় মামলা, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নয়! পুলিশের জন্য নির্দেশিকা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ৪৯৮এ ধারায় মামলা, অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার নয়! পুলিশের জন্য নির্দেশিকা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় মামলা হলে অভিযুক্তকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা যাবে না বলে পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারায় কোনও মহিলার ওপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যায়। 

    কী এই ধারা

    সাম্প্রতিক অতীতে এমন বেশ কয়েকটি মামলা সামনে এসেছে, যেখানে এই ৪৯৮ এ ধারা অন্যায় ভাবে প্রয়োগ করে, প্রকৃতপক্ষে নির্দোষ স্বামী বা তার পরিবার পরিজনকে হয়রান করা হয়েছে। মামলাগুলিতে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু মহিলা এই আইনের অপপ্রয়োগ করে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের থেকে মোটা টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে। এই অন্যায় রুখতে এবার সক্রিয় হল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    কী বলল আদালত

    সেকশন ৪০ প্রয়োগ: আইন বলছে, পুলিশ যখন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবে, সেক্ষেত্রে স্বতপ্রণোদিতভাবে সেকশন ৪০ প্রয়োগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠাবে মামলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি পুলিশ আধিকারিকের মনে হয় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা, তাহলে এ ক্ষেত্রে গ্রেফতারি এড়ানো যেতে পারে। তবে দুই পক্ষের আলোচনায় বিবাদ মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে অথবা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার সুযোগ পেতে পারেন অভিযুক্ত ।

    সরাসরি গ্রেফতার নয়: সেকশন ৪০ প্রয়োগ না করেই বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্তকে যদি পুলিশ সরাসরি গ্রেফতার করে, তাহলে তা তদন্তের গাফিলতি হিসাবেই বিবেচিত হবে। আর এ ক্ষেত্রে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানো যেতে পারে। অভিযোগ প্রমাণ হলে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    উপযুক্ত প্রমাণ পেশ: কোর্ট বলছে, ‘ যদি ফৌজদারি আইন একজন অভিযোগকারীকে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটিকে যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিপন্য করে, তাকে ন্যায়সঙ্গত করতে হবে।’

    গ্রেফতারের কারণ নথিভুক্ত করা: একজন অভিযুক্তকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার পরে, পুলিশ অফিসারকে অবশ্যই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে।

    ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূমিকা: ম্যাজিস্ট্রেটদের, আটকের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে, “পুলিশ অফিসার দ্বারা পূর্বোক্ত শর্তাবলীতে প্রদত্ত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করতে হবে এবং শুধুমাত্র তার সন্তুষ্টি রেকর্ড করার পরে, ম্যাজিস্ট্রেট আটকের অনুমোদন দেবেন।”

    সময়োপযোগী রিপোর্টিং: একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করার সিদ্ধান্ত অবশ্যই “মামলার প্রতিষ্ঠানের তারিখ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে” জানিয়ে দিতে হবে, যাতে বৈধ কারণে সময় বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share