Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) জয়ী কোনও প্রার্থীকে এখনই জয়ী বলা যাবে না। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে সমস্ত জেলাশাসককে এমনই নির্দেশ পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সমস্ত জেলাশাসকদের (DM) চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ‘সমস্ত জয়ী প্রার্থীকে দ্রুত কমিশনের নোটিস সম্বন্ধে অবহিত করতে হবে জেলাশাসকদের।’

    কী বলল কমিশন 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে, একটি মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগেই মন্তব্য করেছিল, জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে যে তাঁদের ভবিষ্যৎ সংশ্লিষ্ট মামলার উপর নির্ভর করছে। সেই সূত্রেই আরও বলা হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত যাবতীয়  নথি, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ঘটনা হল, মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটগ্রহণের নানা পর্বে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগই হাইকোর্টে বিচারাধীন। এবার সেই মামলার রায়ে কী বেরোয়, তার উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টিই একেবারে চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলাশাসকদের জানিয়েছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রত্যেক জয়ী প্রার্থীকে যেন কমিশনের নোটিস সম্পর্কে অবিলম্বে জানানো হয়। 

    রাজ্যে নানা প্রান্তে হিংসা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে। এই আবহেই ভোট সম্পন্ন হয়। ভোট গণনা হয়। ফল প্রকাশিত হয়। প্রতিদিনই রক্ত ঝড়েছে গ্রাম বাংলায়। এই প্রসঙ্গে একটি মামলায়,হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের জয় নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপরেই। ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য যদি নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে, তা হলে সেটি খুবই গুরুতর বিষয়।’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    আদালতের অভিমত

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও যে সব ঘটনা ঘটছে আদালত তা দেখে বিস্মিত। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, যে সন্ত্রাস, হিংসা চলছে রাজ্য তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষের জীবনধারণের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। পুলিশ নিরীহ মানুষকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষের শান্তি যাতে ভঙ্গ না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। যদি এটি তারা না করতে পারে তা খুবই উদ্বেগের।”  ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের জয়ের বিষয়টি ফয়সালা হবে না। তাঁদের মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলাশাসকদেরও সতর্ক করে দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আদালতে জানিয়ে দিল সিবিআই। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকী জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র পাননি তদন্তকারীরা। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    অভিযোগ ভিত্তিহীন

    গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান কলকাতার হেস্টিংস থানাতেও। তার পর হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি এই ঘটনায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     শুক্রবার হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায় যে, কুন্তলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিবিআইয়ের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, কুন্তলের জেলযাত্রার প্রথম দিন থেকে ওই চিঠি লেখা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাতে মাত্র কয়েক দিনের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ফুটেজ নেই। জেল থেকে মাত্র কয়েকদিনের ফুটেজ দেওয়া হয়। সেই ফুটেজে কোথাও কোনও চাপ দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ভোটে কারচুপি! বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভোটে কারচুপি! বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা গুলো জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করা যেতে পারে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন হাওড়ার সলপে বিরোধীদের জয়ী ঘোষণা করেও শাসকদলের পরাজিত প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা

    এদিন শুনানির সময় মামলাকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা গুলো আপনারা জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করছেন না কেন? বৃহত্তর পরিসরে এই ঘটনাগুলির সঙ্গে সরাসরি জনস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। এইগুলো জনস্বার্থেরই বিষয়।’ বিরোধীদলের প্রার্থীরা ভোটে জিতলেও শাসকদলের প্রার্থীদের জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার সলপে। মামলাকারী প্রার্থীরা স্থানীয় বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বিচারপতি সিনহা এদিন বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    ব্যালট পেপার ছিনতাই-মামলা

    অন্যদিকে, বালিতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় আদালতে হাজিরা দিলেন জগাছার বিডিও। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে হাজিরা দিয়ে গণনাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করেন তিনি। আদালতের তরফে এই সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি বলেন, দেখতে হবে, কে বা কারা ব্যালট পেপার গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে এল। এদিন আদালতে জগাছার বিডিও বলেন, বালির ওই গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। সেকথা জানিয়ে পুলিশে এফআইআর করেছেন তিনি। কমিশনকেও ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তবে কমিশন এব্যাপারে কী পদক্ষেপ করেছে তা তাঁর জানা নেই। ওদিকে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। এছাড়া ৬০০০টি বেনিয়মের অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বেনিয়ম ধরা পড়লে পদক্ষেপ করবে কমিশন। এদিন আদালতে পেশ হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ২৫ জুলাই মামলাটির ফের শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    রামনগরেও বিতর্ক

    রামনগরের জেলা পরিষদে জয়ী ঘোষণা পরেও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বিজেপি প্রার্থীকে। জয়ের সার্টিফিকেট চেয়ে মামলা করেন তিনি। এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে হাজিরা দিলেন সেখানকার বিডিও। সশরীরে এজলাসে হাজিরা দিলেন রামনগরের পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসার। রামনগর-২-এর বিডিও অখিল মণ্ডল জানান, ভোটের ফলাফল রেকর্ডিং এর সময় অদলবদল হয়। রামনগর ২ নং ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ হাইকোর্টে জমা রাখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। বিডিও-এর কাছে হলফনামা তলব করেন তিনি। ২৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ এদিন, সিবিআইয়ের তদন্তের ‘ধীর গতি’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    সাড়ে ৩০০ কোটির দুর্নীতি

    আদালত সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    কিংপিন কে? 

    এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতকে বলেন, ‘৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা মূল সুবিধা পেয়েছে, এখনও সিবিআই সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি। সিবিআইকে সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলায় যে চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দিতেও বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে শুক্রবার দাবি করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট উদ্ধার-কাণ্ড, কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাঙ্গিপাড়ায় ব্যালট উদ্ধার-কাণ্ড, কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যালট মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। সেখানেই তিরস্কৃত হয় কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “পঞ্চায়েতে জিতলেই হাতে টাকা। আর সেই জন্যই এত দ্বন্দ্ব।” “রাস্তায় ব্যালট পড়ে থাকলে আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা কোথায়?” প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। বৈধ ব্যালট পেপার গণনার আগে কীভাবে সেগুলো গণনা কেন্দ্রের বাইরে গেল ২০ জুলাইয়ের মধ্যে হলফনামায় তা জানানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৫ জুলাই।

    জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব

    বুধবার জাঙ্গিপাড়ায় একটি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। সেগুলি কুড়িয়ে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হুগলির বাম নেতারা। রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকেও। ওই বুথের ভোটের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও নামের তালিকা চেয়েছিলেন বিচারপতি। গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও ফুটেজও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

    কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার

    এদিন জাঙ্গিপাড়ার বিডিও আদালতে (Calcutta High Court) জানান, প্রিসাইডিং অফিসার জয়দেব দে-কে ব্যালটগুলি ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু সই মিলছে না। পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব ছিল ভোটের দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখার। কিন্তু তার পরে আর আমার কোনও দায়িত্ব নেই। এই বুথ থেকে সন্ত্রাসের কোনও খবর রিপোর্ট হয়নি। কমিশনের আইনজীবীকে তিরস্কার করেন বিচারপতি সিনহা। বলেন, “প্রিসাইডিং অফিসারকে একজন আইনজীবী হিসেবে নয়, একজন নাগরিক হিসেবে বলুন তো, কী চলছে এটা? কীসের জন্য এত গোলমাল, গন্ডগোল? আসলে এটা একটা কাজ। জয় পেলে টাকা ইনকাম করার রাস্তা খুলে যাবে। তাই এত লড়াই। মামলার পাহাড় জমছে আদালতগুলোতে। কতগুলো ইলেকশন পিটিশনের সমাধান হয়েছে, তথ্য ঘেঁটে বলুন তো। প্র্যাক্টিক্যাল অভিজ্ঞতা থেকে বলুন।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ক, কেজরিওয়াল, সঞ্জয় সিংহকে হাজিরার নির্দেশ গুজরাটের আদালতের

    এর পরেই আইনজীবী (Calcutta High Court) বলেন, “এখনও কিছু প্রমাণিত নয়। ইলেকশন পিটিশন করতে হবে। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।” প্রত্যুত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, “ভোট গণনার সময় গোছা গোছা ব্যালট পেপার রাস্তায় পাওয়া গেল, এরপরও বলছেন কিছু প্রমাণিত নয়! এটা বাড়াবাড়ি না? আপনাদের বিডিও স্বীকার করছেন এগুলো আসল ব্যালট, তার পরেও কিছু প্রমাণিত নয় বলে বিষয়টা লঘু করার চেষ্টা করছেন!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat election 2023: রাস্তা থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে ছাপ মারা বৈধ ব্যালট, বিডিওকে তলব হাইকোর্টের

    Panchayat election 2023: রাস্তা থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে ছাপ মারা বৈধ ব্যালট, বিডিওকে তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) ব্যালট পেপার গণনা হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার রাস্তা থেকে উদ্ধার হল শয়ে শয়ে বৈধ ব্যালট পেপার। ব্যালট পেপারগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট দেওয়া ছিল। রাস্তার নর্দমার পাশ থেকে সেগুলি কুড়িয়ে নিয়ে সোজা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন হুগলির বাম নেতারা।

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    মামলা উঠল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকার কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে তলব করলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার বেলায় ২টোয় আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসারকেও। ওই বুথের ভোটের দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও নামের তালিকা চেয়েছেন বিচারপতি। গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও ফুটেজও আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

    মামলাকারীর অভিযোগ

    মামলাকারীর (Panchayat election 2023) অভিযোগ, মঙ্গলবার ভোট গণনা চলাকালীন গণনাকেন্দ্রের বাইরে নর্দমার ধারে রাস্তায় পড়েছিল শয়ে শয়ে ব্যালট পেপার। তাতে স্বাক্ষর ছিল প্রিসাইডিং অফিসারেরও। তাঁর দাবি, সিপিএমের পক্ষে ভোট পড়েছিল বলেই ব্যালট পেপারগুলি রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুুন: জয়ী প্রার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না সার্টিফিকেট, মালদায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। ভোট লুঠ, ব্যালট বাক্স জলে ফেলে দেওয়া, বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়া, অবাধে দেদার ছাপ্পা দেওয়া, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি- এসবেরই ছবি সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে দেখেছেন রাজ্যবাসী।  গণনার দিনও যে অনিয়ম হবে, সে আশঙ্কা আগেই করেছিলেন বিরোধীরা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ভোট গণনার দিনই বলেছিলেন, সিপিএমকে হারাতে জোর করে ব্যালটে কারচুপি করছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার (Panchayat election 2023) ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি হার বাঁচাতে সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের টেবিল থেকে ব্যালটের বান্ডিল থেকে কয়েকটি খেয়ে নেন বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহাদেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট! পঞ্চায়েতের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    Calcutta High Court: জয়ীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট! পঞ্চায়েতের সব নথি সংরক্ষণের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে কমিশনের ভূমিকা ‘খুব সন্তোষজনক নয়’, অভিমত হাইকোর্টের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat election 2023) গণনাকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানিয়েছে, নির্বাচনে জয়ী সমস্ত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করবে আদালতে চলা মামলার ভবিষ্যতের উপর। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।

    চাঞ্চল্যকর নির্দেশ হাইকোর্টের

    বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat election 2023) সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে,কমিশন যাঁদের জয়ী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের জয় মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের (Calcutta High Court) রায়ের পরেই চূড়ান্ত হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই। এই সময়ের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, ব্যালট সহ যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার প্রেক্ষিতে জানায়, “কমিশনের ভূমিকা খুব সন্তোষজনক নয়। আজও তাদের কোনও অফিসার হাজির নেই বক্তব্য জানানোর জন্য। ৬৯৮ বুথে কীসের ভিত্তিতে পুনর্নির্বাচন হল তার ব্যখ্যা দিতে প্রস্তুত নয় কমিশন। আদালত এটা বুঝতে পারছে না কেন এত সতর্কতার পরেও গোলমাল ঠেকানো গেল না।”

    কমিশনকে  ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ

    আদালত (Calcutta High Court) জানিয়েছে, শান্তিপুর্ণ পরিস্থিতি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। অথচ তাতে ব্যর্থ রাজ্য, এই অভিযোগ গুরুতর। এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে এতদিন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা ঠিকঠাক পালন করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে আদালত। অ্যাডিশিনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল আদালতকে জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাবহারের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে তার কারণ কমিশনের অসহযোগিতা। নিরন্তর কমিশন অসহযোগিতা চালিয়ে গেছে। কোনও রকম তথ্য ঠিকঠাক দেওয়া হয়নি। এরপরই ভোট এবং গণনার সময়কার বিভিন্ন জায়গার ভিডিও ফুটেজ কমিশনকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: গণনার দিনও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, চলল গুলি, মৃত তিন আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক

    আদালতে অভিযোগ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে গণনা পর্বের মাঝেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়। বোমা-গুলির দাপটে এখনও পর্য়ন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে গণনা চলাকালীন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী প্রার্থী এবং এজেন্টদের গণনা কেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী গুরু কৃষ্ণ কুমার এদিন আদালতে বুথ দখল ও বুথ লুটের কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে বলেন, ব্যালট পেপার টেম্পারিং হয়েছে। ভোট লুট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়নি বহু বুথে। এমনকি গণনার দিনও অশান্তি হয়েছে বিভিন্ন গণনা কেন্দ্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়! কুন্তল মামলায় ‘সুপ্রিম’ রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ নয়! কুন্তল মামলায় ‘সুপ্রিম’ রক্ষাকবচ পেলেন না অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  সোমবার শুনানিতে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেলেন না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।  এই সময় হস্তক্ষেপ করলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রভাব পড়তে পারে। সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজির হতে হবে বলে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে আবেদন করতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    অভিষেকের বিপক্ষে রায়

    কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে জেরা করার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার সেই মামলার রায় সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) অভিষেকের বিপক্ষেই গেল। ইডি এবং অভিষেকের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এ ব্যাপারে হাইকোর্টের একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা হতে পারে। তাই আদালত এ ব্যাপারে নাক গলাবে না বলে রায় দেয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর ফলে অভিষেকের বিপদ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জেরার ব্যাপারে ছাড়পত্র দিলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিষেককে এই মামলায় জরিমানা দিতে হবে না।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন”, কটাক্ষ শুভেন্দুর, দিলেন ‘প্রমাণ’ও

    গত ৮ জুন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তলব করে ইডি। ১৩ জুন হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু ইডির তলবে হাজিরা দেননি অভিষেক। তবে তার আগে থেকেই রক্ষাকবচ চেয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেই মামলার রায়ে অভিষেককে ইডি জেরা করতে পারবে বলে জানান বিচারপতি সিনহা। এর পর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক। সোমবার হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    Panchayat Election 2023: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন-পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই মতো রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের নিয়ে আসা হচ্ছে রাজ্যে। শুক্রবার বিশেষ বিমানে লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ৫ কোম্পানি এবং ২ প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই বাহিনী নামে পানাগড়ে। সেখান থেকেই তাঁদের মোতায়েন করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়।

    লেহ্ থেকে এল বাহিনী

    যেহেতু নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতে আর মাত্র ঘণ্টা কয়েক বাকি, তাই চাহিদা মতো বাহিনী মিলবে কিনা, তা নিয়ে ছিল সংশয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানায়, লাদাখের লেহ্ থেকে এয়ারলিফ্ট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। মোট পাঁচ কোম্পানি ও দুই প্লাটুন বাহিনী আসছে পানাগড়ের বিমানঘাঁটিতে।

    সব বাহিনী আসবে এদিনই

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। তার পর আদালতের গুঁতোয় সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে যেহেতু একেবারে শেষ পর্যায়ে কমিশনের তরফে বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তাই বাহিনী আসতে সময় লাগছে। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে চাহিদা মতো বাহিনী চলে আসবে শুক্রবারই।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    জানা গিয়েছে, যেখানে ১ থেকে ২টি বুথ রয়েছে, সেখানে মোতায়েন করা হবে ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ৩ থেকে ৪টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ৮ জন জওয়ান। ৫ থেকে ৬টি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় থাকবেন ১২ জন জওয়ান। ৭ এবং ৭-এর বেশি বুথ রয়েছে এমন জায়গায় মোতায়েন করা হবে ১৬ জন জওয়ান। স্ট্রং-রুম পাহারায় থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অগ্রাধিকার দেওয়া হবে স্পর্শকাতর বুথগুলিকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে স্পর্শকাতর (Panchayat Election 2023) বুথ রয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪টি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগপত্র পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। সেই সময় এনসিটিই-র নিয়মে বলা হয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের। তার পরেও শূন্যস্থান থাকলে, সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা। অবশ্য দু বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে হবে তাঁদের। নিয়োগ-পর্ব শেষ হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, চাকরি পাননি বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই। তার বদলে চাকরি পেয়েছেন (Supreme Court) প্রশিক্ষণহীন বহু প্রার্থী। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। জানা যায়, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি। অনেকে আবার জানান, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এর পরেই মে মাসে (Supreme Court) ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন তিনি। চার মাসের মধ্যে ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের সম হারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এই চাকরিহারারা।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। এবার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানায়, ওই শিক্ষকরা যেমন ছিলেন, তেমনিই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে অংশ নিতে পারবেন ওই চাকরিহারারা। সেখানে ব্যর্থ হলে, চাকরি খোয়াবেন তাঁরা।

    ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আদালত জানায়, এই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এতদিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নয়া ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি হবে। তাঁরাই নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share