Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Calcutta High Court: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার অবশ্য নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও মামলায় নয়, রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মামলায়। বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের (C V Anand Bose) সিদ্ধান্তই বৈধ। তিনি যে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন, তাঁদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। উপাচার্যদের বকেয়া বেতনও মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরেই শুরু হয় (Calcutta High Court) রাজভবন-নবান্ন বিরোধ।

    একতরফা নিয়োগের অভিযোগ ব্রাত্যর

    রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই উপাচার্যদের মানে না শিক্ষা দফতর। কারণ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই ১১ জন উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। একতরফা নিয়োগের অভিযোগ তোলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর ঘোষণা, শিক্ষা দফতর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ওই উপাচার্যরা যাতে পদ প্রত্যাহার করেন, সেই মর্মে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তাঁদের সসম্মান অনুরোধও জানান ব্রাত্য। তবে তাঁর আবেদনে কান দেননি ১০ জন উপাচার্যই। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একজন অবশ্য গ্রহণ করেননি নিয়োগপত্র। এর পরেই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই উপাচার্যরা বেতন পাবেন না।

    আরও পড়ুুন: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    গত ৫ জুন রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎকুমার ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল যাঁদের নিয়োগ করেছেন, সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। মানা হয়নি আইনও। মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার এই মামলাটি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য যেভাবে এই আবেদনকে সমর্থন করেছিল, সেই বিষয়টিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘গ্রেফতার করা হতে পারে’! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র 

    Calcutta High Court: ‘গ্রেফতার করা হতে পারে’! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে এই আশঙ্কায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে বেলাগাম মন্তব্য করা এবং থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় গ্রেফতারি এড়াতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)।

    সৌমিত্রের আশঙ্কা

    আদালতে সৌমিত্র জানিয়েছেন, সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মামলার সূত্র ধরেই পঞ্চায়েত ভোটের আবহে যে কোনও দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার এলাকায় দু’শোটিরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই গোষ্ঠীর প্রায় তিন কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠেছে সংঘের কোষাধ্যক্ষ সহ ব্যাঙ্কের দুটি সিএসপির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোনামুখী।ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। বিষ্ণুপুরের সাংসদের নেতৃত্বে ক্রমশ আন্দোলনের তেজ বাড়তে থাকে। সেই সময় একাধিক পথসভা থেকে অভিযুক্তদের পাশাপাশি সোনামুখী থানার আইসির বিরুদ্ধে সুর চড়ান সৌমিত্র।

    আরও পড়ুন: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়েরের আবেদন জানান সৌমিত্র। বিচারপতি তাঁকে অনুমতি দিয়েছেন। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন সৌমিত্র। তার পর ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সে বছরও বিষ্ণুপুর থেকে জেতেন বিজেপির টিকিটে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর নামে একটি মামলা ছিল। যার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বাঁকুড়া জেলাতেই ঢুকতে পারেননি সৌমিত্র। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই (ISI) চর! এই মামলায় সিবিআইকে (CBI) প্রাথমিক অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, সিআইডিও তদন্ত চালিয়ে যাবে। সেনার সঙ্গে সব এজেন্সিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের নিরাপত্তায় সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

    কর্মরত ২ পাকিস্তানি

    ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে জয়কান্ত কুমার ও প্রদ্যুম্ন কুমার নামে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ। সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে ওই দুই পাকিস্তানিকে। চাকরির পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানি চলছে ওই মামলার।

    মামলার মেরিট

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে (Calcutta High Court) বলেন, আমরা যা পেয়েছি, তাতে অভিযোগ গুরুতর। মামলার যথেষ্ট মেরিট রয়েছে। সিআইডি বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেনাও কিছু পদক্ষেপ করেছে। তবে গ্রেফতার নাকি আটক, সেটা বলতে পারব না। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম সহ একাধিক রাজ্যের যোগ রয়েছে। আমরা ছাপাখানা চিহ্নিত করেছি। যেখানে ডোমিসাইল সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন জাল নথি ছাপা হয়।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ” তৃণমূলের দেওয়াল লিখনে শোরগোল

    এর আগে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। এদিন তাঁর মন্তব্য, সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে যা উঠে আসছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিচারপতি মান্থা বলেন, সেনা সিবিআই এবং সিআইডিকে একযোগে কাজ করতে হবে। একটি সংস্থার সঙ্গে অন্য একটি সংস্থার যেন সংঘাত না হয়। সিআইডির সংগ্রহ করা তথ্য সেনাকে দিতে হবে। সেনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে রিপোর্ট দিতে পারবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ জুলাই। সেদিন সিবিআই ও সিআইডি রিপোর্ট দেবে তদন্তের অগ্রগতির।

    মামলাকারীর (Calcutta High Court) অভিযোগ, এই নিয়োগের নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। যার সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তি, পুলিশ এবং স্থানীয় পুরসভাও। সেনার পরীক্ষায় বসতে গেলে প্রয়োজন হয় বাসস্থানের প্রমাণ সহ একাধিক নথি। সেই সব নথি জাল করেই পরীক্ষা দিয়ে সেনায় দিব্যি চাকরি করছেন ভিনদেশিরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম ‘মুছে গেল’ কীভাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম ‘মুছে গেল’ কীভাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ভাঙড়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর যে ৮২ জন প্রার্থীর নাম ওয়েবসাইট থেকে মুছে গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের অভিযোগ আলাদা করে খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এই পদক্ষেপ করতে হবে ২৮ জুনের মধ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার এই নির্দেশই দিলেন বিচারপতি।

    অভিযোগ সত্য হলে, তাঁকে ভোটে লড়ার সুযোগ দিতে হবে

    এদিন, বিচারপতি সিনহা বলেন, নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হতে পারেন না। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে আদালতের নির্দেশে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের আইএসএফ প্রার্থীদের এসকট করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পথে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। বিকেল পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে বিডিও অফিসে ঢোকেন আইএসএফ প্রার্থীরা। এর পর মনোনয়নপত্র পেশ করেন। যদিও ততক্ষণে মনোনয়ন পেশের আনুষ্ঠানিক সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। মনোয়ন পরীক্ষার কাজ শুরু হলে ওই ৮২ জন প্রার্থীর নাম কমিশনের তালিকায় দেখা যায়। কিন্তু ২০ জুন মনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন সন্ধ্যায় তালিকা থেকে গায়েব হয়ে যায় তাদের নাম। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ৮২ জন  প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    গত বুধবার মামলার শুনানি হয়েছিল হাইকোর্টে। সেদিনই বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘একটি নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ সোমবার এই মামলাতেই বিচারপতির নির্দেশ, ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর প্রত্যেকের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। কারও অভিযোগ সত্য হলে, তাঁকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে হবে কমিশনকে। 
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: রাজীব সিনহার নিয়োগ অবৈধ! জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Panchayat Election 2023: রাজীব সিনহার নিয়োগ অবৈধ! জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগ বৈধ নয়। তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে  সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মামলার করার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রাজীবের নিয়োগ নিয়ে টানাপড়েন

    গত ৭ জুন রাজীবকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। গত বুধবার রাজীবের যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠান রাজ্যপাল। তারপর রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন রাজীব। সেই বৈঠকে যোগদান রিপোর্ট নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। এখনও পর্যন্ত ভোটের জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, রাজ্যপালকে তা জানান রাজীব। বৈঠকে রাজ্যপাল পরামর্শ দেন, ‘‘আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করুন। ভোটে অশান্তি কোনও ভাবেই যেন বরদাস্ত না করা হয়। শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কমিশনের যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকে।’’

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষের পর রাজভবনে রাজীব সিনহা সহ তিন জনের নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। প্রথমে রাজীবের নামে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে রাজীব সিনহার নামে অনুমোদন দেয় রাজভবন। তারপই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসার সাক্ষী থাকে রাজ্যবাসী। বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। এর মধ্যে আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: একদিনে দুটি মামলায় হাইকোর্টে জোড়া স্বস্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিপদে ধাক্কা খেতে থাকার মাঝে একদিনে দুটি মামলায় জোড়া স্বস্তি পেল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে একাধিক মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ধাক্কা খেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। রেহাই মেলেনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল দুটি মামলার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সমানে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি নোটিশ দিয়েছিল। সেটা আজ, শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অন্যদিকে,মনোনয়নে নথি বিকৃতি কাণ্ডেও এখনই কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই, শুক্রবার একথা জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। 

    মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে গোলমালের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিশনের ডিজি (তদন্ত) রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এর পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মামলায় শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই নোটিস খারিজ করে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। স্পর্শকাতর এলাকা মানবাধিকার কমিশনের ডিজি চিহ্নিত করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    নথি বিকৃতি-কাণ্ডে এখনই সিবিআই নয়

    পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) নথি বিকৃতি-কাণ্ডে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-এর বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নবাণের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। ইতিমধ্যেই হিংসার বলি হয়েছেন ৭ জন (অবশ্য প্রশাসনের দাবি ৫ জন)। শাসক দল তৃণমূলের হিংসার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। কোথাও আবার হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি প্রহরায় মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়েও হিংসার শিকার হয়েছেন বিরোধীরা।

    আদালতের প্রশ্নবাণ

    রাজ্যের এই হিংসার আবহেই সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের এক প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন”

    এদিন পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) সিনহার মন্তব্য, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    মামলাকারীদের দাবি, এই অনিয়মের পরেও মহিরুদ্দিন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার ফর্মে জানিয়েছেন, প্রার্থী সঠিক পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর পরেই কমিশনকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “কমিশনকে জানাতে হবে মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রার্থীদের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন কিনা? স্বাক্ষর কীভাবে করা হয়, তাও জানাতে হবে।” এই মামলায় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন অভিবাসন ব্যুরোকেও যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    Panchayat Elections 2023: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের গুঁতোয় সম্বিত ফিরল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)! প্রথমে রাজ্যের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) জন্য কেন্দ্রের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার নেপথ্যেও ছিল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের জোড়া ধাক্কা। কমিশন নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার ‘চাল’ চালায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। সেখানে আর এক প্রস্থ ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা 

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার উদ্দেশে বলেন, “আপনি চাপ নিতে না পারলে ছেড়ে দিন।” বৃহস্পতিবারও পঞ্চায়েত সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অমৃত সিনহা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) কি হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার পদে কি তিনি (রাজীব সিনহা) এখনও বহাল আছেন? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!” তার পরেই কেন্দ্রের কাছে সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগেই চাওয়া হয়েছিল ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার চেয়ে পাঠানো হল আরও ৮০০ কোম্পানি।

    সব বুথে বাহিনী নয়!

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ হবে ৬১ হাজারেরও বেশি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন চেয়েছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্র এই পরিমাণ বাহিনী পাঠালেও, রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে না।বুধবারই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার সেই সংখ্যক কিংবা তার বেশি সেন্ট্রাল ফোর্স ব্যবহার করতে হবে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল ৮২০ কোম্পানি। তবে সেবার নির্বাচন হয়েছিল ৫ দফায়। এবার নির্বাচন হবে এক দফায়। তাই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া অসম্ভব।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একদিকে যেমন হাইকোর্টের নির্দেশ মান্য করা হল, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যের সব বুথে মোতায়েন করা গেল না বাহিনী। বিরোধীদের মতে, যা আদতে রাজ্যের শাসক দলকে ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার কৌশল মাত্র!

    এদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Panchayat Elections 2023) দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে বিক্ষোভ দেখালেন ভোটকর্মীরা। তাঁদের দাবি, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দাবিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার মামলাটি শোনা হবে। 

    ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের

    নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের দুই সিপিএম প্রার্থীর আর্জির ভিত্তিতে বিডিওর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। 

    কঠোর বিচারপতি

    এই মামলাতেই বুধবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই এই তদন্তভার রাজ্যের কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। ভোট (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতেও কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্‌হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোটের কাজে নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে শিক্ষকরা

    Panchayat Elections 2023: ভোটের কাজে নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে শিক্ষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে এই প্রশ্ন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল শিক্ষকদের একাংশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েতে ভোটের কাজে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ

    রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তা আশ্বাস দিলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব ছিলেন শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কি হবে? এই প্রশ্ন তুলেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষা অনুরাগী ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এই সংগঠনের ৮০০ সদস্য। পোলিং অফিসার হিসেবে থাকছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা ছড়িয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তাঁরা।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের। মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও। এর আগে পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। এই মামলায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ীই ভোটের কাজে স্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একান্তই প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে।

    আরও পড়ুুন: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    আইসি, বিধায়কের নামে এফআইআর 

    পঞ্চায়েতে মনোনয়ন নিয়ে ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।  ১২ জুলাই এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। সেই সঙ্গেই আদালতের নির্দেশ, মামলাকারী সিরাজুল বারুইপুরের এসপি’র কাছে নিরাপত্তার আবেদন করবেন। তাঁর বাড়ির সামনে দু’জন সশস্ত্র কনস্টেবল এক সপ্তাহের জন্যে পাহারায় থাকবেন। ১৩ থেকে ১৬ জুন ক্যানিংয়ের বিডিও অফিস, হসপিটাল মোড়-সহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সিরাজুলের অভিযোগ, ১১ জুন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বিডিও অফিসের সামনে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share