Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Duttapukur Blast: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

    Duttapukur Blast: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Duttapukur Blast) এবার জোড়া মামলা দায়ের করল বিজেপি (BJP)। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও রাজর্ষি লাহিড়ি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    বিজেপির দাবি

    রবিবার বিস্ফোরণের পরে পরেই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ছিল, “কোন শব্দ তৈরি করতে গেলে স্টোনচিপস লাগে?” তিনি দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় স্টোন চিপস সহ একাধিক রাসায়নিকের সন্ধান মিলেছে। ওই এলাকায় লুকিয়ে বোমা তৈরি হত, মারণাস্ত্র তৈরি হত। আর জেলায় জেলায় এই বোমা তৈরি হচ্ছে। তার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানান শমীক। 

    সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এর আগে বহু ক্ষেত্রে এনআইএর হাতে তদন্তভার গেলেও, রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই এবার আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর পোস্ট

    বিস্ফোরণকাণ্ডের (Duttapukur Blast) পর একটি পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের দত্তপুকুরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ। ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যাটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি লেখেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কারণ এটি পশ্চিমবঙ্গে সিরিয়াল বিস্ফোরণের সিরিজে নতুন সংযোজন। মে মাসে তালিকায় ছিল এগরা, বজবজ ও দুবরাজপুর। এরপর গত ১ জুন নদিয়ার জেলার মহেশনগর এমনই বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি রাজ্যের পরিস্থিতি ও বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তির ঘটনা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাই আমি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, “আমি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এই বিষয়ে এনআইএ তদন্তের (Duttapukur Blast) জন্য কলকাতা হাইকোর্টে যাব। আমি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করব, যাতে কেন সরকার এই ধরনের অবৈধ বাজি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে এতটা নিষ্ক্রিয় সেই বিষয়ে উত্তর চাইতে পারি। এর পরে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল বিধানসভা থেকে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023 : উৎসবের অধিকার সবার! নিউটাউনে বিজেপির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Durga Puja 2023 : উৎসবের অধিকার সবার! নিউটাউনে বিজেপির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দুর্গাপুজো পুজো হলেও শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, আসলে এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব।’ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। একটি মেলার মাঠে কলকাতার এক পুজো সংগঠন দুর্গাপুজো করার অনুমতি পাবে কিনা সেই মামলায় শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টচার্য এই মত দেন।

    পুজোর অনুমতি

    জনসাধারণের জন্য নির্দিষ্ট মেলার মাঠ, পার্কে পুজো (Durga Puja 2023) করা যাবে কিনা এবং পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এক পুজো কমিটি। ওই কমিটির লোকেরা বিজেপি কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেলার জন্য নির্দিষ্ট অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন ‘মানবজাতি কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে সংগঠন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। বিচারপতি জানান, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ মোতাবেক সকল নাগরিকের স্বাধীন ভাবে চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারের মধ্যে দুর্গাপুজোর মতো উৎসবও রয়েছে। ফলে এই অধিকার খর্ব করা যায় না। হাই কোর্টের নির্দেশ, নিউটাউন মেলা গ্রাউন্ডে পুজো করতে পারবে ‘মানবজাতি কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে মামলকারী সংগঠনটি। এলাকায় এই সংগঠনের সদস্যেরা বিজেপিকর্মী হিসাবেই পরিচিত।

    আরও পড়ুুন: গ্রিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে (Calcutta High Court) দাবি করা হয়, সংবিধানে ২৫ ধারা অনুযায়ী জনসাধারণের জন্য তৈরি পার্ক, রাস্তা এবং ফুটপাতে কোনও ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য পর্যবেক্ষণে জানান, ‘একথা সর্বজনবিদিত, যে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) শুধু ধর্মীয় পুজোর্চনা নয়, এটি আসলে নারী শক্তির উদযাপন। দুর্গাপুজো শুধু পুজো নয়, বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধন। পুজোর্চনার থেকেও সেখানে উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আনন্দের ভাগটা অনেকটা বেশি। পুজোর থেকেও উদযাপনটাই প্রত্যক্ষ। এই সমস্ত কিছুর কারণেই দুর্গাপুজোকে শুধুই একটা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচরণ বা রীতিনীতি পালন হিসেবে দেখা ঠিক হবে না, এর প্রকৃতি আদতে ধর্মনিরপেক্ষ। অতএব একে শুধু এক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন বলে দাগিয়ে দেওয়া আসলে দুর্গাপুজোর মান হ্রাস করবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মাঠে মারা গেল শুভেন্দুর সভায় বাধা দেওয়ার শাসকের কৌশল! ১৯ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। ১৪ অগাস্ট এ ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছিল পদ্মশিবির।

    সভায় বাধা পুলিশেরও

    বিজেপির আইনজীবীর (Calcutta High Court) দাবি, সভার ঠিক আগের দিন ওই এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এরপর সভার দিন বদল করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঠিক হয়, সভা হবে ২৬ অগাস্ট। এবার বাধ সাধে পুলিশ। বিজেপিকে সভার অনুমতি দেয়নি তালপাতি ঘাট উপকূল থানা। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে প্রতি পদে বাধা দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।

    শুভেন্দুর সভা ২৬ অগাস্ট 

    বৃহস্পতিবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে পারবে বিজেপি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। আদালত জানিয়ে দেয়, সামান্য অশান্তি হলেই ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। এ রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি। রাজ্যের যুক্তি মেনে অশান্তির কারণে যদি খেজুরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, তবে যাদবপুরে নয় কেন? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “এটা পুলিশ শাসিত রাজ্য নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মতো লড়াই করছেন কেন? আর অশান্তির কথা যদি বলেন, যাদবপুরে কি ১৪৪ ধারা জারি করেছেন?”

    আরও পড়ুুন: “আমরা তো চাঁদেই বাস করছি”! ভারতের ‘চাঁদমারি’তে শ্লেষ পাক নাগরিকের

    তাঁর মন্তব্য, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিন্তু কেবল বিরোধীদের আটকাতে এমন বাচ্চাদের মতো যুক্তি খাড়া করা যায় না।” বিচারপতি (Calcutta High Court) সেনগুপ্ত বলেন, “যে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা যায়, তার কোনওটাই খেজুরির ক্ষেত্রে ঘটেনি। ভাঙড়েও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খেজুরি তো ভাঙড় নয়!” বিচারপতির নির্দেশ, ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ খারিজ করা হল। আগামী ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Panel: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের, বিশেষ কী রয়েছে জানেন?

    SSC Panel: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের, বিশেষ কী রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা (SSC Panel) প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার যাঁদের রেজাল্ট বের হল, তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে, উচ্চ প্রাথমিক অ্যসিস্ট্যান্ট শিক্ষক পদে। হাতের কাজ ও শারীর শিক্ষা বাদে বাকি পদের জন্য আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করল কমিশন।

    ফল জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে

    জানা গিয়েছে, ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদ থাকলেও মেধা তালিকায় নাম রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের। একাধিক বিষয়ে যোগ্য প্রার্থী না মেলায় ফাঁকা রয়েছে বেশ কিছু পদ। প্রকাশিত মেধা তালিকা দেখা যাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। ফল জানতে লগইন করতে হবে www.westbengalssc.com  এবং www.wbsschelpdesk.com সাইটে। এই তালিকায় যাঁদের ঠাঁই হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের নাম ও রোল নম্বরের উল্লেখ থাকবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আবেদনকারী (SSC Panel) চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর, অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের নম্বর সহ যাবতীয় তথ্যের উল্লেখ থাকবে। অস্বচ্ছতা এড়াতেই এই ব্যবস্থা বলে বিকাশ ভবন সূত্রে খবর।

    কমিশনের বক্তব্য

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সব কিছু মাথায় রেখেই আমরা প্যানেল প্রকাশ করেছি। ৩০ তারিখের পর থেকে হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। আমরা প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেব কি দেব না, পুরোটাই নির্ভর করছে হাইকোর্টের ওপর। ৩০ অগাস্ট হাইকোর্টের কাছে নিয়োগের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। এরপর আদালতের নির্দেশ মতোই চলবে প্রক্রিয়া (SSC Panel)। হাইকোর্ট যা বলবে, আমরা তা-ই করব।

    আরও পড়ুুন: ব্রিকসের মঞ্চেও ঘুঁচল না দূরত্ব, মোদি জিনপিং রইলেন দূরে দূরেই

    প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য নিয়োগ করা হবে এই শিক্ষকদের। ২০১৪ সালে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় নানা জটিলতা। আন্দোলন, দাবি-প্রতিবাদ, আইনি গেরো কাটিয়ে শেষমেশ বুধ-সন্ধ্যায় দিনের আলো দেখল ওই মেধা তালিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল প্রশ্ন মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকেই ৬ নম্বর করে দেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চ ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কোনও ভুল নেই। একই সঙ্গে এই মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বোর্ড তার হলফনামা জমা দিতে পারবে বলে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

    টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল

    ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রশ্ন যাচাই করতে তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিও জানায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় যাঁরা কেবল ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেগেটিভ মার্কিংয়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন।

    মামলা ডিভিশন বেঞ্চে

    সিঙ্গল (Calcutta High Court) বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেবল মামলাকারীরা নন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই ৬ নম্বর দিতে হবে। এই ধরনের অন্য একাধিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ৬ নম্বর দিতে হবে। তিনি এই নির্দেশও দেন, এই ৬ নম্বর পাওয়ায় যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার অংশ নিতে পারবেন তাঁরাও। তিন মাসের মধ্যে ৬ নম্বর দিয়ে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে তাঁদের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    এবার নতুন করে মেধাতালিকা, প্যানেল ও নিয়োগ কোনপথে হবে, তা নিয়েই সিঙ্গল বেঞ্চে হলফনামা জমা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে, ইতিমধ্যেই ভুল প্রশ্নে নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন ২৬৯ জন। এর বিরুদ্ধে ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী মৌমি চক্রবর্তী সহ ১৬৮ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির অজস্র প্রমাণ! হাইকোর্টে খারিজ জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির অজস্র প্রমাণ! হাইকোর্টে খারিজ জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha)  জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। রায়দানের সময় বিচারপতি বলেন, “জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে যে যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।” যার ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে জীবনকে।

    প্রমাণ পেশ করল সিবিআই

    নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গত ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুনীর্তির তদন্ত করতে গিয়ে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন প্রচুর তথ্য আসে সিবিআই-এর হাতে। তাঁর মুর্শিদাবাদাদের বাড়িতে প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রচুর নথিও উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। সিবিআই-এর দাবি টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষকের চাকরি করে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। গত ১৫ জুলাই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেসাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ নেওয়ার মতো অভিযোগের পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়েরও।

    আরও পড়ুন: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    জেলেই জীবন

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ব্যাংকের লেনদেন নজর রাখলেই বোঝা যায় যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণ সাহার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মেলা সমস্ত প্রমাণ কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আর সেই প্রামাণ্য নথি খতিয়ে দেখে জীবনকৃষ্ণের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। তিনি জানিয়ে দেন, ওঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির এত প্রমাণ মেলার পর জামিন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, নাইসার আধিকারিক নিলাদ্রি দাস। তবু শিঁকে ছিঁড়ল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ভাগ্যে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিন বাঁশবেড়িয়ার জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা করে কেউ নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারে না’।

    কী ঘটেছিল

    জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলনের সময় বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে কিছু দুষ্কৃতী পতাকার অবমাননা করে৷ পাথর ছোড়ে। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সওয়াল জবাবের সময়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, আদৌ সেদিন ওই স্কুলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখনই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরাই আদতে ‘ভিক্টিম’। তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যদি বলছেন, কিছু হয়নি, তাহলে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়েছে?” রাজ্যের আইনজীবী উত্তর দেন, “স্কুলের বাইরে জমায়েত করেছিলেন। গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছিল।” রাজ্যের এহেন উত্তরে অসন্তুষ্ট হন প্রধান বিচারপতি। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য,” আপনার কী মনে হয় না, এটা সিরিয়াস।” বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্যের এ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া উচিৎ ছিল।”  শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মামলাকারী ইনি বলেই কি এত অনীহা?” 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    আদালতের অভিমত

    রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “আপনি ভুলে যান কে আদালতে এসেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা আমাদের সবার অবমাননা। রাজ্যের আরও প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়া উচিত। পুলিশ-থানার উচিৎ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ নেওয়া।” এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি স্কুলের ভিতরে জাতীয় পতাকা (National Flag) অবমাননার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। রাজ্য অভিযোগ খতিয়ে না দেখে কে মামলা করেছে সেইদিকে তাকিয়ে রয়েছে, এটা ঠিক নয়।” প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “সব কিছুকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না। মিথ্যে বলবেন না। আপনি চোখ বন্ধ রাখলেই পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় না। যবে থেকে এসছি দেখছি মামলাকারী কে সেটা এখানে খুব গুরুত্ব পায়।” এবিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  স্কুলকে এই মামলায় যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা যত্রতত্র ব্যবহার করে ‘আইনি সন্ত্রাস’ করছেন মহিলারা। সোমবার এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত কোনও মহিলা শ্বশুরবাড়িতে নিষ্ঠুরতার শিকার হলে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের শাস্তি হবে। আদালতের মতে, এই ধারারই অপব্যবহার করছেন মহিলারা।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২০১৭ সালের একটি মামালার শুনানি হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের সিঙ্গল বেঞ্চে। এক মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করেন। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা সব অভিযোগ সরিয়ে নেওয়ার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলার স্বামীও। এই মামলার শুনানিতেই এদিন বিচারপতি সামন্ত বলেন, “সমাজ থেকে পণের ভয় দূর করতে আইনসভা ৪৯৮-এ বিধান প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, উক্ত বিধানের অপব্যবহার করে নতুন আইনি সন্ত্রাসের রাস্তা উন্মোচিত হচ্ছে।” আদালত জানিয়েছে, যদি ফৌজদারি আইন একজন অভিযোগকারীকে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটিকে যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিপন্ন করে তাকে ন্যায়সঙ্গত করতে হবে।

    মহিলার অভিযোগ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) সামন্ত বলেন, “আমি মনে করি যে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে (এই মামলায়) অভিযোগ দায়ের করা তাৎক্ষণিক ফৌজদারি মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ দাঁড়াচ্ছে না।” আদালত বলেছে, “এই উদ্যোগ কেবলমাত্র ব্যক্তিগত রাগ নিয়ে দায়ের করা হয়েছে।” আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরেই খারিজ হয়ে যায় মামলা। 

    আরও পড়ুুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগ (Calcutta High Court) পেয়ে পুলিশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীর বয়ান রেকর্ড করে। পুলিশ লক্ষ্য করে, স্বামীর বিরুদ্ধে সাধারণ কয়েকটি অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে ফের একটি মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। এবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয় স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: দুর্গা পুজোর অনুমতি চেয়ে  আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নিউ টাউনের একটি পুজোর উদ্যোক্তারা। গত বছর পুজোর অনুমতি পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ‘নিউ টাউন ইন্টেলেকচুয়াল’ নামে একটি সংগঠনকে। তাদের দাবি, নিউ টাউন মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দিতে হবে তাদের। গত বছর আদালতের হস্তক্ষেপে মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    দুর্গাপুজোর অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন পুজো কমিটির লোকেরা। তাঁদের দাবি, সরকার বিরোধী পক্ষের লোক হওয়ায় তাঁদের পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ আবেদন করেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে পুজো উদ্যোক্তারা প্রশ্ন তোলেন, পাশেই কেএমডিএ কর্তা দেবাশিস সেনের স্ত্রীর উদ্যোগে একটি দুর্গা পুজো হয়। সেই পুজোর জৌলুস যাতে কমে না যায়, সেই কারণেই কি নতুন পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? হিডকোর আইনজীবী জানিয়েছেন, গত বছর ব্যতিক্রমীভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবি, আগের বার যেখানে পুজো হয়েছিল, এবার সেখানে অনুমতি দিলে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও জানান, ট্রাফিক ছাড়াও হাউজিংয়ের পুজো হয়। বিগত বছরে বাস স্ট্যান্ডের পরিবর্তে মেলা প্রাঙ্গণে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। তখন বিচারপতি জানতে চান, তাহলে এই বছর সেই জায়গায় অনুমতি দিতে বাধা কোথায়? কী কারণ পুজোর অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না তা জানাতে বলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: আর দিতে হবে না ‘পেনাল ইন্টারেস্ট’! গ্রাহকদের সুরাহায় নানা নির্দেশ আরবিআইয়ের

    মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারির দাবি, “কলেজের উৎসব-সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গনে, তাহলে পুজোয় কেন নয়? ওখানে সার্ভিস রোড আছে। ফলে যানজট হওয়ার কথা নয়। অথযা যানজটের বাহানা দেওয়া হচ্ছে।” দীর্ঘ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।  এই মর্মে হিডকোর জবাব চেয়েছেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share