Tag: Calcutta High court

Calcutta High court

  • Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্য সরকার, কেন জানেন?

    Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্য সরকার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ দিয়েও পিছিয়ে এল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রথম দফায় পর্ষদের কাছে প্রশাসনিক বদলির নির্দেশ গিয়েছিল ৬০৩ জন শিক্ষকের। আপাতত গোটা প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। এই শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাবশতই রাজ্য সরকার শিক্ষকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ একাধিক শিক্ষক সংগঠনের। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও তোলে শিক্ষক সংগঠনগুলি। যদিও রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, প্রতিহিংসা নয়, পদ্ধতি মেনেই নেওয়া হয়েছে বদলির সিদ্ধান্ত।

    বদলির নির্দেশ

    যে ৬০৩ জন শিক্ষককে বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। ১৩ থেকে ১৬ জুন টানা চার দিন ধরে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ১৯ জুন সোমবার। বৃহস্পতিবার বদলির নির্দেশ স্থগিত রেখে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর। কথা ছিল, গরমের ছুটির পরে কার্যকর হবে বদলির এই নির্দেশ। তার আগেই এল স্থগিতাদেশ।

    নির্দেশ স্থগিতাদেশের সম্ভাব্য কারণ

    কেন এই স্থগিতাদেশ? এনিয়ে শিক্ষক মহলে নানা মত শোনা যাচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশের মতে, এভাবে বদলি করা হলে স্কুলগুলিতে সমস্যা হতে পারে। বাড়ি থেকে দূরে বদলি করা হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া বদলির (Teacher Transfer) নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকদের একাংশ আবার আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। স্থগিতাদেশ নির্দেশ জারির আরও একটি কারণ শোনা যাচ্ছে। এটি হল, দোরগোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের কাজে প্রচুর শিক্ষকের প্রয়োজন। তাই নির্বাচনের আগে ওই ৬০৩জন শিক্ষককে বদলি করা হলে, সমস্যা আরও বাড়বে।

    আরও পড়ুুন: খুনের আশঙ্কায় আবেদন করেছিলেন নিরাপত্তার, জেড ক্যাটেগরির সুরক্ষা পাচ্ছেন নওশাদ

    শিক্ষকদের অন্য একটি অংশের মতে, বদলির নির্দেশ পাওয়া শিক্ষকদের কেউ অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে, কেউ আবার দূরত্বজনিত অসুবিধার কারণে বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। বদলির নির্দেশে স্থগিতাদেশের এটাও একটা কারণ হতে পারে। তবে নির্বাচন-পর্ব মিটলে ফের এই শিক্ষকদের বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে কিনা, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নদিয়ায় ‘জমি দুর্নীতি’তে সিবিআই তদন্ত! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) একটি জমি অধিগ্রহণের ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি একই রকম জমিতে দামের আকাশ-পাতাল হেরফের কেন তা সিবিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। 

    দুর্নীতির অভিযোগ

    অভিযোগ, জল সরবরাহের কাজের জন্য নদিয়ার এক ব্যক্তির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁকে জমির জন্য অনেক কম দাম দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত নদিয়ার বীরেন্দ্র নাথ ঘোষের জমি ঘিরে। ২০০৯ সালে জল সরবরাহের কাজের জন্য বীরেন্দ্র ঘোষের ৪৪ শতক জমি অধিগ্রহণ করে জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর। বীরেন্দ্রনাথের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণ করা হলেও প্রথমে টাকা পাননি তিনি। তারপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ওই জমির দাম ঠিক করা হয় ৩৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৩১ টাকা। জেলা পরিষদ জানায় ২০২৩ এপ্রিলের বর্তমান মূল্য অনুযায়ী ওই দাম ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন বিএসএনএল কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের

    সিবিআইকে নির্দেশ

    এরপরই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর মূল অভিযোগ, জমির (land corruption) সঠিক মূল্যায়ণ করেনি নদিয়া জেলা পরিষদ। মামলাকারীর আইনজীবী তুলসী দাস আদালতে জানিয়েছেন, ওই জমি থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ৩৯ শতকে একটি জমির মূল্য পাঁচ কোটির উপরে ধার্য করেছে সরকার। প্রতি শতকে ১৫ লক্ষ টাকার বেশি ধার্য করা হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। বীরেন্দ্রর দাবি, তাঁর জমি বানিজ্যিক জমি। সেক্ষেত্রে জমির দাম প্রতি শতক এক লাখের কম কেন হবে? এরপরই বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, এটি বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত। অথবা কোনও দুর্নীতির অঙ্গ। কোনওভাবেই ব্যবসায়িক জমির দাম কম হতে পারে না। নদিয়া জেলা পরিষদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বেড ভাড়া, ওষুধের খরচ বেঁধে দিতে পারে না কমিশন, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অস্বাভাবিক খরচ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারের গঠিত স্বাস্থ্য কমিশনের(Health Commission) মোট ২৬টি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের বক্তব্য, এমন নির্দেশ জারির অধিকার ওই কমিশনের নেই। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেও যাবে রাজ্য সরকার।

    আদালতের নির্দেশ

    হাইকোর্টে (Calcutta High Court)কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল কলকাতার একটি প্রথম সারির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা ২০২০-র ২৭ জুলাই থেকে পরের বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের জারি করা ২৬টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় ১৬ মে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য তাঁর নির্দেশে বলেন, রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশ এক্তিয়ার বহির্ভূত। নির্দেশগুলি অসাংবিধানিক ও অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য সেগুলি প্রত্যাহার করে নিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    আদালতের (Calcutta High Court) বক্তব্য, এই ধরনের পদক্ষেপের কোনও সংস্থান নেই ২০১৭-র ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনে, যার বলে কমিশন গঠিত হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা অবশ্য সওয়াল করেছিলেন যে, জনস্বার্থে এবং রোগীস্বার্থেই এই ধরনের নির্দেশিকা কমিশন জারি করেছে। কিন্তু আইনি প্রশ্নে তাকে আদালত মান্যতা দেয়নি। এই প্রসঙ্গে অতীতের বিভিন্ন মামলার দৃষ্টান্তও তুলে ধরা হয়েছে। আগামী দিনে এমন পদক্ষেপ কমিশন যেন আর না করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিষেবার রেট বেঁধে দেওয়াও কমিশনের এক্তিয়ার বহির্ভূত। এই রায় সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি প্রত্যাহার রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের মঙ্গলবারের রায়ের কিছু অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আজ, শুক্রবার আদালতে এই আর্জি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতিকে আর্জি প্রত্যাহার করার কথা জানান রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাহারের আর্জি মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

    আদালতে রাজ্যের আবেদন

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) নিয়ে বিরোধীদের জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্টের এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ। কিছুদিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা নিয়ে প্রথম থেকেই অশান্তি অব্যাহত। ৮ জুলাই একদফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট।

    আরও পড়ুন: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে প্রাক নির্বাচনী অশান্তিতে উত্তাল হয় বাংলা। পরিস্থিতি দেখে এরপরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্যের সব এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকরেরও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে চলার কথা জানিয়েও দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে, রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সবঠিক থাকলে এ ব্যাপারে সম্ভবত শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    Panchayat Election: মনোনয়নে হিংসা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’! রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থীদের পুলিশি পাহারা দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। এর উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার, অভিমত হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, এই পুরো ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা (এসকর্ট) দিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, পুলিশি পাহারার মধ্যেই এক জনকে গুলি করে মারা হয়েছে। কয়েক জন আক্রান্ত। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কী ভাবে হামলা হল? এই প্রসঙ্গেই বিচারপতির নির্দেশ, মামলকারীরা যে সব অভিযোগ করেছেন, তা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। বিচারপতি মান্থা জানতে চান, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন ওই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও যে পুলিশকর্মীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হবে না।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি

    পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করারও অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, মনোনয়ন জমা নিয়ে এই আদালতের বিচারের এক্তিয়ার নেই। তাই মামলাকারীদের আবেদন মতো পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করা হল। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি।

    আরও পড়ুন: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    আন্তর্জাতিক বিভিন্ন যুদ্ধের ছবি সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের দৃশ্য মিলিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই পোস্টে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘গতকাল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হাজার হাজারবার মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জীবদ্দশায় আমরা যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব অঞ্চলের ফুটেজ, উদ্বাস্তু সংকট দেখেছি। কিছু বিরক্তিকর ছবি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে যায়। আতঙ্কিত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের ছবি ‘আত্মসমর্পণের জন্য হাত তুলে’; বন্দুকের ব্যারেলের দিকে তাকিয়ে থাকা এমন একটি ছবি যা আমাদের যুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়।’

    সম্প্রতি ভাঙরে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। যেখানে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তাঁদের হাতে নথি তুলে ধরে যাতে পুলিশ তাঁদের উপর গুলি না চালায়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভয় দেখিয়ে বোমা মেরে মনোনয়ন কেন্দ্রের দিকে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: “সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে হবে”, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল স্পর্শকাতর এলাকা নয়, রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) করতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রায় পড়তে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করার বিষয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে কমিশন যা করার তা করেনি। সামগ্রিকভাবে অবাধ মনোনয়ন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেক্ষেত্রেও বড়সড় ফাঁক থেকে গিয়েছে। সেই কারণেই গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছে আদালত।” আদালত আরও জানিয়েছে, ভোটের কাজে যুক্ত সকলকে সরকারি আইকার্ড সঙ্গে রাখতে হবে। চাওয়া মাত্রই তা দেখতে হবে। পুলিশকর্মী, অবজার্ভার, ভোটকর্মী…প্রত্যেককে সঙ্গে আইকার্ড রাখতে হবে।

    নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা

    এদিন সকালেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একটি রায়ের অংশবিশেষ পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা এখনও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেনি। তখনই বিরক্ত হয়ে বিচারপতি বলেন, “তাহলে কি গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এদিন আদালতকে (Panchayat Election 2023) রাজ্য জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় যাতে পুলিশবাহিনীর ঘাটতি না থাকে, তাই পড়শি রাজ্য থেকে পুলিশ বাহিনী আনানোর ব্যবস্থা করছে তারা। কিন্তু আলাদত সাফ জানায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। আর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ জোগাবে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “মনোনয়ন জমা করতে বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবেন ওসি”, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “মনোনয়ন জমা করতে বিরোধী প্রার্থীদের পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবেন ওসি”, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের একটি জায়গায় জড়ো হতে হবে। সেখান থেকে তাঁদের এসকর্ট করে মনোনয়ন কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাবেন থানার ওসি (OC)। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মিনাখাঁয় মনোনয়নে বাধাদান প্রসঙ্গে সিপিএম, ক্যানিং এবং গোটা বসিরহাটে মনোনয়ন জমা দিতে না পারা বিজেপি ও ভাঙড়ে মনোনয়ন জমা দিতে না পেরে আইএসএফ প্রার্থীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলাগুলি এক সঙ্গে ওঠে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।

    হাইকোর্টে মামলা

    এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে হাইকোর্টে মামলা করতে এসেছিলেন পঞ্চায়েতের চার প্রার্থীও। আদালতের নির্দেশ, ওই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিয়ে যাবে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। তাদের সাহায্য করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

    পুলিশ প্রহরায় মনোনয়ন

    বৃহস্পতিবারই মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিন। এদিনই মামলাগুলি ওঠে আদালতে (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের নির্দেশ, মনোনয়ন দিতে যাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ৮২ জন প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ও কাশীপুর থানায় জড়ো হবেন। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপারের অফিসে জড়ো হবেন সেখানকার বিজেপি প্রার্থীরা। সেখান থেকে তাঁদের পাহারা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নিয়ে যাবে পুলিশ।

    গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। মনোনয়নপত্র জমা-পর্ব শুরু হয় তার পরের দিন থেকেই। তার পর থেকে রাজ্যের বিভন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে একের পর এক অশান্তির খবর। মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজি হয় ভাঙড়ে। গুলি চালানোর অভিযোগও ওঠে। অশান্তি হয়েছে বসিরহাট, ক্যানিং এবং সন্দেশখালিতেও। বুধবার এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর।

    আরও পড়ুুন: মনোনয়নের শেষ দিনে ঝরল রক্ত, অগ্নিগর্ভ চোপড়ায় গুলিতে মৃত ২, জখম ১

    এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদেরও অভিযোগ, মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি করছে রাজ্যের শাসক দল। মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অশান্তির অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে বিজেপি, সিপিএম এবং আইএসএফ। বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানি হয় ওই মামলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: “গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দিই?” কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দিই?” কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?” রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, তারই একটা অংশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত সংক্রান্ত ওই মামলার শুনানি হয়েছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।

    বিরক্তি প্রকাশ প্রধান বিচারপতির

    রায় দিতে গিয়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন যে কয়েকটি জেলাকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে, সেখানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আপত্তি এখানেই। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন এখনও পরিস্থিতির মূল্যায়ন করেনি। এ কথা শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta High Court), “গোটা রাজ্যকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেব? সেটা ভাল হবে?”

    “কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ধাক্কা খাবে”

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা দেখেছি, গতকালও কোথাও কোথাও অশান্তি হয়েছে। লাঠিচার্জ হয়েছে। এটা ঠিক নয়। এতে কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা ধাক্কা খাবে। আমরা ফেলে রাখার জন্য নির্দেশ দিইনি। বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “যদি আমাদের রায় পছন্দ না হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যান। কিন্তু উপেক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সময় চলে যাচ্ছে। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করতে পারে।” প্রসঙ্গত, আদালত স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে মনোনয়নপত্র পেশের দিন বাড়ানো হবে কিনা, সেই বিষয়টি ছাড়া হয়েছিল কমিশনের ওপরেই।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার

    মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেলে বাধা দিয়েছিল তৃণমূলের লোকজন। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। মিনাখাঁর এই ঘটনাকে সামনে রেখে বামেরা এবং গোটা বসিরহাটে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Calcutta High Court: ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় সাহায্য করবে পুলিশ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় সাহায্য করবে পুলিশ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফের (ISF) তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র পেশের জন্য পুলিশকে সাহায্য করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এজন্য কাশীপুর ও ভাঙড় থানাকে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন বিচারপতি। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। তিনি জানান, রাজ্যের অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশ, কমিশনের ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বিভিন্ন জেলার এসপি ও কমিশনারদের বলবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের সংঘর্ষও হয়। পর পর তিন দিন উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়ের পরিস্থিতি।

    নবান্নে হাজির ভাঙড়ের বিধায়ক

    এদিকে, এদিন আচমকাই নবান্নে হাজির হন ভাঙড়ের (Calcutta High Court) বিধায়ক আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। দুপুর ৩টে নাগাদ নবান্নে যান তিনি। যদিও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে শেষমেশ ফিরে যান তিনি। বিধায়ক বলেন, “ভাঙড়ের বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ঘিরে রাখা হয়েছে। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রাজ্যের অভিভাবিকা। তাই আমার মনে হয়েছে, ওঁকে জানানো উচিত। তাই জানাতে এসেছিলাম। তার আগে দেখা করব জানিয়ে মেলও করেছিলাম। কিন্তু আমার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সময় হয়ে ওঠেনি। আজ আবেদন জানিয়ে গেলে হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেখা করতে পারব। কিন্তু আগামিকালই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ হয়ে যাবে। পরে কখনও প্রয়োজন হলে আবার আসব।”

    ভাঙড়ের বিধায়কের বক্তব্য 

    তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “আমি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। যাতে তাঁর নজর আলাদা করে ভাঙড়ের দিকে থাকে। আমি জনপ্রতিনিধি। সাধারণ মানুষ ভাঙড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা যে দলেরই হন না কেন। আমি মানুষের জন্য ছুটে এসেছি।” অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র পেশের সময় প্রার্থীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে গিয়েছিল সিপিএম-ও। বুধবার ওই ঘটনায় বসিরহাটের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আগামী সপ্তাহে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা এই মামলার।

    আরও পড়ুুন: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারদ মামলায় ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। নারদ মামলার এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরামবাগের সাংসদ তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বুধবার আদালতের নির্দেশ, অপরূপার বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে।

    নারদ স্টিং অপারেশন

    ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ স্টিং অপারেশন। অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূলের প্রথম সারির বহু নেতা ঘুষ নিচ্ছেন। মামলায় জড়িয়ে পড়েন এই নেতারা। এঁদের মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন। কেউ আবার অন্য দলে চলে গিয়েছেন। মামলায় নাম জড়ায় আরামবাগের সাংসদ তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারের। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অপরূপা জানান, ২০১৪ সালের ঘটনা। চার্জশিটেও তাঁর নাম নেই। সিবিআই তাঁকে অযথা হেনস্থা করছে। এই মামলায়ই সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত।

    অপরূপার দাবি

    প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে অপরূপা জানিয়েছিলেন, সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাঁর নাম এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। গত ৮ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য মেলেনি বলেও দাবি তৃণমূল নেত্রীর। এদিন আদালতে অপরূপা বলেন, সিবিআই এখনও সেই চিঠির কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নারদকাণ্ডে (Calcutta High Court) যাঁদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা হলেন মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই নারদকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share