Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Panchayat Election 2023: “২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট”, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “২০১৩-র চেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট”, কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে। এই মর্মে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মুখ পুড়েছে সেখানেও। রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা বহাল রাখে দেশের শীর্ষ আদালতও।

    নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া

    আদালত অবমাননা এড়াতে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জন্য এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানায় রাজ্য। নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। বুধবার সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ, “২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার চেয়ে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা চলবে না।” বিজেপির তরফে আদালতকে জানানো হয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ

    এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্যও ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কমিশন ২২টি জেলার জন্য যে ২২ কোম্পানি অর্থাৎ ২২০০ আধা সেনা মোতায়েনের কথা বলছে, তা করলে চলবে না।”

    স্পেশালাইজড ফোর্স

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ভোটারের নিরাপত্তায় মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া রাজ্যের ৬ জেলায় ১ কোম্পানি করে রাজ্যের স্পেশালাইজড ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিশন। রাজ্যের এই ৬টি জেলা হল বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। কমিশনের সিদ্ধান্ত, এই জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে থাকবে রাজ্যের স্পেশালাইজড ফোর্স। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। চলতি বছর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে রাজ্যে অশান্তি শুরু হওয়ার পরেও ২২টি জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ায় ওঠে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুুন: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    এদিন মামলার শুরুতেই প্রধান বিচারপতি কমিশনকে বলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি এত কিছু পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রার্থীর চেক লিস্টে কারচুপি? বিকৃত করা হয়েছে নির্বাচনের নথি? বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের হাতে তদন্তভার দেওয়া সমীচীন হবে না’। 

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    উলুবেড়িয়া-২ ব্লকে কাশ্মীরা বিবি ও ওমজা বিবি নামের দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্ক্রুটিনিতে তাঁদের ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়। এই দুই প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁরা যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তা বিকৃত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই প্রার্থী। সেই মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। আদালতের নির্দেশ,আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক তার আগের দিন তদন্ত রিপোর্ট চাইল আদালত।

    বিরোধীদের দাবি

    এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গোটা ব্যবস্থাকেই ঘেটে ফেলেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনারকে সামনে রেখে, তৃণমূল রাজ্যে চরম নৈরাজ্য, অবাধ সন্ত্রাস  এবং প্রাতিষ্ঠানিক লুঠের ব্যবস্থা করেছে।এক হাজারের কাছাকাছি মনোনয়নপত্র আমাদের বাতিল হয়ে গিয়েছে। বিডিওরা প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন। নথি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এটা চরম দুর্ভাগ্যের। সারা ভারতবর্ষের মানুষ বাংলাকে দেখছে’।

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    কড়া বার্তা বিচারপতির

    পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা বলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্‌হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “স্বরাষ্ট্র দফতর জানুক রাজ্যের কোথায় বোমা শিল্প চলছে”! ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর তো জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!” পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে এক মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, “মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়েছে। গুলি, পরপর গাড়িতে আগুন, লাঠি-বাঁশ হাতে দুর্বৃত্তদের দাপাদাপি, ভাঙড় থেকে ক্যানিং, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে ভয়ঙ্কর এই হিংসার ছবি। তাহলে পুলিশ কী করছিল? পুলিশ কি এসব ঘটনা স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানিয়েছে? স্বরাষ্ট্র দফতর অন্তত জানুক রাজ্যের বোমা শিল্প কোথায় কেমন চলছে!”

    বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি

    মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনে পুলিশি প্রহরায় বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার জন্য গন্তব্যে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। তার পরেও সংবাদ মাধ্যমের পর্দায় ভেসে ওঠে বেলাগাম সন্ত্রাসের ছবি। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি থামিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশে বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ের শোনপুর বাজারের কাছে পুলিশি প্রহরায় আসা আইএসএফ প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। প্রহরারত পুলিশ কর্মীরা তখন সেখান থেকে সরে যান বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিনের।

    রাজ্য সরকারের জবাব তলব

    সেই মামলা (Panchayat Election 2023) প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থা বলেন, “ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাট নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরেও মামলাকারীদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি ও গুলি চলেছে।” এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত। ক্যানিং, মিনাখা, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল, তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার বিডিও অফিস চত্বরের সিসিটিভির ফুটেজও তলব করেছেন বিচারপতি মান্থা। ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত সুপার মর্যাদার অফিসার নিয়োগ করে তদন্তের (Panchayat Election 2023) নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক তৃণমূলের পরেশরাম দাস, থানার আইসি এবং ক্যানিংয়ের এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে পারলেন না, তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    Panchayat Election 2023: জেলা পিছু এক কোম্পানি! ‘নামকাওয়াস্তে’ কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশন জেলা প্রতি মাত্র এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার পর কটাক্ষ বিরোধীদের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতি জেলায় মাত্র এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। এর ফলে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতও জানায়, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে ভোট করতে হবে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর সেখানেই আপত্তি বিরোধীদের।

    ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান

    এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য থাকেন। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে। ধরে নেওয়া যাক, ১০০ জন জওয়ান থাকবেন প্রত্যেক কোম্পানিতে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের ২২ জেলায় মাত্র ২২০০ জওয়ান নিযুক্ত হবেন। এদিকে, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) হতে চলেছে মোট ৬১ হাজার বুথে। এরকম হলে মাত্র একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দায়িত্বে থাকতে পারে ২৮ টি বুথ! বিরোধীদের দাবি, এটা মোটেই যথেষ্ট নয়। তাই আবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। 

    বিজেপির দাবি

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আদালতের নির্দেশের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে ভোটে বুথ, সেক্টর, থানা, স্ট্রং-রুম এবং গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে যৌথ ভাবে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। কোনও বাহিনীর বিরুদ্ধেই যাতে অভিযোগ না ওঠে, তাই এই সিদ্ধান্ত। তাই আদালতের নির্দেশ যাতে সঠিক ভাবে প্রয়োগ হয়, সেই দাবিই আমরা হাইকোর্টে জানাব।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাচারিতা, দখলদারি এবং নির্লজ্জতার বেনজির দৃষ্টান্ত রাজীব সিংহ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জনবিচ্ছিন্ন তৃণমূলকে বাঁচাতে চাইছেন। তবু আমরা বলছি যে, প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে তৃণমূলকে।’’ শমীকের সংযোজন, ‘‘নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলকে রক্ষা করতে পারবেন না। আর গোটা বিষয়টাই আদালতের নজরদারিতে হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো বাহিনী পাঠানোর নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। এই ২২ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিএসএফের ৮, সিআরপিএফের ৬, এসএসবির ৪ এবং আইটিবিপির ৪ কোম্পানি। এই ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেই জন্য এস সি বুদাকোটিকে নোডাল অফিসার হিসাবে রাজ্যে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Nawsad Siddique: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Nawsad Siddique: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই হিংসা দেখেছে ভাঙড়। তাই ভাঙড়ের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আর্জি মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার তাঁর আর্জি মঞ্জুর করেছে। তবে নওশাদকে (Nawsad Siddique) কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা এখনও জানা যায়নি। কেন্দ্রের তরফে রিপোর্ট দিয়ে তা হাইকোর্টে জানানো হবে।

    নওশাদের অভিযোগ

    ভাঙড়ে বিরোধীদের বিশেষ করে আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দিয়েছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ নওশাদের (Nawsad Siddique)। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকেও দলের কর্মীদের মনোনয়ন জমা করাতে হিমশিম খেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এবার তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা করতে শুরু করেন। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা চিঠিতেও নিজের সেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন নওশাদ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। এরই পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন নওশাদ।

    নওশাদের দাবি জেড প্লাস নিরাপত্তা

    কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মঙ্গলবার তার শুনানি ছিল। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের অনেক বিধায়কই আলাদা করে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমানে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে ভাঙড়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই সেখানকার বিধায়ক হিসাবে নওশাদও (Nawsad Siddique) নিরাপত্তা পাবেন। তবে নওশাদকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলে দেননি বিচারপতি। কেন্দ্রই তা ঠিক করবে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন কেন্দ্রের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে নওশাদের জন্য তারা কী ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।

    আরও পড়ুন: আমি না শাওনি, ঠিক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, বিস্ফোরক বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর নওশাদ (Nawsad Siddique) বলেন, ‘‘আমি প্রথমে রাজ্য সরকারকে বলেছিলাম আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা কেউ আমার কথায় কান দেয়নি। বিধায়কের ন্যূনতম যে নিরাপত্তা পাওয়ার কথা, তা-ও আমাকে রাজ্য দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, “শুধু আমার নয়, ভাঙড়বাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আমি নবান্নে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আমার জন্য সময় হয়ে ওঠেনি। আশা করব, আগামী দিনে ভাঙড়বাসী নিরাপদে থাকবে। না হলে আমি আবার আদালতে যাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশের পরেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ, দাবি এনআইএ-র (NIA)। রাজ্য সাহায্য না করায় আটকে রয়েছে বহু মামলা। অভিযোগ, মামলার বহু নথিও দিচ্ছে না রাজ্য। এই সব অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    এনআইএ-র দাবি

    রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য পুলিশকে সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিলের রায়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে নথি হস্তান্তরের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এনআইএ-র (NIA) অভিযোগ, রাম নবমী সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এমনকী মামলা সংক্রান্ত কোনও নথিও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তদন্ত আটকে রয়েছে।

    বুধবার শুনানির সম্ভাবনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলায় কোনও অর্ডার নেই। গরমের ছুটির পড়ে সেই মামলার শুনানির কথা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    সক্রিয় এনআইএ

    এই মুহূর্তে এনআইএ কলকাতা শাখায় ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ৬জন তদন্তকারী অফিসার রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের উপরেই অন্তত দু’ থেকে তিনটি কেসের চাপ রয়েছে। ফলে অফিসারদের নির্দিষ্ট কোনও কেসের উপর নজর দিতে সমস্যা হচ্ছে। আর এই দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন ডিজি দীনকর গুপ্তা। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে যত দ্রুত সম্ভব অফিসারের অভাব পূরণ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Matua Thakurbari: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Matua Thakurbari: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে (Matua Thakurbari) অশান্তির ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এডিজি পদ মর্যাদার কোনও আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। তাঁর নির্দেশ, অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর গ্রহণ করতে হবে পুলিশকে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মামলায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেসব মতুয়া ভক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদেরও জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। রাজ্যকে হাইকোর্টের নির্দেশ, ওই মন্দির চত্বর ও হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে হবে পুলিশকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই।

    অভিষেককে বাধা মতুয়াদের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মতুয়া মন পেতে ১১ জুন ঠাকুরবাড়িতে (Matua Thakurbari) পুজো দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এবং দলীয় বিধায়ক তাপস রায়। বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছান তাঁরা। তাঁদের মন্দির ঢুকতে বাধা দেন শান্তনু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনিয়া। দু পক্ষের কথা কাটাকাটির মধ্যেই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন শান্তনু। মূল মন্দির ঢুকতে না পেরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। 

    সিট গঠনের নির্দেশ

    অনুমতি না নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন (Matua Thakurbari) অভিষেক, এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন মতুয়াদের একাংশ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শান্তনু। সাংসদের অভিযোগ, মন্দিরের তরফে জানানো হলেও, কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় কয়েকজন ভক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শান্তনুর এই মামলার প্রেক্ষিতে সিট গঠনের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    বাম জমানায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের (Matua Thakurbari) রাশ ছিল বামেদের হাতে। পরে হাতবদল হয় রশি। রাজ্যে পালাবদলের পর মতুয়া মহাসঙ্ঘের রাশ হস্তগত করে তৃণমূল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই সেই রশি চলে আসে বিজেপির হাতে। তার পর থেকে মতুয়া মন পেতে চেষ্টার কসুর করছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ওই দিন ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের পুজো দিতে যাওয়াও সেই চেষ্টারই অঙ্গ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে (VC appointment) রাজ্যের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিষয়ে রাজ্যকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, সার্চ কমিটি নিয়ে রাজ্য সরকার যদি কোনও পদক্ষেপ করে, মামলাকারী সঙ্গে সঙ্গে তা আদালতকে জানাবে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয় গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে।

    আদালতের প্রশ্ন

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যের তৈরি নতুন সার্চ কমিটিতে সরকার পক্ষের সদস্য বেশি কেন? সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিই বা কেন রয়েছেন? সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘এই কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সদস্যকে কেন রাখা হয়েছে? যতদূর জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত কোনও সদস্য থাকার কথা নয়! এই কমিটিতে শিক্ষাবিদদের কি রাখা হয়েছে?’’ এর জবাবে রাজ্য জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম মাথায় রেখেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সব সদস্যই শিক্ষাবিদ! এর পাল্টা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। 

    মামলাকারীর দাবি

    এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত বলেন, ‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে (VC appointment) স্বজনপোষণের কোনও জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ (সিলেকশন) কমিটির সদস্যপদে রাজ্যের প্রতিনিধি বেশি রাখা হয়েছে। তিনজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে বেআইনিভাবে।’ সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনওরকম স্বজনপোষণ যাতে না হয়, সেই কারণে রাজ্যের হস্তক্ষেপ মানা হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তা সহজেই পাশ হয়ে যাবে ওই কমিটিতে। এমনকি, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামত এড়িয়ে যাওয়ারও সংস্থান রয়েছে। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিকে। তাঁর জায়গায় স্থান পান মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি। যা কাম্য নয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, কমিশন সেই নির্দেশ মানেনি। সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। 

    বিরোধীদের দাবি

    নির্বাচনী (Panchayat Election 2023) প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপেই গত ১০ দিনে রাজ্যে ৭টি খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গোটা বিষয়টিতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ ছিল মনোনয়নপত্র জমা থেকে কাউন্টিং , গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। সেই নির্দেশও পালন হয়নি বলে অভিযোগ। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী সওয়াল করেন, ‘‘ সুপ্রিম কোর্টে আজও কমিশন ও রাজ্যের এসএলপি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্য ও কমিশন করা এসএলপি নিয়ে কোনও নোটিস দেওয় হয়নি। তাই আদালত অবমাননার মামলা হাইকোর্টে হতে কোনও আইনি বাধা নেই।’’

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷  শনিবার এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সূত্রের খবর, সেই আবেদন শুনতে রাজিও হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আগামিকাল, অর্থাৎ, মঙ্গলবার কমিশন ও রাজ্যের আর্জির শুনানির সম্ভাবনা৷ বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: মতুয়াধামের অশান্তিতে আইনি লড়াই! অভিষেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শান্তনু 

    Shantanu Thakur: মতুয়াধামের অশান্তিতে আইনি লড়াই! অভিষেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শান্তনু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠাকুর নগরের মতুয়াধামের অশান্তিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। আগামী কাল, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হবে। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ জানান তিনি।

    শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ

    সম্প্রতি তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরনগরের মতুয়াধামে এসেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ,অভিষেক কাউকে না জানিয়ে মতুয়া মহা সঙ্ঘের মন্দিরের সামনে মিছিল করেন। তৃণমূলের দলবল নিয়ে মন্দিরে ভিড় করেন। এমনকি অভিষেকের লোক ভক্তদের হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে মন্দিরের তরফে অভিযোগ জানালেও সেটা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় মন্দির কমিটি-সহ ভক্তদের বিরুদ্ধে পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজন ভক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এর বিহিত চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করলেন শান্তনু ঠাকুর। 

    আরও পড়ুন: ২১ তারিখ আসছেন মোদি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে প্রস্তুতি তুঙ্গে, দেখুন ভিডিও

    গত ১১ জুন ঠাকুরনগরে মতুয়াধাম এসে মন্দিরে পুজো দেবেন বলে কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই সকাল থেকে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা মন্দির চত্বর সাজানো শুরু করেন। কিন্তু দুপুরে অন্য দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। মতুয়াদের একাংশ হঠাৎ বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বেই এই কাজ ঘটানো হয়েছে। তাতে বিজেপি কর্মীরা যুক্ত। ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে মূল মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দিতে হয়। তখন পাশের মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। তিনি চলে গেলে, বিজেপির কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনের মারে বিজেপির বেশ কয়েক জন আহত হন। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর বিচার চেয়ে এবার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর হাইকোর্টে গেলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share